অদ্ভুত_অনুভূতি পার্ট_৮(লাস্ট পার্ট)

0
1388

#অদ্ভুত_অনুভূতি পার্ট_৮(লাস্ট পার্ট)
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

ছবিটা মায়ার। মায়া নিজের ছবিটা একবার দেখে অন্য পিষ্ঠায় যায়

জানো ডাইরি আজ আমার মায়ার এনগেজমেন্ট খুব খুশি আমার মায়া। ওর খুশি দেখে আমার খুব ভালো লাগছে কিন্ত কিসের একটা অসস্তি হচ্ছে বুঝতে পারছি না এত দিন মায়া আমার সাথে ছিল তাই আমি বুঝতে পারিনি কিন্ত এখন খুব কষ্ট হয়। প্রতিরাতে ওর কথা ভেবে কাদি কেনো টা আমার জানা নেই কেনো এমন হচ্ছে বলো না ডাইরি

মায়া ডাইরির পৃষ্ঠায় ভালো করে দেখে বুঝতে পারে এই ডাইরি লিখার সময় নিবিড় কান্না করে ছিল।

আরো কিছু পৃষ্টায় শুধু মায়ার কথা লিখা মায়া কি পছন্দ করে কি করে না করে সব কিছু।

মায়া ডাইরি টা বন্ধ করে চোখের পানি ফেলছে

‘” আমিও তো এমন কিছু অনুভব করতাম যখন নিবিড় আমার সাথে ছিল না। খুব অসস্তি হতো এটা কেমন অনুভূতি

মায়া এইসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে।

এদিকে নিবিড় চোখের পানি ফেলছে কি করবে কিছুই ওর মাথায় ঢুকছে না। অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিল মায়া যা চাইবে তাই করবে

এসব ভাবতে ভাবতে নিবিড় মায়ার ঘরে যায়। কিন্ত মায়া ঘুমিয়ে আছে দেখে নিবিড় ফিরে আসার সময় মায়ার আব্বু ডাক দেয়

মায়ার আব্বুর ঘরে নিবিড় বসে আছে আর সামনে মায়ার আব্বু। দুইজনের মধ্যে নিরবতা

‘” মায়া কে সুস্থ করতে তুমি আমার অনেক সাহায্য করেছো ছোট থেকে মায়া কে তুমি দেখেছো আজ আমি তোমার কাছে কিছু চাইবো

‘” আংকেল এভাবে কেনো বলছেন আপনি শুধু আদেশ করেন কি করতে হবে

মায়ার আব্বু কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলতে শুরু করে

‘” আসলে এই সময় মায়ার পাশে কাউকে খুব দরকার আমি তো আজ আছি কাল নেই তাই আমি চাই তুমি মায়া কর

বাকি কথা বলার আগেই বাইরে থেকে চিৎকার আসে । নিবিড় আর মায়ার আব্বু ঘর থেকে বের হয়

বেরিয়ে দেখে আবির (নির্ঝরের বন্ধু) আর নির্ঝরের আব্বু দাড়িয়ে আছে ।

আবির এর হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ করা।

নিবিড় আর মায়ার আব্বু অবাক হয় জিজ্ঞেস করছে

‘” কি ব্যাপার তুই এই সময় এখানে আর এই ছেলে কে ওর এই অবস্থা কেনো

নির্ঝরের আব্বু কিছু না বলে নিবিড়ের কাছে এসে ঠাসসসসস

নিবিড় গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে কি হচ্ছে বুঝতে পারছে না । মায়ার আব্বু বলে

‘” তুই কি পাগল হলি ওকে কেনো মারছিস

নির্ঝরের আব্বু কোনো কথা না বলেই নিবিড়ের কলার ধরে

” তুই আমার ছেলেকে কেনো মেরেছিস বল কেনো মেরেছিস কি ক্ষতি করে ছিল ও তোর বল

‘” তুই এসব কি বলছিস নিবিড় কেনো নির্ঝর কে মারতে যাবে

তখন আবির বলে উঠে

‘” ও নির্ঝর কে মেরেছে আর আমাকে ও মারতে চাইছিল

‘” এসব মিথ্যে নিবিড় কেনো এমন করবে আর নির্ঝরের মৃত্যু তো পা ফিসলে হয়েছে

‘” না ও আমার নির্ঝর কে মেরেছে মায়া কে পাওয়ার আসায় । তোকে আজ আমি মেরে ফেলবো

কথাটা বলে নিবিড় কে মারতে গেলে পিছন থেকে মায়া চিৎকার করে বলে

‘” নির্ঝর কে নিবিড় না আমি মেরেছি

সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখে মায়া দাড়িয়ে আছে চোখে তার পানি।

