#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ১৪
গ্রীষ্মের দাবদাহ এই প্রখর রোদের দুপুরে হয়তো দুটো পাখির ও শান্তি করে গাছের ডালে বসার সুযোগ নেই।
শুভ্রার মাঃ এই ভাইয়া আমি বাড়ি যাবো।
সাদাফের বাবাঃ বাড়ি যাবি মানে এটা কি? আর আমি তো তোদের এখানে থাকতেই দিবো না। সাদাফের কাজ শেষ হয়ে গেলে সোজা ঢাকা ব্যাক করবি। নিজের বাড়ি, গাড়ি সম্পত্তি ফেলে তুই এখানে কি করবি? অনন্ত নিজের মেয়ে দুটোর কথা ভাব। সকাল থেকে একি কথা বলে বলে তুই তোর ভাবির মাথা খেয়েছিস এখন তিনি রাজি হোননি বলে আমায় বলতে এসেছিস?
শুভ্রার মাঃ আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আমি কি জানতাম এখানে এসে তোমাদের দেখা হবে? ভেবেছিলাম এসে শুভ্রাকে নিয়ে চলে যাবো। তাই আসার আগে কাপড় চোপড়ের ব্যবস্থা করি নি। কিন্তু এখন তো এভাবে এই গরমে কাল থেকে এক কাপড়ে বসে থাকা যায় না।
সাদাফঃ তো কি হয়েছে? চলুন মার্কেটে যাই সবাই। এদিকে বিচের আশেপাশে অনেক মার্কেট আছে।
সাদাফ অফিস থেকে আসার সময় ড্রয়িংরুমে বসা শুভ্রার মা আর তার বাবার কথা কানে আসায় একথা বললো সে।
শুভ্রার মাঃ না না বাবা। আসার সময় আমি টাকা পয়সা তেমন আনি নি। তোমরা যখন ঢাকা যাবে তখনই নাহয় আমাদের ডেকে নিও।
সাদাফ এসে হাটু গেড়ে শুভ্রার মায়ের সামনে বসে উনার হাত দুটি ধরে বলেঃ আপনার ছেলে যদি আজ আপনাকে বলতো “চলো আম্মু আজকে শপিং করতে যাই।” তখন কি মানা করতে পারতেন? তাহলে আমার বেলায় কেন এতো হেজিটেশন? আমি তোমার নিজের ছেলে নয় বলে? ৫ বছর কোলেপিঠে করে মানুষ করে আজ তুমি আমার কাছে হেজিটেট ফিল করছো?
সাদাফের কথা শুনে মিসেস নাজমা নরম শান্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। সাদাফের দুই গালে হাত দিয়ে বলেঃ না রে। তুই তো আমার ছেলেই। তোর সাথে আমি আমার সমস্ত মায়ের অনুভূতি টা ফিল করেছি। আমার ছেলে আমায় একটা কথা বলেছে তবে আমি কি তার কথা ফেলতে পারি?
অন্যদিকে শুভ্রা একটু দূরে দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে শুধু সাদাফের কান্ড দেখছে।
[আচ্ছা মানুষটা এতো জুড়ালো কেন? সত্যিই এতো সহজে কেউ কাউকে আপন করে নিতে পারে? কেউ এতো ভালো হয়? প্রথম দেখা থেকে আমার প্রতি তার যে এতো আকুলতা তা কি শুধু আমার জন্যই নাকি মানবতার খাতিরে সবার জন্য? লোকটার হাবভাব, স্বভাব, আচরণ এতো ভালো কেন? শুধু তিনিই ভালো বলে নাকি আমারই উনাকে ভালো লাগে? আমার?? ভালো লাগে? সত্যিই আমার উনাকে ভালো লাগে বলেই কি তাই উনার প্রতি এতো চিন্তাভাবনা?](মনে মনে ভাবতে থাকে শুভ্রা)
শুভ্রাঃ ধুর কি সব উল্টাপাল্টা ভাবছি আমি! ভাগ্যিস মনে মনে বলা কথা কেউ শুনতে পায় না। নাহলে এখনি নির্ঘাত আমার উপর বিভিন্ন পদবি বসে যেতো।
কেউ কিছু না শুনতে পেলেও আমি কিন্তু ঠিকি শুনতে পারি মিস শুভ্রা( পেছন থেকে চুটকি বাজিয়ে বলে উঠে সাদাফ)
শুভ্রা পেছনে ফিরে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রয় সাদাফের পানে। আর কিচ্ছু বের ও হচ্ছে না।
শুভ্রাঃএ…এহ???
