#বাবার_ভালোবাসা।
পর্বঃ০৯.
লেখাঃ #রাইসার_আব্বু।
মৌকে ছোট্ট বাচ্চার মতো মাথায় হাত বুলিয়ে না দিলে ঘুমাতো না। কিন্তু আজ তো মৌ এর উপর কোন অধিকার নেই। তারপরও নিজের অজান্তেই মৌ এর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় খেয়াল নেই।
– সকাল বেলা মৌ এর জ্ঞান ফিরতেই দেখে আমি মৌ এর বুকে। আমাকে দেখে যতটা না চমকে তার চেয়ে বেশি রাগ ওঠে পড়ে তার।
– এই ছোটলোকের বাচ্চা ওঠ!
– প্লিজ আর একটু ঘুমাই?
– মৌ জোরে করে ধাক্কা মেরে বলে এই ছোটলোকের বাচ্চা তোর কতো বড় সাহস আমার বুকে তোর মাথা রাখছিস। মৌ অামাকে ধাক্কা দিতে সময় খেয়াল করল। ছোট্ট দুইটা হাত তাকে বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
– মৌ এর ধাক্কায় আমার ঘুম ভেঙে যায়।
– চোখ কচলাতে কচলাতে মৌকে বললাম ‘সরি ‘ আমার ভুল হয়ে গেছে!
– মৌ আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালো।
– প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
– কি বললি? ছোটলোক আমাকে তুমি করে কোন সাহসে বলিস? আপনি করে বল!
– প্লিজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দেন।
– আর শোন তোর মেয়েকে তুই সামলা। আমার সামনে যেন না আসে। আর তোর মতো ছোটলোকের কিভাবে সাহস হয় আমার শরীর স্পর্শ করার?মৌ চেয়ে দেখে তার গায়ে কাপড়টা ছেড়া। একটা শার্টটা জড়ানো। মৌ এর বুঝতে বাকি রইল না এটা ছোটলোকটার কাছ। কষে থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে বলল’ তোর মতো রাস্তার ছেলের কীভাবে সাহস হয় আমার সাথে এসব করার? তোকে যদি আর কোনদিন আমার সামনে দেখছি জুতো-পিটা করবো। তোর মা মনে হয় জন্মদিয়ে মেয়েদের সম্মান করতে শিখায়নি।
– মা’কে নিয়ে এমন কথা সহ্য করতে পারলাম না। মৌ এর গালে কষে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে বললাম ‘ তোর মতো মেয়ের সাথে নোংরামী করবো আমি? ভাবলি কি করে? আরে তোর চেয়ে পতিতারা ভালো। তারাও নিজের সন্তানকে ভালোবাসে। তারাও অসুস্থ স্বামীকে ফেলে অন্য কোথাও চলে যায় না। রাইসা মামনি তুমি একটু বাহিরে যাও তো!
– আচ্ছা বাবাই।
– কি বললি তুই? আমি পতিতা!
– সরি তোকে পতিতা বললে, পতিতাদের অসম্মান করা হবে। আরে পতিতারা তো পেটের দায়ে এসব করে। আর তুই পেটের দায়ে নয় তোর শরীরের চাহিদা মেটাতে। শোন তুই যদি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েও থাকিস তোর দিকে এই রাজ ফিরে তাকাবে না। কি ভাবছিস ছোটলোক? হ্যাঁ ছোটলোক হলেও আমার আত্মসম্মানবোধ আছে। আর এই আত্মসম্মান নিয়েই কবরে যেতে চাই। আর আমার মা কে নিয়ে যদি কোন দিন বাজে কথা বলিস তাহলে এই রাজ তোকে ক্ষমা করবে না। তোর দেয়া হাজারো ব্যাথা বুকে দাফন করে ফেলেছি। কিন্তু মা’কে নিয়ে কোন কথা নয়। আর শোন, আল্লাহ সত্যিই ন্যাবিচারক। শুনে রাখ এমন একটা দিন আসবে, তুই মৌ পায়ে ধরে আহাজারি করবি কিন্তু সেদিন তোর কান্নায় কোন লাভ হবে না। আর তোকে ইচ্ছা করে জড়িয়ে ধরিনি। ঘুমের ঘরে তোকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। সেজন্য করোজুড়ে ক্ষমা চাচ্ছি। আসি!
–
– রাইসা নিয়ে হসপিটালের বিল মিটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
– হঠাৎ মৌ খেয়াল করল, এটা তো তার বাসা না আর তার গায়ে শার্ট কেমনে করে পরালো ছোটলোকটা? এমন সময় নার্স এসে বলল ‘ ম্যাডাম কেমন আছেন?
