You_are_mine
season_2
Poly_Anan
part_24(শেষ পর্ব)
দীর্ঘ এক সাপ্তাহ নানান আয়োজন আর ব্যস্ততার মাঝে শেষ হয় ঈশান ঈশা,রাসের আর অনুর বিয়ে।বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ঈশানের বাবা।রাসেলের বাবা মা দেশেই এসে সবটা সম্পূর্ন করেছে।ঈশা ঈশানের বাড়ি থাকা কালীন ঈশান কখনো ঈশাকে তার বেড রুমে ডুকতে দেয়নি অবশ্য সে নিজেও সেই রুমটা ইউস করেনি।তালা বদ্ধ করা ছিল রুমটি। ঈশা অনেক বার জিজ্ঞেস করে এই রুমটি তালা বদ্ধ কেন ঈশান প্রতিবারি ঈশার প্রশ্নের উওর ঘুরিয়ে গেছে।
বিয়ের দিন রাতে ঈশান ঈশার সামনে সেই তালা বদ্ধ রুমটি খোলে আর তা দেখে ঈশার চোখের কোনে পানি চিকচিক করতে থাকে।তার মনে পড়ে যায় আজ থেকে ঠিক প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সে নিজের হাতে এই রুমটা সাজিয়েছে।যেভাবে নিজ দায়িত্বে সাজিয়েছে এই রুমটা এখনো ঠিক তেমনটাই আছে।ঈশা ঈশানের দিকে অশ্রু সিক্ত চোখে তাকালে ঈশান বলে,
“মনে আছে বলেছিলাম এই রুমে তুমি থাকবে তাহলে তোমার মত করে তুমি আমার রুমটা সাজিয়ে গুছিয়ে নাও।তুমি তোমার মতো করে সবটা সাজিয়ে গুছিয়ে নিলে,দেখো এখনো ঠিক তেমনটাই আছে।এই রুমে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি আমি।আমার রানীর আগমন ঘটবে এই রুমে তাই সবার আসা যাওয়া মোটেও ঠিক নয়।
ঈশা ঈশানের দিকে তাকিয়ে একটি তৃপ্তির হাসি হাসে।
” গুন্ডা ঈশান আমায় এত ভালোবাসেন কেন?
“তুমি যে আমার প্রান ভোমরা। তোমায় ভালো না বেসে উপায় আছে?
ঈশা আবারো খিলখিল করে হাসতে থাকে।ঈশান তাকে কোলে তুলে রুমে প্রবেশ করে।রুমের চারিদিকে শুধু ছোট ছোট বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। রুমের পরিবেশটায় আবচ্ছা আলোয় হারিয়ে যাচ্ছে ঈশা ঈশান।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ ঈশা ঈশান আবারো পরিপূর্ন ভাবে এক হলো।দুজন দুজনকে প্রতিজ্ঞা করলো শত বাধা বিপত্তি আসলেও মরন ছাড়া কিছুতেই আলাদা হবে না তারা।
কয়েক মাস পর…ঈশা আর অনু এখন পাক্কা রাধুনি।কোমরে আচঁল গুজে নিজেদের বরের জন্য নিজেরা রান্নায় ব্যস্ত থাকে।ঈশানের মায়ের একাকিত্ব দূর করতে ঈশা তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তাকে।শেষ বয়সটায় আবারো বাল্য কালের বন্ধবির সাথে বেশ ভালোয় দিন কেটে যায় তার।
হাসিনের ছেলে হয়েছে প্রায় বিশ দিন হলো।তাদের সংসার জীবনটাও এখন পরিপূর্ণ।রাতে অফিস থেকে আজ একটু আগেই ফিরে ঈশান আর রাসেল।ঈশা আর অনু মিলে রান্না শেষ করে বিশ্রাম নিতে উপরে চলে যায়। এদিকে ঈশার ডান হাত বেশ খানিকটা পুড়ে গেছে বিষয়টা অনুর কাছে এড়িয়ে যায় সে।কারন ঈশান যানলে আর বাড়ি মাথায় তুলে ছাড়বে৷ , হাত পোড়া,কাটার ভয়ে ঈশান ঈশার রান্না করা নিষিদ্ধ করে। বেশ কয়েকদিন এটা নিয়ে দুজনের মাঝে দ্বন্দ চলে কিন্তু ঈশা নাছোড়বান্দা সে রান্না করবেই।অবশেষে ঈশান হার মানে তবে শর্ত ছিল কোন আঘাত পেলে রান্না করা বন্ধ ঈশাও মেনে নেয় হাসি মুখে।
কিন্তু সারা রুম তন্ন তন্ন করেও সে আজ ওয়েনমেন্ট খুজে পাচ্ছে না।এদিকে ঈশান ড্রাইনিং টেবিলে বসে আছে।ঈশার হাত অতিমাত্রায় পুড়ে গেছে,হাতের ভেতরটায় জালা পোড়া শুরু হয়ে গেছে এর আগে কখনো এমনটি হয়নি তার সাথে।চোখের কোনে তার পানি চিকচিক করছে।একটু কাদঁতে পারলে যেন ব্যাথাটাও কমে যেত।কিন্তু বেচারি কাদতেও পারবেনা কি একটা জালায় পড়েছে সে।ঈশান অনেকক্ষন থেকে ঈশাকে ডাকছে রাতের খাওয়ারটা শেষ করতে কিন্তু বেচারি কি করে খাবে হাতের অবস্থা যে করুন।উপায় না পেয়ে ভয়ে ভয়ে ঈশা নিচে নেমে আসে। ঈশান তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ঈশা একটি মেকি হাসি দিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে,
“ত..তোমরা বসে আছো কেন? খাওয়া শুরু করো
অনু ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে সন্দেহ দৃষ্টিতে ঈশাকে কেমন যেন লাগছে।ঈশান চুপ চাপ গম্ভীর ভাবে ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে,
” তুমি ছাড়া কেউ কখনো খাওয়া শুরু করেছে?
