আলোছায়া ৮

0
484

#আলোছায়া
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব_৮

উপস্থিত সবাই পিউর ব‍্যবহারে অবাক। শুভ্র ওদের বিষয়ে জানতো না। নীলুর চোখ মুখ শান্ত। হয়তো ও ভেবেছিল এমন কিছু অচিরেই ঘটতে চলেছে। জুনায়েদ বিরক্ত হচ্ছে ওর চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। শুভ্র অপেক্ষা করলো না মেয়েটাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে মুখটা কঠিন করে বলল,

> এই মেয়ে পাগল হয়েছো? জুনায়েদ বিবাহিত ওর সঙ্গে থাকবে মানে কি?

পিউ শুভ্রর কথা ইগনোর করে বলল,

> আমরা দুজন দুজনাকে ভীষন রকম ভালোবাসি। ওই মেয়েটা আমাদের মধ্যে চলে এসেছে। কিছুতেই আমি এখান থেকে যাবো না।

শুভ্রর বিষয়টা বুঝতে একটু সময় লাগলো। ভাইযে বিশাল একটা ঘাপলা সৃষ্টি করেছে বেশ বুঝতে পারছে। এখন কি করবে বুঝতে না পেরে বলল,

> আমাদের বাড়ির ছেলেদের দ্বিতীয় বিয়ের রেওয়াজ নেই। তুমি চাইলেও সেটা আর হচ্ছে না।

> সেটা আমি আর জুনায়েদ ভালো বুঝবো। আপনি কেনো আমাদের মধ্যে কথা বলছেন? তাছাড়া আমি জানি এই মেয়ের সঙ্গে জুনায়েদ বাধ্য হয়ে আছে। ওদের সম্পর্কটা স্বামী স্ত্রীর পর্যায়ে কিছুতেই যায় না।

শুভ্র ভ্রু কুচকে ফেলল পিউর এমন আচরণ দেখে। ও বিড়বিড় করে বলল “অসভ‍‍্য”। জুনায়েদ পিউকে ছাড়িয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা আগে থেকেই এমন ছিল এখন আরও ক্ষেপে গেছে। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বেশ ভয় পাচ্ছে। শুভ্র রেগে পারভীন বেগম কে বললেন,

> জুনায়েদের অনুমতি ছাড়া বিয়েটা দিয়ে কি ক্ষতি করেছো বুঝতে পারছো? নীলুর কি হবে এবার? ওদের জন্য মেয়েটা কেনো সাফার করবে? তোমার ছেলেও যেমন জুটিয়েছেও আরেকটা তেমন।

পারভীন বেগম ছেলের কথাগুলো হজম করতে পারলেন না। উনি পিউর হাত ধরে বিরক্তি নিয়ে বললেন,

> ডাইনীর মতো আমার সংসারে নজর না দিলে হচ্ছিলো না? বাজে মেয়ে একটা। এখুনি যাবে নাকি তোমার বাবাকে ফোন করবো?অপেক্ষা করো।

পারভীন বেগম স্বামীকে ফোন দিয়ে বাড়িতে যা হচ্ছে সবটা বললেন। উনি বাইরে আছেন। তবে আশ্বস্ত করলেন এখুনি ব‍্যবস্থা নিচ্ছেন। নীলু চুপচাপ এগিয়ে এসে সোফায় বসে পড়লো। দাঁড়িয়ে থেকে পা ব‍্যাথা হচ্ছে। জুনায়েদ একবার নীলুর দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,” অদ্ভুত মহিলা, স্বামীর জীবন নিয়ে টানাটানি অথচ কি শান্ত হয়ে উপভোগ করছে” জুনায়েদকে নীলুর দিকে তাকাতে দেখে পিউ ওকে ধাক্কা দিয়ে বলল,

>বেবি তুমি সবাইকে বলে দাও আমাদের মধ্যে কেউ আসবে না। তুমি শুধু আমার।

জুনায়েদ ঢোক গিলে তুললিয়ে ফিসফিস করে বলল,

> আমার কোনো দোষ নেই মেয়েটা জোর করে স্ত্রীর অধিকারটা বুঝে নিয়েছে। আশাকরছি দুদিন পরেই বাচ্চা কাচ্চা,,

জুনায়েদ কথা শেষ করতে পারলো না। পিউ ওর উপরে হামলে পড়লো। এলোপাথাড়ি চড় থাপ্পর দিয়ে বলল,

