#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ৩৬
সকাল বেলা আকাশের গায়ে শুভ্র মেঘে লালাভ রং ধরেছে। গোধূলি আলোয় রাজ্যসম বিস্ময় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশালাকার মেঘরাশি । ফিনফিনে বাতাসে ঝিরিঝিরি শীতের আভাস। বিশাল বুকটাতে এক ঝাঁক দুষ্টু মেঘ নিয়ে মৃদু মৃদু হাসছে আকাশ।
ওয়াই জংশন পাশে রেখে কলেজের সামনে গাড়ি থামতেই জানালা দিয়ে মাথা বের করল শুভ্রা। প্রায় সাথে সাথেই চঞ্চল রোদ আদুরে স্পর্শে ছোয়ে দিল তার তুলতুলে গাল, পাতলা ঠোঁট, ছোট্ট নাক আর হাস্যোজ্জ্বল মুখ। শুভ্রা সেকেন্ডের জন্য চোখ বন্ধ করল। তারপর ধীরে ধীরে চোখ মেলে চাইল মিতালি ওই আকাশের দিকে। আকাশের গায়ে আজ বন্ধুত্বের আহ্বান।
প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়ে কানে আসে একঝাক কোলাহল। এর স্পষ্ট জানান আজ থেকে পড়ালেখার আবার নতুন অধ্যায় শুরু। স্বপ্ন গুলোকে জাগিয়ে তোলার আরেকটা নতুন জীবন।
গাড়ি থেকে নেমে সাদাফকে হাসি মুখে বিদায় দিয়ে শুভ্রা আর কুবরা পার হয়ে যায় কলেজের গেটের গন্ডি। শুভ্রার পাশাপাশি কুবরা ও অনেক খুশি। তবে সেটা মোটেও পড়ালেখার জন্য নয়। নতুন কলেজ, নতুন বন্ধুবান্ধব, নতুন বই, নতুন ক্লাস, নতুন পরিবেশ টা কে উপভোগ করার আনন্দময়তা।
ক্লাসে গিয়ে দুজন লক্ষী মেয়ের মতো এক পাশে বসে। অনেকেই তাদের দিকে জিজ্ঞেসা বোধক চেহারায় তাকাচ্ছিলো আর তাদের দিকে তাকিয়ে নিজেরা কথা বলছিলো। কিছুক্ষন পর একটি মেয়ে এসে তাদের পাশে বসে।
মেয়েটিঃ আসসালামু আলাইকুম। আপনারা কি কারো গার্ডিয়ান নাকি নতুন ভর্তি হয়েছেন।
শুভ্রাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। আসলে আমরা কক্সবাজার থেকে এসেছি। বছরের মাঝে এখানে চলে আসায় এই কলেজেই পরশু ভর্তি হয়েছি।
মেয়েটিঃ ও আচ্ছা। তা আপনাদের নাম?
শুভ্রাঃ আমার নাম জান্নাতুল মাওয়া শুভ্রা।
কুবরাঃ হাই আর আমার নাম জান্নাতুল মাওয়া কুবরা। আপনার??
মেয়েটিঃআমার নাম সাফিয়া জাহান। আপনারা কি জমজ বোন?
কুবরাঃ না না আপ্পি আমার ১ বছরের বড়। একটা প্রবলেমের কারণে ওর ১ ইয়ার বাদ পড়ে যায়। তাই এখন আমি সহ দুজন একসাথে শুরু করেছি।
সাফিয়াঃ আচ্ছা। ভালো লাগলো আপনাদের সাথে পরিচয় হয়ে। আমারও দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড আছে ওরা দুজনই জমজ। আজ আসতে হয়তো লেইট করছে।
কুবরাঃ আমরা যেহেতু একই ক্লাসে একে অপরকে তুমি বলতেই পারি, রাইট? সাফিয়া…. তাই না??