সাদাফঃ এই যে পরশু রাত থেকে আম্মুর শাড়ি পড়ে আছেন। অসুবিধা হচ্ছে অথচ মুখ খুলে বলতেও পারছেন না। সেটা আমি বুঝেই গিয়েছি। মনে মনে তো এসব ই ভাবছেন তাই না??
শুভ্রা অবাক চোখে সাদাফের দিকে তাকিয়েই রইলো। সাদাফ শুভ্রার মনের কথা এই মূহুর্তে পুরোপুরি ধরতে না পারলেও ঠিকই তার কথা ই বলেছে।
দুপুরের ভ্যাপসা গরমের জন্য একঘেয়ে কাপড় পড়ে হাসফাস করছিল শুভ্রা। মাকে এটা বলার জন্য বের হতে গিয়ে সাদাফা আর তার মায়ের কথা শুনেছিলো।
সাদাফঃ এই যে হ্যালো মিস শুভ্রা। যান খাওয়াদাওয়া শেষে রেডি হয়ে নিন।
শুভ্রাঃ আসলে মি…. না মানে ভা.. ভাইয়া আমি তো বোরখা পড়ে বের হই। এখানে তো আমি বোরখা আনি নি।
সাদাফ আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সেখানে কেউ নেই। তারপর শুভ্রার দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বললোঃ মিস.শুভ্রা ভাইয়া মানে? ভাইয়া কাকে ডাকছেন?
শুভ্রাঃ না মানে আগে তো আপনি অপরিচিত ছিলেন তাই। আর এখন তো পরিচিতিতে সম্পর্কে আপনি আমার মামাতো ভাই হোন। তাই ভাইয়া ডাকছি।
শুভ্রার কথা টা সাদাফের কেমন পছন্দ হলো না। ভাইয়া শুনা মাত্রই কেমন অস্বস্তি ফিল লাগছে তার।
সাদাফঃ দেখুন আমি আপনার ভাইয়া সম্পর্কের আগে আপনার কি ছিলাম?
শুভ্রা বেশ খানিক চিন্তা করে বলেঃ পরিচিত। বলতে গেলে একজন বন্ধুর মতোই পাশে ছিলেন।
সাদাফঃ তাহলে বন্ধুর মতো থাকলে বন্ধুর মতোই ডাকবেন। এসব ভাইয়া টাইয়া ডাকবেন না মিস শুভ্রা।যান গিয়ে খেয়ে নিন।
সবাই খাওয়া দাওয়ার পর শুভ্রা ঠিক করলো সে তার মায়ের বোরখাই পড়বে। শপিংয়ের কথা শুনে তো কুবরার মন খারাপ ই কোথায় উড়ে গেলো। দৌড়ে এসে সাদাফের বাবা কে জড়িয়ে ধরলো।
কুবরাঃ বাবাই থ্যানকিউ থ্যানকিউ সো……. মাচ। এখন তো আমার সত্ত্যি সত্যিই মামা বাড়ির আবদার মনে হচ্ছে।
