Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১৭
#আবির হাসান নিলয়
কিছুদিন খালাম্মার বাসায় থাকার পর আমি
আর মাহি বাসায় চলে আসলাম।আমাদের
রেজাল্ট দেয়ার পাশাপাশি ক্লাসও শুরু
হয়েছে।পুরো বাসায় শুধুমাত্র আমরা দুজন।
আগেই বলেছি মাহি অনেক ভালো স্টুডেন্ট।
যদিও এখানে থাকতে বেচারির কষ্ট হবে,তবে
ওর মনোবল আছে এখানে ভালো করেই
থাকতে পারবে।রুমে বসে আছি তখন মাহি
নক করলো…
মাহিঃআসবো?
আমিঃআয়
মাহিঃবাজারে যেতে হবে
আমিঃকেনো?
মাহিঃরাতের জন্য রান্না করতে হবে না?
আমিঃআজ করা লাগবে না
মাহিঃকুত্তা তাহলে খাবো কি?
আমিঃবাইরে থেকে খেয়ে আসবো,না হলে
খাবার নিয়ে আসবো।আজ তুই নিজেও
অনেক ক্লান্ত।
মাহিঃবাইরের খাবার খেয়ে পেট খারাপ হবে
আমিঃকিচ্ছু হবে বোইন,তুই এখন বিশ্রাম
কর।সন্ধ্যার পর তোকে নিয়ে যাবো।
মাহিঃঠিক আছে
মাহি আর কিছু না বলে রুম থেকে চলে
গেলো।আমিও আর বসে না থেকে ক্লান্ত
শরির নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।সন্ধ্যার দিকে
রাফির ফোন পেয়ে ঘুম ভাঙলো।
আমিঃকিরে?
রাফিঃআসবি কবে?
আমিঃআজ চলে আসছি
রাফিঃএসে বললিও না
আমিঃভাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম।
রাফিঃমাঠে আয়
আমিঃএখন যেতে পারবো নারে
রাফিঃকেনো?
আমিঃমাহিকে নিয়ে বের হতে হবে
রাফিঃওকে নিয়ে আবার কোথায় যাবি?
আমিঃবাসায় এখন শুধু আমরা দুই ভাইবোন,
আজ ক্লান্ত থাকায় ওকে রান্না করতে বারণ
করছি।দুজন বাইরে থেকে খাবো।
রাফিঃসালা আমার বাসা নাই?আমি আম্মুকে
বলছি তুই আর মাহি আসবে।
আমিঃআরে না,অন্য একদিন যাবো
রাফিঃআজ আসবি মানে আজ। আম্মা কই
তুমি এদিকে আসো তো।
আন্টিঃকি হয়েছে?(ফোনের ওপাশ থেকে)
রাফিঃনিলয়ের বাসায় কেউ নেই,তাই নাকি
হারামিটা বাইরে খাবে।
আন্টিঃআমাদের বাসায় আসতে বল
রাফিঃতুমি বলো,সাথে ওর খালাতো বোনও।
আন্টিঃদে।
বুঝতে পারলাম আমাদের আজ আর বাইরে
খাওয়া হলো না।রাফি আন্টিকে ফোন দেয়ার
পর আন্টি বলতে শুরু করলো…
আন্টিঃআমরা তো তোর কেউ না তাই না?
আমিঃআন্টি তুমিও মজা নিচ্ছো?
আন্টিঃতাহলে আসবি বল
আমিঃআচ্ছা আসবো
আন্টিঃসকাল সকাল আসিস,তাহলে একটু
আড্ডা দেয়া যাবে।
আমিঃঠিক আছে
রাফিঃএখন কি করবি তাহলে?
আমিঃতুই ভালো করেই জানিস
রাফিঃআসা লাগবে না ওকে?
আমিঃসালা,মাঠে আয় আমি আসছি
রাফিঃওকে
কল কেটে দিয়ে ফ্রেস হয়ে রুমের বাইরে
আসলাম।মাহি সম্ভবত ওর রুমে আছে।তাই
ওর রুমে গিয়ে নক দিলাম।
আমিঃফ্রি আছিস?
