#Senior_life_partner
পর্ব —– 46( শেষ)
Afrin Ayoni
5 বছর পর………….
লন্ডনের রাস্তা দিয়ে একটা সাদা ধবধবে ফর্সা গায়ের রঙের পুচকি হেঁটে যাচ্ছে। পিছন থেকে কেউ একজন ডাকলো তাকে,,,,
Hey little princess ??
মেয়েটা– আমি??
হ্যাঁ গো প্রিন্সেস!তোমাকেই ডাকলাম
মেয়েটা– আপনি কি আমার পরিচিত?
যদি বলি আমি তোমাকে চিনি,,, তবে তুমি আমাকে কখনো দেখনি??
মেয়েটা– তাহলে আপনি আমার অপরিচিত।
হুম… খুব পাকা তুমি। চকলেট??
মেয়েটা– নো….. অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু নিতে নেই !
কেন????
মেয়েটা– যদি আপনি আমাকে কিডন্যাপ করেন।
আগন্তুক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল,,,”কে বলেছে?”
মেয়েটা– আমার পিম্মি! অপরিচিত লোকদের থেকে দূরে থাকতে বলেছে।
লোকটা মেয়েটার গাল টেনে দিল– একেবারে পিম্মির মত হয়েছো।
মেয়েটা– আমার পিম্মিকে আপনি চিনেন??
লোকটা– চিনবো না কেন?? তোমার পিম্মি হলো বড় princess আর তুমি হলে little princess
মেয়েটা– আপনি কে??
লোকটা– ধরো আমি তোমার ভালো আঙ্কেল।
মেয়েটা– ভালো আঙ্কেল কি কারোর নাম হয়??
লোকটা– তোমার নাম কি princess??
মেয়েটা– ইরা!ইরা চৌধুরী…..
লোকটা– চকলেট নিবে না ইরা ??
মেয়েটা– নেওয়া বারণ।
লোকটা হেসে উঠে দাঁড়ায়– Ok বাসায় যাও।তোমার পিম্মি অপেক্ষা করছে তো তোমার জন্য।
মেয়েটা কপালে হাত দিয়ে– আজ তো পাপা আর মাম্মা ও আসার কথা।আমি ভুলেই গেছিলাম।Bye ভালো আঙ্কেল। ??
কথাটা বলেই ইরা ছুটে গেল।দশ পা এগিয়ে গেলে সামনে যে বাড়িটা আছে সেটাতে ঢুকে পড়ে মেয়েটা।কিন্তু ইরার শেষের কথাটুকু যে আগন্তুকের চোখে পানি উপহার দিলো সেটা কি ঐ পাঁচ বছরের ছোট বাচ্চাটা বুঝেছে??
শুভ– তুই এসেছিস?দোস্ত তোকে একটিবার দেখতে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার পূর্ণ হবে তাহলে??
রিদীমা,স্বাদ,সিনথিয়া,ইসুয়া আর রবিন বসে আড্ডা দিচ্ছিলো।রিদীমা রবিনের দিকে তাকিয়ে,,,,
রিদীমা– ইরা তোকে দেখলে অনেক খুশি হবে।
ইসুয়া– আপু ও এখনো আসলো না যে।
রিদীমা– স্কুল তো ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা এতক্ষণে।
রবিন– চলে আসবে।নো টেনশন……
আরেকজন তার ছোট ছোট হাত দুটো দিয়ে সারা শরীরে ক্রিম কেক মাখিয়ে এগিয়ে আসলো ইসুয়ার দিকে,,,
মাম্মা! আমাকে ভূতের মতো লাগছে তো??
স্বাদ এগিয়ে আসে– আমার পিচ্চি মামণিটা ভূত সাজতে চাইছে কেন??
ইরাকে ভয় দেখাবো।??
সিনথিয়া, রিদীমা আর স্বাদ হেসে উঠলো। রবিন এগিয়ে এসে কোলে তুলে নিলো মেয়েটাকে।
ইসুয়া চোখ রাঙ্গিয়ে– ইশা একদম না।বোনের সাথে একেবারে দুষ্টুমি করবে না বলে দিলাম।
ইশা– আমি ওকে ভয় দেখাবোই দেখাবো।
ইসুয়া রিদীমার দিকে তাকিয়ে– কি বিচ্ছু দেখলে আপু!
