Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ২২
#আবির হাসান নিলয়
খালাম্মার বাসায় এসে সবার সাথে কথা
বলছি তখন খালুজান এসে বলল…..
আঙ্কেলঃতোমাকে আজ যেতে বলেছে
খালাম্মাঃবাবা?
আঙ্কেলঃহ্যা
খালাম্মাঃতুমি কি বলছো?
আঙ্কেলঃবলছি আপনার মেয়ের ইচ্ছা।
খালাম্মাঃকল দিয়ে বলো যেতে পারবে না।
আম্মুঃযাবি না কেনো?
খালাম্মাঃএমনি ভালো লাগছে না
আম্মুঃদেখ আমাদের জন্য তুই সবার কাছে
খারাপ হোস না।তুই গিয়ে দেখা করে আয়।
খালাম্মাঃকিন্তু আপু তুই না গেলে আমি কেন?
আম্মুঃতোকে যেতে বলছে তুই যাবি
খালাম্মাঃনিলয় আর নিলুকে সাথে নিয়ে
করে নিয়ে যায়?
আম্মুঃযেতে চায় নিয়ে যাস
আমিঃআমি কোথাও যেতে পারবো না
আব্বুঃনিলয়কে না নেয়াই ভালো।
খালাম্মাঃকেনো?
আব্বুঃওর মাথা ঠিক থাকে না,কখন কি করে
ফেলবে ঠিক নাই।নিলুকে নিয়ে যাও।
খালাম্মাঃআমার সাথে থাকলে কিছুই হবে না।
আমিঃতবে আমি যাবো না ওখানে
খালাম্মাঃকেনো যাবি না?
আমিঃসেটা আমার ইচ্ছা
খালাম্মাঃতুই যাবি,এটাই ফাইনাল।
আমিঃতোমাদের মাঝে গিয়ে আমি কি করবো
খালাম্মাঃবসে থাকবি
আমিঃধুর
খালাম্মাঃযা রেডি হয়ে নে।
কিছু না বলে রুমে এসে অর্ধ শুয়ে থেকে
ফোন চালাতে লাগলাম।এই বাসায় গতকাল
এসেছি দুজন।কাল অনেক ক্লান্ত থাকায়
আপনাদের বলতে পারিনি কি কি করেছি।
তবে কাল তেমন কিছু করা হয়নি।জার্নি করে
এসে সারাদিন ঘুমাইছি।ফোন গুঁতাগুঁতি
করছি এমন সময় জান্নাতের কল আসলো।
কলটা রিসিভ করার পর ওপাশ থেকে বলল..
জান্নাতঃকই আছিস তুই?
আমিঃতুই জেনে কি করবি?
জান্নাতঃআমি জেনে কি করবো মানে?
আমিঃসেটা আমি কি করে জানবো।
জান্নাতঃদেখ নিলয় মাথা গরম করবি না।
আমিঃগরম তুই আর তোর ফ্যামিলি আমার
মাথাকে করছিস।সবগুলো পাগলের দল।
জান্নাতঃআমাকে যা বলার বল,কিন্তু আমার
ফ্যামিলিকে নিয়ে কিছু বলবি না।
আমিঃবললে কি করবি?
জান্নাতঃতুই কোথায় এখন সেটা বল
আমিঃখালাম্মার বাসায়
জান্নাতঃসেটা কোথায়?
আমিঃবলবো না
জান্নাতঃমেজাজ খারাপ করিস না
আমিঃমেজাজ খারাপ তোরা আমার করছিস
জান্নাতঃদেখ মাত্র আম্মুর সাথে কিন্তু ঝগড়া
করে তোকে কল দিছি।এখন তুই এসব কথা
বলে আমাকে রাগালে কি করবো নিজেও
জানিনা বলে দিলাম।
খালাম্মাঃকিরে রেডি হোস নাই?
খালাম্মার বাইরে থেকে ডাক শুনে বললাম…
আমিঃআসছি দাড়াও
জান্নাতঃকে?
আমিঃবাই
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃকাজ আছে
জান্নাতকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কল
কেটে দিয়ে রুমের বাইরে আসলাম।
খালাম্মাঃতুই তো এখনো রেডিই হোস নাই
আমিঃএমনেই যাবো,এভাবে নেয়া গেলে
নিয়ে যাও।তা না হলে যাবো না।
খালাম্মাঃতোর রেডি হওয়া লাগবে না।
আমিঃহুম
খালাম্মাঃনিলু রেডি?
