অশান্ত বসন্ত পর্ব-২২•২৩

0
607

(২২ আর ২৩ পর্ব দুটো একসাথে)
************************************

#অশান্ত বসন্ত।
(২২ পর্ব)
জয়া চক্রবর্তী।
*****************
সীমা আসীম আর পিউকে খেতে দিয়ে স্নান সারতে গেলো। ফিরে এসে চটপট ঠাকুরকে জল-মিষ্টি দিয়ে ডাইনিং এ এসে দেখে পিউ তখনো হাত লাগায়নি ভাতে।অথচ অসীম পাশের ঘরেই খেয়েদেয়ে দিব্বি নাক ডাকছে।ধন্যি মানুষ বটে!

সীমা পিউয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
‘পিউ মা আমার ভাত কটা খেয়েনে,এমন করলে হয় বল!অঞ্জনারা সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই ঢুকে যাবে।ঘরদোর ও তো একটু পরিস্কার করতে হবে’,সীমার কথার কোনো উত্তর দেয়না পিউ।

সীমা আবার বললো,’একটা সত্যি কথা বল তো মা,তুই কি কাউকে ভালোবাসিস?তাকেই কি বিয়ে করতে চাস?এভাবে চুপ করে থাকিসনা তুই, আমায় সত্যি কথাটা জানা এবার’।

পিউ মুখ তুলে তাকালো মায়ের দিকে।বললো,’কাউকে ভালোবাসলেই কি তাকে বিয়ে করতে হবে মা? তাছাড়া ভালোবাসাটা সত্যি না মিথ্যে সেটা কিভাবে জানবো বলো! কিন্তু তার মানে এই নয় যে যাকে বিয়ে করবো তাকে ভালোবাসবো না।কিন্তু সবকিছুর তো একটা সময় থাকে মা।এখন আমি সত্যিই বিয়ের জন্য প্রস্তুত নই’।

একটু থেমে আবার বলে,’তোমরা আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াবার একটা সুযোগ তো দাও।তারপর যাকে বলবে তাকেই না হয় বিয়ে করবো আমি’।
সীমা বললো,’তোর বাবাকে তো জানিসই কেমন গোয়ার মানুষ, তাও দেখবো আর একবার বলে।এবার ভাতটা খেয়েনে মা’।পিউ কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু করলো।সীমাও নিজের খাওয়ারটা নিয়ে পিউয়ের পাশের চেয়ারে বসে পরলো।

ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই পল্লব বাড়ির দিকে রওনা হলো।যদিও বহ্নি বলছিলো বৃষ্টিটা থামলে যেতে।কিন্তু দেরি করতে চায়না পল্লব।তার বোনুটা যে দাদাভাইয়ের উপর ভরসা করে বসে আছে।

তবে বাইক চালাতে চালাতে এই বৃষ্টির ছাটটা বেশ উপভোগ করছিলো পল্লব।কিন্তু মনটা অস্থির লাগছে।কি জানি এতোক্ষণে নিশ্চয়ই ছেলের বাড়ির সবাই চলে এসেছে!বেশ বুঝতে পারছে পল্লব এই বিয়েটা ভেঙে দেওয়ার পরিনাম কি হতে চলেছে!কিন্তু বোনুর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে দেওয়াটাও তো অন্যায়।মুখ তো পল্লবকে খুলতেই হবে।

বাড়ির প্রায় সামনে চলে এসেছে পল্লব।বাইক দাঁড় করিয়ে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতেই অঞ্জনামাসি আর মায়ের হাসির আওয়াজ শুনতে পায় পল্লব।ঢুকে দেখে ড্রয়িং রুমের সোফাতে অঞ্জনা মাসি,মেসো আর ওনাদের ছেলে বসে।বাবা সাইডের চেয়ারে।আর সেন্টার টেবিলের উল্টো দিকের চেয়ারে পিউ বসে।

পল্লবের মা পিউয়ের চেয়ারে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছে অঞ্জনা মাসীর সাথে।এতো হাসি গল্পের মধ্যেও পিউয়ের মুখটা কেমন থমথমে হয়ে আছে।

অঞ্জনা মাসী পল্লবকে দেখেই বলে ওঠেন,’এই তো আমাদের পল্লব এসে গেছে,এবার আরো জমিয়ে আড্ডা হবে’।

সত্যিই অঞ্জনা মাসী বেশ আলাপি ভদ্রমহিলা, সুখী সুখী চেহারা,চোখ দুটো ও প্রানোচ্ছল।পল্লব হালকা হেসে ওদের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে।

