You_are_mine
season_2
Poly_Anan
part_4
“ঈশু একটা ঘটনা ঘটে গেছে(জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে অনু)
” কি হয়েছে আর তুই এতো ঘেমে গেছিস কেন?
“ওই যে, ছেলেটার নাম কি যেন?
” কোন ছেলেটা?
“তোকে যে প্রপোজ করলো সকালে সেই ছেলেটা?
” কেন শিহাব!
“ওর অবস্থা নাকি একদম খারাপ..! বেচারার পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে তার উপর গত পাচঁ ঘন্টায় ও জ্ঞান ফিরছে না। তার বাবা, চাচারা নাকি খুজছে কে তার ছেলেকে মেরেছে।
ঈশা ভয়ে দুই চারটা ঢোক গিলে। কি বিপদ এলো আবার তার সামনে বিরক্ত লাগছে অসহ্য লাগছে সব কিছু।
” কিরে ঈশু চুপ করে আছিস কেন?
“আমি কি বলবো অনু আমার কিছু বলার নেই!
” পাগল নাকি এই ঝামেলায় তুই নিজেও ফেসেঁ যাবি একবার ভেবে দেখ।শিহাব ভাইয়ের পরিবার যদি যানতে চায় তাকে এমন কে মেরেছে তখন তিনি নিশ্চই বলবে তোকে প্রপোজ করার জন্য এমন মার খেয়েছে।বিচার টা কিন্তু তোর বাড়িতেই আগে আসবে দেখেনিস!
“আচ্ছা আমাকে যে প্রপোজাল দেওয়ার জন্য যে মার খেয়েছে তা কি করে বুঝবে?
” উফফফ ঈশা আমি আর তোকে বোঝাতে পারবো না তুই পাগল সত্যি মস্ত বড় পাগল।শিহাব ভাইকে মারার সময় নিশ্চই হুমকি দেওয়া হয়েছে ঈশার থেকে দূরে দূরে থাকবি এই সেই.. ব্লা ব্লা.. তাহলে বাকি টা তুই ভাব এবার।
ঈশা যা বুঝার বুঝে ফেলেছে এই ঈশান নামক বিপদ যত দিন না তার ঘাড় থেকে নামছে ততদিন আর তার বেচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।ঈশা মাথায় ওরনা জড়িয়ে অনুকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“চল..!
” কোথায়?
“ওই ঈশান শাহরিয়ার কে বুঝিয়ে আসবো এই নওশীন ঈশা কি জিনিস। ভেবেছিল কি সবটা সহ্য করে যাবো নো নেভার। চল তাড়াতাড়ি।
” ঈশু পাগলামি করিস না যা করার কাল করিস বিকেল হয়ে এসেছে চল আজ ছাদে আড্ডা দেবো!
“আড্ডা পরেও দেওয়া যাবে তুই এখন আমার সাথে চল।
” তুই এখন বের হবি মানে কি! তোর চুল থেকে পানি পড়ছে, এইমাত্র শাওয়ার নিয়েছিস তুই? এতো দেরি হলো কেন! আয় তোর চুল মুছে দিচ্ছি(কথা ঘুরিয়ে)
“তুই যাবি আমার সাথে? নাকি না!থাক যেতে হবে না আমি একাই চলে যাবো।(দাতে দাত চেপে)
ঈশা হাতে মোবাইল আর পার্স নিয়ে হাটা শুরু করে।অনু কোন উপায় না পেয়ে তার পেছনে দৌড়াতে শুরু করে।ঈশাকে রেগে বেরিয়ে যেতে দেখে তার মা বলে,
” কিরে ঈশা তুই এখন কই যাচ্ছিস?তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?(সুলতানা)
“কাজ আছে আম্মু!
” তোর ফুফু আসবে এখন কেন বের হবি।
“আসলে আসুক আমার এখন কাজ আছে আমি এখনি যাবো (দাতে দাত চেপে)
ঈশা জুতো পড়ে সিড়ি দিয়ে নামতে শুরু করে।অনু তার পেছন পেছন আবারো দৌড় লাগায়।
সুলতানা মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ইদানীং মেয়েটা কেমন যেন খিট খিটে হয়ে গেছে।
” কিরে এখনো ব্যাথা করছে(রাসেল)
“আহ! পায়ে হাত দিবি না ডাফার। দেখছিস না ব্যাথা! (ঈশান
” আন্টি ফোন করেছে আমায়।তোর খবর যানতে চেয়েছে!