– জ্বি ভালো। বাট আমি এখানে কিভাবে আসলাম?
– আপনার স্বামী নিয়ে এসেছে অজ্ঞান অবস্থায়।
– স্বামী মানে? মৌ যখন এ কথা বলবে তখনি নার্স বলল’ ম্যাডাম আপনাকে কিছু কথা বলব, যদি বলতে বলেন! ‘
-অবশ্যই কেন না বলো।
– ম্যাম জানেন, ২০১৯ এ ডিজিটাল যুগে আপনার স্বামীর মতো স্বামী খুব কমই পাওয়া যায়। আর যে স্বামী অসুস্থ বউয়ের জন্য নামায পড়ে দোয়া করে। স্ত্রীর অসুস্থতার সময় সারারাত মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘুমিয়ে যায়। সত্যিই আপনি অনেক ভাগ্যবতী। আপনি কি এমন পূণ্যের কাজ করেছিলেন। যার জন্য আপনি এতো ভালো একটা স্বামী পেয়েছেন। জানেন ম্যাডাম আপনার দায়িত্বে ছিলাম কাল আমি। রাত প্রায় একটা বাজে যখন রুমে আসবো তখন দেখি, আপনার স্বামী নামায পড়ছে আপনারি পাশে।
– আমি আর ঢুকতে সাহস করে ওঠতে পারিনি। ভেবেছি একটু পর আসবো। কিছুক্ষণ পর জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি আপনার মাথার্ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি ঘন্টাখানেক পর আবার এসে দেখি উনি ঘুমিয়ে গেছে।
– জানেন আপু, আমার যখন জ্বর হয় আমার স্বামী তো পাশে থাকবে দূরের কথা রাতে মদ খেয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। মাঝে মাঝে বাহির থেকে নষ্টা মেয়েকে এনে রাত কাটায়। একটা বার আমার কথা চিন্তা করে না। তারপরও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ও যেন ভালো হয়ে যায়। দোয়া করবেন আপনার ছোট্ট মেয়েটার মতো আমাদের যেন একটা রাজকন্যা হয়। আপনার মেয়েটাকে যখন দেখেছি মনে হয়েছে পূর্ণিমার চাঁদ। আর আমার স্বামীটা যেন আপনার স্বামীর মতো ভালো হয়।
– আচ্ছা, দোয়া রইল তোমার প্রতি। মৌ বিরক্তি নিয়ে কথাটা বলল!
– আচ্ছা ম্যাডাম আপনার হাসবেন্ড কোথায় গিয়েছে?
-মৌ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। তার বলে দিল সে বাসায় চলে গেছে। পড়ে আসবে।
– আচ্ছা ম্যাডাম আসি আমি।
– ওকে! নার্স চলে গেলে। মৌ ভাবতে লাগল কেমনে সে হসপিটালে আসলে।
– হঠাৎ মনে পড়ল কাল রাতে যখন পার্টি থেকে ফিরছিলো এমন সময়, রাস্তায় একটা ছেলে সিঙ্গনাল দেয় দাঁড়াতে। যখন দাঁড়ায় তখন তাকে জোর করে নতুন বিল্ডিং কন্টাক্টশনে নিয়ে যায়। যখন জোর করে গায়ের কাপড় খুলতে লাগে । এমন সময় সে চিৎকার করে ওঠে। তারপর আর কিছু মনে নেই! তাহলে রাজই কি এখানে নিয়ে এসেছিল।
-তুমি হসপিটালে আমাকে একটাবার ফোন করেও জানাবে না ? জানো সারারাত আমি কত টেনশন করেছি। ঘুমাতে পারিনি। জানো না তুমি আমার কে?
– মৌ চেয়েই দেখে সাইফ তার সামনে দাঁড়ানো।
– সরি কি করবো, আমার জ্ঞান ফিরেছে সকালে।
– আচ্ছা, আর কোথাও আমাকে না নিয়ে যাবে না। আমাকে সাথে নিয়ে যাবে। আজ যদি ভদ্রলোক আমাকে ফোন করে না বলতো তুমি এই হসপিটালে আমি হয়ত এতোক্ষণে পাগল হয়ে যেতাম।
– যাও তো আমার কিছু হবে না। আর আমি তো মরে কথাটা শেষ করার আগেই সাইফ মৌ এর মুখটা ধরে ফেলল। মৌ এর ঠোঁটে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দিল! এদিকে মৌ এর গায়ে শার্ট দেখে সাইফ চমকে ওঠল।
-সুইর্ট হার্ট তোমার গায়ে এ শার্ট কেমনে আসলো?
