তারকারাজি- (১২)
লেখনীতে- অহনা নুযহাত চৌধুরী
রাত্রি একটা কি দেড়টা বাজে। মিশমির শয়নঘরের এক কোণায় টিমটিমে সফেদ বাতি জ্বলছে। বাতির আলো পুরো ঘরটাকে এমনভাবে গ্রাস করে ফেলেছে যেন, ফিকে জ্যোৎস্না এসে পড়েছে তার ঘরে। বৈদ্যুতিক পাখাটা আজও নিয়ম মাফিক বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘুমন্ত রমণীর গায়ে টানা মোটা কাপড়ের কাঁথা৷ একটু নড়েচড়ে উঠলেই কাঁথাটা সরে যাচ্ছে গা থেকে। ফোনটা বেজে উঠল। একবার, দু’বার, পর-পর চারবার বেজে ওঠার পর মিশমি কম্পিত শরীরে জেগে উঠল। ঘনপক্ষ্ণ চোখের পল্লবে বিস্ময় ও ভীতির মিশ্রণ। এতরাতে তিহাম কেন কল করেছে? মনে প্রশ্নটা জাগতেই ধড়ফড়িয়ে উঠে বসল মিশমি। ফোনটা কানে তুলে অত্যন্ত সাবধানতার সাথে ফিসফিসিয়ে বলল,
“ হ্যালো? ”
ওপাশ থেকে মৃদু হাসির সাথে তিহামের আওয়াজ এলো,
“ কী ব্যাপার, ঘুমাও নাই? ”
মিশমি বিরক্ত হয় তিহামের কথা শুনে। এত রাতে তিহাম কল করেছে সে জেগে আছে কি-না তা শোনার জন্য? মিশমি রেগে সংযোগ কেটে দেয়। অতঃপর অনবরত কল করতে থাকে তিহাম। মিশমির কেন যেন ফোনটা বন্ধ করতে ইচ্ছা করে না। বরং সে আবারও ফোন তুলে নেয়। তিহাম বলে,
“ ছাঁদে আসো এক্ষুণি। আমি ওয়েট করছি। ”
মিশমি আরও এক দফা বিস্মিত হয়, “ মানে? আমাদের বাসার ছাঁদের কথা বলছেন আপনি? ”
“ হ্যাঁ, পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও আসো। কথা আছে। ”
“ আপনি কি আমার সাথে মশকরা করছেন তিহাম? দারোয়ান আপনাকে ঢুকতে দিবে আর এটা আমাকে বিশ্বাস করতে বলছেন? ”
তিহামের হাসির আওয়াজ শোনা যায়, “ আমার মিশমির জন্য আমি জীবনও দিতে পারি আর এটা তো হাতের ময়লা! আই প্রমিস, তোমাকে একবার দেখেই চলে যাব। প্লিজ আসো তুমি? ”
মিশমি ভ্রুযুগল কুঁচকে বসে। এত রাতে একা-একা ছাঁদে যাওয়াটা কি ঠিক হবে? ঠিক হবে একজন অচেনা মানুষের সাথে দেখা করা? মিশমির মনটা কেমন মোচড় দিয়ে ওঠে। ইচ্ছে করে ছাঁদে গিয়ে একবার তিহামকে দেখে আসতে। কিন্তু মস্তিষ্ক সায় দেয় না। এদিকে মিশমির প্রণয়ী মন তো নাজেহাল! তিহামের অনেক অনুরোধ করার পর সে বলে যে, সে তাদের বাসার প্রধান দরজায় দাঁড়াবে। তিহাম যেন তাকে দেখেই চলে যায়।
সেই পরিকল্পনা মাফিক যত দ্রুত সম্ভব উঠে দাঁড়ায় মিশমি। গলা হাতড়ে বুঝতে পারে যে, বৈদ্যুতিক পাখা না চালানোতেই ঘেমে গিয়েছে সে। মিশমি তার রেশম তুলতুলে ওড়না গিয়ে গা মুছে নেয়। অবিলম্বে তার এলোমেলো বেণি খুলে চুল আঁচড়ে নেয়। গায়ে ওড়না জড়িয়ে ছুটে চলে দরজার কাছে। বুকটা প্রবল বেগে কাঁপছে তার। বাবা বা মার ঘুমটা না ভাঙলেই হলো এখন! মিশমি দরজাটা হালকা খুলেই বাহিরের দিকে উঁকি দেয়। তৃতীয় তলায় দাঁড়িয়ে আছে তিহাম। মিশমির দেখা পেয়েই সে মুচকি হাসে৷ সিঁড়ি ভেঙে সে নামতে থাকে দোতলায়। তিহামের নজর স্থির হয় শুভ্রতায় ঘেরা মিশমির চোখেমুখে। কিন্তু তিহামের এগিয়ে আসাটা যেন মিশমিকে একটুকুও তৃপ্তি দেয় না। ভয় হয় খুব। ছেলেটা আবার হুড়মুড়িয়ে বাসায় ঢুকে পড়বে না তো? মিশমি দরজাটা লাগিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই কারো কণ্ঠ শুনতে পায়,
