অচেনা তুমি পর্বঃ৪৬

0
431

#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ৪৬

Chadha jo mujhpe suroor hai

Asar tera yeh zaroor hai

Teri nazar ka kasoor hai yeh

Dilbar dilbar dilbar

Aa paas aa tu kyon door hai

Yeh ishq ka jo fitoor hai

Nashe mein dil tere choor hai

Dilbar dilbar dilbar

Ab to hosh na khabar hai

Yeh kaisa asar hai

Hosh na khabar hai

Yeh kaisa asar hai

Tumse milne ke baad dilbar

Tumse milne ke baad dilbar

Dilbar, dilbar, dilbar

Dilbar, Dilbar….

গানের সুরে তালে তাল মিলিয়ে একসঙ্গে নাচছে সাফিয়া, হীরা, মুক্তা। তিনজন তো প্রথম বার বেস্টফ্রেন্ড দের মধ্যে একজনের বিয়েতে এসে মহাখুশি। তার উপর স্বপ্ন মতিন মন খুলে নাচতে পেরেছে।

নাদিম-কোবরা স্টেজে পাশাপাশি জোড়া শালিকের ন্যায় বসে আছে। কেউ ছবি তুলছে। বড়দের মধ্যে কেউ এসে কেক, মিষ্টি খাইয়ে ফটোসেশান করছে। আবার ফটোগ্রাফার এর নির্দেশনায় দুজনে মিলে কাপল পিক ও তুলছে। আসার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত কুবরার মন খারাপ ছিলো ঠিকি কিন্তু নাদিমকে দেখার পর মনটা আবার বরফের ন্যায় গলে যায় কুবরা। তার উপর বিয়ের ব্যবস্থাপনা আর গান নাচ দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠে তার।

নাদিমও মনে মনে অনেক খুশি এ কারনে যে কুবরা তার উপর আর রাগ করে নেই। হাসি মুখে কথা বলছে, ফটো তুলছে। বেচারা লিনার ব্যাপার টা নিয়ে মনে মনে অনেক ভড়কে গিয়েছিলে যে কুবরা কি না কি করে বসে থাকে৷

চারদিকে নাচা-নাচির মধ্যে একটি কোনায় বসে সবকিছু নিশ্চুপভাবে উপভোগ করছে ইলিয়ানা। সবুজ বোরখা আর হলুদ ম্যাচিং উড়না তে আর হালকা গরজিয়েস মেকাপে পুরাই অপসরা লাগছে তাকে। এমনিও দেখতে সামিরা মাহির মতো তার উপর তার ওই বদলে যাওয়া রুপ দেখতে এবার সকল আত্মীয় স্বজনরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তাকে দেখার জন্য। তাই ওসব জনযাট থেকে বাচার জন্য কর্ণারে এসে বসে সবকিছুই দেখছে।

(“আপনার বোনের বিয়ে আর আপনি এদিকে একা বসে আছেন যে?)

আকষ্মিক আওয়াজে পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখে পারভেজ তার পাশে পকেটে হাত গুজে দাড়িয়ে আছে।

হলুদ পাঞ্জাবি আর আর জিন্সে বা হাত টা প্যেন্টের পকেটে গুজে ডান হাতে ব্রেন্ডেট বিদেশি ঘড়ি চোখে চারকোনা চশ্মা আর মুখে স্মিথ হাসি দেখে কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় ইলিয়ানা। না চাইতেই ইলিয়ানার নজর পারভেজের প্রতি আটকে থাকে এক অজানা আকর্ষণে। পারভেজের শান্ত কথা আর ভদ্র গেটাপে কেন যেন অত্যান্ত সুপুরুষ লাগছে তার।

ইলিয়ানাকে চুপচাপ থাকতে দেখে ছোট্ট কেশে গলা খাঁকারি দিয়ে ইলিয়ানার পাশের চেয়ারটায় বসে পারভেজ ।

পারভেজের নড়াচড়ার আভাস পেয়ে হুস ফেরে ইলিয়ানার। কিছুটা সংকুচিত হয়ে বসে তারপর।

পারভেজঃ আগেরবারেও শুভ্রার বিয়ের সময় দেখলাম এক কোনায় বসে ছিলেন। এবারেও সেম। আপনি কি সবসময় এমন একাকি থাকতে পছন্দ করেন?? ( কিছুটা আগ্রহী হয়ে)

ইলিয়ানাঃ না না তেমন কিছু না বলতে গেলে। আসলে ওইদিকে ছেলেরা বেশি আছে। তাছাড়া আমি তো নাচ করি না আর পারিও না তা.. তাই আর কি শুধু দেখছি আর কি….

