You_are_mine
season_2
Poly_Anan
#part_20
জানালা ভেদ করে সূর্যের তীর্যক আলো চোখে পড়তেই আড় মোড় কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসেই ঈশাকে ডাকতে শুরু করে ঈশান।
“ঈশায়ায়ায়ায়ায়া..!
ঈশানের হঠাৎ চিৎকারে ছুটে আসে রাসেল।
” কিরে কি হয়েছে খারাপ সপ্ন দেখেছিস?
ঈশান ভালো করে রুমের চারিপাশটা চোখ বুলিয়ে দেখে এটা তো সিলেটের বাড়িটা।চোখের উপর বার বার ভেসে উঠছে কালকের ঈশার কান্না মাখা সেই মুখ।
“ঈশা কই রাসেল(গম্ভীর কন্ঠে)
” আজব ঈশা কই মানে?(হকচকিয়ে)
“ঈশা বেচে আছে তোরা এতদিন ভুলে যেনে এসেছিস। আমি যানতাম আমার ঈশা বেচে আছে!(ঢোক গিলে)
“আবার তোর ভ্রম শুরু হয়ে গেছে!ঈশা বেচে নেই আমি নিজের চোখে ওকে কবর দিতে দেখেছি।সবচেয়ে বড় কথা ওর বাবা কাদছিল।এবং কি পরিবারের সবাই!
“চুপ..!(গর্জে)
রাসেল এবার মাথা হাত দিয়ে বসে পরে।নিত্যনতুন ঈশানের পাগলামো বেড়েই চলছে।
” রাসেল কাল আমি স্পষ্ট ঈশাকে দেখেছি বিয়ে বাড়িতে।
“সব বাদ কাল হঠাৎ ঘুরে পড়লি কেন?কি হয়েছিল তোর?
” আগে আমায় কথা শেষ করতে দে।আমি কাল তোকে রেখে যখন বাগানের দিকটায় গেছিলাম তখন একটি মেয়ের কান্না ভেসে আসে। আমি সেদিকটা অনুসরন করে যাই তখনি ঝোপের আড়ালে আমার ঈশাকে চোখে পরে।সে মুখে হাত দিয়ে কাদছিল তারপর কিছু বলার আগেই আমি তাকে দেখেই সেন্স লেস হয়ে যায়।বিশ্বাস কর আমি যখন ওকে দেখি আমার হার্ড বিঢ জোরে জোরে এগোচ্ছিল।মাথার ভেতরটায় সব ঘুরপাক খাচ্ছিল(সিরিয়াস কন্ঠে)
“তুই বলতে চাইছিস ঈশাকে দেখাটা তোর মনের ভ্রম না!
” একদম, দেখ আমি পাগলামি করি যাই করি আমি ঈশাকে দেখেছিলাম এটা আমি সিওর! (কান্না জড়িত কন্ঠে)
“আচ্ছা সত্যি যদি ঈশা হয় তবে তোর সাথে ঈশা আগে কেন যোগাযোগ করলোনা ভেবে দেখ!
ঈশান কপালে হাত দিয়ে শুরু থেকে শেষ সম্পূর্ণ ঘটনা ভাবতে থাকে। চোখ বন্ধ করেই রাসেলের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলে,
” আমাকে আবার আগের রুপে ফিরে যেতে হবে!
“মানে?
” মানে সোজা আগের সেই ঈশান শাহরিয়ারের রুপে।
“ওহ আচ্ছা তুই কি সেফ করবি আইমিন চল পার্লারে।
রাসেলের কথা শুনেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ঈশানের। মুখে বিরক্তির রেখা টেনে বলে,
” শালা আমি বলেছি আগের ঈশান শাহরিয়ারকে ভুলে গেছিস।সাইকো ঈশান..!কিছুতো একটা খেলা চলছে আমাদের দৃষ্টির অগোচরে!কিন্তু সেটা কি? সেই সন্ধানে এবার আমি নামবো।আরেকটা কথা আমার মুখে দাড়ি ভর্তি চোখের নিচে কালো দাগ এই সবে এখন আমার কিছু যায় আসেনা। আমার ভেতরের মনটাই যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে,বাহিরের সৌন্দর্য্য দিয়ে আর কি হবে। (আনমনে)
ঈশান দ্রুত ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। এদিকে রাসেল ভাবতে থাকে কিছু কথা। কাল সত্যি একটা জিনিস সে খেয়াল করেছে, তবে কি ঈশানের ধারনা সত্যি?
