#Senior_life_partner
পর্ব——31
Afrin Ayoni
স্বাদ বাড়িতে ফিরেই মায়ের মুখোমুখি হলো।রেহানা বেগম ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো– এত সকাল সকাল কই গেলি?সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করেও খুঁজে পেলাম না তোকে!!
স্বাদ– তোমার বউমার সাথে breakfast টা করে এলাম, বুঝলে মা।
রেহানা বেগম– কি??? রিদীমাকে কোথায় পেলি তুই??
তারপর স্বাদ সবকিছু খুলে বললো মাকে।রেহানা বেগম তো বেজায় খুশি। রিদীমারা পাশের গলিতেই থাকে শুনে তিনি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন।
রেহানা বেগম — ??তোকে একা নিয়ে গেল?আমাকে নিলো না মেয়েটা??
স্বাদ– তোমার কথা অনেকবার জিজ্ঞেস করেছে,ঘুমিয়ে ছিলে তাই আর বিরক্ত করেনি।
রেহানা বেগম– বুঝি বুঝি এখন মাকে দুজনের মধ্যে কাবাব কা হাড্ডি মনে হচ্ছে।
স্বাদ— ওপপপ মা!!কিসব বলছো?? নাস্তা করেছো??
রেহানা বেগম– না, তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
স্বাদ– তুমি breakfast টা করে মেডিসিন গুলো ঠিক করে খেয়ে নিও…..
রেহানা বেগম– আচ্ছা।
স্বাদ অস্পষ্ট স্বরে গুনগুন করতে করতে উপরে উঠে গেল নিজের রুমের উদ্দেশ্যে। রেহানা বেগম যেন তার একমাত্র ছেলের ভিতরে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন।
ইসুয়া ছাদের এদিক সেদিক হাঁটাহাটি করছিলো।সময় যেন কাটছেই না।ফোন ও নেই হাতে।কি একটা বোরিং টাইম যাচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতেই ইসুয়া হঠাৎ গলা ছেড়ে গান ধরে হালকা সুরে……
“আমার একলা আকাশ থমকে গেছে
রাতের স্রোতে মিশে,,,,
শুধু তোমায় ভালবেসে!!
আমার দিনগুলো সব রঙ চিনেছে
তোমার কাছে এসে,,,,,
শুধু তোমায় ভালবেসে!!
তুমি চোখ মেললেই ফুল ফুটেছে,
আমার ছাদে এসে……
ভোরের শিশির খুব ছুঁয়ে যায়
তোমায় ভালবেসে……
আমার একলা আকাশ থমকে গেছে
রাতের স্রোতে মিশে
শুধু তোমায় ভালবেসে।।”
হঠাৎ সদর দরজায় কলিং বেল বাজলো।একবার দুবার তিনবার,,,, কিন্তু কেউ দরজা খুলছে না।ইসুয়া জলদি করে ছাদ থেকে নেমে আসে। ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দেয় ইসুয়া।
কুরিয়ার বয় — ইসুয়া চৌধুরী??
ইসুয়া– জ্বি …… কাকে চাই??
কুরিয়ার বয় একটা বক্স এগিয়ে দিয়ে বললো — এটা আপনার নামে এসেছে। এখানটায় সাইন করে দিন।
ইসুয়া অবাক হয়ে বাক্সটা হাতে নিল, তারপর স্বাক্ষর করে কুরিয়ার বয়কে বিদায় করলো।দরজা বন্ধ করে বক্স নিয়ে ফিরলো নিজের ঘরে।বেডের উপর বসে সে প্যাকেট টা খুলতে লাগলো।
বাক্সে একটা সিমকার্ড সহ আইফোন রয়েছে। মুহূর্তেই ইসুয়ার চোখে মুখে হাসির ঝিলিক খেলে গেল।কিন্তু পাঠালো কে?????
