- ? Ragging To Loving ?
Part:: 43
Writer:: Ridhira Noorনূর বাইরে দরজা থেকে উঁকি মেরে দেখছে মায়মুনা আছে কিনা। সবাই নিজ নিজ কাজে লেগে পড়েছে। মায়মুনা হলুদে মাখা মুখ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। এই সুযোগে নূর বিজয়ী হাসি দিয়ে কোমর দুলিয়ে টিড়িং টিড়িং করে ভেতরে এলো। নূর সিড়ি বেয়ে তার রুমে যাচ্ছে হাত ধুতে। মায়মুনাকে হলুদ লাগাতে গিয়ে তার পুরো হাত হলুদে ভরে গেল। নূর হাত ঝেড়ে ঝেড়ে হাটছে। অপর পাশ থেকে সোহেল মোবাইল টিপতে টিপতে হাটছে। দুজনেরই সামনে দিকে খেয়াল নেই। দুজনেই মুখোমুখি হতেই কেউ একজন হেচকা টান দিয়ে নূরকে পাশের রুমে নিয়ে গেল। আচমকা ঘটনায় সোহেলের কিছু একটা অনুভব হলো। সোহেল আশেপাশে তাকিয়ে গোল হয়ে ঘুরলো।
সোহেলঃঃ- কি হলো এইমাত্র? মনে হলো যেন কিছু একটা দ্রুত বেগে সামনে থেকে অতিক্রম করল। কিন্তু আশেপাশে তো কেউ নেই। হয়তো আমারই মনের ভুল। (আবারও ফোন টিপতে টিপতে চলে গেল।)
আচমকা টানে নূর ভয় পেয়ে যায়। যেই না জোরে চিৎকার দিবে সামনের জন তার মুখ চেপে ধরে দেয়ালে ঘেষে ধরল। ভয়ে নূর চোখ বন্ধ করে হাত দিয়ে সামনের জনের জামা খামচে ধরে। জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ফোঁপাতে লাগলো। মনে হচ্ছে যেন এক্ষুনি দম আটকে মরে যাবে। ভয়ে নূর পিটপিট করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে আফরান। তাদের দুজনের মাঝে দেয়াল হিসেবে শুধু আফরানের হাত আছে। আফরান নূরের চেয়ে লম্বা হওয়ায় নূর মাথা উপুড় হয়ে তাকিয়ে আছে। আফরানের চোখ দুটো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। চোখে মুখে রাগের চাপ। গরম নিশ্বাস ছাড়ছে। ঠিক যেন ড্রাগন। ভয়ে নূরের গলা শুকিয়ে গেছে। মুখ চেপে ধরায় শ্বাস নিতে পারছে। ফলে আফরানের শার্ট শক্ত করে আঁকড়ে ধরে। সাদা শার্ট হলুদে ভরে গেল। ঘটনার তৎপরতা বুঝতে পেরে আফরান নূরের মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেই। কিন্তু দূরত্ব এখনো কমে নি।
নূরঃঃ- এক মিনিট দাঁড়ান। আমি দা, বটি, ছুরি, তলোয়ার কিছু একটা নিয়ে আসি। পুরো হাতটাই কেটে আপনাকে দিয়ে দিব। তারপর আরাম সে বুকের সাথে বেঁধে রাখেন। (শান্ত হয়ে বলল) শুধু বারবার হাত একটা টেনে নিয়ে যাবে। এতই যদি পছন্দ হয় আমার হাত একেবারে কেটে দিয়ে দেয়। (রেগে)
আফরানঃঃ- চুপ। একদম চুপ। সবসময় শুধু খিটখিট খিটখিট কর। (ধমক দিয়ে)
একে তো আফরান এতটা কাছে তারপর উপর চিল্লিয়ে ধমক দেওয়ায় নূরের শিরা, উপশিরা, ধমনী, নাড়িবুড়ি, হৃৎপিণ্ড, কিডনি সব কেঁপে উঠল। ভয়ে দেয়ালের সাথে একেবারে মিশে গেল। পারছে না দেয়াল ভেঙে পিছন থেকে দৌড় দিতে।
নূরঃঃ- (এই খাচ্চোরের আবার কি হলো? হুদাই ষাড়ের মতো চিল্লাছে কেন? উরিম্মা সাদা চামড়া দেখে কোন ভূত পেত্নী ভর করল না কি? চোখ বড় বড় করে তাকাল। নূর তুই অনেক সাহসী। এসব ভূত টুত তোর কিছু করতে পারবে। তোর কামাল দেখাতে হবে এই ভূতকে।) এক মিনিট। (সিরিয়াস একটা মুড নিল।) পালা নূর। (আফরানের হাত ফাঁকা করে যেই না দৌড় দিল আফরান হাত ধরে টান দিয়ে আবারও দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নিল।)
আফরানঃঃ- কোথাও যাবে না তুমি। যেতে দিব না তোমাকে। যে চলে গিয়েছে তাকে আটকাতে পারিনি। এখন আর কেউ যাবে না। আর কাউকে যেতে দিব না। কোথাও যাবে না। যাবে না তুমি। যাবে না। (রেগে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এদিকে ভয়ে নূরের জান পরাণ বেরিয়ে যাচ্ছে। আফরানকে এতটা রাগে কখনো দেখেনি। আফরানের চোখ কেমন যেন হয়ে আছে। চোখ টলমল করছে। মনের কষ্টগুলো চোখে প্রকাশ পাচ্ছে। মনের অজানা ভয় করছে। মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলার ভয়। যেটা নূর তার চোখে তাকিয়ে বুঝতে পারছে।)
