? Ragging To Loving ?
Part:: 32
Writer:: Ridhira Noor
রিহানকে হা হয়ে থাকতে দেখে পুষ্প বলে উঠল।
পুষ্পঃঃ- মুখ বন্ধ কর। নাহয় মশা ঢুকবে।
রিহানের সাথে সাথে বাকিরাও মুখ বন্ধ করে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়াল।
রিহানঃঃ- এটা কি ছিল? (অবাক হয়ে)
পুষ্পঃঃ- সবার স্পেশাল মন্ত্র। আমি তো শুনতে শুনতে অভ্যস্ত। তোমরা প্রথমবার শুনে শকড খেলে। নূরিইই,, আমুউউ,, সিমুউউ,, আলুউউ,, মেহুউউ শোন না আমার কথা।
মেয়েরাঃঃ- হুহহহ (তারা ভেঙচি কেটে একসাথে হাটা দিল।)
রিহানঃঃ- আফিইই,, ওয়াসিইই,, আহিইই,, ইয়াশিইই,, আরিইই তোরা তো……
ছেলেরাঃঃ- হুহহহ (তারাও ভেঙচি কেটে মেয়েদের মতো কোমর দুলিয়ে তাদের পিছনে হাটা দিল।)
রিহান-পুষ্পঃঃ- (ভ্যাবাচেকা খেয়ে একে অপরের দিকে তাকাল) এএএএএএএএ (নাক একপাশে কুচকে)
বাকিরা ওদিকে হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে।
মুহিনঃঃ- ওকে গাইজ আমি এখন চলি। যে কাজে এসেছি তা তো হয়ে গেল। আপুর (পুষ্পর মা) সাথে দেখা করে ফিরে যাব। পুষ্পকে জানিয়ে দিও। বাই গাইজ।
সবাই মুহিনকে বিদায় দিল।
নূরঃঃ- দুজনে খুব তো নাটক করল এই কয়দিন। এবার আমরা দেখাব নাটক কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? নাটক সিনেমা ড্রামা ফিল্ম সব দেখাব। আর হ্যাঁ বাকিরাও কিন্তু কোন কথা বলবে ওদের সাথে। একটু খাটিয়ে নেই ওদের।
তারপর মেয়েরা ক্লাসে গেল। ছেলেরা মাঠের একপাশে গাছের নিচে বসে আড্ডা দিচ্ছে। রিহান তাদের কাছে এলো। কিন্তু সবাই তাকে পাত্তা না দিয়ে নিজেরাই কথা বলছে। যেন রিহানের উপস্থিতি কিছু যায় আসে না। রিহান তাদের সাথে কথা বলার অনচেষ্টা করছে। কিন্তু সবাই তাকে উপেক্ষা করছে। রিহান রেগে হনহনিয়ে চলে গেল। সে যাওয়ার পর সবাই অট্টহাসিতে মেতে উঠল।
আহিলঃঃ- ইয়ার নূরের আইডিয়া অনেক জোস। খুব মজা লাগছে।
আফরানঃঃ- ইয়াহ ইয়াহ এসব ত্যাড়া চিন্তা ভাবনা নিয়েই তো চলে।
ক্লাসে স্যার পড়াচ্ছে এরই মাঝে পুষ্প তাদের সাথে কথা বলার অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। অনেক সরি বলল। আকুতি মিনতি করল কিন্তু কে শুনে কার কথা। পুষ্প এবার নূরের পেটে খোঁচা দিল। নূর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেল।
নূরঃঃ- স্যার এই মেয়ে ডিস্টার্ব করে। (পুষ্পর দিকে আঙুল করে)
পুষ্প আর স্যারসহ ক্লাসের সবাই অবাক। কারণ তাদের বন্ধুত্ব সম্পর্কে ভার্সিটির সবাই জানে। নূরের এমন বলায় সবাই একটু আশ্চর্য হলো।
স্যারঃঃ- তুমি বেরিয়ে যাও ক্লাস থেকে। (পুষ্পকে)
পুষ্প করুণ চোখে সবার দিকে তাকিয়ে চলে গেল। কেউ তার দিকে ভ্রুক্ষেপ করল না। পুষ্প যাওয়ার পর নূর সিমা সহ সবাই জোরে হেসে দিল।
