আলোছায়া ৭

0
594

আলোছায়া
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব: ৭

জুনায়েদের রাগকে উপেক্ষা করে পারভীন বেগম নীলুকে নিয়ে ওর সামনে এগিয়ে আসলো। জুনায়েদ একবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে ফেলল। কালো গাউনে আবৃত খোলা চুলে মেয়েটিকে বেশ মানিয়েছে। জুনায়েদ লক্ষ্য করলো মেয়েটার চুলের রঙটা হালকা বাদামি। ওকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে পারভীন বেগম ঝাঝালো কন্ঠে বলল,

> মেয়েদের মতো ঝগড়া কিভাবে শিখেছিস আল্লাহ্ ভালো জানেন। বাইরে গিয়ে ওর সঙ্গে খারাপ ব‍্যবহার করলে কপালে দুঃখ আছে। খুব খারাপ হবে কিন্তু।

ভদ্রমহিলা ছেলের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে খুব শীতল কন্ঠে নীলুকে এটা সেটা বুঝিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়ে গেলেন। জুনায়েদ চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসলো। সারারাস্তা দুজনে চুপচাপ। কিন্তু ভার্সিটির গেটে এসে জুনায়েদ খুব কঠিন মুখে বলল,

> কেউ কিছু বললে আমাকে বলবে। আমি এখানেই পড়াশোনা করি। সবাই তো আর তোমার পরিচয় জানেনা।

নীলু কিছু একটা ভেবে মলিন মুখে বলল,

> লোকজন আমার পরিচয় জানলে আপনার অসুবিধা হবে না?

> সে আমাকেই বুঝতে দাও। ক্লাসে যেতে পারবে নাকি পৌঁছে দিয়ে আসবো।

> আমি পারবো। সামনে বান্ধবীরা অপেক্ষা করছে।

জুনায়েদ আর কথা বাড়ালো না। ওকে নামিয়ে দিয়ে নিজেও ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেলো। আড্ডার জায়গাতে বসতেই একে একে সব ফ্রেন্ডরা চলে আসলো। অনিক সব সময় লেট করে আসে। পড়াশোনার পাশাপাপাশি কাজ করতে হয় ওকে। জুনায়েদ কাজের ধারেকাছেও যায় না। পড়াশোনাতে যে খুব বিখ্যাত তেমনও না। দেখতে বেশ সুদর্শন তবে বদমেজাজি। জুনায়েদের বড় ভাই শুভ্র ওর সম্পূর্ণ বিপরীত। সব দিক থেকেই জুনায়েদকে টপকে যায়। দুভাইয়ের মধ্যে আকাশ সমান দূরুত্ব। জুনায়েদের সেদিকে খেয়াল নেই। বন্ধু বান্ধবী নিয়ে ওর দিন বেশ ভালো যায়। মাঝখানে নীলু এসে ওর জীবনটা বিষাক্ত করে তুলেছে। শুভ্র পরিবারিক ব‍্যবসা দেখাশোনা করে। সে এখন বিশেষ কাজে দেশের বাইরে আছে। সৈয়দ সাহেব বড় ছেলের জন্য নীলুকে পছন্দ করেছিলেন।কিন্তু শুভ্র জানিয়ে দিয়েছে সে এখন বিয়ে করতে চাইছে না। তাছাড়া মেয়ে না দেখে হঠাৎ বিয়ে করাতে তার যথেষ্ট অমত ছিল। ও বলেছিল দুমাস পরে বাড়িতে ফিরে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করবে কিন্তু নীলুর বাবার সময় কম ছিল। সৈয়দ সাহেব বাধ্য হয়ে ছোট ছেলের সঙ্গে নীলুর বিয়েটা দিয়েছেন। জুনায়েদকে উনি হুমকি ধামকি দিয়ে রাজি করিয়ে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন এতো সুন্দর মেয়েকে দেখে ছেলের অপছন্দ হবে না। কিন্তু তেমন কিছুই হলো না। জুনায়েদ গম্ভীর হয়ে বকুল গাছের নিচে বসে আছে। অনিক হাপাতে হাপাতে এসে বলল,

> খুব তো বউকে মানি না মানি না বলিস এখন যে চোখে হারাচ্ছিস তারবেলা?

জুনায়েদ ভ্রু কুকচে বলল,

> মানে কি?