সাফিয়াঃ নিশ্চয়। আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ডস( হাত বাড়িয়ে)
তারপর শুভ্রা আর কুবরা হাসিমুখে তার সাথে হেন্ডশেক করে। কিছুক্ষন কথা বলতে বলতে সাফিয়ার জমজ দুই বান্ধবী ও চলে আসে।
সাফিয়াঃ এই তাওদের এতোক্ষন হলো কেন?? ট্যাংকি মারতে গিয়েছিলি না?
জমজদের মধ্যে একজন বলে উঠে “যাহ তুই জানিস না? আমরা কতোবড় হতোভাগা সিঙ্গেল! টাংকি মারতে যাওয়ার সৌভাগ্য কি আর তোর মতো আমাদের আছে? ( নাক টেনে টেনে)
মেয়েটির এমন কথা শুনে সাফিয়া একবার শুভ্রা কুবরার দিকে তাকায় আরেকবার ওদের দিকে চোখ রাঙায়। তারপর শুভ্রাদের দিকে তাকিয়ে একটা মেকি হেসে জমজদের দুই জন কেই দুইটা থাবড় দেয়।
সাফিয়াঃ বাদ্দে তো। এই দেখ তোদের মতো আরো দুইটা বোন বান্ধবী পাইছি। এ হলো শুভ্রা আর এ হলো কুবরা। আর শুভ্রা কুবরা এ হলো মুক্তা আর এ হলো হীরা।
জমজ দুইজন হেসে সালাম বিনিময় করে শুভ্রা আর কুবরার সাথে হেন্ডশেক করে।
তারপর তারাও শুভ্রা আর কুবরাদের পেছনের বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণের মধ্যেই নানান কথার আড্ডায় মশগুল হয়ে যায়।
১২ টায় ক্লাসে টিচার ঢুকে। তারপর হ্যাডস্যার নিজে এসে টিচার সমেত সকলের সাথে শুভ্রা এবং কুবরার পরিচয় করিয়ে দেয়।
নতুন বইয়ের নতুন অধ্যায়, নতুন টিচার আর বন্ধবী দের সাথে বেশ ভালোই সময় কাটায় শুভ্রা আর কুবরা। ৪ টায় কলেজ শেষ হলে সাদাফ এসে দুজন কে বাড়ি নিয়ে যায়।
সাধারণত সাদাফ সকাল ১১ টায় অফিস যায় আর ফিরে আসে ৫ টা কিংবা ৬ টার দিকে। যেহেতু আজ শুভ্রা আর কুবরার কলেজে ফার্স্ট ডে তাই পথ চেনার জন্য তাড়াতাড়ি ফিরে আসে।
এভাবে কেটে যায় আরো কয়েকটি দিন। শুভ্রা আর কুবরা ও ক্লাসের সবার সাথে ভালো পরিচয় হয়। রাস্তাঘাট ও এখন তারা ভালো ভাবে চিনে সাদাফ না আসলেও তারা এখন একাই যেতে পারে। আর সাফিয়া আর হীরা মুক্তার সাথে তো তাদের বন্ধুত্ব বেশ দৃঢ় হয়ে উঠেছে। কলেজ শেষে সাদাফ সন্ধ্যায় শুভ্রা আর কুবরাকে পড়াতে বসে।
টিফিনের ব্রেক এ ক্যানটিনে বসে আছে শুভ্রা, কুবরা, হীরা আর মুক্তা। সাফিয়ার জন্যই অপেক্ষা করছে।
সাদাফ কলেজের ভিতর ঢুকে ক্যানটিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ও জানে এই মুহূর্তে সবাই ক্যানটিনেই থাকবে। ক্যানটিনের দিকে অগ্রসর হতেই দেখে সেখানে মেয়েতে ভরপুর। তাই আর সেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা করলো না। শুভ্রাকে কল দিতে ফোন বের করতেই দেখে শুভ্রার পরিচিত বান্ধবী ক্যানটিনের দিকে যাচ্ছে।
ছুটি হলে সাফিয়াকে শুভ্রাদের সাথেই দেখতো সবসময়। সে হিসেবে বুঝে এই শুভ্রার বান্ধবী হবে।
সাদাফঃ হ্যালো, এক্সকিউজ মে প্লিজ।
নিজ গতিতে হেটে আসার সময় পেছনথেকে কারো ডাক পেয়ে ফিরে দেখে এক সুদর্শন পুরুষ পকেটে হাত গুজে তার দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু তার যদ্দোর মনে আছে লোকটিকে সে চিনে না। কিঞ্চিত ভ্রু কুচকে সাদাফের দিকে অগ্রসর হয় সাফিয়া।
সাফিয়াঃ জ্বি আমাকে ডাকছেন?
