অলকানন্দার নির্বাসন পর্ব ২৮

2
622

#অলকানন্দার_নির্বাসন
#মম_সাহা

২৮.

খুব সংকুচিত মন নিয়ে বিদেশি বাড়িটাকে আপন করবে না, করবে না করেও কোন সেই মহা গোপনীয়তায় অলকানন্দা এই বিদেশি বাড়িটাকে বড়ো আপন করে নিলো। হয়ে উঠলো বাড়িটার কর্তী। অবশ্য তার পেছনে একটি খুব ক্ষুদ্র কারণ আছে। স্টিফেনের মা কাদম্বরী দেবী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রথা অনুসারে বাড়ির বউয়েরই তো হাল ধরার কথা। সেই ভাবনা মাথায় রেখেই নন্দা শক্ত হাতে হাল ধরল বাড়িটার। আর তার ঘরকন্না শুরু হতেই সকল অনিয়ম মুখ লুকিয়ে পালাল। রান্নাঘরে আর কোনো ভুল হচ্ছিল না, মালিও নিয়মিত জল ঢেলে জাগিয়ে তুলেছিল পুষ্প সজ্জিত বাগানটা, গৃহকর্মীরাও কোনো বাহানা দিতে পারল না। কাজ গুলো কেমন নিজে নিজে একটি শৃঙ্খলায় আবদ্ধ হয়ে গেল। বাড়িটায় অধিক সাজ সজ্জা থাকার পরও যে শ্রীহীনতায় ভুগছিল তা নন্দার ছোঁয়ায় ঘুচিয়ে গেল। কাদম্বরী দেবীরও সুস্থ হওয়ার সবটুকু দায়িত্ব খুব অগোচরেই যেন অদৃষ্ট তার হাতে তুলে দিল।

নন্দা যখন পাকা হাতে সংসার চালাতে ব্যস্ত তখন বাহিরের পরিবেশ কিছুটা অস্থিতিশীল মনে হচ্ছিল। বেশ কয়েকদিন যাবতই তাদের কলেজ থেকে মিছিল বের করছে। ইংরেজদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য মানুষ সচেষ্ট হয়ে মুখিয়ে আছে। কোম্পানির শাসন শোষনের বিরুদ্ধে একদল বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে খসছে ছক। নন্দাও এর বহির্ভূত নয়। ললিতাদের সাথে প্রায় শহরের বেশখানিকটা জায়গায় তার এ অব্দি যাওয়া হয়ে গেছে। দীপকদা মানুষটাও তাকে আজকাল পছন্দ করছেন। সে হয়তো প্রত্যক্ষ ভাবে দেশের এমন কল্যানে প্রবেশ করেনি কিন্তু পরোক্ষভাবে সেও যেন এই প্রতিবাদের একটি বজ্রকণ্ঠ। বজ্রকণ্ঠ হবে না-ই বা কেন? যার সংসার করছে তার বিপরীতে আন্দোলন করার কাজটা তো ভয়াবহই! অথচ খুব অগোচরে একটি নিষিদ্ধ ভালো লাগার বৃক্ষ ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে উঠছে। নন্দা বুজছে সে বৃক্ষের উৎপত্তি আর তাই সে বৃক্ষকে অপ্রকাশ্যেই বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। কিন্তু হেমন্তের গোধূলির আলো ঘেঁষে যে প্রেম কপাটে দাঁড়িয়ে আহ্বান করছে, তাকে ফেরানোর সাধ্যি কী নন্দার মতন ভালোবাসা পিপাসু ফুলের আছে? তাই হয়তো না চাইতেও সে এই বৃক্ষকে গোপনেই বাড়তে দিচ্ছে। মানুষ বরাবরই ভালোবাসার পিপাসু। তারা কোথাও ভালোবাসা পেলে যেতে যেতেও থেকে যায়।

অলকানন্দা রান্নাঘরের তদারকি করে সবেই বিশাল বসার কক্ষটায় এসেছে। ঘামে দেহ প্রায় ভিজে শিথিল। মাথার উপর নিঃশব্দে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখাটা। আজ তার কাজের ভার বোধহয় একটু বেশিই। তার বন্ধু শতাব্দ এবং ললিতা আজ এখানে আমন্ত্রিত। দু’জনেরই ইচ্ছে নন্দার শ্বশুর বাড়ি দেখবে তাই নন্দা নিমন্ত্রন জানিয়ে দিল। তাদের আপ্যায়নের আয়োজন করতেই নন্দার নাজেহাল অবস্থা। রান্না আর কিছুটা বাকি। নন্দা ঠিক করল সে আরেকবার স্নান করবে। কিন্তু তার আগে আরেকটা কাজ করা বাকি। সে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম টুকু মুছে ছাঁদে রওনা হলো। নিস্তব্ধ বাড়িটার চারপাশে উত্তপ্ত হেমন্তের বাতাস বয়ে যাচ্ছে। চারদিকে পাকা ধান মাঠে মাঠে হাসছে। মনে হচ্ছে সোনালী কন্যা যেন তার দু’হাত উজাড় করে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। কাল থেকে শুরু হবে ধান উঠানোর উৎসব। কৃষকদের বহু প্রতীক্ষিত দিন।

সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা সুন্দর সিঁড়ি গুলো পায়ে মারিয়ে সে ছাঁদে উঠে গেল। প্রচন্ড গরমে ক্ষণে ক্ষণে কিছু তপ্ত বাতান সংগোপনে এসে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছে নন্দার ঘর্মাক্ত দেহ। নন্দা এগিয়ে গেল ছাঁদের শেষ প্রান্তের ঘরটার সামনে। জানালা দিয়ে না ডাক দিয়ে সে আজ রুমে প্রবেশ করল। ছোটোখাটো রুমটি কিছুটা এলোমেলো। নন্দা এধার-ওধার চোখ ঘুরাতেই দেখলে ঘরের পশ্চিম দিকের জানালাটার মোটা কাঠে মাথা হেলিয়ে রেখে খুব মনযোগ দিয়ে কিছু একটা দেখছে ঘরের রমণী। তার কোনো হুঁশ নেই এখানে যে কেউ একজন এসেছে। নন্দা সেই অবাধে চিন্তা করা নারীর কাছে গিয়ে দাঁড়াল, হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে শুধাল,
“কী করছো বড়োদিদি।”

এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকা মেয়েটার ধ্যান ভাঙল। কিছুটা থতমত খেয়ে বলল,
“তুই কখন এলি, পুষ্প?”

“মাত্রই এলাম। বলো তো, কী ভাবছ?”

বিহারিণী নামের মায়াবী মেয়েটা উত্তর দিল না। অগ্রহায়নের আকাশে উড়ে যাওয়া একটি নিঃসঙ্গ শঙ্খচিলের দিকে তাকিয়ে রইলো সে নির্মিশেষ। নন্দা বুঝল, আজ বিহারিণীর কথা বলার কোনো ইচ্ছে নেই। মানুষটা এমনই, যখন কথা বলতে ইচ্ছে করবে তখন বলতেই থাকবে আর যখন কথা বলার ইচ্ছে থাকবে না তখন হাজারো চেষ্টা করেও তার মুখ থেকে কথা বের করা যাবে না। নন্দা তাই আর বৃথা চেষ্টা করল না। খুব নীরবে মোটা মোটা দাঁত বিশিষ্ট চিরুনিটা দিয়ে বিহারিণীর বিশাল কেশ গুচ্ছ গুছিয়ে দিল। বিহারিণীর ঘন কালো রহস্য খচিত এই কেশমালার দিকে চাইলেই অলকানন্দার মুছে যাওয়া আদি বৈধব্যের কথা মনে পড়ে যায়। কী সেই মহা যন্ত্রণার কাল সে পাড়ি জমিয়েছিল! মাঝে মাঝে সে অবাকই হয়, নিশ্চয় তার বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছা ছিল, নাহয় এত কটু কথা, এত যন্ত্রণা নিয়ে কেউ গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া থাকত না। অথচ সে এই চিন্তা তখন ভুলেও করেনি। গলায় দড়ি দেওয়ার কথা মনে পড়তেই নন্দার কৃষ্ণপ্রিয়ার কথা ভীষণ মনে পড়লো। মেয়েটা খুব বোকা ছিল। আর নিত্যান্তই তার প্রাণ নাশের কারণ তার বোকামি। অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। হোক সেটা বোকামি, সরলতা কিংবা বিশ্বাস। আর দুর্ভাগ্যক্রমে কৃষ্ণপ্রিয়ার এই তিনটি গুণই ছিল। আর ছিল অধিক পরিমাণের ভালোবাসার ক্ষমতা। অধিক পরিমাণে ভালোবাসার ক্ষমতা ভালো কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে তা হতে পারে ক্ষতিকারক। কৃষ্ণপ্রিয়ার সাথে ক্ষেত্র বিশেষেরটা হয়েছে। মেয়েটার সব দিকেই পরম দুর্ভাগ্য বলা যায়। ভাবতে ভাবতে নন্দার ভাবনার সুতো বহুদূর প্রসারিত হয়েছে। যার ফলস্বরূপ বুক চিরে বেড়িয়ে এলে দীর্ঘশ্বাস। মানুষ কেবল একটা জিনিসই ভালো করতে পারে, তা হলো আক্ষেপ। অতীত বদলানোর ক্ষমতা মানুষের নেই তাই আক্ষেপের রথে করেই মানুষ স্বান্তনা কুড়িয়ে বাঁচতে চায়।

নন্দার ভাবনার মাঝেই নিশ্চলা বিহারিণী শূন্য কণ্ঠে শুধাল,
“বলো তো ভাই, এই পৃথিবীতে কোন প্রাণী দ্রুত সঙ্গী ভুলে বাঁচতে পারে?”