স্যারঃঃ- কি হচ্ছে এখানে? যাও তোমরাও বেরিয়ে যাও।
তারা হেসে হেলেদুলে বেরিয়ে গেল। পুষ্পকে বাইরে দেখে ভেঙচি কেটে চলে গেল। পুষ্প অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।
এমন করতে করতে দুই দিন কেটে গেল। পুষ্প রিহান অনেক চেষ্টা করল তাদের রাগ ভাঙাতে। কিন্তু কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। পরের দিন নূর আফরান আর বাকিরা ভার্সিটিতে এসে গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখে দুইজন মুখে স্যাড ইমোজির মাস্ক পরে আছে। তাদের উপেক্ষা করে যেতেই দুইজনেই কান ধরে হাটু গেড়ে বসে পড়ল।
পুষ্পঃঃ- সরি তো ইয়ার। আমরা এসব লুকিয়েছি কারণ আমরা চাই নি আমাদের জন্য তোদের মধ্যে কোন ঝামেলা হোক। আর কি বা বলতাম বল। আমি চাই নি আমার জন্য তোরা কোন টেনশন নিস।
রিহানঃঃ- এসব বলে তোদের টেনশন দিতে চাই নি।
আফরানঃঃ- টেনশন? সিরিয়াসলি? তুই না বলাতে আরো বেশি টেনশনে ছিলাম। যখন তোর জ্বর হয়েছিল তখন শুধু ভাবতাম কি এমন হয়েছে যে তুই এতটা অসুস্থ হয়ে পড়লি। বলে যতটুকু টেনশন করতাম না বলায় তার চেয়ে বেশি টেনশন করেছি।
পুষ্পঃঃ- সরি তো। আর কখনো এমন হবে। প্রমিজ। (কান্না মিশ্রিত গলায় বলল)
চোখের পানি টলমল করছে। পলক ফেলতেই পানি গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল। হঠাৎই সবাই খিলখিল করে হেসে উঠল। নূর পুষ্পর সামনে হাটু গেড়ে বসে জড়িয়ে ধরল। সিমা আমরিন মেহের আলিফাও গিয়ে একসাথে জড়িয়ে ধরল। পুষ্প কিছুই বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে। আফরান গিয়ে রিহানের মাথায় টোকা দিল। তারপর সেও রিহানকে জড়িয়ে ধরল।
নূরঃঃ- কি হলো? বুঝতে পারছিস না? (বলেই হেসে দিল) কি ভেবেছিস নাটক শুধু তোরাই পারিস। আমরা পারি না বুঝি।
পুষ্পঃঃ- মানে?
আমরিনঃঃ- মানে এসব এতদিন ধরে নাটক চলছিল। যাতে তোর গোবর ভরা মাথাটা পরিষ্কার করতে পারি।
সিমাঃঃ- প্রথমে ভেবেছিলাম হারপিক খাইয়ে দিব। কিন্তু পরে ভাবলাম হারপিক খেলে তো পেটে যাবে। মাথায় যাবে না।
সিমার করা শুনে সবাই হেসে দিল।
আলিফাঃঃ- নূর দ্যা খুরাফাতি কুইন এই তুফানি আইডিয়া বের করল। তোদের শায়েস্তা করতে।
পুষ্পঃঃ- তোরা পারলি আমার সাথে এমনটা করতে? (আহ্লাদী সুরে বলল)
মেহেরঃঃ- ওলে লে বাবু। তুই যেভাবে পারলি করতে আমরাও সেভাবে পারলাম।
ওয়াসিমঃঃ- খুব তো ভালোই নাটক করেছিস। এতদিন আমাদের নাকের নিচে এত কাহিনি চলছিল আর আমরা টেরও পেলাম না। তাই আমরাও বুঝিয়ে দিলাম আমরাও পারি।
রিহানঃঃ- সরি দোস্ত। আর হবে না এমন।
আরিফঃঃ- আর হতেও দিব না।
পুষ্পঃঃ- সত্যি তোরা আর রেগে নেই তো?