> মেয়ে দেখেই আমাকে ভুলে গিয়েছিস না। তোকে আমি ছাড়বো না। খুন করবো তোকে।

শুভ্র দৌড়ে গিয়ে পিউকে ছাড়িয়ে নিলো। ইতিমধ্যেই পিউয়ের বাবা চলে এসেছেন। উনি মেয়েকে কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারছেন না। শুধু পাগলামি করছে। উনি মেয়েকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে গেলেন। জুনায়েদ মনে হলো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। কি সাংঘাতিক ব‍্যাপার। মেয়েটা কিছুক্ষণের জন্য ঝড় তুলে ফেলেছিল। ওকে ভাবতে দেখে শুভ্র ধমক দিয়ে বলল,

> তোর রুচি খারাপ জানতাম কিন্তু এতটা খারাপ জানা ছিল না। এই মেয়েকে তোর কোন এঙ্গেলে লাইফ পাটনার হিসেবে পছন্দ হয়েছিল? ভদ্রতা সভ‍‍্যতা জানেনা।

> নীলুর সঙ্গে আমার বিয়েটা মেনে নিতে পারছেনা বলে এমন করছে। তুমি ওকে দোষারোপ করছো কেনো?

জুনায়েদের এমন উত্তরে শুভ্র বেশ বিরক্ত হলো। পারভীন বেগম দুভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা হবে তাই দুজনকে রুমে যেতে বললেন। নীলুও চুপচাপ রুমে চলে আসলো। জুনায়েদ গম্ভীর মুখে বসে আছে। নীলু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে শব্দ করে হেসে ফেলল। জুনায়েদ ভ্রু কুকচে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। ওর ডাউট হচ্ছে এই মেয়েটার মাথায় সত্যিই সমস্যা আছে। এতোবড় জটিল সমস্যা নিয়ে মানুষ কিভাবে হাসতে পারে ওর ভাবনার বাইরে। নীলু কোনো রকমে হাসি থামিয়ে বলল,

> পিউ আপু যখন আপনাকে জড়িয়ে ধরেছিল তখন আপনার মুখটা দেখার মতো হয়েছিল। আমি অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে রেখেছিলাম। আচ্ছা কি এমন বললেন হঠাৎ উনি আপনাকে মারতে শুরু করলো?

জুনায়েদের কাশি শুরু হয়ে গেলো। ও কোন রকম কাশি থামিয়ে বলল,

> মানুষের বিপদে সাহায্য করতে হয়। এভাবে হাসাহাসি করে মজা নেওয়ার কি আছে?

> আপনার সৃষ্টি করা সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। আপনি তো আমাকে মানতে পারছেন না। অন‍্যদিকে গার্লফ্রেন্ডকে প‍্যারা মনে করছেন তাহলে তো হবে না। দুজনের একজন কে সহ‍্য করতে হবে। আপনার মাথায় যে বুদ্ধি নেই সে আমি প্রথমদিনকেই বুঝেছি।

> অপমান করছো আমাকে কথা বলতে সুযোগ দিয়েছি বলে?

> ঝগড়া ঝামেলা করলে সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। আচ্ছা বলুনতো পিউকে আপনি কতদিন থেকে চিনেন?

> দুমাস চার‍দিন।

নীলু ভ্র কুচকে বলল

> চেনাজানা হতেও ছয় মাস লাগে। তারপর ভালোলাগা, ভালোবাসা। আপনি দুদিনেই বুঝে গেলেন মেয়েটাকে আপনি ভালোবাসেন?

> সুইসাইড করতে গিয়েছিল তাই বন্ধুরা বলল।

> বাহ জুনায়েদ সাইদের মতো ত‍‍্যাড়া লোক বন্ধুদের কথায় রিলেশন শুরু করে দিয়েছে। ভেরি গুড। লোকের কথা না শুনে মনের কথা শুনবেন। আর গার্লফ্রেন্ডের কথা শুনে বউকে মারার জন্য কিলার ভাড়া করাটা খুবই বোকামি। হাউ ফ‍্যানি।

জুনায়েদ অবাক দৃষ্টিতে নীলুর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা সব জানে তবুও চুপচাপ? কিন্তু জানলো কিভাবে? জুনায়েদ কৌতূহল চাপিয়ে রাখতে না পেরে জিঞ্জাসা করতে মুখ খুলতেই নীলু হেসে বলল,

> জেনেছি কোনোভাবে। ওসব বাদ দিন। আমি চলে গেলে পিউকে বিয়ে করে নিবেন। অপরাধ করে অনুশোচনায় না ভুগে সত্যি কথাটা বলবেন। আমি ঘুমাবে ঘুম পাচ্ছে।