“না।
” তাহলে?বসো একসাথে খাবো।
“আমি খাবোনা তোমরা খাও।আমার ক্ষিদে নেই।
ঈশান ভালো করে ঈশার দিকে পরখ করে তার চোখের কোনে পানি টলমল করছে।চেহারায় ভয়ের ছাপ। হাত দুটো কেমন আড়াল করার চেষ্টা করছে।ঈশান বুঝতে পারে কিছুতো গড়বড় আছেই।ঈশান ঈশার ডান হাতটা টেনে চেয়ারে বসাতে নিলে ঈশার চিৎকারে সবাই কেপেঁ উঠে।ঈশান চমকে বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।ঈশার চোখ থেকে পানি পড়া শুরু হয়ে গেছে।ঈশান অবাক হয়ে ঈশার হাত টেনে ধরে ঈশা নিজের হাত ছাড়াতে চেষ্টা করলে ঈশানের চোখ রাঙ্গানো দেখে শান্ত হয়ে যায়।কিন্তু চোখ থেকে পানি ঝরেই যাচ্ছে।তার হাত দেখে ঈশান আতৎকে উঠে।
ঈশার হাতে বেশ কয়েকটা ফোস্কা পড়ে গেছে।,ফোস্কা গুলো ফেটে গেছে দেখতে কেমন বিভৎস লাগছে।
” ও মাই গড..! এটা কি করে হলো।
ঈশা চুপ চাপ দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে।
“কথা বলছো না কেন তুমি?(ধমক দিয়ে)
” রান্না ক….
ঈশার কথা শেষ হওয়ার আগেই ঈশান টেবিলের উপর থাকা প্লেটটা ছুড়ে ফেলে মেঝেতে। সঙ্গে কাচঁ গুলো ভেঙে চারিদিকে ছড়িয়ে যায়।ঈশা ভয়ে দু কদম পিছিয়ে চোখ নামিয়ে কাদতে থাকে।অনু ঈশার পাশে এসে দাঁড়ায়।রাসেল ঈশানের হাত টেনে বলে,
“বকিস না দোস্ত রান্না করতে গেলে একটু লাগবেই..!
