Ragging To Loving ? Part:33

0
867

 

? Ragging To Loving ?
Part:: 33
Writer:: Ridhira Noor

ওয়াসিমঃঃ- সেই আমি পাঁচ কি ছয় বছর হব। ঈদে নানি বাড়ি গিয়েছি বেড়াতে। তো নাশতা দিল। আর পাকা পেঁপে খেতে দিল। অনেক্ষণ ধরে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর বলি। আয় হায় মিষ্টি কুমড়া দিছে খেতে। তাও কাঁচা। একটু রান্না করে দিলে কি হতো। সবাই এক মিনিট অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর সেই কি খিলখিলানি। পেঁপে দেখলে আজও মনে পড়ে সেই ঘটনা।

রিহানঃঃ- মিষ্টি কুমড়া…… (জোরে জোরে হাসতে লাগলো)

আহিলঃঃ- প্রাইমারি স্কুলে আমাদের একজন শিক্ষিকা ছিল। স্বর্ণা ম্যাডাম। ভীষণ সুন্দরী ছিল। তো সবাই জাতীয় সংগীত গাইছিল। “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি”। আমি গাইছিলাম ” আমার স্বর্ণা ম্যাডাম আমি তোমায় ভালবাসি “।সবাই গাইছিল “চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি “। আমি গাইছিলাম ” চিরদিন তোমার লম্বা চুল আকাশে উড়ে বাতাসে উড়ে আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। স্বর্ণা ম্যাডাম আমি তোমায় ভালবাসি”। সবার আড়ালে আমি চোখ বন্ধ করে চিল্লিয়ে গাইছিলাম। গাইতেই আছি। আশেপাশে কি হচ্ছে কোন খেয়াল নেই। হঠাৎ দেখলাম সবাই চুপ। আমি চোখ খুলে দেখি আশেপাশে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সামনে স্বর্ণা ম্যাডাম কোমরে হাত দিয়ে রাগি লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কান ধরে আমাকে নিয়ে গেল। আব্বু আম্মুকে বিচার দিল। আব্বু রেগে আমাকে বাসায় নিয়ে এলো। ভেবেছিলাম খুব মারবে। কিন্তু এই কি বাসায় এসেই আব্বুর সেই কি হাসি। তারপর আব্বু বলল “হ্যাঁ তোর ম্যাডাম অনেক সুন্দরী ” আম্মু গেল ক্ষেপে। সেই দিন আর আব্বুর কপালে খাবার জুটেনি।

আফরানঃঃ- ওরেএএএএ তখন স্বর্ণা ম্যাডামের তোর বয়সের ছেলে ছিল। (বলে হাসতে লাগলো। হাসির ঠেলায় সবাই কাইত হয়ে পড়ে আছে।)

রিহানঃঃ- হাই স্কুলে আমাদের প্রিন্সিপাল ছিল টাকলা। তো আমরা সবাই তাকে স্টেডিয়াম ডাকতাম। আমি যাচ্ছিলাম ওয়াশরুমে। তখন দেখি স্টেডিয়াম স্কুলে টহল দিচ্ছে। ফিরে আসার সময় দৌড়ে আসি যাতে সবাইকে বলতে পারি স্টেডিয়াম টহল দিতে আসছে। তো আমি রীতিমতো দৌড়ে আসলাম। আশেপাশে না থাকিয়ে চিল্লিয়ে বললাম স্টেডিয়াম…. ও মা সামনে তাকিয়ে দেখি স্যার অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তারপর আমি বললাম “স্যার আ… আমার বাবা বলেছে এবার বিপিএল দেখতে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাবে। ” স্যারের রাগ কমে নি। কিন্তু আমার জানে জিগার দোস্তরা বাঁচিয়ে দিল। তারা বলল। রিহান আমাকেও নিয়ে যাস। আমাদের ফেলে যাস না। স্যার একটু গম্ভীর হয়ে চলে গেল। স্যার যাওয়ার পর পুরো ক্লাস হাসিতে মেতে উঠল।

আফরানঃঃ- আমার এখনো মনে আছে। তারপর থেকে স্টেডিয়াম শব্দটা তুই আর মুখেও আনিস নি।

নূরঃঃ- এবার আপনার পালা। (আফরানকে)