> তোর বউকে দেখলাম ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে আরও দুজন সুন্দরী। সঙ্গে নিয়ে এসেছিস?।

> সঙ্গে এনেছি তবে নিজের জন্য নয়। ওর ক্লাস আছে। প্রথম বর্ষ,ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট।

> বলিস কী? তুই না বলেছিলি পড়াশোনা জানেনা না ক্ষেত?

> ভেবেছিলাম গ্রামের মানুষ এমনিই হয়।

> বেহুদ্দা পুরুষ মানুষ। তোর মাথায় গবর আছে। জানিস না গ্রামেও এখন ভালো স্কুল কলেজ আছে। যাইহোক এবার তো ওকে মেনে নিতে তোর সমস্যা নেই?

জুনায়েদ মুখটা করুণ করে বলল,

> ওর উপরে আমার কোনো অনুভূতি কাজ করে না। দেখলে মেয়ে মেয়ে মনে হয়না। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যে আর্কষণ থাকার কথা সেটা হয়।

অনিক ওর দিকে সন্দেহভাজন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
> তুই কি ছেলেদের প্রতি…

অনিকের কথা শেষ হলো না জুনায়েদ ও পিঠে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। অনিক হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ছে। ওর হাসি থামছেই না। জুনায়েদ রেগে আছে। ভেবেছিল বন্ধুর সহানুভূতি পাবে তা না হয়ে হাসির খোরাক হতে হচ্ছে। মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে গুটি গুটি পায়ে তরুণ এগিয়ে আসলো। ছেলেটার মুখে হাসি নেই। ওকে দেখে জুনায়েদের দ্বিতীয় দফায় রাগ হলো। মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,”বন্ধু হয়ে বন্ধুর বউকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গেছে শালা লুচ্চু।” অরুণ ওদের কাছে এসে তাড়াতাড়ি জুনায়েদের সামনে হাত জোড় করে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল,

> ভাই ক্ষমা করে দে। আমার হিতাহিত জ্ঞান ছিল না। তোর বউ আমার বোনের মতো। ওকে আমি বোনের চোখে দেখবো প্রমিজ।

জুনায়েদ ওর কথায় অবাক হলো। এক দিনের মধ্যেই এর হলো কি ভেবে পেলো না। ও ভ্রু কুচকে অরুণের হাত ধরতে গেলো কিন্তু পারলো না। অরুণ ছিটকে হাত সরিয়ে নিয়ে বলল,

> আমাকে স্পর্শ করিস না প্লিজ। আমি তো বললাম কখনও তোর বউয়ের দিকে তাকাবো না।

জুনায়েদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলো। ও ধমক দিয়ে
বলল,

> পাগলামি ছেড়ে বলবি তোর হয়েছেটা কি?

জুনায়েদের কথায় গলা মিলিয়ে উপস্থিত সবাই জিঞ্জাসা করলো ওর এমন আচরণের কারণ কি। তরুণের ভাষ‍্যমতে,

” গতকাল ও এলোমেলো গাড়ি ছেড়ে বাড়ি ফিরছিল। রাত গভীর ছিল তাই রাস্তায় লোকজন ছিল না। এমন সময় রাস্তায় কয়েকটা মেয়ে ওর পথ আটকে ধরে। অরুণ গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে জিঞ্জাসা করে কি হয়েছে? কিন্তু মেয়েগুলো উত্তর না দিয়ে ওকে উড়াধুড়া মারতে থাকে। একপর্যায়ে ও দৌড়ে পালাতে থাকে। ও দৌড়াতে দৌড়াতে যখন চৌরাস্তায় আসে তখন জুনায়েদ ওর সামনে এসে দাঁড়াই। তরুণ সাহায্যে জন্য জুনায়েদের কাছে অনুরোধ করে কিন্তু ও সাহায্য করার বদলে হুঙ্কার দিতে বলে,

> নীলুকে খুব সস্তা মনে হয় তোর? দেখি কেমন তুই ওর উপযুক্ত।

কথাটা বলেই জুনায়েদ ওর হাত চেপে ধরে। জ্বলন্ত লোহার মতো হাতটা ওর হাত নিমিষেই পুড়িয়ে দিলো। তরুণ চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন ওর জ্ঞান ফিরে আসে তখন ও নিজেকে গাড়ির মধ্যে বাড়ির সামনে আবিষ্কার করে। ডান হাতে মানুষের হাতের ছাপ স্পষ্ট হয়ে আছে। বড় বড় ফোসকা নিয়েছে।