ঈশান ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলে রাসেল ঈশানের সামনে দাড়িয়ে বলে,
“ঈশান আমার তোকে কিছু কথা বলার আছে!
“” বলে ফেল!
“তুই তো জানিস অনুর বিয়ে হয়ে গেছে!
” হুম।
“আমি যানি না অনুর কার সাথে বিয়ে হয়েছে।আমি শুধু যানি জারিফ নামের একটি ছেলের সাথে অনুর বিয়ে হয়েছে।ব্যস এইটুকুই এবার কোন বাড়িতে বা কোন জায়গায় বিয়ে হয়েছে আমি যানি না।আর ছেলেটা দেখতে কেমন আমি তাও যানি না। কিন্তু কাল আমি অনুকে দেখেছি দুইটা মেয়ের সাথে দাড়িয়ে কথা বলছে।প্রথমে আমার ভেতরটায় দুমড়ে মুচড়ে গেলেও আমি লক্ষ্য করি অনুর সাথে তার হাজবেন্ড ছিল না, কাপলদের ফটো তোলা হচ্ছিল স্টেজে তখনো অনু একাই দাঁড়িয়ে ছিল।আবার তিন্নির হাজবেন্ডের নাম জারিফ আমি বুঝতে পারছি না কিছু? আমার জানা মতে তিন্নি ৯ বছর ছেলেটার সাথে রিলেশনে ছিল! আচ্ছা সব বাদ জারিফ নামের ছেলেতো থাকতেই পারে কিন্তু অনুর সাথে আমি কোন ছেলেকে দেখতে পায় নি তারপর সব ভাবনা বাদ দিয়ে আমি তোকে খুজে বের করি।
বাকি টা তুই ভাব…!
!ইদানীং you are mine গল্পটা অনেক গ্রুপে কপি করে অনেকেই নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে । দয়া করে আপনাদের এমন কোন বিষয় চোখে পড়লে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।
ঈশান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে রাসেলের দিকে। সত্যি কোন একটা গন্ডগোলের ইংগিত সে পাচ্ছে।
” রাসেল তুই যে নাম্বার থেকে অনুর সাথে আমার এক্সিডেন্টের পর যোগাযোগ করতি সেই নাম্বারটায় অন্য সিম থেকে আবারো কথা বল!তবে তুই তোর পরিচয় দিয়ে কথা বলবি না।আমরা যে বিডিতে এটা যেন অনু না যানে। তুই যাস্ট অনুর লোকেশন ট্রেক কর।
“ওকে..!নিচে চল আগে নাস্তা শেষ করি।
বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পূর্ন শেষ৷ অনু ক্লাস টুতে পড়া দুটো বাচ্চাকে পড়ায়।সেই টাকা দিয়ে তাদের দুজনের সংসারের কিছুটা সাহায্য হয়। পড়ানো শেষে অনু বাড়িতে ফিরে আসছিল তখন প্রায় বিকেল শেষ পর্যায়ে।আনমনে হাট হাটতে হুট করেই অনুর কানে আসে একটি পরিচিত কন্ঠ..!
” অনু কেমন আছো?
পেছনে ঘুরে তাকালেই অনু রাসেল কে দেখতে পায় সঙ্গে সঙ্গে তার ভয়ে দম আটকে যাওয়ার জোগাড় হয়। দু পা পিছিয়ে গেলে রাসেল আবারো তার হাত টেনে শক্ত করে দাড় করায়।
“আমাকে দেখে এত ঘাবড়ে গেলে কেন?তোমার হাসবেন্ড দেখে ফেলবে বলে?
” হহহ হ্যা(ঢোক গিলে)
“অনু আইএম সরি…!
