#Different_Love
গল্পছোঁয়া
28 (Last part)
— ওর বিষয়ে কি বলেছো,মানে কেমনে কি??
— আসলে… (আরিয়া সবটা খুলে বললো)
— এমনিকি বাচ্চা বলি,বুদ্ধির জাহাজ একেবারে।
— এই হ্যালো,এই বুদ্ধির জোরেই কিন্তু টিকে আছি এতগুলো বছর ধরে।
— হুম,সেটা ভাগ্যক্রমে।
তানাহলে এই ছেলেমানুষী আইডিয়া সাকসেস হওয়ার কথা না,আমি বুঝতে পারছিনা রোজের মতো একজন বিচক্ষণ ব্যাক্তি এসব গাঁজাখোরি প্ল্যানে সাপোর্ট করলো কি করে।
— টিস কম করে করো ওকে,নিজেতো আমাকে একা ছেরে দিয়েছিলে।ছেলেমানুষী হোক আর যাইহোক,এই বুদ্ধির জোরেই টিকে আছি আর আমাদের ছেলেকেও বড় করেছি হুম।আমান কতো ইন্টেলিজেন্ট জানো,সব আমার শিক্ষায়
— হয়েছে হয়েছে,বুঝেছি আমি।
নিজের ঢাক আর পেটাতে হবে না, আরিয়ার বুদ্ধির বিস্তার জানা হয়ে গেছে আমার।
— তুমিই…এই ১মিনিট ১মিনিট
আমানের ব্যাপারে তুমি জানলে কি করে,আমান তখন যেভাবে তোমার সাথে কথা বললো,আমার তো মনে হচ্ছে পূর্বপরিচিত তোমরা,কেইসটা কি বলোতো
— হাহাহা,শোনো… (সবটা খুলে বললো)
বাপকা ব্যাটা,আমার কথামতো তোমাকে কিছু বলেনি দেখেছো।
— ওও আচ্ছা আচ্ছা,এসেই ছেলেকে নিজের দলে টেনে নিয়েছো দেখছি।
এনিওয়েস,একটা কথা বলোতো
— কি বলবো
— আজকে তুমি যেভাবে আমার সাথে কথা বলছো,আগেতো কখনো এভাবে বলোনি (ভ্রু-কুচকে)
— সেসব বাদ দাও,বউতো তুমি আমার এটাই বড় কথা।
তুমি কি জানো,আমি তোমাকে আগে থেকেই চিনি?
— কি-ই (অবাক হয়ে)
— হুম,,(আয়মান সবটা বললো,আরিয়াকে স্কুলে ১ম দেখার কথা) তখন থেকেই তোমার প্রতি একটা ভালোলাগা ছিল,পরে বুঝতে পেরেছি ইট’স লাভ।
আড়ালে থেকে তোমার ওপর নজর রাখতাম,স্পেশাল দিনগুলোতে গিফট পাঠাতাম।
আমি তো জানতাম আমার প্রফেশন,লাইফ রিস্ক।তাই তোমার সাথে নিজেকে জড়াতে চাইনি বিধায় কখনো তোমার সামনে আসিনি।দূরে আড়ালে থেকেই ভালোবেসে গেছি,তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা ছিলো অন্যরকম।It’s called #different_love.
যতই দূরে থাকার চেষ্টা করিনা কেন,ওইযে ভাগ্য।আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে একে-অপরের মিলন লিখে রেখেছেন তাই ওইদিন আচমকাই একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং সূত্র ধরে অ্যাক্সিডেন্টলি আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো, জড়িয়ে গেলাম একে-অপরের সাথে।
— হুম,এতবছরের দূরত্ব, ঝড়ঝাপটা শেষেও আমরা আবার এক হয়েছি।সত্যিই, আল্লাহ চাইলে কি-না পারেন
আরিয়া আর আয়মান আরও বিভিন্নরকম কথা বলছে,এর মধ্যেই অহনা দরজায় নক করলো।আরিয়া গিয়ে দরজা খুলে দিলো,অহনা লাঞ্চের জন্য ডাকতে এসেছে।
★
খাবার টেবিলে,,
আরিয়া ধীরেধীরে খাবার খাচ্ছে,আয়মান নিজের খাবার শেষ করে সোফায় বসে নিউজপেপার চেইক দিচ্ছে।অহনা প্লেটে ভাত নিয়ে আঙুল দিয়ে নাড়াচাড়া করছে,খাওয়া বাদ দিয়ে।যেটা আয়মানের চোখ এড়ালোনা,বেশ অনেক্ষন যাবত লক্ষ্য করার পর এবার মুখ খুললো আয়মান..
— কি ব্যাপার শালিকা,মন খারাপ??
— (নো রেসপন্স)
— বাবা-মায়ের জন্য মন খারাপ??