– মৌ তখন রাতের ঘটনা খুলে বলল! কিন্তু রাজের কথা বললো না।
– মৌকে সাইফ শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলল ‘ তোমার কিছু হলে আমি সত্যি মরে যাবো! ‘ তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো যেয়ো না।
– আশ্চর্য জান তুমি এমন করছো কেন?আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না।
– চলো তোমাকে হসপিটালে থাকতে হবে না।
– আচ্ছা চলো।
– এমন সময় নার্স এসে বললো’ম্যাডাম উনি আপনার কে?
– মৌ মুচকি হেসে বলল ‘ আমার স্বামী। ‘
– নার্স চমকে গেল! নার্সের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। মৌ সাইফ চৌধুরিকে নিয়ে বের হয়ে গেল। কিন্তু নার্সের মাথাটা কেন যেন ঘুরতে লাগল। মনে হচ্ছে তার সামনে সাপলুডু খেলা হয়ে গেল।
– এদিকে বাসায় এসে শুইয়ে ঘুম দিলাম।
– হঠাৎ কে যেন বারবার দরজা নর্ক করছে। রাইসার হাতটা বুক থেকে সরিয়ে দরজা খুলে দিলাম।
– দরজা খুলেই দেখি একটা নীল পরি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। কথা ম্যাডামকে যে শাড়িতে এতো সুন্দর লাগে তা আগে জানা ছিল না।
– ভেতরে আসুন ম্যাডাম।
– কথা ম্যাডাম রুমে আসতে আসতে বলল’ রাজ আপনি আজ অফিসে যাননি কেন? হুয়াট রাজ তোমার মাথায় ব্যান্ডেজ কেন?
– তুমি একটা ফোন দিয়ে তো বলতে পারতে। আশ্চর্য এতটাই পর ভাবো?
– প্লিজ ম্যাডাম আস্তে কথা বলুন রাইসা ঘুমাচ্ছে।আর হ্যাঁ আপনার সাথে আমার মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক। আর মালিক শ্রমিকের সম্পর্ক যেমনটা হওয়া চায়। আমার মনে হয় তাতে কোন ঘাটতি নেই।
আর হ্যাঁ ম্যাডাম সপ্তাখানেক অফিসে যেতে পারব না। শরীরটাও বেশি ভালো না।
– শুধু সাতদিন না যতদিন পর্যন্ত সুস্থ না হবে ততদিন অফিসে যাওয়ার দরকার নেই।
-ধন্যবাদ ম্যাডাম!
– আমার মা কোথায় রাজ?
– আমার মা মানে?
-হুঁ রাইসা কোথায়!
– সরি ম্যাডাম রাইসার খুব সুন্দর একটা নাম আছে। সেটা ডাকলেই খুশি হবো। রাইসা এখন ঘুমাচ্ছে।
– হঠাৎ রাইসার ডাক ‘বাবাই তুমি কোথায় গেলে?’
– এইতো মা আমি। দৌড়ে রাইসার কাছে গিয়ে বললাম মা কি হয়েছে?
– বাবা খুদা লাগছে আমার খুব।
– আচ্ছা তুমি বসো আমি বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসছি।
– বাবাই আমার জন্য কাচ্ছি বিরিয়ানি নিয়ে এসো!
-আচ্ছা মামনি।
– বাসা থেকে বের হয়েই অটোতে চড়ে সোজা নিউমার্কেট।
– নিউমার্কেটে ভালো একটা রেস্টুয়েন্টে যখন ঢুকবে। ভাগ্যের কি নির্মম খেলা, সেদিনের সে ছোট্ট মেয়েটা তার ভাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেছে খেতে। হঠাৎ দেখলাম মৌকে আর সাইফ কে। আমি আর রেস্টুরেন্টে ঢুকতে চেয়েও ঢুকলাম না। যখন বের হয়ে আসবো। এমন সময় মৌ এর গলা শুনতে পেলাম’ এই ওয়েটার এই সব আর্বজনা এখানে কেমনে আসে?