কথাটি বলেই অনুর মুখে রুমাল চেপে ধরে একটি গাড়িতে তাকে তুলে নেয়।
পাচঁদিন পর…
বছর ঘুরিয়ে আবারো ফিরে এলো ঈশার জন্মদিন।ঈশা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে ঈশানের সাথে দেখা হওয়া প্রথম জন্মদিনের কথা। কত সুন্দর আনন্দের ছিল দিন গুলো।দিনটা আবারো বছর ঘুরে ফিরে এসেছে কিন্তু ফিরে আসেনি সেই দিনের মতো আনন্দ, আর ভালোবাসা।সেই দিন ঈশান তার প্রথম একদম কাছে আসে। ভাবতে থাকে সেইদিনের কথা,
হঠাৎ ঈশা তার ঘাড়ের পাশে কারো নিশ্বাস পায়।নিশ্বাস উঠা নামার যে প্রতিধ্বনি তাতে ঈশার সারা শরীর জুড়ে যেন কারেন্ট বয়ে যায়
“ক..কে!
” আমি জান!(ফিস ফিস করে)
ঈশা এবার চমকে পেছনে ঘুরলে বলিষ্ঠ কারো দেহের সাথে ধাক্কা খায়।হাত দুটো ঈশাকে তার বাহুতে বন্ধ করে দেয়।
“শুভ জন্মদিন জান!শুভ জন্ম দিন!(ফিস ফিসিয়ে)
ঈশা কাপছে কি হচ্ছে তার সাথে সে কিছুই বুঝতে পারছেনা।
” ক…কে আপনি?
“আমি কে তোমার তা না জানলেও চলবে! শুধু তুমি যেনো রাখো তুমি আমার! যত চালাকি করনা কেন আমার কাছ থেকে তোমার মুক্তি নেই!
” আমি যানতে চাই কে আপনি (চিৎকার দিয়ে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে যায়)
লোকটি ঈশাকে আরো শক্ত করে ঝাপটে ধরে বলে,
“মনে পরে সেই দিনের কথা চা বাগানের মাঝে হারিয়ে যায় এক ছোট্ট পরি।ভয়ে, আতঙ্কে সেই পরি টি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।তারপর সেই পরি যখন চোখ খুলে দেখতে পায় সে কারো বাহু ডোরে আবব্ধ।তুমি সেদিন আমার বাহুডোর ছেড়ে চলে গেলেও আমার মস্তিষ্ক, মন ছেড়ে যেতে পারো নি।তোমাকে আবারো একবার দেখার লোভ আমাকে ফিরিয়ে এনেছে!খুজে গেছি কয়েক বছর। আবারো যখন সেই ছোট্ট পরিটির দেখা আমি পেয়ে গেলাম তখন তো আর তাকে আমি কিছুতেই ছাড়ছিনা।
ভালোবাসি বড্ড ভালোবাসি আমার মায়াবী পরিটাকে।
ঈশা জমে গেছে কি বলছে এই লোকটা! কে এই লোকটা। ঈশার ভাবনার মাঝেই ঈশার কপালে কারো উষ্ণ ছোয়ার অনুভূতি পায়। সে নড়ে চড়ে উঠলে লোকটি ঈশার চোখ দ্রুত একটি রুমাল দিয়ে বেধে দেয়।। ঈশা নিযেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে লোকটি ঈশাকে সরিয়ে পালিয়ে যায়।
সেইদিনের কথা ভাবতে ভাবতেই ঈশা মেঝেতে গুটিয়ে বসে কাদতে শুরু করে দেয়..!
” আপনি তো সেদিন বলেছিলেন আমি আপনাকে ছেড়ে গেলেও আপনি আমাকে ছেড়ে যাবেন না।তবে আজ আমি একা কেন?আপনি আমায় কেন খুজে বের করলেন না? বের করলেন না আমায় এই অভিশাপ্ত জীবন থেকে। আমি যে আপনাকে খুব ভালোবাসি তা কি আপনি বুঝেন না।(হেচকি তুলে)
ঈশার কান্নার মাঝেই রুমে ডুকে অনু তার হাতে কিছু শপিং ব্যাগ। ঈশা দ্রুত তার চোখ মুখ মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
“ঈশা যা চটপট এই ড্রেসটা পড়ে আয়।
” কেন?