অহনা এবার ফুপিয়ে কান্না করলো,আরিয়া চেয়ার ছেড়ে উঠে অহনার পেছনে দাড়িয়ে অহনার কাঁধে হাত রাখলো।
— কাঁদিস না বোন,খারাপ লাগলে বাড়ি চলে যা।আমার জন্য চিন্তা করিসনা,আমি আমার ভাগ্য কে মেনে নিয়েছি,যা হবার সেটাই হবে।
— সমস্যা নেই, আই এম ওকে ভাইয়া।
একচুয়ালি কালকে এক্সাম তো তাই টেনশন হচ্ছিলো এই যা,নাথিং এল্স।আমি রুমে যাচ্ছি, অনেক পড়া আছে (মুখে কৃত্রিম হাসি এনে)
আরিয়াও ফুস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে রুমে চলে গেলো, আয়মান হাতে থাকা নিউজপেপার টা টি-টেবিলে রেখে পকেট থেকে ফোন বের করে কাকে যেন কল করলো।তারপর রুমে গিয়ে আরিয়াকে বললো যে অফিসে যাচ্ছে,ফিরতে অনেক রাত হবে।তারপর সে আমানকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
রাত ১ঃ০০টা অবধি অপেক্ষা করার পরেও আয়মান ফিরলোনা,অপেক্ষা করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লো আরিয়া।
সকালে সফট মিউজিক আর থালাবাসনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো আরিয়ার,আড়মোড়া ভেঙে সাইডে তাকিয়ে দেখে আমান নেই। ঘড়িতে বাজে সকাল ৮টা,ও মাই গড অনেক বেলা হয়ে গেছে।
আয়মান কি এখনো ফেরেনি।
সব ভাবনা সাইডে রেখে আরিয়া উঠে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো,তারপর রুম থেকে বেরিয়ে দেখলো,আমান আর আয়মানের মাথায় শেইফ দের টুপি,ওরা আয়মান কিচেনে কিছু একটা রান্না করছে আর আয়মানের সাইডে একটা বড় চেয়ার রাখা, তারওপরে আমান বসে আছে। আমান মশলার ডিব্বা গুলো আয়মান কে এগিয়ে দিচ্ছে।
আরিয়া ভ্রু-কুচকে কিচেনে গিয়ে বুকে দুহাত গুজে দাড়ালো,,,
— কি হচ্ছে টা কি এখানে?
— নান্না হচ্চে মাম্মাম,আচকে আমি আর বাবাই নান্না করতি।থুমি আল আন্তি কাবে
— এ্যাএএএ রান্না করছি,ছেলেরা যে কতো রান্না জানে সেটা সবারই জানা,দেখিদেখি বাবা-ছেলে সরো তো দেখি,আমি করছি
— এইযে,এক্সকিউজ মি ম্যাডাম।আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আমি সব রান্নাই জানি।আপনাকে আমিই রান্না শিখিয়েছিলাম,আর আজকে দেখি ভালো ভণিতা করছেন (আয়মান ভ্রু নাচিয়ে)
অহনাও উপস্থিত,সেও এগুলো শুনে হাসছে।আরিয়া রেগে অহনার দিকে তাকালো।
— আরিয়া আপু তো এখনো ভালো রান্না জানেনা,৩-৪টা জানে আরকি।যেগুলো আপনি শিখিয়েছেন গ্রামে গিয়ে।
প্রতিদিনের রান্না আমাকেই করতে হয়
— তাই নাকি আরিয়া,অহনা কি ঠিক বলছে?? (আয়মান দাঁত কিলিয়ে)
— তোমরাই থাকো,আমি আসছি
আরিয়া রেগে চলে যেতে নিবে তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো,আরিয়া দরজা খুলতে যাবে,তখনই আয়মান বললো অহনাকেও যেতে।
অজ্ঞতা,দুবোন একসঙ্গে গেলো দরজা খুলতে।অহনা দরজা খুলতেই দেখলো ওর বাবা-মা দাঁড়িয়ে আছে,ওদের পেছনে রোজ-নিমু,আরাফাত-হিমু হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে।
বাবা-মা কে দেখে অহনার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো, ঝাপটে জড়িয়ে ধরলো নিজের মা’কে।
আরিয়ারও চোখে পানি ছলছল করছে, কিন্তু চাপা অভিমানে সে উল্টোদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে।
— কিরে মা,কাছে আসবিনা?? (বাবা)
— এইযে বইনা,আমি এই অবস্থায় এতো জার্নি করে আসলাম।তোর এই নাটক দেখার জন্য নাকি রে,আঙ্কেলআন্টি তোদের বাড়িতে আসলো আর তুই এরকম করছিস (নিমু)
— এই চলো তোমরা,ও মনে হয় চায়না আমরা এখানে আসি তাইতো ভেতরে ঢুকতেও বলছেনা।চলো ফিরে যাই (আরাফাত)
— আব্বে হুন আরু,আরাফাত আর হিমুর হানিমুন ডেট ক্যান্সেল করে ওরা এখানে আসছে আর তুই,হাহ্ থাক চলে গেলাম.।
আঙ্কেল আন্টি চলেন,চইলা যাই (নিমু)
আরিয়ার মা আরিয়ার কাছে গিয়ে নিজের মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো,,
— রাগ করে আছিস তাইনা,তোর বাবা মন থেকে ওগুলো বলেনিরে মা।
নিজেতো মা হয়েছিস,বুঝিসতো সব।কখন বাবা-মা এভাবে বলতে পারে,তুই এতকিছু লুকিয়েছিস অভিমান হয়েছিল তোর ওপর।
আমরা তোদের বাবা-মা, তোদের ওপর কি রাগ করতে পারি বল।
আরিয়াও ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।আরিয়ার বাবা এসে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বললো..