সিনথিয়া– ইরা একদম রিদীমা আপুর মতো হয়েছে। আর ইশা ………
রিদীমা উঠে রবিনের কান ধরে– এটা হয়েছে একেবারে এই বিচ্ছুটার মত।
রবিন– মেয়ের সামনে বাপের কান ধরলে?আমার আর ইজ্জত রাখলে না আপুনি।
ইশা রিদীমাকে রবিনের কান ধরতে দেখে হাততালি দিতে থাকে।হঠাৎ ইরা ছুটে এসে সামনে দাঁড়ায়,,,,
ইরা— পাপা ?????
রবিন– আমার ইরামণি এসে গেছে??
ইরা– হুম।
ইসুয়া স্বাদের দিকে তাকিয়ে– দেখেছেন ভাইয়া। দুটোই বাবা ভক্ত।
সিনথিয়া– না ভাবী,, এটা ভুল বললে।ইরা রিদীমা আপুর মতো বাবাভক্ত।কিন্তু ইশা তোমাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝে না।যেমনটা রবিন মামীমণিকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না।
স্বাদ হেসে– সিনথিয়ার কথায় যুক্তি আছে।
রবিন সিনথিয়ার দিকে তাকিয়ে– তোর বাচ্চা হলে যেন স্বাদ ভাইয়ার মতোই হয় নয়তো বেচারা স্বাদ ভাইয়ার যা হাল হবে??
স্বাদ– তা যা বলেছো ভাই।আমার মা আর তোমার বোনের জ্বালায় আমি এমনিতেই অতিষ্ঠ। আর বাচ্চা যদি ওদের কারো মত হয়….. I have gone
সিনথিয়া– কি বললে??
স্বাদ রবিনের দিকে তাকিয়ে– আমি কি কিছু বলেছি? মনে নেই তো।
রবিন আর রিদীমা উচ্চ স্বরে হেসে উঠে।রিদীমা রবিনের দিকে তাকিয়ে– ইরাকে যদি নিয়ে যেতে চাস এবার নিয়ে যেতে পারিস দেশে।ওর সব ট্রিটমেন্ট শেষ।
ইসুয়া– এ রকম কথা একদম বলবে না আপু।
রবিন– ও তোমার কাছেই থাকুক।একাকী জীবন আর কত কাটাবে??
রিদীমা– অভ্যাস হয়ে গেছে যে।
ইসুয়া– এখনো অনেকটা সময় পড়ে আছে আপু।
সিনথিয়া এগিয়ে এসে– আপু এবার তো বিয়েটা করে নাও।
রিদীমা– জীবনটা এমনিতেই চলে যাচ্ছে তো বেশ।
স্বাদ– বলে কোনো লাভ নেই ওকে।
রিদীমা– ইসুয়া এবার তোমাদের সাথে ইরাকে নিয়ে যাও।আমার মত ও পরিবার থেকে দূরে থাকুক,, আরেকটা রিদীমা তৈরি হোক সেটা আমি চাই না।
ইসুয়া– এটা আমি করতে পারবো না আপু।
রিদীমা– ইসুয়া ও তোমার মেয়ে।
ইসুয়া– বিগত চারটা বছর ও তোমার কাছেই আছে তো।এক বছরের মাথায় যখন ওর একটা শারীরিক সমস্যা দেখা দিল তখন ওর ট্রিটমেন্টের জন্য তুমি ওকে এখানে নিয়ে এলে।চারটা বছর যত রকমের ট্রিটমেন্ট লাগবে সবকিছুর দায়ভার তুমি নিয়েছো।আমি তো ইশাকে নিয়ে ওর দেখভাল করার সুযোগটুকু ও পাইনি।এখন ও যখন সুস্থ স্বাভাবিক হলো,আমি ওকে নিয়ে চলে যাব??এতটা নির্দয় হয়তো আমি হতে পারবো না।
রবিন– আপুনি আমার এই মেয়েটা তোমার কাছেই থাকুক।ওকে তুমি তোমার জন্য রেখে দাও এখানে।
রিদীমা– আমার জন্য এই বাচ্চা মেয়েটা বাবা মায়ের ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে??