ইসুয়া বাক্সটা উপর নিচ করে উল্টে পাল্টে বার বার দেখতে লাগলো,তবে কারো নাম খুঁজে পেল না সে।বাক্স টা যেই ইসুয়া ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে যাবে তখনই বাক্সের এক কোণায় কিছু একটা লেখা রয়েছে দেখলো।
ভালো করে চোখ বুলিয়ে ইসুয়া দেখলো সেখানটায় খুব ছোট করে লেখা –“For Miss.অধ্যাপিকা”
ইসুয়া মুখ বেকিয়ে নিজে নিজে বিড়বিড় করে বলে– ইহ্ ডং কত??নিজে নিয়ে আসলেই তো পারতো।এভাবে দেওয়ার কি দরকার??
বেশিক্ষণ ভাবলো না আর ইসুয়া।ফোনটা চালু করে বাড়িতে মায়ের সাথে কথা বলে নিল।এই সময়টাতে তার বাবা অফিসে থাকে আর নিশুয়া তো স্কুলে। তাই তার মা এখন ফাঁকা বাড়িতে আছে।কল করে প্রায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে মায়ের সাথে কথা বলে নেয় ইসুয়া।
কথা বলা শেষ করে নিচে যায় ইসুয়া। রহিমা তখন ঘর মুছছিলো।আফজাল সাহেব আর সিনথিয়া ভার্সিটিতে গেছে।সুরাইয়া খান,দিতী বেগম আর দেলোয়ার খান কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছেন।রবিন রিদীমা তো অফিসেই।মমতা চৌধুরী উপরে তার নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছেন।বাড়িতে এখন ইসুয়া আর রহিমা ই আছে।ইসুয়া রহিমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে,,,
ইসুয়া– লাঞ্চ কখন রান্না হবে??
রহিমা — বাড়িত কেউ নাই ভাবীসাব,আমরা তিনজন আছি খালি।কালকের অনেকটা খাবার রইছে, আমগো তিনজনের হইয়া যাইবো।বাকিরা তো দুপুরে বাইরে খাইয়া আসবো।
ইসুয়া– আচ্ছা তাহলে তুমি লাঞ্চটা গরম করে রেখো।
রহিমা — আইচ্ছা ভাবীসাব।
ইসুয়া– ডিনারের ব্যবস্থা বিকেলে করলেই তো হবে নাকি??
রহিমা — জ্বি ভাবীসাব।
ইসুয়া– আচ্ছা আমি তাহলে উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু ঘুমোই….. অনেক ক্লান্ত লাগছে।??
ইসুয়া রহিমাকে কি কি করতে হবে বলে উপরে চলে যায়। মমতা চৌধুরীর রুমে উঁকি দিয়ে তিনি ঠিক আছে কিনা দেখে নিজের রুমে ফিরে আসে।
একটা পিংক কালারের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে যায়। ফ্রেশ হয়ে শাড়িটা পড়ে বেরিয়ে আসে… white কালারের ব্লাউজের সঙ্গে pink কালারের শাড়িটাতে ইসুয়াকে বেশ সুন্দর ই লাগছিলো।
ইসুয়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে শুয়ে পড়ে বিছানায়। ক্লান্তিতে চোখ দুটো লেগে আসে তার।
………………………………………………………..
রবিন কিছু ফাইল দেখছিলো।ছাত্র হিসেবে অনেক ভালো সে।প্রতিটা পরীক্ষায় ফলাফল ভয়াবহ রকমের ভালো তার।সেজন্য কোনো রকম সমস্যা হচ্ছে না রবিনের হিসাব নিকাশ করতে।বাকিটা যা বোঝানোর সেটা রিদীমা তাকে খুব ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছে।
হঠাৎ রবিনের ফোনটা বেজে উঠল, শুভ কল করেছে।রবিন কলটা ধরে — বল দোস্ত।
শুভ — Miss u দোস্ত। ??
রবিন– Same to u….
নয়ন চেঁচিয়ে– শালা হারামি exam তো সামনেই, exam এর পর ব্যবসায় বসলে কি হত??
রবিন– ভার্সিটিতে গিয়ে কি করবো বল??হুদাই আড্ডা ছাড়া কোনো কাজ আছে??
শুভ — শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করিস না শালা।বল ভার্সিটিতে যে ছিলো এখন সে চোখের সামনেই থাকে……তো এসে কি করবি??
রবিন– ফালতু কথা কম বল।??
