? Ragging To Loving ?
Part:: 29
Writer:: Ridhira Noor
নূর মুখ ফিরিয়ে এক তাচ্ছিল্য হাসি দিল। আফরান এই পিছনের রহস্য জানার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। নূর আঙুলের ডগা দিয়ে চোখের কোণে জমে থাকা জল গড়িয়ে পড়ার আগেই মুছে নিল।
নূরঃঃ- জরুরি নয় যে সবসময় হাসি খুশি থাকে আনন্দে থাকে সে মন থেকে খুশি আছে আনন্দে আছে। এই হাসি এই আনন্দ এটা একটা মুখোশ। এই মুখোশ দিয়ে মানুষ তার মনের মধ্যে থাকা দুঃখ কষ্ট লুকিয়ে রাখে। যারা সবার সামনে হাসি খুশি থাকে আড়ালে তারাই লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে। যারা সবাইকে দেখায় সে অনেক খুশি আনন্দে আছে তারাই সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। (খুব শান্ত আর ধীর গলায় বলল)
আফরানঃঃ- (এক বাঁকা হাসি দিল) সেটা আমার চেয়ে ভালো আর কে জানবে।
নূরঃঃ- (অবাক হয়ে তাকাল) আপনার আবার কিসের কষ্ট? (আফরান কিছু বলছে না। নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নূর বুঝতে পারল সে হয়তো বলতে চাইছে না তাই আর কথা বাড়ালো না। সেও নিরবে দাঁড়িয়ে আছে।)
আফরানঃঃ- সোহেলকে চেনো? আমাদের ভার্সিটির।
নূরঃঃ- আপনার শত্রু।
আফরানঃঃ- (দীর্ঘ শ্বাস নিল) আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
নূরঃঃ- (অবাকের উপর অবাক হচ্ছে।) বেস্ট ফ্রেন্ড?
আফরানঃঃ- আমার ছোট বেলার বন্ধু। সোহেলের বাবা আমার বাবার কোম্পানির ম্যানেজার। সোহেল জন্মের আগ থেকেই তিনি আমাদের কোম্পানিতে চাকরি করেন। সোহেল আমার থেকে নয় দিনের বড়। আর আমি রিহানের এক মাসের বড়। আমরা তিনজন একসাথে খেলাধুলা করে বড় হয়েছি। আমি তো বেশির ভাগ সময় মিষ্টি মা মানে সোহেলের মায়ের কাছে থাকতাম। আর সোহেল আমার মায়ের কাছে থাকত। আমার কাপড় থেকে শুরু করে খেলনা খাবার সবকিছু তার সাথে শেয়ার করতাম। মা কোন জামা কাপড় কিনলে একই রকম দেখতে তিনটা কিনত। রিহান সোহেল আর আমার জন্য। রিহানের অন্য রঙের হত কিন্তু আমার আর সোহেলের একদম সেম টু সেম থাকতে হতো। নাহলে পরতাম না। মাঝে মাঝে অনেকে আমাদের জমজ ভাইও বলত। রিহান আমার ভাই আর সোহেল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু রিহানের চেয়ে সোহেলের প্রাধান্য আমার কাছে বেশি ছিল। এতে মাঝে মাঝে রিহান মন খারাপ করত। কিন্তু সে জানে সোহেল আমার কাছে কি। আমার বাকি বন্ধুরাও আমাদের দেখে জেলাস হতো। আহিল ইয়াশ ওরা খোঁচা দিত কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। বন্ধু কম ভাই ছিল। (হঠাৎ আফরান খিলখিল করে হেসে উঠল) তোমাকে একটা কাহিনি বলি। ভার্সিটিতে আমাদের কাদা ফাইট মনে আছে? ছোট বেলায় আমি রিহান সোহেল আমরা ফুটবল খেলে কাদায় মাখামাখি হয়ে এসেছিলাম। মিষ্টি মা সেই কি দৌড়ানি না দিল। সন্ধ্যা হওয়া অবধি আমাদের বাইরে সেই কাদা অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিল।
আফরান খিলখিল করে হাসছে আর নূর মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখছে। হাসলে তার চোখ ছোট হয়ে যায়। দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। কিন্তু নূরের মনে প্রশ্ন ঘুরছে। তাদের বন্ধুত্ব এত সুন্দর এত অটুট হলে কিভাবে ফাটল ধরল তাদের বন্ধুত্বে। হাসতে হাসতে হঠাৎ থেমে গেল। এক ধ্যানে অন্য প্রান্তে থাকিয়ে আছে উদ্দেশ্যহীন ভাবে। গভীরভাবে নিশ্বাস নিয়ে মৃদু হাসল।
আফরানঃঃ- বলে না শক্ত জিনিসে সামান্য আঘাত লাগলে ফাটল ধরে। ঠিক তেমনই আমাদের এই শক্ত বন্ধনে ফাটল ধরল। আমরা ভার্সিটি পর্যন্ত একসাথে ছিলাম। প্রথম পাঁচ খুব মজ মাস্তিতে কাঁটালাম। কিন্তু না জানি হঠাৎ আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে লাগলো। সেদিন আমাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ছিল। সোহেল তার অ্যাসাইনমেন্ট আনে নি। তাই আমি আমারটা তাকে দিলাম। আমি যেহেতু ভার্সিটির ট্রাস্টির ছেলে ছিলাম আমি জমা না দিলে কিছু বলত না। কিন্তু সোহেল…..
