#আরোহী
#sharmin_akter_borsha (লেখিকা)
১৫.
গম্ভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে বসে রয়েছে রিয়াজ। তাকে ঘিরে চারপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে কিছু সংখ্যক লোকজন। সামনেই সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে রয়েছে মোস্তফা কামাল তার পাশেই বসে আছে নিশা। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে গুরুগম্বভীর কন্ঠে রিয়াজ বলল, ‘ আমি কোনো ভাবেই ওর কাছে যেতে পারছি না। জানি না ওর কাছে গেলে আমার কি হয়ে যায়? ‘
পেছন থেকে একজন সামনে এসে মাথা নিচু করে করে দাঁড়ালো। রিয়াজ তার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালে সে বলে, ‘ বস! খবর পেয়েছি। আরোহী ম্যাডামের বন্ধুর ছেলে আগামী পরশু ম্যাডামের সাথে দেখা করতে আসবেন। সে এতদিন দেশের বাহিরে ছিলেন কাল দেশে ফিরেছে এবং জানা গেছে কক্সবাজার থেকে সে পরশু ম্যাডামকে দেখতে আসবেন। ‘
রিয়াজ লোকটার কথা শুনে চিন্তায় পরে যায়। সে এসে গেলে তো রিয়াজের সব প্লান চপাট হয়ে যাবে। কোনো ভাবেই নিজের আসল পরিচয় আরোহীর সামনে আসতে দেবে না রিয়াজ।
ভ্রু কুঁচকে নিশা ও মোস্তফার দিকে তাকালো তারা ভয়ে ঢোক গিললো। রিয়াজ ধমক দিয়ে বলল, ‘ যাও সবাই আমার সামনে থেকে নয়তো একেকটা কে এখানেই শেষ করে ফেলবো। ‘
এক এক করে সকলে রুম ছেড়ে বের হয়ে যায়। কিয়ৎক্ষণ একা বসে থেকেই অট্টহাসি তে মেতে উঠ রিয়াজ।
.
.
.
সন্ধ্যা হলে দুই হাত ভর্তি ফুল নিয়ে বাড়ি ফিরে রিয়াজ। ডেসিন টেবিলের সামনে টি টেবিলে বসে চুলে চিরুনি করছে আরোহী। আয়না তে রিয়াজের প্রতিবিম্ব দেখে পেছনে ঘুরে তাকায়। রিয়াজ আরোহীর সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে ফুলের তোড়া ওর দিকে বাড়িয়ে দিলো। আরোহী ফুল দেখে খুশি হয়। এক গাল হেসে তোড়া টা হাতে নেয়। পেছন দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে কানে কানে বলে, ‘ তোমাকে নিয়ে আজ তোমার সব থেকে প্রিয় জায়গাতে যাবো। যাবে সেথায়? ‘
আরোহী ক্ষীণকন্ঠে সুধালো, ‘ কোথায়? ‘
রিয়াজ বলল, ‘ তোমার অতি প্রিয় ফার্ম হাউসে ‘
আরোহী উপর নিচ মাথা দুলিয়ে বলল, ‘ হ্যাঁ যাবো। ‘
রিয়াজ তারা দিয়ে বলল, ‘ তাহলে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নাও। ‘
আরোহী হম্বিতম্বি করে বলল, ‘ এখন? এই সন্ধ্যে বেলা? ‘
রিয়াজ হেসে আরোহীর দুই গাল চেপে ধরে বলল, ‘ আমি আমার বউকে নিয়ে যাচ্ছি সন্ধ্যে হোক বা সকাল তাতে কার কি যায় আসে শুনি। ‘
আরোহী সরু কন্ঠে বলল, ‘ আচ্ছা ঠিক আছে। ‘
দু’জনে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরে। আরোহীর শুধু মনে হচ্ছে গাড়ির মধ্যে ওরা দু’জন ব্যতিত তৃতীয় কেউ রয়েছে। কে সে? তবে কি আরাফ?
.
.
.
চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে তারা ফার্ম হাউসে চলে আসে। আরোহী অবাকের চরম লেভেলে পৌঁছে যায়। হাউজে প্রবেশ করতেই। শুরুতে সবদিক অন্ধকার ছিলো। অন্ধকারেই পা টিপে টিপে উপরের রুমে দু’জনে চলে যায়। রুমের দরজা খুলতেই আরোহী বিস্মিত হয়ে যায়। পুরো রুমে শুধু সাদার ছড়াছড়ি। সাদা রঙের পর্দা, চাদর, বালিশের কভার। তাছাড়া সাদা রঙের ফুল রুম ঘিরে ফুলদানি সাজিয়ে রাখা। বিছানার উপর লাল গোলাপের পাপড়ি দিয়ে লাভ হার্ট বানানো। রুমের লাইট অফ রুমের মধ্যে অধিক মোমবাতি জ্বলছে। মোমবাতির আলোয় রুম আলোকিত হয়ে আছে। আরোহীর ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠে। সে রিয়াজের দিকে তাকায়। রিয়াজ আরোহীর দিকে তাকিয়ে তৃপ্তিময় হাসি দেয়। রাত প্রায় দশটার মতো ভেজে গেছে এখানে আসার সময় রাস্তায় দু’জনে ভরপেট খেয়ে এসেছে। রিয়াজ এক পা দু পা করে আরোহীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরোহী জামা খাবলে ধরে স্তব্ধ দাঁড়িয়ে রয়েছে। জানালা খোলা থাকায় বাহিরের উতালপাতাল বাতাস জানালা দিয়ে প্রবেশ করে সব গুলো মোমবাতি নিভিয়ে দিলো। অন্ধকারে আরোহী চারপাশে চোখ বুলাচ্ছে। রিয়াজ আরোহীর হাত শক্ত করে ধরলো। রুমের এক কোণায় গিয়ে আরোহীর চোখ স্থির হয়ে গেলো। বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর তার মস্তিক তাকে জানান দিচ্ছে, ওখানে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। আরোহী চোখজোড়া বড়সড় করে তাকানোর পরপরই রিয়াজ ‘ আহহ ‘ করে একটা শব্দ করল। আরোহী রিয়াজের হাত ধরার আগেই রিয়াজ মাটিতে পরে গেলো। আরোহী মাথা তুলে সামনে সেই জায়গা টায় তাকালে আর কোনো ছায়া দেখতে পেলো না। রিয়াজের হাত ধরে তাকে টেনে তুলতে যাবে তখনই আরোহীর কানে কানে কেউ রাগী গলায় বলল, ‘ এখানে ওর সাথে একা এসেছো কাজটা মোটেও ঠিক করোনি। ‘
আরোহীর চোখ দিয়ে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পরে ঠোঁট দ্বারা ঠোঁট জোড়া একটু ভিজিয়ে ভেজা কন্ঠে বলে উঠে, ‘ আরাফ? ‘
আরোহী রিয়াজ কে ফ্লোর থেকে তোলার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। তাই বিছানা থেকে একটা বালিশ এনে তার মাথার নিচে রেখে দেয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই রিয়াজ উন্মাদের মতো বিছানার উপরের ফুলগুলো সব এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়। আরোহী তখন রান্না করছিলো রিয়াজের জন্য এদিকে রিয়াজ। গত কাল রাত সরণীয় করে রাখার জন্য কত কি প্লান করেছিলো। কত কিছু আয়োজন করেছিলো সব নষ্ট হলো। চোখজোড়া লাল রক্তের মতো হয়ে আছে৷ রিয়াজ বিরবির করে বলে, ‘ নিশ্চয়ই ওর সাথে এমন কিছু আছে যা আমাকে ওর কাছে যেতে বাধা দিচ্ছে। ঠিক আছে কোনো ব্যাপার নয়। অনেক হয়েছে আর নয় আজই সব কিছুর শেষ দেখতে চাই আমি। ‘
রিয়াজ এখানে আরোহী কে নিয়ে আসার আগে সব প্লান প্রোগ্রাম করে এসেছে। এখানে এসেছে দু’জন কিন্তু যাবে একা। রান্না শেষ করে আরোহী রুমের দিকেই আসছে তখন রিয়াজ সিঁড়ি দিয়ে নামছে। আরোহী রিয়াজ কে দেখে থেমে যায়। রিয়াজ আরোহীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে, ‘ অফিসে ইমার্জেন্সি কিছু কাজ পরে গেছে। আমাকে যেতেই হবে। অপেক্ষা কোরো না। আমি সন্ধ্যার আগে ফিরে আসবো। ‘
আরোহী সম্মতি দিলে রিয়াজ বের হয়ে পরে।
রান্নার জন্য কিছু সবজি প্রয়োজন এবং আরও অনেক কিছুই প্রয়োজন যা কিচেনে নাই। আরোহী একটা লিস্ট তৈরি করে বাড়ির মালি কে দিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দেয়। একা একা কিচেনে দাঁড়িয়ে রান্না করছে আরোহী। পেছন থেকে এক ঠান্ডা বাতাস এসে গায়ে লাগে আরোহীর। বাতাস টা বরফের মতো ঠান্ডা ছিলো। পেছনে ঘুরে তাকানোর আগেই আরোহী আবারও আরাফের উপস্থিত অনুভব করতে লাগল। আরোহীর হার্টবিট তীব্র গতিতে বিট হচ্ছে। যা আরোহীর কান অব্ধি পৌঁছাচ্ছে।
আরোহী শুনতে পেলো আরাফ জেনো বলছে, ‘ আমি আছি আরু কিচ্ছু হতে দেবো না তোমার। ‘
.