“তুই কি বলেছিস?
” বলেছি তুই সুস্থ স্বাভাবিক ভালো আছিস।কিন্তু আন্টির ছেলেযে পা কেটে বসে আছে আন্টি যানলে আমার আর রক্ষে নেই।
“তুই যদি মম কে না যানাস তবে মম যানবে না নিশ্চিত থাক।
ঈশান রুমের দরজার দিকে তাকাতেই খেয়াল করে সাইফ আর নাজিম তার রুমেই ডুকছে।
” হেই ব্রো পা কাটলো কেমনে?(সাইফ)
“আবার কি কেটে দেখাবো তোদের?
ঈশানের কথায় থতমত খেয়ে যায় সাইফ।নাজিম ঈশানের পায়ের কাছে বসে রাসেলের উদ্দেশ্য করে বলে,
” কি করে কাটলো ওর পা।
“শুধু কি কেটেছে মচকে ফুলে গেছে।নবাব বাগানের দিকটায় হাটতে বেরিয়েছিল খালি পায়ে।ভাঙ্গা কাচঁ ডুকে যায় সাথে সাথে ধপাস করে বসে পরে তখনি পা টা মুচকে যায়।কিছুক্ষন আগে এসে ডাক্তার দেখে গেছে।
” উপ্সসস! ভাবী থাকলে এখন সেবায় নিয়োজিত থাকতো। কিন্তু আমাদের ভাবিটা দূরে..!(আফসোস সুরে সাইফ)
” তোদের যে ভাবী আমার সেবার পরির্বতে উলটো আরেক পা ভেঙ্গে রেখে দিতো।
“হ্যা ওই মেয়ের কিন্তু সেই ঝাঁঝ (নাজিম)
নাজিমের কথা শুনে ঈশান কড়া দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়।নাজিম কাচুমাচু হয়ে চোখ নামিয়ে নেয়।তখনি তার কানে ভেসে আছে এক মিষ্টি কণ্ঠ।
” আসতে পারি মি.গুন্ডা ঈশান!
ঈশান দ্রুত দরজার দিকে তাকাতেই ঈশাকে দেখতে পেয়ে থমকে যায় বাকিরা ভুত দেখার মতো তাকিয়ে আছে।অনু কাচুমাচু হয়ে ঈশার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।
“কি হলো আসবো না কি চলে যাবো(গম্ভীর কন্ঠে)
ঈশান এখনো তাকিয়ে আছে ঈশার দিকে এক মূহুর্তের জন্য মস্তিষ্ক যেন অচল হয়ে গেছে।রাসেল দ্রুত বলে,
” আসুন আসুন ভা..না মানে আপু আসুন!
ঈশা দ্রুত রুমে ডুকে সবার উদ্দেশ্যে বলে,
“সবাই রুম থেকে বের হোন! একমাত্র গুন্ডা ঈশান ছাড়া!
ঈশার দিকে সবার আরেক দফা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
” কি হলো কথা কি কানে যায় না বয়রা নাকি?(দাতে দাত চেপে)
“হেই হোয়াট দ্যা হেল!(রেগে নাজিম)
নাজিম ঈশার দিকে তেড়ে আসতে নিলেই ঈশান নাজিমকে ধমক দেয় আর সবাই কে রুম থেকে যাওয়ার জন্য ইশারা করে।ঈশা অনুর দিকে তাকিয়ে চলে যেতে বলে।অনু না চাইতেও তাড়াতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে যায়।ঈশা দরজা টা বন্ধ করে রুমটা পরখ করে নেয়।রাগে তার মাথার ভেতরটা দাপাদাপি করছে।
তাই ভয় ডর কিছুই কাজ করছেনা তার মাঝে।
” ওয়েলকাম! ওয়েলকাম! ওয়েলকাম! মাই ডিয়ার(মুচকি হেসে ঈশান)
“আপনার সাথে আমি খেজুরে আলাপ করতে আসিনি যা এসেছি সরাসরি বলবো..!
” তার আগে বলো আমার বাড়ির ঠিকানা কোথায় পেয়েছো(ভ্রু কুচকে)
“আমার এলাকায় যে তিন জন গাড পাহারা দিতে রেখেছেন আপনি কি ভেবেছেন আমি যানি না! ওদের তিনজনকে একটু আড়ালে ডাকলাম তারপর এলাকার ভাই ব্রাদার্সের মধ্যেমে গন ধৌলাই দিয়ে ওদের থেকে আপনার বাড়ির ঠিকানা নিলাম। আর হ্যা এখন মনে হতে পারে ওরা আপনাকে সর্তক করলো না কেন?তার আগেই ওদের ফোন কেড়ে নিয়েছি!
