Ex গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ১৪
#আবির হাসান নিলয়
সকালে ঘুম থেকে উঠে রুমের বাইরে এসে
দেখলাম জান্নাত চুপচাপ বসে আছে।দেখে
মনে হচ্ছে অনেক কান্না করেছে।
আমিঃকি হয়েছে?
জান্নাতঃ…..
আমিঃকি হয়েছে আম্মু?
আম্মুঃজান্নাতের মাকে হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
আমিঃকেনো?
আম্মুঃকেনো সেটা বলছে না।
আমিঃকান্না করছিস কেনো?
(জান্নাতের কাছে গিয়ে হাত ধরে বললাম)
আমিঃআমাকে বল
জান্নাতঃএমনি
আমিঃআন্টির কি হয়েছে?
জান্নাতঃ…..(কিছু না বলে কান্না করছে)
আমিঃবলবি তো কি হয়েছে।
জান্নাতঃআম্মু হয়তো আর বাঁচবে না
আমিঃবাজে কথা বাদ দে,আব্বু কোথায়?
আম্মুঃহাসপাতালে গেছে
আমিঃবলবি প্লিজ আমাকে?
জান্নাতঃআব্বু আম্মুকে মেরেছে
আমিঃকেনো?
কান্না করতে করতে বলতে শুরু করলো…
জান্নাতঃকাল যখন সবাই চলে যাচ্ছিলো
তখন সাদিয়া আর সাইফ বড় বাবা আর
আব্বুর সাথে কথা বলার জন্য দাঁড়ায়।সাদিয়া
নাকি সাইফকে বিয়ে করতে চায়।সবাই মত
দিলেও তখন আম্মু বলে…..
(ফ্ল্যাশব্যাক)(জান্নাতের আম্মুকে আন্টি,ওর
আব্বুকে আঙ্কেল বললাম)
আন্টিঃসাইফের সাথে তোর সম্পর্ক কতদিন?
সাদিয়াঃঅনেক দিনের ছোট মা।
আন্টিঃতুই ওর সাথে সুখে থাকবি?
সাদিয়াঃহ্যা
আন্টিঃতুমি আমাদের মেয়েকে সুখে রাখতে
পাড়বে তো সারাজীবন?
সাইফঃপারবো আন্টি।
আন্টিঃভাইয়া ভাবি তোমরা কি বলো?
চাচাঃআমি আর কি বলবো,ওরা যেখানে
খুশি পাবে সেখানে আমাদের দ্বিমত করে
কোনো লাভ নেই।
আঙ্কেলঃহুম সেটাই ভালো।
চাচাঃতুমি তোমার ফ্যামিলিকে আসতে বলো
সাইফঃজ্বি,এখন আমি তাহলে আসি..
চাচাঃহ্যা যাও
সাইফ চলে যাবার পর সবাই যে যার রুমে
চলে যাবে তখন আম্মু সবাইকে যেতে বারণ
করলো।জানিনা আম্মুর তখন কি হয়েছিলো
তবে তখন আম্মুকে অনেক রাগি দেখাচ্ছিলো
আঙ্কেলঃকি হলো আবার?
আন্টিঃসাদিয়ার তো নিজের পছন্দের ছেলের
সাথেই বিয়ে হবে।কিন্তু আমার মেয়ে কি
দোষ করেছিলো?কেনো আমার মেয়ে কষ্ট
পাচ্ছে?তোমরা সবাই নিজেরা নিজেদের নিয়ে
ভাবতে ব্যস্ত।কিন্তু আমার মেয়েকে নিয়ে কে
ভাবছে বলবে একটু?
আঙ্কেলঃকি বলতে চাইছিস তুই?
আন্টিঃপ্রথমে তুমি তুই করে বলা বন্ধ করো
আঙ্কেলঃনা করলে কি করবি তুই?
চাচাঃছোট চুপ কর,আরোহী তুমি রুমে যাও
এসব নিয়ে পরে কথা বলবো।
আন্টিঃকেনো ভাই?আপনি আপনার মেয়ের
সুখের কথা ভাবলেন কিন্তু ও নিজের মেয়ের
সুখের কথা কি একবারের জন্যও ভাববে না?
