আপনিময় বিরহ পর্ব ২

0
719

#আপনিময়_বিরহ (০২)
#বোরহানা_আক্তার_রেশমী
__________

এলোমেলো পায়ে হসপিটালের কড়িডোর দিয়ে ছুটে আসে অনিমা। শাড়ির আঁচল মাটিতে গড়াগড়ি করছে। চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি ঝরছে। হসপিটালে থাকা সবাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। পেছনেই শিশিরও ধীর পায়ে হেঁটে আসছে। শরীরের ভার আজ তার বড্ড বেশি মনে হচ্ছে। অনিমা ছুটে এসে তনিমাকে ধরে ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে,

‘প্রিয়ু কোথায় তনু? ‘ও’ কেমন আছে এখন?’

তনিমা কিছু বলতে যাবে তার আগেই উদয় এসে অনিমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ঠা’স করে থা’প্প’ড় বসিয়ে দেয় গালে। অনিমা কান্না বন্ধ করে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে। শিশির ছুটে এসে অনিমাকে ধরে। উদয় মুহূর্তেই হিংস্র রূপ ধারণ করে৷ তাঁরা বেগম ছুটে এসে ছেলেকে সরায়। সে তো মা, সে যে সবাইকে সমান ভালোবাসে। অনি আর তনি তার মেয়ে না হলেও সে কখনো নিজের মেয়ে নয় এমন ভাবেনি। অনিমাকে কোনো কিছু না বললেও সে চায় না তার ছেলে মেয়ের কোনো রকম উগ্র আচরণ। তাঁরা বেগম নিজেকে সামলিয়ে কঠোর গলায় বললেন,

‘এট কেমন ব্যবহার উদয়? তুমি ওকে থা’প্প’ড় মা’রলে কেন?’

‘ ‘ও’ কোন সাহসে এখানে এসেছে? আমার বোন ম’রে গেছে কি না তা দেখতে! আজ একমাত্র ওর স্বার্থপরতার জন্য আমার ছোট্ট বোনটা মৃ’ত্যুর সাথে লড়াই করছে।’

‘ভাইয়া!’

অনিমার কাতর কন্ঠও যেন উদয়ের মন ছুঁতে পারে না। রাগে অন্য দিকে চেয়ে থাকে। শিশির নরম গলায় বলে, ‘উদয় অনি শুধু প্রিয়তাকে একটু দেখতে এসেছে, প্লিজ তুমি…

আর কিছু বলার আগেই তেড়ে আসে উদয়। সাথে সাথে তাঁরা বেগম উদয় কে ঠা’স করে থা’প্প’ড় বসায়। রেগে বলে,

‘ছোট বোনের হাজবেন্ড কে মা’রতে যাচ্ছো? এই শিক্ষা দিয়েছি তোমাকে? তোমাার এক বোন ওদিকে মৃ’ত্যুর সাথে লড়ছে আর তুমি আরেক বোনকেও মে’রে ফেলতে চাচ্ছো! হিতাহিত জ্ঞান কি হারিয়ে গেছে তোমার?’

তাঁরা বেগমের কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। এই মহিলা এতো ভালো কেন? নিজের মেয়ের এই অবস্থা যাদের জন্য তাদের এখনো সেইভ করছে! উদয় রেগে দেয়ালে আঘাত করে চলে যায় অন্যদিকে। তাঁরা বেগম চোখ মুছে শক্ত হয়ে দাঁড়ায়। অনিমা নিজেও এতক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো তার বড় আম্মুর দিকে। এতো কিছুর পরও তাকে একটাও কড়া কথা শোনায়নি শুধু এই একটাই মানুষ। অনিমা কাঁদতে কাঁদতে তাঁরা বেগমের কাছে এসে বলে,

‘বড় আম্মু প্লিজ একবার প্রিয়ুকে দেখতে দাও, তাহলেই আমি চলে যাবো।’

তাঁরা বেগম কঠোর গলায় বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি দেখা করতে পারো শুধু তোমার কাছে একটাই অনুরোধ আমার মেয়েটা কে উত্তেজিত করো না কোনো ভাবে।’

অনিমা মাথা নাড়ায়। শিশির ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে এক কোণে। মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন, রাগ, ক্ষোভ তবুও সব মুখ বুঝে সহ্য করে নিচ্ছে। সবার এখন একটাই অপেক্ষা কখন প্রিয়তার সেন্স ফিরবে। প্রিয়তা তখনো অপারেশন থিয়েটারে। অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তক্ষরণ হওয়ায় শরীর হিম শীতল হয়ে গেছিলো। ভাগ্যিস সময়মতো দরজা ভেঙে রুমে ঢুকেছিলো সবাই।

