You_are_mine season_2 Poly_Anan Part_13

0
1607

You_are_mine
season_2
Poly_Anan
Part_13

ঈশার বাড়ি থেকে ফিরতে ঈশানের প্রায় রাতের তিনটা বেজে যায়। ঈশান কিছুক্ষন আগেই বাড়ি ফিরেছে।রাসেল তার রুমে উপড় হয়ে ঘুমচ্ছে।তাকে একবার দেখে ঈশান তার রুমের দিকে পা বাড়ালেই তার ফোনে একটা কল আসে,স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখে তার মায়ের ফোন মুচকি হেসে ঈশান ফোনটি রিসিভ করে,
“হ্যা মম বলো..!
” ইইঈশান বাবা তুই তাড়াতাড়ি আয়…!
“ক..কি হয়েছে মা?
” ত..তোর বাবা স্টোক করেছে আইসিউতে রাখা হয়েছে তাকে!
“কি বলছো মা এইসব, ক..কি বলছো তুমি।
” আমি কিচ্ছু যানি না বাবা তুই আয় এদিকটায় তোর মেনেজার আঙ্কেল মিলে সবটা সামলাচ্ছে আমার মাথায় কিছু ডুকছেনা।তার নাকি বাচাঁর চান্স খুব কম। (কান্না করে)

ঈশান পুরো পাথর বনে গেছে।
“তুমি কেদোনা মা আমি আসছি।(ঢোক গিলে)

ঈশান দ্রুত রাসেলে রুমের দিকে পা বাড়ায়।
” রর রাসেল, এই রাসেল(কাপতে কাপতে।)
রাসেল আড় মোড় কাটিয়ে ঘুম থেকে উঠে কিন্তু ঈশানকে কাপঁতে দেখে তার চোখ থেকে ঘুম উবে যায়।
“কি হয়েছে ঈশান?
” পাপা..!
“কি হয়েছে আঙ্কেলের.?
” পাপা স্টোক করেছে। আইসিউতে এডমিট করা হয়েছে।
“কি বলছিস তুই কখন হয়েছে এমনটা।
” আমি যানি না মম এই মাত্র বললো।
“তুই বসে আছিস কেন রেডি হ আমাদের যেতে হবে।
” ততুই টিকেটের মেনেজ কর প্লিজ আমি এদিকটা সামলে নিচ্ছি।
“তোকে বলতে হবে না আমি দেখছি দ্রুত যা…!

ঈশান আর রাসেলের টিকেট জোগাড় ও হয়ে যায়।প্রায় দুই ঘন্টার মধ্যে সবটা এরেঞ্জ করে ঈশান আর রাসেল কিছুক্ষন আগেই ইউএসের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়ে যায়।ঈশানের এই সব ব্যস্ততার মাঝে ঈশার কথা অবশ্য একবার মনে পড়েছে কিন্তু সময়ের অভাবে ঈশাকে জানিয়ে যেতে পারেনি। প্লেনটি যখন ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছিল তখন ঈশান মনে মনে বলে,

” আবারো ফিরবো ঈশা, আর যখন ফিরবো তখন তোমায় বউ বেসে আমার ঘরে নিয়ে যাবো।

চাঞ্চল্য ঈশার মনে আজ যেন আনন্দ নেই। ঈশান যাওয়ার পর থেকে প্রায় দুইদিন তাকে ফোন করেনি। এদিকে অনুর সাথে নাকি রাসেলের কথা হয় নি।রাসেল ঈশান দুজনের ফোন বন্ধ। অনু আর ঈশা ঈশানের পরিচিত কোন ব্যাক্তি বর্গকে তেমন চিনেনা তাই ঈশান আর রাসেল কি কারনে দেশের বাইরে আছে তা সঠিক ভাবে যানে না তারা।এই দুইদিনেই ঈশার জীবনের পালটে গেছে অনেক কিছু। জীবনের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরে গেছে এই দুই দিনে।কিন্তু তার পাশে আজ ঈশান নেই।

নীকষ কালো অন্ধকার কেটে যখন ভোরের আলো ফুটছে তখন ঈশা ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে।তার পেছনে এসে দাড়ায় তার বাবা মুজাহিদ।
“কি ভাবছিস ঈশা?
” কিছু না বাবা(ঘাবড়ে)

