অপরাধ,পর্ব : ৩ শেষ

0
1876

অপরাধ,পর্ব : ৩ শেষ
লেখক : Rimon

তারপর আমি যাকে দেখলাম আমি তাকে এখানে আশা করিনি। আমি ঝুমুকে যে এখানে দেখবো আশা করিনি আজ ওর জন্যই আমার পরিবারের থেকে আলাদা হয়েছি। ও যদি আমার ভালোবাসাটা বুঝতো তাহলে হয়তো আমার আজ একা থাকা লাগতো না আমি আরও অবাক হলাম কারণ একটা বাচ্চা এসে ঝুমুকে বললো।
বাচ্ছাটা : আম্মু আম্মু চলো সন্ধ্যায় হয়ে গেছে।
ঝুমু : হুম মামনি চলো।
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না।
বাচ্চাটি ঝুমুর।
ঝুমু মনে হয় বিয়ে করে নিয়েছে।
বাচ্চাটির বয়স 4 বছরের মতো হবে।
বাচ্চাটি দেখতে ঝুমুর মতোই হয়েছে।
আজ যদি ঝুমু আমার ভালোবাসাটা বুঝতো।
তাহলে আমাদের এমন একটা বাচ্চা থাকতো।
ঝুমু আর বাচ্চাটি চলে যাচ্ছে।
আমি ওদের দিকে চেয়ে আছি।
আমি একটু দুরে তাই আমাকে দেখতে পায়নি।
ঝুমু আর বাচ্চাটি কিছু দুর যেতেই কিছু ছেলে এসে ঝুমুকে বিরক্ত করা শুরু করে দিয়েছে।
আমার খুব রাগ হলো।
কারণ ভালোবাসাটা আগের মতোই আছে ঝুমুর প্রতি শুধু একটা অবিমান তৈরী হয়েছে।
আমি মুখে রুমাল দিয়ে ওদের কাছে গেলাম।
আমি : ভাইয়া আপনার ওনাকে বিরক্ত করছেন কেন?।
প্রথম ছেলেটি : এই বিরক্ত করছি। তাতে তর কি আয়।
ভালোয় ভালোয় এখান থেকে চলে যা নয়তো।
আমি : আপনারা ওনাকে ছেড়ে দিন।
আমি চলে যাবো।
2য় ছেলেটি : আমি ওকে ছাড়বোনা তুই কি করবি।মারবি আমাকে মার মার আমাকে এই বলে আমাকে ঠেলা দিয়ে ফেলে দিলো।
আমি : মাটি থেকে উঠে ছেলেটিকে।
একটা গুসি মারলাম ছেলেটি শুয়ে পড়লো।
তারপর ওরা সবাই আমার কাছে আসলো।
ওরা মোট 4 জন ছিলো।
তারপর ওদের সাথে অনেক মারামারি হয়।
আমি ওদের অনেক মেরেছি। শত হলেও পুলিশ তাই ওরা পারেনি।
ওরা চলে যায়।
আমি তারপর ঝুমু কে বললাম।
আমি : আপনি এখন সুরক্ষিত তাই এখন আপনি যেতে পারেন। আর কেউ আপনাকে বিরক্ত করবেনা।
তারপর আমি চলে যাবার জন্য পিছে ফিরতেই ঝুমু বললো।
ঝুমু : রিমন।
আমি : এবার মুখে হাত দিয়ে দেখি রুমালটা নেই মারামারি সময় হয়তো খুলে গিয়েছিলো।
ঝুমু : রিমন তুমি এতদিন কোথায় ছিলে জানো তোমাকে আমরা কত খুজেছি।
আমি : আপনারা কেন? আমাকে খুজবেন?
ঝুমু : রিমন তুমি আমাকে আপনি করে কেন? বলছো।
আর তোমার পরিবার তো তোমাকে খুজবেই।
আমি : আমি একজন ধর্ষক আর আমাকে কেন? সবাই খুজবে।
ঝুমু : রিমন আমাকে ক্ষমা করে দেও আমি প্রথমে তোমার ভালোবাসাটা বুঝলে আজ এমন হতোনা।
আমি : এসব কথা এখন আর বলার প্রয়োজন আছে এটা আমার মনে হয় না।
হঠাৎ বাচ্চাটি বললো।
বাচ্ছাটি মা তুমি এই লোকটি কে চেনো
ঝুমু : মা এই তোমার বাবা