তরুণের কথা শুনে জুনায়েদ বিস্মিত হয়ে বলল,

> তুই ছ‍্যাকা খেয়ে পাগল হয়ে গেছিস। আমি সাধারণ মানুষ কোনো অগ্নি মানব না যে তোর হাত পুড়িয়ে দিবো।

কেউ তরুণকে বিশ্বাস করলো না তবে তরুণের হাতে একটা হাতের ছাপ সত্যিই আছে। বেশিক্ষণ ওদের কথা হলো না ক্লাসের জন্য বেরিয়ে পড়লো। অন‍্যদিকে নীলুর প্রথম ক্লাস। সঙ্গে আছে অনিমা আর তন্নিমা। তিনজন খুব উৎসাহ নিয়ে ক্লাস গুলো শেষ করে বাইরে বেরিয়ে আসলো। ওদেরকে সবাই আড়চোখে দেখছে। মেয়েগুলো সবার থেকে আলাদা। নীলু কম কথা বলে। তবে তন্নিমার মুখ বন্ধ রাখা কষ্টের। প্রথম ক্লাস করতে গিয়ে আবির আর তমার সঙ্গে ওদের বেশ ভাব জমে গেলো। ক্লাস শেষে ওরা গেটের কাছে এগিয়ে যেতেই কয়েকজন ছেলে ওদেরকে থামিয়ে দিল। আবির সালাম দিয়ে জিঞ্জাসা করলো,

> কিছু বলবেন ভাইয়া?

ছেলেগুলার মধ্যে থেকে একজন এগিয়ে এসে বলল,

> সিনিয়ররা জুনিয়রদের কারণ ছাড়াই ডাকতে পারে স্বাভাবিক।

ছেলেটা নীলুর দিকে ভ্র কুচকে বলল,

> তুমি কি বিরক্ত হচ্ছো?

নীলু সরল চোখে তাকিয়ে বলল,

> বিরক্ত হচ্ছি। সবাই ক্লান্ত আছে, কেনো অযথা সময় নষ্ট করছেন?

নীলুর কথায় ছেলেটা জ্বলে উঠলো। রীতিমতো ওকে অপমান করা হয়েছে। ছেলেটা হুঙ্কার দিয়ে নীলুর হাতটা চেপে ধরতে গেলো কিন্তু পারলো না। কোথা থেকে জুনায়েদ দৌড়ে এসে হাজির। ও ভ্রু কুচকে বলে উঠলো,

> ফারাবি তুমি ওদের সঙ্গে কি করছো?

ছেলেটা এবার থতমত খেয়ে অভিযোগের সুরে বলল,

> ভাইয়া দেখুন না এই মেয়েটা আমাকে অপমান করেছে।

জুনায়েদ গম্ভীর কন্ঠে বলল,

> ফারাবি ওটা তোমার ভাবি হয়। আমার ওয়াইফ।

জুনায়েদ কথাটা শেষ করে অপেক্ষা করলো না। নীলুর হাত ধরে টানতে টানতে বাইরে বেরিয়ে আসলো। ছেলেগুলার চোখেমুখে বিস্ময়। জুনায়েদের খারাপ অভ‍্যাস আছে রেগে গেলে হুশ থাকে না। এই জন্য বেশ পরিচিতি আছে সবার কাছে। জুনায়েদ নীলুকে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও উঠে আসলো। তারপর গম্ভীর কন্ঠে বলল,

> পরিচয় জানিয়ে দিলে ওরা আর বিরক্ত করতো না। এখানে সবাই রূপের পাগল। চাঁদের হাট বসালে দর্শক হবে নাতো কি?

জুনায়েদের কথার অর্থ না বুঝে নীলু ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো। জুনায়েদ কিছু বুঝতে পেরে বলল,

> বুঝতে হবে না। আমার ভাইয়া এসেছে। আম্মু ফোন করেছিল।

সারা রাস্তা ওদের আর কথা হলো না। বাড়ির সামনে গাড়ি থামিয়ে জুনায়েদ আগে আগে ভেতরে চলে গেলো। নীলু ওর পেছনে পেছনে ডাইনিং রুমে আসতেই পারভীন বেগম খুব উৎসাহ নিয়ে ওর হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গিয়ে শুভ্রর সামনে গিয়ে বলল,

> এই হচ্ছে আমার নীলু মা। তোকে যার কথা বলেছিলাম।

শুভ্র নীলুর দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। ও ভেবেছিল আম্মা হয়তো বাড়িয়ে বলেছিল কিন্তু মেয়েটা এতোটা সুন্দর ও ভাবতে পারেনি। মনে হলো জীবনে প্রথম ভুলটা বুঝি করেই ফেলেছি। জুনায়েদ দ্রুত গিয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলল,

> অবশেষে ফিরলে। আগে ফিরলে কি এমন ক্ষতি হতো শুনি?