নীলু শেষের কথাটা গম্ভীর ভাবে বলে শুয়ে পড়লো। এই মেয়েটা এত কথা বলতে পারে ওর জানা ছিল না। মেয়েটাকে ভেবেছিল খুব সরল। কিন্তু তেমন কিছুই না। জুনায়েদ কয়েকবার চোখের পাতা নাড়িয়ে সোফায় হেলান দিলো। রাত হয়ে এসেছে। শুভ্র রাগে ফুলছে। বাড়িতে আসতেই হলো কিন্তু এতোটা দেরিতে আসার জন্য এখন নিজেই নিজেকে লাথি দিতে মন চাইছে। ও যদি সঠিক সময়ে বাড়িতে ফিরতো তাহলে তো এখন ভাইকে ঝামেলায় পড়তে হতো না। এই জটিল সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে ভাবতে পারছে না। পারভীন বেগম ও জুনায়েদের উপরে বিরক্ত। সৈয়দ সাহেব বেশ শান্ত। এভাবে হাইপার হলে চলে না। বুদ্ধি দিয়ে সমাধান করতে হবে। রাতটা এভাবেই পার হলো।

নীলু সকাল সকাল রেডি হয়ে বসে আছে। ওর নয়টায় ক্লাস আছে। কিন্তু জুনায়েদ কিছুতেই বিছানা থেকে উঠছে না। ডাকলে নড়াচড়া করে ঘুরে ফিরে আবারও ঘুমিয়ে যাচ্ছে। নীলু পড়ে গেলো বিপদে। ও আরেক দফায় জুনায়েদকে ডেকে হাল ছেড়ে বেরিয়ে গেলো। ডাইনিং রুমে পারভীন বেগম মনোযোগ দিয়ে পেপার পড়ছিলে। নীলু গম্ভীর হয়ে উনার পাশে বসতে বসতে বলল,

> আম্মা আজকে আর ক্লাস করা হবে না।

পারভীন বেগম পেপারে চোখ রেখেই প্রশ্ন করলেন,

> কেনোরে?

> ভোর থেকে ডাকছি উঠছেই না।আম্মা কি করি বলুনতো?

নীলুর কথা শেষ হতেই সিঁড়ি থেকে শুভ্র উত্তর করলো,

> আমি অফিসে যাচ্ছি চাইলে তুমি আমার সঙ্গে যেতে পারো।

নীরু উত্তর করলো না। পারভীন বেগম উৎসাহ নিয়ে বললেন,

> এটাই ভাবছিলাম। তুমি ওর সঙ্গে চলে যাও। জুনায়েদ উঠলে আমি বলবো।

নীলু আর অমত করতে পারলো না। শুভ্রর সঙ্গে চলে গেলো। নীলু গাড়িতে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্র ওকে আড়চোখে দেখে বলল,

> মানুষ যখন খুব সহজে মুল‍্যবান কিছু পেয়ে যায় তখন তাঁর কদর করতে সে ভূলে যায়। আমার ভাইয়ের বেলাতেও সেটাই হয়েছে। আমার জন্য তোমাকে সাফার করতে হচ্ছে। তখন যদি চলে আসতাম।

নীলুর বেশ অস্বস্তি হচ্ছে শুভ্রের কথা শুনে। লোকটা সম্পর্কে ওর স্বামীর বড় ভাই। তার মুখে এসব শুনতে হবে ভাবতে পারছে না। তাছাড়া তখন যেটা হয়নি বারবার সেটা বলে বিব্রত করার কি মানে? নীলু মলিন হেসে বলল,

> নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের কৌতূহল বেশি। আপনার ভাই আমাকে অপছন্দ করে বলেই উনাকে আমার বেশি ভালোলাগে। উনার সৌন্দর্যের প্রতি কোনো মোহ নেই।

নীলুর কথা শুনে শুভ্রর কথা বন্ধ হয়ে গেলো। ভেবেছিল মেয়েটা বুঝি আক্ষেপ করবে কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। শুভ্র জুনায়েদের থেকে একশত গুণ ভালো। মেধাবী সঙ্গে সুদর্শন। এতদিন ভাবতো ওকে অপছন্দ করে এমন মেয়ে পৃথিবীতে নেই কিন্তু এখন বাড়িতেই আছে। ও চুপচাপ গেটের সামনে গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে দিলো। নামার সময় শুভ্র কিছু বলার আগেই নীলু ছোট করে বলল,