পারভেজঃ তাই নাকি? আপনি নাচ পারেন না? তবে যে ওখানে বসে কিছু মহিলা বলাবলি করছিলো আপনাকে নিয়ে।

ইলিয়ানাঃ ক.. কি বলা… বলি করছিলো?

পারভেজঃ এইতো আপনি নাকি কয়েকদিন আগেও অন্যরকম ছিলেন খুব। কয়েকদিনের মূহুর্তে হঠাত এতো পরিবর্তন। আগে কতো নাচ, গান করতেন ইভেন নাকি মডেলিং করার ও ইচ্ছে আপনার?

এমনিতে ইলিয়ানা কারো সাথে কথা বলতে কোনো আক্ষেপ করে না। তবে ইদানীং পারভেজের সাথে কথা বলতে কেমন একটা জড়তা কাজ করে তার মধ্যে। তার উপর যখন তার অতীতের প্রসঙ্গ উঠলো খানিকটা ভড়কে যায় সে। তাও আবার পারভেজের কাছে। মনের মধ্যে কেমন একটা অচেনা আতঙ্কের সঞ্চার হচ্ছে তার মনে।

ইলিয়ানাঃ আসলে সত্যি কথা বলতে কি জানেন তো? মানুষের জীবনটা না একদম গিরগিটির মতো। গিরগিটি যেমন পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে হঠাৎই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে মানুষ ও তেমন। তবে যদি লোক দেখানো তবে সেটা তাৎক্ষনাত পারা যায়। কিন্তু যখন চিরজীবনের জন্য কোনো মানুষ তার পুরনো খোলস বদলে নতুন একটা খোলসে আবৃত হতে চায় তখন তার কিছুটা সময় লাগে।

ইলিয়ানার কথা কিছু কিছু পারভেজের মাথায় ঢুকছে। খুব মনোযোগ সহকারে ইলিয়ানার প্রত্যেকটা কথা সে শুনছে। পারভেজ কে উৎসুক দেখে ইলিয়ানা আবার বলতে শুরু করে।

“ এই যে চারপাশের লোকেরা আমাকে নিয়ে এতো বলাবলি করে। এই জন্যই আমার কিন্তু এভাবে কোনঠাসা হয়ে থাকা। হ্যা মানছি আমি কিছুদিন আগে যেভাবে চলাফেরা করতাম এখন সব কিছুই বাদ দিয়েছি। আস্তে আস্তে নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। বলতে গেলে সেই ব্যাপার টা সবাই নেগেটিভ ভাবেই নিতো। আমার পরিবার কেউ সাপোর্ট করতো না, সকলে উপর থেকে ভালোভাবে মেলামেশা করলেও অন্তরে ঠিকি আমাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা পোষন করতো। তবে সত্যি বলতে এসবে এক পর্যায়ে আমি বুঝতে পারি যে আমি কি কি করেছি, তাছাড়া অনেক খারাপ কাজ ও করেছি। শুভ্রার সাথে দেখা হওয়ার পর তার হাত ধরেই আমার বদলে যাওয়া। তাই লোকে তো অনেক কিছু বলার বলবেই। ”

ইলিয়ানার প্রত্যেকটা কথা শুনে পারভেজ মুগ্ধ হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে শুধু। মানুষ কতোটা নিখুতভাবে তার পরিচয়৷ আগে পিছে সব নিখুত ভাবে পরিদর্শন করে। ঠিক কোনো এক কারণে ইলিয়ানার হাবভাব , আচার, ব্যবহার তাকে খুব টানে। তবে মনে মনে তাকে নিয়ে খুব কৌতুহল ছিল। আর আজকের পর তো সবকিছুই তার কাছে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ইলিয়ানার সততা, নির্জড়তা , আর সাহসীকতা দেখে পারভেজ যেন তার প্রতি আরো এক ধাপ এগিয়ে আকর্ষিত হচ্ছে।

পারভেজ কে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইলিয়ানা বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো। অনেক কিছুই তো বলে দিয়েছে। নিশ্চয় অন্যদের মতো সে ও হয়তো তাকে খারাপ ভাবছে। তাই এভাবে তাকিয়ে আছে। কিংবা তার লম্বা রচনার বকবক শুনে খানিক বিরক্তবোধ ও করতে পারে।

ইলিয়ানাঃ আসলে মাইন্ড করবেন না। আমিও এমনই। একচুয়েলি একা একা বসে ছিলাম তো। ভেতর ভেতর খুব ছটফট করছিলো। কথা না বলে থাকতে পারিনা কিনা। ( মেকি হেসে ?)

