Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্ব১৬
#আবির হাসান নিলয়
খালাম্মার বাসায় এসে পৌঁছাতেই দেখলাম
মামি খালাম্মার সাথে বসে কথা বলছে।মামি
হয়তো জানতো না আমরা আসবো।তবে
আমাদের দেখে খালাম্মার সাথে তিনি নিজেও
আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো।
খালাম্মাঃআসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?
আম্মুঃনা
মামিঃকেমন আছেন আপু?
আম্মুঃআগের চাইতে অনেক ভালো।কিন্তু
তুমি এখানে কি না জেনে আসছো?
মামিঃহাহা না জেনে আসবো কেনো?
আম্মুঃজানলে তোমাকে কখনো আসতে দিবে
না।আর তুমি নিজেও আসবে না।
খালাম্মাঃভাবি সব জানে।
আম্মুঃওহ
খালাম্মাঃচল রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে।
আম্মুঃহুম
দাঁড়িয়ে না থেকে আব্বু আম্মু এক রুমে,
মাহির সাথে নিলু এক রুমে গেলো।যদিও
ওটা মাহির রুমই।আর আমি একটা আলাদা
রুমে আসলাম।রুমে এসে ফ্রেস হয়ে বিছানায়
শরিরটা এলিয়ে দিয়ে ফোন টিপছি তখন
মামি রুমে আসলো।মামিকে রুমে দেখে বসে
পড়লাম।
আমিঃবসেন মামি
মামিঃকেমন আছো?
আমিঃএইতো ভালো আছি,বাসার সবাই
কেমন আছেন?
মামিঃআছে ভালোই,এখনো তোমরা রেগে
আছো আমাদের প্রতি?
আমিঃরেগে থাকবো কেনো?
মামিঃএকবারও কল দিয়ে খোজ নাও না।
আমিঃআপনারাও তো নিতে পাড়তেন।
মামিঃতুমি তোমার নানু আর মামাকে চেনো।
যদি তাদের না জানিয়ে আমি তোমাদের সাথে
যোগাযোগ করতে যায় তাহলে আমাকে বাসা
থেকে বের করে দিতেও দুবার ভাববে না।
আমিঃহুম,এখানে আজ কি কারণে?
মামিঃআপু বললো তোমরা আসবে
আমিঃআপনাকে আসতে দিলো বাসা থেকে?
মামিঃতোমাদের আসার খবর জানে না।
আমিঃওহ,হাবিব এবার কোন ক্লাসে?
মামিঃক্লাস ফর-এ
আমিঃওকে নিয়ে আসেন নি?
মামিঃনা,যদি বাসায় গিয়ে বলে দেয় সেই
ভয়ে আনিনি।তবে কাজল আসবে।
আমিঃওহ
মামির সাথে টুকটাক কথা বলার সময় মাহি
রুমে আসলো।
মাহিঃমামি কাজল আসছে
মামিঃকোথায় এখন?
মাহিঃখালাম্মার সাথে কথা বলছে
মামিঃনিলয় তোমার সাথে পরে কথা বলছি।
আমিঃঠিক আছে।
কাজল হলো আমার মামাতো বোন।ছোট
বেলায় খালাম্মার বাসায় যখন আমি আসতাম
তখন কাজল নিজেও এসে থাকতো।তবে
সময়ের সাথে সাথে সবাই বদলে গেছে।আমি
তেমন খালাম্মার বাসায় আসি না।এদিকে
কাজলের সাথেও কথা হয়না।জানিনা কেনো
যোগাযোগ নেই,তবে মনে হয় ওর বাসার
জন্য যোগাযোগ করতে ভয় পায়।তবে এসব
নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যথা নেই।যে যার
মতো জীবন পরিচালনা করতেই পারে।মামি
চলে যাবার পর ফোনটা চার্জে দিলাম।পুরো
বন্ধ হয়ে গেছে।ফোন চার্জে ঢুকিয়ে দিয়ে
একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম সারাদিন
জার্নি করে অনেক ক্লান্ত লাগছে। তাই শরিরটা
এলিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে গেলাম।
*********জান্নাতের কথা**********
রুমে একাকী বসে আছে তখন সাদিয়া রুমে
এসে জান্নাতের কাছে বসলো।জান্নাত কিছু
না বলে ওদ দিকে একবার দেখে পুনরায়
নিজের ল্যাপটপের দিকে নজর দিলো।
সাদিয়াঃওই
জান্নাতঃকি?
সাদিয়াঃবন্ধ কর না
জান্নাতঃকি হয়েছে আগে বল
সাদিয়াঃকথা আছে
জান্নাতঃকি কথা
সাদিয়াঃচল না ঘুরতে যাই
জান্নাতঃঘুরতে যাবি যা,আমাকে বলার কি
দরকার আছে?
