অবহেলায় ভালোবাসা? পর্ব-৬

0
563

#অবহেলায়_ভালোবাসা
#লেখকঃRabi_Al_Islam
#পর্বঃ৬
রিয়ানের বন্ধুরা ওকে বলতেছে, মেঘা যদি রুমডেটের জন্য রাজি না হয় তখন কি করবি?

– তখন তোরা ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে আসবি। তারপর ওকে ধর্ষন করে ভিডিও করে রাখবো। যদি ও পুলিশকে বলে তখন ভিডিওটা দিয়ে ওকে ব্লাকমেইল করবো

– এত মেয়ের সাথে এসব করেছিস। মেঘার মত এত সময় কাউকে দিসনি। ওর মাঝে কি এমন দেখেছিস যে সারাখন ওর সাথে থাকা লাগে?

– ভালো লাগে ওকে

– তাহলে এসব করার চিন্তা- ভাবনা মাথায় আসলো কেনো?

– আমার কাছে ভালোবাসার কোন মূল্য নেই। কত মেয়ে আসবে যাবে। আমি এত খারাপ তারপরও সবার কাছে ভালো থাকি

– মেঘার কাছে তো আমি অনেক ভালো একটা ছেলে। ও আমাকে অনেক বিশ্বাস করে। রবি ওকে বিরক্ত করায় আমার ভালোই হয়েছে। ওর জন্য মেঘা আরও আমার কাছে এসেছে

আমি মেঘাকে রবির সম্পর্কে যা বলবো ও তাই বিশ্বাস করবে। মেঘাকে দিয়েই রবিকে ফাঁদে ফেলতে হবে। রবিকে এমন জাগায় নিয়ে আসবো যেখানে ও একা থাকবে। ওকে বাঁচানোর জন্য কেও আর থাকবে না

আমার শরীর থেকে ও রক্ত ঝড়িয়েছে এর মূল্য তো ওকে দিতে হবে।

– রবিকে কি মেরে ফেলবো আমরা?

– হ্যা। ওকে না মারলে তুই কি মনে করিস ও প্রতিশোধ নিবে না। তখন তো ও আমাদের সবাইকে ভয়ংকর ভাবে মারবে। তাই ওকে বাঁচতে দেওয়া যাবেনা। তাছাড়া ওকে তো মারতে হতই তা না হলে রবি সবার নজরে এসে যেতো তখন আমাদের মূল্য কমে যেতো

কলেজের অনেক ছেলেরাই রবির সাথে থাকে। ও কি যেন একটা কাজ করে তাইতো সবার সাপোর্ট পায়

আমাদের ওকে আটকাতে হবে। কলেজে ড্রাগ ছড়িয়ে দে। যারা খায়না তাদেরও জোর করে খাওয়াতে হবে। একবার এটা খেলে তখন আর ওরা এটা থেকে বের হতে পারবে না। তখন সবাই আমাদের কাছে আসবে আমাদের হয়ে কাজ করবে

ভাই রবির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ও কাউকে ভয় পায় না। নিজের জিবনের পর্যন্ত পরোয়া করেনা। মনে হয় যেনো ওর মনের ভিতরে ভয় একদমই নেই

তার উপরে এত ছেলে ওর সাথে আছে। মেহেদী ওর সাথে আছে এরপর ওকে কেও স্পর্ষ করতে পারবে না। আমি তো আমাদের ভবিষ্যৎ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

রবির জন্য সবার কাছে আমরা ছোট হয়ে গেছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওর কিছু একটা করতে হবে। তা না হলে আমরা শেষ

দিশা সাকিবের সাথে ঘুরতে বের হয়েছে। সাকিব দিশাকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে আসলো। সাকিব দিশাকে বলল, যদি আমার কিছু হয়ে যায় তুমি কি তখনও আমাকে ভালোবাসবে? ধরো আমি হঠাৎ করে মারা গেলাম তারপরও কি তুমি আমাকে ভালোবাসবে নাকি অন্য কাউকে বিয়ে করে নিবে

– তোমার মাথা ঠিক আছেতো। এসব কি বলছো? তোমার আবার কি হবে? উল্টা- পাল্টা বলো না তো। তোমার কখনও কিছু হবেনা।