— খুব রাগ করেছিস দেখছি বাবার ওপর, রাগ তো আমার করার কথা। (গম্ভীর স্বরে)
আরিয়া ছলছল দৃষ্টিতে নিজের বাবার দিকে তাকালো।
— কি,রাগ করবোনা??
আমার নাতি, জামাইবাবা কে দূরে সরিয়ে রাখছিস আমাদের থেকে।
— আই সরি আব্বু (কাঁদতে কাঁদতে)
আয়মান আমানকে কোলে নিয়ে উপস্থিত হলো,,
— আসসালামু আলাইকুম আব্বু আম্মু,কেমন আছেন আপনারা??
— এইতো বাবা,আলহামদুলিল্লাহ।
জামাইয়ের সাথে শশুরশাশুড়ির অনেক কথাবার্তা হলো,আরিয়া আর অহনা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
— আম্মু,তোমরা ভাইয়ার সাথে যেভাবে কথা বলছো মনে হচ্ছে আগে থেকেই পরিচিত তোমরা,কি কাহিনি বলোতো (অহনা)
— আমি আল বাবাই কালকে নানু বারি গেতিলাম (আমান)
—মানেটা কি?? (আরিয়া-অহনা)
—আমি বলছি,,
কালকে আয়মান স্যার আমাকে কল দিয়ে সবটা বললো,যে আরিয়ার ফেমিলি সব জেনে গেছে আর এখন এই অবস্থা।
আয়মান স্যার আরিয়ার বাড়ি যেতে চাচ্ছে, আঙ্কেল আন্টি কে বুঝাইতে।
তো আমি বললাম, আমরাও যাব।সবাই সবটা বুঝিয়ে বললেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আমি নিমুকে রেডি হতে বললাম,নিমু আরাফাত কে কল করে ওদেরকেও আসতে বললো।কালকে রাতে ওরা হানিমুনে যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলো,কিন্তু আমাদের এসব শুনে সব ক্যান্সেল করে ওরাও চলে আসে।আয়মান স্যার আমানকে নিয়ে আসার পর,বিকেলে আমরা রওয়ানা দি বাড়ির উদ্দেশ্যে।
ওখানে পৌঁছে আঙ্কেল আন্টি কে সবটা বুঝিয়ে বললাম।
রাতেই আয়মান স্যার আমানকে নিয়ে রাজশাহী ব্যাক করেছে,আর আমরা আঙ্কেল আন্টি কে নিয়ে মাত্রই আসলাম। (রোজ)
— ওও আচ্ছা (আরিয়া,অহনা)
— এতো সিম্পল ভাবে নিওনা,বাবা-মা কে মানাতে কম কষ্ট করতে হয়নি (আয়মান)
— ধুরর,এসব কথা রাখোতো এখন,আমদের কি ভেতরে আসতে দিবা নাকি বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকবো।খিদা লাগছে রে আরিয়া,খাবার হবে নাকি (আরাফাত)
— বাইরে দাড়িয়ে আছো কেনো,ভেতরে আসো সবাই।
আজকের রাঁধুনি জুনিয়র শেইফ আমান আহির চৌধুরী (আয়মান)
— আমি কি কললাম,থুমিইতো থব কললে বাবাই।আমিতো থুদু হেপ কততি
আমানের কথা শুনে সবাই হোহো করে হেসে দিলো।খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই ড্রয়িং রুমে আরাম করে বসে আছে।
— তা নিমু,আল্ট্রা করিয়েছো?? (আরিয়ার মা)
— জ্বি আন্টি,ছেলে হবে বলেছে।
— ওও,আলহামদুলিল্লাহ। সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে আসুক,এই দোয়াই করি।
ডেট দিয়েছে??
