Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১৯
#আবির হাসান নিলয়
জান্নাতের থেকে চলে এসে বাসার দরজা
খুলে দিয়ে দেখলাম শুধু রাফি আসছে।
আমিঃতুই একা কেন?
রাফিঃজয় আন্টিকে নিয়ে কোথায় নাকি
যাবে।তাই আসতে পারবে না।
আমিঃওহ
রাফিঃজান্নাত কই?
আমিঃআছে ভিতরেই
রাফিঃচল
রাফিকে নিয়ে ভিতরে আসার পর জান্নাত
নিজেই রাফিকে বলল……
জান্নাতঃনা আসলেও পারতি
রাফিঃসরি রে,একটু কাজ ছিলো।
জান্নাতঃতোর কাজই তো ফোনে কথা বলা।
রাফিঃইম্পরট্যান্ট কথা ছিলো
জান্নাতঃহো তোর ইম্পরট্যান্ট কথা ফোনে
থাকে তাই তুই আসতে পারিস না।এদিকে
আমাদের মাহি নিজেও ফোন নিয়ে ব্যস্ত।
মাহিঃএখন কিন্তু আমি কাজ করছি আপু
জান্নাতঃএতো টাইম কি করছিলি আমি মনে
হয় দেখিনি?
মাহিঃহিহি?
রাফিঃতোর সাথে কথা আছে চল
জান্নাতঃকি কথা?
রাফিঃঐ কথাটা
জান্নাতঃপারবো না আমি,যা এখান থেকে
রাফিঃআগে চলনা
আমিঃকিসের কথা?
জান্নাতঃআপনার জানা লাগবে কেনো?
আমিঃআমার বন্ধু তাই
জান্নাতঃআপনার বন্ধু আপনাকে না বলে
আমাকে বলছে।তাই আপনি নিজেই ওর
থেলে জেনে নেন।
আমিঃকাহিনী কি?
রাফিঃভাই ওর সাথে কথা আছে।
আমিঃআমাকে বলা যাবে না?
জান্নাতঃওই চল তুই
রাফির থেকে কিছু শুনতে যাবো তখনি ওকে
সাথে নিয়ে জান্নাত চলে গেলো।তবে যাবার
আগে বলে গেলো….
জান্নাতঃসবাই মন দিয়ে কাজ করবি।
রাত্রিঃতারাতারি কথা শেষ করবি,ভাইয়া
বার্থডে ব্যানারটা কোথায় লাগালে সুন্দর হবে
আমিঃআমার মাথায়?
মাহিঃতোর আবার কি হলো?
আমিঃকি হবে?বার্থডে তোদের ফ্রেন্ডের তাই
তোরা ঠিক কর,কোথায় লাগালে সুন্দর হবে।
মাহিঃতুই বাইরে থেকে বরং ঘুরে আয়।
আমিঃকেনো?
মাহিঃবাইরে থেকে ঘুরে আসলে ভালো লাগবে
আমিঃঠিক আছে।
বাসা থেকে বের হয়ে একটা টং এর দোকানে
গিয়ে বসলাম।
********জান্নাতের কথা********
রাফির সাথে একটা রুমে এসে ভিতর থেকে
রুম লক করে দিলো।তবে লক্ষ্য করে দেখলো
এটা নিলয়ের রুমই।তবে বেশি কিছু দেখার
আগে রাফি বলতে শুরু করলো….
রাফিঃআমার হেল্প করলে তোর কি হবে?
জান্নাতঃকিছুই হবে না,তবে আমি ওর সাথে
এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না।
রাফিঃকেনো?তুই ওকে ভালোবাসিস না?
জান্নাতঃভালোবাসি,কিন্তু ওর বোনকে কেউ
ভালোবাসে সেটা আমি…. বলতে পারবো না।
রাফিঃপ্লিজ বলে দে?
জান্নাতঃযদি এসব নিলয় পছন্দ না করে?
রাফিঃতুই ওকে ম্যানেজ করবি
জান্নাতঃআমি আমার জন্য ওকে ম্যানেজ
করতে পারছি না।আর তুই বলছিস তোদের
জন্য আমি ওকে ম্যানেজ করবো?
