#Senior_life_partner
পর্ব——-43
Afrin Ayoni
মারিয়া রিদীমার দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। স্বাদ আর শাহেদ মারিয়াকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে চলছে অনেকক্ষণ যাবত। সবাই চুপচাপ,শান্ত পরিবেশ।অশান্ত আর গভীর চাহনি শুধু মারিয়ার চোখে দৃশ্যমান।
রবিন– তো Miss.মারিয়া!! আপনার এমন সুকীর্তির কথা কি আপনি নিজেই বলবেন নাকি আমিও একটু হেল্প করবো??
রিদীমা– কি বলবে ও????
শাহেদ– সহজ ভাষায় স্বীকারোক্তি দিবে যে,, সেদিন ঠিক কি কারণে তোর উপর এমন এট্যাক করেছিলো??
রিদীমা মারিয়ার দিকে তাকিয়ে– What????
রবিন– হ্যাঁ আপু!বিশ্বাস করতে পারছো না?? এই মেয়েটাই তোমার উপর গুলি চালিয়েছে।
রিদীমা– Is it true??
মারিয়া হেসে– Yeah ….. Ofcourse dear??
রিদীমা– But why??
মারিয়া তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে– At first,,,, Sry…Sry for everything
রিদীমা– আমার জানামতে তোমার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই!!
মারিয়া– ???
রিদীমা আবারো বলল– তবে কি শুধু মাত্র স্বাদের জন্যই এতকিছু??
মারিয়া– No….. Who is Shad????
মারিয়ার কথা শুনে রেহানা বেগম, স্বাদ আর রিদীমা হা করে আছে।
মারিয়া আবারো তাচ্ছিল্য ভরা কন্ঠে বললো– ডক্টর আহসান তো আমার সামনে এগোনোর একটা step ছিলো মাত্র। সেই প্রথম থেকেই আমার main target তো তুমিই Miss. রিদীমা চৌধুরী। লন্ডন বিজনেসের লেডি আইকন।
রিদীমা– ওহ্!! ব্যবসায়িক শত্রুতা??….I see??
মারিয়া– You r very Smart☺☺
রিদীমা– পরিষ্কার করে বল। বুঝতে সুবিধা হবে….
মারিয়া– Okk….. গত কয়েক মাস আগে তুমি আমাদের কোম্পানির অনেক বড় একটা লস করে দিয়েছো মিস রিদীমা চৌধুরী।
রিদীমা– ব্যবসা করতে নামবে!অথচ লাভ লসের মুখোমুখি হবে না তা কি হয়?? এটা কোনো বড় ইস্যু নয় যে,,,যার কারণে তুমি আমাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারো??
মারিয়া– আমার একমাত্র কাছের দুজন মানুষকে আমি হারিয়েছি তোমার জন্য। আমার দাদাভাই তার সর্বোচ্চ ইনভেস্টমেন্ট করেছে ঐ এত টাকার বাজেটের ডিলটার পেছনে।কিন্তু শেষে কিনা ওরা ডিলটা তোমাদের কোম্পানিকে দিয়ে দিল।
রিদীমা– বিজনেসের বাজারে কে কত টাকা ইনভেস্ট করেছে সেটা ওরা দেখবে না,,, কার কর্মদক্ষতা বেস্ট?কে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটা প্রজেক্ট ঐটাই আসল।
মারিয়া– বিজনেস শেখাতে এসো না। কয় বছর হয়েছে এসেছো এই business world এ?? আমার দাদা লন্ডনের ব্যবসা সম্রাট। সেখানে তুমি দুদিনের মেয়ে হয়ে আমার দাদার সাম্রাজ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারো না।
রিদীমা– বুঝলাম তোমার দাদা ব্যবসা সম্রাট, আমি ও না হয় দুদিনের মেয়ে। কিন্তু তুমি?তুমি ব্যবসা সম্পর্কে কতটুকু জানো???
