Different Love পার্ট ২৫

0
1534

Story:- #Different_Love
Writer:- গল্পছোঁয়া
Part:- 25

আমান যেন আয়মানেরই ছোট রুপ।
হলরুম অবধি পৌঁছতেই মিউজিকের আওয়াজে আমানের ঘুম ভেঙে গেলো।

— আমান সোনা,এখন মাম্মামের কাছে যাও ঠিক আছে।আর মাম্মামকে একদম বলবে না,আমার সাথে তোমার দেখা হয়েছে।

— কেন বাবাই

— বলে দিলে আমি আবার হারিয়ে যাব।

— না,থুমি কোতাও দাবেনা।আমি মাম্মাম কে কিচু বলবনা।

— গুড বয় (কপালে চুমু দিয়ে)
এবার রোজ আঙ্কেলের সাথে মাম্মামের কাছে যাও,বাবাইয়ের কাজ আছে অনেক।

— থুমি আবার ওই পচা আন্তির কাচে যাবে তাইনা,ওই আন্তিতা কুব কারাপ।মাম্মাম কে বকে,মাম্মামকে কাঁদায়।

— আচ্ছা,আমি ওই আন্টিকে বকে দিব ওকে।
এখন গুড বয়ের মতো মাম্মামের কাছে যাও কেমন,তুমিতো গুড বয় তাইন।

— হ্যাঁ তো,মাম্মাম,আন্তি,আন্তেল রা সবাই বলে আমান গুদ বয়।

আয়মান আমানের কপালে চুমু দিলো,আমান আয়মানের গালে কিসি দিলো।তারপর রোজ আমানকে নিয়ে আরিয়া আর নিমু কে খুজতে লাগলো।
আয়মান রুহিকে কল দিলো,,