– আমরা যা করি তাতে আমাদের শত্রু অনেক বেশি। কখন কি হয়ে যায় জানি না। অনেক লোক আমাদের মারার জন্য পিছু পড়ে আছে

– আমার একটা কথা রাখবে

– বলো

– এসব থেকে ফিরে এসো। ভালো হয়ে যাও প্লিজ। আর কখনও কারও সাথে মারামারি করো না। আমার জন্য সবকিছু ছেড়ে দেও প্লিজ। আমি তোমাকে হারাতে পারবো না। আমি চাই সবসময় তুমি আমার পাশে থাকো

– তোমাকে খুশি করতে গেলে বাকি ৫০ জনকে কষ্ট দিয়ে ফেলবো আমি। আমাদের সাথে যাদেরকে দেখছো ওরা সবাই আমার ভাইয়ের মত। আমি ওদেরকে ছেড়ে আসতে পারবো না

– সবাইকে বুঝিয়ে বলো এসব থেকে দূরে চলে আসতে

– তা আর সম্ভব না। অনেক কিছুই আছে যা তুমি জানো না। হয়তো কখনও জানতেও পারবে না
আমাদের কষ্টের কথা না জানাই ভালো

– কি এমন রহস্য যা আমাকে বলতে পারবেনা

– সময় হলেই জানতে পারবে

– তোমাকে একটা কথা বলি আশা করি শুনবে। প্রথম রবিকে কোন মেয়ের জন্য পাগল দেখেছি। ও কখনও কোন মেয়ের সাথে কথা বলতো না। সবসময় তাদের এড়িয়ে চলতো। হঠাৎ মেঘাকে দেখে

প্রথম রবিকে এতটা খুশি দেখেছি আমি। ও মেঘার জন্য পাগল। তুমি মেঘাকে বুঝিয়ে বলো। তোমরা সবাই মেঘাকে বুঝিয়ে বললে হয়তো রবির সম্পর্কে ওর খারাপ ধারনাটা চলে যাবে

– তোমার কি মনে হয় আমি মেঘাকে বলিনি। অনেক বলেছি ওকে। কিন্তু ও আমাদের কারও কথাই শুনে না। ও রবি ভাইয়াকে নিজের চোখে অনেক বার মারামারি করতে দেখেছে তাই এখন আমরা যা বলিনা কেনো ও বিশ্বাস করবেনা

ও উল্টো আমাকে বলে তোমার সাথে রিলেশন না রাখতে। তোমরা সবাই নাকি অনেক খারাপ। মেঘা অনেক রাগি। একবার যাকে ও খারাপ ভাবে তাকে যদি দুনিয়ার সবাই ভালো বলে তবুও ও বিশ্বাস করবে না

মেঘা রিয়ানকে বলল, তুমি এখানে আর আমি তোমাকে খুজতেছি

– তোমার না ক্লাস আছে

– ক্লাস করতে ভালো লাগছে না। তোমার সাথে আড্ডা দিবো

কিছুখন পর

রবি মেঘার পিছু আসতেছে আর মেঘাকে বলতেছে, ওই জানপাখি তুমি মেয়ে হয়ে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে হাঁটো? আমি তো পারতেছিনা

তোমার সাথে কথা আছে দাঁড়াও জানপাখি। রবি দৌড়ে মেঘার সামনে চলে আসলো। মেঘা রবিকে বলল, আমাকে আর কখনও এইসব বাজে নামে ডাকবেন না

– জানপাখি রাগ করেছো?

– আবার, ওই তোকে আর কতবার বলবো আমি তোকে ভালোবাসিনা তারপরও আমার পিছু আছিস কেনো?

– তুমি ভালো না বাসলেও আমি তো তোমাকে ভালোবাসি জানপাখি

– থাপ্পর খেলে ভালোবাসার ভুত মাথা থেকে বের হবে। তোর বাবা- মা তোকে কি এই শিক্ষা দিয়েছিলো যে কলেজে এসে মেয়েদের বিরক্ত করিস

– আমার বাবা- মা নাইতো জানপাখি আমি অনাথ

চলবে—

( ১মাস পর আমার পরিক্ষা তাই পড়াশুনা নিয়ে একটু ব্যাস্ত আছি। প্রাইভেট, বাসায় পড়তে হয় তাই গল্প লিখার সময় হয়ে ওঠেনা তেমন একটা এই কারনে পর্বগুলো একটু ছোট হয় )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here