নয়ন — তোকে ছাড়া ভাল লাগছে না দোস্ত।
রবিন– আমি তো পড়াশোনা ছেড়ে দেয়নি,, ভার্সিটি + ব্যবসা দুটোই করবো।
শুভ — এই শোন না!তোকে ছাড়া আমরা ভালো নেই।তুই রিদীমা আপুকে বলে আমাদের ও একটা কাজ বের করে দে।
নয়ন — great idea….??
রবিন কিছুক্ষণ ভেবে– আচ্ছা আপুকে বলে তোদের জানাবো আমি।
শুভ আর নয়ন একসঙ্গে বলে– Thnx দোস্ত ??
তুলি আর সিনথিয়া ক্যাম্পাসে বসে অন্য ক্লাসমেটদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো,,,,,
তুলি সিনথিয়ার দিকে তাকিয়ে– হ্যাঁ রে, সত্যি নাকি??রবিন ইসুয়া ম্যামকে বিয়ে করে নিলো??
সিনথিয়া– তুই এত জেনে কি করবি?পার্টি দিবি নাকি ওদের অনারে।??
তুলি মুখ কালো করে– এমনিতেই জিজ্ঞেস করলাম।রাগছিস কেন?
সিনথিয়া– রাগবো না!! এখন ঐ পেত্নিটা সারাদিন বাড়িতে আমার সামনেই থাকে তাও রবিনের আগে পিছে।ভাললাগে বল??
তুলি — তো কি আর করার আছে বল।
সিনথিয়া– করার তো অনেক কিছুই আছে।রিদীমা আপুর জন্য পারছি না।
তুলি — এই আমার মাথায় একটা প্ল্যান আছে,শুনবি??
সিনথিয়া– বল ! কি প্ল্যান??
তুলি আর সিনথিয়া নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ আলোচনা করে শয়তানি হাসি দিল।
সিনথিয়া– এবার বুঝবে মিস ইসুয়া তালুকদার, কত ধানে কত চাল!!????
বিকেল চারটা…………..
নিশুয়ার স্কুল ছুটি হয়েছে দশ মিনিট। পুরো স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বেরিয়ে গেলেও নিশুয়া একটা ক্লাসরুমের সামনে বিষণ্ণ মুখে বসেছিলো।বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে না তার।বারবার বোনের কথা মনে পড়ে।
শাহেদ আর বাকি টিচার রা অফিসরুমে তালা মেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নিশুয়াকে তাদের চোখে পড়ে।
শাহেদ এগিয়ে এসে– এই মেয়ে, বাড়িতে না গিয়ে এখানে বসে আছো কেন????
নিশুয়া শাহেদের কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। আমতা আমতা করে বললো– এমনিতেই। ???
শাহেদ– জলদি বাড়িতে ফিরো।কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা নেমে আসবে।
নিশুয়া উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলে– যাচ্ছি।
শাহেদ নিশুয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো। নিশুয়া ব্যাগ কাঁধে করে স্কুলের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল।
——————————————————
সিনথিয়া তার সাত আটজন মেয়ে ফ্রেন্ড নিয়ে বাড়িতে আসে।বাড়িতে তখনো দিতী বেগম আর সুরাইয়া খান ফিরেনি।ইসুয়া আর মমতা চৌধুরীই আছেন বাড়িতে।
সিনথিয়া– মা মা !!??
ইসুয়া সিনথিয়ার আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে আসে।
ইসুয়া– মা আর ফুপি বাড়িতে নেই।
সিনথিয়া মুখে শয়তানি হাসি দিয়ে মনে মনে বলে– সে তো আমি জেনেই এসেছি।??
কিন্তু ইসুয়ার সামনে মন খারাপ করে বান্ধবীদের দেখিয়ে বললো– ওহ্!আমি আরো ওদের নিয়ে আসলাম খাওয়াবো বলে…..
ইসুয়া হা করে চেয়ে রইলো।সিনথিয়া ইসুয়ার দিকে এগিয়ে এসে — তুমি একটা ব্যবস্থা করো না।
ইসুয়া– আমি!!??
সিনথিয়া– তুমি না এই বাড়ির বউ,তোমার দায়িত্ব নয় কি ওদের আপ্যায়ন করার??