ঈশান এবার রেগে রাসেলের দিকে তাকায়।
” একটু লাগবে মানে কি? হ্যা বল একটু লাগবে মানে কি?তাকে আমি বলিনি রান্না করার দরকার নেই এত সার্ভেন্ট কেন রেখেছি আমি।সে যানে তাকে নিয়ে আমার কত চিন্তা । তবুও এইসব পাগলামি কেন করে।তুই দেখ হাতটা কতখানি পুড়ে গেছে।ফোসকা গলে গেছে এখন ইনফেকশন হয়ে যাবে।একটু ওয়েনমেন্ট পর্যন্ত লাগায় নি।
“আয়া আমি খুজে ছিলাম কিন্তু পাইনি(কেঁদে ঈশা)
ঈশান ঘুরে ঈশার দিকে তাকায়।ঈশার চোখ মুখ নাক লাল হয়ে গেছে।তাকে দেখে বুঝাই যাচ্ছে বেচারি কতটা সাফার করছে।ঈশান অনুর দিকে তাকিয়ে বলে,
” অনু তোমরা দ্রুত খেয়ে নাও আমি আসছি।
ঈশান ঈশার বাম হাত টেনে উপরে নিতে গেলে ঈশা ঝটকায় হাত সরিয়ে অনুর পেছনে লুকিয়ে যায়।ঈশান অবাক হয়ে ঈশার দিকে তাকায়।অনু বুঝতে পারে ঈশা কেন এমন করেছে, এবার যে ঈশান আরো বেশি রেগে যাবে সে বুঝতে পেরে ঈশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“আরে ঈশা ভয় পাচ্ছিস কেন?ঈশান ভাই তোকে বকবেনা।যা তুই।
ঈশা এবার ঢোক গিলে ঈশানের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি নামিয়ে নেয়।ঈশান বাম হাত টেনে ঈশাকে রুমে নিয়ে যায়। চুপ চাপ ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে ঈশার হাত পরিষ্কার করে ওয়েনমেন্ট লাগিয়ে দেয়।ঈশা এতক্ষন একপলক ঈশানের দিকে তাকিয়ে ছিল,
গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।
ঈশানের ফর্সা গাল একদম লাল হয়ে আছে।চোখে মুখে ফুটে আছে ভয়ের ছাপ।
ঈশান একটি খাবারের প্লেট এনে ঈশার সামনে বসে।ভাত মাখিয়ে ঈশার মুখে সামনে ধরলে ঈশা বলে,
” আমি খাবো না (কান্না কন্ঠে)
“তুমি কি আমার হাতে মার খেতে চাও?
“না। আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।(মুখ সরিয়ে)
” তোমাকে আমি বারন করেছিলাম রান্না ঘরে না জেতে। আর যদি আমার কথা না শুনো তবে তোমার বাপের বাড়ি যাওয়া বন্ধ।
কথাটি শুনেই ঈশার আরো বেশি কান্না পাচ্ছে।
“এটা কিন্তু এক ধরনের নারী নির্যাতন। আমাকে বাপের বাড়ি যেতে দেবে না কেন?।তুমি আমাকে কখনো ওই বাড়িতে থাকতে দাও না।
” মিথ্যা বলো কেন ঈশু?আমি তোমাকে যেতে দি না বুঝি!
“যেতে দাও সকালে যাবো সারাদিন থাকবো কিন্তু রাতে নিয়ে চলে আসো! রাতে থাকলে কি সমস্যা এইসব কি অত্যাচার নয়(ছলছল চোখে)
” দেখো আমার জীবন থেকে এমনিতেই সাড়ে তিন বছর তোমাকে ছাড়া কেটেছে। তাই এখন থেকে তোমাকে একটা মূহুর্তের জন্য ছাড়ছিনা।
“আমি পুলিশের কাছে যাবো মামলা দেবো বলবো আর স্বামি আমাকে বাপের বাড়ি যেতে দেয় না। কথায় কথায় চোখ রাঙ্গায়, ধমক দেয়।
” ঈশু তোমাকে আমি কিচ্ছু বলবো না যদি আমার বকা,ধমক,রাগ অত্যাচারে একটু হলেও ভালোবাসা অনুভব করতে পারো তাহলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করো।সবার জীবনে এমনটা থাকে না যার রাগের মাঝেও একপ্রকার ভালোবাসা পাওযায়,তাই তুমি ভাগ্যবতী!
এবার আমার ভাগ্যবতী বউটা খেয়ে নাও আমার হাতে।
ঈশা চুপচাপ ঈশানের হাতে খেতে শুরু করে।
“আপনি আমায় এখন আর একটুও ভালোবাসেন না গুন্ডা ঈশান।
” ভালোবাসি ভালোবাসি বলে চিৎকার করলেই ভালোবাসা হয়ে যায় না।ভালোবাসা দুটি মনের সম্মোহন! দুজন দুজনকে যানা,বুঝা, দুঃখের সময় পাশে থাকা সুখের সময় একসাথে প্রাণ খুলে হাসা।আর ভালোবাসলেই শুধু হয় না আকড়ে ধরতে হয়, আজীবন পাশে থাকবো বললে হয় না পাশে থেকে দুহাত আকড়ে ধরে দেখিয়ে দিতে হয়, ।
তাই আমি তোমার সামনে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে বিলাপ করছিনা।আমার কাজ কর্মে যদি তোমার মনে হয় তোমায় ভালোবাসি না তাহলে কোন দিধা দ্বন্দ ছাড়া বাপের বাড়ি যেতে পারো। তবে পরিশেষে একটাই কথা বলবো, খাচার পাখি তোমায় আবার দিনশেষে খাচায় ফিরতে হবে।ফিরতে হবে আমার হৃদজমিনে।আমাদের রাগ হবে অভীমান হবে শুধু বিচ্ছেদ হবেনা।তাই যেখানেই যাও সন্ধ্যা আমার বাড়িতে যেন তোমাকে আবারো ফিরে পাই!