মাহিঃহ্যা আয়
আমিঃআমি একটু বাইরে যাচ্ছি,তুইও চল
মাহিঃতুই একা খেতে যাবি নাকি?
আমিঃএকটা দাওয়াত পেয়েছি,তবে সেখানে
দেরি আছে যাওয়া।
মাহিঃওহ,যাবি কোথায়?
আমিঃরাফির সাথে দেখা করতে।
মাহিঃওকে,আমি বৃষ্টি আপুদের বাসায় যাবো
আমিঃবাসা লক দিয়ে যাবি
মাহিঃজানি আমি,বলতে হবে না।
আমিঃবাই বোনু?
বাসা থেকে বের হয়ে সোজা মাঠে আসলাম।
রাফি আগে থেকেই বসে আছে।আপনারা
ভাবছেন জয় আর রাহুল কোথায়…!
আসলে হারামিরা এক্সামের পরেরদিনই
নিজেদের আত্মীয়দের বাসায় ঘুরতে গেছে।
সে যায় হোক,রাফি কাছে এসে বসলাম।
রাফিঃমাহিকে নিয়ে আসলি না
আমিঃসালা ওকে আনতে যাবো কেনো?
রাফিঃবাসায় একা কি করবে?
আমিঃবৃষ্টির সাথে আছে
রাফিঃওহ,সাদিয়ার ব্যাপারে জানিস?
আমিঃআমি কিভাবে জানবো?
রাফিঃসাদিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আমিঃগুড নিউজ
রাফিঃতোকে কিছু বলেনি?
আমিঃআমাকে বলবেই বা কেনো?
রাফিঃতোকে নাকি কল করেছিলো।তোর
ফোন বন্ধ পাচ্ছিলো।আর বিয়ে দুদিন আগে
ঠিক হয়েছে,কেউ তেমন জানে না।
আমিঃবাদ দে এসব বিয়ে শাদীর কথা
রাফিঃআরো একটা কাহিনী ঘটেছে
আমিঃতোর কাহিনী তোর কাছেই রাখ।ওই
দুই সালা কবে আসবে?
রাফিঃআরে শোন যেটা বলি
আমিঃবল
রাফিঃজান্নাত হাত কেটেছিলো?
আমিঃকেনো?
রাফিঃজানিনা,সবাই জিজ্ঞাস করছে।কিন্তু
কাউকে কিচ্ছু বলেনি।
আমিঃওর বাবা মায়ের জন্য হয়তো
রাফিঃআরে না,ওর বাবা এখন আগের থেকে
অনেক ভালো হয়েছে।
আমিঃভালো হলেই ভালো,এখন কোথায়?
রাফিঃজান্নাত?
আমিঃহুম
রাফিঃবাসায় আছে,তবে কারো সাথে নাকি
তেমন কথা বলে না।
আমিঃগেছিলি ওর বাসায়?
রাফিঃহুম,তবে তখন ঘুমাচ্ছিলো।আর আম্মা
এসব আমাকে বলছে।
আমিঃওহ
রাফিঃতবে আমার মনে হয়,সব তোর জন্য…
দুজন অনেকটা সময় নিয়ে কথা বলার মাঝে
রায়হান আসলো।রায়হান হচ্ছে রাফির ছোট
ভাই।
রায়হানঃভাইয়া আম্মা ডাকে তোমাকে
রাফিঃবল নিলয় আসছে,ওর সাথে আছি।
রায়হানঃভাইয়াকে সাথে নিয়েই চলো।
রাফিঃতুই যা আমি আসছি
রায়হানঃওকে
রায়হান চলে যাবার পর রাফি বলল….
রাফিঃচল তাহলে যাই
আমিঃনা তুই যা,আমি বাসায় যাই
রাফিঃকেনো?