রাফিঃনিলয় তোকে এখনো অনেক বেশি
ভালোবাসে।আর তোকে এখনো নিজের করে
পেতে চায়।
জান্নাতঃতুই জানিস কিভাবে?
রাফিঃআমি ওর বন্ধু তাই,আমাকে বলছে সব
জান্নাতঃতাহলে তুই নিজেই তোর আর মাহির
কথা ওকে খুলে বল।
রাফিঃএসব বলার সাহস হলে তো বলতামই।
জান্নাতঃযদি ম্যানেজ করতে পারি তাহলে
আমি কি পাবো?
রাফিঃকি লাগবে,যা চাইবি তাই দেবো।
জান্নাতঃএকটা প্রমিজ লাগবে।
রাফিঃবল কি প্রমিজ
জান্নাতঃকখনো মাহির সাথে রেগে কথা বলা
যাবে না এবং ওকে কখনো ছেড়ে যাবি না।
রাফিঃআমি প্রমিজ করছি,মাহিকে কখনো
ছেড়ে যাবো না।
জান্নাতঃঠিক আছে তুই এখন বাইরে যা।
রাফিঃতুইও চল
জান্নাতঃতুই যা,আমি এই রুমটা দেখবো।
রাফিঃতোর হবু স্বামীর রুম?
জান্নাতঃভাগ কুত্তা
রাফি দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে মাহির দিকে
তাকিয়ে কিছু একটা বললো।রাফি মুখে হাসি
দেখে মাহি নিজেও বুঝতে পারছিলো জান্নাত
কাজটা করতে রাজি হয়েছে।এদিকে জান্নাত
নিলয়ের টেবিলে গিয়ে বসে দেখলো সেখানে
কিছু ছবি টাঙানো আছে।প্রথমে লক্ষ্য করলো
নিলয়ের পরিবারের সাথে,মানে নিলয়ের
আব্বু আম্মু ছাড়াও কিছু লোক দাঁড়িয়ে
আছে।তাদের চিনতে না পারাই এটা নিয়ে
কিছুটা আগ্রহ জান্মালেও পরে লক্ষ্য করলো
সেখানে জান্নাত আর নিলয়ের অনেক আগের
একটা কাপল পিক রয়েছে।যখন জান্নাত
ইন্টারে ভর্তি হয়,ছবিটা তখনকার।জান্নাত
সেখানে বসে নিজেদের কথা ভাবতে লাগলো
আগে কতোই না মজা করেছে দুজন।এবার
টেবিলের ড্রায়ার খুলে একটা খাম ছিলো।
জান্নাত লক্ষ্য করলো ওটার উপরে লাল
মার্কার দিয়ে লেখা আছে,“My Love Agnila”
লেখাটা দেখে জান্নাত এক মুহূর্ত দেরি না
করে খামটা খুলে দেখলো ভিতরে অনেক
ছবি রাখা আছে।সবগুলো ছবি টেবিলে বের
করতেই জান্নাতের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে
পড়লো। কারণ সেখানে অন্য কারো নয় বরং
জান্নাতের নিজের ছবিই রাখা আছে। তবে
ছবিগুলো এখনকার না।যখন জান্নাত মাত্র
হাইস্কুলে ছিলো পড়াশোনা করতো তখনকার।
এছাড়াও কিছু ছবি আছে যেগুলো ইন্টার
ফাস্ট ইয়ারের ছিলো।জান্নাত বুঝতে পারছে
না কি করবে এখন।আনন্দে ছবিগুলো হাতে
নিয়ে কান্না করে দিলো।
অনেকটা সময় যাওয়ার পর নিজেকে শান্ত
করে সবগুলো আগের মতো করে রুম থেকে
বের হলো।
*********নিলয়ের কথা********
বাসায় এসে দেখলাম সবাই এখনো বাসাটা
সাজিয়েই চলেছে।আমাকে দেখে রাফি বলল..
রাফিঃকোথায় গেছিলি?
