Ragging To Loving ?part-21

0
940

? Ragging To Loving ?
Part:: 21
Writer:: Ridhira Noor

রিহান তিন দিন মিরাসরাই ছিল। তারা যেখানে যেত পুষ্পরাও প্লানিং করে সেখানে যেত। রিহানের সাথে সময় কাটাতে। তিন দিন পর বাড়ি ফিরে এলো। পুষ্প তার নানা বাড়ি গেলে মাস খানেক আগে ফিরে না কিন্তু এবার তিন দিন পর ফিরে এলো। সে রিহানকে ছাড়া আর এক মূহুর্তও থাকতে চাই না। পুষ্প রিহানের যোগাযোগ চলতে রইল। এভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেল। আজ তাদের রিলেশন এর দুই মাস তাই দুইজন মিলে ছোট একটা ডেইট প্লান করল। রিহান পুষ্পকে নিয়ে গেল তাদের ফার্ম হাউসে। দুইজন পুল সাইডে বসল।

রিহানঃঃ- জাফর চাচাকে বলে সব স্পেশাল আইটেম তৈরি করেছি তোমার জন্য। ওয়েট। (রিহান আর জাফর চাচা মিলে সব খাবার পুল সাইডে টেবিলে সাজালো।)

পুষ্পঃঃ- চকোলেট পেস্ট্রি! তোমাকে সেই কবে যেন একবার বলেছিলাম আমার নিজের মনে নেই কিন্তু তোমার মনে আছে। (পুষ্পর আনন্দে মাখা হাসি রিহান পরম সাচ্ছন্দ্যে দেখছে)

দুইজন অনেক্ষণ গল্প করল। একসাথে গার্ডেনে হাটছিল। হঠাৎ পুষ্প চিৎকার করল। রিহান সামনে তাকিয়ে দেখে রিহানের পালিত কুকুর ক্যাপ্সি জিব বের করে দাঁড়িয়ে আছে। পুষ্প ভয়ে রিহানের বুকে গুজে আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিহান তাকে কোলে নিল। পুষ্প কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে তাকিয়ে আছে। রিহান ক্যাপ্সির সামনে গিয়ে পুষ্পকে নিয়ে বসে আছে। পুষ্প রিহানকে ইচ্ছে মতো ঘুসি থাপ্পড় মারছে। রিহান পুষ্পকে নিয়ে পুল সাইডে গেল।

পুষ্পঃঃ- অসভ্য কোথাকার তুমি ভালো করে জানতে আমি কুকুর ভয় পায়।

রিহানঃঃ- সেই সুযোগে তোমাকে এত কাছে পেলাম।

পুষ্পঃঃ- আ…আমি ওয়াশরুম থেকে আসি। (লজ্জায় দিল দৌড়।)

রিহান পুষ্পর অপেক্ষা করছে হঠাৎ দেখে সাদিক ফাহাদ। রিহান অবাক হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

সাদিকঃঃ- মুখ বন্ধ কর। মশা ঢুকবে। আফরানকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তুই ভার্সিটি যাস নি। তুই হয়তো বাসায় নাহলে ভার্সিটি আর নাহলে ফার্ম হাউসে থাকিস। তাই তোকে খুঁজতে খুঁজতে চলে এলাম।

ফাহাদঃঃ- আমরা দুইজন ইন্ডিয়া চলে যাচ্ছি কালকে। ওখানে একটা বিজনেস করব। তাই তোর সাথে দেখা করতে আসলাম।

রিহানঃঃ- ওহ আচ্ছা। (তাদের সাথে কথা বলতে বলতে পুষ্পর কথা ভুলেই গেল।)

ফাহাদঃঃ- আচ্ছা ওই ফেইক রিলেশনের কি অবস্থা।

পুষ্প ওয়াশরুম থেকে এসে রিহানের কাছে যাচ্ছিল। ফাহাদের কথায় থমকে গেল।

রিহানঃঃ- আজ দুইমাস হলো রিলেশনের। সাদিকের বলাতেই ওর সাথে প্রথমে তার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করি। তারপর ফেইক রিলেশন শুরু করি। খুব বিরক্ত লাগতো ওর বকবক গুলো।