সবার এত চিৎকারে মায়ার ঘুম ভেংগে যায়। বাইরে আসতেই এসব কথা শুনে মায়ার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । ওর করা ভুল নিবিড় কেনো ভোগ করবে

নিবিড় মায়া কে চুপ করতে বলে কিন্ত মায়া শুনে না। মায়া কে থামিয়ে আবির বলে

‘” মায়া তুমি কিছু জানো না ও নির্ঝর কে মারছে আর আমাকে ও মারতে গিয়েছিল। ও এখানে আসছে প্রতিশোধ নিতে

‘” ওহ রিয়েলি কিসের প্রতিশোধ । আপনারা কি করছেন যে নিবিড় আপনাদের মারতে চাইবে

নির্ঝরের আব্বু মায়া কে বলে

‘” মায়া মা তুমি কিছু জানো না এই ছেলে খুনি তোমাকে আর তোমার বাচ্চার ক্ষতি করতে এখানে আসছে

‘” আব্বু প্লিজ আপনি কিছু জানেন না নিবিড় খুনি না । খুনি হলো নির্ঝর

তার আগে হিসাব টা মিটিয়ে নি

মায়ার আব্বু অবাক হয়ে সব বুঝার চেষ্টা করছে কি হইছে। নিবিড় মায়া কে আটকাতে চাইলে মায়া শুনে না

আবির এর সামনে গিয়ে বলে

‘” তো বলেন কিসের প্রতিশোধ নিতে চাইছে নিবিড়

আবির এর ঘাম বের হয়ে যাচ্ছে । মায়া একটা হাসি দিয়ে বলে

‘” আমি বলছি কি হইছে

এবার মায়া বলতে গেলে আবির পিছিয়ে যায়।কিন্ত যেতে পারে না দরজা বন্ধ করা।

‘” কি মিস্টার আবির খুব তো নিবিড় কে দোষী বানাতে চাইছেন এখন আপনার কি হবে (বাকা হেসে)

মায়া নির্ঝরের আব্বুর কাছে গিয়ে বলে

‘”” আব্বু এখন যাকে খুনি বলছেন সব জানার পর আপনি বাঁচতে পারবেন তো

‘” খুনি কে খুনি বলছি ভুল কিছু বলি নি তো

“‘ হা আপনারা ত ভুল করতেই পারেন না । নির্ঝরের মৃত্যু আমার হাতে হয়েছে সেদিন

নিবিড় এবার চিৎকার করে বলে

‘” মায়া স্টপ ইট

‘” না আমি সবাইকে জানাতে চাই

‘” মায়া তুমি কিছু জানো না

‘” মানে

‘” আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে তাহলে সব বুঝতে পারবে

‘” কোথায়?

‘” গেলেই দেখতে পারবে

নিবিড় গাড়িতে উঠে সাথে মায়া ও। নিবিড় মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে

‘” সবাইকে আসতে বলো

নিবিড়ের কথা মত মায়া সবাইকে উঠতে বলে। নির্ঝরের আব্বু উঠতে নারাজ কিন্ত নিবিড় বলে

‘” আংকেল আপনার সব প্রশ্নের উত্তর ওখানে গেলেই পাবেন

সবাই গাড়িতে উঠে আবির এর তো ভয়ে হাত পা কাপছে ।

নিবিড় একটা কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে গাড়ি থামায়।

” নিবিড় এই জায়গায় কেনো আনছো

নিবিড় কোনো কথা বলে না সামনে হেঁটে যাচ্ছে । মায়া সহ বাইর সবাই নিবিড়ের পিছন পিছন হাঁটছে।

নিবিড় কবরের মাঝখানে গিয়ে থেমে যায় সবাই নিবিড়ের দৃষ্ঠির দিকে তাকিয়ে

সবাক চোখ কপালে। মায়া কাপা কাপা কণ্ঠে বলে

‘” নিবিড় এসব কি

নিবিড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে শুরু করে

‘” সেদিন তোমার বিয়ের দিন সকালে আমার একটা ফোন কল আসে। কল টা আমার মামাতো ভাই রাইহান করেছিল