— হ্যাঁ রুহি,হোয়ার আর ইউ

~~~~

— ওকে,রুমেই থাকো আসছি আমি।


ঘন্টাখানেক পর..
স্টেজে কাপল ডান্স করছে রুহি আর আয়মান,এতক্ষণে রুহি যে কারণে অকারণে আরিয়াকে দেখিয়ে দেখিয়ে কতবার আয়মানের ক্লোজ হয়েছে সেটা অগুনতি।
আরিয়া আর এসব সহ্য করতে পারছেনা।সে আমানকে কোলে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে ডিরেক্ট বাসার জন্য রওনা দিলো।
নাহ্,কোথায় যাচ্ছে সে?? আয়মানের বাসায়??
সেখানে গেলে যে আয়মানের স্মৃতি গুলো ওকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিবে,আর কত সইবে সে।তার একটু হাসিখুশি থাকা প্রয়োজন, নিজেকে সময় দেওয়া প্রয়োজন।
বেশি রাত হয়নি,৯ঃ১৫বাজে।
আরিয়া রিকশাওয়ালা কে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যেতে বললো।
সাড়ে নয়টায় বাস,একটা টিকিট কেটে বাসের সিটে গিয়ে বসলো আরিয়া।আমান এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিল,বাসের হর্নের আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই নিজেকে মায়ের কোলে আবিস্কার করলো সে।খেয়াল করে দেখে সে বাসের মধ্যে আছে, আর ওর মা(আরিয়া) বাসেট জানলা দিয়ে একদৃষ্টিতে তে বাইরের আলোকিত শহর দেখছে।চোখ থেকে পানিও পরছে,আমান নিজের ছোটছোট হাত দিয়ে আরিয়ার চোখের পানি মুছে দিলো।

— মাম্মাম,কাদচো কেন??
আমরা কোতায় যাচ্চি??

— আমরা গ্রামে ঘুরতে যাচ্ছি,ওখানে তুমি আমাকে আন্টি বলে ডাকবে কেমন??

— কেন,আন্তি বলব কেন,তুমি তো আমার মাম্মাম

— আচ্ছা বাবু,ঠিক আছে।মাম্মামই বইলো (আমানের কপালে চুমু দিয়ে)

দেড়ঘন্টা পর আরিয়া পৌঁছে গেলো নিজ শহরে,নিজ জন্মস্থানে।
রাত সাড়ে ১১টা বাজে,গাড়িও নেই তেমন।
মোড়ের ওপর ২-৩টা সিএনজি,ওদের যেতে বললে ভাড়া বেশি চাচ্ছে,তা-ই সই।
দিগুণ ভাড়া দিয়ে আরিয়া আমানকে নিয়ে চললো নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে।
১১ঃ৪৫ বাজে,আরিয়া রাগ+জিদ+অভিমানের বসে চলে তো আসলো কিন্তু এবার কি জবাব দিবে সে।ভাবনায় পরে গেলো আরিয়া,এতো ভেবে লাভ নেই।সব ভাবনা সাইডে রেখে আরিয়া গেটে নক করলো,এতরাতে গেট ধাক্কানোর আওয়াজে ঘাবড়ে গেলো আরিয়ার বাবা-মা।চোর-ডাকাতের ভয়ে তারা গেইট খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
আরিয়া এবার না পেরে কল করলো তার বাবাকে,মেয়ের আসার কথা শুনে দ্রুত গিয়ে গেইট খুলে দেখলো আরিয়া একটা ঘুমন্ত বাচ্চা কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রথমত এতো রাতে কোনো খবর না দিয়ে মেয়ের আগমন,দ্বিতীয়ত তার কোলে ছোট বাচ্চা।
আরিয়ার বাবা-মা প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো আরিয়ার দিকে..

— তুই এতরাতে,আর এই বাচ্চা টা কে?? (বাবা)

— ও আমান,ওইযে আমার বান্ধবীর ছেলে বলছিলাম না।

— তোর বান্ধবীর ছেলেকে নিয়ে তুই এতরাতে এখানে কি করছিস আর তোর বান্ধবী কোথায়? (মা)

— ধুরর,বলছিলাম না তোমাদের।আমান আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না,আমার কাছেই থাকে সবসময়।হিমু আর আরাফাত ইন্ডিয়া গেছে ডক্টর দেখাতে,আমান যাবেনা।কান্নাকাটি করছিল তাই আমার কাছে রেখে গেছে।

— ওও,কিন্তু তুই কোনো খবর না দিয়ে হুট করে মাঝরাতে… আর অহনা কোথায়? (বাবা)

— বাইরে দাড় করিয়ে রেখে শুধু প্রশ্নই করে যাও ঠিক আছে,পুরো পাড়াকে জানাও এখন?

— আচ্ছা ভেতরে আয়।

আরিয়া বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেইট আটকে দিলো।

— এখন বল,কি হয়েছে? (বাবা)

—উফস,আবার একই প্রশ্ন।
তোমাদের সারপ্রাইজ দিতে বা বলেই আসছি,ট্রেইনে উঠছিলাম।ইঞ্জিনে প্রবলেম হওয়ায় ২ঘন্টার মতো আটকে ছিলাম তাই এতো লেট।আর অহনার প্রাইভেট টেস্ট আছে, তাই ও আসেনি।
আর কোনো প্রশ্ন??