সাদাফের বাবাঃ হ্যা মা। তোরা যা আবদার করবি সবই আমি পূরণ করবো রে। একটা মাত্র মামা আছি আমি। আমার কাছে আবদার করবি না তো কার কাছে করবি। ছোট থেকে তো তোদের আমি কাছে পাই নি। এখন না হয় তোদের সব আবদার পূরণ করতে দে।( কুবরার মাথায় হাত বুলিয়ে)।
কুবরাঃ ইউ আর দ্যা বেস্ট মামা ইন দিস ইউনিভার্স। লাভ ইউ সো মাচ।
বিকেল ৩ টাই সাদাফ,শুভ্রা,নাদিম, কুবরা বের হয় বিচের উদ্দেশ্যে। তারপর আসার সময় ওখান থেকে শপিং করবে।
বাড়ির কিছুটা সামনে বিচ হওয়ায় তাদের আর গাড়ি নিয়ে যেতে হয় নি। সুগন্ধা পয়েন্টের দিক থেকে গিয়ে তারা লাবনি থেকে বের হবে।
বিচে যাওয়া মাত্রই কুবরা তো প্রকৃত উন্মাদ এর মতো একবার এদিকে তাকায় তো আরেকবার ওইদিকে।
কুবরাঃ আহহহ সেই কবে এসেছিলাম। কতোকিছু বদলে গিয়েছে।
কুবরা দৌড়ে দিয়ে আগে সাগরে ঝাপ দেয়। তবে হাটু পর্যন্তই নেমেছে সে। শুভ্রা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। পাশে সাদাফ ও দাঁড়িয়ে আছে। আর নাদিম তো কুবরার এসব পাগলামি দেখতে ব্যাস্ত।
সাদাফঃএই নিন মিস.শুভ্রা(শুভ্রার দিকে একটা হাওয়াই মিঠাই এগিয়ে দিয়ে)
শুভ্রা মিষ্টি হেসে সেটা নিয়ে বললোঃ আপনারা একটা কেন? আপনারা খাবেন না?
সাদাফঃ আমি কি ছোট বাচ্চা নাকি যে হাওয়াই মিঠাই খাবো? (দুই ভ্রু তুলে) ।
শুভ্রাঃ এহহহহ খাবার আবার বাচ্চা, আবাচ্চাদের হয় নাকি? আমার তো সবকিছুই ভালো লাগে।
সাদাফঃ এতো ভালো লাগলেও শরীরের এই অবস্থা কেন?
শুভ্রাঃ তা আমি কি করে জানবো? সেটা যদি শরীরকে জিজ্ঞেস করা যেত তবে খুব ভালো হতো কি বলেন মি.চৌধুরী?
সাদাফঃ বাব্বাহ! আপনি তো বেশ কথা বলতে পারেন। আগে তো ভুলেও টু টা কথা বলতেন না মিস পালাই পালাই। ( চুখ টিপ দিয়ে)।
শুভ্রা সাদাফের কথায় শুধু মুচকি হাসে আবার সমুদ্র পানে চেয়ে থাকে।
তারপর ওরা আবার সবাই এক সঙ্গে হাটতে থাকে।
কুবরাঃ এই বাদাম বাদাম!!!
নাদিমঃ মিস কুবরা আপনি আবার শুরু করেছেন।
আপনার আমাকে কোন এংগেল থেকে বাদাম লাগে? আসছেন থেকে আমার পেছনে এভাবে বাদাম বাদাম বলে লেগে আছেন কেন? মানুষ তো সত্যি সত্যি আমার না বাদাম মনে করবে!
