অদ্ভুদ ভালোবাসা 11

0
944

#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু
পার্টঃ১১
,
রাস্তায় এলোমেলো ভাবে হাঁটছি। নির্জন রাস্তা পাশে শুধু কিছু গাড়ি চলা ছাড়া আর কিছু নেই। যে যার মতো ব্যাস্ত কারোর তো আমার মনের কষ্ট দেখার সময় আছে। যে যার মতো নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যাস্ত। আর আমি ব্যাস্ত আমার জীবনের হিসাব মিলাতে। জীবনে এ কি কখনো কিছুই পাবো না। সবাই শুধু ধোঁকা দেয় ভালোবাসতে কেউ জানে না কেনো। অসলেই কি ভালোবাসা এতোটা দামী।
,
কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,,,,,
,
মুরাদঃ লাইক সিরিয়াস আন্টি এই রাস্তার মেয়ে আসলেই আমার বউ হবার যোগ্য?
মাঃ কি বলছো এসব মুরাদ তুমি?
মুরাদঃ যা বলছি একদাম ঠিক বলেছি।
আমি মুরাদ এর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। উনি কি বলছে এসব আমি কি উনাকে বিয়ে করতে বলেছি নাকি উনি তো জোড় করে আমাকে বিয়ে করলেন। উনি আরো আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন-
মাঃ তাহলে তুমি হায়াত কে বিয়ে কেনো করেছিলে বলো। আমরা তো তোমাকে জোর করিনি ওকে বিয়ে করতে।
মুরাদঃ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। হ্যাঁ প্রতিশোধ এই রকম রাস্তার মেয়ের সাহস কিভাবে হয় আমাকে থাপ্পর মারার। আ,,,,,,,
আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই বাবা মুরাদ কে একটা থাপ্পড় দিলেন।
বাবাঃ তোমার লজ্জা করলো না একটা নিষ্পাপ মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করতে।
মুরাদঃ আরে আমি কি নষ্ট করেছি ওর মামী ওকে আমার কাছে বেঁচে দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
এসব কথা শুনে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো তার মানে মামী তখন উনার সাথে আমাকে এতো সহজে যেতে দিলো কেনো। আসলে মামী তো টাকা ছাড়া আর কিছুই চিনে না। হঠাৎ করে মামা বলতে লাগলো–
,
মামাঃ তোমার লজ্জা করে না আজীবন তো মেয়ে টাকে দেখতে পারোনি এখন টাকার বিনিময়ে মেয়ে টাকে এভাবে অন্যের কাছে ছিঃঃ!
মামী কিছু বললো না শুধু চুপ করে ছিলেন। এর মানে এই না যে উনি উনার কাজের জন্য অনুতপ্ত। আসলে উনি ঠিকি হাসতে ছিলেন কেউ খেয়াল করুক আর না করুক আমি করেছি।
মামা আমার কাছে কিছু বলতে আসলেই আমি হাত উচু করে থামিয়ে দিলাম। অতঃপর মুরাদ এর কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম-
,
হায়াতঃ কি মিঃ মুরাদ খান সামান্য থাপ্পড়ের জন্য আমার জীবন টা নষ্ট করে দিলেন। আচ্ছা মানলাম আমি রাস্তার মেয়ে এই রাস্তার মেয়ের সাথে রাত কাটাতে বাঁধে নি
মুরাদঃ তার জন্য তো তোমার মামী কে ১০ লক্ষ টাকা দিলাম।
উনি কথাটা বলতেই আমি উনাকে একটা থাপ্পড় দিলাম উনি আমার কিছু বলতে যাবে আমি তার আগে আরেকটা থাপ্পড় দিলাম। অতঃপর শান্ত গলায় বললাম–
হায়াতঃ একদিন এই রাস্তার মেয়ে জন্য না আপনাকে কাঁদতে হয়। তাকে কাছে পাওয়ার জন্য যাতে না আপনার অপেক্ষা করতে হয়। ওর সাথে এই অন্যায় করার জন্য যাতে না আপনার আফসোস হয়।
,
কথাটা বলেই দোড় দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর কাকে কি বলবো আমি তো আসলেই সবার কাছে বোঝা। আমার তো শুধু একজনের কাছে অভিযোগ সে হলো মা-বাবা কেনো আমাকে একা রেখে চলে গলো। এসব ভাবছি হঠাৎ একটা গাড়ি এসে আমাকে,,,,,,,
,
চলবে,,,,,,,,
“হায়াত কে মেরে দেই”? আর লেট করার জন্য দুঃখীত সামনে আমার পরিক্ষা এখন দেরি হবেই।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here