আমিঃমাহিকে সাথে নিয়ে আসি
রাফিঃহুম সেটাই ভালো হবে
আমিঃআচ্ছা যাই তাহলে।
রাফিঃহুম
সেখান থেকে উঠে বাসার দিকে রওনা দিলাম
মাঝপথে মাহিকে কল দিয়ে রেডি হতে বললাম
যদিও মাহি তখন বৃষ্টিদের বাসায়,তবে আগে
থেকে বললে একটু লেইট কম হবে।
বাসায় এসে বুঝতে পারলাম মাহি নিজের
রুমে আছে।হয়তো রেডি হচ্ছে,আমিও রুমে
এসে ড্রেসটা চেঞ্জ করে বাইরে আসলাম।
কিছু সময়ের মাঝে মাহিও আসলো।আর
দেরি না করে দুজন রওনা দিলাম।
মাহিঃদাওয়াত কোথায়?
আমিঃরাফির বাসায়
মাহিঃতোর গাওড়া ফ্রেন্ডের বাসায়?
আমিঃরাফি গাওড়া হতে যাবে কেনো?
মাহিঃঅনেক রাগি,কথাই কথাই রাগ দেখায়
আমিঃতবে ওর মন অনেক ভালো।
মাহিঃওহ
দুজন কথা বলতে বলতে রাফির বাসায় এসে
পৌছালাম।বাসার কলিংবেল বাজাতে রাফি
নিজেই খুলে দিলো।
রাফিঃস্বাগতম?
আমিঃসর সালা
বাসায় ঢুকে আন্টিকে সালাম দিলাম।
আন্টিঃতুমি মাহি তাই না?
মাহিঃজ্বি আন্টি
আন্টিঃআসো মা বসো এখানে
সবাই সোফার উপর বসতেই একটা রুম
থেকে জান্নাত আর ওর ছোট ভাই বের হলো।
জান্নাতঃআন্টি আমি যাচ্ছি
জান্নাতকে হঠাৎ দেখে বুকের ভিতর একটা
সাইক্লোন বয়ে গেলো।জান্নাতকে এমন
অবস্থায় দেখে বুকের বা পাশটাই চিন চিন
ব্যথা অনুভব করছিলাম সাথে নিশ্বাসটাও
অনেক ভারি হয়ে আসছিলো।চোখের নিচে
কালো দাগ পড়ে গেছে,চুলগুলো এলোমেলো,
ঠোঁটও ফেটে গেছে।হাতের দিকে লক্ষ্য করে
দেখলাম ব্যান্ডেজ এখনো আছে।জান্নাতকে
এমন ভাবে দেখবো সেটা কখনো ভাবতে
পারিনি।আমি জানি জান্নাত অনেক রাগি,
তবে আগে ও নিজের ঠিকভাবে যত্ন নিতো।
অনেক বেশি কেয়ারিং ছিলো,কিন্তু আজ
এমন দেখে মুহূর্তের মাঝে নিজেকে দোষী
মনে হতে লাগলো।
জান্নাত চলে যাওয়ার জন্য বলাই আন্টি বলল…
আন্টিঃসে কি,খেয়ে যা।
জান্নাতঃবাসায় গিয়ে খাবো
আন্টিঃআমি কিন্তু রাগ করবো
জান্নাতঃতোমার বাসায় মেহমান আসছে।
আন্টিঃতুই মনে হয় ওদের চিনিস না?
জান্নাতঃচিনি কিন্তু রিহান বাসায় যাবে বলছে
আন্টিঃরায়হান ওকে রুমে নিয়ে গিয়ে খেলা
কর।ড্রায়ারে অনেক কিছু পাবি
রায়হানঃওকে আম্মু,রিহান চল।
রিহানঃকি করবো আপু?
জান্নাতঃযা
রায়হানের সাথে রিহান রুমে যাওয়ার পর
আন্টি জান্নাতকে নিজের কাছে বসালো।
মাহিঃতোমার হাতে কি হয়েছে আপু?
জান্নাতঃহালকা কেটে গেছিলো
মাহিঃওহ
আন্টিঃতোমার বাসায় কে কে আছে মা?
মাহিঃআব্বু আম্মু ছোট বোন আর আমি।
আন্টিঃতোমার আব্বু কি করেন?
