Ragging To Loving ? Part:30

0
939

? Ragging To Loving ?
Part:: 30
Writer:: Ridhira Noor

ওয়াসিম সিমাকে ফোন দিল।

ওয়াসিমঃঃ- হাই মাই মিস পিংকি।

সিমাঃঃ- হাই মাই মি. পিংপং।

ওয়াসিমঃঃ- কি করছ?

সিমাঃঃ- এই যে কচু গাছের সাথে উল্টো হয়ে ঝুলে আছি।

ওয়াসিমঃঃ- এটা কোন কথা হলো। আমি আশা করেছিলাম রোমেন্টিক কিছু বলবে। তোমাকে মিস করছিলাম বা তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। এই দিকে উল্টো গঙ্গা বইছে। (অপর পাশ থেকে সিমা হাসছে।)

সিমাঃঃ- দেখতে তো পারছ না থুক্কু শুনতে তো পারছ তোমার সাথে কথা বলছি। আবার জিজ্ঞেস করছ কেন কি করছি?

ওয়াসিমঃঃ- হায়রে কপাল। এমন ত্যাড়া উত্তর না দিলে হয়না তোমার?

সিমাঃঃ- এমন ত্যাড়া প্রশ্ন না করলে তোমার হয়না?

ওয়াসিমঃঃ- আচ্ছা প্লিজ ঝগড়া কর না এখন। খুব মিস করছিলাম তোমায়।

সিমাঃঃ- সকালেই তো দেখা হলো ভার্সিটিতে।

ওয়াসিমঃঃ- ধুরর আমার মুডের ব্যান্ড বাজিয়ে দিলে।

সিমাঃঃ- (হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে) আরে মজা করছিলাম। সরি। (তারপর ওদের মধ্যে কথা হলো। এত জেনে কি করবেন হুরর।)
.
.
আহিলঃঃ- হাই মাই লাভ।

আমরিনঃঃ- (লজ্জা মাখা হাসি দিল। আহিল যখন মাই লাভ বলে তখন লজ্জায় তার চেহারা লাল টমেটো হয়ে যায়) হাই। কি করছ?

আহিলঃঃ- ভাবছি। এই মূহুর্তে তোমার লাল গাল দুটো দেখতে কেমন লাগছে। উফফ বুকের ভেতর কেমন যেন করে তোমার লজ্জা মাখা চেহারা দেখে।

আমরিনঃঃ- (অবাক হয়ে ভাবছে আহিল কিভাবে জানলো সে লজ্জা পেল। দৌড়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। আসলে গাল দুটো লাল হয়ে গেল।)

আহিলঃঃ- আয়না দেখা শেষ হলে বল কেমন লাগছে দেখতে?

আমরিনঃঃ- তুমি কিভাবে জানলে? (অবাক হয়ে বলল।)

আহিলঃঃ- জেনে গেলাম কোন ভাবে। (আমরিন তো লজ্জায় শেষ।)
.
.
পুষ্প একবার বেডের উপর উঠে লাফাচ্ছে একবার জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। অস্থির হয়ে পুরো রুমে পায়চারি করছে।

পুষ্পঃঃ- এক কাজ করি হয় বনবাসে চলে যায় নাহয় হিমালয়ে। আয়ায়া কেউ আমাকে বাঁচাও এই নূরির হাত থেকে। মোবাইল অফ করে রাখছি নাহলে এতক্ষণে আমি শহীদ হয়ে যেতাম। কিন্তু কাল তো ভার্সিটি যেতে হবে। আর ভার্সিটি গেলেই আমি শেষ। ওই ডায়নি আমার ঘাড় মটকে খাবে। ভ্যায়ায়ায়া কোন দুঃখে আফরান ভাইয়াকে বলতে গেলাম এসব। নূর নিশ্চয় আগ্নেয়গিরি হয়ে ফেটে গেল। আর সেই লাভা দিয়ে আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করবে।
.
.
রিহান মোবাইল নিয়ে বসে ছিল। স্ক্রিনে পুষ্পর নাম্বার। কি যেন মনে করে কল হিস্ট্রিতে গেল। দেখে চরম অবাক হলো। এই কি? প্রায় দেড় বছর ধরে মাঝে মাঝে এই নাম্বার থেকে কল আসতো। তাও মাস খানেক পর পর। কিন্তু সব ব্লাঙ্ক কল। ভালো করে দেখতে লাগলো।