“ দরজাটা ভালো করে লাগিয়ে দিয়ে ঘুমাতে যাও। আমি ফিরে যাচ্ছি বাসায়। আর হ্যাঁ, ঘুম ভাঙিয়েছি দেখে রাগ করো নাই তো? আমার কিন্তু কাছের মানুষদের জ্বালাতে ভালো লাগে খুব! ”
বলেই তিহাম হাসে। তিহামের কথায় বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে মিশমি। সে তো ভাবছিল ছেলেটির মতলব খারাপ হলেও হতে পারে। নয়তো এত রাতে কেউ দেখা করতে চায়? কিন্তু না, তা একদম-ই ভুল। সে কিছুটা সময় নিয়ে ভাবে, তিহাম কি সত্যিই তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত কেউ? পরক্ষণেই মন বলে ওঠে, না। ভালোবাসা এত মেপে-মেপে হয় না-কি? ঠিক এই সময়েই মিশমিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তিহাম মৃদুস্বরে ধমকে উঠল,
“ আজব মেয়ে তো তুমি! বললাম না ঘুমাতে যাও? যেখানে আমি সাধারণ মানুষ হয়ে ভিতরে আসতে পারলাম সেখানে তুমি দরজা হা করিয়ে রাখছো চোর-ডাকাত আসার জন্য? তুমি দরজা লাগালেই আমি যেতে পারব, মিশমি। যাও তো এখন। ”
মিশমি চমকে উঠে তাকাল তিহামের দিকে। মনে মনে খুশি হলেও প্রকাশ করল না একটুকুও। সে দরজাটা লাগিয়ে দেয়। কান পেতে শুনে কারো সিঁড়ি ভাঙার আওয়াজ। মিশমি উপলব্ধি করে যে, তার ভালোলাগার মতো ছেলে তিহাম নয়। বরং তিহাম এমন একজন প্রেমিক, যে কি-না নিজের মতো করে নিজের প্রতি অন্যের ভালোলাগা সৃষ্টি করতে পারে। মিশমি আনমনেই হেসে উঠে। নিজেদের কর্মকাণ্ড দেখে তার নিজের-ই মনে হচ্ছে না যে, তারা প্রাপ্তবয়স্ক যুবক-যুবতী!
মিশমি কথাবার্তায় খুব সচেতন হলেও উত্তেজনাবশত কোনো কথা-ই না বলে থাকতে পারে না। মূলত এই কারণকে কেন্দ্র করে বন্ধুমহলে একটি দারুণ পরিচিতি অর্জন করেছে সে। আর তা হলো, ‘পেট পঁচা পুঁটিমাছ ’
পেটে কথা আঁটকে রাখতে পারে না বলেই মিশমির এই নামকরণ করা। ঠিক আজও তাই হলো। ভার্সিটিতে এসেই ফিসফিস করে গতরাতের ঘটনা উন্মুক্ত করল নীলাশা ও পিহুর কাছে। সেই কী লজ্জা মিশমির! অথচ একবার বলতে শুরু করলে মাথায় জট না পাকিয়ে সে যে থামে না তা বান্ধবী দু’জনারও খুব ভালো করে জানা। বান্ধবীর কথাগুলো শুনে পিহু কেমন আশ্চর্যান্বিত ভঙ্গিমায় বলল,
“ মিশু রে! তুই শালা আসলেই নিরামিষ। তুই এই বয়সে এসে টিনএজারদের মতো প্রেম করতাছিস? লজ্জা কী লজ্জা! ”
পিহুর কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে নীলাশা খিলখিলিয়ে হেসে উঠল। সে বলল,
“ সিরিয়াসলি ইয়ার! তুই ভাবছিস যে, তিহাম ভাইয়া দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকবে আর তোকে…। তুই কি তোর ফাস্ট রিলেশনশিপটা এমন নিব্বা-নিব্বিদের মতোই কাটিয়ে দেওয়ার প্ল্যান করছিস না-কি? ”
মিশমি মুখ কালো করে উত্তর দেয়,“ ফাস্ট রিলেশনশিপ মানে? রিলেশনশিপ শুরু হলো কবে? কাউকে ভালো লাগলেই রিলেশনশিপে জড়াতে হবে না-কি? কই, তুই তো আরাভ ভাইরে দেখলেই পলান-টুক্কুরু খেলা শুরু করিস। এমন দৌড় মারিস যেন দৌড়ায়েই বিশ্ব রেকর্ড বানায় ফেলবি! ”