সাদাফঃ হ্যা আপনি সম্ভবত শুভির ফ্রেন্ড রাইট?
সাফিয়াঃ শুভি….. শুভি কে?? ( অবাক হয়ে)
সাদাফঃ ওহ আম সরি। আসলে শুভ্রা। আমার ওর সাথে একটু জরুরী কথা ছিলো। একটু ডেকে দিলে ভালো হয়।
সাফিয়াঃ সরি!! আপনি কে?? আর শুভ্রা কোনো পুরুষ মানুষের সাথে কথা বলে না। আপনার উনাকে কি দরকার??
সাফিয়ার এহেন কথায় সাদাফের মুখে কিঞ্চিত রাগ এবং বিরক্তি ভর করে। তবু মুখে ভদ্রতা বজায় রাখে সে।
সাদাফঃ ওকে ক্যানটিনে গিয়ে বলুন উনার হাসবেন্ড এসেছে। উনার জন্য ওয়েট করছে।
সাদাফের মুখে শুভ্রার হাসবেন্ড শুনে আপনা আপনি মুখ খুলে হা করে চোখ দুটি রসোগুল্লার ন্যায় হয়ে যায়
সাফিয়াঃ কিইইইইই শুভ্রার হাসবেন্ড!!! সিরিয়াসলি??? ( এই বলে সাফিয়া একবার ক্যানটিনের দিকে তাকায় তো আরেকবার সাদাফের দিকে তাকায় সাফিয়ার যেন একথা বিশ্বাস ই হচ্ছে না। যদি তেমনই হতো তাহলে এখনো সে জানে না কেন? )
সাদাফকে আর কিচ্ছু বলতে না দিয়ে দৌড় এর সরে জোরে জোরে হেটে ক্যানটিনের দিকে এগিয়ে যায় সাফিয়া।
গোল টেবিলে শুভ্রা, কুবরা, হীরা, আর মুক্তা কথা বলছিলো। সাফিয়া আসার পর খাবার অর্ডার করবে বলে বসে আছে। হঠাৎ সাফিয়া হাপাতে হাপাতে এসে বলে ” শুভ্রা তোর হাসবেন্ড এসেছে দেখা করতে। ওইতো বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন উনি “”।
[[এ কয়েকদিনে শুভ্রাদের সাথে সাফিয়াদের বেশ ভালোই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যার কারনে তারা এখন তুইতোকারি করেই কথা বলে ]]
শুভ্রাঃ কিই এই সময় উনি এসেছেন? ( এই বলে শুভ্রা সাফিয়ার পেছনে মাথা নেড়ে দেখে সাদাফ বুকে হাত গুজে গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।)
মুচকি হেসে সাদাফের দিকে তাকিয়ে সাফিয়াদের একটু অপেক্ষা করতে বলে শুভ্রা সাদাফের কাছে চলে যায়।
এতোক্ষন সাদাফের কথা সাফিয়ার বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু যখন শুভ্রা নিজে হাসিমুখে সাদাফের সাথে দেখা করতে চলে যায় এটা দেখে সাফিয়া প্রায় পাথর হয়ে যায়। সাথে হীরা আর মুক্তা ও!!
শুভ্রাঃ কি হলো আজ হঠাৎ এতো তারাতাড়ি?
