অনন্যময়ী
সানজিতা তুল জান্নাত
পর্ব-০৩
গাড়ি থেকে নেমে এক পা দু পা করে বাড়ির দিকে এগিয়ে যায় অনি আর জাহানারা বেগম।আলোকোজ্জ্বল উৎসবমুখর পরিবেশ, লোক সমাগম ম্লান হয়ে গেলে আলোকবাতি গুলো এখনও জ্বলছে।গান বাজনা বন্ধ হয়ে গেছে ছোটদের ছোটাছুটি আনন্দ উল্লাস নেই বড়দের কাজের ব্যস্ততা নেই আত্মীয় স্বজনরা চলে যেতে শুরু করেছে। সকাল পর্যন্ত ডেকোরেশন এর লোকজন বাড়িটাকে নতুন করে রঙবেরঙ এর আলোয় সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত ছিল তারাই সাজসজ্জা বিলীন করে দিতে পুনরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জাহানারা বেগম বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলে অনিও তার পেছনে পেছনে ভেতরে প্রবেশ করে। ড্রইংরুমের সোফায় বসে আছেন অদ্রির বাবা মা অনামিকা আর আশরাফ শেখ। অতিরিক্ত কান্নার ফলে অনামিকার চোখমুখ ফুলে গেছে। অনির দিকে শান্তভাবে তাকিয়ে তিনি তার দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন যেটা অনির চোখ এড়ায় না। তবে এতে অনির কোন ভাবান্তর হয় না। আশরাফ সাহেবের চোখেমুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। তার আদরের ২ মেয়ের জীবন আজ এলোমেলো।অনিকে বাড়ি ফিরে আসতে দেখে তিনি আরো বিচলত হয়ে পরেন। রিশাদের জন্য তার চিন্তা আরো বেড়ে যায়।
অনি কারো সাথে কোন কথা না বলে সিঁড়ির দিকে পা বাড়ায়।আশরাফ অনিকে পেছন থকে ডাকে অনি সেই ডাক উপেক্ষা করে তার ঘরের দিকে যায়।জাহানারা বেগমও হতাশ হয়ে তার ঘরে চলে যায়।
ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে অনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করে।লাল বেনারসিতে অনিকে বেশ মানিয়েছে।এর আগে কখনো অনি শাড়ি পরেনি এই প্রথম সে শাড়ি পরেছে।সারাদিনের ধকলে শাড়িটা এলোমেলো হয়ে গেছে ;সেফটিপিনের জোরে এখনও খুলে যায়নি।চোখের কাজল খানিকটা লেপ্টে গেছে তবে তা অনির সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।সারাদিন না খেয়ে থাকায় তার চোখমুখ শুঁকিয়ে গেছে। খাবারের তাগিদ সে এই মূহুর্তে অনুভব করতে পারছেনা।অনির মেকাপ বিহীন মুখটা বেশ ফ্যাকাসে লাগছে।লাল বেনারসি গা ভর্তি গহনায় অনির নিজেকে বড্ড বেমানান লাগছে। অস্বস্তি তার চোখেমুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।একরাশ বিরক্তি নিয়ে অনি তার হিজাবটা খুলে ফেলে। একে সব গয়না গুলো ফেলে; এখন তার বেশ হালকা লাগছে।ওয়ারড্রব থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।লাল বেনারসি পরিহিত অবস্থায় শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে যায়।শুন্য তার দৃষ্টি নির্বিকার চাহনি।অসহায়ত্বর লেশ মাত্র নেই। লাল বেনারসি গড়িয়ে টপটপ করে পানি ফ্লোরে পড়ছে। পানি পড়ার শব্দটা অনির কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছে।