আফরানঃঃ- বর্ষার দিনে ফুটবল খেলা আহা হা অন্য রকম মজা। আমরা ফুটবল খেলছিলাম। বল ছিল আমার কাছে। আর আমি গোলের কাছাকাছি। যেই না বল গোল করতে যাব কাঁদায় পা পিছলে বলের আগে আমিই গড়িয়ে গোল নেটে ঢুকে পড়লাম। শুধু ঢুকেই পড়িনি। পড়েছি গোল কিপারের কোলে। বল মহাশয় গিয়ে পড়ল মাঠের বাইরে।

হাসতে হাসতে সবার করুণ অবস্থা।

পুষ্পঃঃ- আমরা সব বান্ধবী একসাথে স্কুল থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় ইটের সাথে পা লেগে আমি পড়ে যায়। আমাকে ধরতে গিয়ে আমার সাথে নূরও পড়ে যায়। রাস্তায় উপস্থিত সবাই অনেকটা ঘাবড়ে গেল আমাদের পড়ে যেতে দেখে। কিন্তু আমি আর নূর একে অপরের দিকে তাকিয়ে দিলাম এক ভেটকানি। আমাদের ভেটকানি দেখে উপস্থিত সবাইও ভেটকাই দিল। সেদিন ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম। কিন্তু নূরের ভেটকানিতে আমার লজ্জা তো দূরে থাক উল্টো নির্লজ্জের মতো হেসেছিলাম।

ওয়াসিমঃঃ- এসব তোমাদের দ্বারাই সম্ভব।

সবাই হাসতে লাগলো। এবার সিমার পালা।

নূরঃঃ- দাঁড়াও দাঁড়াও। সিমারটা আমি বলি। (বলার আগেই পাগলের মতো হাসতে লাগলো। তার হাসিতে সবাই উৎসুক হয়ে জানতে চাইলো) আমরা কলেজে যাচ্ছিলাম। তখন ছিল কোরবানি ঈদের সময়। চারদিকে গরু ছাগল মহিষ এসব। আমরা হাটছিলাম পিছন থেকে চিল্লানোর আওয়াজ হচ্ছে। পিছন ফিরে দেখি একটা ইয়ায়ায়া বড় মহিষ পাগল হয়ে ছুটছে। সবাই সে কি ভৌ দৌঁড়। কেউ দৌড়াচ্ছে, কেউবা আশেপাশে দোকানে বা বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। আমাদের সিমা আফা পথ খুঁজে না পেয়ে গেল ড্রেনে ঝাপ দিতে। মহিষটা তাকে অতিক্রম করে চলে যাওয়ায় আর ঝাপ দিল না।

পুষ্পঃঃ- বোইন থাম। সেদিন কি অবস্থা হয়েছিল সবার। আমার এখনো হাসি পাচ্ছে।

হাসতে হাসতে সবাই গড়াগড়ি খাচ্ছে। ইয়াশ ওয়াসিম তো শুয়েই পড়েছে। পেটে ধরে এপাশ ওপাশ হতে লাগলো।

সিমাঃঃ- আমারটা বললি তোর খুরাফাতি কাহিনি আমি বলি।

ওয়াসিমঃঃ- বল বল। ওরটা শুনতে এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম।

সিমাঃঃ- কলেজের তৃতীয় দিন নূরকে একটা ছেলে প্রোপজ করে। (প্রোপজ কথাটা শুনে না জানি কেন আফরানের রাগ হলো) কিন্তু নূর না করে দেয়। কিন্তু তাও ছেলেটার বন্ধুগুলো নূরকে দেখলে ভাবি ভাবি করত। জানা নেই শোনা নেই সোজা ভাবি? এবার নূর গেল ক্ষেপে। বলতে লাগলো “তোদের কোন জন্মের ভাবি লাগি রে”। তারা বলল “কেন শাহেদ আমাদের বন্ধু সেই হিসেবে তুমি আমাদের ভাবি”। নূর শাহেদের চুল মুটি ধরে সামনে এনে বলল ” কত মোহর দিয়ে বিয়ে করছস যে তোর বন্ধু আমাকে ভাবি ডাকছে। মোহর তো দেস নাই। এবার মোহর দে নইলে তোর হাড্ডি ভেঙে গুড়া করে ফেলব”। শাহেদ বলতে লাগলো “আরে বোন কি বল। তুমি তো আমার বোন লাগো। মায়ের পেটের আপন বোন” নূর আরও ক্ষেপে গেল “ওই হারামি এক্কেরে থাপরাইয়া মুতাই দিমু” শাহেদ সহ ওর সব বন্ধুকে একশ বার কান ধরে উঠবস করিয়েছে পুরো কলেজের সামনে। সেই থেকে শুরু হয় কলেজে আমাদের ধাপট।