— রাগ করছিস কেন মা
আরে তুমিওনা (বাবাকে) মেয়েটা আসতে না আসতেই এতো প্রশ্ন করছো
যা মা,অনেক রাত হয়েছে।ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পর,খেয়েছিস কিছু?ভাত বাড়বো?

— না আম্মু,খেয়েছি আমি।
ঘুমিয়ে পরো,সকালে কথা হবে।মাথায় পেইন হচ্ছে খুব,ঘুমোবো।

— বাচ্চাটার খিদা লাগলে?

— সমস্যা নেই, আমি আছিতো।

আরিয়ার বাবা-মা নিজেদের রুমে গিয়ে সুয়ে পড়লো, আরিয়াও স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে আমানকে নিয়ে রুমে গিয়ে সুয়ে পড়লো।প্রচন্ড টায়ার্ড থাকায় মূহুর্তেই ঘুমিয়ে গেলো সে।
পরদিন সকালে আরিয়ার ঘুম ভাঙলো ৭টার দিকে,ফোন হাতে নিয়ে দেখে ২৭৬টা মিস্ড কল উঠে আছে,ফোন সাইলেন্ট থাকায় বুঝতে পারেনি আরিয়া।
২২বার নিমুর কল,৩৫বার অহনার কল,১৭বার রোজের কল আর বাকি ২০২বার ৭-৮টা আননৌন নম্বর থেকে কল আসছে।
কাল রাগের মাথায় ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছিলো আরিয়া,অহনাকে আর কল করে জানানো হয়নি।মেয়েটা নিশ্চয়ই চিন্তা করে কান্নাকাটি করছে।
আরিয়া দ্রুত অহনাকে কল করলো,৫-৬বার কল দেওয়ার পরেও নো রেসপন্স।এবার নিমুকে কল করতেই নিমু কল রিসিভ করলো, নিমু অহনার পাশেই ছিল।অহনার কান্নাট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে,নিমুর ভয়েস শুনে মনে হচ্ছে সেও কান্না করেছে।
কল রিসিভ করে নানান প্রশ্নের ঝুড়ির মুখোমুখি হলো আরিয়া,কোনোমতে সবটা বুঝিয়ে সুজিয়ে ম্যানেজ করে নিলো সে।
আমান ঘুমোচ্ছে,আরিয়া আমানের কপালে চুমু দিয়ে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রুমের বাইরে গেলো।
ওর মা রান্না করছিলো,আরিয়াও হেঁশেলে গেলো।

— কি রান্না করছো আম্মু?

— খিচুড়ি, তোরতো ফেবারিট।

— ওও,হুম।
আচ্ছা হলে বইলো,আমার আমানের জন্য কিছু বানাতে হবে।প্রতিদিন কারেক্ট ৮টার সময় ওকে খাবার দিতে হবে,ওর ফুড চার্ট অনুযায়ী।

—কি বলিস,ঝাল কমই আছে
খিচুড়ি খেতে পারবেনা??

—না আম্মু,ওকে আমি ওয়েলি ফুড দিইনা।
আচ্ছা একটু সাইডে যাও,একটা চুলা তো ফাকা আছে,আমি সুজি বসিয়ে দিচ্ছি।

আরিয়ার মা সাইড দিলেই আরিয়া আমানের জন্য সুজি বসিয়ে দিলো।আরিয়ার মা অনেক্ক্ষণ ধরে উসখুস করছে,যেটা আরিয়ার চোখ এড়ালোনা।

— কিছু বলবে আম্মু??

— না মানে আসলে আরিয়া,বলছিলাম কি তুই এই বাচ্চা টাকে প্রতিবার নিয়াসিস,ওর মা কে ছাড়া। আবার যেভাবে ওকে আগলাস সবাই তো খারাপ চোখে দেখেরে মা,পাড়ার লোকজন কতোকি বলছে।
এই বাচ্চা টা নাকি তোর,বাইরে পড়াশোনা না,নোংরামি করতে গেছিলি।মা হয়ে আর কি বলি তোকে,বুঝতেই তো পারছিস।

— কি বলতে চাচ্ছো তুমি,আমানকে নিয়ে প্রবলেম থাকলে বলো চলে যাচ্ছি।

— আমি সেটা বলিনি,আসলে বলছিলাম যে পাড়ার লোকজন… আচ্ছা থাক যার যা খুশি বলুকগে।
শোন না,বিয়ের বয়স তো হয়েই গেছে, চাকরিও করিস এখন বিয়েটা করে নে না মা,আমরা ছেলে দেখেছি।খুব ভালো জবও ক…

—বেস আম্মু,অনেক হয়েছে।প্লিজ নট এগেইন,তোমাদের এইসব কথাবার্তার জন্যই আমি আসিনা।
দেড়বছর পর বাড়ি আসলাম,তোমাদের এইসবের জন্য। আজ আবারও…

— আমিতো মা,আমারও তো ইচ্ছে করে মেয়ের বিয়ে দেখবো,নাতিনাতনির মুখ দেখবো।বয়স তো কম হলোনা,আমাদের এই আশা করা কি ভুল

— মা প্লিজ,ইমোশনালই ব্লাকমেইল করোনা।আমার ভালো লাগছে না,এরকম করলে আর জীবনেও এ বাড়ি আসবোনা বলে দিচ্ছি।

— কিন্তু ভেবে দেখ…

— ওকে,এখনই চলে যাচ্ছি।ভালো থেকো

— আরে থাম,আচ্ছা তোর যা ইচ্ছে আর বলবোনা যা।যেটা করছিলি সেটাই কর।

অল্প লবণ দিয়ে আরিয়া সুজি রান্না করলো,আর একটা আধসিদ্ধ ডিম।
সব রেডি করে রুমে গিয়ে দেখে আমান ২টা বাচ্চা ছেলে আর ৩টা মেয়ের সাথে খেলছে।আমানেরই বয়সী কিন্তু বড় আছে।