স্বাদ– তুই ওর বাবা মায়ের চেয়ে ও কম কিসে? এই শহরের সবাই জানে লন্ডনের business woman রিদীমা চৌধুরীর একমাত্র মূল্যবান সম্পদ তার one & only মেয়ে ইরা চৌধুরী।
রিদীমা– তারপর ও বাবা মা তো বাবা মা ই হয়।
রিদীমাকে ইরাকে ডাকে।ইরা আর ইশা তখন খেলায় মগ্ন। ফুফু ভক্ত ইরা তখন ছুটে রিদীমার কাছে এল।
রিদীমা– ইরা পাপার সাথে দেশে যাবে??
ইরা– না! পাপার সঙ্গে আমি চলে গেলে তোমাকে দেখবে কে??
রিদীমা হেসে– পাকা বুড়ি!!??
…………………………………………………………………
শাহেদ চিল্লাতে চিল্লাতে নিচে এলো,,,,
শাহেদ– মা মা!
সুরাইয়া খান– এভাবে গন্ডারের মতন চেচাচ্ছিস কেন?
শাহেদ– দেখ তোমার আদরের বউমা আজকেও আমার সাদা শার্টটাতে কফি ফেলে কি করেছে????
নিশুয়া পেছন দিক থেকে এসে– একশোবার ফেলবো,, হাজার বার ফেলবো।
সুরাইয়া খান– নিশুয়া মা! এভাবে বলতে নেই।
নিশুয়া– মা তোমার ছেলে যে আমাকে জড়িয়ে ধরতে গেছিলো তার বেলায়??
শাহেদ– আমার বউ আমি জড়িয়ে ধরতেই পারি।এতে সমস্যা কী??
নিশুয়া– আমার হাতে যে কফির কাপ ছিলো দেখেননি? আমিও একশোবার কফি ফেলবো।
শাহেদ– আরেকবার ফেলে দেখো খালি।কি করি তোমাকে??
নিশুয়া– কচু করবে।
শাহেদ– বললাম তো ফেলে দেখ কফি আবার।
সুরাইয়া খান– এই তোরা চুপ করবি।কি কি করছিসটা কী?এভাবে কেউ ঝগড়া করে?
নিশুয়া ন্যাকা কান্না করে– আমি এখনই রিদীমা আপুকে ভিডিও কল দিচ্ছি।নালিশ করছি……দাঁড়ান।
নিশুয়া সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকে।পিছন পিছন শাহেদ ও ছুটে এলো,,,,,,
নিশুয়া রিদীমার নাম্বারে ভিডিও কল দিল।রিদীমা কল রিসিভ করে।
নিশুয়া– আপু।
রিদীমা– আজ আবার কি হল নিশুয়া পিচ্চির?
নিশুয়া– তোমার বুড়া friend আমাকে কিন্তু এবার বেশি বেশি জ্বালাচ্ছে।এবার আমি চলে যাব বাড়িতে।
পাশ থেকে শাহেদ বললো– দেখ তোর পিচ্চি ডায়েন আজকে ও আমার সাদা শার্টটাতে কফি ফেলেছে।
রিদীমা তখন রবিন আর ইসুয়ার সামনেই বসা ছিলো।রবিন… নিশুয়া আর শাহেদের কান্ড দেখে হাসছে।ইসুয়া খানিকটা জোরেই বললো,,,,
ইসুয়া– ভাইয়া আমার বোনের কোনো দোষ নেই । বরাবরের মতই আপনার ভুল।
শাহেদ মুখ কালো করে– মানে????
ইসুয়া– ও আপনাকে কফি দিতে গিয়েছে।আপনি কাপ হাতে না নিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরতে গেলেন কেন??
শাহেদ কাশতে লাগলো।রিদীমা ইসুয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বললো– That’s right….. তোর ওকে জড়িয়ে ধরার অন্য কোনো সময় নেই? পিচ্চিটা কফি আনার পর ই ওকে জড়িয়ে ধরতে মন চায়??
শাহেদ– প্রিয়দর্শীনি এটা ঠিক না।মানলাম নিশুয়া পিচ্চি হলেও আমার বউ।বউয়ের সামনে বলছিস বল।কিন্তু ছোট ভাই আর তার বউয়ের সামনে এভাবে বলা কি বেশি জরুরী ??