আমিঃবাইরে,আর যেভাবে বাসা সাজানো
হচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে আজ এই বাসায় বিয়ে
হতে যাচ্ছে।
রাত্রিঃবিয়ের পর তো বান্ধুবী চলে যাবে,তবে
বার্থডেতে বান্ধুবীর জীবনে একটা বছর কেটে
যাবে আর বান্ধুবী নিজেও সাথেই থাকবে।
আমিঃলাইন ছাড়া যুক্তি
মাহিঃতোর এসব বুঝা লাগবে না
আমিঃহুম,তোদের আর ফ্রেন্ডরা কই??
সুমুঃওরা সবাই সন্ধ্যার আগে আসবে।
আমিঃশুধু খেতে?
সুমুঃহুম
আমিঃতোদের পাগল ফ্রেন্ড কো…..
আর কিছু বলার আগেই জান্নাত আমার রুম
থেকে বের হয়ে আসলো।তবে দেখে কেমন
জানি আবেগি লাগলো।আমিও কিছু না বলে
কিছুটা একটা করতে লাগলাম।কারণ জান্নাত
কোনো কারণ ছারাই রাগ করে,যা আপনারা
অনেক ভালো করেই জানেন।সুমুর সাথে
বার্থডে ব্যানার ঠিক করছি তখন জান্নাত
আমার কাছে এসে নিচু স্বরে বলল….
জান্নাতঃকিছু কথা আছে
আমিঃহ্যা বল
জান্নাতঃতোর রুমে চল
আমিঃওকে?
আলাদাভাবে কথা বলতে চাওয়াতে আমার
নিজের মনে বেশ ভালো করেই লাড্ডু ফুটতে
শুরু করেছে।রুমে আসার পর জান্নাত নিজে
থেকে রুম লক করে দিলো।তবে আমার
সামনে মাথা নিচু করে আছে।কিছু বলার
সাহস পাচ্ছি না,যদি উল্টাপাল্টা কথা শোনায়
অনেকটা সময় সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকার পর
লক্ষ্য করলাম জান্নাত কান্না করছে।হঠাৎ
জান্নাতকে এমন দেখে বুকের ভিতর ছ্যাত
করে উঠলো।দুহাত দিয়ে জান্নাতের মুখটা
ধরে উঁচু করে দেখলাম চোখ দুটো কান্না করে
লালা করে ফেলেছে।বুঝতে পারছিলাম না
কি করবো আমি।তবে জান্নাতকে এমন দেখে
আমার নিজেরও অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিলো।
আমিঃকান্না করছিস কেনো?কেউ কিছু বলছে?
জান্নাতঃ……(মাথা নেরে না বলল)
আমিঃআমি সরি যদি আমার কোনো ব্যবহার
কিংবা আমার অজান্তে যদি তোর সাথে কিছু
খারাপ করে থাকি।তবুও প্লিজ এমন করে
কান্না করিস না।
জান্নাতঃআমি অনেক বেশি স্বার্থপর(কান্না করে)
আমিঃপ্লিজ শান্ত হো,তুই কেমন আমি জানি।
জান্নাতঃঅনেক কষ্ট দিয়েছি তোকে তাইনা
আমিঃতুই কান্না থামাবি প্লিজ,তোর কান্না
আমার দেখতে ভালো লাগে না।
জান্নাতঃএকটু জড়িয়ে ধরবি?
এক পলক দেরি না করে নিজের বাহুডোরে
আবদ্ধ করে নিলাম।তবুও জান্নাতের কান্না
কোনোভাবেই জেনো কমছে না।ফুঁপিয়ে কান্না
করছে,অনেক কষ্টে জান্নাতকে শান্ত করে
খাটের উপর বসিয়ে দিয়ে আমি ওর সামনে
হাটু গেড়ে বসলাম।
আমিঃএখন ভালো লাগছে?
জান্নাতঃহুম
আমিঃকি হয়েছে আমাকে বলা যাবে?
জান্নাতঃ…….