শুভ্র মলিন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলল,

> কাজটা শেষ না করে কিভাবে ফিরতাম। তবে চলে আসা উচিৎ ছিল।

> তুমি থাকলে আমাকে এই বিপদ নিয়ে ঘুরতে হতো না। তুমি বসো আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।

জুনায়েদ ভাইকে ছেড়ে নিজের রুমে চলে গেলো। নীলু এখনো সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে। শুভ্র ওর দিকে তাকিয়ে মাকে বলল,

> জুনায়েদের বিয়ে নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলেছো আম্মু। ও যেমন খামখেয়ালি মেয়েটার লাইফটা নষ্ট না হয়।

পারভীন বেগম হেসে বললেন,

> দূর নষ্ট কেনো হবে! বিয়ে করেছে এখন সব ঠিক হয়ে যাবে। নীলু তুমি উপরে যাও।

নীলু হুকুম পেয়ে অপেক্ষা করলো না। দ্রুত সরে পড়লো। এখানে থাকতে ওর বেশ অস্বস্তি হয়েছে। নীলু রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলো। জুনায়েদ খুব মনোযোগ দিয়ে ল‍্যাপটপে কিছু একটা দেখে বিড়বিড় করে বলল,” বাপবাহ নীল পাথরটার এতো মূল্য। কি আছে এই পাথরে? “জুনায়েদের কথা শেষ হতে না হতেই নীলু প্রায় ছুটে এসে ওর সামনে থেকে ল‍্যাপটপ টা ছিনিয়ে নিয়ে ছবিটা দেখলো। জুনায়েদ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। নীলুর এমন ব‍্যবহারে জুনায়েদ রীতিমত অবাক। পাথর দেখে এমন ভাব করছে মনে হচ্ছে জীবনে এসব কখনও দেখেনি। নীলু ছবিটা দেখে উপরের লেখাটা পড়ে নীল। মূল‍্যবান এই পাথরটা নিখোঁজ রয়েছে। অনেক আগে একজন সাধুর কাছে পাথর টা পাওয়া গিয়েছিল। প্রশাসন সেটার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিলেও পরে আবারও চুরি হয়ে যায়। নীলু কিছুক্ষণ দেখে নিয়ে ল‍্যাপটপ জুনায়েদের দিকে ফিরিয়ে দিয়ে সোফায় গিয়ে বসলো। জুনায়েদ মেয়েটার ক্লান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে জিঞ্জাসা করলো,

> তো মহারানি পাথরটা দেখে কি বুঝলেন।

> কিছুনা। আপনার বন্ধু তরুণের সঙ্গে দেখা হয়েছিল,বেচারা আজ আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছেন। কি করেছেন ওর সঙ্গে?

জুনায়েদ অবাক হয়ে বলল,

> আমি কি করবো? তোমার জন্য ওর মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে। অদ্ভুত কথাবার্তা বলছিল।

> শুধু আপনার মাথাটাই হলো না,আফসোস।

জুনায়েদ ল‍্যাপটপ বন্ধ করতে করতে ভাব নিয়ে বলল,

> এই জুনায়েদ সাইদকে পাগল বানানো সহজ না।

> পিউ আপুর জন্য কি হয়েছিলেন? আচ্ছা উনার খবর কি?

নীলুর কথা শেষ হলো না নিচে চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে গেলো। দুজনেই তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে আসলো। ডাইনিং রুমে পিউ চিৎকার করছে। জুনায়েদ এগিয়ে যেতেই মেয়েটা দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,

> তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। একবারে চলে এসেছি।

জুনায়েদ বেশ অস্বস্তি নিয়ে ওকে ছাড়িয়ে দিলো। পিউয়ের হাতে কাপড়ের ব‍্যাগ।

(চলবে)

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here