“আহ এমন করছিস কেন? আমার কোন কথা ইদানীং তুই শুনিস না।
” তোর চোখে মুখে আজ এত খুশির আবেশ কেন কি হয়েছে?
“আমার হাতে সময় কম তুই প্লিজ জামাটা পরে আয়।
ঈশা শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে দেখে পিংক কালারের একটি বারবি গাউন।গাউনটি দেখেই বুঝাযাচ্ছে বেশ দামী। ঈশার চোখ মুখ কুচকে যায়। কারন এই মুহূর্তে এই দামি গাউনটি কেনার মতো তাদের সাধ্য নেই।
” এই জামা কেনার টাকা তুই কোথায় পেয়েছিস?(আড় চোখে তাকিয়ে)
” আসলে…(আমতা আমতা করে)
“আমি আসলটাই শুনতে চাই! তুই এই জামা কেনার টাকা কোথায় পেয়েছিস(রেগে)
” ঈশা আমি এতদিনের টিউশনের টাকা থেকে একটু একটু করে জমিয়েছি শুধু তোর জন্মদিনের তোকে এমন একটা ড্রেস দেবো বলে আর তুই আমাকে সন্দেহ করছিস(কান্নার সুরে)
ঈশা এবার কিছুটা দমে যায়। সব ভাবনা মন থেকে ঝেরে ফেলে বলে,
“ঠিক আছে!
ঈশা দ্রুত রেডি হয়ে আসে।অনেক দিন পর আজ ঈশাকে আগের মতো লাগছে। তবে যত সাজ সজ্জাতে যতই পরিবর্তন লাগুক ঈশার চেহারায় সেই অসহায়বোধের আভাশটা কাটেনা।তার চেহারায় ফুটে উঠেছে কোন কিছু পাওয়ার আকুলতা।
” ঈশা চল এবার আমরা বের হবো!
“বের হবো মানে?আমি নিকাব ছাড়া বাইরে যাবো?
” যাবি সমস্যা হবেনা।
“তোর এইসব পাগলামি বন্ধ কর অনু!
” আমি কোন পাগলামি করছি না! প্লিজ আজকের মতো আমার কথা শুন,
ঈশা বিরক্ত হয়ে ফোন আর পার্স নিয়ে বেরিয়ে যায়।অনেক দিন পর নিজেকে কেমন যেন খালি খালি লাগছে।আজ এত বছর পর ঈশা নেকাব ছাড়া বেরিয়েছে।
অনু একটি রিক্সা ডেকে ঈশাকে উঠতে বলে ।
ঈশার কেন যেন আজ অনুর আচরন গুলো অস্বাভাবিক লাগছে।
কিছুক্ষন পরেই অনু ঈশার চোখ একটি রুমাল দিয়ে বেধে দেয়।
“আরে কি করছিস অনু তুই?
” চুপ থাক যা ইচ্ছে করছি..!
কিছুটা যাওয়ার পর রিক্সা তার গন্তব্যে পৌছে যায়।ঈশাকে আস্তে আস্তে নামিয়ে অনু তাকে নিয়ে একটি বাড়ির ভেতর ডুকে যায়।
ঈশা বুঝতে পারেনা তাকে নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছে। গুটি গুটি পা ফেলে ঈশাকে নিয়ে যাওয়া হলে ঈশা বুঝতে পারে হয়তো কোন বাড়িতে তাকে ঢোকানো হচ্ছে।দরজার সামনে দাড়ালেই ঈশার গায়ের উপর পড়তে থাকে ফুলের পাপড়ি ঈশা হকচকিয়ে চোখের বাধা রুমালটা খুলতে নিলেই আবারো অনু বাধা দেয়।চারিদিকে স্লো ভলিউমে গান চলছে।ঈশা এখনো বুঝতে পারছে না সে কোথায় আছে?ঈশার কানে আসে কেউ বোধয় বাড়ির সদর দরজাটা অফ করে দিয়েছে।এখন প্রায় রাত হয়ে এসেছে ঈশা বুঝতে পারছে তার মনের ভেতর ভয়টা আরো ঝেকে বসে। কিন্তু অনু কি করছে এইসব কোন কথাই মাথায় আসছে। হুট করেই অনু ঈশার চোখের রুমাল খুলে দেয়।
গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।
ঈশা পিট পিট করে চোখ খুলে দেখে বেশ স্টাইলিস একটি ঘরের মাঝে সে দাঁড়িয়ে আছে।ডান পাশে সোজা একটি সিড়ি উপরে চলে গেছে।চারিদিকে বেলুন দিয়ে সাজানো।ঈশা অবাক হয়ে অনুর দিকে তাকালে অনু মুচকি হাসে। ঈশা অবাক হয়ে বলে এই বাড়িটা কার?