নূরঃঃ- কেন যাব না? কোন অধিকারে যাব না আমি। না গিয়ে তো উপায় নেই। কারণ থাকার অধিকারটা যে আমার নেই। (অভিমানী সূরে)
হঠাৎই আফরানের চোখের কোণে বেয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। আঘাতে তো পাথরও ভেঙে যায়। এটা তো মন। মনের আঘাতে অশ্রু বাঁধা মানে নাকি? আফরানের অশ্রু বিন্দু হয়ে পড়ল নূরের গালে। নূর হচকিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল। নূর হাত দিয়ে গাল মুছে সামনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। পুরো রুমে খুঁজে দেখল কিন্তু আফরানকে পেল না।
নূরঃঃ- মাত্রই কি ঘটলো! (অবাক হয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। যে হাতে গাল মুছলো। ভাবনায় ছেদ পড়ল সিমার ডাকে।)
সিমাঃঃ- কিরে তুই স্টোর রুমে কি করছিস?
নূরঃঃ- স্টোর রুম? (অবাক হয়ে চারপাশে তাকিয়ে দেখে আশেপাশে সব ডেকোরেশন সরঞ্জাম।) ও… আমি… মায়মুনার থেকে লুকিয়ে আছি। তুই কি করছিস?
সিমাঃঃ- ফুল নিতে এলাম। ডেকোরেশনে লাগবে তাই। মায়মুনা ওর রুমে এবার তুই চলে আয়। (ফুলের ঝুড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল।)
.
.
আফরান তার রুমে প্রবেশ করে সোজা গেল ওয়াশরুমে। বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ আয়নায় তাকিয়ে ছিল। পানির কল ছেড়ে মুখে অবিরাম পানির ঝাপটা দিচ্ছে। একসময় ক্লান্ত হয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।আফরানঃঃ- একটু আগে আমি কি করে এলাম? নূরকে ওসব কেন বললাম আমি? কেন নূরকে অন্য কারো সাথে ভাবতে পারছি না? কেন? কেন বারবার শুধু ওকে নিজের কাছে রাখতে চাই? আগলে রাখতে চাই যাতে কেউ নিয়ে না যায়। নূর আর সোহেলকে একসাথে দেখে কেন বুকে ব্যাথা করছিলো? সোহেলের যাওয়াতে যতটা না কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে এটা ভেবে যে নূর অন্য কারো সাথে…. আহহহ (নিজের চুল মুটি ধরে টানছে।)
নিজেকে শান্ত করে নিল। আয়নায় তাকিয়ে দেখে তার শার্টে হলদে হয়ে আছে। হাত দিয়ে দেখে হলুদ। একটু আগে নূরের সাথে ঘটনা মনে পড়ে গেল। শার্টের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে মুচকি হাসলো। পরক্ষণে আবার চিন্তায় পড়ে গেল। কি হচ্ছে এসব তা ভেবে কুল পাচ্ছে না।
সন্ধ্যায় ___________________________
নিহাল হলুদ পাঞ্জাবি সাদা চুড়িদার পরল। পাঞ্জাবির হাতা ভাজ করে কুনুই পর্যন্ত দিল। মায়মুনাকে বাঙালি স্টাইলে হলুদ শাড়ি পরানো হলো। গায়ে আর্টিফিশিয়াল ফুলের গহনা পরল। দুইজনকে পাশাপাশি দুইটা পিরিতে বসানো হলো। নিহালের মা এসে নিহালের গালে, হাতে হলুদ লাগিয়ে দিল। আফরানের মা আর রিহানের মা এসে দুইদিক থেকে মায়মুনাকে হলুদ লাগিয়ে দিল। একে একে সবাই এসে তাদের হলুদ লাগিয়ে দিল।নূরঃঃ- আমি তো সকালেই হলুদ লাগিয়ে দিয়েছি। এখন আর না লাগালেও চলবে। (হেসে দিল)
মায়মুনাঃঃ- অসভ্য মাইয়া কোথাকার।
নূর হেসে মায়মুনার গালে হলুদ লাগিয়ে দিল। হলুদ লাগিয়ে উঠে যেতেই হুট করে আফরান নূরের সামনে চলে আসে। সকালের ঘটনায় লজ্জা পেয়ে চলে যেতেই আফরান থামিয়ে দেয়।
আফরানঃঃ- নূর? আই এম সরি। সকালে না জানি কেন এমন করলাম। রাগের চোটে কি করি মাথায় থাকে না।
নূরঃঃ- রাগ? কিসের রাগ?