[[[[ সোহেলঃঃ- এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে। আমার আর তোর দয়ার প্রয়োজন নেই। ছোট বেলা থেকেই অনেক দয়া করেছিস। তোর দয়াকে আমাদের বন্ধুত্ব মনে করেছিলাম। তোর দেওয়া ফেলনা পুরোনো জিনিসগুলোকে তোর দেওয়া উপহার মনে করেছিলাম। কিন্তু সেসব ছিল আমার প্রতি তোর দয়া। কারণ আমার বাবা তোর বাবার কোম্পানির একজন সামান্য কর্মকর্তা। তাই আমাকে দান করেছিস। আমার কারো দয়া দানের প্রয়োজন নেই।
আফরান শুধু অবাক হয়ে তার কথাগুলো শুনছে। কি বলছে সোহেল এসব। দয়া দান ফেলনা?
রিহানঃঃ- কি বলছিস তুই এসব? তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি?
সোহেলঃঃ- না মাথা ঠিক হয়েছে। এতদিন মাথা খারাপ ছিল। কিন্তু আর না।
সোহেল রেগে চলে গেল। আফরান সেই ঠাই হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেদিনের পর থেকে আফরান কেমন যেন হয়ে গেল। অন্যমনস্ক, একা থাকা, হাসি ছিল কৃত্রিম হাসি। সবার সামনে ভালো থাকার চেষ্টা করলেও একাকিত্বে সেই স্মৃতি ভেসে উঠে। ]]]]
আফরানঃঃ- কিন্তু বিশ্বাস কর আমার এমন কিছু ছিল না। আমি মন থেকে ওকে ভাই মানতাম। এসব দয়া, দান, ফেলনা এসব চিন্তা কখনো আমার মাথায়ই আসে নি। না জানি সোহেল কি ভেবে এসব বলল।
নূরঃঃ- আপনি কখনো চেষ্টা করেন নি তার সাথে কথা বলতে।
আফরানঃঃ- চেষ্টা? দিনরাত ওর পিছে পিছে ঘুরতাম যাতে শুধু একটিবার কথা বলে। কিন্তু সে এড়িয়ে যেত। মিষ্টি মার কাছে গেলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত। তারপর থেকে ওর শুধু একটা উদ্দেশ্য ছিল আমাকে প্রতিটা পদে পদে হারানো। সবসময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সাথে প্রতিযোগিতা করত। যাতে সে আমাকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখাতে পারে। প্রথম প্রথম আমি ওর কাছে হেসে যেতাম। যাতে সে খুশি থাকে। কিন্তু পরে যখন সীমা পেরিয়ে গেল আমিও ওর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালাম। কিন্তু কখনো তার ক্ষতি চাই নি। সবার সাথে দুষ্টুমি হাসি ঠাট্টা করি। কিন্তু আড়ালে যে আমিও কষ্ট পায়। এত বছরের বন্ধুত্ব এভাবে নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি।
নূরঃঃ- হুম।
আফরানঃঃ- তুমি তো বুঝবে আপনাজন হারানোর কষ্ট।
নূরঃঃ- হুম। (কিছুক্ষণ চিন্তা করে তড়িঘড়ি তার দিকে তাকাল) ওয়েট ওয়েট ওয়েট। ওয়েট এ মিনিট। আপনি কি করে জানলেন আমি আপনজনকে হারিয়েছি? পুষ্প? পুষ্প বলেছে তাই না?