মিশমি মুখ বাঁকিয়ে কথাটা বলতেই পিহু হাসতে হাসতে ঢলে পড়ল নীলাশার উপর। নীলাশা অপ্রস্তুত হলো। এরা সবাই বুঝে গেল না-কি ব্যাপারটা? সেই সাথে বিরক্তও কম হলো না পিহুর কাজে। সে পিহুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মিশমির উদ্দেশ্যে বলল,
“ আজাইরা উদাহরণ কই পাস তুই? আমি কেন ওকে দেখে দৌড়াবো, লুকোচুরি খেলব? ওকে আমি ভয় পাই না-কি? ফাও আলাপ! ”
পিহু বলে, “ আর নীল দৌড়ালে তোর-ও দৌড়ানো লাগবে? আজব কথা বলিস ক্যান? ”
মিশমি উত্তর দেয়, “ আমার দ্বারা মনে হয় না এমন কিছু হবে রে। তোরা বুঝতে পারতাছিস না ব্যাপারটা। আম্মু যদি এইসব শুনে তো আমাকে… ”
মিশমি তার কথা শেষ করতে পারে না। তার আগেই নীলাশা ধমকে উঠে বলে,
“ প্লিজ ইয়ার, এতো ম্যা ম্যা করিস না। মানলাম আন্টি তোর ভালো চায়। বাট দিন শেষে কিন্তু আন্টি তোর পাশে থাকতে পারবে না সে যতই তোর মা হোক। কারণ আমাদের লাইফে এমন কিছু টাইম আসে যখন আমাদের নিজের বুদ্ধিতে, নিজের মতো করে সবকিছু সামলাতে হয়। এমন অনেক ঘটনা-ই হয়তো ঘটতে পারে আমাদের লাইফে যা মানুষের কাছে প্রকাশ করা যায় না বা প্রকাশ করলেও মানুষকে বোঝানো যায় না। তখন নিজেকেই সবটা সামলানোর প্রস্তুতি নিতে হয়। সো প্লিজ, সব ব্যাপারেই এত ম্যা ম্যা করিস না। তোকে বলা হচ্ছে না যে, তুই রিলেশনশিপে যা তিহাম ভাইয়ার সাথে। এইটা তোর পারসোনাল ব্যাপার। বাট হ্যাঁ, ফ্রি ইউরসেল্ফ! তুই নিজের ভালো-মন্দ তখনই বুঝতে পারবি যখন তুই পার্থিব জীবনের ভালো-মন্দ স্বচক্ষে দেখবি। নয়তো আন্টি তোকে বলে দিবে ‘এটা ভালো ওটা খারাপ’ আর তুইও যদি তা-ই মেনে চলিস…! তাহলে তুই নিজে কীভাবে বুঝবি যে, কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ? আন্টি কি সত্যিই সারাজীবন তোর পাশে তোকে ভালো-মন্দ দেখানোর জন্য থাকতে পারবে? ”
কার্তিকের বিষন্ন দুপুরেও রোদের তেজ না থাকাটা বেশ চমকপ্রদ ঘটনা বলে মনে হলো পিহু আর মিশমির। আকাশে তো গাঢ় মেঘ নেই! অথচ বাহ্যজগতের ভাবটা এমন যেন, আজ সন্ধ্যার মাঝেই প্রবল বর্ষণে ভিজে উঠবে এ-শহর। দুই বান্ধবী হেঁটে চলে ভার্সিটির প্রধান ফটকে। কিন্তু বিষন্ন দুপুরের প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে করতে থাকা আলাপচারিতা শেষ হয় না তাদের। এর-ই মাঝে কারো কণ্ঠ ভেসে আসে মৃদুমন্দ হাওয়ায়,
“ পিহু, অ্যাই পিহু? ”
দুই বান্ধবী মুহূর্তেই উপলব্ধি করল যে, আওয়াজটা এসেছে পিছন থেকে। এমন রুক্ষ কণ্ঠটা আসলে কার তা জানতেই পিছন ফিরে তাকানো হলো তাদের। বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে আরাভ, সায়ান, তনয় ও সাইফ। এই রুক্ষ, ক্যাটকেটে স্বরটা যে তনয়ের তা বুঝতে দেরি হয়নি তার। পিহুরা আরাভদের বন্ধুমহলের প্রত্যেকের নাম জানে। এই চার যুবক ছাড়াও সেই মহলে রয়েছে রোহান, শিহাব ও সাহেল। কাজেই আরাভদের চারজনকে দেখে পিহুর একটা নাম-ই মাথায় এলো, সানাম! নিশ্চয়ই সানাম সম্পর্কিত কিছু বলার জন্য ডাকা হয়েছে তাকে। তারা তো জানেই সে আর সানাম একই ঘরে থাকে! পিহু দূর থেকেই কণ্ঠস্বর উঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করে,