সাদাফঃ হঠাত না তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো শুভি। আর এখন তো লাঞ্চ টাইম। চলো কোথাও খেয়ে আসি। তোমার সাথে সময় ও কাটানো হয়ে যাবে।
শুভ্রাঃ পাগল হয়ে গেলেন নাকি? হঠাত এই বাচ্চামো!এখন একটু পর টিফিন টাইম ছুটির ঘন্টা দিবে।
সাদাফঃ না না না চলো চলো। এই পাশের রেস্টুরেন্টেই যাবো এখনই চলে আসবো।
শুভ্রা আর সাদাফের অনুরোধ ফেলতে পারলো না। বেচারা এতোদূর অফিস থেকে এসেছে শুধুমাত্র শুভ্রার সাথে একটু আলাদা সময় কাটানোর জন্য। বাড়িতেও থাকলে সারাক্ষন কাজ আর পড়া শুনা। সারাদিন তো একজন কলেজে তো আরেকজন অফিসে। শুভ্রার ও ইচ্ছে করছিলো সাদাফের সাথে একটু আলাদা টাইম স্পেন্ড করতে।
বাইর থেকে হাত তুলে শুভ্রা ইশারা করে কুবরাদের বলছে সে সাদাফের সঙ্গে খেয়ে নিবে তার যেন খেয়ে নেয়। তারপর সাদাফ আর শুভ্রা কিছুক্ষনের মধ্যেই কুবরাদের চোখের অগোচর হয়ে যায়।
শুভ্রার প্রতি সাদাফের এই ভালোবাসা কেয়ারিং দেখলেই কুবরার নাদিমের কথা মনে পড়ে। সেদিনের পর থেকে তো নাদিম আর সাদাফ দের বাড়ি আসেই নি। শুধু মেসেঞ্জারে রাতের বেলায় যদ্দোর কথা হয়। তবু সামনা সামনি দেখলে মনের যে অব্যাক্ত অনুভূতি সহকারে সময় কাটানো যায় তা কি আর সামান্য মেসেজ এ মন ভরে??
কুবরাকে চিন্তার জগৎ থেকে ধাক্কা দিয়ে আসল জগতে ফিরিয়ে আনে সাফিয়া। নিজ ধ্যানে ফিরে আসার পর দেখে সামনের তিন জনেই উৎসুক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
সাফিয়াঃ তোরা আগে বলিস নি যে শুভ্রা ম্যারিড। এতোদিন হয়ে গেলো আমাদের বন্ধুত্বের অথচ একবার ও বললি না! নাকি তুই ও ম্যারিড রে??
কুবরাঃ আরে ধুর না না। আপ্পির বিয়ে হলো এই দুই মাস। হঠাত করেই হয়ে যায়। আমাদের মুহলত ঢাকায় আসায় তো হলো আপ্পির বিয়ের জন্য। সে তো অনেক কাহিনি। আপ্পি আসলে সব বলবো। আমি একা বললে মজা হবে না। আগে খাবার অর্ডার কর তো। সেই কবে থেকে তোদের মুখ চেয়ে বসে আছি। ক্ষিদেয় তো আমার পেটে চু চ্যা শুরু হয়ে গেলো। একজন তো আমাদের ফেলে চলেই গেলো।
নিজেদের মনে প্রবল উত্তেজনা আর হাজারো কৌতুহল নিয়ে কুবরার কথা মেনে নিয়ে লাঞ্চে মনোনিবেশ করে একসাথে চার বান্ধবী।
খাওয়া শেষে ঘন্টা বাজতেই ক্লাসের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে শুভ্রা গেইট দিয়ে প্রবেশ করছে।
শুভ্রাঃ আমার লেইট হয়ে গেলো বুঝি? আসলে উনি এমন করে না সচরাচর। তবে আজ হুট করেই এসে ….