আফরানঃঃ- দেখ ওর কোন দোষ নেই। আমিই ওকে জোর করেছিলাম বলার জন্য।
নূরঃঃ- এজন্য আপনি এখানে এসেছেন। আমার প্রতি দরদ দেখাতে। ভেবেছিলাম হয়তো নিজের ব্যবহারে অনুতপ্ত হয়ে এসেছেন। কিন্তু না। আমার কারো সিম্পাতির প্রয়োজন নেই। আমার মনোবল যথেষ্ট শক্ত আছে। নিজেকে সামলে নিতে পারি। কারো সো কলড দয়া লাগবে না আমার।
আফরানঃঃ- নূর তুমি ভুল বুঝছ।
নূরঃঃ- অনেক বুঝেছি আর না।
রেগে হনহনিয়ে চলে গেল। আফরানও তার পিছে পিছে গেল। গেইটের বাইরে গিয়ে নূর ফুটপাতে হাটছে আর আফরান তাকে থামানোর যথাযথ চেষ্টা করছে। রাগে নূর কিছু চিন্তা করতে পারছে না।
নূরঃঃ- (সম্পূর্ণ না ঘুরে শুধু ঘাড় ফিরালো) দেখুন আমার পিছে আসা বন্ধ করুন। আমি কিছু শুনতে চাই না। চলে…. আহহহ (পিছন ফিরে হাটাই সামনে কারো সাথে ধাক্কা লাগলো। তাকিয়ে দেখে দুইজন মধ্যবয়স্ক লোক। দেখে মনে হচ্ছে স্বামী স্ত্রী।) সরি আন্টি। (এরই মধ্যে আফরান এলো।)
আফরানঃঃ- নূর কথা তো শোন।
নূরঃঃ- আমি কোন কথা শুনতে চাই না।
আন্টিঃঃ- (তাদের দেখে মুচকি হাসছে) কি হয়েছে মা? স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়েছে বুঝি?
নূরঃঃ- (চোখ বড় বড় করে তাকাল) স্বামী? না আপনি ভুল বুঝছেন। উনি আমার স্বামী নন। (দাঁতে দাঁত চেপে আফরানের দিকে তাকিয়ে বলল।)
আন্টিঃঃ- হুম বুঝছি। নিশ্চয় অনেক বড় কান্ড পাকিয়েছে। তাই এখন স্বামী মানতে অস্বীকার করছ।
নূরঃঃ- আরে বললাম তো উনি আমার স্বামী নন। (বলে সেদিক থেকে চলে এলো। আবার দু পা পিছিয়ে আন্টির সামনে দাঁড়ালো) সরি আন্টি এভাবে বললাম। আসলে রাগের মাথায় কি বলি জানি না। উনার উপর রাগ ছিল সব আপনার উপর ঝেড়ে দিলাম। সরি।
আন্টিঃঃ- (নূরের গালে হাত দিয়ে) ইটস ওকে মা। (কানে কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগলো) শোন স্বামীকে কন্ট্রোল করতে মাঝে মাঝে এভাবে ঝগড়া অভিমান করতে হয়। না হলে হাত থেকে বেরিয়ে যায়। যত ঝগড়া করবে তোমার কদর তত বাড়বে। (নূর অবাক হয়ে শুনছে। বলার মতো কিছু পাচ্ছে না।)
আংকেলঃঃ- এই কি বললে তুমি ওকে?
আন্টিঃঃ- বৈবাহিক দাম্পত্য জীবন সুখী করার টিপস্ দিচ্ছিলাম।
লজ্জায় নূর মাথা নিচু করে চলে গেল।
আফরানঃঃ- সরি আংকেল আন্টি। ওর হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। আসলে আমার উপর রেগে আছে তো তাই সব রাগ আপনাদের উপর দিয়ে গেল।
আংকেলঃঃ- (আফরানের কাঁধে হাত দিয়ে) ইটস ওকে ইয়াং ম্যান। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন ঝগড়া অভিমান চলতে থাকে। এই যে তোমার আন্টি। বিয়ের ২৭ বছর হয়ে গেল। কিন্তু ঝগড়া করা গেল না। এই দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি সম্পর্ককে সুন্দর করে। (কানে কানে বলল) শোন তোমাকে টিপস্ দেয় রাগ ভাঙানোর। ___________।
আফরানঃঃ- আরে না আপনারা যা ভাবছেন আমরা তা না। (নূরের পিছনে গিয়ে আবারও ফিরে এলো। বাই দ্যা ওয়ে থ্যাংকস আংকেল। বুদ্ধিটা নিশ্চয় কাজে লাগবে। (আবারও দৌড় দিল)
আন্টিঃঃ- এই তুমি ওকে কি বললে?