পারভেজঃ ইটস অকে। মাইন্ড করার কি আছে। আমি যাস্ট…. ওই… আর কি। ( মনে মনে কথা ঘুরিয়ে দেওয়ার কিছুই পাচ্ছে না)

এবার ইলিয়ানা ও চুপচাপ বসে থাকে সাথে পারভেজ ও। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করার পর এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে হঠাৎ দুজনের চোখাচোখি হয়ে যায়। ইলিয়ানা সটান চোখ নামিয়ে ফেলে দেখা মাত্রই। না চাইতেও তার চোখ দুটি আজ ঘুরেফিরে তার দিকে আটকে যাচ্ছে।

” বাই দ্যা ওয়ে, আজ কিন্তু আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে। ” ( স্টেজের দিকে তাকিয়ে বলে পারভেজ)

ইলিয়ানা এপাশ ওপাশ তাকিয়ে দেখে সে ছাড়া কেউই নেই আশেপাশে। তারমানে কথাটা পারভেজ ইলিয়ানাকেই বলেছে। বুঝে উঠা মাত্রই মনের কোণে কেমন ভালো লাগা কাজ করছে তার। এর আগেও সে অনেকের কাছে তার রুপের প্রশংসা শুনেছে। তবে পারভেজের কাছ থেকে এমন উক্তি শুনে মনে অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করছে তার। মুচকি একটা হাসি দিয়ে “ধন্যবাদ ” জানায় পারভেজকে।

মনে মনে কথাটা বলার জন্য অনেক ছটফট করছিলো পারভেজ। না জানি কেন মনে হচ্ছে এই কথাটা বললেও অনেক কম পড়ে যাবে ইলিয়ানার প্রশংসার জন্য। সাধারণ সে এর আগে খুব কম মানুষেরই এমন রুপোপ্রসংসা করেছে। আজ আর ইলিয়ানাকে দেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারেনি সে।
এর পর দুজনই নিশ্চপ ভাবে উপভোগ করতে থাকে অনুষ্ঠান।

রাত ১১ টা বাজে। খাওয়াদাওয়ার জন্য বাইরের মানুষ সকলেই নিচের তলায় চলে গিয়েছে। বাকি যারা আছে তারা সকলেই হলো বাড়ির কয়েজন আত্মীয় । লোকজন কম থাকায় এবার সাফিয়া, হীরা, মুক্তা, মিমি সকলে মিলে শুভ্রাকে নাচার জন্য টানাটানি করছে।

শুভ্রাঃ না না ভাইইই বুঝার চেষ্টা কর। আমি নাচতে পারি না। সে কবে ছোট বেলায় নাচতাম। আর তাছাড়া আমার অস্বস্তি লাগে নাচতে আমি পারিই না।

সাফিয়াঃ একদম মিথ্যে কথা বলিস না। তোর বিয়ের ভিডিও তে দেখেছি তুই কতো সুন্দর করে ভাইয়ার সাথে নেচেছিলি। আর অস্বস্তির কি আছে ভাই এখানে তো সবাই বাড়ির ই লোকজন।

মিমিঃ হ্যা হ্যা আপু চলো না। আমিও নাচবো তোমার সাথে চলো না। ( শুভ্রাকে স্টেজের দিকে টানতে টানতে)

শুভ্রাও আর তাদের জোরাজোরি তে আটকে থাকতে পারলো না৷ সবার আবদার রাখতে গিয়ে এবার সে ও মিমি দুজনে স্টেজে উঠে আর শুরু হয়ে যায় গান ???

Mehndi lagaake aayi

Haai

Bindiya sajaake aayi

Oye hoye hoye hoye

Mehndi lagaakelagaake aayi ( কুবরাকে স্টেজে নিয়ে আসে শুভ্রা)

Bindiya sajaake aayi

Choodi khankaake aayi

Paayal chhankaake aayi

Ho ab geet milan ke gaana hai

Gaana hai gaana hai

Mujhe saajan ke ghar jaana hai ( দুজনে মিলে কুবরার থুতনি ধরে)

Haan mujhe saajan ke ghar jaana hai

Mujhe saajan ke ghar jaana hai

Mujhe saajan ke ghar jaana হাই

তিনজন একসাথে এভাবে নাচছে যেন তিন বোনের সেরা যোগলবন্ধী৷ একদম গানের সাথে তাল মিলে একই রকম খাপেখাপ সেইম ডান্স।

এদিকে নাদিম আর সাদাফ পুরাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে তাকিয়ে। নিজের বিয়েতেও হয়তো শুভ্রা এতো সুন্দর ভাবে নাচে না। ও যা সাদাফের সাথে তাল মিলিয়ে। কিন্তু তিনজন মিলে যে অসাধারণ নাচ নেচেছে যেন একেবারে পারফেক্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। নাদিম ও তাই। কুবরা বরাবরই ভালো নাচ পারে তা সে শুভ্রার বিয়েতে দেখেছে। তবে আজ নতুন বধুবেশে বিয়ের গানে নাচাতে মনে হচ্ছে সাজানের বাড়ি যাওয়ার জন্য কুবরার তার তর সইছে না৷ নাচার ফাকে যখন ই বলা হয় “মুঝে সাজান কি ঘার যানা হ্যা ” তখনই কুবরা স্মিথ হেসে নাদিমের দিকে তাকায় বারবার।