দীর্ঘ ১০ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে প্রিয়তার। জ্ঞান ফিরার পরও কারো সাথে একটা টু শব্দ অবদি করে নি। অনিমা কেবিনে আসার সাহস জোগাড় করতে না পেরে এতক্ষণ বাহিরেই ছিলো, অনেক কষ্টে সাহস নিয়ে সে প্রিয়তার কেবিনে যায়। প্রিয়তা তখনো নির্বাক, নিষ্প্রাণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে উপরে চলতে থাকা সিলিং ফ্যানের দিকে। অনিমা ঢোক গিলে ডাকে,

‘প্রিয়ু!’

প্রিয়তা চোখ নামিয়ে ঘাড় কাত করে তাকায়। অনিমাকে বসে থাকতে দেখে ঠোঁট এলিয়ে হাসে। আলগোছে উঠে বসার চেষ্টা করলে অনিমা তাকে ধরে বসায়। প্রিয়তার ঠোঁটে হাসি দেখে হুট করেই ভয় পায়। তাঁরা বেগমও আসে কেবিনে। প্রিয়তা লাজুক হেঁসে অনির দিকে তাকিয়ে বলে,

‘শিশির ভাই আসেনি অনু আপু?’

কথাটা যেন হৃদয় গহ্বরে গিয়ে আঘাত করে অনিমার। তাঁরা বেগমও অজানা আশাঙ্কায় এগিয়ে আসে। শুকনো ঢোক গিলে মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলে,

‘তুমি এসব কি জিজ্ঞেস করছো প্রিয়তা? শিশির কেন আসবে? তুমি কি সব ভুলে গেছো?’

মুহুর্তেই চোখ মুখ হিংস্র হয়ে উঠে প্রিয়তার। হাত থেকে একটানে সুচ খুলে ফেলে। টপটপ করে রক্ত পড়তে থাকে তা থেকে। ভয়ে মেয়ের হাত চেপে ধরে তাঁরা বেগম। অনিমা দুকদম এগিয়ে আসতে নিলেই হিংস্র কন্ঠে চেচিয়ে বলে,

‘ও এখানে কি করছে? ওই বেইমান টা আসেনি? মরে গেছি কি না দেখতে এসেছো? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা কি আরো দেবে? আর কতো টা কষ্ট দেবে তোমরা? মরার আগে অন্তত একটু শান্তিমতো মরতে দাও। বেড়িয়ে যাও, বেড়িয়ে যাও।’

পাগলের মতো চেঁচাতে থাকে প্রিয়তা। নার্স অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে এসে শান্ত করার চেষ্টা করে। প্রিয়তার শরীর দুর্বল হওয়ায় অল্পতেই ফের জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অনিমা কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যায়। তাঁরা বেগম আঁচলে মুখ গুজে কেঁদে ফেলে। তার দুই মেয়ের মাঝে এ কোন দেয়াল উঠে গেলো? এই দুইজন তো ছিলো একে অন্যের প্রাণ অথচ আজ একজন অন্যজনের প্রাণপুরুষ কেড়ে নিয়েছে আর অন্যজন তাকে দেখলেই দুর দুর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে।

বাইরে থেকে এক পলক প্রিয়তাকে দেখে শিশিরও হসপিটাল ত্যাগ করে। অনিমাকে সাথে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। অনিমা এসেই ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শাওয়ার ছেড়ে কাঁদছে। শিশির শুধু সেদিকে তাকিয়ে আছে। আজ আর তার কিছু করার নেই। সব তো সে নিজে হাতে শেষ করে দিয়েছে। কয়েকজনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে তিনটে জিবন। এখানে আসার পর থেকেই সে দেখছে অনিমা, তনিমা আর প্রিয়তাকে। প্রিয়তা বড্ড চঞ্চল প্রকৃতির, উড়নচন্ডি যাকে বলে। তবে লজ্জার আভা সবসময়ই বেশি। অনিমা শান্ত প্রকৃতির, ভীষণ বই প্রেমী। অথচ এই দুই মেরুর দুই রকমের মানুষের সে কি দারুণ মিল। একে অন্যকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। তনিমা দুষ্টু, ঠোঁট কাটা স্বভাবের। যখন তখন যা তা বলে দেয়। ৩ বোনের গলায় গলায় মিল। কতোবার যে সবার সামনেই তার আর প্রিয়তার ব্যান্ড বাজিয়েছে তার ঠিক ঠিকানা নেই। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে শিশির। উঠে গিয়ে অনিমাকে ডাকে। অনিমার সাড়া না পেয়ে ভয় পায়। জোড়ে জোড়ে ডাকতে থাাকে অনিমাকে। এক সময় ক্লান্ত গলায় ছোট্ট করে অনিমা জবাব দিয়ে দরজা খুলে দেয়। শিশির এগিয়ে আসে অনিমার দিকে। অনিমা পলকহীন চেয়ে রয় তার দিকে। হুট করেই শিশিরের পায়ের কাছে বসে পড়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলে,