সাদিয়াঃতোকে নিয়েই তো যাবো
জান্নাতঃআমার মুড ঠিক নেই
সাদিয়াঃগেলে ঠিক হয়ে যাবে
জান্নাতঃবোন তুই যেখানে যেতে চাস যা,একা
যেতে ভয় পেলে রিহানকে সাথে নিয়ে যা।
সাদিয়াঃজানু যেখানে যাবো সেখানে তো
রিহানকে নেয়া যাবে না।
জান্নাতঃকাহিনি কি সেটা বল
সাদিয়াঃসিলেট যাবো ঘুরতে
জান্নাতঃযাবো না
সাদিয়াঃচল না,অনেক মজা হবে।
জান্নাতঃতোর মজা করার শখ হলে তুই যা।
সাদিয়াঃআব্বু একা যেতে দিবে না।আর
তাছাড়া আমি একা একটা মেয়ে কিভাবে যাই
জান্নাতঃদেখ,মাত্র আমাদের ব্রেকআপ হয়ছে
আর তুই এরই মাঝে ঘুরাফেরার কথা বলছিস
সাদিয়াঃনিলয়কে নিয়েই যাবো
জান্নাতঃহুম তুই বললি আর ও যাবে
সাদিয়াঃও গেলে যাবি?
জান্নাতঃনা
সাদিয়াঃআবার না কেনো?
জান্নাতঃওর সাথে আমি কোনোপ্রকার কথা
বলতে চাই না।
সাদিয়াঃচুপ,আমি ওকে কল দিচ্ছি
সাদিয়া ফোন বের করে নিলয়ের নাম্বারে
কয়েকবার কল দেয়ার পর বন্ধ দেখালো।
তাই রাফির নাম্বারে কল দিয়ে লাউড
স্পিকার করলো।
সাদিয়াঃরাফি নিলয়ের নাম্বার বন্ধ কেনো?
রাফিঃজানিনা সঠিক
সাদিয়াঃতুই ওর সাথে?
রাফিঃনা,নিলয় তো চলে গেছে
সাদিয়াঃচলে গেছে মানে?
রাফিঃওরা দূরে একটা জায়গা নিছে।
সাদিয়াঃকোথায় সেটা?
রাফিঃসেটা বলিনি,ওর খালাম্মার বাসার
ওদিকে হয়তো।
সাদিয়াঃআর আসবে না?
রাফিঃজানিনা আমি,এখন রাখছি একটা
কাজ করছি।
সাদিয়াকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রাফি
কল কেটে দিলো।
সাদিয়াঃসবই তো শুনলি,চলনা আমরা যাই
জান্নাতঃতুই প্লিজ আমাকে একা ছেড়ে দে।
সাদিয়াঃআমি শিওর নিলয় আসবে,তুই প্লিজ
মন খারাপ করিস না।
জান্নাতঃপ্লিজ যা
সাদিয়া আর কিছু না বলে উঠে চলে গেলো।
জান্নাতের নিজেরও ভালো লাগছে না,সামনে
থাকা ল্যাপটপ হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে
কিছু একটা ভাবতে লাগলো।তবে নিজের
জন্য না,একটা অপূর্ণ ভালোবাসার কথা।
********নিলয়ের কথা***********
ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারলাম সন্ধ্যা হয়ে
গেছে।হালকা শীত শীত লাগছে,নভেম্বর মাস
তাই শীতের আভাষ ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
শুয়ে না থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে সোজা ছাদে
চলে গেলাম।আজ আর বাসা থেকে বের
হবো না।তাই ছাদ থেকেই আশেপাশের প্রকৃতি
দেকজছিলাম।তবে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম কেউ
একজন ছাদে আসলো।হালকা অন্ধকারে
তেমন একটা চেনা যাচ্ছিলো না।তবে বেশ
ভালো করে বোঝা যাচ্ছিলো কোনো মেয়ে।
—কি অবস্থা?
আমিঃচিনলাম না সঠিক
—না চিনলে কি কথা বলা যাবে না?
আমিঃসেটা বলিনি
—তবে আমার মনে হলো এটাই।
আমিঃঅনেকের মন অনেক কিছুই বলে।
—সেটা ঠিক
আমিঃঅবস্থা তেমন স্থিতিশীল নয়
—পাগল কুত্তা,আমি কাজল।
আমিঃকোন কাগল?(মজা করে)
কাজলঃতুই কয়টা কাজলকে চিনিস?