আহিলঃঃ- বোন তুমি আসলেই একটা চিজ।

নূরঃঃ- হিহিহি।

আরিফঃঃ- সত্যি বলছি আমার মনে হয় না আমি সারাজীবনেও এতটা হেসেছি। হাসতে হাসতে পেট থেকে শুরু করে সারা শরীর ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। তোমার এই আইডিয়ার জন্য জীবনের সেই কিছু স্মৃতি আবারও তর তাজা হয়ে উঠল। থ্যাংক ইউ। থ্যাংক ইউ সো মাচ।

নূরঃঃ- মোস্ট ওয়েলকাম।

সবাই মিলে গল্প করছে। আকাশে মেঘ জমাট বাঁধছে। সূর্য মেঘে ঢেকে যাচ্ছে সেই মেঘের আড়ালে । তারা যেই রুমে বসে ছিল তার বাইরের দেয়াল ছিল কাঁচের। যার ফলে বাইরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। গার্ডেনে গাছের পাতা আর ফুলগুলো বাতাসে হেলছে। নূর এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে সেদিকে।

আলিফাঃঃ- আফরান ভাইয়া আপনি তো খুব ভালো গান গাইতে পারেন। আমাদের একটা গান শোনান।

রিহানঃঃ- বুদ্ধিটা খারাপ না। ওয়েট আমি গিটার নিয়ে আসছি।

রিহান গিটার এনে আফরানের হাতে দিল। গিটারের স্বরে নূরের ধ্যান কাটলো।


মন বলেছে তোর সাথে যাবো
তোকে নিয়ে চল আজকে হারাবো
মন বলেছে তোর সাথে যাবো
তোকে নিয়ে চল আজকে হারাবো
সোহাগের হাওয়ায় মেঘদের ডানায়
এই মন বেখেয়ালে অন্তরালে
স্বপ্ন রেখে যায়
জোনাকির গানে আদরের টানে
এই রং ছুয়ে থাকে ইচ্ছে আঁকে
ওই সুখী তারায়
মন বলেছে তোর সাথে যাবো
তোকে নিয়ে চল আজকে হারাবো হুমম…
ও ও ও ও ও……


গান শেষে সবাই আফরানের তারিফ করল।গান শেষ হতে না হতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ মনে হলো স্পিকারে গান বাজছে। সিমা পাশে তাকিয়ে দেখে নূর নেই।

সিমাঃঃ- নূর আবার শুরু করল।

আফরানঃঃ- কি শুরু করল?

আমরিনঃঃ- নাচ। বৃষ্টি পড়লেই ওকে আর থামানো যায় না। গান ছেড়ে নাচতে শুরু করে।

আফরানঃঃ- নাচ? আর নূর? হাউ ফানি। (বলে হাসতে লাগলো) দেখেছি ওর নাচ। খালি ব্যাঙের মতো লাফায়।

পুষ্পঃঃ- কি বলেন ভাইয়া। স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পর্যন্ত প্রত্যেক নাচ প্রতিযোগিতায় নূর ফার্স্ট হয়েছে। আপনি হয়তো সেদিন প্রোগ্রামের নাচ দেখেই মন্তব্য করেছেন। সেদিন সে একটু নার্ভাস ছিল। কারণ সে কোন প্রস্তুতি নেই নি। সব হঠাৎ করেই হলো তাই।

আফরান সহ সবাই অবাক।

ওয়াসিমঃঃ- রিয়েলি! নূর নাচতে পারে?