বুঝলে বোকা জান?
ঈশা ঈশানের দিকে ঠোঁট উলটে তাকিয়ে আছে একটু আগে ঈশানের বলা কথা গুলোতে কি অভিমান ছিল নাকি রাগ ছিল নাকি বিরক্তি কিছুই বুঝলো না সে। তবে সে এটা যানে ঈশান তাকে ভালোবাসে। ঈশা চট করেই ঈশানের কোলে বসে পরে,
“এখন আবার কি বায়না বউ?
” তোমাকে একটু আদর করে দি?
“না লাগবে না । তোমার হাত পুড়েছে তুমি এসেছো এখানে নাটক করতে। তুমি যানো আমার বুকের ভেতরটায় কেমন লাগছে সব যেন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঈশা টুপ করে ঈশানের গালে একটা চুমু খায় আর মুচকি হেসে বলে,
” আমি তোমার কথার আর অবাধ্য হবো না..! এবারের মতো আমায় ভুল শূদ্রতে দাও!
“ওকে ওয়াইফি। তোমার হাজারটা ভুল শূদ্রে দিতে আমি প্রস্তুত আছি।
” ভালোবাসি গুন্ডা ঈশান…!
“ভালোবাসি ঈশু জান..!(ঈশার কপালে চুমু খেয়ে)
সময়ের গতীতে কেটে গেছে আরো চার বছর। এই চার বছরের পাল্টে গেছে এই চেনা শহর পালটে গেছে পরিবেশ কিন্তু পালটে নি ঈশা ঈশানের ভালোবাসা। তাদের ভালোবাসা ঠিক আগের মতোই আছে।
ঈশানের জীবনের আরেকটি প্রাপ্তি তার বাবা হওয়া।প্রায় ১৮ মাস আগে ঈশার কোল আলোকিত করে তাদের ঘরে আসে মেয়ে ঈশানী।ফুটফুটে ফর্সা লালভাব চেহারার মেয়েটি দেখতে তার মায়ের মতোই হয়েছে।শুধু রাগটা পেয়েছে বাবার মতো।প্রায় ১৩ মাস আগে জন্ম হয় রাসেল আর অনুর মেয়ে রুহি।বাড়িতে একসাথে দুটো বাচ্চার খুনশুটিতে মুখরিত থাকে ঈশানদের বাড়ি।
গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।
বাবা হওয়ার পর ঈশান আরো দায়িত্ববান হয়ে গেছে।ঈশার পাশাপাশি ঈশানির সঠিক ভাবেই দায়িত্ব পালন করছে।রাত ১ টা সবাই ঘুমিয়ে থাকলেও ঘুম নেই ঈশার চোখে।চোখে ঘুম নেই বললে ভুল তার ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু ঈশানির চোখে ঘুম নেই। ঈশানী কেন যেন শুধু শুধু হাসছে আবার কাদছে ঈশার গালে আচড় দিচ্ছে।ঈশাও বিরক্ত না হয়ে ঈশানিকে নিয়ে রুমে পাইচারি করছে
” আম্মু তুমি কেন জেগে আছো?ঘুমবেনা মাম্মামের প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।
ঈশার কথা শুনে ১৮ মাসের বাচ্চা পিট পিট করে তাকিয়েই আছে কি বলছে সঠিক ভাবে হয়তো সে বুঝতে পারছেনা ঈশার কথা।নখ না থাকা শর্তেও ঈশার গালে একটি আলতো করে চিমটি দেয় ঈশানি , ঈশানির সাথে মজা করে ঈশা”আহ,শব্দটি বলার সাথে সাথে ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠে যায় ঈশান।ঈশানকে উঠতে দেখে ঈশা জিবে কামড় দিয়ে বিড়বিড় করে বলে,
“এই রে বেশি জোরে আওয়াজ করে ফেলেছি।
ঈশান তার পাশে তাকিয়ে দেখে ঈশা নেই আড়মোড় কাটিয়ে ভালো করে লক্ষ্য করে ঈশা বারন্দায়। ঈশানের বুঝতে বাকি নেই ঈশানি আবারো আজ রাতে নাটক শুরু করেছে।ঈশান বিছানা থেকে নেমে রুমের লাইট অন করে ঈশার দিকে এগিয়ে যায়।
” কি হলো ঘুমাও নি কেন?
“ঈ..ঈশানি আজ ঘুমচ্ছেনা তাই আমিও..