সিনথিয়ার এমন ভালোমানুষির কথায় সন্দেহ হল ইসুয়ার।কাল অবধি আমাকে সহ্য করতে পারছে না, এখন আমাকে তেল দিচ্ছে!!কিছু তো গন্ডগোল আছে।
ইসুয়া– আচ্ছা, কি করতে হবে বল??☺☺
সিনথিয়া বান্ধবীদের দিকে তাকিয়ে– এই তোরা কে কি খাবি বল??
সিনথিয়ার friend রা একজন একজন করে অর্ডার করতে লাগলো — দুটো স্যান্ডউইচ, তিনটে বার্গার, নুডলস, পাস্তা,চিকেন বল, চিকেন স্টক, ভেজিটেবল স্যুপ।??
ইসুয়া রীতিমতো হা হয়ে গেছে। এত কিছু কখন করবে সে?? আর বাড়িতে সবকিছু আছে কিনা ওটাও জানা নেই তার।
ইসুয়া– এগুলো আমি কিভাবে ……..??
ইসুয়াকে আর কিছু বলতে দিলো না সিনথিয়া।
সিনথিয়া– মান সম্মানের ব্যপার, প্লিজ ম্যানেজ করো কোনো ভাবে।
ইসুয়াকে ঠেলে রান্নাঘরে পাঠিয়ে দিয়ে সবকটা বান্ধবী উচ্চ স্বরে হেসে উঠে। সিনথিয়া সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে — এবার বুঝবে মজা??
ইসুয়া রান্নাঘরে ঢুকে দিশাহীন হয়ে পড়ে।রহিমা রান্নাঘরে ঢুকে বলে — এগুলান সব আপনারে হেনস্থা করার ফন্দি ভাবীসাব!!??
ইসুয়া– সে তো বুঝতেই পারছি।
রহিমা — এখন কি করবেন??
ইসুয়া হেসে– আমাকে তো চেনেনি, এবার হবে যেমন কুকুর তেমন মুগুর ??
রহিমা — বুঝলাম না।
ইসুয়া– তোমাকে কিছু বুঝতে হবে না, আমি একটা লিস্ট দিচ্ছি তুমি সামনের কোনো রেস্টুরেন্ট থেকে এগুলো আনার ব্যবস্থা করো।
রহিমা — আইচ্ছা।
ইসুয়া একটা লিস্ট তৈরি করে টাকা দিয়ে রহিমাকে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে পাঠায়।এদিকে সিনথিয়া ইসুয়াকে ঠিকমতো হেনস্থা করতে পেরেছে ভেবে friend দের সাথে খুশি মনে আড্ডা দিতে থাকে।
আধঘন্টা পর একজন সিনথিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো– হ্যাঁ রে আর কতক্ষণ বসিয়ে রাখবি।হল ওদিকটা??
সিনথিয়া রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে চেঁচায়– হয়েছে সবকিছু????
ইসুয়া– আর পাঁচ মিনিট দাও।
সিনথিয়া– ওকে।
এবার ফিসফিসিয়ে তুলি বললো — এই সত্যি কি এই মহিলা সবকিছু করে ফেলেছে????
সিনথিয়া– কি জানি??করলেই কি আর না করলেই কি??
তুলি — মানে!!
সিনথিয়া– করতে পারলে আমরা খেয়ে দেয়ে পেট ভরাবো, আর বেচারি ভাবীজি খেটে মরলো।আর না পারলে সোজা কতগুলো শুনিয়ে দিব সবাই মিলে??
সবাই হা হা হা করে হেসে উঠলো।ঠিক পাঁচ মিনিট পর সত্যি সত্যি ইসুয়া রহিমাকে নিয়ে খাবার হাতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলো।সবাই অবাক হয়ে আছে।
ইসুয়া সবার সামনে খাবারের প্লেট গুলো রেখে– সবাই শুরু করুন প্লিজ।
সবাই ইসুয়ার কথা শুনে যে যেটার অর্ডার করেছে সে তার খাবার তুলে মুখে দিল। খাবারটা হাফ শেষ করার পর সবার পেটে মোচড় দিয়ে ওঠে।
তুলি — এই আমার পেটটা এভাবে ডাকছে কেন????