অঞ্জনা বলে ওঠেন,’একদম ভিজে গেছিস তো।স্নান সেরে নে শিগগিরই। বৃষ্টির জল মাথায় বসলে কিন্তু নির্ঘাত জ্বর’।পল্লব হেসে বলে, ‘আচ্ছা স্নানটা চট করে সেরে আসছি আমি’।

অঞ্জনা এবার সীমার দিকে তাকিয়ে বলেন,’তুই কিন্তু খুব ভালো ভাবে মানুষ করেছিস ছেলে মেয়ে দুটোকে’।

পল্লব বললো,’আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিওনা মাসী।আমার কিছু বলবার আছে তোমাদের।আর আমার কথা শোনবার পর হয়তো তোমার আর আমাকে ভালো মানুষ মনে নাও হতে পারে’।

পল্লবের কথা শুনে অসীমের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।তিনি পল্লবকে বলেন,’বড়োদের মাঝে আর তোমাকে কথা বলতে হবেনা।তুমি গিয়ে ফ্রেশ হও গিয়ে।কথা বলার জন্য আমরা রয়েছি’।

পল্লব গম্ভীর গলায় বলে,’কিন্তু আমায় যে কথাটা বলতেই হবে বাবা’,তারপর অঞ্জনার দিকে তাকিয়ে বলে,’মাসী আমার বোন পিউ এখনই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাইছেনা।ওর ইচ্ছে আরো পড়াশোনা করবার।তারপর পরীক্ষা দিয়ে চাকরি করবার’।

অঞ্জনা হেসে ফেলে বললো,’আমিও ঠিক এই কথাটাই বলবো বলে আজ এসেছিলাম।আমার ছেলেও এটাই চাইছে, এমনকি আমি নিজেও এটাই চাই’।

অঞ্জনা মাসী পল্লবকে বললেন,’কি জানিস সীমা যেদিন বললো,পিউয়ের বিয়ে দিতে চাইছে অসীমদা, সেদিনই ঠিক করেছিলাম ওর ইচ্ছে গুলোতে ডানা লাগিয়ে দেবো আমার বাড়ির বৌ করে।আমি চাই আমার মেয়ের মতো ওর স্বপ্নও সত্যি হোক।অন্য জায়গায় বিয়ে হলে যদি মেয়েটার স্বপ্ন হারিয়ে যায়,তাই আমি নিজেই আমার ছেলের জন্য এই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম’।

অঞ্জনার কথায়,পল্লবের মুখে হাসি খেলে গেলো।
পিউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে পল্লব দেখলো,এক রাশ মুগ্ধতা।শুধু অসীমের মুখে একরাশ বিরক্তি।

অঞ্জনা হেসে বললো,’অসীমদা আপনি চাইলে পিউকে এখনই আমার বাড়ির বৌ করে নিয়ে যাবো।কিন্তু আমি চাই বিয়ের কথাটা ফাইনাল হয়ে থাকুক।পিউ মাস্টার্স কমপ্লিট করুক,চাকরির পরীক্ষা গুলোতেও বসুক।আর তার মাঝে ওরা দুজন দুজনকে ভালো মতো করে একটু চিনুক জানুক।বিয়ে তো সারা জীবনের ব্যাপার।তাই নিজেদের তাগিদে ওরা সম্পর্কে জড়াক,বাধ্য হয়ে নয়’।

অঞ্জনার কথা শেষ হোতেই পল্লব বললো,’বাবা এর চাইতে ভালো প্রস্তাব আর হোতেই পারেনা।ওদের বিয়েটা ফাইনাল থাকুক।আর আমি চাই বোনু আমার এখানে থেকেই নিজের মাস্টার্সটা কমপ্লিট করুক।ওর পড়াশোনার যাবতীয় খরচা আমার।প্লিজ বাবা তুমি আর না কোরোনা।বোনুকে ওর স্বপ্নের সাথে বাঁচতে দাও’।

অসীমের ভাবলেশহীন ভাবে মাথা নাড়িয়ে বললো,’হ্যাঁ আমি তো সবার স্বপ্নই ভাঙছি।বেশ বিয়ে না হয় পরেই হবে’।

সীমা আনন্দে বাচ্চাদের মতো হাততালি দিয়ে উঠলো।সীমার ছেলেমানুষীতে সবাই হেসে উঠলো।কতোদিন পর মাকে এতো খুশি হোতে দেখলো পল্লব।

অঞ্জনা পল্লবকে বললো,’ভিজে জামাপ্যান্ট গুলো কিন্তু সব গায়েই শুকিয়ে গেলো’,পল্লব হেসে বললো,’হ্যাঁ মাসি যাচ্ছি স্নানে’।