“এই দুই দিন তোকে কেমন যেন লাগছে তুই কি বিয়েতে রাজি না?তোর যদি কোন পছন্দের মানুষ থাকে আমায় বল আমি দাঁড়িয়ে থেকে তোদের বিয়ে দেবো। আমার কাছে আমার মেয়ের সুখটাই আসল!
” না আব্বু আমার কোন পছন্দের মানুষ নেই আমি তোমাদের পছন্দতেই বিয়েটা করবো। আর তোমাদের পছন্দ মানে আমার পছন্দ।
“কিন্তু আমার যে মনে হচ্ছে তুই আমাকে মিথ্যা বলছিস?
” ওহ আব্বু আমি মিথ্যা বলছিনা তোমাদের পছন্দ করা ছেলেকেই আমি বিয়ে করবো এটাই ফাইনাল।(এক নিশ্বাসে কথাটি বলে শেষ করে ঈশা)
“কিন্তু সেদিন যে তুই এত কে….
” আব্বু সেদিন যার জন্য কেদেছি সে মোহ ছিল।হয়না অল্প বয়সে মেয়েরা কত ছেলের প্রেমেই পরে।কেদে কেটে চোখ ভাসায় কিন্তু বড় হলে বুঝতে পারে এটা ভুল ছিল। শুধু মাত্র মোহ।
“এই কয়েক দিনেই কি তুই বড় হয়ে গেছিস?
” তুমি কি আমায় বিয়ে দিতে চাওনা আব্বু। নাকি….

ঈশাকে আর কোন কথা বলতে না দিয়ে মুজাহিদ তাকে জড়িয়ে ধরে নিশব্দে কেদেঁ দেয়।
“আমি তোকে ছাড়া থাকবো কি করে মা(ডুকরে কেদেঁ)
” আমি থাকতে পারলে তুমি থাকতে পারবেনা কেন?যার ভাগ্য যেখানে!
“তাই বলে তোকে আমরা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেব।ছেলে পক্ষ বলেছে বিয়ের পরের দিন রিসিপশন শেষ করেই তোকে নিয়ে যাবে ইতালি।তোর আম্মু কেন যে বিয়েটা দিতে পাগল হয়ে গেছে আমার জানা নেই।

কথাটি শুনেই ঈশার বুকের ভেতর টায় ধক করে উঠে।আর তবে সহযে দেখা হবে না এই চিরচেনা মানুষ গুলোর সাথে।কিন্তু নিজেকে সামলে ঈশা বলে,
” দূর বাবা একদম চিন্তা করবেনা।আমি তোমার
মেয়ে তোমারি থাকবো।আর আম্মু হয়তো ভালো বর, ঘর পেয়ে রাজি হয়েছে।তোমাদের সুখ আমার সুখ আব্বু।

মুজাহিদ আবারো নিজের মেয়েকে আলতো করে জড়িয়ে ধরেন।সবকিছুতেই তার কেমন যেনো লাগছে।

সন্ধ্যায় ঈশাকে সাজানো হয়েছে হলুদ শাড়িতে। হাতে মাথায় গলায় কিছু আর্টিফিশিয়াল ফুলের মাধ্যেমে সাজানো হয়েছে। তার পাশেই বসে আছে অনু।অনুর চোখ মুখ ফুলে গেছে। ঈশার দিকে তাকিয়ে ছল ছল চোখে অনু বলে,

“এইভাবে ঈশান ভাইকে ঠকাইস না প্লিজ।তুই ওই মানুষটাকে ছাড়া থাকতে পারবিনা।
” পারবো অনু পারবো। তুই যদি আমাদের বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে চাস তবে ঈশানকে কিচ্ছু যানাতে পারবিনা প্রমিস কর!
অনু কাচুমাচু হয়ে চুপ করে আছে। ঈশা ধমকে বলে,
“ওও আমার থেকেও ওই দুইদিনের ঈশান তোর কাছে সবচেয়ে দামি বাহ বাহ।
” দেখ ঈশা আমি…
“আমি আর কিছু যানতে চাইনা।
ঈশা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। তখনি ঈশার ফোনে কল আসে তার হবু বর রায়হানের।

” হ,হ্যালো(ঢোক গিলে ঈশা)
” কেমন আছো ঈশা(রায়হান)
“ভ..ভালো…!
” তোমার সাজা শেষ। আই মিন তোমাদের ওইদিকে কি হলুদ দেওয়া শুরু হয়েছে,
“ন.না। বাট আমি রেডি।
” ওকে,ভিডিও কল দাও আমি আমার বউটাকে দেখি আফটার অল রায়হান শেখের বউ!
“ওকে….(ঢোক গিলে)