.
.
অফিসের ভেতরে রিয়াজ সকলের সামনে দিয়ে প্রবেশ করে নিজের চেম্বারে চলে যায়। অফিসের পেছনের দরজা দিয়ে একজন সামান্য কর্ম চারীর পোশাক পরে বেরিয়ে পরে। সকলে রিয়াজকে অফিসে ঢুকতে তো দেখেছে কিন্তু বের হতে দেখেনি।
চার ঘন্টা হয়ে গেছে এখনো রিয়াজ বাড়ি ফিরেনি। বাহিরে মালি একা দাঁড়িয়ে আছে। একজন লোক এসে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে বলে তাকে তার সঙ্গে নিয়ে যায়।
কিচেন থেকে বেরিয়ে রুমের দিকে হাঁটা দেয় আরোহী। তার মনে হচ্ছে পেছন পেছন কেউ আসছে। কোনো কিছু চিন্তা না করেই আরোহী হুট করে পেছনে ফিরে তাকালো। পেছনে তাকিয়েই পাঁচ টা ছায়া দেখে ভয়ে চিৎকার দিলো আরোহী। চিৎকার দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে উঠে যাচ্ছে।
তারাও আরোহীর পেছন পেছন দৌঁড় দিলো। উপরের রুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকাতে যাবে তখন চারজন একসাথে দরজায় লাথি মারল। আরোহী ছিটকে মাটিতে পরে গেলো। তারা রুমের মধ্যে প্রবেশ করেই অট্টহাসি দেয়। আরোহী একসাথে চার পাঁচ লোক দেখে কান্না করে দেয়। হাত জোর করে তাদের থেকে মুক্তি চায়। তারা কোনো কথা না বলেই আরোহীর চুলের মুঠি ধরে টেনে রুম থেকে বের করে নিয়ে আসে। সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে হল রুমে নিয়ে আসল। আরোহী পাঁচজনের পা ধরেই কান্না করছে। বারবার তাকে ছেড়ে দিতে বলছে বিনিময় যত টাকা তাদের চাই আরোহী দিবে। কিন্তু তাদের কান অব্ধি জেনো আরোহীর কোনো কথাই পৌঁছাচ্ছে না। তারা আরোহীকে একটা চেয়ারের সাথে শক্ত রশি দিয়ে বেঁধে দিলো। আরোহীর কান্নার গতি বেড়েই চলেছে। ফার্ম হাউসের আশেপাশে কোনো বাসা নেই। আর না এদিকে তেমন মানুষের চলাচল রয়েছে। দূর দিগন্তের দৃশ্য অপরূপ সুন্দর। তাই এখানে ফার্ম হাউস তৈরি করে ছিলেন আরমান খান। আজ তার বানানো ফার্ম হাউসে তারই মেয়ে মৃত্যুর সাথে লড়াই করবে।
আরোহী সকলের উদ্দেশ্য বলল, “ আপনারা আমাকে চেয়ারের সাথে বেধেছেন কেনো? ”
পেছন থেকে চেনা একজনের কন্ঠ ভেসে আসলো সে বলল, ‘ আমি বলেছি বেইবি! ‘
আরোহী পেছনে ঘুরে তাকাতে পারছে না কিন্তু ভয়েসটা যে আরোহীর খুব চেনা কারণ সে যে তার স্বামী রিয়াজের কন্ঠ রিয়াজ এক পা দু পা করে আরোহীর সামনে এলো আর একটা ডেভিল হাসি দিলো
আরোহী অশ্রু সিক্ত নয়নে রিয়াজের দিকে তাকালো।
রিয়াজ আরোহীর দুইগালে শক্ত করে চেপে ধরে বলল, ‘ সৌন্দর্যের অধিকারীনি তুমি কিন্তু আফসোস তোমার সৌন্দর্য আমি ভোগ করতে পারলাম৷ না। তার আগেই তোমাকে মেরে ফেলতে হচ্ছে। জানো তো, আমার তোমাকে প্রথম দিন দেখেই ভালো লেগে গিয়েছিল তাই চেয়েছিলাম তোমাকে কাছে পাওয়ার সেজন্যই তো শত তর্জাব করে তোমাকে বিয়ে করেছি। কিন্তু সালা আমার কপাল টাই খারাপ আস্তা ******** মার্কা কিস্মত আমার। তোমার সাথে রোজ রাতে এক বেডে থেকেও তোমাকে ছুঁতে পারিনি। মরেই তো যাবে, মরার আগে একটা সত্য কথা শুনবে কি? ‘