মারিয়া– আমার ঐ সব বিজনেস নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। ঐ প্রজেক্ট টা হাতছাড়া হওয়ার পর আমাদের কোম্পানির একটা বিশাল বড় ক্ষতি হয়ে যায়। আমার দাদা সুইসাইড করেন আর দাদী দাদার মৃত্যু সহ্য করতে না পেরে হার্ট এট্যাক করেন।একই দিনে একই সঙ্গে আমি আমার দুজন আপন লোককেই হারিয়ে ফেললাম।
রিদীমা দুঃখিত হয়ে– তোমার দাদা এবং দাদীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু তিনি ব্যবসায়িক ক্ষতি গ্রস্ততা মেনে নিতে না পেরে ব্যক্তিগত জীবনকে এভাবে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারেন না। ??
মারিয়া– দয়া দেখাচ্ছেন??
রিদীমা– দয়া??
মারিয়া– দুঃখ প্রকাশ করার ন্যাকামি করতে হবে না।
রিদীমা– তোমার দাদা এবং দাদীর জন্য দুঃখ প্রকাশ করা দয়া?? ??
মারিয়া তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে পুনরায়।
রিদীমা– সরি।বলতে বাধ্য হচ্ছি তোমার দাদা দাদী তোমাকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেননি।
মুহূর্তের মধ্যেই মারিয়া অগ্নিরূপ ধারণ করলো– Who r u?? আমার দাদা এবং দাদীর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কে তুমি????
রবিন এগিয়ে যায়– আরে Cool down Miss….
মারিয়া চেঁচিয়ে — কই মাছের প্রাণ তোমার!সবকিছু ই প্ল্যান করা ছিলো।আজ আর আমার সামনে থাকতে না।শুধু মাত্র ঐ Rockstar এর জন্য সব জলে গেল।
রিদীমা– শান্ত হয়ে বসো।??
রবিন– এখানে আর অতিথি আপ্যায়নের কিছু নেই।চলুন বাংলাদেশের জেল হাজত আপনার অপেক্ষায় আছে।
পাশ থেকে স্বাদ বলে উঠলো– হায় রে নিয়তি!! সারা জীবন বিদেশী হাওয়াতে বড় হওয়া এই body টা এখন বাংলাদেশের মশাদের breakfast,,,,lunch & dinner হবে।??
শাহেদ– এই দাঁড়াও দাঁড়াও !! এত জলদি কিসের?? উনি বিদেশী … বাংলাদেশী হাজতের ওয়াশরুম না ও চিনতে পারে।সাথে দুজন দেশী লোক থাকলে সুবিধা হয়।??
শাহেদের কথা শুনে নিশুয়া উচ্চ স্বরে হেসে উঠে। ইসুয়া চোখ পাকিয়ে শাসায় বোনকে।শিলা ও মুচকি হাসে।
স্বাদ– মানে??
রবিন– আজ আরো অনেকের মুখোশ খুলবে।
আফজাল সাহেব– আমার মাথায় ঢুকছে না কিছুই।কি হচ্ছে এসব??
রবিন– বাবা ওয়েট কর সবই বুঝবে।
শাহেদ দেলোয়ার খানের দিকে তাকিয়ে বললো– তো Mr. খান আপনার এত এত সুকাজের ঢোল কি আপনি নিজেই পিটাবেন নাকি আমাকে পিটাতে হবে?? আমি পিটালে আবার আওয়াজ জোরে শোনাবে।আস্তে পিটাতে পারি না তো তাই!!??
দেলোয়ার খান হাত দিয়ে বারবার কপালের ঘাম মুছতে লাগলেন।রবিন কাউকে মেসেজ করতেই দুজন লোক একটা আধমরা লোককে ধরে বেঁধে নিয়ে আসে।
আকাশ– এ আবার কে????
রবিন– তোমার বাবার পোষা কুত্তা।আমাদের বাড়ির হাড্ডি খাইয়ে আবার আমাদের মারার ষড়যন্ত্র করে।
মমতা চৌধুরী– কি যা তা বলছিস????
রবিন– যা তা নয় দাদীজান। মারিয়ার ছোঁড়া একটা গুলিই লেগেছে আপুনির শরীরে।আরেকটা গুলি এই কুত্তার করা।??
কথাটা বলেই রবিন দুটো লাথি মারে লোকটিকে।ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে লোকটা।
লোকটা– আমার কোনো দোষ নেই বিশ্বাস করুন।
আকাশ দেলোয়ার খানের দিকে তাকিয়ে– এসব কি শুনছি বাবা??