ঈশার দিকে তাকিয়ে ঈশান মনে মনে বলে,
” বাহ বাহ ঈশান শাহরিয়ারের বউ তো একদম ঈশান শাহরিয়ার স্টাইলের!আই লাইক ইট বেবি!কেরি অন।
ঈশানকে চুপ থাকতে দেখে ঈশা বলে,
“যে কাজে এসেছি সেই কাজ টা আগে সেরে নি।
” কি এমন কাজ যে তুমি ছুটে আমার কাছে চলে এলে?
“দেখুন…
” দেখাও..
“উফফ আমাকে কথাটা বলতে দিন প্লিজ।আপনার সাথে আমার যে ডিল হয়েছে সেই ডিল ক্যান্সেল করে দিন প্লিজ। আপনার বন্ধুত মরে যায় নি বেচে আছে এবার আমাকে ও বাচার সুযোগ করেদিন প্লিজ।আপনার অত্যাচারে আমি অতিষ্ট!
” তোমাকে আমি কি করেছি মেরেছি নাকি গায়ে হাত তুলেছি(ভ্রু কুচকে)
“আপনি যদি আমায় দুই চারটা চড় দিতেন তবে সেই ব্যাথাটা ওষুধ খেয়ে সেরে নিতাম। কিন্তু আপনি যে আমায় মানসিক অত্যাচারটা করছেন আমি আর তা নিতে পারছিনা।প্লিজ আমায় মুক্তি দিন।
“সরি গো সরি, দুনিয়া উলটে গেলেও আমি তোমায় ছাড়ছিনা।
” কিন্তু কেন আপনি এইসব কেন করছেন(রেগে)
“দেখো ঈশা তর্ক করবেনা দেখতে পাচ্ছো আমার পায়ে ব্যান্ডেজ কোথায় একটু যত্ন নিবে মিষ্টি করে জিজ্ঞেস করবে কেমন আছেন তা না উলটো ঝগড়া করতে চলে এলে..!!
” দেখুন আপনি মরে যান আর জাহান্নামে যান সেটা আপনার বিষয় আমাকে বাচার সুযোগ করে দিন প্লিজ। আপনি বললে আমি আপনার পায়ে পড়ছি তবুও মুক্তি দিন?(দাতে দাত চেপে)
“না পায়ে পরবে কেন।দেখিতো আমার মাথার চুল গুলো টেনে দাও মাথাটা ভিষন ব্যাথা করছে..।
” আমাকে কি আপনার ঘরের বউ লাগে যে আপনার সেবা যত্নে আমি নিয়োজিত থাকবো।
“আমার বউ হতে দোষের কি? কি কমতি আছে আমার বলো?কি কমতি আছে? টাকা আছে,বাড়ি আছে দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ আর কি লাগবে তোমার।
” মন আছে মন!মনটা তো নেই পাষাণ একটা। দিনের পর দিন একটা মেয়ের উপর অত্যাচার চালিয়ে য……
পুরো কথাটা শেষ করতে পারেনি ঈশা তার আগেই ঈশান ঘর কাপিয়ে একটি ধমক দেয়। ঈশানের ধমকে ঈশা ছিটকে রুমের কোনে গিয়ে মুখে হাত দিয়ে কাদতে শুরু করে।
“তখন থেকে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছি, অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছি বলছো। কি অত্যাচার চালিয়েছি আমি বল..?বলছোনা কেন..?সমস্যা কি তোমার ঠান্ডা মাথা এসো পাশে বসো আমাকে বলো কিন্তু তা না তর্ক করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে।
ঈশান কিছুক্ষন চুপ থাকে। ঈশার দিকে মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে ঈশা কাদছে মুখে হাত দিয়ে।ঈশানের মনের ভেতর এবার খচ খচ করছে সত্যি ধমকটা বেশি জোরে দিয়ে ফেলেছি।
” ঈশু সরি এদিকে এসো.. রাগ করো না।এদিকে এসো আমার পায়ে ব্যাথা তাই দাড়াতে পারছিনা।
ঈশানের কথা শুনে ঈশা আরো রেগে যায়। ঘরের কোনায় একটি তাকে সাজানো কিছু শোপিস ছিল। ঈশা সেখান থেকে একটা শোপিস নিয়ে ঈশানের দিকে ছুরে মারে। ঈশান তা ক্যাচ করে নেয়।
“আরে ঈশু কি করছো আমার গায়ে লাগবে এগুলো।
ঈশা সোজা রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলেই ঈশান একটি আদেশ বানী ছুড়ে দেয়।
” খবরদার এই রুম থেকে যদি আর এক পা বাড়িয়েছো তবে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবেনা।
ঈশা ঈশানে দিকে তাকিয়ে দরজার খুলতে নিলেই। ঈশান লাফিয়ে উঠে ঈশার আগে দরজা আটকে দেয়।পায়ের ব্যাথাটা টন টন করে উঠে কিন্তু এই মূহুর্তে তার ব্যাথা গুলো তেমন গায়ে লাগছেনা আগে তার ঈশা কে আটকাতে হবে।
“এই সমস্যা কি তোমার ঘাড় এতো ত্যাড়া কেন? বললাম তো যেতে হবে এখন। আমার কথা বাকি আছে!!