– আপনার এখানের পরিবেশটা ভালো মনে করেছিলাম।
– হঠাৎ রিত্ত তার ছোট ভাইকে বলল’ তোকে বলেছিলাম না এখানে আসা যাবো না। ‘
– ম্যাডাম, আপনারা খান আমরা চলে যাচ্ছি। কি করমু কন, ছোড ভাইডা কতদিন ধরে বলছে এই বড় হোটেল বিরিয়ানি খাবে তাই নিজে না খেয়ে ছোড ভাইয়ের জন্য ২৪৫ টাকা জমিয়েছি। ওকে খাওয়াবো। কিন্তু ম্যাডাম জানতাম না এখানে টাকা হলেই খাওয়া যায় না। সুন্দর পোশাক লাগে।
-রিত্ত তার ছোটভাইকে নিয়ে যখন রেস্টুরেন্ট থেকে বের হচ্ছে। সবাই ছোট্ট মেয়েটা আর তাে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।ওয়েটার টাও করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দাঁড়াও বলতে সাহস পাচ্ছে না ।
– মৌ আর সাইফ বার্গার খাচ্ছে আপন মনে। আমি রেস্টুয়েন্টে থেকে বের হয়ে যেতে চেয়েও রেস্টুয়েন্টে ঢুকলাম। তবে একা নয় রিত্ত আর তার ভাইকে নিয়ে।
– ওয়েটারকে বললাম তিন প্যাক কাচ্ছি বিরিয়ানি দাও। রিত্তের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। কি হলো কাঁদিস কেন?
– নাহ ভাইয়া এমনি। ওয়েটার বিরিয়ানি টেবিলে রেখে ছলছল দৃষ্টিতে বলল ‘ ভাইয়া এই নেন!
– আমি স্পর্ষ্ট দেখতে পেলাম, ওয়েটারের চোখেও পানি।
– কি হলো রিত্ত খাচ্ছিস না কেন?
– ভাইয়া তোমার হাতে খাবো!
– ওহ্ আচ্ছা।
– খাওয়া শেষ করে, ওয়েটারকে যখন ১০০ টাকার বখশিশ দিয়েছি। ওয়েটার তখন নোটখানা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল’ ভাইয়া পৃথিবীর সেরা বখশিশ আমি পেয়েছি আপনার থেকে। যা হলো ভালোবাসা। টাকা লাগবে না। ছোট্ট বাচ্চা দুইটার মুখের হাসি আমার বখশিশ।রেস্টুরেন্টে মৌকে দেখলাম আঁড় চোখে তাকালো একবার। তারপর সাইফকে নিয়ে চলে গেল।
– এদিকে বাসায় গিয়ে দেখি, টেবিলে খাবার সাজানো। রাইসাকে গিয়ে সরি বললাম।
– মামনি এই নাও তোমার বিরিয়ানি ।
– বাবাই আন্টি বিরিয়ানি রেঁধেছে। চলো খাবে। জোর করে খেতে বসিয়ে দিল।
– দিনগুলি ভালোই কাটছিল মৌ এর। কোনকিছুর অভাব নেই। সাইফ তাকে যথেষ্ট ভালোবাসে। কিন্তু আজ হঠাৎ সাইফের মন খারাপ।
– মৌ সাইফের কাছে গিয়ে বলল’ কি হয়েছে?
– সাইফ মৌকে জড়িয়ে ধরে বলল’ জানো আজ অফিসের পিয়ন আমাকে সবার সামনে বলেছে স্ত্রীর কোম্পানিতে নেতামি করেন? বলেই চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে!
– ওহ্ এই কথা কালই তোমাকে আমার কোম্পানি সব কিছু লিখে দিব।
-এসব লাগবে না।
– আরে তোমার থাকা মানে তো আমারি। চাই না কেউ তোমাকে হেয় করুক।
– পরের দিন মৌ তার সব সম্পদ সাইফকে লিখে দেয়।
– কয়েকদিন পর মৌ বলল ‘ আমি আমার বান্ধবীর বাড়িতে যাবো। তার বোনের বিয়ে। ফিরতে চারদিন লেট হবে। তুমিও চলো।
– সাইফ অফিসের কাজের কথা বলে মৌ কে একা পাঠিয়ে দেয়।
– মৌ বান্ধবীর বাসায় গিয়ে শুনতে পারে, বিয়ে হবে না। তাই রাতেই ব্যাক করে। বাসার সামনে এসে দেখে ‘রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই! মৌ মনে মনে ভাবল সাইফকে চমক দেবে। তাই দরজায় নর্ক না করে তার কাছে থাকা ডপ্লিকেট চাবি দিয়ে বাসায় ঢুকতেই দেখে তাদের রুমে বাতি জ্বলছে। মৌ এক দৌঁড়ে উপরে চলে যায়। এদিকে রুমের ভেতরে মেয়েলি কন্ঠের আওয়াজ শুনে মৌ চমকে যায়। জানালার পর্দা সরিয়ে দেখে সাইফ সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তারই অফিসের কলিগ ‘ নাসরিনের সাথে ””
চলবে”””’
বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।