পুষ্প যেন ওর কানে বিশ্বাস করতে পারছে না। রিহান এতদিন সব মিথ্যা বলেছিল সব নাটক ছিল। ফেইক রিলেশন ছিল। চোখের জমাট পানি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। আর এক মূহুর্ত না থেকে পার্স মোবাইল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। ওর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। যেই ছেলে রাত জেগে কথা বলত একটু দেরি হলেই ফোনের পর ফোন দিত সব মিথ্যা ছিল মিথ্যা মিথ্যা।

রিহানঃঃ- তুই যখন বলেছিস তোর গার্লফ্রেন্ড তোকে ধোকা দিচ্ছে ফেইক আইডি ইউজ করে তখন ওর ফেইক আইডি দিয়েছিলি। এক সপ্তাহ তার সাথে কথা বলে খুব বিরক্ত লাগতো। কিন্তু যখন বললি সেটা ওর আইডি না তখন ভেবেছিলাম পুষ্পকে সরি বলে সব জানিয়ে দিব। কিন্তু পারলাম না। নিজের অজান্তে ওর বকবক গুলো আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। ভালবেসে ফেলেছিলাম ওকে। তাই ভেবেছি ফেইক দিয়ে শুরু করেছি কিন্তু ভাল তো সত্যি বাসি তাই আর বলিনি। এখন আমার মনে হয় ওকে সব জানিয়ে দেওয়া উচিৎ।

সাদিকঃঃ- অল থ্যাংকস টু মি। ওয়েট মিরাসরাই মেয়েটা কি সেই মেয়ে ছিল?

রিহানঃঃ- হ্যাঁ। আরে আমি তো ভুলে গিয়েছি পুষ্প এখানে আছে। তোদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। দাঁড়া। (রিহান সারা বাড়ি খুঁজে দেখল। কিন্তু পুষ্পকে পেল না। ফোন দিল ফোন বিজি। চোখ গেল গেইটের দিকে পুষ্প ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। তাই তার কাছে গেল।)
.
.
.
মুহিনঃঃ- বাহ্ গিয়ে তো ভুলেই গেলি আমাকে। আচ্ছা তো বল তোর বিএফের কি খবর। রিলেশন কেমন চলে মামা।

পুষ্পঃঃ- (এক তাচ্ছিল্য হাসি দিল) বিএফ? রিলেশন? আরে কিসে বিএফ কিসের রিলেশন? সব ফেইক ছিল ফেইক। শুরু থেকেই সব ফেইক ছিল। ফেইক রিলেশন ফেইক ভালবাসা। শুধু টাইমপাস ছিল টাইমপাশ। (প্রচন্ড রেগে বলল।)

রিহানঃঃ- (অবাক হয়ে সব শুনছে। সে ভেবেছিল হয়তো সে ভুল করেছিল। কিন্তু পুষ্প? সে? সে সব টাইমপাস করছিল? ভেবেছিলাম আমি ভুল করেছি কিন্তু তুমি শুরু থেকেই সব নাটক করছিলে। হাত পা কাঁপছে আর শুনতে পারছে না এসব। চলে গেল তৎক্ষনাৎ সেদিক থেকে।)

পুষ্পঃঃ- (অনেক্ষণ চুপ থেকে এবার শব্দ করে কেঁদে উঠলো) স…সব মি…মিথ্যা ছিল। সব নাটক কর….করছিল। অনেক ভালবেসে ছিলাম রিহানকে। অনেক বিশ্বাস করেছিলাম। সব ভেঙে চুরমার করে দিল। আম…. আমি….. (কান্নার জন্য কথা বলতে না পেরে ফোন কেটে দিল)

রিহান শাওয়ার করে দাঁড়িয়ে আছে। পুষ্প কিভাবে পারল এমন করতে। ভুল বোঝাবুঝিতে সব শেষ হয়ে গেল। ভুল বুঝাবুঝি একটি সুন্দর সম্পর্ক মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে। পুষ্প বাসায় গিয়ে বাথরুমে বন্দী হয়ে শাওয়ারের নিচে হাটু ভাজ করে বসে পড়ল।

বর্তমানে ______________________

পুষ্পঃঃ- সেই দিনও ঠিক এভাবে কেঁদে ছিলাম। কেন করলে এমন? কেন? আমি মাফ করব না তোমাকে। কখনো না। আই জাস্ট হেইট ইউ।

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here