ঈশা নিজের মনে সাথে যুদ্ধ করে এতক্ষন কথা শেষ করেছে কিন্তু এই মানুষটার সাথে সে কি করে সারাজিবন কাটাবে সে ভেবে পাচ্ছেনা।
অনু পেছনে ঘুরে তাকিয়ে আছে সে মনে মনে সিধান্ত নিয়েছে কিছুতেই এই লোকটাকে দুলাভাই বলে সম্মোধন করবেনা। কারন এই সম্মোধন সে ঈশানকে করেছে আর ঈশান সেই সম্মোদন পাওয়ার যোগ্য।

” অনু তুই একটু রুম থেকে যা…!
ঈশার মুখে কথাটি শুনেই চমকে যায় অনু।একরাশ ঘৃণা নিয়ে দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে যায় সে যানেনা ঈশা কোন কারনে এমনটা করছে সে যানেনা এইসব করে ঈশা কি মজা পাচ্ছে।

এদিকে দরজাটা আটকে দিয়ে ঈশা মুখ চেপে কাদতে থাকে।এই সাজ আজ সে ঈশানের জন্য সে সাজতে পারতো কিন্তু আজ কার জন্য সাজলো সে…।যে লোকটাকে বিয়ে করেছে সেই লোকটার সাথেই বা কি করছে থাকবে।না তাকে পারতেই হবে। সবার ভাগ্যে সব কিছু থাকেনা।প্রায় দশ মিনিট রায়হানের সাথে কথা বলে, আয়নার সামনে দাড়ায় ঈশা।

“আমি আর তোমায় মনে করতে চাইনা ঈশান।বর্তমান নিয়েই সুখি হতে চাই আমি। তুমি তোমার রাস্তায় আমি আমার।নিজের জন্য এই মূহুর্তে সবচেয়ে ভালো সিধান্তটা নিয়েছি আমি।
নওশীন ঈশা বেইমান।নিজে ভালো থাকতে নওশীন ঈশাকে বেইমান হতেই হতো(বাকা হেসে)

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বেশ সবাই মিলেই আনন্দ করেছে।বিয়েটা হচ্ছে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে কাছের কয়েকজন বন্ধু ছাড়া আর কেউ যানে না ঈশার বিয়ের খবরটা।হাসিন, শিউলি সবার সাথেই বেশ ভালো সময় কাটে ঈশার।কিন্তু আনন্দ নেই অনুর। অনুর চোখে বার বার ঈশানের মুখটি ভেসে উঠছে।সে মনে প্রাণে চায় ঈশা যেন ঈশানের হয়।হয়তো ঈশা ভাবছে রাসেলের জন্য অনু এমনটা করছে কিন্তু বাস্তবতা সে ঈশাকে সুখী দেখতে চায়।

বিয়ের সাজ সাজানো হচ্ছে ঈশাকে।হাসিনের বউ, অনুর মা, ফুফি সবাই তার বেশ প্রশংসা করছে।সবার মাঝে একমূহুর্তের জন্য ঈশা ঈশানের কথা ভুলে যায়।ঈশাকে সাজানো হচ্ছে অফ হোয়াইট লেহেঙ্গায় সম্পুর্ন রাজকীয় স্টাইলে।হাতে গলায় চিকচিক করছে দামি ডায়মন্ডের নেকলেস আর ব্রেসলেট।যত যাই হোক নামি দামি রায়হান শেখের বউ বলে কথা।

এদিকে ঈশানের বাবার কন্ডিশন আরো খারাপ হয়ে গেছে।তার বাবার চিন্তায় তার মায়ের অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে। দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই হসপিটালের বারান্দায় চেয়ার দুটোতে তাদের দিন পার হচ্ছে।ঈশার খোজ নেওয়ার মত সময় পায় নি সে।কিন্তু দুই চারবার ঈশার ফোনে ট্রাই করেছে কোন লাভ হয়নি।

অনু কিছুতেই এইসব নাটক সহ্য করতে পারছেনা।তার নিজের মাঝেই অপরাধ বোধ সৃষ্টি করছে একদিকে ঈশান অন্যদিকে ঈশা।অনুর অবস্থা দেখে ঈশা সাজ ছেড়ে তাকে আড়ালে ডাকে।
“তোর প্লান কি অনু?
” আমার আবার কি প্লান থাকবে(অবাক হয়ে)
“তুই কি ঈশানকে সবটা জানিয়ে দেওয়ার ধান্ধায় আছিস(ভ্রু কুচকে)
“না..!
” আমার মাথা ছুয়ে কসম কাট ঈশানকে যানাবিনা?
অনুকে চুপ থাকতে দেখে ঈশা তার হাত টেনে ঈশাএ মাথায় ধরে,
“বল ঈশানকে আর রাসেল ভাইকে জানাবি না।
অনু আমতা আমতা করতে থাকে। কি করবে সে। সেতো চায় ঈশান সবটা যানুক…