” আমার নেই, সরুন আমি বাড়ি যাবো।
“আমার সাথে একদম ঘাড় ত্যারামি করবে না ঈশু ফল কিন্তু ভালো হবেনা।
” আর কি ভালো হচ্ছে।
ঈশান ঈশাকে টেনে বিছানার সামনে দাড় করার।তারপর টেনে তার কোলে বসিয়ে দেয়।ঈশানের এমন কান্ডে ঈশা হতভম্ব হয়ে যায়।
“এই ছিহহ ছাড়ুন আমায়.! সাহস তো কম না আপনি আমায় জড়িয়ে ধরেছেন!
” কেন আগে কথা শুননি কেন? এখন ছুয়ে দিলাম এতেই গায়ে ফসকা পড়ে গেছে নাকি।
“দেখুন আমায় ছেড়ে দিন আমি কিন্তু এখন উলটা পাল্টক কিছু করে বসবো!
” কি করবে?
“আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ!এমন কেন করছেন?বিশ্বাস করুন রাগের মাথা আপনার সাথে সমাধান করতে এসেছি আর এখন নিজেই ফেঁসে গেছি!(মন খারাপ করে)
” তুমি গত দুই দিন আগে ফাসঁলে আর তাতেই এই অবস্থা আর আমি যে তিন বছর ধরে ঝুলে আছি তার বেলায়?
“মানে? (অবাক হয়ে)
” না কিছু না।তোমার চুল থেকে পানি পরছে কেন? কোথায় ভিজেছো তুমি?
“এই আপনার কথা বলতে ইচ্ছে হলে দূরে সরে কথা বলুন আমায় এইভাবে জাপটে ধরে আছেন কেন?
” ছেড়ে দিলে যদি পালিয়ে যাও?
“উফফ আমায় ছাড়ুন বলছি।
ঈশান ঈশাকে ছেড়ে বিছানার উপর থেকে তোয়ালে নিয়ে মাথা মুছতে শুরু করে
” এই কি করছেন কি? দূর..ভাল্লাগেনা! ছাড়ুনা আমায়।
“খবরদার নড়া চড়া করলে গাল ফাটিয়ে ছাড়বো বলে দিলাম।(ধমক দিয়ে)
ঈশা চুপ চাপ আবারো কাদতে শুরু করে কোন বিপদে পড়েছে সে আল্লাহ যানে।
এদিকে ঈশা যখন দরজা আটকে দেয় তখন অনুর অবস্থা হয়েছে দেখার মতো বেচারি ভয়ে গুটিয়ে গেছে।অপরিচিত জায়গায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে হিমশীম খাচ্ছে।অনুর অবস্থা বুঝতে পেরে রাসেল তাকে তার সাথে যাওয়ার জন্য বলে,কিন্তু তাতেও অনু বারন করে। অবশেষে রাসেলের বার বার রিকুয়েস্টে অনু তার সাথে ছাদের দিকে পা বাড়ায়।
” মিস অনু ঈশা হঠাৎ এইভাবে রেগে যাওয়ার কারনটা কি যানতে পারি(রাসেল)
“আসলে শিহাব ভাইয়ের অবস্থা নাকি খুব খারাপ আমি ঈশাকে এই কথাটা যখন বলি তখনি ঈশা রেগে বোম..তারপর বাকি কান্ড ঘটালো।
” আল্লাহই যানে কি হচ্ছে ভিতরে কে কাকে মারছে(দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে)
“আমার মনে হয় না ঈশান ভাইয়ার সাথে ঈশা পেরে উঠবে.. তবুও দেখা যাক কি হয়।
দুজনেরি বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
“এবারের মতো ছাড়া পাই আই সোয়্যার আর জিবনে আপনার সামনে আসবো না।?(ছল ছল চোখে)
ঈশার কথা শুনে ঈশান ঈশার মুখ চেপে ধরে।
” খবরদার তোমার মুখ থেকে আর এক দিনে এই কথা শুধু বের হতে দেখি তবে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা বলে দিচ্ছি।
ঈশা নাক টেনে কাদঁতে থাকে।
“কি সমস্যা, কেন এতো রাগ নিয়ে এখানে এসেছো? আগে সেটা বলো!আর এইসব ফ্যাচাফ্যাচা কান্না আমার সহ্য হয় না। তুলে আছাড় মারার আগে কান্না থামাও
” আমি বাসায় যাবো!(কেদেঁ)
“এসেছো নিজের ইচ্ছায় যাবে আমার ইচ্ছায়।এত বক বক না করে এতো রেগে ছিলে কেন যেটা বলো?