ঈশান ঈশার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে বেচারি ঘুমের প্রয়োজন। চোখ লাল হয়ে ছোট হয়ে গেছে।ঈশান ঈশানিকে কোলে নিয়ে বলে,
“যাও ঘুমাও তুমি।
” আরে না, আমাকে দাও তোমার কাল অফিস আছে।
“যেতে বলেছি তোমায় আমি(ধমক দিয়ে)
ঈশাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ঈশান ঈশার হাত টেনে বিছানার সামনে নিয়ে যায়।ঈশাও বাধ্য হয়ে ঘুমিয়ে পরে।
ঈশান ঈশানীকে নিয়ে বারান্দায় চলে আসে।ঈশানী ছোট ছোট চোখ করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।ঈশান তার দিকে একবার অভীমান দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
” ঈশানী আম্মু তোমায় একটা কথা বলি তোমার মাম্মামকে আমি অনেক কষ্ট করে নিজের জীবনে পেয়েছি।বলতে পারো জীবন মরণেত বাজি রেখে পেয়েছি।যেদিন থেকে আমি তোমার মাম্মামকে সম্পূর্ণ আমার করে পেয়েছি সেদিন থেকে আর কোন দিন আমি তাকে কষ্ট দিনি।সম্পূর্ন ভালোবাসায়, যত্নে মুড়িয়ে রেখেছি।কিন্তু তুমি দূনিয়াতে আসতে না আসতে আমার বউটাকে কষ্ট দেওয়া শুরু করেছো! দূনিয়াতে আসতেও কষ্ট দিলে সেদিন তো আমার প্রাণটাই বেরিয়ে যাচ্ছিল আমার ঈশার কিছু হবে না তো? আল্লাহ সব ঠিক ঠাক ভাবে শেষ করলো।এবার তুমি দূনিয়াতে এসেও আমার বউটাকে জালাচ্ছো এটা তো আমি মেনে নেবো না।আমি আমার বউটাকে যেমন ভালোবাসি তেমন তোমাকে! তোমাদের নিয়েই আমার পৃথিবী।আর আমার আরেক পৃথিবী আমার মা।তাহলে তুমি কেন এমন করছো?তোমার মাম্মামকে কেন কষ্ট দিচ্ছো।বেচারি ঘুমে ঢলে পড়ছে তাও তুমি ঘুমালেনা। আমার বউকে যদি আর কষ্ট দিয়েছো তাহলে কিন্তু আমি তোমার আদরের ভাগ কমিয়ে দেবো কথাটা যেন মনে থাকে।
১৮ মাসের বাচ্চাটা ঠিক কতটুকু ঈশানের কথা বুঝতে পারলো? ঈশান নিজেও যানে না। তবে ঈশানের কথা বলার সময় ঈশানী গভীর দৃষ্টিতে তার বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল।যেন বাপ মেয়ে মিটিং করছে।ঈশান ঈশানীর দিকে তাকিয়ে একটি মিষ্টি করে হাসি দেয়।ঈশানীও খিলখিল করে হাসতে শুরু করে, ঈশান টুপ করে একটা চুমু দিয়ে ঈশানীকে বুকের সাথে জড়িয়ে আবার পাইচারি শুরু করে কিছুক্ষন পর ঈশানীও ঘুমিয়ে পরে।
ঈশান ভালো করে লক্ষ্যে করলে খেয়াল করে পাশের বারান্দায় কে যেন ঘুমিয়ে আছে।কিছুক্ষন পর ঈশান বুঝতে পারে রাসেল চেয়ারে বসে রুহিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে।ঈশান রুমে এসে মনে মনে বলে,
“বাবা হওয়া চারটে খানি কথা না,যার সাথে জড়িয়ে আছে বিশাল দায়িত্ব।
গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।
ঈশানীকে ঈশার পাশে রেখে ঈশার আর ঈশানীর কপালে চুমু খেয়ে ঈশান আবারো বারান্দায় ফিরে যায়।
কিছুক্ষন পর ঈশান স্টাডি রুমে ফিরে যায়।এখানে অবশ্য ঈশান ছাড়া কেউ আসেনা।আলমারি থেকে একটি ডাইরি বের করে জানালা খুলে চেয়ার টেনে বসে সে।এই ডায়রিটা পেয়েছিল যখন ঈশা সিলেটের জারিফের বাড়ি থেকে চলে এসেছিল তখন ডাইরিটা দেখে ঈশানের কাছে রহস্য লাগে তাই সে এটা সবার কাছ থেকে আড়াল করে নেয়।এখনো এত বছরেও ঈশা যানে না তার ডায়রি ঈশানের কাছে।