অতীত
নিবিড় খুশি মনে কল টা ধরতেই ওপাশ থেকে বলে

‘” তুই এ কার ছবি পাঠিয়েছি দিচ্ছিস

‘” কার আবার মায়ার হবু বর এর ।

‘” মায়ার সাথে এই ছেলের বিয়ে হবে

‘” হবে না আজ বিয়ে

রাইহান অনেকটা অবাক হয়ে বলে

‘” এই ছেলের সাথে মায়ার বিয়ে তুই কি পাগল

‘” কেনো কি হইছে মায়ার পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করছে

‘” এই ছেলের সাথে মায়ার বিয়ে হলে মায়ার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে

‘” মানে

‘” এর নাম নির্ঝর চৌধুরী। এক নাম্বারের প্লে বয় মেয়েদের নিয়ে ব্যাবসা করে। ড্রাগ মেয়ের পাচারকারী সব কর কাজ । ও নিজে তো মরবে আর মায়া কে তো

‘” তুই কি sure

‘” wait আমি তোকে কিছু ছবি দিচ্ছি

নিবিড় অপেক্ষা করছে তখনই ওর ফোন মেসেজ আসে। নিবিড় মেসেজ ওপেন করতেই ওর চোখ কপালে

নির্ঝর কিছু মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে আছে আরো অনেক পিক এ নির্ঝর ড্রাগ খাচ্ছে

নিবিড় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে। কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না কিছু একটা ভেবে নিবিড় মায়ার কাছে ফোন দেয় কিন্ত মায়া ধরে না ।

বিয়ের জন্য ঢাকার বাইরে একটা সেন্টার ঠিক করছে দুই পরিবার মিলে ওখানেই বিয়ে দেবো। নিবিড় রাত কে নেওয়ার জন্য আসছে।

নিবিড় আর না ভেবে মেসেজ দেয় আর ছবি গুলো পাঠিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর নিবিড়ের ফোনে মায়ার আইডি দিয়ে মেসেজ আসে

আমি তোমার সাথে দেখা করতেই চাই। নিবিড় আর কিছু না ভেবে মায়ার দেওয়া জায়গায় যেতে গেলে রাত ও যেতে চায়।

নিবিড় রাতকে নিয়ে মায়ার দেওয়া জায়গায় যায়। জায়গা টা খুব নিরিবিলি । নিবিড় রাতের হাত ধরে ডাকতে থাকে কিন্ত কোনো সাড়া পায় না

নিবিড় এবার ফোন দেয় তখনই পিছন থেকে কেউ বলে উঠে

‘” এই তো আমরা

নিবিড় পিছনে তাকিয়ে দেখে নির্ঝর আর নির্ঝরের বন্ধুরা

নিবিড় ওদের দেখে অবাক। তখন নির্ঝর বলে

‘” কি মায়ার জন্য অপেক্ষা করছিস কিন্ত মায়া তো আসবে না এই দেখ মায়ার ফোন

‘” তুই একটা ড্রাগ অ্যাডিক্টেড তোর সাথে আমি কিছুতেই মায়ার বিয়ে হতে দেবো না

নির্ঝর আর ওর বন্ধুরা জোরে জোরে হাসতে থাকে । রাত কিছুটা ভয় পেয়ে নিবিড়ের পিছনে লুকায়

‘” মায়ার সাথে তো আমার বিয়ে হবেই আর কে আটকাবে তুই সেই জন্য বেচে থাকলে তো

কথাটা বলে ওরা নিবিড় কে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকে। নিবিড় ও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বাঁচাতে

রাত একটা লাঠি নিয়ে ওদের পিছন থেকে মারে তখনই নির্ঝর এসে রাতের চুলের মুঠি ধরে । নিবিড় চেচিয়ে বলে

” নির্ঝর আমার বোন কে ছেড়ে দে ওকে কেনো মারছিস

‘” আরে আমরা কি ওকে মারতে চাইছি তুই তো ওকে আমাদের জন্য নিয়ে আসলি ইসস তোর বোন কি হট

‘” কুত্তা বা** তোর মুখ আমি ভেংগে দেবো

নিবিড় কে ওরা আধ মারা করে ফেলছে রাত বার বার ছেড়ে দিতে বলছে কিন্ত নির্ঝর রাতের চুলের মুঠি ধরে রাত কে নেশালো চোখে দেখছে

নির্ঝর এবার বলে

‘” কিরে মরছে নাকি ?