আমি : অবাক হয়ে বললাম মানে?
ঝুমু : হুম রিমন ও তোমার আর আমার বাচ্চা।
আমি : হুম কার না কার বাচ্চাকে এখন আমার বাচ্চা বলছো।
আর তোমার স্বামী যদি এই কথা শুনে তাহলে কি হবে ভেবে দেখেছো।
ঝুমু : আমার কথা বিশ্বাস করো রিমন।
সেইদিন জোড় করে হলে কিন্তু তুমি আমাদের শারীরিক মিলন পূর্ণ করেছিলে।
আর বিয়ে মেয়েদের জীবনে একবারি হয় রিমন
আর সেই দিন কিন্তু আমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর তুমিই আমার স্বামী রিমন
আমি : আমি ভালো করে ভেবে দেখলাম হুম সেইদিন ওর সাথে আমি জোর করেই শারীরিক মিলন করেছিলাম আর তা পূর্ণ ও করেছিলাম।
তার মানে এই বাচ্চাটি আমার।
বাচ্চাটি: তুমি আমার আব্বু
আমি : আমি ওকে কোলে নিয়ে বললাম হুম আম্মু।
আমিই তোমার আব্বু ।
রিদি : [ রিদি হলো আমার মেয়ের নাম মানে বাচ্চাটির নাম ]
রিদি : আব্বু তুমি এতদিন কোথায় ছিলে।
আমি; আমি এতদিন বিদেশ এ ছিলাম আম্মু
তখনি ঝুমুর ফোনে কল আসে।
ঝুমু ফোনে কথা বলার পর ঝুমুর হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়।
আমি : আমি কি হয়েছে?
ঝুমু : বাবা হাট আট্যাক করেছে?
আমি : কিই?
ঝুমু : হুম তুমি চলে যাওয়ার কিছুদিন পর

তোমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
তার কিছুদিন পরি আমি তোমাকে মিস করতে থাকি?
কয়েকমাস পর আমি বুঝতে পারি আমি পেগ্যনেট।
সবাই আমাকে বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলতে বলে?
কিন্তু আমি চেয়েছি বাচ্চাটি কে জন্ম দিতে।
তারপর সবার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি ওকে জন্ম দেই।
সবাই আর কিছু বলেনি।
কিন্তু তোমার বাবা যে খুব তোমাকে মিস করছিলো।
সবার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
এই এক বছর ধরে তোমার বাবা খুব অসুস্থ।
আর তোমাকে অনেক বার দেখতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি।
তুমি কোথায় ছিলে আমরা কেউ জানতাম না তাই তোমাকে খবর দিতে পারেনি।
এই কয়দিনে বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্লীজ রিমন আমার সাথে হাসপাতালে চলো।
নইলে আর বাবাকে বাচানো যাবেনা।
আর কিছু না ভেবেই চলে গেলাম হাসপাতালে।
এই কথা শোনার পর কোনো ছেলেই তার পরিবারের উপর রাগ করে থাকতে পারবেনা।
আমিও পারিনি সব রাগ অভিমান ভুলে চলে গেলাম।
হাসপাতালে
গিয়ে দেখি সবাই বাবার কেবিনি বসে আছে।
আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে
ঝুমু দৌড়ে বাবা
ঝুমু : বাবা তুমি ঠিক আছো তো
বাবা : হুম ঠিক আছি।
ঝুমু : দেখো বাবা কে এসেছে।
আমাকে দেখিয়ে।
আমাকে দেখে সবাই চমকে গেলো।
বাবা : তুই এসেছিস। প্লীজ বাবা তুই আমাকে ক্ষমা করে দে।
আমি : বাবা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দেও।
বাবা : হুম বাবা।
তারপর বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
আস্তে আস্তে সবাই ক্ষমা চেয়ে নিলো।
আর আমিও কারোও উপর রাগ করে থাকতে পারিনি।
মিলে গেলাম আবার আমরা সবাই
হয়ে গেলাম একটা সুখী পরিবার ।।

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here