নূরঃঃ- কে বলল রেগে নেই? রাগ এখনো আছে। একসাথে তিন তিনটা পার্টি দিবি তারপর রাগ ভাঙবে।
পুষ্পঃঃ- তিন তিনটা পার্টি। তা কেন ম্যাডাম।
নূরঃঃ- প্রথমত রিলেশন পার্টি। তারপর ব্রেকআপ পার্টি। এবার প্যাচআপ পার্টি। হলো তো তিন তিনটা পার্টি।
আলিফাঃঃ- এক্সকিউজ মি পিলিজ। তিন তিনটা না পাঁচ পাঁচটা পার্টি। এই দুই ফকিন্নির ট্রিট এখনো পেলাম না। (সিমা আমরিনকে উদ্দেশ্য করে)
মেহেরঃঃ- ভেরি ইশ্মার্ত আলু।
আলিফা একটু ভাব নিল। সিমা আমরিন আড়চোখে তাকাল। বাকিরা হাসতে হাসতে শেষ।
আহিলঃঃ- আই হেভ এন আইডিয়া। সব যখন ঠিক হয়ে গেল কেননা একটা ছোট গেট টুগেদার করা যাক। কি বল সবাই?
ইয়াশঃঃ- নট বেড। ভালোই আইডিয়া। এতদিন প্যারায় ছিলাম। এখন একটু চিল করব।
নূরঃঃ- ওয়েএএএটটটট………. আগে বল। আর কারো মধ্যে কি কোন অজানা ঝামেলা আছে? (সবাই মাথা নেড়ে না বলল) যদি পরে জানা এমন কিছু জানা যায় তাহলে তাকে হারপিক দিয়ে ওয়াশিং মেশিনে একেবারে ধুয়ে ফেলব।
সবাই হেসে উঠল।
রিহানঃঃ- এখন যেহেতু ঝামেলা নেই তাহলে চল সবাই একসাথে চিল করি। এত খুশিতে ক্লাস করা হবে না। তো কেননা সবাই ফার্ম হাউসে গিয়ে আড্ডা দেয়।
ওয়াসিমঃঃ- গ্রেট। তাহলে চল সবাই।
সবাই একমত হয়ে রওনা দিল ফার্ম হাউসের উদ্দেশ্যে। গার্ডেনের পাশেই বড় হল রুম। মাদুর বিছিয়ে সবাই গোল হয়ে বসল। মেয়েরা একত্রিত হয়ে একপাশে আর ছেলেরা তাদের সামনাসামনি বসল। আফরান রিহান আর জাফর চাচা মিলে সবার জন্য কোল্ড ড্রিংকস আর হালকা নাশতার আয়োজন করল। সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিতে লাগলো।
নূরঃঃ- এভাবে অনেক বোর হয়ে যাব। কেননা সবাই মিলে গেইম খেলি।
ওয়াসিমঃঃ- ওয়াও মিস খুরাফাতি কুইন নতুন কোন খুরাফাতি গেইম খেলবে।
নূরঃঃ- খুরাফাতি? আমি? হুহ্ আমি অনেক নম্র ভদ্র শান্তশিষ্ট লাজুক মেয়ে। আমি এসব করি না। এসব তো আমার মাথায় আসেই না।
আলিফাঃঃ- কেউ বিষ খা আমি মরে যায়। এই টর্চার আমি সহ্য করতে পারব না।
নূর আড়চোখে আলিফার দিকে তাকাল। আর বাকিরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
ওয়াসিমঃঃ- আরে আমার বোনটাকে এমন বল না।
নূরঃঃ- বোন? (চোখের কোণে পানি চলে এলো। সবাই তাকে এভাবে দেখে অবাক হলো।) জানেন আমার না ভাই নেই। কিন্তু একটা বড় ভাইয়ের অভাব অনুভব করি। ভাই মানে বোনের ঢাল। যে বোনকে সব বিপদ থেকে আগলে রাখে। ভাই বোনকে অনেক মারে, প্যারা দেয়, শাসন করে। কিন্তু বিপদে তারাই সবার আগে পাশে নয় সামনে থাকে। যাতে সেই বিপদটা বোনকে ছুতে না পারে। নিজে সব কিছুতে বাঁধা দেয়। কিন্তু বোনের খুশির জন্য নিজে সব বাঁধা উপেক্ষা করে। আমার ভাই ছিল না। কিন্তু ভাইয়ের মতো বোন ছিল। যে আমাকে আর তন্বিকে সব কিছু থেকে বাঁচিয়ে রাখত। অর…… (চোখের কোণে জমে থাকা পানি বাঁধা পেরিয়ে গড়িয়ে পড়ল।)