নিলুঃহ্যা
খালাম্মাঃআপা তাহলে আমরা গেলাম
আম্মুঃসাবধানে যাস,আর মাহি যাবি না?
মাহিঃনা, একজন আসবে খালাম্মা।
আম্মুঃওহ
আমিঃযাবে নাকি আমি রুমে যাবো
খালাম্মাঃচল চল
এবার আমরা বাসা থেকে বের হলাম।বাসার
বাইরে এসে একটা সিএনজি নিয়ে রওনা
দিলাম।খালাম্মার বাসা থেকে নানু বাসা খুব
একটা দূরে না।খালাম্মার বাসা থেকে পূর্ব
দিকে ১০ কিলোমিটার যেতে হয়।গাড়িতে
উঠে মাথায় হাজারটা কথা ঘুরপাক খেলেও
কিছু বলতে পারলাম না।সে যাই হোক,বসে
থেকে সবাই আড্ডা দিতে দিতে চলে আসলাম।
সামনে বিশাল একটা বাড়ি।ছোটবেলাতে
অনেক যাওয়া আসা করলেও অনেকদিন
হলো সবাইকে ভুলে গিয়ে দূরে আছি।
খালাম্মার সাথে বাসার ভিতরে গিয়ে দেখলাম
বেশ কিছু লোকজন বসে আছে।তবে এদের
মাঝে খুব কম কয়েকজনকে চিনলেও তারা
কেউ আমাকে চিনতে পারছিলো না।বাসায়
যাওয়ার অল্প কিছু সময় পরেই মামি এসে
আমাদের রুমে নিয়ে গেলো।
মামিঃওদের নিয়ে আসতে গেলে কেনো?
খালাম্মাঃএখানে আমার আসার যতোটা
অধিকার আছে ঠিক তোতটাই ওদের
আছে।
মামিঃসেটা বলছি না,আমি বলতে চাইছি
ওদের দেখে যদি বাবা কিংবা আপনার ভাই
কিছু বলে।
আমিঃআজ আমিও সেটার হিসাব নেয়ার
জন্যই এখানে আসছি।
খালাম্মাঃআমার উপর দিয়ে কিছু বলার
দরকার নাই।
আমিঃহু
আর রুমে না থেকে আমরা এবার রুম থেকে
বের হয়ে দাঁড়াতে নানুর সাথে দেখা।আমাদের
দেখে তাকিতে থাকার পর খালাম্মাকে বলল..
নানুঃকেমন আছিস মা?
খালাম্মাঃহুম ভালো,তুমি কেমন আছো?
নানুঃআমার আর ভালো থাকা,ভালো নেই।
নিলুঃআপনার তো ভালো থাকার কথা।
নানুঃহাহা,কিভাবে ভালো থাকবো বলো?
নিলুঃএকটা মেয়েকে নিজের থেকে আলাদা
করে দিছেন।ওখানে একটা পরিবারের সুখটা
খুব ভালো করে নষ্ট করতে চেয়েছেন।যদিও
আপনি কিছুই করতে পারেন নাই।তবে শুধু
মাত্র একটা সরল মেয়ের মন ভাঙা ছাড়া
কিছুই করতে পারেন নাই।
নানুঃকে তুমি?
খালাম্মাঃবাবা ওরা দুজন….
নিলুঃকি আসে যায় আমরা কারা,এখন তো
আর সম্পর্ক নেই।তাই জেনেও কোনো লাভ
হবে না হয়তো।
আমিঃনিলু..(ধমক দিয়ে)
নিলুঃসরি ভাইয়া
আমিঃএসব সবার মাঝে বলা ঠিক হবে না।
নানুঃআমার সাথে আমার রুমে আসো।
এবার আমরা সবাই উনার সাথে একটা রুমে
যেতে লাগলাম।তবে আমি নিলুকে দেখে
বেশ অবাক হচ্ছি,যে মেয়েটা বড়দের সাথে
কথা বলতেই ভয় পায়।আজ সেই কিনা চোখে
আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সবটাই উনার
ভুল ছিলো।একটা রুমে এসে বসার পর লক্ষ্য
করলাম রুমটাতে অনেকের ছবি আছে।
আরো একটু ভালো করে লক্ষ্য করতেই
দেখতে পেলাম,আম্মুর অনেক পুরাতন ছবি।
যে মেয়ের সাথে সম্পর্ক শেষ করে দিতে তখন
কিছুই হয়নি তাহলে আজ এখন তার ছবি
সারারুমে রেখে কি লাভ….!উঠে গিয়ে ছবির
কাছে গেলাম।খুব ভালো করেই বুঝা যাচ্ছে
আম্মুর ছবি কোনগুলো।
নানুঃছবিগুলো জেনো নষ্ট না হয়
আমিঃকেনো?