আমিঃঅনেকগুলোরে চিনি,তারমধ্য দুটো
আমার এক্স আর একটা আমার মামাতো
বোন।যদিও ও পাগলির কোনো ঠিকঠিকানা
নাই,তাই বললাম অনেকগুলোকে চিনি।
কাজলঃসালা আমাকে পাগলি লাগে তোর?
আমিঃআগে লাগতো এখন এই অন্ধকারে
ঠিকভাবে দেখতেই পারছি না।
কাজলঃমজা বাদ দে,কেমন আছিস?
আমিঃএইতো ভালো,তুই?
কাজলঃআছি বিন্দাস
আমিঃআসছি সেই কখন,আর তুই এখন
কথা বলতে আসছিস।
কাজলঃতুই নিজেই কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমাচ্ছিলি,
তাছাড়া তুই নিজেও জার্নি করে আসছিলি।
তাই আর ডাকিনি।
আমিঃওহ
কাজলঃচল নিচে যায়
আমিঃনিচে গিয়ে আমি কি করবো?
কাজলঃকথা বলি সবার সাথে
আমিঃতুই যা
কাজলঃওকে এখানেই কথা বলি
আমিঃহুম,চল বসি
ছাদের এক পাশে দুজন বসার পর কাজল
বাদাম হাতে দিলো।
কাজলঃবাদাম নে
আমিঃহুম,তোর বাসার সবাই আছে?
কাজলঃহুম ভালোই,চল কাল ঘুরতে যায়
আমিঃকোথায়?
কাজলঃআমাদের বাসায়
আমিঃতোদের বাসায় আমি কেনো যাবো?
কাজলঃওটা তোর মামার বাসা
আমিঃভাগ,আমি যাবো না
কাজলঃকেনো?
আমিঃএমনেই যাবো না
কাজলঃতাহলে আমার মামা বাড়ি যায়?
আমিঃতোর মামা বাড়ি গেলে সবাই আমাকে
ভাববে ফ্রি দাওয়াত খেতে চলে আসছি
কাজলঃকুত্তা বি-পজিটিভ। সব সময় উল্টো
বুঝোস কেনো?
আমিঃসোজাই তো বললাম?
কাজলঃকাল তাহলে যাচ্ছি ওকে?
আমিঃতুই আর আমি?
কাজলঃহ্যা
আমিঃমাহি যাবে না?
কাজলঃমাহি নিলুকে নিয়ে বের হবে
আমিঃওহ,আচ্ছা যাবো।
কাজলঃওকে,চল এখন নিচে যাই..!
আমিঃহুম
সেখানে না থেকে দুজন ছাদ থেকে নেমে
বাসার ভিতরে আসলাম।
খালাম্মাঃতোরা নাস্তা করবি না?
কাজলঃহ্যা দাও,অনেক ক্ষুধা লাগছে
আমিঃএতো টাইম তো বাদাম খালি
কাজলঃবাদাম খেয়ে পেট ভরে?
আমিঃতুই ভালো জানিস
কাজলঃবড় ফুপি তোমার ছেলে এমন কেন?
আম্মুঃও আবার কেমন হবে?
কাজলঃএকদম পাগল আর ঘারত্যাড়া
আমিঃআম্মুর কাছে এসব বললেও বিশ্বাস
করবে না।
কাজলঃহু?
আব্বুঃতোমার বাসা থেকে কেউ জানে যে
তুমি এখানে আসছো?
কাজলঃশুধু আম্মু জানে আঙ্কেল
আব্বুঃসবাইকে না বলে এখানে আসা ঠিক
হয়নি।উনারা আমাদের এমনিতেই সহ্য করতে
পারে না।আর তুমি কাউকে না বলে আসছো।
কাজলঃওদের সবাই মাথায় গোবর থাকলে
আমার কি..!আমি সবার সাথে মিলেমিশে
থাকতে চাই।
আব্বুঃতবে জানলে তোমাকে বকা দিবে
কাজলঃফুপি তুমি আঙ্কেলকে বোঝাও তো
আম্মুঃআচ্ছা বাদ দাও,এখন আর কথা না
বলে নাস্তা করে নাও।
—হুম
পরেরদিন……
একটা রিক্সা নিয়ে আমি আর কাজল ওর
মামা বাসার দিকে রওনা দিলাম।মাঝপথে
দুজনের মধ্যে বেশ ভালোই কথা হয়েছে।
অনেক ছোট বেলায় এসেছিলাম,ঠিকভাবে
মনেই নেই ওর মামা কিংবা নানার চেহারা।
একটা বাসার সামনে এসে রিক্সা দাড় করিয়ে
নামলাম।সম্ভবত এটাই কাজলের মামা বাড়ি।
রিক্সা থেকে নামার পর দুজন বাসার মধ্যে
চলে গেলাম।হঠাৎ কাজলকে দেখে একজন
বলতে লাগলো….