‘আপনার পায়ে পড়ি শিশির ভাই আমার বোনটা কে বাঁচান। সে যে আপনি ছাড়া মরে যাবে। দয়া করেন আমাদের ওপর, আমাার ছোট্ট বোনটার সর্বস্ব জুড়ে শুধু যে আপনার বাস সে তো পারছে না এই ধাক্কা সামলাতে। তাকে রেহাই দিন আপনিময় বিরহ থেকে। আমি চলে যাবো আপনার জিবন থেকে শুধু আপনি প্রিয়তাকে ফের নিজের করে নিন।’

_______

গভীর রাত, তাঁরা বেগম প্রিয়তার কেবিনে মাথা ঠেকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। তনিমাও ঘুমিয়ে আছে। শুধু ঘুম নেই সদ্য এক হৃদয় ভাঙা কিশোরীর। এক প্রেমিক পুরুষ কিছুটা সময়ের ব্যবধানেই তার সব চাঞ্চল্য, সব অনুভূতি, সব আনন্দ কেড়ে নিয়ে গেছে। দিয়ে গেছে এক আকাশ সম বিশাল বিরহ, বিষাদ আর তিক্ততা। অনুভূতিহীন জড় বস্তুর ন্যায় শুধু বেঁচেই আছে সে। অথচ ভেতর থেকে যেন আস্ত এক জীবিত লাশ। আমাদের শহরে তো কতো শতো এমন জীবন্ত, অনুভূতিহীন নারীরা বেঁচে আছে। আচ্ছা বেঁচে থাকাটা কি খুব জরুরী? মরে গেলে কি খুব ক্ষতি হয়? যেখানে তারা অনুভূতিহীন সেখানে বাঁচবে কার জন্য? এর চেয়ে তো মৃত্যুই শ্রেয়। মুহুর্তেই মস্তিষ্ক কড়া প্রতিবাদ জানায় প্রিয়তার। ক্ষেপে উঠে যেন বলে,

‘কে বলেছে মৃত্যুই শ্রেয়? মৃত্যুই সব কিছুর সমাধান নয়। বাঁচতে হলে এমন শতো বার মরতে হবে। শতো বার বেরঙ অনুভূতি গিলতে হবে তাই বলে মরে গেলে জীবনের আনন্দ কই! জীবন তো কেবল আমাদের নিয়ে প্রচন্ড মজা করে খেলতে ভালোবাসে তাই বলে আমরা মৃত্যুর পথ কেন বেছে নিবো? আর কার জন্য বাঁচবে মানে কি? যারা জন্ম দিলো, ছোট থেকে বড় করলো, স্নেহ-ভালোবাসা দিলো, বুকে আগলে বড় করলো তাদের ভালোবাসা কি জিবনে কিছুই নয়? তাদের ১৮ বছরের ভালোবাসা কি এই ২ বছরের ভালোবাসার চেয়ে অনেক ছোট? কেন তাদের জন্য বাঁচলে কি খুব ক্ষতি হবে? তোমার কি অধিকার আছে তাদের থেকে তাদের আদরের মেয়েকে কেড়ে নেওয়ার! যারা তোমাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিলো তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দাও তুমি ভেঙ্গে যাওনি, দ্বিগুণ শক্ত হয়েছো। জীবন মানেই তো যুদ্ধ কথাটা কি তোমার অজানা?’