রিহানঃঃ- এসবের মানে কি? তার মানে আমার নাম্বার পুষ্প ডিলিট করেনি। যদি সে মনেই রেখেছিল। তাহলে এভাবে আমাকে ছেড়ে চলে গেলই বা কেন? না আমি আর এসব ভাবতে পারছি না। (মোবাইল ছুড়ে মাথা ধরে বসে আছে)
.
.
আফরান ব্ল্যাক ট্রাউজার ব্ল্যাক টি-শার্ট পরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। রেলিং এ থাকা কফি মগ থেকে ধোঁয়া উঠছে। সে দূর দূরান্তে আকাশের পানে তাকিয়ে আছে। চিন্তা করছে কালকে কিভাবে নূরের মুখোমুখি হবে। কফি মগ হাতে নিয়ে এক চুমুক দিল।

আফরানঃঃ- এমনে আংকেলের আইডিয়া কিন্তু খারাপ না। কাজে আসতে পারে। কিন্তু আমি কিভাবে করব? এক কাজ করি কাল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ব তারপর সেদিক থেকে সোজা ভার্সিটির দিকে রওনা দিব। হুম তাই করব।
.
.
আয়ায়ায়া এই জগ এদিকে কেন? তন্বি এটা ওই পাশে রাখ। তন্বি নিয়ে অন্যপাশে রাখল। উফফ এই ফুলদানি এই দিকে কে রাখছে। নিয়ে যা এটা।

তন্বিঃঃ- (কোমরে হাত তার সামনে দাঁড়ালো) তোমার কি হয়েছে বল তো। সে আসার পর থেকে দেখছি কিছু না কিছু নিয়ে শুধু শুধু রেগে যাচ্ছ। সবকিছু ঠিক আছে। নিজের জায়গায় আছে। তুমি ঠিক নেই। বল কি হয়েছে?

নূরঃঃ- আ…..

তন্বিঃঃ- ওয়েট। (ড্রয়ার থেকে একটা ডেইরি মিল্ক নিয়ে বেডের উপর পা তুলে একবারে ফিট ফাট হয়ে বসল। চকোলেটে কামড় দিয়ে বলল) লাইট ক্যামেরা একশন। এখন শুরু কর।

নূরঃঃ- ওই পুষ্প ফকিন্নি কি দরকার ছিল ওই বিলাতি বকটাকে আমার ব্যাপারে বলার। আমার কারো দয়া লাগবে না। আমি এমনই ঠিক আছি। আর উনারই বা কি দরকার ছিল ওইখানে যাওয়ার। (নূর বকবক করতেই আছে। তন্বিও চকোলেট খাচ্ছে আর শুনছে) যত্তসব ঢং। আফরান জাফরান আফগান পাকিস্তান ওকে তো আমি….. (হাসির খিলখিলানি শুনে থেমে গেল। পিছন ফিরে দেখে তন্বি বেডের উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে)

তন্বিঃঃ- আফরান জাফরান আফগান পাকিস্তান। হোয়াট এ নেম। পাও কই এই নামগুলো।

নূরঃঃ- তন্বিইইই। দেখ এমনিতেই রাগ মাথায় ছড়ে বসেছে তুই আরো রাগ বাড়াইস না।

তন্বিঃঃ- ওকে সরি। (মুখে আঙুল দিয়ে চুপ হয়ে গেল। নূর অন্যপাশে ফিরতেই) আফরান জাফরান…… (বলে আবারও হেসে দিল)

নূরঃঃ- তন্বিইইইইইইইইইইই।

তন্বিঃঃ- (এক লাফ দিয়ে চাদর মুড়িয়ে শুয়ে পড়ল) আয়ায়ায়ায়া আমি ঘুম।

নূর বিরক্ত হয়ে বারান্দায় চলে গেল।

পরেরদিন ভার্সিটিতে____________________

আমরিন সিমা মেহের আলিফা তারা একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। আসার পথে পুষ্প তাদের সব কাহিনি বলল। নূর পুষ্প সামনাসামনি দাঁড়িয়ে আছে। নূর কোমরে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর পুষ্প মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