অনু মুখ থেকে কথা বের করার আগেই। অনুর মা তাকে ডাকতে শুরু করে সুযোগ পেয়ে এখানে আর এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে ছুটে চলে যায়।আর ঈশা হতাশ ভঙ্গিতে ঢোক গিলতে থাকে।

আড়ালে দাঁড়িয়ে অনুর চোখে বেয়ে পড়ে দুফোটা জল।মনে পড়ে যায় আরো একবার রাসেলের কথা। যেদিন সাইফ আর নাজিমকে ঈশান শাস্তি দিয়েছিলো,সেদিন বিকালে ঈশা আর ঈশান যখন আলাদা হয়ে যায় তখন অনুর সময়টা কেটেছিল রাসেলের সাথে।বার বার মনে পড়ে তার যায় সেইদিনের কথা গুলো

“অনু (রাসেল)
” হু, আমার দেখা পৃথিবীতে সবচাইতে দুই বোকা কে যানো?
“না বললে যানবো কি করে!
” সবচেয়া বোকা তুমি আর ঈশা..!
“কি? আমি বোকা!কোন দিক থেকে আমাকে।বোকা লাগে আপনার।
“এইযে এইসব দিক থেকে তোমরা দুই বন্ধু আমাদের একটু মর্যাদাও করো না।তোমাদের হাভ হাব আমরা যেন ফেলনা, অথচ আমরা হলাম প্রত্যাকটা মেয়ের ড্রিম বয়,
“ডিম বয়(মুখ বিগড়ে)

” এই দেখলে আবার অবমাননা করলে আমায়,।তোমার থেকেও অফিসের এমপ্লয় সানজানা অনেক ভালো।
মূহুর্তেই অনুর ভ্রু যুগল কুচকে যায় সানজানা আবার কে?নিজের মনে আওড়াতে আওড়াতে প্রশ্নটি করেই ফেলে।
“সানজানা কে?(ভ্রু কুচকে অনু)
” আমাদের অফিসের। ওমাই গড, আবারো মনে পড়ে গেলো সেই মেয়ের কথা। যা দেখতে না মাশাল্লাহ! আল্লাহ যেন তাকে নিজের হাতে বানাইছে কোন ছেলের যে বউ হবে তা ভেবে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।
“ওই মেয়ে যাকে খুশি তাকে বিয়ে করুক তাতে আপনার কি?
“না মানে মেয়েটা সুন্দর সুযোগ পেলে আমিও বিয়ে করে নিতাম এখন সুযোগটা যে আমার কবে আসবে(আড় চোখে)

হঠাৎ রাসেলের ফোনে কল আসায় সে বারান্দায় চলে যায়। অনু রুমেই বসে থাকে।কথা শেষ করেই বারান্দা থেকে রুমে ডুকতে রাসেল অবাক হয়ে যায়।অনু কাদছে ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাদছে! রাসেল দ্রুত এগিয়ে যায় তার কাছে।

“,এই বোকা মেয়ে কাদছো কেন?
রাসেলকে দেখতে পায়ে অনু মুখ লুকিয়ে নেয়।দ্রুত চোখের পানি মুছে।
” এই তুমি কাদছো কেন?
“ক..ক..কই না আমি কাদছিলাম না।
” আবার মিথ্যা টেনে দুইটা চড় লাগিয়ে দেব বলেদিলাম।
“আয়ায়ায়ায়াম…..
সম্পূর্ণ কথাটা শেষ না করেই অনু আবারো কেদেঁ দেয়।এবার একটু শব্দ করেই কাদে সে।
” কাদছো কেন?(রেগে)
“আরে উওর দাও কে কি বলেছে তোমায় বলো, কার কথায় তুমি এত হার্ড হয়েছো?

অনু এখনো মুখে হাতে দিয়ে কেদেই যাচ্ছে।রাসেলের বুঝতে বাকি নেই সানজানার কথা বলায় অনু কষ্ট পেয়েছে।রাসেল অনুকে একদিক থেকে জড়িয়ে হাত মুঠোয় নিয়ে বলে,
” তুমি আমার কথায় কাদঁছো! আমি তোমাদের এমনি এমনি বোকা বলি নাকি!তুমি একটা বোকা থাকো আরেক বোকা ঈশার সাথে।আরে সানজানা নামের কাউকে আমি এই জীবনে দেখিনি।ট্রাস্ট মি…!সত্যি বলছি আমি তো তোমায় রাগাতে মূলত কথাটা বলেছি আর তুমি কি না…..