তবে যাওয়ার আগে টুক করে তাকিয়ে দেখে নিলো অঞ্জনা মাসির ছেলে আর পিউয়ের দিকে।দেখলো দুজনেই দুজনের দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে। পল্লব এবার নিশ্চিন্ত মনে চানঘরের দিকে পা বাড়ালো।
(চলবে)

#অশান্ত বসন্ত
(২৩ পর্ব)
জয়া চক্রবর্তী
**********************
ছয় মাসে এখন অনেকটাই সুস্থ শিখা। অপারেশনের এক মাস পর থেকে নিয়ম করে শুরু হয়েছে স্পিচ থেরাপিও। বরুন সাহা একজন অভিজ্ঞ স্পিচ থেরাপিস্ট। ডাক্তার এ.কে.গুপ্তার রিকোয়েস্টে শিখার কেসটা উনি নিজেই দেখছেন।

ওনাদের সেন্টারে মিডভ্যাস পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় স্পিচ থেরাপির ক্ষেত্রে অর্থাৎ মোটিভিশন,আইডেন্টিফিকেশন,ডিসেনসিটাইজেশন, ভ্যারিয়েশন,এপ্রোক্সমেশন আর স্টেবিলাইজেশন। উনি ভরসা দিয়েছেন সময় লাগলেও শিখা কথা বলতে পারবে।

উনি জানিয়েছেন আপাতত শিখার ক্ষেত্রে ইন্ডিভিজুয়াল থেরাপি ইউজ করা হচ্ছে।গ্রুপ থেরাপিও শুরু হবে তবে আরো কিছুদিন পর থেকে। প্রথম দিকে তো শিখার মুখ দিয়ে শুধু গোঙানির মতো শব্দ বের হতো। জিভ নাড়াতে পারতোনা।

বরুন সাহা বলেছেন এতে ঘাবরাবার কিছুই নেই।আসলে স্পিচ থেরাপিতে এক ধরনের পেশি যা কথা বলার ক্ষেত্রে কার্যকর তা অনুশীলন করানো হয়।কথা বলার সময় মুখ থেকে যাতে শব্দ বের হয় সেই প্রচেষ্টা করানো হয়।

শিখার এখনো সেভাবে কিছুই ইমপ্রুভ হয়নি।যদি ও ডাক্তার এ.কে.গুপ্তা শিখাকে ছুটি দেওয়ার সময় ওদেরকে বলেছিলেন,’এতো বড়ো একটা অপারেশন হয়েছে। জিভের সার আসতে সময় লাগবে।অনেক ধৈয্য ধরতে হবে’।

তবে বহ্নির অভিধানে বোধহয় অধৈয্য শব্দটা নেই।শিখার যতক্ষণ থেরাপি চলে বহ্নি বাইরে বসে এক মনে মাকে স্মরণ করে বলে,’মা তুমি দিদিয়াকে ভাষা দাও’।
অবশেষে বহ্নির প্রার্থনা আর বরুন সাহার অক্লান্ত পরিশ্রমে শিখা টুকরো টুকরো শব্দ বের করতে পারছে।

বহ্নি প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যেই শিখাকে নিয়ে সেন্টারে পৌঁছে যায়। এক ঘন্টা থেরাপির পর শিখাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েই আবার অফিসের জন্য ছোটে। অবশ্য বিকেলে অফিস ছুটির পর পল্লবের হাসি মুখটা দেখে মনটা ভালো হয়ে যায় বহ্নির।

তবে বহ্নির আজ দিনটি শুরু হয়েছে অন্য রকম ভাবে।ঘুম ভেঙেছে অবিনাশের ফোনে।অবিনাশ ফোন করে জানতে চায় ,অফিস থেকে গতকাল রাতে বহ্নি কোনো মেইল পেয়েছে কিনা!বহ্নি জানালো গতকাল একদমই সময় পায়নি ফোন ধরবার। অবিনাশ বললো,মেইল চেক করে ওকে একবার ফোন করতে।

মেইল চেক করতে গিয়ে বহ্নির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পরলো। ওকে ছয় মাসের জন্য ট্রেনিং এ মুম্বাইতে পাঠানো হচ্ছে।মাঝে কানাঘুষো শুনছিলো বটে কিন্তু পাত্তা দেয়নি।এখন মনে হচ্ছে তখনই কথা বলতে হতো স্যারের সাথে। অফিস থেকে এয়ার টিকিট কালেক্ট করে নিতে বলেছে আজকেই।দুদিন বাদেই ফ্লাইট।

এবার কি হবে!হতভম্ব হয়ে কিছু সময় বসে থাকবার পর বহ্নি পল্লবকে ফোন করে সোজা সেন্টারে চলে আসতে বলে।