“যার খুশি তার তুই আগে আয় কেকটা কাট..!
ঈশা নিজের অনিচ্ছা শর্তেও কেকটা কাটে। কিন্তু সব কিছু তার গোলামাল লাগছে। ছোট একটা কেক অনুর মুখে ঠেসে দিয়ে বলে,
” এইসব প্লানিং কি তোর একার।
“আহ.!সময় হলেই যানতে পারবি।
অনু আবারো চট করেই ঈশার চোখ বেধে দেয়। এবার ঈশাকে নিয়ে সে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে থাকে।যত একের পর এক সিড়ি এগোচ্ছে তত ঈশার বুকের ভেতরটায় ধক ধক শব্দ বেড়ে যাচ্ছে।কেমন যেনো লাগছে তার।
ঈশা বুঝতে পারে তাকে ছাদে নিয়ে আসা হয়েছে চারিদিকে কেমন শীতল ঠান্ডা পরিবেশ।তার শরীর শিউরে উঠছে।
অনু এবার ঈশার হাতটা টেনে অন্য একটা হাতের সাথে জড়িয়ে দেয়। আর সেই অন্য হাতটা ঈশাকে টেনে তার বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
ঈশার এবার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। এই শীতল ঠান্ডা হাতের ছোয়াটি ঈশা চেনে হ্যা খুব ভালো করেই চেনে সে।ঈশা অন্য হাত দিয়ে চোখের রুমাল খুলতে নিলেই ঈশার দুইহাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অচেনা হাতটি।তখনি চারদিকে উচ্চ শব্দে গান বাজতে শুরু করে আর সেই অচেনা হাতটি ঈশাকে টেনে কাপল ডান্সের জন্য প্রস্তুত হয়..!
Bulave tujhe yaar aaj meri galiyan
Basaun tere sang main alag duniya
Bulave tujhe yaar aaj meri galiyan
Basaun tere sang main alag duniya (ঈশার হাত টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে)
Na aayein kabhi dono mein zara bhi faasle
Bas ek tu ho, ek main hoon aur koyi na
Hai mera sab kuch tera tu samajh le
Tu chaahe mere hakk ki zameen rakh le
Tu saanson pe bhi naam tera likh de
Main jiyu jab jab tera dil ( ঈশার ছটফট করতে থাকে শুধু একটি বার সেই অচেনা মানুষটিকে দেখার জন্য। কিন্তু কিছুতেই তার চোখের রুমাল খুলতে পারছেনা।)
Tujhse mera yeh jee nahi bharta
Kuch bhi nahi asar ab karta
Meri raah tujhse
Meri chaah tujhse
Mujhe bas yahin reh jana (অচেনা সেই মানুষটি ঈশার চুলের ঘ্রাণে মত্ত হয়ে যায়। ঈশা এবার আস্তে আস্তে বুঝতে পারে মানুষটি কে হতে পারে)
Lagi hain teri aadatein mujhse jab se
Hai tere bin pal bhi baras lagte
Bulave tujhe yaar aaj meri galiyan
Basaun tere sang main alag duniyaa
Jo hove tu udaas mujhe dekhe hass ke
Tu chaahe mere hakk ki zameen rakh le
Tu saanson pe bhi naam tera likh de
Main jiyu jab jab tera dil dhadke (ঈশার চোখের জলে তার দুগাল ভেসে যাচ্ছে। তবুও নিশ্বব্দে সে কেদেঁই যাচ্ছে। কেন কাদছে সে? তা নিজেই বুঝতে পারছেনা!)