নন্দা ভ্রু কুঁচকালো। বিহারিণীর হুট করে এমন প্রশ্নের কারণ সে উদঘাটন করতে চাইলেও সবশেষে সক্ষম হলো না। কেবল ঘোরগ্রস্ত মানুষের মতন অস্পষ্ট স্বরে উত্তর দিল,
“জানিনা যে!”

“মানুষ…. না, না শুধু মানুষ নয়, উত্তর হবে পুরুষ মানুষ। একমাত্র পুরুষ মানুষ সঙ্গী ভুলে বাঁচতে পারে, জানিস?”

নন্দা অবাক, বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলো বিহারিণীর পানে। মেয়েটা নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন! কই, তার কোনো চিহ্ন বর্তমানের এই নারীটার মাঝে আছে? কেউ বলবে এই মানুষটা মানসিক ভাবে অসুস্থ! একজন মানুষ যখন গোটা পৃথিবীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এমন দার্শনিক চিন্তাভাবনা করে উত্তর দিতে পারে তার মানসিক স্বাস্থ্য আদৌও অসুস্থ হতে পারে? কখনোই না।

নন্দা ভাবুক স্বরে প্রশ্ন করল,
“কেন এমন কথা বললে?”

“সে অনেক কারণই আছে। এই যে, কিছুদিন আগেও স্বামী মারা গেলে বউকে পুড়িয়ে মারা হতো, কই তখন তো বউ মারা গেলে স্বামীর জন্য কোনো বিধান ধার্য করা ছিল না। বরং বউ মারা যাওয়ার চরম দুঃখে পুরুষ হাসতে হাসতে নতুন বধূর বাসরে চলে যায়। কেন বল তো? যেই বিছানায় একসময় তার প্রিয় নারীর সাথে সজ্জা শায়িত থাকত, সে বিছানায়ই আরেক নারীর সাথে সুখের স্বপ্ন দেখা পুরুষরা বড়ো হৃদয়হীন হয়। জানিস?”

নন্দা উত্তর খুঁজে পেল না। কোনো আদিম মহাকাল থেকে বহু হাতড়েও শব্দ বের করে আনতে পারল না। তার মনে হচ্ছে, তার সামনে একজন সুস্থ নারী বসে এমন গভীর অর্থবহ কথা বলছে। তন্মধ্যেই নিচ থেকে স্টিফেনের ডাক ভেসে আসছে। সে নন্দার উদ্দেশ্যেই ডাকছে। নন্দা ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে দাঁড়াল, বিহারিণীর থেকে বিদায় নিয়ে বের হওয়ার ক্ষণেই পেছন থেকে বিহারিণীর হেয়ালি কণ্ঠের নিছক ঠাট্টা কিংবা ভৎসনা ভেসে এলো,
“পুরুষ কিন্তু নারীর মন ভোলানোর জাদু জানে। পুরুষ জানে- নারী প্রেমের বাণে দুর্বল, তাই তারা সেই বাণেই নারীকে মারিতে চায় আর বোকা নারী স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করে। সাবধান পুষ্প, অতি মধুতে পিঁপড়ে বাসা বাঁধে কিন্তু। ভুলিস না মরণ বাণে।”

নন্দা হয়তো কিছু বলতো, কিন্তু তার আগে আবারও নিচ থেকে স্টিফেনের কণ্ঠস্বরে সে আর দাঁড়াতে পারল না। নিচে ছুটে গেল দ্রুত।

_

প্রকৃতিতে ভরা রোদ্দুর। সেই রোদ মাথায় নিয়ে নন্দা আত্মীয় আপ্যায়নে সচেষ্ট। কোথাও কোনো ক্রটি যেন না থাকে সে ব্যাপারে তার কড়া পর্যবেক্ষণ। ললিতা আর শতাব্দ পুরো বিদেশি বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখে সবেই বসার ঘরে উপস্থিত হয়েছে। স্টিফেন আর অ্যালেনও সেখানেই বসা।

ললিতার ঠোঁটে হাসি। বেশ ঠাট্টার সুরেই স্টিফেনকে শুধাল,
“বউকে ভীষণ ভালোবাসেন নাকি?”