কুবরাঃ আরে ধুর। আমি তো ওই বাদাম নিয়ে যাচ্ছে আংকেল কে ডাকলাম। আপনি তো মনে হয় সত্যি নিজেকে বাদামের গোদাম মনে মরছেন।
কুবরার কথা শুনে নাদিম আবারও এক দফা লজ্জা পেয়ে গেলো।
নাদিমঃ এই কথায় কথায় মানুষকে খোচা দেওয়া আর লজ্জা দেওয়া ছাড়া কি আর আপনার কোনো কাজ নেই? দেখতে তো মাশাল্লাহ খুব সুন্দর কিন্তু কথাবার্তা এমন তেতো তেতো কেন? আমাকে বাদাম বলা? তাহলে আপনি হলেন কিং কুবরা না আপনি তো ফিমেইল আপনি হবেন কুইন কুবরা। ( দাতের পাটি সব কেলিয়ে হেসে)
কুবরাঃ এএএএএএএএ আমাকে কিং থুক্কু কুইন কুবরা বলা? আপনাকে তো আমি ছাড়বো না। ( এই বলে নাদিমের পেছনে লাগালো দৌড়)
এদিকে এদের কান্ডকাহিনী দেখে সাদাফ আর শুভ্রা শুধু হাসতে থাকে।
সাদাফঃ মিস.শুভ্রা আপনার বোন কিন্তু এখনো বাচ্চা ই রয়ে গেলো। অবশ্য সে তো বাচ্চা ই।
শুভ্রাঃহাহাহাহা। তো আপনার বন্ধুর দিকে দেখেন একবার। সে তো দিব্বিই আপনার সমবয়সী। তবু তো বাচ্চাদের মতোই দুষ্টুমি করতে থাকে।
সাদাফঃ তা আর বলতে। সারাক্ষন আমার সাথে থাকে তবু দেখো ম্যাচরিটির কোনাও এখনো পাই নি।
এভাবে হাসতে খেলতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো প্রায়।
এই এই এই ফুচকা……. এই বলে চেচিয়ে উঠে শুভ্রা।
শুভ্রাঃ মি.চৌধুরী আমি আপনার কাছ থেকে এখনো কিছু খেতে চাই নি। প্লিজ আমাকে একটু ফুচকা খাওয়ান না। প্লিজ প্লিজ প্লিজ ( বাচ্চা মুখ করে) ।
সাদাফের কাছে শুভ্রা এই প্রথম আবদার করলো। শুভ্রার মুখের এমন অবস্থা দেখে সাদাফ হাসবে না অবাক হবে ভেবে পাচ্ছে না। শুভ্রাকে পুরোই বাচ্চা লাগছে এই মূহুর্তে।
সাদাফের এমন ভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে শুভ্রার হুশ হলো কাকে কি বলছে সে। মাত্র কয়েকদিনের আলাপে এভাবে বায়না করা নেহাত বেহায়াপনা হবে।
শুভ্রাঃ সসস… সরি। আসলে সামলে উঠতে পারি নি ফুচকা দেখে।(মুখ কাচুমাচু করে)
সাদাফ শুভ্রার এমন আচরণ দেখে আর না হেসে পারলো না।
সাদাফঃ মিস শুভ্রা আপনার এই রুপ ছিলো কোথায় বলেব তো এতো দিন। বেশ তো বস্তা ভর্তি ম্যাচরিটি নিয়ে চলতেন। আচ্ছা চলুন সামনে অনেক রেস্টুরেন্ট আছে।
শুভ্রাঃ না না আমরা এখানে স্টল থেকেই খাই। অখানে তেমন খেতে ভালো না।
সাদাফঃ কি বলেন মিস.শুভ্রা। এখানকার বাইরের স্টলের গুলো বেশ আনহাইজেনিক।তারপর দেখবেন পেটে অসুখ করবে।
নাদিমঃ ধুর ভাবি থুক্কু শুভ্রাপু ওর কথা ধইরেন না তো। ওই বেটাই মজার কি চিনবে হ্যা? জিবনে খাইছে নাকি সে।
কুবরাঃ কিইইইইই ভাইয়া তুমি কোনো দিন ও ফুচকা খাও নি???? এটা আমি সত্যিই শুনলাম তো? যেখানে আমি পুরো পাড়ায় সকলের সাথে রেস দিই এমনকি ছেলেরাও আমার সাথে পেরে উঠে না। সেখানে আপনি নাকি কোনো দিন ফুচকা খান ই নি?!!!!
নাদিমঃ তো মিস কুইন কুবরা আজ আমার সাথে হবে নাকি একটা রেস।আমিও কিন্তু কোনো অংশে কম যাই না। দেখা যাক কার দম বেশি।
কুবরাঃ বেশ তবে দেখাই যাক না। মামা ৪ প্লেট ঝাল করে ফুচকা। আর হ্যা এই চার প্লেট বানানোর পর আমাদের জন্য একটা একটা বানাতে থাকবেন। হ্যা?