আরোহীর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে রিয়াজের কথা গুলো রিয়াজ বলল, ‘ আমি তোমার বাবার বন্ধুর ছেলে নই। আমি তোমার ফুপার ভাইয়ের ছেলে। আর এই মরন খেলার মাস্টারমাইন্ড আমি। আমিই প্লান করেছি সব আমার প্লান অনুযায়ী সব কিছু ঘটেছে। সব করেছি তোমার বাবার কোটি কোটি সম্পত্তির জন্য, আমিই প্লান করে তোমার বাবাকে মেরেছি। গাড়ি ব্রেক ফেইল করে। তাছাড়া তোমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু আরাফ তাকেও আমি খু’ন করে মেরেছি। আমি রিয়াজ আলমাজ সব কিছু খুব প্লান করে করেছি। এমন ভাবে গুছিয়ে করেছি সবাই সবটা ভেবেছে এক্সিডেন্ট। ভেবেছিলাম তোমাকে একবার বেডে নেওয়ার পর তোমাকেও মেরে ফেলবো কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি বুঝতে পারছি, তোমাকে রক্ষা করছে একটা অদৃশ্য কিছু যার জন্য এতদিনেও তোমার কাছে আমি যেতে পারিনি। জানো বেইবি, তুমি মরে গেলে তোমাকে খুব মিস করবো। আফসোস একটাই চিরজীবন থেকে যাবে তোমাকে কখনো নিজের করে পাইনি। ‘
হতাশাজনক দীর্ঘশ্বাস ফেলে কথাগুলো বলল রিয়াজ। কারেন্টে শকট খাওয়ার পরের যে রকম দষা হয় তেমন হয়েছে আরোহীর অবস্থা। চোখ দিয়ে নোনাজল গড়িয়ে পরছে।আরোহী আমতাআমতা করে বলল, ‘ শুধু সামান্য টাকার জন্য আমার জীবন থেকে সব কিছু কেঁড়ে নিয়েছো? ‘
প্রত্যত্তরে রিয়াজ পৈশাচিক হাসি দিলো। পেছন থেকে একটা মেয়ে এসে রিয়াজকে জড়িয়ে ধরলো পরিচয় দিলো সে রিয়াজের গার্লফ্রেন্ড। আরোহীর কান্নার সীমা নেই। তার কানে শুধু আরাফের কথা বাজছে, যে কোনো পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ো না আমি আছি। ‘
আরোহী শব্দ করে কান্না করে দেয়। চিৎকার দিয়ে ‘ আরাফ ‘ কে ডাকতে ইচ্ছে।
রিয়াজ ইশারা করতেই কয়েকজন কেরোসিন ঢেলে দিলো হল রুমের মধ্যে রিয়াজ ম্যাচে আগুন লাগিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে ফেলল। চারদিকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। রিয়াজ ও বাকিরা হাসতে হাসতে বের হয়ে চলে যায়। রিয়াজের সকলের আড়ালে পেছনের গেইট দিয়ে আবারও অফিসে ঢুকে পরে।
পুরো ফার্ম হাউস আগুনে জ্বলছে। মালি এসে আগুন জ্বলছে দেখে চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাকতে থাকে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কল দেয়। হাউসের মধ্যে আগুনের ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে আছে সব জায়গায় আরোহী সমানতালে কেশে যাচ্ছে। ক্লান্ত শরীর ঢুলে পরেছে চেয়ারের সাথে নিজের মৃত্যু দেখছে চোখের সামনে। তখনই পাশ থেকে কেউ একজন বলল, ‘ ভয় পাচ্ছো? ‘
আরোহী মাথা তুলে পাশে তাকালো পিটপিট করে তাকিয়ে আছে আবছা আবছা দেখছে সে। ভালো মতো তাকালে আরোহী স্পষ্ট আরাফকে দেখতে পেলো। আরাফ আবারও বলল, ‘ আমি আছি তো তোমার কিচ্ছু হবে না। ‘
চলবে?