নানুঃআমি বলছি তাই
আমিঃএই মানুষটা কে?(আম্মুকে দেখিয়ে)
নানুঃ…….
আমিঃওকে
এবার ছবিগুলো খুলতে শুরু করলাম।
নানু আমার কাছে উঠে আসার আগেই আম্মুর
থাকা সব ছবি খুলে হাতে নেয়ার পরেই নানু
আমার শার্ট ধরে পেছনে টান দিলো।
নানুঃছবিগুলো আমার কাছে দে
আমিঃকি করবেন ছবি নিয়ে?
নানুঃআমার যেটা ইচ্ছা সেটা করবো
আমিঃনা বললে আমিও দেবো না।
নানুঃমাথা গরম করিস না আমার,দে বলছি
আমিঃউনি কি হয় আপনার?
নানুঃকেউ হয় না,এখন তুই ছবি দে।
আমিঃভুল করলেন আমজাদ চৌধুরী
এটুকু বলার পরেই ছবিগুলো টান দিয়ে ছিরে
ফেললাম।খালাম্মা মামি দুজনে আমার দিকে
এক ভয়ঙ্কর চোখে তাকিয়ে আছে।হয়তো
উনারা ভুত দেখছে।হঠাৎ করে গালে দুটো
থাপ্পড় পড়তে নানুর দিকে দেখলাম।
নানুঃতোকে এসব করার সাহস কে দিয়েছে?
আমিঃসাহস লাগে নাকি?আর আমি যে
মানুষটার ছেলে তার থেকে DNA এর মাধ্যমে
সাহস পেয়েছি।
নানুঃতুই কে?
আমিঃআমি কেউ না,তবে আপনি যার ছবির
জন্য আমাকে মারলেন আমি উনার ছেলে।
আপনার আমার সম্পর্ক কিছুই না,তবে
রচয়িতার সাথে আপনার বেশ ভালো সম্পর্ক।
নানুঃকি বলছে এসব?
খালাম্মাঃবাবা ওরা দুজন আপুর ছেলে মেয়ে
নানুঃতোরা আমার নাতিনাতনি?(কান্না নিয়ে)
নিলুঃসেটা একদমই বলি নাই।আমরা দুজন
এখানে শুধুমাত্র খালাম্মার জোর করার জন্য
এসেছে।কিন্তু সত্যি বলতে আপনার সাথে
আমাদের কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।আমরা
আপনাকে সম্মানও করি না।
এবার নানু পুরো থামকে গেলো।বুঝতে পারছে
না কি করবে।চেয়ারে গিয়ে বসতে মামি গিয়ে
ধরতে গেলো।
নানুঃআমি ঠিক আছি বউমা।
খালাম্মাঃবাবা আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি
আসলে বুঝতে পারিনি ওদের এখানে আনলে
এমন হবে।
নানুঃভুলটা তো আমারই,ওদের কোনোপ্রকার
দোষ নেই।মা কেমন আছে তোদের?
আমিঃআপনি জেনে কি করবেন?
নানুঃআমি ওর বাবা,এটুকু তো জানতে পারি।
আমিঃএকটা কথা জিজ্ঞাস করবো?
নানুঃহ্যা
আমিঃকেনো সব সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিলেন?
নানুঃ…….
আমিঃবলতে ইচ্ছা না করলে কোনো দরকার
নেই আমাদের কথা শোনার।আমরা যেমন
ছিলাম তেমনি থাকবো।
উঠে চলে যাবো তখন বলতে শুরু করলো….