কিছুক্ষন পর ফুচকা চলে আসে।
সাদাফঃ এএই এই আমি খাবো না ফুচকা।
শুভ্রাঃ কেন খাবেব না খেয়ে দেখুন খেতে কিন্তু বেশ।
নাদিমঃ আরে শুভ্রাপু আমাদের সাদু বাবু খাবে কি করে এখানে তো সব মরিচ। আমাদের সাদু বাবু আবার ঝাল খেতে পারে না। এদ্দম চোত্ত বাবু একেবালে।( ভং করে সাদাফকে দেখে দেখে বলে)
সাদাফঃ নাদিম্মা চুপ কর। আর একবার কথা বলবি তো তোর ও সব কিছু আমার ফাস করে দিতে দু মিনিট লাগবে না।
শুভ্রাঃ আচ্ছা ঠিক আছে দাড়ান আমি মরিচ গুলো নিয়ে নিচ্ছি।
এই বলে শুভ্রা পরম যত্ন করে একটা একটা ফুচকা ভালো করে বেছে সাদাফ কে দেয়।
এদিকে কুবরা আর নাদিম খেতে আছে তো আছেই।
একপর্যায়ে নাদিম ৪ প্লেট খেয়ে ঝালে ফুপাতে থাকে এদিকে কুবরা ৫ প্লেট খেতে ৬তম প্লেটের অর্ডার করতে গেলে নাদিম বলে ঃ ব্যাস ব্যাস মিস কুইন কুবরা ইউ আর দ্যা উইনার। আমি আর পারছি না। খুব ঝাল। আল্লাহগো ??
কুবরাঃহা হা। আমার সাথে যে পাংগা নেয় তার ই এমন অবস্থা হয়। আসলে আপনার সাথে না ফুচকার চেয়ে বাদাম ই বেশি স্যুট করে বুঝছেন। অবশ্য সেটাও আমার বেশ পছন্দ। কোনো একদিন সুযোগ হলে সেটার ও রেস হবে ( বেশ ভাব নিয়ে) ।
তারপর সেখানকার বিল মিটিয়ে তারা শপিংমলে যায়।
শুভ্রা কয়েকটি সেলওয়ার কামিজ আর বড় গোল ফ্রক নেয়। আধুনিক পোশাক শুভ্রা পড়তে পছন্দ করে না। তবে কাপড় কিনার সময় একটা ড্রেসে তার চোখ আটকে যায়। ঘুরে ফিরে বার বার চোখ দুটো তার ওইদিকেই যায় বারবার দেখতে একটু আধুনিক। তবে সেটা তার মনে ধরলেও পড়া সুযোগ কোনো দিন ই হবে না কেননা এরকম আধুনিক ড্রেস পরে বাইরের মানুষের সামনে তো যাওয়া দূরের কথা বাড়ির লোকের সামনেও সে যেতে পারবে না। তবে শুভ্রার কাপড়টির দিকে এভাবে কুটিয়ে কুটিয়ে দেখাটা সাদাফ ঠিকি লক্ষ করেছে। তবে কুবরা বেশ কয়েকটি জিন্স, টপ্স, ফতুয়া, আর কুর্তি আর কিছু লেডিস শার্ট কিনেছে। শুভ্রা আর কুবরা দুজন বোন হলেও তাদের পছন্দ বিপরীত। বোন কে দ্রখে শুভ্রার ও মাঝে মাঝে মনে হয় তার মতো করে চলতে। তবে সে বাইরে এভাবে ঘুরাফেরা করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।
আরো বেশ কিছুক্ষন পর সবাই মিলে শপিং করার পর সবাই আইসক্রিম খেতে খেতে বাড়ি অবধি চলে আসে।
আসার সময় বাড়ির নিচে কুবরা, নাদিম আর সাদাফ আগে আগে থাকলেও শুভ্রা একটু পেছনে পরে যায়।
ঠিক সেই মূহুর্তে কে যেন শুভ্রার মুখ চেপে হাত দুটি টেনে টেনে তাকে একটা অন্ধকার মতো জায়গায় নিয়ে যায়
#চলবে।