এতোক্ষন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিলো। স্টেজ থেকে নেমে কুবরার দরজার দিকে নজর যেতেই দেখে লিনা আসছে নাদিমের দিকে। এক্কেবারে ভারি মেকাম, অর্নামেন্টস, হলুদ লেহেঙ্গা পড়ে একাকার। ঢুকামাত্র সব ছেলেদের নজর যেন তার উপরই তাক করা। অবশ্য তার মুখ দেখে মনে হচ্ছে সে এটা বেশ উপভোগই করছে।

লিনা যাওয়ার আগে আগে কুবরা সটান গিয়ে নাদিমের পাশের চেয়ারটায় বসে পড়ে তারাতাড়ি। লিনাকে দেখা মাত্রই কুবরার পুরোনো ক্ষত টা যেন মনের মধ্যে আরো দগদগে হয়ে উঠে।আর নাদিম তো লিনাকে দেখা মাত্রই চোখমুখ শুকিয়ে যায় পুরো।
লিনার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কুবরার তড়িঘড়ি করে চেয়ারটায় বসা তার মুটেও পছন্দ হয় নি৷ হতে পারে সে এখানে এসে বসতে চেয়েছিলো।

লিনাঃ স্যার আপনাকে কিন্তু খুব সুন্দর লাগছে। আরে আপনার শেরোয়ানির সাথে তো আমার লেহেঙ্গার কালার পুরাই মিল। একদম পারফেক্ট ম্যাচ তাই না স্যার?

লিনার কথা শুনে রাগে গা জ্বলছে কুবরার। গায়ে হলুদে সবাই হলুদ ড্রেস পড়বে এটাই তো স্বাভাবিক৷ এখানে এতো খুশি হয়ে গদগদ করার কি দরকার!!

কুবরাঃ আপনার মনে হয় ভুল হচ্ছে মিস…. কি জানি হুয়াটএভার। একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন এখানে সকলেই সেম কালারের ড্রেস পড়েছে, আপনি একা নন। আর বিয়েটা কি আপনার? না মানে আপনার সাজগোছ আর পোশাক আশাক দেখে মনে হচ্ছে যে কনে আমি না আপনি? মানুষের তো ভুল বুঝাবুঝি ও হতে পারে বলুন… ( কৃত্রিম হেসে)

” একেই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়,, তোরে তো আমি ইনভাইট ও করিনি রে… তুই কোত্থেকে এলি। আর এলি তো এলি এভাবে সেজে গুজে আসার কোনো দরকার ছিলো? ” ( মনে মনে বলে নাদিম)

লিনা কুবরার কথাকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে নাদিমের অপরপাশে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বলে ” স্যার এদিকে দেখুন তো ছবি তুলি ”

নাদিম না পারছে মানা করতে না পারছে সহ্য করতে। কারণ সবাইতো এসে ছবি তুলছে। মানা করবে কোন কারণে।

কুবরা আর সহ্য করতে না পেরে নিজের পায়ের হাই হিল দিয়ে ঠাসসস করে নাদিমের পায়ের উপর মারে। ব্যথায় সহ্য করতে না পেরে নাদিম আহহহ করে উঠায় ছবির পোজ ই নষ্ট হয়ে যায়। লিনা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কুবরা টেনে নিয়ে চলে যায়।

কুবরাঃ চলুন চলুন খিদে পেয়েছে। খেতে চলুন। ( টানতে টানতে)

নাদিম চুপচাপ কুবরার পিছুপিছু চলে যায়।

“” বেশি হয়ে যাচ্ছে না একটু?? বিয়ে টা হোক আগে তারপর দেখাবো খেলা মেয়ে পিএ রাখার পরিনাম। আমি রাগ করেছি জানা সত্ত্বেও আপনি ওকে ইনভাইট করেছেন? আমার চেয়ে তাহলে ও মূল্যবান বেশি? “” ( কানে কানে ফিসফিস করে)

নাদিমঃ কুবরা প্লিজ শুনো আমি সত্যি…..

কুবরাঃ ব্যাস চলুন। কোনো কথা বলে এ সময়টা সিনক্রিয়েট করবেন না।

এরপর সকলে মিলে পরিবারের লোকজন মিলে খেতে চলে যায়। তারপর সেখানেও ফটোসেশান শেষে যথাসম্ভব বাড়ি চলে যায় সকলে। কারণ কাল বিয়ের আয়োজন ও করার জন্য সকাল সকাল উঠতে হবে।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here