গোসল শেষ করে অনি দীর্ঘ সময় পর বেরিয়ে আসে।ক্লান্ত শরীরে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই তন্দ্রাভাব চলে আসে।
____________________________
নদীর পাড়ে দূর থেকে আবছা আবছা এক অচেনা ছায়ামানবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বেশিদূর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছেনা। অনির মনে হচ্ছে ছায়ামানব তাকে বার বার ডাকছে;কারো গুঞ্জন অনির কানে ভেসে আসছে। মেঘের মত ঘন কুয়াশা ভেদ করে অনি গুটি গুটি পায়ে ছায়ামানবের দিকে এগিয়ে যায়।যতদূর যায় ছায়ামানব ততই কাছে চলে আসে যেন।আর্তনাদের তীব্র গুঞ্জন অনির কানে বাজতে থাকে। কান তার মস্তিষ্ককে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জানান দিতে থাকে।ছায়ামানবের কাছে আসতেই তা অনির সামনে থেকে দূরে যেতে যেতে ধীরে ধীরে শূন্যে মিলিয়ে যেতে থাকে। কেউ তাকে অনন্যময়ী বলে সম্বোধন করছে। অনি কোন সাড়া দিতে পারছে না তার মস্তিষ্ক শব্দহীনতায় ভুগছে।অতঃপর তার কানে ভেসে আসে তীক্ষ্ণ আহাজারি।শব্দ গুলো তার কান অবধি পৌঁছায় ঠিকি তবে মস্তিষ্কে পৌঁছানোর পূর্বেই অনির তন্দ্রাভাব কেটে যায়।
স্বপ্ন দেখে অনি ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়।মাথার উপর ফুল স্পীডে ফ্যান ঘোরা সত্ত্বেও কপাল বেয়ে টুপ টুপ করে ঘাম ঝরছে। ভেজা চুলগুলো অবিন্যস্তভাবে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে। জামার পিছনের অংশ ভিজে চিপচিপ করছে।বিছানার একপাশ চুলের পানিতে ভিজে গেছে।নিত্যদিনের অসহ্যকর মাথা ব্যথা প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়ে ওঠে।তীব্র মাথা ব্যথায় অনির অস্থিরতা বেড়ে যায়। চোখ ফেটে অশ্রু গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে। এ যেন এক শব্দহীন বোবা কান্না যা অনির কাছে বেশ অস্বাভাবিক লাগছে।লম্বা লম্বা শ্বাস নিয়ে অনি তার অস্থিরতা কমানোর চেষ্টা করছে।
দূর থেকে আযানের ধ্বনি অনির কানে ভেসে আসে।বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দেয়।ফ্রেস হয়ে অযু করে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে ফ্লোরে জায়নামাজ বিছিয়ে ফজরের নামায আদায় করে নেয়। মোনাজাত শেষ করে অনি উঠে পুনরায় কিছুক্ষণের জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।বাইরে এখনো আঁধারভাব কাটেনি।মাথাব্যথাটা আরো তীব্র আকার ধারণ করছে।
মাথাব্যথার হাত থেকে রেহাই পেতে রুম থেকে বেরিয়ে সোজা রান্নাঘরে চলে যায়। একমগ কফি বানিয়ে নিয়ে মেইনগেট খুলে খালি পায়ে ওড়নাটা মাথায় তুলে দিয়ে চুল ঢেকে বাগানে চলে যায়। অনির ধারণা এই এক মগ কফি তার মাথা ব্যথা নির্মূল করে দিতে পারে। বাস্তবিকপক্ষে ঘটেও সেরকমই। কফির মগে চুমুক দিতেই অনি এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করে।যা তার মাথা ব্যথা সারানোর মহৌষধ।ভোরবেলার সূর্যোদয়ের প্রতি অনির প্রবল আর্কষণ অনুভব করে।তাইতো সে জায়নামাজ ছেড়েই প্রতিদিন সূর্য দেখায় মগ্ন হয়।আজও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