— হুম,ডক্টর তো বললে সামনে মাসের ১৮তারিখ ডেলিভারি ডেট। (রোজ)
রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি,সিজার করতে প্রবলেম হতে পারে এটাই চিন্তার।
— কিযে বলেন ভাইয়া,আপনি যে পরিমাণ কেয়ার করেন নিমুর।সব ঠিক হয়ে যাবে,চিন্তা করবেননা।
আর এইযে আপনি (নিমুকে) শালি,তোর মতো এমন কপাল কয়জনের।তোর বর তোকে কতো ভালোবাসে বল,তোকে কুটোটাও নারতে দেয়না।তবুও তোর এতো সমস্যা কেন রে,ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে কি হয় (আরিয়া)
— তোমরা থাকো,আমরা উঠি (আরিয়ার বাবা-মা রুমে চলে গেলো)
— এ্যা,আয়মান ভাইয়া কি তোকে ভালোবাসেনা নাকি।তুইওতো লাকি রে,আড়াল থেকে তোকে কতো ভালোবাসতো বল,হোকনা সেটা #different_love
— হ থাম,হইচে।
একটা মেয়ের প্রেগন্যান্সির সময় সে তার স্বামীর ভালোবাসা,কেয়ার গুলোই চায়।তুইতো সবই পাস,তুই বেশি লাকি
— তুই
— জ্বী না,তুই
— এই,তোমরা ঝগড়া থামাবা? (আরাফাত)
— কি আমি ঝগরুটে,থাক আমি যাই।তোর বউ হিমু আরও বেশি ঝগড়ুটে হবে মিলিয়ে নিস (আরিয়া আমানকে নিয়ে রুমে চলে গেলো)
নিমুও রেগেমেগে রুমে চলে গেলো,
রোজ আর আয়মান হ্যাবলাকান্তের মতো তামাসা দেখলো শুধু।রোজ আয়মানের পিঠ চাপড়ে আশ্বাস দিয়ে নিমুর পিছে চলে গেলো আর আয়মান আরিয়ার কাছে।রুমে গিয়ে দেখে আরিয়া বেডে বসে ফোসফাস করছে, আর আমান আরিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
— কি হয়েছে আমার বাবুর আম্মুর,প্রেগন্যান্সির সময় পাশে থাকতে পারিনি বলে মন খারাপ??
আরিয়া মুখ ঘুরিয়ে নিলো,আয়মান আরিয়ার পাশে গিয়ে বসে আরিয়ার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করলো।
— তুমি তো জানোই,আমি কেমন সিচুয়েশনে ছিলাম।তোমার পাশে থাকতে পারিনি বলে কষ্ট আমারও হচ্ছে, কিন্তু কি করবো বলো।সময়তো পেছোতে পারবো,তবে আমরা চাইলে নতুন করে সব শুরু করতে পারি,তোমার ইচ্ছেও পূরণ করতে পারি (চোখ টিপ দিয়ে)
— মানে?
— মানেএএএ হলো গিয়ে,আমরা আবার নতুন করে বাবা-মা হবো।আমাদের ছোট সংসারে রাজকুমার তো আছেই, এবার রাজকুমারী আনবো।
কি আমান,বোন চাই??
— হ্যাঁ, ইয়েএএএ।আমাল বোন অবে,যাই আন্তিকে বলে আসি
— তাহলে আরিয়া,মিশন শুরু করা যাক (চোখ টিপ দিয়ে)
আরিয়া চোখ গরম করে তাকালো,,
— কমনসেন্স নেই নাকি,বাচ্চার সামনে কিসব
— কি মাম্মাম,বাবাইতো কারাপ কিতু বলেনি।আমাল বোন তাই
— ধুরর (আরিয়া লজ্জা পেয়ে বেলকনিতে চলে গেলো)
আয়মান হাসতে হাসতে আমানকে বুকের ওপর নিয়ে বিছানায় সুয়ে পড়লো,,
— বুঝলে সোনা,তোমার মাম্মাম রাজি হয়েছে।
যখন তোমার বোন আসবে,তখন তোমার বোনকে তোমার মাম্মামের মতো করে বড় করবো,তোমার মাম্মামের ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে তোমার বোনকেও সেইম ড্রেস পড়াবো ওকে?
— ওকে বাবাই,উম্মাহ☺️
সবাই দোয়া করবেন আয়মান আর আরিয়ার জন্য, খুব শীঘ্রই যেন ওদের ছোট্ট সংসারে একটা রাজকুমারী আসে?
♥The End♥
((কেমন হয়েছে জানাবেন সবাই,আজ অন্তত গঠনমূলক মন্তব্য করবেন আশা করি।সাইলেন্ট রিডার্সরাি সাড়া দিবেন।
এতগুলো দিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে, আসসালামু আলাইকুম।ভালো থাকবেন সবাই))
Difrent love সিজন 2 দিন Plz