বারান্দায় ওর মায়ের সাথে আরও কয়েকজনের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে।
আরিয়া খাবার গুলো রেখে আমানকে কোলে নিয়ে ওয়াসরুমে গিয়ে দাঁত ব্রাশ করিয়ে ফ্রেশ করে দিলো।
বাকি সব বাচ্চাদের জন্য প্লেটে করে খিচুড়ি নিয়ে ওদের দিয়ে আমানকে নিয়ে বেডে বসে চামচে করে সুজি খাওয়াচ্ছে আরিয়া।
এরমধ্যেই ৩জন মহিলা আর আরিয়ার ২বান্ধবী ঘরে আসলো।
মহিলারা ওদের প্রতিবেশী,আরিয়ার সাথে খোশগল্প জুড়ে দিলো তারা,মেইন বিষয় হলো আমান আর আরিয়ার বিয়ে।মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে আরিয়ার,তবুও সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে কথা বলছে সে।
আমানের খাওয়া শেষ,ডিমটা খাইয়ে আরিয়া আবার কিচেনে গিয়ে বাটি-চামচ রেখে দিলো।তারপর প্লেটে করে নিজের জন্য খিচুড়ি নিয়ে আসলো সে।
মহিলাগুলো এবার আরিয়ার মায়ের সাথে খোশগল্পে মেতেছে,

— আরু,এতদিন পর হঠাৎ আসলি কোনো খবর না দিয়ে?? (এশা)

— এমনি,বাদ দে।খেয়ে নিই আগে,ক্ষুধা লাগছে

— আমিতো কালকেই শশুর বাড়ি থেকে আসলাম,এশা বললো তুই আসছিস তাই দুজনে দেখা করতে আসলাম। (শাকিলা)

— ওও।

— আচ্ছা,তুই খেয়ে নে তারপর কথা বলছি।অনেক গল্প জমে আছে বইন।

আমান বারান্দার দিক থেকে কাঁদতে কাঁদতে এসে আরিয়াকে জড়িয়ে ধরলো..

— মাম্মাম,নিথু আমায় মাচসে

— তুমি কি দুষ্টামি করছো??

— না মাম্মাম (মাথা এদিকওদিক ঝাকিয়ে)
আমিতো তোমার গুদ বয়,তুমি বলেচো কাউকে মালতে না।আমি দুত্তামি কলিনি মালিওনি।
মিমি আমার গারি নিচে আর নিথু ওখে মাততে,আমি নিথুকে বকচি আর নিথু আমাকেও মাততে।দেকো, কেতে গেতে ?

— ওরে আমার সোনা বাবুরে,খেলতে হবে না।আমি ওদের বকে দিব,এখানে চুপটি করে বসো। (আরিয়া বাম হাত দিয়ে আমানকে নিজের পাশে বসিয়ে দিলো)

আমান আরিয়ার গালে কিসি দিলো।

— আমার বাবাই তাকলে ওদের অনেক বকতো তাইনা মাম্মাম,কিন্তু আমারতো বাবাই নেই (মন খারাপ করে)

এতক্ষণ আমানের সাথে কথা বলতে গিয়ে আরিয়ার খেয়াল ছিলোনা রুমে অনেকেই আছে,শাকিলার কথায় হুশ আসে আরিয়ার।

— আরে আরু,এটা সেই পিচ্চি টা না।
নিমুর বিয়েতে তুই সারাদিন ওকে নিয়ে ছিলি,যার বাচ্চা তার হুশ নাই সব দ্বায়িত্ব তোর।
আজকেও দেখি তোর সাথে পাঠাইছে,ওর মা কি ওকে সময় দেয়না নাকি,মনেতো হয়না নিজের বাচ্চা কে ভালোবাসে।

—হ,নিমুর বিয়ের দু’দিন দেখলাম তো।কেমন মা রে বাবা,সাজগোজ করে পটের বিবি সেজে ড্যাংডেঙিয়ে ঘুরছে অহনার সাথে আর আরিয়া নিজের সব আনন্দ মাটি করে এই পিচ্চি কে সামলাতে বিজি ছিল।

— ওই পতা আন্তি,কি বলো থুমি।
এতাইতো আমার মাম্মাম,আমার মাম্মাম আমায় অন্নেক বালোবাতে।থুমাক কে বলতে আমার মাম্মাম আমাখে বালোবাতেনা??
ও মাম্মাম,বলোনা থুমি আমাকে অনেক বালোবাতো (আরিয়াকে জড়িয়ে)

আরিয়াতো থতমত খেয়ে গেছে,হাটে হাঁড়ি ভাঙলো মনে হচ্ছে।

— এই পিচ্চি তো দেখি সেই ফটরফটর করে।(এশা)

— মাম্মাম ফতলফতল কি??

— এই পিচ্চি, ওকে মাম্মাম বলছিস কেন?
ও তোর মা হয় নাকি। (এশা)

— এসব বাদ দে,কি শুরু করলি তোরা বাচ্চাটার সাথে (রিতু রুমে ঢুকতে ঢুকতে)

আরিয়ার আরেক বান্ধবী রিতু এসে আমানকে কোলে নিয়ে কপালে চুমু দিলো, কিউট পিচ্চি বলে কথা।

— তোমার নাম কি সোনা??

— আমার নাম আমান

— তোমার বাবার নাম কি?

— আয়মান

— ওরে বাবা,মিল আছেতো দেকছি নামের

— হুম,মাম্মাম,আন্তেল,আন্তিরা বলে আমি নাকি আমাল বাবাই এর মতো দেকতে।

— ওললেবাবালে,তোমার বাবাই কোথায় শুনি?

— দানিনা

— আচ্ছা, তোমার মায়ের নাম কি,সে কোথায় গেছে হুম

— এইতো আমার মাম্মাম,একানেই আচে।আমাল মায়ের নাম আরিয়া……

To be continue……..

(( হাটে হাড়ি ভেঙে গেলো,এবার কি হইবো???))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here