#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু
পার্টঃ০৯
,
বাবা মাকে উদ্দেশ্য করে বলেলেন যে-
,
বাবাঃ তোমাকে আমি যা বলেছি তা মনে আছে তো?
মাঃ হ্যা মনে আছে।
,
অতঃপর মা উনার রুমে গিয়ে একটা বাক্সতে কি যেনো আনলেন। তারপর আমার কাছে এসে সেটা আমার হাতে দিয়ে বললেন-
,
মাঃ এইখানে একটা হার আছে মা এটা আমার শাশুড়ীর এটাকে কখনো হাড়িয়ে ফেলো না না। এটা আমার শাশুড়ী আমাকে দিয়েছিলো এখন আমি তোমাকে দিলাম।
হায়াতঃহু।
,
অতঃপর বাবা আমাদের দিকে উদ্দেশ্য করে বললেন-
,
বাবাঃ তোমাদের যে বিয়ে হয়েছে এটা তো আত্মীয় শজন কেও জানে না সো আমি ভাবছি তোমাদের রিসেপশন পার্টি টা একটু বড় করে দিবো।
,
রুমে বসে আছি অনেক আনন্দ লাগছে। বাবা বলেছে কালকে আমাদের রিসিপশন অনুষ্ঠান হবে। হঠাৎ করে মাইশা আপু রুমে ঢুকলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক রেগে আছে আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি উনি আমার কাছে এসে বললেন-
,
মাইশাঃ কি দিয়ে আমার মুরাদ কে বশ করেছো তোমার ওই শরীর দিয়ে। তা নাহলে তোমার মধ্যে আমি এমন কিছুই দেখতে পারছি,,,,,,
,
আমি মাইশা আপু কে থামিয়ে দিয়ে বললাম-
,
হায়াতঃ চুপ করুন আপু ছেলেদের শরীর দেখানো আপনাদের মতো মেয়ের কাজ আমার না বুঝছেন।
মাইশাঃ বাহ্ এসেই দেখি তেজ বেরে গেছে শুনে রাখো তোমার কাছ থেকে আমি মুরাদ কে ছিনিয়ে নিবো আর তুমি তা চেয়ে চেয়ে দেখবে জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
,
কথাটা বলেই মাইশা আপু চলে গেলেন। কিন্তু আমার মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করছে। উনি যা বললেন তা কি সত্যি করবেন নাকি। তখনি দরজার ঢেলে ভিতরে মুরাদ ভেতরে প্রবেশ করলো আর আমার কাছে এসে বললো-
,
মুরাদঃ তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে বউ।
আমি উনাকে জড়িয়ে ধরে বললাম-
হায়াতঃ আপনি আমাকে ছেড়ে যাবেন না তো?
মুরাদঃ সেটা সময় বলবে বউ।
হায়াতঃ মানে?
মুরাদঃ কিছু না। আজকে বিকেলের সারপ্রাইজ এর জন্য প্রস্তুত থেকো।
হায়াতঃ হু।
মুরাদঃ আর শুনো তোমার মামা-মামী কেও বলেছি আসতে বুঝছো
হায়াতঃ এতো সুখ কপালে থাকবে তো
মুরাদঃ কে বলতে পারে নাও থাকতে পারে।
হায়াতঃ মানে কি বলতে চাচ্ছেন আপনি?
মুরাদঃ ওহ্ কিছু না। আজকে তুমি অনেক সুন্দর করে সাজবে ওকে।
,
কথাটা বলে মুরাদ চলে গেলো আর আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। উনি এতোখন কি বুঝাতে চাইছিলেন আমাকে। তখনি ফোনে একটা ফোন আসলো। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি খুশি ফোন করেছে। কল টা রিসিভ করতেই ওই পাশ থেকে খুশি বলে উঠলো–
,
খুশিঃ কিরে শশুর বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের ভুলে গেলি নাকি?
হায়াতঃ তেমন কিছু না আপু।
খুশিঃ হুম বুঝি বুঝি।
,
এভাবে কিছু খন আপুর সাথে কথা বললাম। অতঃপর ফোন রেখে রান্না ঘরে গিয়ে মার রান্না কাজে সাহায্য করলাম। কিন্তু অবাকের বিষয় হচ্ছে মাইশা আপুকে কোথাও দেখলাম না মাকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন মুরাদ আপুকে নিয়ে একটু বাহিরে গেছেন মনে মনে ভয় হতে শুরু করলো। কিন্তু ওতোটা পাত্তা দিলাম না কারন উনি তো আমাকে অনেক ভালোবাসে উনি আমাকে ছেড়ে যাবে না। অতঃপর মার সাথে মজা করতে করতে সারাদিন কেটে গেলো। রাতে বসে আছি খাবার নিয়ে কিন্তু উনি আসার কোনো নাম গন্ধ নেই।
,
চলবে,,,,,,,,