> ভাইয়া আসছি তাহলে। আপনার ভাই আমাকে নিতে আসবে চিন্তা করবেন না।

ও কথাটা শেষ করে হেটে চলে গেলো। শুভ্র দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল,” দুটোই হিটলার”
অন‍্যদিকে জুনায়েদ ঘুম থেকে উঠে আশেপাশে নীলুকে খুঁজলো কিন্তু পেলো না। মেয়েটা গেলো কথায় ভেবে ফোন চেক করে দেখলো সকাল নয়টা বেঁজে গেছে। ভোররাতে ঘুমিয়েছিল তাই এমন লেট হলো। কিন্তু নীলুর ক্লাসের কথা ভেবে ও দ্রুত ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে পারভীন বেগম কাছে জিঞ্জাসা করলো। পারভীন বেগম ঝাড়ি দিয়ে বলে দিলো নীলু শুভ্রর সঙ্গে চলে গেছে। জুনায়েদের ভীষণ রাগ হলো। ক্লাসে একটু লেট হলে কি এমন হয়। ও না খেয়ে বেরিয়ে পড়লো ক্লাসের উদ্দেশ্যে। জুনায়েদ গাড়িতে বসে রেডিও অন করে দিলো। সকাল নয়টার খবর চলছে। স্থানীয় রেডিও স্টেশন থেকে। গতকাল রাতে বুড়িগঙ্গা নদীতে আবারও দুটো লাশ পাওয়া গেছে। সুবাসের মতো হাত দুটো ঝলসে গেছে। কিন্তু রহস্য হচ্ছে এবার সেখানে কোনো বিদ‍্যুৎ লাইন নেই। জুনায়েদ ভ্রু কুচকে রেডিওর চ‍্যানেল পাল্টে দিলো। সকাল সকাল আজগুবি কথাবার্তা শুনতে ওর পছন্দ না। কোথায় মন ভালো করা একটা গান বাজবে। ও বিরক্তি নিয়ে কলেজের সামনে গিয়ে নামলো। নীলুর উপরে বিরক্ত লাগছে। মেয়েটাকে একটা শিক্ষা দিতে মন চাইছে কিন্তু কিভাবে দিবে মাথায় আসছে না। কথাগুলো ভেবে ও এলোমেলো হেটে গেলো ক্লাসের দিকে। অনিক ক্লাসের বাইরে হাটাহাটি করছে। জুনায়েদকে দেখে ও প্রায় ছুটে এসে বলল,

> এতক্ষণে তোর আসার সময় হলো। এদিকে আমার সর্বনাশ হতে চলেছে।

জুনায়েদ ভ্রু কুচকে বলল,

> ভনিতা রেখে কি হয়েছে বলবি?

> গুণে গুণে একুশ বার প্রস্তাব দিয়ে সফল হয়ে গত এক বছর প্রেম করা গার্লফ্রেন্ড আরেকজনের হাত ধরে শিশু পার্ক, নদীর তীরে হাওয়া খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাবতে পারছিস আমি কত টেনশনে আছি?

> ভীষণ ভালো খবর। অনেক আগেই বলেছিলাম ছেড়ে দে শুনলি না। খেলি তো এখন ছ‍্যাকা? বেশ হয়েছে। এই খুশীতে সবাইকে আমি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাবো। সবাইকে খবর দে।

অনিক হতভম্ব হয়ে গেলো। এই ছেলেটা ওর বন্ধু নাকি শত্রু। এতবড় একটা খবরে ওকে কিনা একটু সান্ত্বনা দিবে।মেয়েটাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। জুনায়েদ সবাইকে বলে নীলুর ক্লাসের সামনে এগিয়ে গেলো। ওর সভ‍্যতার ইতিহাস ক্লাস হচ্ছে। জুনায়েদকে দেখে রশিদ স‍্যার এগিয়ে এসে জিঞ্জাসা করলো,

> কি ব‍্যাপার এখানে কি চাই তোমার?

> নীলুকে নিতে এসেছি।

জুনায়েদের কথা শুনে নীলু ভ্রু কুচকে ব‍্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। জুনায়েদ ওকে নিয়ে কিছুদূর আসতেই নীলু অবাক হয়ে জিঞ্জাসা করলো,

> এভাবে ডেকে আনার মানে কী? কিছুক্ষণ আগে এসেছি এর মধ্যেই মনে পড়লো?

> অনিকের গার্লফ্রেন্ড আরেকটা প্রেম করছে এই খুশীতে সবাইকে আমি ট্রিট দিবো। ভাবলাম সবাই যাচ্ছি তোমাকে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না।

নীলু অবাক হয়ে বলল,

> ভাইয়া কষ্ট পাচ্ছেন আর আপনি মজা করছেন?

> মেয়েটা যে ওকে ছেড়ে দিয়েছে এটাইতো অনেক। রিস্ক নিয়ে বিয়ে করলে বিয়ের পর অন‍্য ছেলের সঙ্গে ছেলে মেয়ে রেখে ভেগে যাওয়াটা কি খুব ভালো দেখাতো?

নীলু ভাবনাই পড়ে গেলো। জুনায়েদ তো ঠিকই বলছে। এক মনে যাদের অনেকের বসবাস তার জন্য কষ্ট পাওয়ার সত্যিই দরকার নেই।

(চলবে)

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here