নূরের কথায় সবাই আবেগী হয়ে উঠল। তার বান্ধবী আর আফরান ছাড়া তারা এই প্রথম নূরকে ইমোশনাল হতে দেখল।
ওয়াসিমঃঃ- আই এম সরি।
নূরঃঃ- না প্লিজ। ইনফেক্ট আমি খুশি একটা ভাই পেয়ে।
আহিলঃঃ- একটা? আমিও আছি।
ইয়াশঃঃ- আমিও।
আরিফঃঃ- আমি কেন বাদ যাব। তাই আমিও
নূরঃঃ- আচ্ছা আপনারা সবাই………..
ওয়াসিম আহিল আরিফ ইয়াশ জোরে চিল্লিয়ে উঠল। নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া। তাদের চিল্লানোতে সবাই কেঁপে উঠল। তারা চারজন ফিসফিস করতে লাগলো।
ওয়াসিমঃঃ- আমরা চারজনই ঠিক আছি। রিহানকে ভাই বানালে আফরানও অটোমেটিকলি….. বুঝতে পারছিস তো। তাহলে সব সেটিংই গড়বড় হয়ে যাবে।
আহিলঃঃ- আমরা চারজনই ঠিক আছি। আর কাউকে ভাই বানাতে হবে না।
রিহানঃঃ- আমি কি দোষ করেছি।
আরিফঃঃ- চুপ কর বেশি বকবক করবি না। নূর শুধু আমরা চারজনের বোন। আর কারো না।
ইয়াশঃঃ- সব সেটিংই গড়বড় হয়ে যাবে তো।
সবাইঃঃ- সেটিং ?
ইয়াশঃঃ- (এই রে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল) আরে এসব বাদ দে। নূর বল কি গেইম খেলবে?
সবাই মনোযোগ দিল।
নূরঃঃ- তাহলে শোন। জীবনের একটি হাস্যকর ঘটনা কি ঘটেছে বলতে হবে। আমার ডানপাশ থেকে শুরু করি। পর পর সবাইকে বলতে হবে। (সবাই রাজি হলো। এই সুযোগে বিনোদনও পাবে।)
আলিফাঃঃ- ছোট বেলা থেকেই আমি আর মেহের একসাথে বড় হয়েছি। সমবয়সী হওয়ায় আমরা একই রকমের জামা পড়তাম। ক্লাস টু তে থাকতে। আমি একটা মেয়ের চুলে চুইংগাম লাগিয়ে লুকিয়ে পড়ি। মেয়েটি তার মাকে নিয়ে আমাদের ঘরে নালিশ করে। মেহের আর আমি একই জামা পরাই মেয়েটা কনফিউজ হয়ে যায়। আর সব দোষ এসে পড়ে মেহেরের ঘাড়ে। সেই কি খেলানি খাইছিল ওই দিন।
সবাই হাসছে। মেহের রেগে আলিফাকে কয়েকটা লাগিয়ে দিল মাইর।
মেহেরঃঃ- আমি তো জানতাম এই কান্ড আলিফার। তাই আমার খেলানির প্রতিশোধ নিতে রাতে গিয়ে কাচি দিয়ে ওর চুল গুলো কেটে ছোট ছোট করে দেয়। তারপর ওকে বলি মিথ্যা বলায় ইঁদুর ওর চুল খেয়ে নিয়েছে। তার পরের দিন সে সবাইকে সত্যি বলে দেয়। এরপর নিজে খেলানি খায়।
আলিফাঃঃ- তার মানে তুই করেছিস সব। (তারপর আলিফা উল্টো খেলানি দিল মেহেরকে। সবার হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেল।)
আমরিনঃঃ- ক্লাস নাইনে থাকতে একবার আম্মুকে বলি আজ রান্না আমি করব। একটা ভিডিও দেখে নতুন রেসিপি শিখলাম। যাতে ডিস্টার্ব না হয় আম্মুকে কিচেনের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। আমি রেসিপি অনুযায়ী সব করি। খাবারের রূপ রং দেখতে ভীষণ সুন্দর হয়েছে। এক ঘন্টা পর খাবার নিয়ে সবাইকে সার্ভ করি।
আহিলঃঃ- এখানে হাস্যকর কি হলো?