আংকেলঃঃ- আমিও টিপস্ দিচ্ছিলাম কিভাবে বউকে খুশি করবে।
আংকেল আন্টি দুজনেই হেসে দিল। আফরান গিয়ে দেখে নূর রিকশা নিয়ে চলে গেল। তাই সেও উদাস হয়ে ফিরে এলো। নূর প্রচন্ড রেগে আছে। কিন্তু রাগার কারণ তার নিজের কাছেই অজানা। পুষ্পকে ফোনের উপর ফোন দিচ্ছে কিন্তু ফোন সুইচড অফ। কারণ সে জানে নূর এখন তার চাটনি বানাবে।
রাতে____________________________
ইয়াশ পা টিপে টিপে আরিফের রুমে এসে দেখে বেডের উপর আধশোয়া হয়ে ফোনে কি যেন দেখছে। আরিফ ইয়াশকে দেখে ভেতরে আসতে বলল। ইয়াশও ধপ করে বেডের উপর লুটিয়ে পড়ল।
ইয়াশঃঃ- আচ্ছা আলিফাকে তোর কেমন লাগে রে?
আরিফঃঃ- কোন আলিফা আবার?
ইয়াশঃঃ- ঢং করছিস? কয়টা আলিফাকে চিনিস? মেহের আলিফা যারা রাতুল ভাইয়ার….
আরিফঃঃ- ওহ আচ্ছা। হ্যাঁ ভালোই তো আছে। কিন্তু একটু বেশি দুষ্টু। কিন্তু তুই এসব জিজ্ঞেস করছিস কেন?
ইয়াশঃঃ- (এক লাফ দিয়ে উঠে বসল) না এমনি। আজ মেহেরের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেছি। এতটা খারাপ না। আলিফার সাথে খুব একটা কথা হয়নি তাই তোর কাছ থেকে জানতে এলাম। তা কি শুধু ভালো আছে নাকি তোর ভালো লাগে।
আরিফঃঃ- কি চলছে তোর মাথায়? আর এক মিনিট। তুই করেছিস ফ্রেন্ডশিপ মেয়ের সাথে? তাও আবার কে মেহের? যাকে দেখলেই শুধু ঝগড়া করিস। তা তুই আমাকে বল কি চলছে।
ইয়াশঃঃ- জাস্ট ফ্রেন্ডশিপই তো করেছি এতে এত খোঁচা দেওয়ার কি আছে। হুহ্ আমি গেলাম ঘুমোতে। বাই। (আরিফ আবারও ফোন নিয়ে বসে পড়ল। ইয়াশ তার রুমে এলো।) নাহ কিছুই তো জানতে পারলাম না আরিফের মনে কি আছে। এমনি আলিফা কিন্তু খারাপ না। আমার এই গম্ভীর ভাইটাকে একটু ঠিক করে দিবে। আমাকেই কিছু করতে হবে।
.
.
মেহেরঃঃ- আলু জানিস আজকে ইয়াশের সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ হয়েছে। কালকের জন্য সরিও বলেছে। যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা খারাপ না। ইনফেক্ট ভালোই আছে।
আলিফাঃঃ- (মেহের কথায় কেমন যেন প্রেম প্রেম গন্ধ পাচ্ছে। শয়তানি হাসি দিয়ে তার সামনে দাঁড়াল) ইয়াশ খুব ভালো তাই না। এতদিন খারাপ ছিল। আজ সরি বলায় আর ফ্রেন্ডশিপ করাই ভালো হয়ে গেল। আমার না কেমন যেন অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছে। (মেহের কাঁধে কুনুই রাখল)
মেহেরঃঃ- (কাঁধ সরাতে আলিফার হাত পড়ে গেল) এটাকে বলে জ্বলার গন্ধ। কি মনে করেছিস আমি একটা কচি শিশু কিছু বুঝি না। আরিফের উপর যে কেরাশ খাইয়া কাইত হয়ে পড়ে আছ বুঝি না আমি। এখন আমি আর ইয়াশ ফ্রেন্ড হয়েছি। তুমি আরিফের সাথে কথা বলতে না পেরে যে জ্বলছ তা আমি খুব ভালো করে জানি।
আলিফাঃঃ- কে…কে… বলল তোকে? হ্যাঁ? যা তো যা আমি এখন ঘুমাব সর সামনে থেকে। (বলে কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়ল। মেহের তো হাসতে হাসতে শেষ।)
.
.
.
চলবে
বিঃদ্রঃ ওয়েট ফর নেক্সট সারপ্রাইজ ?✌?