ঈশা সেদিন ডাইরিটা তন্ন তন্ন করে খুজেছে কিন্তু পায় নি।পাবে কি করে ঈশান তো আগেই সরিয়ে দিয়েছে ডায়রিটা।
এই ডায়রি পড়ার মত সাহস ঈশানের নেই প্রথমে যেদিন সবার আড়ালে পড়ে সেদিন ঈশান ভেঙ্গেচুরে গুড়িয়ে যায় কিন্তু নিজেকে আবারো ঠিক ঠাক ভাবে ঈশার সামনে সামলে নেয়।আজ আবারো এই ডায়রি পড়বে ঈশান। ডায়রির উপরে খুব সুন্দর করে জরির কাজে লেখা,You are Mine দেখেই বুঝা যায় ঈশা বেশ যত্ন নিয়ে ডায়রিয়া লিখেছে। এই ডায়রিটা সিলেট থাকাকালীন ঈশা নিজের মনের কথা গুলো আড়ালে লিখেছিল।
ঈশান প্রথম পৃষ্ঠা উলটে পড়া শুরু করে,
`সবাই চায় বেঁচে থাকতে কিন্তু আমি দিনের পর দিন আমার মৃত্যুর কামনা করছি । বেঁচে থাকার মত ইচ্ছা, কিংবা আগ্রহ কোনটাই আমার নেই।আমার জন্য আজ মৃত্যুর দূয়ারে দাড়িয়ে আছে আমার বিবাহিত স্বামি।ঈশান শাহরিয়ার আপনাকে ভালোবেসে আমি পরিবার হারিয়েছি, জীবনের গতি পথ হারিয়েছি আর আপনাকে দিয়েছি মৃত্যু নামক সমাপ্তির উপহার। আপনি যদি কোমা থেকে না ফিরেন তবে নিজেকে নিজে ক্ষমা আমি কোন দিন করতে পারবো না।যানেন আমি তো মরেই যেতাম,আত্নহত্যা নামক ভয়ংকর পাপে জড়িয়ে যেতাম কিন্তু আমার বিশ্বাস আপনি ফিরে আসবেন আর আপনার ঈশাকে আপনি নিয়ে যাবেন।
কয়েক পৃষ্ঠা পর,
` যানো ঈশান আমার কাছে ভালোবাসা কেমন? আমার কাছে ভালোবাসা এলকোহলের মতো।এটা নেশা বড্ড বেশি নেশা।যদি একবার সত্যিকারের ভালোবাসায় ডুব দেওয়া যায় তবে নেশায় তোমায় ঘিরে ধরবে।যত পাবে ঠিক আরো চাইবে। তুমি ছিলে আমার নেশা ঈশান।কিন্তু আজ তুমি নেই আমার পাশে। তুমি বিহনে যে আমি জ্বলে পুড়ে মরছি বাইরের জগৎতের কেউ কিন্তু দেখছে না।আমি মিথ্যা আশায় বেচেই বা আছি কেন ঈশান?তুমি কি সত্যি আসবে….!
` ঈশান তুমি যেদিন যানবে তোমার আপন মানুষজন তোমার ক্ষতি করেছে তখন তোমার ফিলিংসটা কি হবে? কিভাবে নিজেকে সামলাবে তুমি। হয়ত পাশে আমি থাকবো না তোমার ভেঙে পড়ার অনুভূতিও আমি দেখবো না।
` যানো ঈশান আল্লাহর কাছে লক্ষ লক্ষ শুকরিয়া তুমি নাকি কোমা থেকে ফিরে এসেছো।আজকেই সেই দিন যেদিন তোমায় আমি হারিয়েছি।এখনো স্মৃতি গুলো আমার মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে কি করে ভুলবো সেদিন গুলো আমার জানা নেই।এবার তো তুমি বেচেঁ ফিরেছো এবার কি আমায় নিতে আসবে?
` ঈশান…! অনেক মাস কেটে গেলো কিন্তু তুমি আসলে না আমায় খুজলেনা তোমার ঈশা তোমার অপেক্ষায় আছে ঈশান। তুমি ফিরিয়ে নেবে না আমায়।নাকি তোমার কাজিনকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছো আর আমি মিথ্যা আশা নিয়ে তোমার পথে চেয়ে আছি…!
` আমি ভালোয় ছিলাম পরিবার নিয়ে কেন ভালোবাসতে গেলাম তোমায়। আজ তোমার ভালোবাসাতে আমার জীবনটা পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।সাথে অনুর বেচারি আমার জন্য শুধু শুধু সাফার করছে।আমি তোমার অপেক্ষায় দিন গুনছি তুমি কি ফিরে আসবে না আমার জীবনের দারপ্রান্তে…..!