দেলোয়ার খান আমতা আমতা করতে লাগলেন।মুখে তার কোনো জবাব নেই।
সুরাইয়া খান এগিয়ে এলেন– আর ঢেকো না তোমার পাপ।পাপের গরা পূণ্য হয়ে এসেছে।অনেক তো করলে,, এবার প্রায়শ্চিত্ত করার সময় এসেছে।??
সিনথিয়া– এসব কি বলছো মম তুমি??
আকাশ ধমকে উঠলো– তুই চুপ কর।অনেক বেয়াদব হয়েছিস একমাত্র বাবার আশকারা পেয়ে। ??
আফজাল সাহেব– দেলোয়ার কিসের অভাব দিয়েছি তোমাদের বলো তো??যার কারণে আমার সন্তানকে মারার মত কাজ করতে যাচ্ছিলে।
দিতী বেগম– ভাইজান আপনার দুই ছেলে মেয়েকে আমি নিজের সন্তানের চেয়ে ও কম ভাবিনি কখনো,, অথচ আজ আমার বুক খালি করতে যাচ্ছিলেন??
রিদীমা– দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছো মা।??
আকাশ রিদীমার দিকে এগিয়ে এসে– মাফ করে দে বোন।
রিদীমা– তুই কেন মাফ চাচ্ছিস?
সুরাইয়া খান– আমার ভাইয়ের খেয়ে পড়ে আমার ভাইকে ধ্বংস করতে মেতে উঠেছো।দেখলে খোদা সহ্য করেনি।??
দেলোয়ার খান– তোমার বোকামির জন্য আমি আমার ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত উচ্ছন্নে যেতে দিতে পারি না।
আকাশ– কি বলতে চাচ্ছো তুমি বাবা????
দেলোয়ার খান– তোমার মা তো তোমাদের ছেলে মেয়ে ভাবেই না।
আকাশ– বাজে কথা কম বল বাবা।
সিনথিয়া– বাবা ঠিকই বলছে।মা যদি আমাদের আপন ই ভাবতো আজ আমাদের পাশে থাকতো।পাশ কাটিয়ে অন্য দিকে যেত না। ??
সুরাইয়া খান আজ আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। সিনথিয়াকে দাঁড় করিয়ে দুগালে লাগামহীন চড় মেরে যেতে লাগলেন।ইসুয়া এসে টেনে নিয়ে গেল তাকে।
ইসুয়া– কি করছেন ফুপু????
সুরাইয়া খান– আরে তোরা তো কালসাপ পুষেছিস আর আমি এই কালসাপটাকে জন্ম দিয়েছি ভাবতে মরে যেতে ইচ্ছে করে।
রিদীমা– এই ভাবে বলো না Sweetheart…??
সুরাইয়া খান এগিয়ে আসে শিলার দিকে।টেনে নিয়ে যায় সিনথিয়ার সামনে — এই দেখ! একে দেখছিস? ওকে আমি পেটে ও ধরিনি,,পিঠে ও ধরিনি। একদিন তোকে,আকাশকে আর শাহেদকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম।সেখানে ফুটপাতে কুড়িয়ে পেয়েছি।
সিনথিয়া রেগে গালে হাত দিয়ে– রাস্তার মেয়ের সাথে তুমি সিনথিয়া খানের তুলনা করতে পারো না!!?
শাহেদ এগিয়ে এসে এক চড় মারলো সিনথিয়ার গালে– মুখ সামলে কথা বল।ও কোনো রাস্তার মেয়ে নয়,,, ওর পিতা মাতার পরিচয় লাগবে না। ওর এখন ভাইয়ের পরিচয় আছে।সেটাই ওর লিগেল আইডেন্টিটি।??
দেলোয়ার খান তেতে উঠলেন।আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন– দেখেছো তো??বলেছিলাম না? তোমরা দুজন তোমার মায়ের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেউ নও। তার আগের পক্ষের ছেলে আর রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটাই সব।
সুরাইয়া খান– আকাশ তুই ও কি তাই বিশ্বাস করিস??
আকাশ– আমি তোমার চোখে মায়ের মমতা দেখেছি।তোমার শিক্ষা পেয়েছি। কারো কথায় আমি কর্ণপাত করছি না মা।মা সবার জন্য ই সমান।??