শাহেদ এবার নিশুয়ার দিকে তাকালো– ফোনটা রাখো শুধু। আজ তো তোমার খবর আছে।কে বাঁচাবে আমার হাত থেকে আমিও দেখবো!!
নিশুয়া ভেঙ্গচিয়ে অন্য দিকে ফিরে গেল।
লন্ডনে তখন বিকেল বেলা। রিদীমা,রবিন, ইসুয়া মেয়েদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে বেরিয়েছে।সাথে স্বাদ ও আছে।সিনথিয়া pregnant,,, শরীরটা হঠাৎ খারাপ লাগছিলো।তাই বের হয়নি।
ইরা আর ইশা কিছুটা আগে আগে হাটছিলো একসঙ্গে। ওরা একটা পার্কে এসেছে।যথেষ্ট সিকিউরিটি আছে বাচ্চাদের জন্য পার্কটাতে।তাই রবিনরা একটা জায়গায় বসে নিশ্চিন্তে আড্ডা দিচ্ছে। ইরা আর ইশা আশেপাশেই ঘুরে ঘুরে দেখছে আর খেলছে।
Hey little princess??
ইরা– ভালো আঙ্কেল!!
শুভ ইরার দিকে এগিয়ে এসে– কেমন আছো?
ইরা– ভালো
শুভ– চকলেট??
ইরা– Nooooo…..??
শুভ– আজ ও নিবে না??
ইরা– আমরা কি পরিচিত?? পিম্মি বলেছে অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু নিতে নেই।
হঠাৎ ইশা এগিয়ে এলো শুভর দিকে।শুভ ইশাকে দেখে হা করে আছে।দুজনের অবিকল চেহারা দেখে সে অবাক।
ইশা– Hlw uncle ??
শুভ আমতা আমতা করে– Hlw…..
ইশা শুভর বাড়িয়ে দেওয়া চকলেট নিতে যাবে ইরা বাঁধ সাধলো।
ইরা– এই চকলেট নিবি না। পিম্মি কি বলে শুনিস না!!
ইশা শুভর হাত থেকে চকলেট নিতে নিতে বললো– পাপা বলে, রাস্তায় কেউ কিছু দিলে খাবি না।ব্যাগে নিয়ে নিবি আর বাড়িতে এসে আরামচে খাবি!!
শুভ নিজেই নিজেকে বললো– অবিকল রবিন।?
ইরা– তুই পিম্মির কথা মানছিস না ইশা।
ইশা– আমি পাপার কথা মেনে চলছি।তুই চুপ থাক।
ইরা আর ইশা ঝগড়া করতে লাগলো।শুভ ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ শুভ তার দুহাতে আঁকড়ে ধরে ইরা আর ইশাকে।বুকে জড়িয়ে ধরে। ইরা আর ইশা নিশ্চুপ হয়ে রইলো।
ইরা আর ইশাকে কিছুক্ষণ যাবত দেখতে না পেয়ে ইসুয়া ডাকতে লাগলো।তারপর ও দুজনের জবাব পেল না সে।তাই আড্ডার আসর ছেড়ে এগিয়ে এলো ইসুয়া। খানিক দূরে ইসুয়াকে দেখেই আড়াল হয়ে গেল শুভ।
ইসুয়া এগিয়ে এসে– এখানে কি করছো দুজন??
ইরা– দেখ না মাম্মা!ইশা অপরিচিত লোকের থেকে চকলেট নিয়েছে।
ইশা– নিয়েছি,,,, খাইনি তো!!
ইসুয়া– ইশা এটা ঠিক না। এরকম আর করবে না।
ইশা– পাপা বলে যে……………..
ইসুয়া– হয়েছে পাপার সৈনিক।পাপা কি বলে এটা আমাকে বোঝাতে হবে না আর।তোমাকেও পিম্মির কাছে রেখে যাওয়া উচিত।??
ইসুয়া ইরা আর ইশাকে দুজনকে দুহাতে ধরে নিয়ে চলে গেল। আড়াল থেকে শুভ ছলছল চোখে ফিসফিসিয়ে বলে উঠলো– হারামিটার দুটো প্রিন্সেস আছে!! একটা পুরো ফুফুর মত হয়েছে অন্যটা হারামি pro max….. পুরাই ওর মতো।
রবিনরা পার্ক থেকে বেরিয়ে আসে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ইরা রবিনের কোলে।ইশা স্বাদের হাত ধরে হাঁটছে। পিছনে ইসুয়া আর রিদীমা। হঠাৎ ইরা রাস্তার অপর পাশে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বললো,,,,
হাওয়াই মিঠাই!!