`ঈশান আমি না সবসময় একটা কথা ভাবি যখন তুমি যানবে তুমি তোমার বাবা মায়ের আসল ছেলে না। তুমি তোমার বড় খালামনির ছেলে তখন কি করবে তুমি?কেমন লাগবে?কেউ অবশ্য তোমায় আশা করি বলবেনা কিন্তু আমি তো সত্যটা যানি।তোমার সাথে দেখা হলে আমিও কোনদিন এই কথা বলবো না কারন আমি চাইনা আমার ঈশান কষ্ট পাক।গাড়ি এক্সিডেন্টে যখন তোমার খালামনি মানে তোমার আসল বাবা মায়ের প্রান চলে যায় সেদিন তোমার বর্তমান মা তোমাকে ধরে খুব কেদেছেন।কারন তোমার জন্মের তিনমাস পর্যন্ত তোমায় সাথে তিনি বেশি সময় কাটিয়েছিলেন তারপর তার জীবনেও নেমে এলো তোমার বাবা নামক ঝড়।তোমার মা তোমার বড় খালামনিকে ভীষন ভাবে ভালোবাসতো কিন্তু তোমার মা সেদিন ভিক্ষা চায় তোমার বাবার কাছে
তোমাকে যেন নিজের কাছে রাখতে পারে।তোমার মাসুম মুখটা দেখে পাথরের মতো লোকটি তোমার বাবাও সেদিন গলে যায়।তিনি ইতিমধ্যে যেনে গেছিলেন তিনি বাবা হবেন না কারন তিনি অক্ষম।তোমাকে দেখে হয়তো বাবা হওয়ার সুযোগটা মিস করতে চাননি তাই তোমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আদর যত্ন শুরু করেন । এটা সহ্য হলোনা লিপির সে আবারো জগড়া বিবাধ শুরু করে তাই তোমাকে নিয়ে তিনি ইউএস পাড়ি জমান।
বুঝতে পারছো তুমি, যে লিপির কথায় তোমার বাবা উঠতে বললে উঠতো বসতে বললে বসতো,সেই তোমার বাবা কিন্তু সেই লিপিকে ফেলে রেখে তোমার ভালোর জন্য ইউএস চলে যান।
ঈশান আর পড়তে পারেনা তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।জীবনের এতটা বছর পর সে জেনেছিল এরা তার আসল বাবা মা না!তাতে কি এরা তাকে রাজার মত জীবন দিয়েছে কয়জনে দেবে এমন।নিজের ছেলের মত মানুষ করেছে।ডাইরির পরের পাতা গুলো ঈশান আর পড়েনি।হয়তো সে এত দিন এতিমখানায় বড় হতো। তার কোন বংশ পরিচয় থাকতো না।
ঈশান জানালার পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে বলে,
“সেজন্য আমি আমার বাবাকে বেশি শাস্তি দিতে পারিনা ঈশা।তিনি যাই করেছেনা এক হিসেবে মাফ করে দিয়েছি।ইউএসে তিনি তার ব্যবসা নিয়ে আছেন।আমি তার কোন সম্পত্তি নিজের নামে করিনি বা মায়ের নামে করিনি। তাকে শুধু আমাদের পরিবারের কাছে আসতে বারন করেছি।তিনি আকুল হয়ে আছেন আমার মায়ের কাছে একবার ক্ষমা চাইতে কিন্তু না আমি আর তাকে ফিরতে দেবো না। হয়তো দেবো তার জীবনের শেষ কয়েক বছরের মূহুর্তে।
ঈশান রুমে গিয়ে থমকে যায় ঈশা কোমড়ে হাত দিয়ে রাগি লুকে দাঁড়িয়ে আছে।ঈশাকে এই অবস্থায় দেখে ভড়কে যায় ঈশান।
” কোন মেয়ের সাথে স্টাডি রুমের দরজা আটকে কথা বলছো তুমি(গম্ভীর কন্ঠে)
“আয়া আরে ঈশা কি বলছো তুমি আমিতো যাস্ট একটু আমার বই গুলো নেড়ে চেড়ে দেখছিলাম।
” তাহকে দরজা অফ করলে কেন(ভ্রু কুচকে)
ঈশান এবার কি বলবে, কিচ্ছু বলার নেই তার।
“তুমি কি আমায় সন্দেহ করছো ঈশা।
“অবশ্যই করছি, তুমি এখন আর আমায় আগের মত ভালোবাসোনা, আদর করোনা নিশ্চই কোন মেয়ে পেয়েছো?