আঙ্কেলঃতোকে রুমে যেতে বললো না?
চাচাঃজিহাদ তুই চুপ কর।তুই বস আমি এসব
নিয়ে কথা বলছি।
আন্টিঃসাদিয়া তোর নিজেরও অনেক আগে
বলা উচিৎ ছিলো তুই সাইফের সাথে আছিস।
তাহলে অন্তত তোর মতো আমার মেয়েও
একটু হ্যাপী থাকতে পারতো।
সাদিয়াঃসরি ছোট মা।
জান্নাতঃআম্মু তুমি রুমে চলো।
আন্টিঃকেনো রুমে যাবো?আমার ভাবতেও
কেমন ঘৃণা হচ্ছে ওর মতো লোক আমার
স্বামী।এতোদিন তুই আমাকে ছেড়ে দিতে
চাইতি না,এখন আমি তোকে ছেরে দেবো।
আঙ্কেলঃতুই রুমে যা,না হলে অনেক খারাপ
হবে বলে দিলাম।
আন্টিঃআর কতো খারাপ করবি তুই?
জান্নাতঃআম্মু তুমি প্লিজ আমার সাথে রুমে
চলো।এসব বাদ দাও প্লিজ।
আন্টিঃছাড় আমাকে,আজ সব আমাকে
বলতে দে।
আঙ্কেলঃখুব বলার ইচ্ছা তোর তাই না?তোকে
দেখাচ্ছি আমি কি করতে পারি।
আব্বু তখন আম্মুর দিকে এগিয়ে আসার
পথে আমি বড় বাবা থামাতে চাইলেও সবাই
ব্যর্থ হয়।আমাদের থেকে ছুটে গিয়ে আম্মুকে
ধাক্কা দিতেই সিঁড়ির সাথে মাথা লেগে ফ্লোরে
পড়ে যায়।অনেক রক্ত বের হচ্ছিলো,তখন
কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি করবো।
তখন বড় আব্বু আর বড়মা মিলে আম্মুকে
নিয়ে হাসপাতালে যায়।সারারাত হাসপাতালে
কাটিয়ে ভোর হতেই এখানে আসছি।
এটুকু বলেই ফুঁপিয়ে কান্না করতে লাগলো।
জান্নাতকে শক্ত করে ধরে বললাম…
আমিঃতোর মামাকে বলছিস?
জান্নাতঃহুম,এখানে এসে কল দিছিলাম।
আমিঃআম্মু ওর জন্য নাস্তা নিয়ে আসো।
আম্মুঃকখন থেকে বলছি কিছুই খাচ্ছে না
আমিঃখাচ্ছিস না কেনো?
জান্নাতঃভালো লাগছে না
আমিঃএকটু খেয়ে নে
জান্নাতঃউহু
আমিঃআমার রুমে চল
জান্নাতকে ধরে আমার রুমে নিয়ে আসলাম।
খাটে বসিয়ে দেয়ার পর বলল…
জান্নাতঃবাথরুমে যাবো
আমিঃঠিক আছে,আমি খাবার নিয়ে আসছি
জান্নাতকে বাথরুমে দিয়ে বাইরে এসে খাবার
নিয়ে রুমে গেলাম।অনেক বেশি খারাপ
লাগছে সাথে অনেক রাগও হচ্ছে।আমার
জন্য হচ্ছে সব,যদি আমি না থাকতাম তাহলে
সব ঠিক থাকতো।নিজের প্রতি নিজের রাগ
হতে শুরু করছে।যদি সাদিয়ার সাথে তখন
তেমন ফ্রি হয়ে কথাবার্তা না বলতাম তাহলে
সাদিয়া নিজেও আমার সাথে রিলেশন করতে
আসতো না,আর এসব কিছুও হতো না।
এসব কিছু ভাবতে ভাবতে জান্নাত আসলো।
আমিঃআয় এখানে বস
জান্নাতঃ…(কিছু না বলে বসলো)
আমিঃখেয়ে নে
জান্নাতঃভালো লাগছে না
আমিঃএকটু খেয়ে নে
জান্নাতঃনা
আমিঃআমি খাইয়ে দিচ্ছি।হা কর
অনেকটা জোর করে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
খাওয়ার সময়টাতেও কান্না করছিলো।কি
বলে শান্তনা দেবো আমার নিজেরও জানা
নেই।জান্নাতকে খাইয়ে দেয়ার পর প্লেট নিয়ে
বাইরে এসে হাত ধুয়ে নিলাম।
আম্মুঃখেয়েছে?