আলিফাঃঃ- বাইরে গিয়ে দেখুন।

সবাই গেল গার্ডেনে। খুব জোরে লাউড স্পিকারে গান চলছে। নূরের কোন দিকে খেয়াল নেই। হাত দুপাশে ছড়িয়ে মুখ উপরের দিকে চোখ বন্ধ করে আছে। বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা তার মুখে পড়ছে। সেও পরম আনন্দে উপভোগ করছে বৃষ্টির বিলাস৷
.
.
.
“””””saawan mein morni ban ke main to cham cham nachun
o main to cham cham nachun””””…… (2)
(((গানের তালে তালে নাচতে শুরু করল)))
“””””sanwariya teri yaad mein”””””…..(2)
teri chiththiyan bachun…..
ho ooo……. (((চিঠি তো নাই তাই গাছের পাতাই উড়িয়ে দিল)))

“”””saawan_________chiththiya bachun””””

গানের তালে এতই হারিয়ে গিয়েছে আশেপাশে কোন খেয়াল নেই।
<…………………………………………………….>
Teeron si chubhti hain
saawan ki sab ye boondein
chithi ka har akshar
meri udata hai neendein
ik to yeh tanhayi dhaye hai sitam
uspe yun saawan mein jalte hain hum
((((পাশে দেখে সিমারা দাঁড়িয়ে দেখতে। দুই হাতে সিমা আর পুষ্পকে টেনে নিল। তারাও বৃষ্টিতে ভিজছে। তাদের দেখে বাকিরা লোভ সামলাতে পারল না তারাও গেল। সব মেয়েরা বৃষ্টিতে ভিজে নাচছে। ছেলেরা তাদের দেখছে।))))

“”””saawan_________chiththiya bachun””””

নূর দেখল তার বান্ধবীরা সবাই ভিজছে। কিন্তু আফরান আর সব ছেলেরা দূর থেকে দেখছে। নূর গেল আফরানের সামনে।

aao aao jaanam pyar ka hai yeh mousam
matwali baarish mein aao jara bheege hum
(((( আফরানকে ইশারায় আসতে বলল। কিন্তু সে বারণ করে দেয়। তাই পিছনে গিয়ে কোমর দিয়ে ধাক্কা দেয়। আফরান ছিটকে বাইরে পড়ে। আর বৃষ্টির পানিতে প্রায় ভিজে যায়।))))

ek sapna lagta hai aana tera,
aaoge kehta hai yeh dil mera

((((জ্বিব বের করে ভেঙচি কাটলো। আফরান রাগী দৃষ্টিতে তাকাল। নূর এক চোখ টিপি দিল। আফরান ফিক করে হেসে দেয়। নূর সব ছেলেদেরও ধাক্কা দিয়ে বের করে))))

saawan mein morni ban ke main to cham cham nachun
o main to cham cham nachun
sanwariya teri yaad mein
sanwariya teri yaad mein
teri chiththiyan bachun…..ho ooo…….
saawan mein morni ban ke main to cham cham nachun
o main to cham cham nachun…….!!!
.
.
.
মেয়েরা নাচছে আর ছেলেরা শুধু তাদের দেখছে। আফরান দূর থেকে অপলক নয়নে নূরকে নাচতে দেখছিল। কিন্তু এক কাছ থেকে দেখে চোখ ফিরাতেই পারছে না। বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু জল তার চেহারায় হীরার মতো চকচক করছে। মুখে সে তৃপ্তময় হাসি। যেন বৃষ্টির জল নয় সুখ তাকে ভিজিয়ে দিচ্ছে। নূর হাত ছড়িয়ে ঘুরছে। গান শেষ হওয়ায় সেও থেমে যায়। মেঘ গর্জে উঠাই নূর কেঁপে উঠল। নূরের সামনে মেহের দাঁড়িয়ে ছিল। মেহেরের ঠিক পিছে আফরান দাঁড়িয়ে ছিল। আবারও মেঘ গর্জে উঠাই নূর দৌড়ে যায় মেহেরকে জড়িয়ে ধরতে। ইয়াশ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মেহেরকে হেচকা টান দেয়। নূর চোখ বুজে আফরানকে জড়িয়ে ধরে। আফরান তাল সামলাতে না পেরে সেও নূরকে আচমকা জড়িয়ে ধরল।