” আপনি শিহাবকে এতো মার দিয়েছেন কেন একটু ধমক দিলে হতো।
“আমি কাকে মারবো কাকে আদর করবো সেটা আমার ব্যাক্তিগত ব্যপার তোমাকে জিজ্ঞেস করবো নাকি আমি?(ভ্রু কুচকে)
ঈশা আবারো কাদতে থাকে।সে যা বুঝার বুঝে ফেলেছে এই লোকটার হাত থেকে তার নিস্তার নেই।
” শুনো.. ওই ছেলে ঠিক তোমার মতো ঘাড় ত্যারা তোমাকে নাকি ছাড়বেনা,এই সেই বাংলা ছবির ডায়ালগ ছুড়ে দিয়েছে তাই ইচ্ছে মতো ধোলাই দিয়েছি!
“মানে কি? আমার যার সাথে ইচ্ছে তার সাথে প্রেম করবো আপনি বাধা দেওয়ার কে(দাতে দাত চেপে)
” আমি, তো সব কেন যানো না?
“না..!
” ছেলেদের যদি দেখি তোমার আশে পাশে ঘুর ঘুর করতে আর তোমায় শুধু দেখি প্রপোজ একসেপ্ট করতে তবে দেখো এই ঈশান কি জিনিস।খবরদার ছেলেদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে মাইন্ড ইট।
“দূরেই থাকি আমি। কিন্তু আপনি আমায় এইভাবে চিপকে আছেন কেন?
” তোমার সাহস কম না তুমি অন্য ছেলেদের সাথে আমায় তুলনা করো?
“কেন আপনার মাঝে কি এমন বিশেষ গুন আছে যে আপনি আলাদা?
” তুমি বড্ড বেশি তর্ক করো কোন দিন যে আমার হাতে সত্যি সত্যি চড় খাও তা আল্লাহই যানে।
আচ্ছা এখন বাড়ি যাও ড্রাইভার পোছে দেবে আমার পায়ের অবস্থা খারাপ না হলে আমি নিজেই যেতাম।
“কোন প্রয়োজন নেই এসেছি একা যাবো একা।
” আরেকটা সাউন্ড করলে আজ আর এই বাড়ি ছেড়ে যেতে দেবো না বলে দিচ্ছি।
(গল্পটি লেখনীতে-পলি আনান)
ঈশা উঠে যেতে নিলেই ঈশান আবার হেঁচকা টেনে ঈশাকে বসিয়ে দেয় তার মাথায় হাত দিয়ে দিলে,
“শুনে রাখো খুকি…আমার হাত থেকে তোমার মুক্তি নেই…নেই মানে নেই। শুধু শুধু ঝগড়া না করে আমার কথা মতো চলো যা হচ্ছে তা হতে দাও।
বাড়িতে এসে পায়ের জুতা গুলোকে ছুড়ে ফেলে ঈশা নিজের রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায় তখনি তার ফুফু আতিয়া তার নাম ধরে ডাকতে থাকে।
” ঈশা… ঈশু মামনি তুই কই ছিলি রে.?