প্রিয়তা মস্তিষ্কের কথা গুলো নিজে নিজে কয়েক বার আওড়ালো। মায়ের মুখের দিকে তাকালো। ইসস কি মায়ায় ভরা মায়ের মুখ! এই মায়ের জন্য, ভাইয়ার জন্য আর তার প্রাণপ্রিয় বাবার জন্য বাঁচবে। একটা বেইমানের জন্য সে কেনো মরবে? সে বাঁচবে। ভালো থাকবে। চোখের কার্নিশ বেয়ে জল গড়াতেই কারো হাতের উষ্ণ ছোয়া পায় প্রিয়তা। চোখ মেলে সেদিকে তাকাতেই দেখে তার মা তাকিয়ে আছে তার দিকে। প্রিয়তার চোখ ছলছল করে উঠে। ভাঙা গলায় বলে,

‘সরি আম্মু৷ আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে।’

তাঁরা বেগম মুচকি হেঁসে প্রিয়তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, ‘আমার বুঝদার মেয়েটা এমন অবুঝের মতো করবে আমি কিন্তু ভাবতে পারিনি। অবশ্য তার আর কি দোষ? প্রণয়ের বিরহে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলো৷ তবে মা এতো সহজে ভেঙে পড়লে হবে? আচ্ছা বলো আমাদের থেকেও কি তোমার কাছে শিশির বেশি? আমাদের জন্য বাঁচা কি তোমার দায়? তবে কি আমাদের দেওয়া ১৮ বছরের ভালোবাসা তোমার কাছে তু্চ্ছ?’

প্রিয়তা মাথা নাড়িয়ে বলে, ‘না। তোমরাই আমার সব। আমি তোমাদের জন্য বাঁচবো আম্মু। শিশির ভাই আর অনু আপু ভালো থাকুক। ওরা সুখী হোক অনেক।’

প্রিয়তা শব্দ করে কেঁদে দেয়। তাঁরা বেগম মেয়েকে বুকে আগলে নেন। তার কলিজার টুকরা ছেলে মেয়ে। এভাবে কষ্ট পাচ্ছে আর সে কিছু করতে পারছে না। তবে প্রিয়তা যে বুঝেছে এটাই অনেক। হয়তো নিজেকে সামলাতে সময় লাগবে তবুও ভুল পদক্ষেপ আর নিবে না। এমন ভাবে যদি সবাই বুঝতো তবে হয়তো এ সমাজে আত্মহত্যার চিহ্ন থাকতো না। তাঁরা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে থাকে।

___________

রাতের গভীরতা বেড়ে চললেও ঘুম নেই অনিমা আর শিশিরের চোখে। অনিমা জানালার সাথে হেলান দিয়ে বসে বাহিরে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। আর শিশির ছাঁদে গেছে। প্রিয়তার মতো এই দুজনেরও হয়তো আজ বিরহের রাত। অথচ বিয়ের রাতকে সবাই বাসর রাত বলে। অনিমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। শাড়ি ঠিক করে হাঁটা লাগায় ছাঁদের উদ্দেশ্যে। ছাঁদের এক কোণে একজন পুরুষ অবয়ব দেখে সেদিকে এগিয়ে যায়। পাশে দাড়াতেই শিশির ঘুরে তাকায়। অনিমাকে দেখে চোখ ঘুরিয়ে আবার সামনে তাকায়। অনিমা ছোট একটা শ্বাস ফেলে বলে,

‘আপনি কিন্তু তখন উত্তর না দিয়েই বেড়িয়ে এসেছেন।’

‘কিসের উত্তর?’

‘প্রিয়ুকে নিজের কাছে ফেরাবেন না?’

‘সম্ভব না। তাছাড়া এখন আমি বিবাহিত।’

‘বিয়েটা মন থেকে আপনিও মানেন না আমিও মানি না। তবে কিসের বিয়ে? জোড় করে বিয়ে করেছেন। যার কোনো ভ্যালু নাই। প্রিয়ু আপনাকে ভীষণ ভালোবাসে ওকে ফিরিয়ে নিন নিজের জীবনে।’

মুহুর্তেই যেন রেগে যায় শিশির। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে চোয়াল শক্ত করে বলে, ‘সেইটা সম্ভব হলে তোমাকে বিয়ে করতে হতো না আমার।’

গটগট শব্দ তুলে চলে যায়। নিষ্পলক সেদিকে তাকিয়ে অনিমা আস্তে করে বলে, ‘একদিন আপনি প্রিয়ুকেও হারাবেন আমাকেও হারাবেন শিশির ভাই। অবহেলা খুব খারাপ। আমি চাই না আপনি আমাকে ভালোবাসুন আপনি আমার বোনটাকে আজীবন ভালোবেসে যান। আমি মুক্তি দিয়ে যাবো আপনাকে।’

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here