নূরঃঃ- মেহের আমাকে বাঁচা। (চোখ বন্ধ থাকায় কিছু না দেখেই বলল।) আহহহহ।

ইয়াশঃঃ- আরে মেহের কিভাবে বাঁচাবে? যাকে জড়িয়ে ধরেছ তাকে বল বাঁচাতে। (হেসে মেহের দিকে তাকিয়ে দেখে মেহের তার বুকের উপর। হেচকা টান দেওয়ায় মেহের ইয়াশের বুকে এসে পড়ে। মেহের অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। ইয়াশের চোখে চোখ পড়তেই দুজনে একটু সরে দাঁড়াল। এত কাছাকাছি হওয়ায় দুজনের খুব লজ্জা পাচ্ছে।)

ইয়াশের কথায় নূরের ধ্যান ভাঙল। একইভাবে জড়িয়ে ধরে শুধু মাথা উঠিয়ে দেখল। যাকে জড়িয়ে ধরেছে সে আফরান। তড়িঘড়ি পিছনে সরে আসতে কাঁদায় পিছলে যায়। আফরান নূরের হাত ধরে টান দিল। ফলে নূর আবারও আফরানের বুকের ঠিক বাপাশে গিয়ে পড়ল। যার কারণে আফরানের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দন স্পষ্টভাবে শুনতে পাচ্ছে। মেঘ আবারও গর্জে উঠল। নূর শক্তভাবে আফরানের শার্ট আঁকড়ে ধরল। সে বুঝতে পারল নূর ভয় পাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সে বলল।

আফরানঃঃ- সবাই ভেতরে চল। নাহয় ঠান্ডা লাগবে।

আফরানের কথায় নূরের হুশ ফিরল। লজ্জা পেয়ে সে আফরানকে ছেড়ে এক দৌড়ে ভেতরে চলে গেল। সবাই খুব কষ্টে তাদের হাসি চেপে রেখে মুখ টিপে টিপে হাসছে। আফরানও ভেতরে গেল। সে যাওয়ার সাথে সাথে সবাই হেসে দিল। তারাও ভেতরে গেল। ভিজে চুপসে আছে সবাই।

রিহানঃঃ- আরে আমরা তো ম্যানেজ করে নিব। কারণ এখানে আমার আর আফরানের এক্সট্রা জামা আছে। সব ছেলেরা পরে নিব। কিন্তু তোমরা কি পরবে। মেয়েদের জামা তো নেই।

নূরঃঃ- আরে আছে তো। ওই দিন না আপনি এত্তগুলা জামা এনেছেন। (আফরানকে বলল)

সবাই অবাক হয়ে নূরের দিকে তাকাল। নূর একপাশে জ্বিব বের করে কামড় দিল।

নূরঃঃ- ও আসলে ওই দিন যখন আফরানকে অ্যাসিস্ট করছিলাম তখন সুইমিংপুলে পড়ে ভিজে যায়। তখন আফরান এক গাদা জামা নিয়ে আসে। সেগুলো আছে…… হয়তো। (লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল)

আফরানঃঃ- (এই মেয়ে বারবার আমাকে লজ্জায় ফেলে।) আমার রুমেই আছে। ওয়ার্ড্রবে।

নূর তার সব বান্ধবীদের নিয়ে গেল। এদিকে ছেলেরা মনে হয় আকাশ থেকে পড়লো। হা হয়ে তাকিয়ে আছে আফরানের দিকে। আহিল গিয়ে আফরানের কপালে হাত দিয়ে চেক করতে লাগলো।

আহিলঃঃ- ভাই বৃষ্টিতে ভিজে তোর জ্বর টর হয়নি তো? তুই ঠিক আছিস? (আফরান বিরক্ত হয়ে তাকাল) না মানে ইদানিং দেখছি তোর মধ্যে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। না মানে তুই আমাদের আজ পর্যন্ত তোর ওয়ার্ড্রবে হাত দিতে দিস নাই। সেখানে নূর? কুচ তো গাড়বাড় হে দায়া।

আফরানঃঃ- (আসলেই তো!) প্লিজ মাথা খাস না। সর সামনে থেকে।

আফরান চলে গেল অন্য রুমে।

আরিফঃঃ- পরিবর্তনটা কিন্তুই ভালোই হচ্ছে। হয়তো আবারও আফরান সেই আগের মতো হয়ে যাবে।

সবাই সেদিন অনেক্ষণ আড্ডা দিল। তারপর বিকেলে যে যার বাড়ি পৌঁছে গেল।

.
.
.

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here