নানুঃতোর দাদা আর আমি ছিলাম ছোট
বেলার বন্ধু।দুজন মিলেই একটা ব্যবসা দাড়
করাই।প্রথম প্রথম লাভ হলেও মাঝখানে
এসে আমাদের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ
হয়ে যায়।আমি নিজেকে সেখান থেকে
ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আমার ভাগের টাকা
তোর দাদুর কাছে চাই।তবে তোর দাদু নিজেই
তখন লোন তুলে তুলে সব টাকা শেষ করে
ফেলেছে।কিন্তু আমার রাগ আর অভিমানের
জন্য সামান্য ব্যাপারটাকে অনেক বড় করে
তুলি।তোর বাবা ছিলো একমাত্র ছেলে।তোর
বাবার কাছে টাকা চাইলেও সে সরাসরি টাকা
দিতে না করে দেয়।তখন আমার মাথা অনেক
বেশিই রাগ উঠে গেছিলো।আমার মেয়েকে
সেই পরিবার থেকে এই বাসায় নিয়ে আসি।
তখন আমার মেয়ে জানতো না আমি ওকে
কেনো এই বাসায় নিয়ে আসছি।কিন্তু যখন
সব জানতে পারে তখনি চলে যেতে চায়।তবে
আমি কোনোভাবেই আমার মেয়েকে যেতে
দিতে চাইনি।তবে আমি ওকে ধরে রাখতেও
পারিনি।পালিয়ে গেছিলো এই বাসা থেকে।
তখন অনেক ছোট ছিলি তুই।আর আমি
রচয়িতাকে কখনো তাড়িয়ে দেইনি।ও নিজের
ইচ্ছাতে চলে গেছে।
আমিঃযখন একটা পরিবারকে ধ্বংস করার
জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন তখন কি সেই
ছোট আমিটার কথা মনে পরেনি?যদি আপনি
আপনার মেয়েকে নিয়ে আসতেন।ওদিক
থেকে আমার আব্বুও যদি আরেকটা বিয়ে
করতো তখন আমার কি হতো?অবশ্য এই
দেশে তো লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলেমেয়ে টুকাই হয়ে
ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি আপনাদের মাঝে একটু
দয়া বেচে থাকতো তাহলে হয়তো এতিমখানা
কিংবা অন্য কোথায় রেখে আসতেন।আর
সমাজের সবাই আমাকে দেখে বলতো….
“এতো বড়মানুষদের নাতি হয়েও অনাথাশ্রমে
থেকে জীবন পাড় করছে।”সে যায় হোক,
অনেক কথা বলেছি কিছু মনে করলে ক্ষমা
করবেন।খালাম্মা এখন চলো।
খালাম্মাকে সাথে নিয়ে আসতে যাবো তখন
নানু খালাম্মাকে বলল….
নানুঃতোর সাথে আমাকে নিয়ে যাবি মা?
খালাম্মাঃআমার ওখানে যাবে?
নানুঃহ্যা
আমিঃওখানে গিয়েও আমার মাকে বের করে
দেয়ার জন্য?
নানুঃনিবি আমাকে?
খালাম্মাঃনেবো না কেনো,অবশ্যই নেবো।
খালাম্মা নানুর কাছে গিয়ে ধরে হাটতে শুরু
করলো।অনেক বেশি রাগ হচ্ছিলো তবে
কিছুই বলার নেই।রুম থেকে বের হওয়ার পর
মামি বলল….
মামিঃবাবা ওরা সবাই মাত্র এসেছে,এখন
যদি চলে যান তাহলে কেমন দেখায়..!
নানুঃবউমা ঠিকি বলছে,তুই মা বিকেল অবধি
এখান থাক।যেতে তো বেশি সময় লাগবে না।
সবাই বিকেলেই যাবো।
খালাম্মাঃঠিক আছে
আমিঃকিসের ঠিক আছে,তুমি থাকো আমি
আর আমার বোন চলে গেলাম।
খালাম্মাঃতুইও থাকবি এখানে।
আমিঃখালাম্মা…!?
খালাম্মাঃবলছি না আমি
আমিঃধুর তোমার সাথে কোথাও আসবো না
খালাম্মাঃদেখা যাবে,এখন দুতলায় গিয়ে ঐ
রুমটাতে যা।ওখানে কাজল আছে।
আমিঃহুম
দাঁড়িয়ে না থেকে আমরা দুজন রুমটার
সামনে গিয়ে নক করলাম।
কাজলঃকে?
নিলুঃআমরা আপু
কাজলঃভিতরে আয় নিলু
নিলুঃকি করো?
কাজলঃএইতো একটু কাজ করছিলাম।কিরে
তুইও দেখছি আসছিস।তুই কবে আসছিস?
আমিঃগতকাল
কাজলঃএখানে কি মনে করে?
আমিঃখালাম্মা নিয়ে আসছে
কাজলঃদাদু কি বলল..?