অনুকে চুপ থাকতে দেখে রাসেল আবারো বলে,
“আমার কথা বিশ্বাস না হলে তোমার দুলাভাইইইই ঈশানকে জিজ্ঞেস কইরো…
” আপনি ও আমার দুলাভাই! সানজানা আমার বোনের মতো সেইদিক থেকে আপনিও দুলাভাই।
রাসেল এবার রেগে যায়।দাত কিড়মিড় করে বলে,
“নো ওয়ে আমি ঈশার দুলাভাইই,আর অনুর হাবি।
” আমি আপনাকে আমার হাবি বানাবো না(দৃঢ় গলায়)
“তুমি কি আমার হাতে চড় খাওয়ার ধান্দায় আছো?
” আমি গেলাম আমার এখানে থাকতে আর ভালো লাগছেনা।
অনু উঠে যেতে নিলেই রাসেল আবারো হাত টেনে বসিয়ে দেয়।
“সত্যি অনু আমি মজা করছিলাম।তুমি ছাড়া আমার কেউ নেই।তোমার যদি এতো ভয় থাকে তাহলে আমাকে বিয়ে করে নাও।
” ওও বিয়ের পরে সুযোগ খোজার ধান্ধায় আছেন বুঝি(ভ্রু কুচকে)
“ছিহহ আমি তোমার সাথে কি বলি আর তুমি কি বল এতটাই নিচু ভাবো আমায়।
” কেন আমি কি বললাম!
“চুপ থাকো।আমরা বিয়ে করবো আমাদের মনের বিয়ে।

রাসেলের কথা শুনে অনু ঘর কাপিয়ে হেসে উঠে।
” মনের আবার বিয়ে হয় বুঝি।
“হয়, এইতো এখন হবে।

রাসেল অনুর মাথায় ওরনাটা জড়িয়ে দিয়ে বলে,
” একসাগর, একহৃদয় ভালোবাসার বিনিময়ে আপনি কি আমায় বিবাহ করিতে রাজি আছেন।রাজি থাকলে বলুন কবুল! কবুল! কবুল!
রাসেলের ভাব ভঙ্গিতে হাসতে থাকে অনু। তারপর হাসি মুখে একটু লজ্জার ভাব নিয়ে বলে,
“কবুল!কবুল!কবুল!। আপনি রাজি থাকলে আপনিও বলুন।
” আলহামদুলিল্লাহ কবুল,কবুল,কবুল!

রাসেল অনুর মাথা টেনে ভালোবাসার পরশ একে দেয়। কিন্তু অনু হাসতেই থাকে।
“এমন বিয়ে করিছি অনু!মনের ডির্ভোস কোন দিন হবেনা।যত যাই হোক তোমাকে আমার মনে পড়বেই।আমাকে তোমারো মনে পড়বেই।

কথা গুলো ভেবেই হাটু মুড়ে কাদতে শুরু করে অনু।হেচঁকি তুলে কাদতে কাদতে বলে,
” আমি আপনার বউ রাসেল।আজ কি হয়ে গেল আমি কিছুই যানাতে পারলাম না আপনায়। হয়তো ঈশার সাথে সাথে আমাকে আপনার জীবন থেকে সরে যেতে হবে।যে গল্পের আসল ভূমিকাই অন্যদিকে পা বাড়িয়েছে। সেই গল্পে আমি উপসংহার হয়ে থাকতে চাইনা।

ঈশার বিয়ে সাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।ছেলে পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়েছে বিয়ে রাত নয়টা থেকে শুরু কিন্তু এখনো কেউ আসেনি সবচে বড় কথা ঈশাকে রুমে একা সাজিয়ে সবাই চলে গেছে বেচারি অনেক্ষন থেকে একা বসে আছে কেউ তাকে একবারের জন্য দেখতে পর্যন্ত আসেনি।কি হচ্ছে তার মাথায় ডুকছেনা।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৯.১৬ বাজে।কিন্তু অনুকে অনেক্ষন থেকে দেখছে না ঈশা।দুইহাতে লেহেঙ্গাটা জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। তখনি……

#চলবে…….

এইরে ঈশা অন্য কাউকে বিয়ে করে নিচ্ছে?।এবার কি হব্বে…!
?পর্বটা কেমন হয়েছে যানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here