অন্য একজন — এই তমা তোদের বাড়ির ওয়াশরুম কোনদিকে??
আরেকজন — ঝাল ঝাল , কেউ পানি দে।??
অন্য সবার মধ্যে কেউ বমি করতে করতে অজ্ঞান আর কারো নাক কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
ইসুয়া অসহায় মুখে বলে — একি সবাই খাবারটা শেষ করুন,এভাবে এঁটো কেন করছেন??
ইসুয়ার কথা কারো কানে গেল বলে মনে হলো না। সবাই কোন রকম সিনথিয়া দের বাড়ি থেকে বিদায় নিলো।বেচারি সিনথিয়া, সে তো উঠতেই পারছে না। তার মাথায় চক্কর দিচ্ছে।সোফায় ই কাত হয়ে শুয়ে পড়েছে সে।
সবাই চলে যাওয়ার পর ইসুয়া আর রহিমা সবগুলো প্লেট নিয়ে কিচেনে ফিরে এলো,রহিমা হাসতে হাসতে শেষ।
রহিমা — ইউ আর জেনাস ভাবীসাব ??
ইসুয়া রহিমার দিকে তাকিয়ে– এটা জেনাস না, জিনিয়াস হবে????
রহিমা — হেই একই।
————————————————————-
চৌধুরী বাড়ির সকলে যে যার কাজ শেষ করে বাড়িতে আসে সন্ধ্যায়। ইসুয়া বারান্দায় বসে কফি খাচ্ছে।আর ফোন ঘাটছিলো।দরজা খোলার আওয়াজ পেতেই বারান্দার জানালা দিয়ে দেখলো কে এসেছে।
রবিন রুমে ঢুকে বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে পড়ে। গায়ে সারাদিনের পরিত্যক্ত ঘাম।ফ্রেশ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু শরীর যেন মানছে না। তারপর ও অলসতা দূরে সরিয়ে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে যায়।
ইসুয়া বারান্দা থেকে রুমে আসে।সবকিছু পরিষ্কার আছে কিনা দেখে।সবকিছু পরিপাটি, গোছানো আছে। তাই সে সোফায় বসে ফেসবুকে ঢুকে। রবিন ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে।একবার ইসুয়াকে আড়চোখে দেখে।তারপর চেঁচিয়ে রহিমাকে ডাকতে লাগলো,,,,
রবিন– রহিমা রহিমা ???
রহিমা দৌড়ে এসে উদয় হলো — জ্বি ভাইজান।
রবিন– এক কাপ চা নিয়ে আয় তো।
রহিমা — আনতেছি।
কথাটা বলেই রহিমা চলে গেল। রবিন বারান্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো।পিছন থেকে ইসুয়া বলে উঠলো ,,,
ইসুয়া– আমাকে বললেই পারতেন
রবিন– No need ….. Thnx??
ইসুয়া রবিনের কথায় চমকে উঠে। এ কেমন আচরণ??
রবিন বারান্দায় গিয়ে সন্ধ্যার আকাশ দেখতে থাকে।ইসুয়া ফোন স্ক্রল করছিলো।রহিমা চা নিয়ে রুমে ঢুকে।
রহিমা — ভাইজান আপনার চা।
রবিন– রেখে যা।
রহিমা চলে যায়। রবিন ফের বারান্দা থেকে ফিরে আসে।চায়ের কাপ হাতে তুলতে নিলেই গরম চা টা তার বুকের উপর পড়ে,,,,,
রবিন– আউচচচচ???
ইসুয়া দ্রুত এগিয়ে এসে– আরে ধীরে দেখে ??
রবিন তার বুকটা তোয়ালে দিয়ে মুছলো।ফর্সা বুকটা মূহুর্তের মধ্যে লাল হয়ে উঠে।ইসুয়া ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে এসে — দেখি দেখি??
রবিন ইসুয়ার থেকে দুহাত পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর বিছানার উপর রাখা শার্ট টা হাতে নিয়ে বাইরে চলে যায়।
ইসুয়া বিড়বিড় করে– যাহ্ বাবা,,, এমন করছে কেন??
________________________(চলবে)