আমিঃআমাদের সাথে বিকেলে যাবে
কাজলঃছোট ফুপুর বাসায়?
আমিঃহুম
কাজলঃনিলু উপরে বস,আমাকেও নিয়ে যাস
আমিঃতোকে নেয়ার কি আছে?
কাজলঃদাদু যাচ্ছে তাই আমিও যাবো।
আমিঃতোর বুড়া দাদুর মাথায় কি চলেছে
কে জানে…!
কাজলঃনারে,বড় ফুপুকে অনেক ভালোবাসে
নিলুঃভালোবাসলে এতোদিনে খোজ নিতো।
সবার সাথে কথা না বললেও কাজলের সাথে
আড্ডা দিয়ে দিন পাড়তে চাচ্ছিলাম।বিকেল
হতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর উনাদের
একটা গাড়িতে উঠতে বললেন।
নিলুঃগাড়ি করে যাবার কোনো ইচ্ছা আমার
নেই।আপনারা গাড়ি করে যান,আমরা দুজন
অন্যভাবে চলে যাবো।
নানুঃআমার অবস্থাটা একটু দেখ।
নিলুঃআপনি গাড়ি করে যান
নানুঃতুই বুঝা ওদের
খালাম্মাঃনিলু তুই কি আমার কথা শুনবি না?
নিলুঃপ্লিজ জোর করোনা।তোমরা যাও আমি
ভাইয়া আর কাজল আপু অন্যভাবে আসি।
খালাম্মাঃবাবা ওরা আসবে,তুমি গাড়িতে উঠো
আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠে উনারা চলে
গেলো।আমরা একটু অপেক্ষা করার পর
একটা সিএনজি নিয়ে রওনা দিলাম।।
বাসায় এসে দেখলাম উনারা আগে থেকেই
আসছেন। তবে লক্ষ্য করলাম একটা গাড়ি
ওখানেই ছিলো তবে সেখান থেকে চলে গেলো।
হয়তো খালুজানের সাথে কথা বলতে আসছিলো।
সেই যাই হোক,বাসার ভিতরে গিয়ে দেখলাম
আব্বু আম্মুর সাথে নানু কথা বলছে।সেদিকে
না দেখে সোজা রুমে চলে আসলাম।শার্ট
খুলে ফ্রেস হতে যাবো তখনি দেখলাম জান্নাত
জান্নাতঃআআআআ(চিৎকার দিয়ে)
আমিঃতুই এখানে কেন?
আম্মুঃকি হয়েছে?
আমিঃকিছু না,তুই এখানে আসলি কিভাবে?
জান্নাতঃতুই না বললে মনে আমি জানতাম না
আমিঃকে ঠিকানা দিছে?
জান্নাতঃকেনো বলবো?
আমিঃবের হো বাসা থেকে
জান্নাতঃযাবো না।
আমিঃতোকে তো আমি….
কুত্তীটার চুল ধরে রুমের বাইরে টানতে টানতে
আনার পর আম্মু বলল….
আম্মুঃকি হচ্ছে?
আমিঃও এখানে কেনো?
জান্নাতঃআমার যেখানে খুশি সেখানে থাকবো
আমিঃতোর আম্মু কি বলছে মনে নাই?
আম্মুঃঠিকই তো বলছে,একটা বেকার ছেলের
সাথে ওর মা কেনো,কোনো মা নিজের মেয়ে
বিয়ে দিবে না।
আমিঃবিয়ে করার জন্য মনে হয় আমি গেছিলাম?
আম্মুঃতো আমরা গেছিলাম?
আমিঃও জোর করে যেতে বলছে
আম্মুঃতুই ওর চুল ছাড়
আমিঃযা কুত্তী ছেড়ে দিলাম
জান্নাতঃশুয়োর সালা
আম্মুঃতুই আমার কাছে আয় মা।আর তুই
এখন রুমে যা।
আমিঃরুম থেকে এসে জেনো ওকে না দেখি
জান্নাতঃএএএ ভাগ….(ভেঙালো)
আর দাঁড়িয়ে না থেকে বাথরুমে এসে গোসল
করে নিলাম।গোসল শেষ করে রুমে এসে
ড্রেস পরে বাইরে এসে সবার সাথে বসলাম।
চলবে………
আগামীকাল শেষ করে দেবো ইনশাল্লাহ।
আর কেমন হচ্ছে জানাবেন।