“ কিছু বলবেন তনয় ভাইয়া? ”
সাইফ মাথা চুলকে, হাতের ইশারায় তাদের কাছে ডাকে। মিশমি আর পিহু এগিয়ে যায়। তারা পৌঁছাতেই সাইফ পিহুকে আদেশ করে বলল,
“ কই যাচ্ছ তুমি? মানে, তুমি তো হলে থাকো। এখন কোথায় যাচ্ছ? ”
পিহুর নির্বিকার উত্তর,
“ সামনের পার্কটাতে। নীলাশা, নিশান, রিশান ওয়েট করছে। সেখানেই যাব। ”
“ তার আগে একটা কাজ করে দাও। তোমাদের হলে যাও তো একটু। হলে গিয়ে সানামকে নিয়ে আসো। আমরা একটু কথা বলব ওর সাথে। ”
কথাটা বলার পর দুই বান্ধবীর ভ্রু কুঁচকানো দেখে সাইফ কেমন অপ্রস্তুত হলো। তখনই পিহুকে বলতে শোনা গেল,
“ আপনাদের যা বলার আমাকে বলেন। আমি সানামকে বলে দিব। ”
সায়ান হাসল, “ তোমাকে বলা গেলে তো বলতাম-ই। তুমি বোধহয় বুঝতে পারছো না যে, আমাদের দরকারটা সানামের সাথে। ইনফ্যাক্ট আমাদের না ঠিক, বিশেষ করে সাইফের দরকার। ওকে ডেকে আনো এক্ষুনি। আর ওকে আমাদের কথা বলার প্রয়োজন নাই। যা করছে ও! এরপর লুকায়ে থাকবে না তো আর কী করবে? এমন কমপ্লেইন করার সাহস পাইছে কই থেকে? ”
এই মুহূর্তে এসে রাগে দপদপ করতে লাগে পিহু। সায়ানের কথা বলার ভঙ্গিমা শুনে মনে হচ্ছে যেন সানাম খুব-ই লজ্জাজনক কিছু করে বসেছে। পিহু আরও দুই দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, এই চার যুবক যেদিন একত্রে তার সামনে থাকবে, সেদিন-ই সে কিছু কড়া বাণীর বান নিক্ষেপ করবে একদম সাইফদের বক্ষ বরাবর। কিন্তু তা হলো না। কোমল, মিঠে, রসালো মনে সানামের তেজস্বী রূপটা সে আয়ত্ত করতে পারেনি। তবে আজ যখন সুযোগ মিলতেই দু’দিন আগের মৃদু ক্ষোভটা স্মরণে এলো, তখন আর পিহু নিজেকে শান্ত রাখতে চাইল না। ত্যাড়া কথাটা বলবে-বলবে ভাব! এমন সময় সাইফ নিজেই সানামের করণীয় কাজের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলে উঠল,
“ শেষে অভিযোগ তো তুলতেই হইছে ওকে, হাঁহ্! ও যে অপবাদ আমাদের দিছে… ওর সঙ্গে যদি সিরিয়াসলি এমন কিছু হতো না! অপবাদ দেওয়ার শখ মিটে যেত। ”
ওষ্ঠদ্বয় ভেদ করে তীক্ষ্ণ এক তাচ্ছিল্যপূর্ণ হাসি প্রকাশ করল সাইফ। মস্তিষ্কের অগ্নিকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না এইবার। তবে পরক্ষণেই সাইফের মন ছিঃ ছিঃ করে উঠল। এটা কেমন ধারা কথা বলে বসল সে? এমন নীচু মন-মানসিকতা তো তার কখনো ছিল না! সাইফ মনে মনে অনুতপ্ত হলো। কিন্তু বাহ্যিকরূপে পিহু আর মিশমি সেই অনুতাপের ছিটেফোঁটাও দেখতে পেল না। সাইফের কথা শ্রবণেন্দ্রিয় হতেই বান্ধবী দু’জনার কান ঝাঁ ঝাঁ করে উঠল। প্রথমেই উত্তর না দিয়ে, পিহু ক্ষিপ্রগামী প্রাণির মতো নিজের ফোন আনলক করল। অতঃপর সাইফের ঠিক মুখ বরাবর খুব-ই গোপনে তোলা একটি ছবি জাহির করে, দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
“ আশা করি সানামের অভিযোগ তুলে নেওয়া নিয়ে আপনাদের মশকরাটা এইবার বন্ধ হবে! ”
#চলবে ইন শা আল্লাহ!