—মেয়ে দেখছি নিজের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে
এসে গেছে।
কাজলঃআজাইরা কথা বাদ দাও,ওর নাম
নিলয়।আমার ফুফাতো ভাই।আর আমার
বয়ফ্রেন্ড তোমার ছেলে।
—সেই ছোট্ট নিলয়…!
কাজলঃহ্যা
—সরি আসলে চিনতে পারিনি।কেমন আছো?
আমিঃজ্বি ভালো আছি,আপনি?
—ভালো,আসো বসো।আমি তোমাদের জন্য
নাস্তার ব্যবস্থা করছি।
কাজলঃহুম যাও,আর তোমার ছেলে মেয়ে
কোথায় গেছে?
—ছেলে বাইরে আর মেয়ে রুমে আছে।
কাজলঃওহ
—বস আমি আসছি
উনি সেখান থেকে চলে যেতেই কাজল বলল.
কাজলঃউনি আমার মামি
আমিঃহ্যা চিনতে পারছি,কিন্তু বয়ফ্রেন্ড কে?
কাজলঃআবরাব হচ্ছে আমার মামাতো ভাই
সাথে আমার বয়ফ্রেন্ড।সেই কবে থেকে দুজন
প্রেম করি।তবে পাগল ফ্যামিলির কেউ বুঝতে
চায় না আমরা রিলেশনে আছি।সবাই ভাবে
আমরা মজা করছি।
আমিঃওহহ
কাজলঃআর উনার একটা মেয়ে আছে,নাম
আহি।কুত্তীটা আমার সাথে পড়াশোনা করলেও
কুত্তী আমার চাইতে সেই ব্রিলিয়ান্ট।
আমিঃতুই পড়াশোনাও করিস?
কাজলঃসেটাই তো,আমার সাথে থেকেও
ও ভালো ক্যামনে হয়?
আমিঃতোরাই ভালো জানিস।
দুজন কথা বলছি এমন সময় একটা মেয়ে
আমাদের মাঝে আসলো।
—উনাকে ঠিক চিনলাম না
কাজলঃও হচ্ছে আমার নিলয়,আমার মামাতো
ভাই।আর নিলয় এটা হচ্ছে সেই কুত্তীটা।
আমিঃহুম বুঝলাম।
আহিঃআপনি আমাকে কুত্তী বলে মানলেন?
আমিঃআমি কোথায় মানলাম?
আহিঃতাবে বললেন কেনো,“বুঝলাম”
আমিঃসেটা তো আপনাকে চিনলাম বলে বলছি
কাজলঃকুত্তী আমার ভাইটার লগে ভালো
করে কথা বল।অতিথিকে সম্মান করতে
জানিস না?
আহিঃউনি অতিথি ঠিক আছে,তবে তুই তো
আর অতিথি না।তুই ভাগ এখান থেকে।
কাজলঃআইছে?
মেয়ে মানুষ আর কিছু পারুক আর না পারুক
খুব করে ঝগড়া ভালোই করতে পারে।এদিকে
ওদের কথাবার্তা শুনে আমি যখন তখন
বেহুঁশ হয়ে যাবো।এসবের মাঝে কাজলের
মামি আমাদের জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো।
উনার সাথে টুকটাক কথা বলার পাশাপাশি
নাস্তা শেষ করলাম।অনেক সুন্দর এবং মিশুক
প্রকৃতির মানুষ। সবার সাথে বেশ ভালোই
মিশে যেতে পারে।
আন্টিঃতোরা বাসায় না থেকে নিলয়কে নিয়ে
ঘুরে আয়।
কাজলঃআবরাব আসবে কখন?
আহিঃধুর তোর আবরাব,যাবি কিনা বল?
কাজলঃযাবোই তো
আহিঃতাহলে চল
কাজলঃতুই রেডি হয়ে আয়
আহিঃরেডি হওয়ার কিছু নেই,প্রকৃতি যেটা
উপহার দিয়েছে সেটাই মানুষের আসল সুন্দর
কাজলঃহয় বোনু,চলো।
আহিঃহুম
কাজলঃমামি গেলাম
আন্টিঃহুম সাবধানে যাস
আমিঃআল্লাহ হাফেজ আন্টি
আন্টিঃখোদা হাফেজ।
আর বাসায় না থেকে তিনজন বাসার বাইরে
এসে একটা রিক্সা নিলাম।।এখানকার কিছুই
চিনি না,তাই ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে
কোনো একটা জায়গাতে যেতে লাগলো।
চলবে……….