আফরানঃঃ- (কি করে বলব কিসের রাগ। কি করে বলব যে তোমাকে আর সোহেলকে একসাথে দেখে রাগ হয়েছিল। আমি নিজেও জানি না কেন রাগ হলো।) জানা নেই। (বলেই চলে গেল। কারণ নূরের প্রশ্নের উত্তর তার কাছে নেই।)
নূরঃঃ- আজব প্রানী তো। রাগ করেছেন কিন্তু কিসের রাগ জানা নেই। আর রাগ ঝাড়ার জন্য আমাকেই পেয়েছে? (রেগে)
.
.
সিমা আমরিন পুষ্প আলিফা মেহের একে একে সবাই মায়মুনাকে হলুদ লাগিয়ে দিল। মেহের পাশে তাকিয়ে দেখে ইয়াশ একটি মেয়ের ফটো তুলছে। মেয়েটিও ইয়াশের গা ঘেঁষে এসে বারবার ক্যামেরায় ছবি দেখছে। মেহের রেগে উঠে গিয়ে ইয়াশের হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো। ইয়াশ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে। কি হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছে না। একপাশে নিয়ে এসে দাঁড় করালো।মেহেরঃঃ- কি সমস্যা তোমার? মেয়েদের এতো ছবি তুলো কেন? আর ছবি তুললেও এভাবে গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর কি আছে? (ইয়াশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে)
ইয়াশঃঃ- আরে আজব তো। সে ছবি তুলতে বলল তাই তুললাম। আর আমি কোথায় গা ঘেঁষে দাড়ালাম। সেই তো গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছিল।
মেহেরঃঃ- সে দাঁড়াচ্ছিল তুমি দূর হতে পারনি?
ইয়াশঃঃ- না পারিনি। আর দাঁড়ালেই বা কি?
মেহেরঃঃ- দাঁড়ালেই বা কি মানে? জানো না কি? কষ্ট হয় আমার যখন অন্য কোন মেয়ে তোমার এতটা কাছে আসে। আমি সহ্য করতে পারি না কোন মেয়ে তোমার আশেপাশে আসুক।
ইয়াশঃঃ- কেন? (অবাক হয়ে)
মেহেরঃঃ- বিকজ আই লাভ ইউ। ভালবাসি তোমায়। তাই ভয় করে তোমাকে হারানোর। (বলে কেঁদে দিল)
ইয়াশঃঃ- (মেহেরকে জড়িয়ে ধরল) আই লাভ ইউ টু। তোমার মুখ থেকে কথাটা বের করানোর জন্য ওই মেয়েটার সাথে এমন করছিলাম।
মেহেরঃঃ- (দিল ইয়াশের পেটে ঘুসি) তার মানে আমাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে তোমার।
ইয়াশঃঃ- না। তোমাকে কাছে পেতে ভালো লাগে। যদি এমন না করতাম তাহলে তুমি নিজ থেকে কনফেস করতে না। (মেহের কেঁদে ইয়াশকে জড়িয়ে ধরল। ইয়াশও আলতো করে জড়িয়ে ধরল)
আলিফা মেহেরকে খুঁজতে গিয়ে ইয়াশ আর মেহেরকে একসাথে দেখে মুচকি হাসলো।
আলিফাঃঃ- (তুই অনেক লাকি রে মেহের। নিজের ভালবাসাকে নিজের করে পেলি। আজীবন যাতে একসাথে থাকিস দোয়া করি।)
আলিফা সামনে তাকিয়ে দেখে অপরপাশ থেকে আরিফও তাদের দেখে মুচকি হাসছে। দুজনের চোখাচোখি হতেই আলিফা চলে গেল। আরিফ হতভাগ হয়ে তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে। এটা ঘটনা শুধু এখন না প্রায় কয়েকদিন ধরে এমন করছে আলিফা। আরিফ আসলেই তাকে এড়িয়ে চলে। অনেক সময় এমন হয় সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে। তাদের মাঝে আরিফ এলে সে কোন না কোন বাহানা দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। কারণ আরিফকে দেখলে তার ভীষণ কষ্ট হয়। ভালবেসে ভালবাসার মানুষটিকে না পাওয়ার কষ্ট। আরিফও মাথা নিচু করে চলে গেল।
.