আকাশ শাহেদের দিকে এগিয়ে যায়– সিনথিয়ার হয়ে আমি ক্ষমা চাচ্ছি ভাইয়া।
শাহেদ– It’s ok….??
তারপর শিলাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে– অনেক কষ্টে বড় করেছি তো কেউ কিছু বললে সহ্য করতে পারি না। একেবারে মায়ের মত আগলে রেখেছি ওকে।
আকাশ গিয়ে শিলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে– আমি ও তো ওর ভাই।আমার বোনকে আমি আদর দিতে পারি না। ??
শাহেদ চোখ দিয়ে ইশারা করতেই আকাশকে জড়িয়ে ধরে শিলা।আকাশ এক প্রাণবন্ত হাসি উপহার দিল তাকে।
সুরাইয়া খান– এইভাবে একসঙ্গে যদি তোদের মানুষ করতে পারতাম এই মায়ের বুকটা জোড়াতো।??
উপস্থিত সকলে একের পর এক শক খেয়ে যাচ্ছে। কত সম্পর্কের প্যাচ খুলছে আজ।সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে।
শিলা অনেকদিন পর সুরাইয়া খানের বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। সুরাইয়া খান মাথায় হাত বুলিয়ে– পাগলি মেয়ে!কাঁদিস না।??
রবিন দেলোয়ার খানের দিকে তাকিয়ে– তো Mr. খান এখন আপনার সহজ স্বীকারোক্তি সবার সামনে উপস্থিত করুন।
দেলোয়ার খান– ছোটবেলায় শাহেদ শিলা আকাশ আর সিনথিয়ার নামে আমার শ্বশুর মানে তোমাদের দাদাজান অর্ধেক সম্পত্তি উইল করে যান আর বাকি অর্ধেক সম্পত্তি রবিন রিদীমার নামে উইল করা হয়। কিন্তু আমার ছেলে মেয়ে শুধু আকাশ আর সিনথিয়া।তাদের প্রাপ্য সম্পত্তিতে আমি শাহেদ আর শিলার ভাগ কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
শাহেদ– আর তাই আপনি আমাকে মিথ্যে অপরাধে চোর বানিয়ে নানাজানের কাছে খারাপ বানিয়ে আমাকে আর আমার এই বোনটাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলেন??একটা বার ভাবলেন না এই অবুঝ বাচ্চা গুলো কোথায় যাবে??
দেলোয়ার খান– এতটা মায়া মমতা আজও নেই তোমাদের প্রতি এই দেলোয়ার খানের হৃদয়ে।
আকাশ– ছিঃ বাবা কতটা নিচ তুমি!!??
দেলোয়ার খান– আমার সবকিছু শুধু আমার নিজের ছেলে মেয়ের জন্য। তাই আমি প্রথমে কৌশলে ওদের এই বাড়ি থেকে বের করি।তারপর…..
রবিন– তারপর আমার পিছনে নিজের মেয়েকে লেলিয়ে দিয়ে আমার স্ত্রী হয়ে আমার সম্পত্তি তার নামে করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। সেটা যখন সফল হলো না তাই আমাকে আর আপুনিকে মেরে বাকি অর্ধেক সম্পত্তি সহ মোট পুরো সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নিতে চাইলেন??কি তাই তো!!
দেলোয়ার খান– হ্যাঁ। ????
দিতী বেগম– এত লোভ সম্পত্তির????
আফজাল সাহেব– কখনো আশা করিনি এত গভীর চক্রান্তে আমাদের ফেলবে তুমি।
মমতা চৌধুরী– আমার তো বিশ্বাস ই হচ্ছে না এসব।
রিদীমা– আমাদের সাথে এত এত বিশ্বাসঘাতকতা মানা যায় না।
শাহেদ– এক সেকেন্ড এক সেকেন্ড আরো আছে।উনি দেশের একজন কুখ্যাত ডায়মন্ড স্মাগলার।তার জন্য ওনাকে গ্রেপ্তার করার পারমিশন আছে আমাদের কাছে।
দেলোয়ার খান– কোনো প্রুভ আছে???
সুরাইয়া খান– না থাকলেও আমি দিব তোমার সকল অপকর্মের প্রমাণ।
দেলোয়ার খান চেঁচিয়ে উঠেন– সুরাইয়া!!??