নির্বিকার ভঙ্গিতে অনি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।আশে পাশে পাখিদের আনাগোনায় পরিবেশের স্নিগ্ধতা যেন আরো উপচে পড়ছে।নগ্ন পায়ে শিশির বিন্দুর ছোঁয়া তার অনুভূতি গুলোকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে।উদাসভাবে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ে।
কিছু একটা ভেবে সে বাড়ির ভেতরে চলে আসে কফির মগ তখনও তার হাতে ছিল। প্রবেশদ্বারে এসে অনি জাহানারা বেগমের সম্মুখীন হন। জাহানারা বেগম সবে মাত্র নামায পড়ে করে কুরআন তিলাওয়াত শেষ করে ড্রইংরুমের দিকে এসেছিলেন অনির রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই।
অনি জাহানারা বেগমকে দেখে সালাম দেয়।জাহানারা বেগম সালামের জবাব দিয়ে অনিকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। খালি পায়ে সাদা সালোয়ার কামিজে অনিকে বেশ স্নিগ্ধ লাগছে। চোখমুখ শুকনো শুকনো লাগছে তাতেও অনিকে বেশ মায়াবী লাগছে।চোখ দুটো সামান্য লাল হয়ে আছে যার কারণটা জাহানারা বেগম অনুধাবন করতে পারেন না। তিনি অনিকে কিছু বলতে চেয়েও এক অজানা সংকোচবোধ তাকে যেন আটকে দিচ্ছে।
অনি জাহানারা বেগমের পাশ কাটিয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে যায়।জাহানারা বেগম অনির গমন পথের দিকে তাকিয়ে থেকে তার পিছনে পিছনে রান্নাঘরে চলে যান। রান্নাঘরে তখন মিতালি রান্নার যোগাড় করছিল। মিতাল এ বাড়ির কাজের মেয়ে। তার বয়স বিশেত বেশি হবে না।বেশ পাতলা ছিমছাম গড়নের চেহারা। গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা। ছয় বছর ধরে এবাড়িতে কাজ করছে। মিতালির বাড়ি আশরাফ খানের গ্রামে। মিতালির বাবা মা মারা যাওয়ার পর তার বড় ভাইরা মিতালিকে জোর করে বিয়ে দিতে উদ্যত হয়। তখন মিতালির বয়স ছিল মাত্র চৌদ্দ। আশরাফ খান এই বিয়ের বিরোধিতা করলে তার ভাইয়েরা ক্রুদ্ধ হয়। তখন আশরাফ সাহেব মিতালির দায়িত্ব নিয়ে এ বাড়িতে নিয়ে আসে।তিনি মিতালিকে পড়াতে চাইলে মিতালি না করে দেয়। বাড়ির টুকটাক কাজে সাহায্য করে। মিতালিকে সবাই এ বাড়িরই একজন সদস্য মনে করে।মেয়েটাকে অনির বেশ ভালো লাগে। একটু চঞ্চল স্বভাবের তবে বেশ ভালো মনের অধিকারী। সুযোগ পেলেই মিতালি অনির সাথে গল্প করতে চলে যায়। অনি তার সাথে কম কথা বলে। হু হা করে কথার জবাব দেয়। তবে মিতালির সাথে অনির সময় কাটাতে মন্দ লাগে না। এ বাড়িতে খুব কম মানুষের সাথেই অনির কথা হয়। অনি নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে রাখার চেষ্টাই করত। কেননা সে এসেছিল কিছুদিনের অতিথি হয়ে তাই কারো সাথে মায়ায় জড়াতে চায় নি। তবে এখন সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেছে অনির জীবনে। অনি জানে না তার জীবনে কি ঘটতে চলেছে। তার মনে এক বিশাল প্রশ্ন সে কি আবার তার আগের জীবনে ফিরতে পারবে????