(কিছু না বলে ড্রায়ার থেকে খামটা নিয়ে এলো)
আমিঃকি করবো?
জান্নাতঃএগুলো দেখেছি আমি
আমিঃওহ
জান্নাতঃআমি তোর যোগ্য না,তুই আমার
ছোট ছোট স্বপ্নগুলোকেও মনে রেখেছিস।
কিন্তু আমি তোর জন্য কিছুই করিনি।
আমিঃ বাদ দে সেসব।
জান্নাতঃঅনেক ভালোবাসিস আমাকে তাইনা
আমিঃঅনেক বেশি
জান্নাতঃআমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আর একটা
বার আমাকে চান্স দিবি?
জান্নাতকে বলার কিছুই নেই আমার।অনেক
বেশি ভালোবাসি পাগলিটাকে।শক্ত করে
নিজের বুকের মধ্যে আবদ্ধ করে নিলাম।
জান্নাতঃঅনেক মিস করতাম
আমিঃআমিও
জান্নাতঃভাবতাম তুই আমাকে মোটেও লাভ
করিস না।তাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছিস।
আমিঃচলে গেছি কিভাবে?
জান্নাতঃরাফিকে সাদিয়া কল দিয়ে তোর
কথা জিজ্ঞাস করছিলো।তখন রাফি বলে
তোরা একটা বাসা কিনছিস আর সেখানে
নাকি চলে গেছিস।তাই তখন রাগের মাথায়
হাত কেটে ফেলছিলাম।
আমিঃএকবারের জন্যও আমাকে কল
দিতে মন চাইনি?
জান্নাতঃসাদিয়া দিছিলো,তবে বন্ধ পাচ্ছিলাম
আমিঃওহ
জান্নাতঃকখনো ছেড়ে যাবি না বল
আমিঃকখনো ছেড়ে যাবো না।
জান্নাতঃআমার ফ্যামিলি যদি না মানে তাহলে
দুজন পালিয়ে চলে যাবো।
আমিঃএবার আমি মানিয়ে নেবো
জান্নাতঃনা মানলে পালাবো বল
আমিঃহ্যা পালাবো
জান্নাতঃহু মনে থাকে জেনো।
এবার আমাকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হয়ে
দাঁড়ালো। দুজন দুজনের দিকে তাকাতেই
পাগলিটা ফিক করে হেসে দিলো।
জান্নাতঃতোকে অনেক ভিতু দেখাচ্ছিলো
আমিঃতোর কান্না দেখে আমাকে এমনই লাগে
জান্নাতঃএকটু সাহস জোগাও ডার্লিং
আমিঃএখন থেকে জোগাড় করবো।
জান্নাতের কাদে হাত রেখে কপালে ভালোবাসার
পর একে দিয়ে দুজন রুম থেকে বের হবো
তখন আবার জান্নাত হাত ধরলো।
আমিঃকিছু বলবি?
জান্নাতঃহুম
আমিঃবল
জান্নাতঃরাগ করবি না তো?
আমিঃরাগ কেনো করবো?
জান্নাতঃতবুও বল রাগ করবি না
আমিঃওকে করবো না
জান্নাতঃরাফি মাহিকে ভালোবাসে
আমিঃমানে?
জান্নাতঃমানে ওরা একজন আরেকজনকে
ভালোবাসে।
আমিঃমজা নিস তাই না
জান্নাতঃআমার কথা মজা মনে হচ্ছে??
আমিঃমাহি আর রাফি দুজন…
জান্নাতঃহুম
আমিঃসত্যি ওরা এসব রিলেশনশিপে আছে?
জান্নাতঃহয়☺
জান্নাতের থেকে এটা শুনে খুশি হবো নাকি
রাগ করবো বুঝতে পারছি না।মাহি সবেমাত্র
এখানে আসছে।আর এরই মাঝে এসব…!
ফ্যামিলির কেউ যদি এসব জানে তাহলে
আমি শিওর ওকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।
জান্নাতঃকি হলো?