‘” মনে হয়

কথাটা বলতে দেরি কিন্ত নিবিড় উঠে ওদের গায়ে লাথি মারে আর নির্ঝরের কাছে এসে নির্ঝরকে মারতে শুরু করে

তখনই পিছন থেকে নিবিড় কে গুলি করে । নির্ঝর উঠে নিবিড় কে ইচ্ছা মত মারে নিবিড় আর পারলো না রাত বার বার নিবিড় কে বাঁচাতে চাইলে আবির রাত কে ধরে রাখে।

‘” এবার দেখ তোর সাথে কি করি

নিবিড় কে বেধে রাখে নিবিড়ের এখনও হুস আছে।

আবির নির্ঝর কে বলে এই মেয়ে কে কি করবি ।

‘” কি করবো মানে এনজয় করবো

নিবিড় চিৎকার দিয়ে বলে

‘” না আমার বোন কে ছেড়ে দে প্লিজ তোদের পায়ে ধরে

নিবিড়ের কথা কারোর কানে পৌঁছাল না । রাত কে ওরা সবাই মিলে …

নিবিড় নিজের চোখ বন্ধ করে নিল নিজের কলিজার বোনের এমন দৃশ্য কোনো ভাই মেনে নিতে পারবে না । একটা ভাই যখন নিজের বোন কে বাঁচাতে পারে না তখন তার কাছে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

রাতের চিৎকার নিবিড়ের কানে আসছে। রাত এসব সহ্য করতে না পেরে ওখানেই মারা যায় আর নিবিড় আধ মরা হয়ে আছে

আবির বলে

” এখন কি করবি এ তো মারা গেসে

‘” মাটি দিয়ে দেবো আর কি সামনে কবরস্থান আছে সসম্মানে মাটি দেবো যতই হোক আমার বউ এর বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা

নির্ঝর আর ওর বন্ধুরা রাত কে মাটি দিয়ে দেয়। নিবিড়ের তখনও নিশ্বাস চলছিল। নিবিড় কে ওরা জীবন্ত মাটি দেয়

বর্তমান
সবাই অবাক হয়ে শুনছে নিবিড়ের চোখে পানি। মায়া ভাবতেই পারছে না এত কিছু হইছে

‘” সেদিন আমাদের মাটি দিয়ে নির্ঝর তোমাকে বিয়ে করে অন্য কোথাও নিয়ে যায় যাতে তুমি আমার খবর না পাও । আমি আমার বোন কে বাঁচাতে পারলাম না ওই অমানুষ দের হাত থেকে

মায়া কাপা কাপা কণ্ঠে বলে

‘” তার মানে না এটা হতে পারে না

‘” হা আমি মারা গেছি । রাত একা মারা যায়নি আমিও ওর সাথে মারা গেছি

রাইহান নির্ঝরের ব্যাপারে সব জানে তাই নির্ঝর রাইহান কে মেরে ফেলে। আমি প্রতিশোধ নিতে আসিনি এসেছি তোমাকে বাঁচাতে । কিন্ত চোখের সামনে আমার বোনের খুনি দের দেখে থাকতে পারিনি তাই এক এক করে সবাই কে মেরে ফেলি শুধু আবির আর নির্ঝর বেঁচে ছিল। নির্ঝর কে আমি কখনোই মারতাম না শুধু তোর জন্য আর আবির কে ও আমি মারতে চাইনি

‘” আবির কে আমি মারতে লোক পাঠিয়েছিলাম

সবাই অবাক হয়ে মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে

‘” হা আমি এত সব জানতাম না শুধু জানতাম রাত কে নির্ঝর মেরে ফেলছে আর ওর বন্ধুরা তাই আবির কে মারতে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্ত বেঁচে যায়

আবির এসব শুনে ভয়ে পিছিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে রাস্তায় চলে যায় তখনই একটা ট্রাক এসে মেরে দেয় আবির কে ।

মায়ার আব্বু বলে

‘” প্রকৃতি কখনো কারোর শোধ রাখে না

নির্ঝরের আব্বু সব শুনে স্তব্ধ হয়ে গেছে। মায়া নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে আছে

” আমাকে যেতে হবে তবে তোমাকে বলতে চাই আমি জানিনা তোমার প্রতি আমি এক #অদ্ভুত_অনুভূতি অনুভব করি। কেনো সেটা জানিনা