আমিঃহুম
আম্মুঃতুই ওর সাথে কথা বল আমিও একটু
হাসপাতালে যাবো।
আমিঃতোমাদের যাওয়ার দরকার নেই।
আম্মুঃকেনো?
আমিঃআমি বলছি তাই
আর কোনো কথা না শুনে রুমে আসলাম।।
আমিঃতুই এখন একটু ঘুমা
জান্নাতঃতুই কোথায় যাবি?
আমিঃহাসপাতালে
জান্নাতঃআমিও যাবো
আমিঃতুই এখানেই থাক,সারারাত ঘুমাস
নাই।এখন একটু ঘুমা।
জান্নাতঃআমাকে নিয়ে চল প্লিজ
আমিঃচুপ,কথা না বলে ঘুমা।
জান্নাতঃতুইও আমাকে বদ্ধ করে রাখতে চাস
আমিঃতোকে আটকিয়ে রাখার সাধ্য আমার
নেই।কিন্তু আমি চাই তুই এখন এখানে থাকবি
হাসপাতালে তোকে নিয়ে গিয়ে কোনো ঝামেলা
পোহাতে চাই না।
জান্নাতঃআমার আম্মু অসুস্থ,আমার জায়গা
তুই হলে কি করতি?
আমিঃচুপ থাকতাম।
জান্নাতঃতুই কিভাবে জানবি আমার মনের
মধ্যে কি চলছে,তুই তো আমাকে কখনো
ভালোবাসিস নাই।তুই আমার বাবার সম্পত্তি
এবং তার পাওয়ারকে ভালোবেসেছিলি।
আমিঃঠাসসস,একটাও বাজে কথা না।তোকে
এখানে থাকতে বলছি মানে তুই এখানেই
থাকবি।আর আমি কাকে ভালোবাসি সেটা
তুই খুব ভালো করেই জানতে পারবি।আর
যদি এখানে খারাপ কিছু করতে যাওয়ার
চেষ্টাও করিস আমার থেকে খারাপ অন্য
কেউ হবে না।
রুম থেকে বের হয়ে জান্নাতের খেয়াল রাখার
জন্য আম্মুকে বলে হাসপাতালের দিকে
রওনা দিলাম।
কিছু সময় পর হাসপাতালে এসে দেখলাম
সাদিয়া রিহানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃআন্টি কোথায়?
সাদিয়াঃদুতলায় ১৩৪ নাম্বার রুমে।
আর কিছু না বলে সোজা রুমের দিকে যেতে
শুরু করলাম।দুতলায় এসে দেখলাম অনেকে
দাঁড়িয়ে আছে।আব্বুকেও দেখলাম সবার
সাথে দাঁড়িয়ে আছে।তবে কাউকে কিছু না
বলে রুমে ঢুকতে যাবো তখন জান্নাতের
মামি হাত ধরলো।
মামিঃরুমে একজন আছে
আমিঃকে?
মামিঃ…..
কিছু না বলাতে উনার থেকে হাত ছাড়িয়ে
নিয়ে রুমে ঢুকে দেখলাম জান্নাতের বাবা
একটা চেয়ার নিয়ে বসে আছে।উনাকে
এখানে দেখে অনেক বেশিই রাগ হচ্ছিলো।
তবে তার থেকে অনেক বেশি অবাক হচ্ছি
আন্টি উনার সাথে বেশ ভালো করেই কথা
বলছে।
আমিঃবেশ অবাক হচ্ছি আপনাদের দেখে।
আঙ্কেলঃও নিলয়..আসো।
আমিঃআপনি এখানে কেনো?