আকাশ– চিৎকার করো না বাবা।তোমার এত এত অপকর্মের এতটুকু সাজা পাওয়া তোমার প্রাপ্য।
রবিন দুজন লোককে ইশারা করে– Arrest them…
সিনথিয়া,দেলোয়ার খান আর মারিয়াকে নিয়ে যাওয়া হল।সবাই এতক্ষণের ঘটে যাওয়া সকল ঘটনায় বিস্মিত।
ইসুয়া– সবই বুঝলাম। তবে শাহেদ ভাইয়া আর রবিনের ব্যাপার টা বুঝতে পারছি না এখনো।
রিদীমা হেসে– তোমার বর একজন মাফিয়া গ্যাং এর সভাপতি। ??
ইসুয়া– What????
স্বাদ– কি বলছিস??
রিদীমা– একদম ই তাই।
রবিন মুখ মলিন করে — মোটেও না। আমি আইনের লোক।??
রিদীমা– আমার সাথে মিথ্যা বলিস না। আমি আগে থেকেই সবটা জানি।
রবিন– তুমি ভুল ভাবছো।
রিদীমা শাহেদের দিকে তাকিয়ে– Am I right????
শাহেদ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। আমতা আমতা করে বললো– আসলে………..??
রিদীমা– মিথ্যা বলার চেষ্টা করিস না ভুলেও।তোর আর রবিনের যে কয়টা গ্যাং আছে এই শহরে সবকটার (ক-চন্দ্রবিন্দু) পর্যন্ত সব আমার জানা।
শাহেদ– রবিন কি আর করার বলে দাও।
রবিন চোখ দিয়ে ইশারা করে– আরে আপুনি! তুমি ভুল ভাবছো,,, আমি আর শাহেদ ভাইয়া একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করি।
রিদীমার কাছে আসতেই রবিনের কান চেপে ধরে রিদীমা।
রিদীমা– তাই না!! আমি জানি না ভেবেছিস? তোর মাফিয়া গ্যাং এক একটা অপরাধী ধরে সাজা দেয়।আর শাহেদ আইনের লোক হয়ে সেটাকে ধামাচাপা দেয়।
শাহেদ—-?????
রিদীমা শাহেদের দিকে তাকিয়ে–তোর লজ্জা করে না রে?? ওর সঙ্গ দিতে।
শাহেদ– ও মোটেও অপরাধ করছে না। ও শুধু অপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে।
রিদীমা– তাই বলে ধরা পড়লে নিজেকে স্পেশাল অফিসার বলে চালিয়ে দিচ্ছে। It’s not fear….
স্বাদ– বাব্বাহ কি বুদ্ধি!!???
রবিন—????
সবার এমনই আলোচনার মধ্যে নক পড়লো দরজায়। সবাই দরজায় তাকাতেই নয়নের দেখা মিললো,,
রিদীমা– আরে নয়ন!! আয় আয়।
নয়ন– কেমন আছেন আপু????
রিদীমা– এই তো ভালো।
দিতী বেগম– ইসুয়া চলো তো সবার জন্য খাবার সার্ভ করি টেবিলে। মেয়েটা এসেছে যাবত কিছু খায়নি।
ইসুয়া রবিনের দিকে একবার আড়চোখে তাকালো। রবিনের ও চোখে চোখ পড়ে যায়।
রবিন মনে মনে– তোর কপালে আজ অনেক দুঃখ আছে রে রবিন।??
ইসুয়া দিতী বেগমের দিকে তাকিয়ে– চলুন মা।
সবাই আড্ডায় ব্যস্ত হয়ে পড়তেই নয়ন এগিয়ে আসে রিদীমার কাছে।রিদীমা কপাল ভাঁজ করে তাকায়।
রিদীমা– কিছু বলবি??
নয়ন একটা কাগজের টুকরো এগিয়ে দিয়ে– সময় করে পড়ে নিও।??
রিদীমা হাত বাড়িয়ে কাগজটা নিলো।মনে তার হাজারো প্রশ্ন। কি লেখা আছে এই চিঠিতে??নয়ন অন্য কারো চোখে পড়ার আগেই রবিনের সাথে গিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠে।
_________________________(চলবে)