ঈশান এবার ঝট করে ঈশাকে কোলে তুলে নেয়।বারান্দায় দোলনায় ঈশান নিজে বসে ঈশাকে তার কোলে বসায়।ঈশা উঠে যেতে নিলেই ঈশার কোমর জড়িয়ে ধরে।
” খবরদার নড়াচড়া করলে খবর আছে।
“এখন আপনি তেল মারবেন আমি যানি, বুড়ি হয়ে গেছি তো তাই আর আমাকে ভালোলাগে না।
” তুমি বুড়ি হও, যা ইচ্ছা তা হও আমি যখন তোমার তুমিটাকে ভালোবেসেছি তখন তুমি যা ইচ্ছা তা হও তাতে আমার ভালোবাসা একটুখানিও কমবে না।
“তুমি আমায় আর আদর করো না সারাদিন কাজ নিয়ে থাকো(গাল ফুলিয়ে)
” ওরে আমার সুইটি বউটারে রাগ করেছে।
ঈশান টুপ করে ঈশার গালে একটা চুমু খায়।
“এবার হয়েছে? (ঈশান)
” ছিহ তুমি বড্ড বেশি কৃপন মাত্র একটা!
ঈশান এবার আরেক গালে চুমু খায়।
“ছিহ মাত্র দুইটা(গাল ফুলিয়ে)
” ঈশা তুমি দিন দিন বাচ্চা হয়ে যাচ্ছো তুমি কি যানো?
“থাকবোনা তোমার কাছে আর, অন্য কাউকে নিয়ে ভেগে যাবো।
ঈশান চট করে ঈশার চুলের মুঠি চেপে ধরে তার দিকে ঈশার মুখ ঘুরিয়ে বলে,
” তুমি আমার ঈশা….অন্য কারো কথা ভুলেও ভাববেনা।
“তাহলে আদর করো!
” আজ হঠাৎ এত আদর পাওয়ার শখ হয়েছে ব্যপার টা কি?(ভ্রু কুচকে)
ঈশান ঈশার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।
ঈশানের কথা শুনে ঈশা খিলখিল করে হাসতে থাকে।
“কিছুনা আমি দেখতে চেয়েছি আমার গুন্ডা ঈশান কি আমায় এখনো ভালোবাসে।
” তোমার গুন্ডা ঈশান তোমায় আজীবন ভালোবাসবে ঈশু পাখি।সে যে তোমাতে মত্ত তোমাকে ছাড়া তার জীবন অপূর্ন।
“ভালোবাসি গুন্ডা ঈশান।
” ভালোবাসি বোকা জান….!
_______সমাপ্ত______
✨এতদিন গল্পের সাথে থাকার জন্য গল্প টি কে সাপোর্ট করার জন্য ভালোবাসা দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সকল কে। আজ শেষ হল #You_are_mine এর জার্নি।
সিজন ১ এবং ২ এ যারা পাশে ছিলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ।যারা নিয়মিত গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন তাদের জন্য অবিরাম ভালোবাসা?। আপনাদের মন্তব্যে আমি আমার ভুল ত্রুটি শুদ্রে নিতে পেরেছি।আর এই গল্প চলাকালীন যদি আমি আমার কথার মাধ্যমে কারোর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে দয়া করে ক্ষমা করবেন।
✨অনেকেই সিজন ৩ চাইছেন কিন্তু এই মূহুর্তে ঈশা ঈশানকে নিয়ে আর লিখার ইচ্ছে নেই তাদের নিয়ে যতটুকু লিখেছি ততটুকুতেই পাঠকদের মন কেড়েছে হয়তো এর বেশি লিখতে গেলে খাপ ছাড়া হয়ে যাবে।তাই পরর্বতীতে অন্য সময় হয়তো ঈশা ঈশানকে নিয়ে আবারো গল্প লেখা শুরু করবো।
আপনাদের সকলের অনুভূতি জানার জন্য অধীর আগ্রহে রইলাম। যারা সাইলেন্ট রিডার্স ছিলেন তাদের কাছে আজ শেষ দিনেই একটাই অনুরোধ গল্পের ব্যাপারে আপনারা আপনাদের অনুভূতি জানিয়ে যান।সবার গঠন মূলক মন্তব্যর আশায় রইলাম আপনাদের সকলের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা ।সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ ?।
✨নতুন গল্পনিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো। একটি সাইকো প্রেমিকের গল্প #মোহমুগ্ধতায়_তুমি?।
আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন।
ঈশা ঈশানের জন্য সত্যি কেমন কেমন লাগছে টানা দুমাস তাদের নিয়ে লেখেছি?।আপনাদের অনুভূতি যানিয়ে যান।?
?হ্যাপি রিডিং…..!?