আঙ্কেলঃস্ত্রীর সেবা করতে আসলাম।
আমিঃমজা করা হচ্ছে?
আঙ্কেলঃমজা করতে যাবো কেনো?এতোদিন
আমি নিজের থেকে বের হয়ে অন্যান্য কাজ
করতে করতে ভুলেই গেছিলাম আমার স্ত্রী
সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা।
আমিঃআপনি এখান থেকে যান
বেশ কিছু সময় চুপ থাকার পর মুচকি হেসে
বলতে শুরু করলো….
আঙ্কেলঃস্ত্রীর সেবাও করতে দিবে না নাকি?
আমিঃসেবা করার জন্য বাইরে অনেক মানুষ
দাঁড়িয়ে আছে।
আঙ্কেলঃঠিক আছে যাচ্ছি।আর তোমার
কাছে একটু পর আসছি।
এটুকু বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
আমিঃএসব কি হচ্ছে আন্টি?
আন্টিঃকি?
আমিঃযার জন্য আপনি মরতে বসেছিলেন
তার সাথেই আপনি এখন কথা বলছেন।
আন্টিঃউনি আমার স্বামী পাগল।
আমিঃরাখুন আপনার স্বামী,আপনার মেয়ে
কেমন হয়ে গেছে জানেন?
আন্টিঃকোথায় আছে এখন?
আমিঃআমাদের বাসায়
আন্টিঃতাহলে ভালোই আছে।
আমিঃএকটু ক্লিয়ার করবেন কি হচ্ছে এসব?
আন্টিঃসেসব পরে তোমাকে বলবো।এখন
বলো জান্নাত কি কিছু খেয়েছে?
আমিঃআসার সময় খাইয়ে দিয়ে আসছি
আন্টিঃআমাদের বিয়ের পর আমাদের
সাংসারিক জীবন অনেক সুখের ছিলো।কি
করিনি আমরা তখন।সারাটা সময় একে
অপরের সাথে অনেক বেশি খুশিই ছিলাম।
বিয়ের কয়েকবছর পর যখন জান্নাত হলো
তখনো সব ঠিক ছিলো কিন্তু মেয়েটা বড়
হওয়ার পাশাপাশি জিহাদ(জান্নাতের বাবা)
নিজেকে পলিটিক্সের মধ্যে নিয়ে যেতে শুরু
করে।কিন্তু আমি সহ আমার ফ্যামিলির কেউ
চাইতাম না জিহাদ এসবের মধ্যে জড়িয়ে
পরুক।তখন থেকে আমাদের দুজনের সম্পর্ক
দিন দিন ভালোর থেকে খারাপের দিকে
যেতে শুরু করে।।একটা সময় চলে আসে
যখন আমাদের চাইতে ওর কাছে এসব বেশি
ইম্পরট্যান্ট হয়ে যায়।ব্যস তখন থেকে আমি
বুঝতে পারলাম আমার সন্তানদের দায়িত্ব
আমাকেই নিতে হবে।কিন্তু মাঝেমধ্যে এসব
নিয়ে আমাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো।
অনেক মারতো আমাকে কিন্তু তখন সব
মুখ বুঝে সহ্য করতাম।কারণ ছেলে নেয়ে
এখনো অনেক ছোট।ওদের বড় করার জন্য
জিহাদকে আমার পাশে লাগবে।কিন্তু যখন
তোকে আর জান্নাতকে আলাদা করলো
তখন আর চুপ থাকতে পারছিলাম না।সব
সময় নিজেকে থামিয়ে রাখতে চেয়েছি
কিন্তু গতকাল আর পারিনি।আমি জানি
জিহাদের অনেক রাগ।তবে খুব করে নিজের
আপনজনকে ভালোবাসতেও জানে।আজ
যখন আমার জ্ঞান ফেরে তখন আমার
পাশে ওকেই পেয়েছি।আমাকে হাত ধরে
ওয়াদা করেছে এসবের থেকে নিজেকে
গুটিয়ে নেবে।আর কখনো এসব পলিটিক্সে
জড়াবে না।
আমিঃআর আপনি বিশ্বাস করলেন?