রবিন– তুমি খাবে মামণি??
ইরা– হুম।
পিছন থেকে ইশা ও বলে উঠলো– আমি ও খাবো।
রবিন– আচ্ছা তোমরা স্বাদ আঙ্কেলের কাছে দাঁড়াও। আমি নিয়ে আসছি।
ইরাকে কোল থেকে নামিয়ে স্বাদের কাছে দিল।রবিন মেয়েদের দিকে তাকিয়ে হেসে রাস্তা পার হচ্ছিলো।পেছন থেকে ইশা ডাকলো,,,,
ইশা– পাপা! আমার জন্য green colour
রবিন তখন মাঝ রাস্তায়। ইশার কথায় মেয়ের দিকে ফিরে তাকালো রবিন।মুচকি হেসে বললো– Okk
এবার ইরা ডেকে বললো– আমার জন্য pink colour
রবিন হেসে– আচ্ছা। ??
মাঝ রাস্তায় বাবা আর মেয়েদের কথোপকথনের মাঝেই একটা গাড়ি ধেয়ে আসছিলো রবিনের দিকে।বাকিদের নজরে পড়লেও রবিনের নজরে পড়েনি।সে Slow motion এ রাস্তা পার হচ্ছিলো। কিন্তু কারো ধাক্কায় সে রাস্তার অপর পাশে গিয়ে পড়ে।
রাস্তার একপাশে রিদীমা, ইসুয়া আর স্বাদ দাঁড়িয়ে আছে।আর অপর পাশে কপালে কাটা জায়গায় হাত দিয়ে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে ছলছল নয়নে সামনের লোকটাকে দেখে যাচ্ছে রবিন।
শুভ ধমকে উঠলো– ঐ দেখে চলতে পারিস না?? এখন কিছু একটা হয়ে গেলে কি হত????
রবিন– তুই!! শুভ সত্যিই তুই????
শুভ– হারামি এখনো Careless রয়ে গেলি!
শুভকে দেখে দৌড়ে গিয়ে ঝাপটে ধরলো রবিন।শুভ ও স্বজোড়ে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে।
রবিন– এভাবে হাওয়া হয়ে গেলি কেন কুত্তা??
শুভ– এই তো তোর সামনে দাঁড়িয়ে।
রবিন– নয়ন যদি তোকে দেখে কত খুশি হবে জানিস??
শুভ– হারামজাদা টা বেঁচে আছে এখনো???
সবাই শুভকে দেখে রিয়েকশ বাটন চাপতেই ভুলে গেল।স্বাদ আর ইসুয়া এগিয়ে এসে শুভর সঙ্গে আলাপ সেরে নিলো।রিদীমা এখনো রাস্তার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে।
রিদীমা দুই হাতে ইরা আর ইশা দুজনকে ধরে রেখেছে।
শুভর দিকে প্রথমে শক খেয়ে তাকিয়ে থাকলেও এখন রিদীমা ইরা আর ইশাকে নিয়ে সামনের দিকে হেঁটে চলছে।
শুভ….. স্বাদ আর ইসুয়ার সঙ্গে কথা সেরে দৌড়ে রিদীমার পিছু নিলো আবারো,,,,,
????????????????
“এই যে Miss……
শুনেন plz
Single আছেন কী??
বলতে চাই একটা কথা
আপনি রাখবেন কী??
হেই আমার মনের রাজপ্রাসাদের রাণী হইবেন কী ?
আর ভালবাসার একটা গোলাপ আপনি রাখবেন কী?
হেই আপনার পিছে ঘুরে ঘুরে আমি রোদে পুইড়া ছাই
বুঝতে গিয়াও এই আমারে বুইঝা ও বোঝেন নাই!!
আরে আপনার পিছে ঘুরে ঘুরে আমি রোদে পুইড়া ছাই
বুঝতে গিয়াও এই আমারে বুইজা ও বোঝেন নাই!!”
এই যে Miss….
শুনেন plz
Single আছেন কী??
????????????????
__________________The End______________________