ঈশার ফুফু আতিয়া এবং ফুফা অবসার তাদের একমাত্র ছেলে হাসিনকে নিয়ে তাদের পরিবার।ঈশাদের বাড়ি থেকে বেশ দূরেই থাকেন তারা।বাবা মায়ের পর যদি ঈশাকে শান্তির নীড় খুজতে বলা হয় তবে ঈশা তার ফুফির বাড়িটাই বেছে নেবে।সেই বাড়ির প্রত্যাকটা সদস্য ঈশাকে ভালোবাসে।
ঈশা দৌড়ে আতিয়াকে জড়িয়ে ধরে।
“ফুফি কেমন আছো?
“ভালো আছি তুই কেমন আছিস?তোর জন্য আজ বিশাল বড় সারপ্রাইজ!
” কি সারপ্রাইজ?
“তোর হাসিন ভাইয়ার বিয়েটা ঠিক করে ফেলেছি!
” কিহহহ তোমরা আমাকে জানালেনা, আমায় সবাই ভুলে গেলে?
“দূর বোকা মেয়ে এংগেসমেন্ট তো শেষ বিয়েটা আর ঝুলিয়ে রাখবো কেন তাই তোর ফুফা ফোনেই সবটা ঠিক করলো!
” ওহহ।বিয়ে কয়দিন পর?
“দশ দিন। গুনে গুনে দশ দিন সময় আছে তোর কাছে। আজকেই তোরা আমাদের সাথে যাবি।আর হ্যা অনুকে ও নিয়ে যাবি।মেয়েটা ভারি মিষ্টি! যদি অনুর আম্মু আজ যায় তবে যাবে বিয়েতে অবশ্যই আসতে হবে।
” ঠিক আছে আমি অনুকে বলে রাখছি। আমাদের বিয়ের পাত্র কোথায় দেখছি না যে?
“হাসিন এতক্ষন তোকেই বোকে যাচ্ছে তুই কই ছিলি তাই এখন তোর রুমে গেছে।
” ওকে আমি অনুকে কথাটা যানিয়ে আসছি!
ঈশা গিয়ে এবার অনুর দরজা ধাক্কাতে শুরু করে।অনু বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে ঈশাকে বলে,
“বইন মাফ চাই আমারে মাফ কইরা দে।একটু বিশ্রাম নিতে দে। আবার কি তোর?
” এই বিশ্রাম নেওয়া লাগবে না জানু…আগে ব্যাগ গোছাও, হাসিন ভাইয়ার বিয়ে দশ দিন পর.. তুই ও যাবি তাই ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে নাও।বিস্তারিত আম্মু এসে বলে যাবে।
“কিহহ সত্যি?তাহলে এই কয়দিন বেশ মজা হবে কি বলিস?
” হ্যা সত্যি ওই বদ লোকটার হাত থেকে এই কয়েকদিন বেচে যাবো।শালা জানবে ও না আমরা কোথায় আছি(খুশি হয়ে)
“এই চুপ করতো যেখানে তুই সেখানেই বিপদ ওই ঈশান ঠিকি তোকে খুজে বের করবে মিলিয়ে নিস।
” আরে পাবে না পাবে না, যা তুই রেডি হ আমি ও আসছি।
ঈশার যাওয়ার পানে তাকিয়ে অনু করুন দৃষ্টিতে মনে মনে বলে,
“ঈশান কে তুই এখনো চিনলি না। তুই দেখিস সেখানেও তোর অবস্থা লে হালুয়া করে ছাড়বে।মাঝখান থেকে আমি নিষ্পাপ মেয়েটা ফেসেঁ গেছি।
“ভাইয়া….!
” কিরে কইছিলি তুই(হাসিন)
“একটা বিশেষ কাজে বিশেষ ভাবে ব্যস্ত ছিলাম।
” তোর কি হয়েছে ঈশা?
“কই আমার আবার কি হবে..?
” তোর ফেসবুক আইডিতে ডুকে আমি তোকে চিন্তেই পারি নি। একদম সাদা -মাটা তোর কোন পিক নেই সব চেঞ্জ।হুট করে এমন করছিস কেন?
“ন..ন..না মানে এমনি করেছি আর কি।
” এনিথিং রং..?
“হ্যা ভাইয়া আমার চারিপাশে সব রং বেরং….তুমি এবার থামতো কাজের কথা বলো(কথা ঘুরিয়ে)
“” তুই আগের মতো ফাজিল রয়ে গেলি..
ঈশা হাসিনের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে কাভার্ড থেকে জামা বের করতে থাকে যত দ্রুত সম্ভব সে এলাকা ছাড়া হবে।
#চলবে….
?পর্বটা কেমন হলো যানাবেন…!