Tujhse mili toh seekha maine hasna
Aaya mujhe safar mein theharna
Main toh bhool gayi duniya ka pata
Yaara jab se hai tujhe jaana
Hai tu hi dil jaan hai meri ab se
Ve zikr tera na jaaye mere lab se
Bulave tujhe yaar aaj meri galiyan
Basaun tere sang main alag duniyaa (অচেনা মানুষটি ঈশার চোখের জল খুব আলতো করে দু আঙ্গুল দিয়ে মুছে দেয়।)
Jo hove tu udaas mujhe dekhe hass ke
Tu chaahe mere hakk ki zameen rakh le
Tu saanson pe bhi naam tera likh de
Main jiyu jab jab tera dil dhadke (অচেনা লোকটি ঈশাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে যেন পৃথিবীর আর কোন শক্তি তাদের বিরুদ্ধে আসলেও আর তারা আলাদা হবে না।ঈশা অনুভব করে তার চুলে পানির ফোটা পড়ছে বৃষ্টিতো হচ্ছেনা তবে কি সেই মানুষটি তাকে জড়িয়ে ধরে কাদছে?)
Pyar di raawan utte yaar tu le aaya
Mainu jeene da matlab aaj samajh aaya
Paraya mainu kar naa, na tu sohneya
Channa main toh turr jaana (অচেনা লোকটি ঈশার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।)
কিছুক্ষন পর একটানে ঈশার চোখের রুমাল খুলে দেয় লোকটি ঈশা সামনে ঝাপসা চোখে তাকিয়ে তার সামনে থাকা মানুষটি দেখে চমকে যায়। নিজের দুচোখকে যেন সে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছে না এটা কি সত্যি?
অচেনা মানুষটি ঈশার দিকে এগিয়ে আসতে চাইলে ঈশা দু পা পিছিয়ে যায়,
হেচকি তুলে বলে,
“ইই ঈশান….!
অপ্রাপ্ত জিনিসটা যখন হঠাৎ করেই সামনে এসে দাঁড়ায় তখন অনুভূতিরা থমকে যায়। থমকে যায় ঈশার মস্তিষ্ক। মূহুর্তেই সেন্সলেস হয়ে যায় সে আর ঈশান তাকে দুই হারে আকড়ে ধরে।
গল্পটি লেখনীতে পলি আনান।
রাত বারোটার পর ঈশা চোখ খুলে। চোখ খুলেই প্রথমে অনুভব করে তাকে কেউ ঝাপটে ধরে আছে।ঈশা মাথা তুলে তাকিয়ে খেয়াল করে তাকে ঈশান ধরে আছে,
” কেমন ফিল হচ্ছে ওয়াইফি?
ঈশা একটা ধাক্কায় ঈশানকে দূরে সরিয়ে দেয়।ঈশার ব্যবহারে ঈশান প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরবর্তীতে মনে পরে যায় ঈশা যে তার সাথে এমনটা করবে তা সে ভালো করেই যানে।
“কি হলো তুমি এমনটা করলে কেন?
” খবরদার আমার কাছে আসবেন না আমাকে ছেড়ে দিন।
“আমি যানতাম তুই এমনটাই করবি!কিন্তু এমন লুকোচুরি খেলার সুযোগ আর আমি তোকে দেবো না এখন সত্যিটা তোকে বলতেই হবে (দাতে দাত চেপে)
ঈশানের চিৎকারে দৌড়ে রুমে ডুকে অনু আর রাসেল।
” কি সত্যি বলবো আমি কোন সত্যি নেই আমার কাছে(ঘাবড়ে গিয়ে)
“কেন আমার কাছ থেকে পালিয়ে ছিলি সত্যিটা বল।
” বলবো না(দৃঢ় গলায়)
“তোর মুখ থেকে কথা কি করে বের করতে হয় তা আমি খুব ভালো করেই যানি(বাকা হেসে)
#চলবে…….
ঈশান আর ঈশার দেখা হয়ে গেছে এবার আপনারা খুশি তো…??♀️
সবার অনুরোধে আজ আরেক পার্ট দিয়েছি যদি গঠনমূলক মন্তব্য না পাই তাহলে কাল কিন্তু গল্প দিবো না☹️।
?পর্বটা কেমন হয়েছে অবশ্যই যানাবেন।
?হ্যাপি রিডিং….!