আমিঃকই কিছুনা
জান্নাতঃপ্লিজ ওদের মেনে নে
আমিঃকিন্তু…
জান্নাতঃপ্লিজ
আমিঃআমার কোনো সমস্যা নেই।আমি জানি
রাফি কেমন ছেলে,কিন্তু মাহি মাত্র এখানে
এসেছে।এরই মাঝে এসব রিলেশনে জড়িয়ে
গেছে।ফ্যামিলির কেউ যদি জানতে পারে
রাফির ব্যাপারে তাহলে ওকে এখান থেকে
নিয়ে যাবে।
জান্নাতঃসেসব আমি সামলিয়ে নেবো।তুই
শুধু আমার কথাই একমত হবি।
আমিঃওকে
জান্নাতঃএখন চলেন অনেক কাজ বাকি
আছে,সেগুলো করতে হবে।
আমিঃহুম
দুজন রুম থেকে বের হয়ে অনেকটা হেসে
হেসেই কাজ করতে লাগলাম।তবে রাফি বা
মাহিকে এসব আগেই বলা যাবে না।জান্নাত
যখন বলবে তখন সব বুঝিয়ে বলবো।
প্রায় ২টার দিকে পুরো বাসা সাজানো হলো।
অন্যরা যার যার মতো খাওয়াদাওয়া করলেও
জান্নাত আমাকে সাথে নিয়ে রুমে আসলো।
আমিঃরুমে কেনো?
জান্নাতঃএখন আমাকে খাইয়ে দিবি
আমিঃআমি নিজেই তো তোর থেকে খাবো
ভাবছি,আর এখন তোকে খাওয়াতে হবে?
জান্নাতঃহ্যা ফান্টু
আমিঃআচ্ছা হা করো
জান্নাতঃহুম
জান্নাতকে খাইয়ে দিচ্ছি সাথে নিজেও খাচ্ছি,
কারণ আমার নিজেরও ক্ষুধা পেয়েছে।কিছুটা
খাওয়ানোর পর হঠাৎ করে কুত্তীটা হাতে
কামর দিলো।
আমিঃআউচচ?
জান্নাতঃসরি সরি,ব্যথা পাইছো??
আমিঃনা মজা পেয়েছি
জান্নাতঃতাহলে আবার দেই?
জান্নাতঃআর খাওয়াই দেবো না।এখন তুই
আমাকে খাইয়ে দিবি।
জান্নাতঃহু,যেনো তুমি আমার হাতেও কামর
দিতে পারো।খুব শখ তাই না..!
আমিঃকামর দিবো না
জান্নাতঃবিশ্বাস নাই জানু?
আমিঃখাইয়ে না দিলে খাবোই না,গেলাম।
জান্নাতঃআরে যাও কোথায়(হাত ধরে)
আমিঃবাইরে
জান্নাতঃবসো,খাইয়ে দিচ্ছি
আমিঃথাক লাগবে না
জান্নাতঃআরে বসোই না,তোমাকে না দিলে
কাকে দেবো শুনি?তুমিই তো আমার ফান্টু?
আমিঃআবার এসব ফান্টু মান্টু?
জান্নাতঃআচ্ছা সুরি☺এখন হা করো
আমিঃহুম
এবার জান্নাত খাইয়ে দিতে লাগলো।যদিও
ভয় পাচ্ছিলো,যদি আমি কামর দেই সেটা
ভেবে।তবে না,কামর দিয়ে ব্যথা দেয়ার থেকে
যে ভয়টা নিয়ে আছে সেটা দেখতেই অনেক
বেশি সুন্দর লাগছিলো।খাওয়া শেষ করে
দুজন রুমের বাইরে আসলাম।সবাই নাকি
এখন বাসা থেকে রেডি হয়ে আসবে।জান্নাত
প্রথমে যেতে না চাইলেও আমি নিজেই ওকে
জোর করে পাঠিয়ে দিছি।কারণ সবাই সেজে
আসবে,তাহলে জান্নাত কেনো এমন করে
থাকবে।পাগলিটা যাওয়ার সময় একবার
জড়িয়ে ধরে চলে গেলো।
পার্টি টাইম….
চলবে……….