হীরাঃ হয়েছে হয়েছে বুঝেছি আমরা। আর দোলনচাপার মতো কথা চাপা দিতে হবে না। খুব তো বিয়ের কথা চেপে গিয়েছো। বান্ধবী গন কে সিঙ্গেল রাইখা নিজে তো দেখছি চুপচাপ ভালোই ছক্কা খেলছো।
মুক্তাঃ হ্যা। একদম কথা বলবি না আমাদের সাথে। শুধু উপর দিয়েই আমাদের সাথে কথা বলিস। আজ আমরা বন্ধবী নই বলে বলিস নি আর কি ( ন্যাকা ন্যাকা ভাব করে) ।
শুভ্রাঃ ভাই আসল কথা হলো কখনো এমন পরিস্থিতি কিংবা প্রসঙ্গ উঠেইনি বলবো যে আমি বিবাহিত।। আর ভাই রেগে যাচ্ছিস কেন? আজ তো স্বয়ং দেখেই ফেলেছিস। বনু আমার দুটি রাগ করিস না। ( হীরা ও মুক্তার গলায় ধরে)
সাফিয়াঃ ধুর বাদ্দে তো এসব কথা। এর হিসেব তো কাল হবে। হিস্ট্রি জান না আভি বি বহুত বাকি হ্যা। তবে দোস্ত একটা কথা বলতো দোলা ভাইর কোনো ভাই আছে নাকি?? (??)
শুভ্রাঃ এইইই হয়েছে তো তোর জামাই খুজার ঘটকিরি। ভাই এখন বলবি না যে সাদাফের উপর ও ক্রাশ খেয়ে তার ভাই দেখার মন চাইছে।
সাফিয়াঃ ধুর বেটি!! দুলাভাইয়ের উপর কেউ ক্রাশ খায় নাকি?? আমি তো উনাকে নেক নজরে ভাই স্বরুপ দেখিইইইই ??। এবার বল আছে কিনা!!
কুবরাঃ উমম চরি রে বুবু কুব কত্তের সহিতে বলিতে হচ্ছে যে উনার বোন বাদ্দে কোনো ভাই ই নেই।
কুবরার কথায় শুভ্রার মাথায় এক দুষ্টু বুদ্ধি আটে। শয়তানি হাসি দিয়ে সাফিয়ার পিঠে থাবড়া মেরে বলে উঠে “” হুমম ভাই তো নেই ঠিক আছে,,, কিন্তু ভাই সম একটা বেস্ট ফ্রেন্ড আছে উনার। একদম আপন ভাই বলতে যেমন। “”
শুভ্রার কথা শুনে কুবরার কলিজায় মুচড় দিয়ে উঠলো। এটা বোন নাকি রাক্ষুসি?? নিজের বোনের প্রানপ্রিয় মানুষটা অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার তাগিদা দেয়!! অবশ্য সে নিজে ছাড়া তো একথা কেউ জানেই না। এমনকি নাদিমও।
সাফিয়াঃ সত্যিইইই ভাই নাম কি?, দেখতে কেমন?? ৬ ফুটের লম্বা তো?? ফেসবুক আইডি……
কুবরাঃ ভাইইই দেখ ক্লাসে স্যার ঢুকছে। নিশ্চিত এখন আমাদের সেই বকা দিবে। এসব বাদ দে আগে ক্লাসে চল ( কুবরা বিষয় টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তাদের ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আর কথা অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায় বারবার। )
এদিকে কুবরার এমন ছটফটানি দেখে মনে মনে হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে শুভ্রা। অথচ তার অনুমানই নেই যে মনে মনে কুবরা কতো বকাঝকাই করছে।
#চলবে।
( আপনারা দেখছি খুব অলস মানুষ!! এমন পরীক্ষার সময় এতো টাইম দিয়ে গল্প লিখি একমাত্র আপনাদের মনোরঞ্জনের জন্য। অথচ কেউ গল্প পড়ে ঠিকি কিন্তু না একটা রিয়েক্ট, না একটা কমেন্ট করেন! মাত্র কয়েক জন ই ডেইলি গল্প পড়ে তাদের মন্তব্য প্রকাশ করে। দিন দিন দেখছি গল্পের রিচ কমে যাচ্ছে আগের চেয়ে। গল্প কি লিখতে খারাপ হচ্ছে? নাকি গল্পের মান খারাপ হচ্ছে কোনটা? আপনাদের পাশে না পেলে আমার তো আর এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে না)