অ‍্যাসিড পর্ব-৮

0
309

#অ্যাসিড নাফীছাহ ইফফাত পর্ব ৮ ‘নির্ভীককে তুমি কিছু বলো না কেন আঙ্কেল? সারাক্ষণ ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়ালেই কি ও সাকসেসফুল ফিউচারের দেখা পাবে?’ দুপুরে বাড়িতে ঢুকেই নির্ভীক সানজুর কন্ঠ শুনতে পায়। দ্রুত ড্রইংরুমে পা রাখে ও। সানজু হোসাইনুল আলমের সাথে কথা বলছে। হোসাইনুল আলম সানজুর কথায় সায় দিয়ে বলেন, ‘আমি কি ওকে কম বুঝিয়েছি? ও তো বুঝতেই চায় না। ওর মন সারাক্ষণ ঐ ক্যামেরাতেই থাকে।’ সানজু কিছু বলতে গিয়ে নির্ভীককে দেখে সুর পাল্টে বলে, ‘এই যে নির্ভীক, এসেছো তুমি? তোমার কথাই বলছিলাম আঙ্কেলকে। তুমি কি বলতো? পড়াশোনার পাশাপাশি আঙ্কেলকে টুকটাক হেল্প করলেও তো পারো।’ নির্ভীক শান্ত ভঙ্গিতে সবটা হজম করে নিলো। কন্ঠ অত্যন্ত মোলায়েম করে বললো, ‘তোমার কি লজ্জা-শরম কিছুই নেই সানজু? সকালে ভার্সিটিতে এতবড় একটা ঘটনা ঘটিয়ে আবার আমার বাড়িতে এসেছো? লজ্জা করে না তোমার?’ সানজু অপমানে লাল হয়ে মন খারাপের ভান করে বললো, ‘দেখেছো আঙ্কেল? ওকে ভালো কিছু বলতে গেলেই আমি খারাপ হয়ে যাই। ও সবসময় আমাকে খারাপ ভাবে। অথচ সকালে ও কি করেছে জানো আঙ্কেল?’ ‘আমার নামে আর একটা উল্টাপাল্টা কথা না বলে এক্ষুনি তুমি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে। গেট লস্ট!’ দাঁতে দাঁত চেপে বললো নির্ভীক। হোসাইনুল আলম বললেন, ‘নির্ভীক, কি করেছো তুমি সকালে?’ ‘আমি কিচ্ছু করিনি ড্যাড। তাও যদি তোমার জানতে ইচ্ছে করে প্রিন্সিপাল স্যারকে ফোন দিয়ে জেনে নিও। ওহ হ্যাঁ, মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট থিং ইজ, সানজুকে আগামি সাতদিনের জন্য কলেজ থেকে এক্সপেল করা হয়েছে।’ ‘হোয়াট? কি বলছো এসব? কেন…?’ হোসাইনুল আলম আরও কিছু জানার চেষ্টা করলেন। নির্ভীক আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে নিজের রুমে চলে গেল। ও চলে যেতেই হোসাইনুল আলম সানজুকে প্রশ্ন করলেন, ‘কি বলছে ও এসব? এসব সত্যি?’ সানজু মাথা নিচু করে বললো, ‘সত্যি কিন্তু…’ ‘কিন্তু? ‘ ‘আমাকে নির্ভীকের জন্যই এক্সপেল করেছে।’ ‘নির্ভীকের জন্য?’ অবাক হলেন হোসাইনুল আলম। ‘হ্যাঁ আঙ্কেল। এর জন্য শুধুমাত্র নির্ভীকই দায়ী।’ কোমড়ে খুব ব্যাথা পেয়েছে তানজীর। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ব্যাথা কমে ওর। ও ধীরে ধীরে উঠে আরিশাকে ডাকতে ডাকতে সামনে এগোয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আরিশার দেখা পায়না তানজীর। ও বাড়ি ফিরে আসে। মিশমিকে জানায় সবটা। সূর্য মাথার ওপর হেলে পড়েছে। দুপুর গড়িয়ে এসেছে। আশফাক আহমেদ ও আরমান দোকান থেকে চলে এসেছে। ওরা আসতেই মিশমি আরিশার কথা জানায় ওদেরকে। দু’ঘন্টা যাবৎ আরিশাকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর শোনামাত্র আরমান ছুটে বেরিয়ে যায় মাঠের উদ্দেশ্যে। আশফাক আহমেদ তানজীরকে ডেকে বলেন, ‘শেষ কোথায় দেখেছিলে আরিশাকে?’ ‘আমরা খোলে চড়ছিলাম। হঠাৎ খোল জোরে টান দেয় আরিশাপু। আমাকে রেখেই খোল নিয়ে নিচু রাস্তা বেয়ে নেমে যায় আরিশাপু। আমি আর কিছু দেখিনি মামা। কোমড়ে ব্যাথা পেয়ে তখন আমার বেহাল দশা।’ আশফাক আহমেদ চিন্তিত ভঙ্গিতে তানজীরকে নিয়ে সেখানে যান যেখানে ওরা খোলে চড়ছিলো। মিসেস রোকেয়া ও আহমদুল হকের মাঝখানে শুয়ে আছে নির্ভীক। আহমদুল হক খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে পান চিবুচ্ছেন। অন্যপাশে মিসেস রোকেয়া দুই আঙ্গুলে নিজের মাথার চুল টানতে টানতে নির্ভীককে গল্প শোনাচ্ছেন। নির্ভীক সেসব গল্প কানেও তুলছে না। আরিশার ভাবনায় তখন বিভোর ও। ওর অন্যমনস্ক ভাবটা খেয়াল করেন আহমদুল হক। তিনি বলেন, ‘দাদু ভাই, কোন গল্পে মন তোমার? দাদুর গল্পে না বনের গল্পে?’ নির্ভীক চমকে শোয়া থেকে উঠে বসে। মিসেস রোকেয়া গল্প থামিয়ে দিয়ে ওর দিকে তাকান। “বনের গল্প মানে? কি বলতে চাও তুমি?” মিসেস রোকেয়া প্রশ্নের তীর ছুঁড়েন আহমদুল হকের উদ্দেশ্যে। ‘সেটা দাদু ভাইয়ের কাছেই শোনো।’ সবজান্তার মতো বলেন আহমদুল হক। নির্ভীক বিস্ফোরিত চোখে আহমদুল হকের দিকে তাকায়। সন্দিগ্ধ মনে জানতে চায়, ‘দাদু ভাইয়া, তুমি কি কিছু জানো?’ ‘অনেককিছুই জানি। এখন সত্যিটা বলো আমাদের।’ চুনের কোটা থেকে আঙ্গুলের ডগায় চুন নিয়ে মুখে দিতে দিতে বলেন আহমদুল হক। নির্ভীক মাথা চুলকে বলে, ‘সত্যিই বলবো?’ ‘বলো বলো।’ আহমদুল হক বললেন। মিসেস রোকেয়ার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। তিনি একবার নির্ভীকের দিকে তাকান তো একবার আহমদুল হকের দিকে। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি না কিছুই বুঝতে পারছি না। কি হয়েছে পরিষ্কার করে বলবে তোমরা?’ নির্ভীক আহমদুল হককে বলে, ‘দাদু ভাইয়া, টেবিল থেকে আমার ক্যামেরাটা দাও তো।’ হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে ক্যামেরা দিলেন আহমদুল হক। নির্ভীক আরিশার ছবি খুঁজতে খুঁজতে গতকালের ঘটনা খুলে বলে। ‘গতকাল যখন জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলাম তখন একটা সাদা চুনকাম করা বাড়ি দেখতে পাই। বাড়িটা ঘুরে দেখতে গিয়ে অনেক ফটো তুলেছি। ফটো তুলতে তুলতেই হঠাৎ গর্তের ভেতর থেকে মেয়েটা সামনে এসে দাঁড়ায়।’ ‘তারপর?’ উত্তেজিত হয়ে বলেন মিসেস রোকেয়া। ‘জানো দাদু, মেয়েটা মারাত্মক সুন্দরী। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলে অমন রূপসী একটা মেয়ের কাঁধে সবসময় একটা বানর ঝুলে থাকে। এটা দেখে এত অবাক হয়েছি আমি। আর জানো, বানরটা আমাকে রাস্তা দেখিয়ে জঙ্গল থেকে বের করে এনেছে। সত্যিই অবিশ্বাস্য!’ ‘তা তুমি বানরের প্রেমে পড়েছো না মেয়েটার?’ গম্ভীর হয়ে বলেন আহমদুল হক। নির্ভীক ভ্রু কুঁচকে জানতে চায়, ‘মানে?’ ‘যেভাবে বানরের প্রশংসা করছো মনে তো হচ্ছে বানরের প্রেমে পড়েছো।’ হো হো করে হেসে ফেলেন আহমদুল হক। ‘আহ থামো তো তুমি। তারপর বলো দাদু ভাই।’ মিসেস রোকেয়া বিরক্ত হয়ে বলেন। নির্ভীক ক্যামেরায় প্রথমে বাড়ির ছবিটি দেখায়। মিসেস রোকেয়া এবং আহমদুল হক ঝুঁকে পড়েন ক্যামেরায়। ছবি দেখে দুজনেই প্রায় একসাথেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। একইসাথে ক্যামেরা থেকে চোখ সরিয়ে আগের জায়গায় বসে পড়েন। আহমদুল হক বলেন, ‘হুরির বাড়িটা এরকম দেখতে ছিলো না রোকেয়া?’ রাফসান বাজার থেকে জঙ্গলের পথ ধরে ফিরছিলো। উঁচু রাস্তা বেয়ে উঠতে গিয়ে দম ফুরিয়ে আসছে ওর। জিরোবে বলে রাস্তার একপাশে বসে পড়ে ও। তখনই রাস্তা দিয়ে ছুটতে ছুটতে পুঁচকু এসে ওর সামনে বসে। ইশারায় কিছু একটা দেখায়। রাফসান বুঝতে না পেরে বললো, ‘কি বলছিস কিছুই তো বুঝতে পারছি না।’ পুঁচকু পাশ থেকে পাথর কুড়িয়ে এনে রাস্তার মাঝখানে রাখে। এরপর ওটাতে হোঁচট খেয়ে পড়ার অভিনয় করে। আবার রাফসানের কাছে ফিরে আসে। রাফসান মাথা চুলকে বলে, ‘হোঁচট খেয়েছিস? কোথায়?’ দু’পাশে মাথা নাড়ে পুঁচকু। পাথরটা নিয়ে গাছের পাশে রাখে। আবার হোঁচট খায়। এবার হোঁচট খেয়েই থেমে থাকে না। গড়িয়ে পড়ে গাছের সাথে নিজের মাথায় আঘাত করে। রাফসান দাঁড়িয়ে বলে, ‘ওহ তুই ব্যাথা পেয়েছিস? কোথায় দেখি?’ বলে পুঁচকুর মাথায় হাত রাখে রাফসান। পুঁচকু এক ঝটকায় হাত সরিয়ে দিয়ে রাফসানের হাতটা খপ করে ধরে সামনের দিকে দেখায়। এরপর রাফসানকে পথ দেখিয়ে সামনে নিয়ে যেতে থাকে। রাফসান বারবার বলে, ‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস? আরে কি হয়েছে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না পুঁচকু আহত আরিশার সামনে এনে দাঁড় করায় রাফসানকে। ওকে দেখে আঁৎকে ওঠে রাফসান। চেঁচিয়ে ডাকে আরিশাকে। ‘আরিশা, আরিশা কি হয়েছে তোর?’ রাফসান থলে থেকে বোতল বের করে আরিশার মুখে পানি ছিটায়। কিঞ্চিৎ নড়ে ওঠে আরিশা। পিটপিট করে চোখ মেলে তাকায় ও। রাফসানকে দেখে মৃদু হেসে বলে, ‘তুমি এসেছো চাচ্চু? এবার বলো আমার আম্মুর কি হয়েছিলো?’ রাফসান ঝটকা টানে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আরিশাকে। ‘তুই ওসব নিয়ে পড়ে আছিস এখনো? তোর কত ব্যাথা লেগেছে। রক্ত পড়ছে মাথা দিয়ে। আগে ক্ষত সারিয়ে খাওয়া-দাওয়া করবি তারপর বলবো।’ আরিশা কিছু না বলে রাফসানকে জড়িয়ে ধরে বসে রইলো। পুঁচকু একমুঠো পাতা এনে আরিশার পিঠে হাত রাখে। আরিশা রাফসানকে ছেড়ে উঠে বসে। পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে ও। বন-জঙ্গলে ক্ষতস্থানের ওষুধ হিসেবে পাতাগুলো খুব কাজে আসে। অনেক উপকারী। পাতা থ্যাঁৎলে রস লাগানোর সাথে সাথে ফল পাওয়া যায়। রাফসান পাতাগুলো দেখে অবাক হয়ে বলে, ‘এগুলো ও চিনলো কি করে?’ ‘ও সব জানে চাচ্চু। ওকে সব শিখিয়েছি আমি।’ মুচকি হেসে বলে আরিশা। ‘কিভাবে? ওহ হ্যাঁ, জানিস ও-ই তো আমাকে তোর কাছে নিয়ে এসেছে।’ আরিশা মুচকি হেসে পুঁচকুর হাত থেকে পাতাগুলো নিতে চাইলো। পুঁচকু পাতাগুলোকে হাতে ঘষে থ্যাঁৎলে পানি বের করে ফেলেছে। আরিশার হাত সরিয়ে পাতার রসগুলো ক্ষতস্থানে সযত্নে লাগিয়ে দিতে দিতে ইশারায় অনেককিছু বললো। রাফসান ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইলো, ‘ও কি কিছু বলছে?’ ‘হ্যাঁ, বলছে তুমি খুব বোকা। ওর ভাষা বোঝার ক্ষমতা তোমার নেই।’ ফিক করে হেসে ফেলে আরিশা। ‘কিহ? ও সত্যি এটা বলেছে?’ তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে রাফসান। ‘নয়তো কি? আমার মাথা ফেটে গেছে এটা তোমাকে বোঝাতে নাকি ওর দারুণ বেগ পোহাতে হয়েছে।’ হেসে বলে আরিশা। রাফসান আরও কিছু বলতে যাবে তখনই ‘আরিশাপু’ বলে ছুটে এসে দুম করে আরিশার সামনে বসে পড়ে তানজীর। ওর পেছনে আশফাক আহমেদ হন্তদন্ত হয়ে আসছেন। আরিশা ও রাফসান উঠে দাঁড়ায়। আশফাক আহমেদ আরিশার কাছে এসে বলেন, ‘তুই ঠিক আছিস? মাথায় কি হয়েছে? কোথায় ব্যাথা পেয়েছিস? কিভাবে পড়ে গেলি? কোথায় পড়েছিস? দেখি দেখি!’ আরিশা আশফাক আহমেদের হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে, ‘এত্তগুলো প্রশ্ন কেউ একসাথে করে? আমি একদম ঠিক আছি আব্বু। আমার কিচ্ছু হয়নি।’ ‘হয়নি বললেই হলো? দেখছি মাথা ফেটে গেছে।’ ‘চলেন তো আব্বু। সব বাড়িতে গিয়ে দেখবেন। এখন চলেন। আর কতক্ষন এখানে দাঁড়িয়ে থাকবো? সেঝ চাচ্চু আর মিষ্টি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। চলেন চলেন।’ আরিশা সবাইকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করে। ওর কাঁধে ঝুলছে পুঁচকু। আজকে কোনো দুষ্টুুমি করছে না সে। তার প্রিয় বন্ধুর যন্ত্রণাটা সে অনুভব করতে পারছে। হাঁটতে হাঁটতে আশফাক আহমেদ বলেন, ‘আরমানও যে অপেক্ষা করছে সেটা তুই জানলি কি করে?’ ‘শুধুমাত্র চাচ্চু আর মিষ্টিই তো এখানে আসেনি। তাই বললাম।’ ‘ওহ আচ্ছা।’ মিসেস রোকেয়ার চোখের কোণে পানি জমে যায়। আহমদুল হকও অন্যপাশে ফিরে চোখের কোণা মুছেন। নির্ভীক হতভম্ব হয়ে দুজনকে দেখে। কি হলো হঠাৎ দুজনের? একটু আগেই তো ওকে নিয়ে কত মজা করছিলো। বাড়িটা দেখে ফুফির কথা কেন মনে পড়লো দাদু-দাদু ভাইয়ার? ও দ্বিধা নিয়ে জানতে চায়, ‘দাদু ভাইয়া, ফুফির কথা বলছো কেন? ফুফির বাড়িটা এমন দেখতে ছিলো?’ ‘হ্যাঁ রে দাদু ভাই। ঠিক এমনই দেখতে ছিলো।’ মিসেস রোকেয়া বলেন। ‘আমি কখনো গিয়েছি ও বাড়িতে?’ ‘যাওনি আবার? তুমি তো প্রায়ই ওখানে থাকতে। হুরির ছোট দেবর ছিলো তোমার প্রায় সমবয়সী। ওর সাথে সারাক্ষণ থাকতে তুমি। তবে হুরির প্রথম সন্তানকে দেখতে শেষবার তুমি ও বাড়িতে গিয়েছিলে। তখন তোমার বয়স ছিলো নয়। এরপর হুরি…’ এটুকু বলতেই মিসেস শায়লা এসে নির্ভীককে ডাক দেন। ‘নির্ভীক, কি করছো এখানে? এখন দাদুদের রেস্ট নেওয়ার সময়। তুমি বসে গল্প করছো?’ ‘স্যরি মম। যাচ্ছি এক্ষুনি।’ নির্ভীক খাট থেকে নেমে স্বান্তনা দেয়ার জন্য আবার পেছনে ফিরে তাকায়। ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ কথাটা বলতে গিয়েও থমকে যায় ও। কিচ্ছু যে আর ঠিক হওয়ার নয়। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রুম ছেড়ে বেরিয়ে আসে নির্ভীক। #Be_Continued_In_Sha_Allah ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here