তারপর অবিনাশকে ফোন করে জানতে পারে সেম মেইল অবিনাশ আর রিক্তা ও পেয়েছে। এদিকে অবিনাশের মা হসপিটালে এডমিট।আর মেইল অনুযায়ী দুদিন বাদের এয়ার টিকিট বুক করা।

অবিনাশ জানায় অফিসে গিয়ে রিকোয়েস্ট করবে ট্রেনিং প্রিয়ড এক দু মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপরেও শুনতে না চাইলে ওর চাকরিতে রিজাইন দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা ।

বহ্নি অবিনাশকে শান্তনা দেয় যে অফিসে গিয়ে কথা বলতে। আগে থেকেই এতো চিন্তা না করতে ,নিশ্চয়ই ওর বিষয়টি বিবেচনা করবে অফিস । অথচ দিদিয়ার চিন্তাতে বহ্নির নিজের মাথাটাও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

এই সময় চাকরি ছেড়ে দিলে আর একটা চাকরি জোগাড় করবে কি করে!ফ্ল্যাট ভাড়া,দুজনের খাওয়া খরচা,শিখার ওষুধপত্র,স্পীচ থেরাপির খরচা এগুলো আসবে কোথা থেকে!বহ্নি আর ভাবতে পারছে না।
শিখাকে সেন্টারে ঢুকিয়ে পল্লবকে ফোন করতে যেতেই দেখে পল্লব স্ব শরীরে হাজির। বহ্নির শুকনো মুখটা দেখে পল্লব ভয় পেয়ে যায়।

এগিয়ে এসে দু’হাতে বহ্নির হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে জিজ্ঞেস করে,’হঠাৎ কি এমন হলো!কোনো খারাপ খবর নয়তো?তোমায় এমন বিধ্বস্ত লাগছে কেন দেখতে?’

বহ্নি বলে,’খারাপ খবর তো অবশ্যই। মাথাটাই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তুমি জানো অফিস থেকে মেইল পাঠিয়েছে যে ওরা ছয় মাসের ট্রেনিং এ মুম্বাই পাঠাচ্ছে আমায়। পল্লবের মুখ হাঁ হয়ে যায়। কোনোরকমে বলে,’সেকি!’

বহ্নি বলে,’জানো দুদিন বাদেই মুম্বাইয়ের ফ্লাইট ধরতে হবে,আজকেই এয়ার টিকিট কালেক্ট করে নিতে বলেছে অফিস থেকে। আমার তো পাগলের মতো লাগছে।দিদিয়ার কি হবে আমি চলে গেলে!’

পল্লব কিছুক্ষণ চুপ করে বসে ভেবে নেয়। তারপর বলে, ‘শিখার জন্য চিন্তা করতে হবেনা। ও পিউয়ের সাথে ভালোই থাকবে।আর আমরা আজকেই বরুণ সাহার সাথে এই সমস্যাটা নিয়ে কথা বলবো।উনি ওনার সময় অনুযায়ী যদি এই ছয় মাস আমার ফ্ল্যাটে এসেই থেরাপি দেন,তাহলে আর সমস্যাই থাকবেনা।ভিজিটটা না হয় বেশিই দেবো আমরা’।

বহ্নি ভাবতে পারেনি এতো সহজে সমস্যাটার সমাধান বের করে দেবে পল্লব।আবারো মুদ্ধ হয় পল্লবের ওপর।
পল্লব বলে,’কি হলো তোমার.!তাকিয়ে আছো কেন এইভাবে?আরে ছয় মাস দেখতে দেখতে কেটে যাবে। তুমি ট্রেনিং টা নিয়ে এসো’।

বহ্নি বলে,’পারবে থাকতে আমায় ছেড়ে?’ পল্লব হেসে বলে, ‘মাত্র তো ছয়মাস, সে দেখতে দেখতে কেটে যাবে।তাছাড়া ফোন আছে,ভিডিও কলও তো করা যাবে’।

একটু থেমে বলে,’হয়তো দূরে গেলে কাছে থাকবার গুরুত্বটা বুঝে বিয়েতে মত দেবে’।বহ্নি বলে,’তোমাকে তো বলেছি কেন বিয়ে করতে চাইনা!’পল্লব বলে,’সে কোরোনা বিয়ে।তবে আমি কিন্তু বিয়েটা তোমাকেই করবো।আর তার জন্য সাত জন্ম অপেক্ষা করতে পারি’। পল্লবের বলার স্টাইলে দুজনেই হা হা করে হেসে উঠলো।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here