অনিকে এত সকালবেলা রান্নাঘরে দেখে মিতালি খানিকটা অবাক হয়ে যায়।
-একি আপুমণি আপনি এত সক্কাল সক্কাল রান্না ঘরে কি মনে কইরা আইলেন??কিছু লাগলে আমারে কইলেই পারতেন।(মিতালি)
অনি হাতের মগটা রেখে মিতালির উদ্দেশ্যে বলল-আমি আজকে রান্না করব।তুমি আমাকে সাহায্য করবে।রান্নাঘরে কোথায় কি আছে তা আমি জানিনা।না হলে আমি সব একাই করতে পারতাম।
-একি আপামণি আমি থাকতে আপনে ক্যান রান্না করবেন। আর রান্না তো বড় মাই করে।আইজ বড়মা মনডা খারাপ তাই রান্নাঘরে আসে নাই এহনও।বড় মা না থাকলে আমিই সব রান্না করি। বড় মা আমারে সব রান্না শিকাই দেছে।আজ আমার হাতের রান্না খাইয়া দেখবেন কেমন লাগে। (মিতালি)
– আমি আজকে রান্না করব।তুমি শুধু আমাকে সাহায্য করবে।আর কিচ্ছু শুনতে চাই না আমি।(অনি কথাগুলো বেশ গম্ভীর ভাবে বলে)
মিতালি অনির কথায় খানিকটা ভড়কে গিয়ে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়।এছাড়া মিতালির আর কিছু করারও নেই।মিতালি অনির কথামতো অনিকে রান্নাঘরে কোথায় কি আছে তা দেখিয়ে দেয়।তারপর অনি মিতালিকে সবজি কাটতে দিয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
রান্নাঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে জাহানারা বেগম অনির সব কার্যক্রম নীরবে লক্ষ্য করেন। জাহানা বেগম বেশ বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতী মহিলা। তবে অনির ক্ষেত্রে তার কোন বুদ্ধিমত্তাই কাজে আসে না। অনির নির্বিকার চাহনি থেকে তিনি তার মনের অবস্থাটা ঠাওর করতে পারেননা। বার বার তিনি হতাশ হয়ে যান।তবুও তার স্নেহের নাতনির জন্য তিনি হাল ছাড়েননা।
দরজায় দিদাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অনি বলে;
দিদা ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?কিছু বলার থাকলে ভেতরে এসে বলো। তুমি এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমি ঠিকমত রান্না করতে পারব না কিন্তু।পরে রান্না খারাপ হলে আমাকে ডোষ দিতে পারবেনা।
অনির কথায় জাহানারা বেগম হকচকিয়ে যান।তিনি অনির পাশে এসে দাঁড়ান।
-এত সকাল সকাল রান্না করছিস যে তুই তো এখানে আসার পর থেকে রান্না করিসনি কোনদিন।
-এখানে এসেছিই কয়েকদিন হলো।আশেপাশের মানুষগুলোকে দেখতে দেখতেই কিভাবে দিনগুলো কেটে গেল। রান্না করার সুযোগ পেলাম কোথায়?
অনি বেশ স্বাভাবিকভাবেই জাহানারা বেগমকে কথা গুলো বলে।এতে জাহানারা বেগম ও মনে মনে বেশ শান্তি পান।তবে তার চিন্তার অবসান হয় না।
অনি পুনরায় বলে;দিদা আমাকে একটু পর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবে একটু??ওই বাড়ির সবাই হয়ত না খেয়ে আসে।
অনির কথা শুনে জাহানারা বেগম এবার পুরো ঘটনাটা বুঝতে পারেন।এত কিছুর মধ্যেই অনির কথায় খুশিতে তার চোখমুখ যেন চকচক করে ওঠে।তার চোখের কোণায় জল চলে আসে।
তিনি অনিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।
-হয়েছে দিদা এখন যাও তো আমাকে রান্না করতে দাও।তুমি এভাবে তাকিয়ে থাকলে আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে।
জাহানারা বেগম অনির কথায় মুচকি হেসে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে যান।
অনি কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
অনি একে একে সব রান্না শেষ করে।বাড়ির সবার জন্য সাদা ভাত,গরুর মাংসের ভুনা,চিংড়ি মাছের মালাইকারি রান্না করে।আর রিশাদের জন্য চিকেন স্ট্রু আর ভুনাখিচুড়ি বানিয়ে মিতালি কে বলে টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে নেয়।হাতের কাজ সব শেষ করে অনি ফ্রেশ হয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।
অনি ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো বেঁধে চোখে সুরমা লাগিয়ে নিজেকে হিজাবে আবৃত করে নেয়।
ঘর থেকে বেরিয়ে অনি সোজা জাহানারা বেগমের কাছে যায়।জাহানারা বেগম নিজেও
অনির জন্যই অপেক্ষা করছিল।অনি জাহানারা বেগমকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয়।
বেরিয়ে আসার সময় অনির কানে ভেসে আসে;
-অনন্যময়ী………..
(চলবে)