আমরিনঃঃ- হাস্যকর? (মুখ লটকিয়ে ফেলল) চুলা জ্বালাতেই ভুলে গিয়েছিলাম। খাবার মুখে দেওয়ার পর সবার বমি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আহিলঃঃ- ও মা গো…….. (হাসতে হাসতে ওয়াসিমের গায়ে ঢলে পড়ল)
ওয়াসিমঃঃ- হাসা বন্ধ কর। বিয়ের পর সব রেসিপি তোকেই খাওয়াবে।
মূহুর্তে আহিলের হাসি উড়ে গেল। বাকিরা হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়লো।
আরিফঃঃ- আমি আর ইয়াশ স্কুল থেকে আসছিলাম। ছোট বেলায় আমরা রিকশার পিছনে ছড়ে যেতাম। তো একদিন হলো কি (আরিফ হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে) আমি আর ইয়াশ উঠে গেলাম রিকশার পিছনে। কিছু দূর গিয়ে আমি নেমে পড়ি। ইয়াশ বেচারা নামতে পারল না। রিকশা খুব দ্রুত চলছিল। নামার সুযোগও নেই। তো ইয়াশ আটকা পড়ল। নামতে না পেরে সে কি কান্না। কিন্তু রিকশা থেকে নামলো না। রিকশায় ঝুলে ছিল। তার কান্নার আওয়াজে রিকশা থামায়। থামার সাথে সাথে সে ভৌ দৌঁড়। অলিম্পিক রেসের মতো।
(সবাই পেট ধরে হাসতে লাগলো। ইয়াশ বেচারা লজ্জায় শেষ।)
মেহেরঃঃ- ওরেএএএএএ থাম এবার প্লিজ। হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যাথা হয়ে গেল। আমি আর পারছি না।
সিমাঃঃ- আর তো হাসতে হাসতে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
ইয়াশঃঃ- আমারটা বললি এবার তোরটা আমি বলি। স্কুল ছুটিতে গ্রামে ফুফির বাসায় গেলাম ছুটি কাটাতে। আমি আরিফ রাতুল ভাইয়া। গ্রামে ঘুরছিলাম। ঘুরে ফিরে বাসায় এসে দেখি ফুফা গরুর দুধ ধোয়াচ্ছে। আরিফ দ্যা গ্রেটের শখ উঠলো। সেও দুধ ধোয়াবে। ফুফা অনেক বারণ করল। কিন্তু সে জেদ ধরে বসে আছে। করবে মানে করবে। তাই ফুফা হার মেনে তাকে দিল। সাবধানে কাজ করতে বলল। যেই না গরুর পাশে গেল পিছন থেকে এক লাত্থি দিল। বেচারা গিয়ে পড়ল গোবরের উপর। মুখ তো একেবারে গোবরে লেপ্টে গেল।
আলিফাঃঃ- ওরেএএ তাই বলি এত ফর্সা কেন। ছোট বেলায় যে ফেসিয়াল করেছে তারই কামাল এটা।
হাসতে হাসতে কাইত হয়ে গেল সবাই।
.
.
.
চলবে
।
বিঃদ্রঃ কারো এমন কোন হাস্যকর ঘটনা থাকলে বলিও ?
শুধু আমি বিনোদন দিব না কি ? তোমরাও আমাকে বিনোদন দাও