মাহিঃব্যাংকে জব করার পাশাপাশি খামার
আছে আমাদের,সেগুলো দেখাশোনা করে
আন্টিঃওহ,বেশ ভালো তো।
জান্নাতঃআমারও খামার দেখার অনেক ইচ্ছা
মাহিঃএবার তোমাকে নিয়ে যাবো আপু
আমিঃআচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি আর
রাফি রুমে যাচ্ছি।
আন্টিঃসেটার দরকার নেই।আমি খাবার
দিচ্ছি সেটা সবাই খেয়ে নে।
রাফিঃঠিক আছে দাও
জান্নাতের সাথে মাহি টুকটাক কথা বললেও
আন্টি উঠে সবার জন্য খাবার বেরে দিলো।
সবাই খাবার টেবিলে বসে টুকটাক কথা
বলার পাশাপাশি খাবার খাওয়া শেষ করলাম
তবে জান্নাতের সাথে আমি এখনো কোনো
কথা বলিনি।বলতে চেয়েও আন্টির জন্য
বলতে পারছিলাম না।কিন্তু কোনো একটা
কারণে আন্টি রুমে গেলে জান্নাতকে সাথে
নিয়ে রাফির রুমে আসলাম।দুজন রুমে এসে
চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি।কোথা থেকে শুরু
করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
জান্নাতঃকিছু বলবেন.?
আমিঃএ্যা,হ্যা বলবো।
জান্নাতঃবলুন
আমিঃহাত কেটেছিস কেনো?
জান্নাতঃহাত কেনো কাটতে যাবো?
আমিঃতাহলে হাতে ব্যান্ডেজ কেনো?
জান্নাতঃটেবিলে বসে থাকার সময় হঠাৎ করে
ফল কাটার ছুড়ি হাতে পড়েছে।
আমিঃআমাকেও মিথ্যা বলতে হবে?
জান্নাতঃদেখুন আমি আপনাকে মিথ্যা বলছি
না।আর আপনি এসব জেনে কি করবেন?
আমিঃকারণ আমি তোকে…..
জান্নাতঃআপনি কিছুই না।আপনি বাসায় যান
আপনাদের জন্য আপনার বাসার সবাই
অপেক্ষা করে বসে আছে।
আমিঃঅপেক্ষা করার মানুষগুলো নেই।
জান্নাতঃওহ
আমিঃআমার কথা শুনে তোর বিরক্তি লাগছে?
জান্নাতঃসেটা বলিনি,তবে ভালো লাগছে না।
বাসায় গিয়ে ঔষধ খেতে হবে।
আমিঃওহ
জান্নাতঃযাবো?
আমিঃআমি তো আর কেউ না,তাহলে আমার
থেকে পারমিশন নেয়ার কি আছে।
জান্নাতঃওকে
কথা না বাড়িয়ে জান্নাত রুম থেকে বের হয়ে
আন্টিকে বলে ওর ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে
চলে গেলো।আমরাও আর দেরি না করে বের
হলাম।রাফি আমাদের সাথে বাসা থেকে বের
হয়ে আসলো।
আমিঃতুই বাসায় যা
রাফিঃহুম যাবো,তবে জান্নাত কিছু বলেছে?
আমিঃআমাকে কিছু ভাবে না ওর লাইফে।
হয়তো এসবের জন্য আমি নিজেই দায়ী।
রাফিঃচিন্তা করিস না।আমি ওকে বলবো।
আমিঃসেটার দরকার নেই।
রাফিঃকেনো?
আমিঃআমি বলছি তাই
রাফিঃঠিক আছে,কাল থেকে কি ক্লাস করবি?
আমিঃআগে দুজনের ভর্তি হওয়া লাগবে
রাফিঃতাহলে সকাল সকাল যাস
আমিঃহুম,বাই
রাফিকে বিদায় জানিয়ে দুই ভাইবোন বাসার
দিকে রওনা দিলাম।দুজনের মাঝে টুকটাক
কথা হলেও জান্নাতের সম্পর্কে তেমন কথা
বলি নাই।বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন……..
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রুমের বাইরে এসে
দেখলাম মাহি বসে আছে।
মাহিঃকুত্তা এতো দেরি করে উঠলি কেন?
আমিঃতো কি করবো?