নন্দা এমন প্রশ্নে ভ্যাবাচেকা খেলেও স্টিফেনের মুখে ছিল মধুর হাসি। সে এই হাসি মাখা মুখেই উত্তর দিল,
“সেটাই কী উচিৎ নহে?”

“অবশ্যই উচিত। তবে শুনেছিলাম বিদেশী পুরুষরা নাকি ভালোবাসতে জানে না?”

“শোনা কথা সব সত্যি হতে হবে এমনই বা কোথায় লিখিয়া রাখা?”

ললিতা হাসল। নিবিড়ে, নিভৃতে তার মনের গোপনে নীল চোখ গুলো কেমন যেন সাড়া জাগিয়ে দিল। সেই রাশভারি কণ্ঠ কোথাও একটা তোলপাড় শুরু করল। ললিতা অবশ্য তা খেয়ালই করল না। বরং বেশ মজা করেই বলল,
“তা, কতোটুকু ভালোবাসেন?”

“যতটুকু ভালোবাসিলে তার হাতে আমি আমার জীবন এমনকি মৃত্যু সমর্পণ করিতে পারিয়াছি ঠিক ততটুকু।”

“তা অবশ্য বাড়ির নেইম-প্লেট দেখেই বুঝে ছিলাম।”

নন্দা অবাক চোখে তাকাল। ললিতার কথা বোধগম্য হয়নি এমন ভাব করে বলল,
“নেইমপ্লেটে কী এমন আছে যে তুমি ভালোবাসা মাপতে পারলে?”

ললিতা উচ্চস্বরে হাসল, তার সাথে যোগ দিল শতাব্দও। ঢোলা জামা পরিহিতা ললিতার চপল, চঞ্চল গালে হাসিটা বড়ো সুন্দর ঠেকল। সে হাসতে হাসতে মশকরা করে বলল,
“জানিস না, নাকি আবার নতুন করে শুনতে চাইছিস?”

নন্দা ভ্রু কুঁচকালো, অবাক কণ্ঠে বলল,
“কী জানার কথা বলছো?”

“তোমার বাড়ির নাম “অলকানন্দার নির্বাসন”….. সে কথা কী জানো না?”

শতাব্দের কথায় বিস্মিত, হতভম্ব হলো নন্দা। সেই হতভম্ব ভাব তার কণ্ঠনালী অব্দি পৌঁছে গেল। সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বলল,
“কী?”

ললিতা হেয়ালি করে বলল, “তাই তো দেখলাম আসার সময়। তুই খেয়াল করিসনি? তা জামাইবাবু, এমন একটা নামের কারণ কী?”

শেষের বাক্যটা ললিতা স্টিফেনের দিকে তাকিয়েই করল। নন্দাও উত্তরের আশায় স্টিফেনের দিকে চাইল। স্টিফেনের মুখে মিষ্টি হাসি। সে নন্দার ডান হাত আলগোছে আঁকড়ে ধরে বলল,
“আমার ভালোবাসা যাহার কাছে চক্ষের বিষ তার কাছে এই সংসার নির্বাসনই বটে। তাই না, সানশাইন?”

নন্দার হাত-পা কেঁপে উঠল। বারবার বিহারিণীর কথাটা তার কানো প্রতিধ্বনিত হতে লাগলে। পুরুষের কথার বাণে ভুলতে নেই। সে দ্রুত স্টিফেনের হাত ঝারা দিয়ে ছাড়িয়ে নিল। স্টিফেনের মুখে আগের ন্যায় হাসি। ললিতা সেই দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে অস্ফুটস্বরে বলল,
“যার চোখে এত ভালোবাসা, তার বুকে কেন এত কঠোরতা?”

শতাব্দ হয়তো ললিতার এত ক্ষীণ শব্দও শুনতে পেল। তার চোখ-মুখ মলিন হয়ে গেলো। সে ফিসফিস করে বলল,
“ললিতা, ভুলিস না আমরা কী কাজে এখানে এসেছি।”

ললিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলল, আফসোস মাখা কণ্ঠে বলল,
“এত ভালোবাসায় পরিপূর্ণ বুকে কীভাবে মৃত্যুর বিষ ছুঁড়ে মারবো বল তো!”

শতাব্দ ভ্রু কুঁচকালো, সাবধানী চোখে ইশারা করে বলল,
“ভুলে যাসনা, ওরা আমাদের বাঁচতে দিচ্ছে না।”

“অথচ নন্দা উনার কারণেই বেঁচে আছে।”

#চলবে

2 COMMENTS

    • আপু লেখিকা একটু ব্যস্ত অতি শীগ্রই দেওয়া হবে নতুন পর্ব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here