“” নিবিড় না প্লীজ না প্লিজ

নিবিড় মায়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি আসে মায়া চিৎকার করে কেঁদে উঠে

৫বছর পর

একটা মেয়ে গুটি গুটি পায়ে এই ঘর থেকে ওই ঘর ঘুরে বেড়াচ্ছে আর তার পিছনে মায়া দৌড়াচ্ছে

“‘” রাত মামনি এখন যদি তুমি না খাও তাহলে কিন্ত আমি চলে যাবো আর আসবো না

পিচ্ছি মেয়েটা নিজের দুই ঝুঁটি বের করে বলে

‘” আমিও যাবো

‘” না আমি তোমাকে নেবো না যদি খাও তাহলে গল্প শুনাব

” আচ্ছা

পিচ্ছি মেয়েটা মায়ার হাতে খাবার খেয়ে নিল। তখনই মায়ার আব্বু আসলো

‘” আমার দিদিভাই কি করছে

‘” তোমার দিভাই কে একটা রাক্ষসী জোড় করে খাওয়াচ্ছে

মায়া চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই রাত কান ধরে বলে সরি

মায়া হেসে দেয়। রক্ত নির্ঝরের হলে কি হবে কাজ সব নিবিড়ের মত । হ্যা রাত মায়ার মেয়ে।

সেদিন নিবিড় চলে যায় ওর তো যেতেই হবে এটাই তো নিয়ম । নির্ঝরের আব্বু সব সহ্য করতে না পেরে ষ্টক করে মারা যায়। মায়া নিবিড়ের ছবি দেখেই দিন পার করে দেয় আর নিবিড় কিছু চিঠি রেখে গিয়েছিল মায়ার জন্য সেইগুলো দিয়ে দিন চলে যায়।

মায়ার দুনিয়া বলতে নিবিড়ের চিঠি আর রাত। রাতকে মায়া নির্ঝরের পরিচয়ে না নিবিড়ের পরিচয়ে বড় করছে । মায়ার কথা কোনো খুনীর পরিচয় নিয়ে রাত বড়ো হবে না। মায়া নিজের মেয়েকে নিবিড় এর আদর্শে বড়ো করছে । রাত নির্ঝর কে যতটা না চিনে তার থেকে বেশি চিনে নিবিড় কে।

“‘ আচ্ছা আমি বকে দেবো

‘” না না তোমাকে বকতে হবে না আমার পাপাই আসলে বকে দেবে

মায়ার বুকটা কেপে উঠলো। মায়া নিজেকে ঠিক করে বলে

‘” হুম তোমার পাপা আসবে যদি তুমি নামাজ পরে আল্লাহ কাছে পাপার জন্য দোয়া করো

‘” ওকে ম্যাম্মাম তুমি আমাকে শিখিয়ে দিও।আমি পাপাই এর জন্য দোয়া করবো আর নির্ঝর আব্বুর জন্য ও দোয়া করবো ।

‘” হুম দেবো আগে খেয়ে নাও

মায়া রাত কে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আর নিজে নিবিড়ের ছবির সামনে দাড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে এটা মায়ার রোজকার রুটিন

‘” আমাকে মাপ করে দিও আমি কখনো নিজের অনুভূতি বুঝতে পারিনি আর না তোমার অনুভূতি বুঝতে চেষ্টা করছি । খুব মিস করি তোমাকে আজ যদি তুমি থাকতে দেখতে রাত কত দুষ্টু হয়ে গেছে ঠিক তোমার মত। এখনো তোমার জন্য আমি সেই অনভুটি অনুভব করি যার কোনো নাম #অদ্ভুত_অনুভূতি ।

কিছু কিছু অনুভুতির নাম থাকে না। কিছু কিছু সম্পর্কের মানে কেউ খুঁজে পায় না তবুও সেই সম্পর্ক থেকে যায় । মায়াবীর এর সম্পর্ক তেমনি অদ্ভুত না আছে কোনো নাম না কোনো অনুভূতি ।

____________________সমাপ্ত______________

(গল্পটা খুব তাড়াতাড়ি শেষ করলাম আমার আইডি নিয়ে তো অনেক ঝামেলা তারপর এই গল্প লিখতে মাথায় অনেক চাপ পড়ে । কেমন হইছে জানাবেন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here