মাহিঃবাজারে যাওয়ার কথা ছিলো তোর।
আমিঃদুজন কলেজ থেকে আসার পর করবো
মাহিঃতোর মতো অলস কাউকে দেখিনি
আমিঃতোকে দেখে মন্র হচ্ছে তুই রেডি আছিস
মাহিঃহুম
আমিঃতাহলে ভর্তির জন্য সব কাগজ নিয়ে
আয়,আমি দাঁড়ালাম এখানে।
মাহিঃওকে
মাহি রুমে যাওয়ার পর একটা ব্যাগ নিয়ে
আসলো।সম্ভবত ব্যাগে সব কিছু আছে।তাই
আর দেরি না করে দুজন বের হলাম।প্রথমে
দুজন একটা হোটেল থেকে সকালের নাস্তা
করে বের হয়ে কলেজে গেলাম।মিনারের
উপর দুজন বসে আছি তখন লক্ষ্য করলাম
সাদিয়ার সাথে জান্নাত আসলো।সাদিয়া
জান্নাতের থেকে আলাদা হয়ে ফ্রেন্ডদের
দিকে চলে গেলো।আর জান্নাত এসে মিনারে
বসলো।হয়তো আমাদের এখনো খেয়াল
করেনি।মাহির সাথে কথা বলার ফাঁকেফাঁকে
লুকিয়ে জান্নাতকে দেখছিলাম।আগের মতো
আর নেই,আগে অনেক সাজসজ্জা করে
কলেজে আসতো।কিন্তু এখন সেসবের কিছুই
নেই।হঠাৎ রাফির ডাক শুনতে পেলাম।
রাফিঃনিলয় এদিকে আয়
আমিঃহুম,মাহি চল।
দুজন উঠে রাফির দিকে যাবো তখন খেয়াল
করলাম জান্নাত আমাদের দিকে তাকিয়ে
আছে।তবে এই তাকানোর মাঝে রয়েছে
অনেক বেশি আশা/মায়া।জানিনা আমার
কি হয়েছে।সবটা সময় ওর সাথে কথা বলতে
ইচ্ছা করে।আজ একটা কথা বুঝতে পারছি,
“সময় থাকতে সবার মর্যাদা দিতে হয়”।এই
কথাটার মানে হারে হারে টের পাচ্ছি।রাফির
সাথে এসে সবাই ভর্তি হয়ে নিলাম।আমাদের
দেরি না হলেও মাহি নতুন স্টুডেন্ট তাই ওর
জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন ছিলো।
সব কিছু শেষ করে মাঠে এসে দাঁড়ানোর
পর সুমু,রাত্রিদের সাথে জান্নাত আসলো।
তবে ওদের থেকে একটু পেছনে দাঁড়িয়ে
আছে।হয়তো আমার সাথে কথা বলতে চায়
না,সে কারণে।।
রাফিঃতোদের কি হলো?
রাত্রিঃপরশু সুমুর বার্থডে,তাই আমরা সবাই
মিলে একটা রেস্টুরেন্টে বার্থডে পালন করতে
চাচ্ছি।তবে এসবের জন্য তোমাদের লাগবে।
আমিঃআমাদের কেনো লাগবে?
সুমুঃএকটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে মেয়েরা এসব
করবে কেমন দেখায়..!
মাহিঃআপু আমাদের বাসা ফাকা আছে।যদি
আপনারা চান তাহলে আমাদের বাসায় সব
আয়োজন করতে পারো।
আমিঃপাগল নাকি,ওদের বাসায় নিলে বাসার
ফেলুদা বাজাই ফেলবে।
মাহিঃকিছুই হবে না,আর জান্নাত আপু তো
আমাদের সাথে থাকবেই।
সুমুঃনিলয় ভাইয়া..!
আমিঃআমি আর কি বলবো?
সুমুঃজান্নাত তুই কি বলিস
জান্নাতঃহুম
সুমুঃথ্যাংক ইউ ভাইয়া
আমিঃভাগ এখান থেকে
জান্নাতঃআপনার সমস্যা হলে বলতে পারেন।
আমরা অন্য কোথাও খুঁজে নেবো।
চলবে………
(শীঘ্রই মিল করিয়ে দিতে পারি।)