আন্টিঃভালোবাসি অনেক,তাই বিশ্বাসটা
করতে বেশি সময় লাগে না।
আমিঃতাহলে তো আপনাদের মাঝে আমি
এসে ডিস্টার্ব করলাম।
আন্টিঃআরে না,জান্নাত কি করছে?
আমিঃঘুমাতে বলছি।এখন কি করছে জানিনা
আন্টিঃওহ
আমিঃআপনি বিশ্রাম নেন,আমি আসি
আন্টিঃহুম
রুম থেকে বের হয়ে দেখলাম সবাই মিলে
আঙ্কেলকে বকাঝকা করছে।প্রথমে সবাইকে
বারণ করতে চাইলেও করলাম না।একটু
বকা খেলে কিছুই হবে না।সবার থেকে কথা
শুনতে শুনতে বেচারা যায় যায় অবস্থা।
তখন আমার সাথে চোখাচোখি হতেই মুচকি
একটা হাসি দিয়ে সেখান থেকে আব্বুকে
নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে দেখলাম আম্মু ফোনে কারো
সাথে কথা বলছে।সম্ভবত মামার সাথে
কথা বলছিলো।কারণ আমাদের দেখে ফোন
রেখে দিলো।কারণ আমাদের সাথে মামার
বাড়ির সম্পর্ক খুব একটা ভালো না।
আম্মুঃএখন কি অবস্থা?
আব্বুঃএখন মোটামুটি ভালো।
আম্মুঃকথা হয়েছে?
আব্বুঃআমি রুমে যায়নি,নিলয় গেছিলো।
আম্মুঃকিছু বলছে?কেমন লাগছে এসব?
আমিঃপুড়ো পাগল একটা ফ্যামিলি।কাল
রাতে কি হয়েছে সব ভুলে গিয়ে দুজন বেশ
ভালোই মজা করছিলো।আমি আর এসব
ফ্যামিলির মাঝে নাই।আর কি একটা পাগল
মেয়েকে আমার গলাই ঝুলিয়ে দিছে।
আম্মুঃচুপ,ও রুমে আছে।
আমিঃআরে আম্মু তুমি একটু চিন্তা করো।
কাল রাতে কতো কি হয়ে গেছে,কিন্তু এদিকে
এই মেয়ে আমাদের জ্বালাতে আসছে।অন্য
দিকে ওর বাবা মা হাসপাতালে পুরানো দিনের
কথা ভেবে প্রেম করছে।এর চাইতে পাগল
ফ্যামিলি আর কোথায় পাবে?
আব্বুঃতোর সামনে যখন সবাই জান্নাতের
বাবাকে বকাঝকা করছিলো তখন তুই
সবাইকে কিছু বললি না কেনো?
আমিঃলোকটার এমন কিছু প্রাপ্ত। আমি আর
এসবের মধ্যে নাই।পুরো পাগলের দল।
এসব বলতে বলতে সোফার উপর বসার
পর জান্নাত রুম থেকে বের হলো।
আমিঃতুই ঘুমাস নাই?
জান্নাতঃঘুমালে নিশ্চয় এসব শুনতে পেতাম
না।তবে ভালোই হলো,আমার ফ্যামিলির
প্রতি তোর ধারণা পেয়ে গেলাম।
আমিঃআল্লাহ আবার কোন ঝামেলার মধ্যে
ফেললে আমাকে।দেখ তোর আব্বু আম্মুর
কাহিনী দেখে এসব বলছি,কিন্তু তুই যদি
এসব সিরিয়াসলি নিস…!
জান্নাতঃহো তুই তো এসব মজা করে বলছিস
তাই না..?
চলবে………….