.
ফোনে কথা বলতে বলতে আফরান বাইরে চলে এলো।আফরানঃঃ- জ্বি। না না ইটস ওকে। আমার বোনের বিয়ের আয়োজনে ডিলটা আটকে আছে। আর দুইদিন পরই আমরা ফিরে আসব। জ্বি ঠিক আছে।
কথা বলে ফোন রেখে দেয়। যেই না পিছন ফিরে চলে আসবে কান্না সুরে একটি মেয়েলি কণ্ঠ ভেসে এলো। কাছে গিয়ে দেখে পান্নার বান্ধবী রিতা কাঁদছে। আফরানকে দেখে রিতা তড়িঘড়ি ফোন কেটে চোখের পানি মুছে নিল।
আফরানঃঃ- কি হলো কাঁদছ কেন তুমি? (রিতা কিছু বলছে না। চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে) দেখ তুমি চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি।
রিতাঃঃ- (কেঁদে দিল) আমি একজনকে ভালবাসি। সেও আমাকে ভালবাসে। আমরা বিয়ে করতে চাই। কিন্তু আমার পরিবার থেকে মেনে নিচ্ছে না। কারণ তার কোন চাকরি নেই। সে অনেক জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়েছে কিন্তু তারা ঘুষ ছাড়া চাকরি দিচ্ছে না।
আফরানঃঃ- ডোন্ট ওয়ারি। অপেক্ষা কর। সঠিক সময়ে চাকরি পেয়ে যাবে।
রিতাঃঃ- অপেক্ষাই তো করতে পারব না। সময় যে নেই আমার কাছে।
আফরানঃঃ- মানে?
রিতাঃঃ- আ…আমি প্রেগন্যান্ট। তাই যা করার এই মাসের মধ্যেই করতে হবে। আমি বুঝতে পারছি না কি করব।
আফরান কিছুক্ষণ চিন্তা করল।
আফরানঃঃ- আমার অফিসে একটি পোস্ট খালি আছে। চাইলে সে চাকরি করতে পারে। (খুশির ঝলক রিতার চেহারায় ফুটে উঠেছে) কিন্তু… চাকরি তো দিচ্ছি। চাকরিতে ঠিকে থাকার দায়িত্ব তার। তার কাজের উপর ভিত্তি করেই তাকে পার্মানেন্টলি রাখব।
রিতাঃঃ- থ্যাংক ইউ। থ্যাংক ইউ সো মাচ আফরান। আমি তোমার এই উপকারিতা কখনো ভুলতে পারব না।
আফরানঃঃ- ইটস ওকে। (মুচকি হেসে)
রিতাঃঃ- আফরান তোমাকে কিছু বলার আছে। সো….
পান্নাঃঃ- আরে তোমরা এখানে কি করছ?
পান্নাকে দেখে রিতা হচকিয়ে গেল।
রিতাঃঃ- আসলে ভেতরে চেচামেচিতে আমার মাথা ধরে গিয়েছিল তাই বাইরে এলাম। এরই মাঝে আফরান এলো আর আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি বাইরে কেন? (আফরানকে ইশারা করল যাতে সে পান্নাকে কিছু না বলে।)
পান্নাঃঃ- ওহ আচ্ছা। তো চল ভেতরে। অনুষ্ঠান তো প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তারা ভেতরে গেল। হলুদ অনুষ্ঠান যথাযথ ভাবে সম্পন্ন হলো।
.
.
.চলবে