পুষ্পঃঃ- সরি সোনা।

নূরঃঃ- রাখ তোর সোনা রুপা পিতল তামা। এক্কেরে থাপরাইয়া মুতাই দিমু। কে বলছিল তোকে আফরানকে জানানোর জন্য।

পুষ্পঃঃ- আমি কি করব বল। সে এত আকুতি মিনতি করছিল। তাই…. বলে দিছি।

নূরঃঃ- তুই খুব ভালো করে জানিস কেউ আমার প্রতি দয়া দেখায় সেটা আমার পছন্দ না। জানি না আফরান কি ভাবছে। কিন্তু আমি চাই না সে আমার প্রতি দয়া দেখায়। (খুব নরম সুরে বলল। কান্না পাচ্ছে খুব তাও কন্ট্রোল করে চলে গেল।)

আমরিনঃঃ- ইয়ার ওকে এভাবে দেখতে মোটেও ভালো লাগছে না। কিছু একটা তো করতে হবে।

পুষ্পঃঃ- হুম। আমার ওকে সরি বলা উচিৎ।

বেশ কিছুক্ষণ পর নূর লাইব্রেরি গেল। তার প্রতিদিনের জায়গায় বসতে নিলে দেখে একটা SORRY কার্ড সাথে একগুচ্ছ সাদা গোলাপ আর অনেকগুলো ডেইরি মিল্ক সিল্ক। সবগুলো হাতে নিয়ে এক লাফে চিৎকার দিয়ে উঠল।

নূরঃঃ- আয়ায়া হোয়াইট রোজ, ডেইরি মিল্ক সিল্ক। হোয়াইট রোজ আমার ফেভারিট এটা খুব কম মানুষেই জানে। ওয়েট কার্ডটি খুলে দেখি। (কার্ডের দান পাশে উপরে লিখা_____
“যে সবাইকে হাসায় সে নিজেই যদি মুখ গোমড়া করে রাখে তাহলে কি আর হয়? I am really very Sorry.
আর কিছু না দেখেই ফুলগুলো আর চকোলেটগুলো দেখতে লাগলো।)
হোয়াইট রোজ আমার ফেভারিট এটা খুব মানুষই জানে। আর সরি কার্ড? কে দিতে পারে?(গভীর ভাবে চিন্তা করতে লাগলো। হঠাৎ লাফিয়ে উঠল) আরে কে আর হবে আমার ফকিন্নি বান্ধবী পুষ্পই তো। (কার্ড ফুল চকোলেট সব বুকের মাঝে আকড়ে ধরে লাফাতে লাফাতে বাইরে গেল।)

দূর থেকে আফরান নূরকে দেখে কপালে হাত দিল। আফসোসের সুরে বলল।

আফরানঃঃ- হায় আমার ক্রেডিট অন্য কেউ নিয়ে গেল। সেই কোন সকাল থেকে কমপক্ষে ১৫-২০ টা দোকান ঘুরে এসব নিয়ে এলাম। এই সাদা গোলাপ সহজে পাওয়া যায় না। এত দূর থেকে আনলাম আর ম্যাডাম জি সব ক্রেডিট নিয়ে গেল। বাট যায় হোক আংকেলের আইডিয়া কাজে এসেছে।

[[[আংকেলঃঃ- শোন বাবা রাগ করা স্ত্রীর অধিকার আর রাগ ভাঙানো স্বামীর দায়িত্ব। তোমার এই আন্টিও অযথা ঝগড়া করত আমার সাথে। আর আমাকেই তার ভাঙাতে হতো। তোমাকে আমার সিক্রেট বলি কাজে আসবে। ওর জন্য একটা সরি কার্ড নিয়ে সেখানে নিজের মনের কিছু কথা লিখে দিও। তারপর একগুচ্ছ ফুল আর চকোলেট দিও। দেখবে নিমিষেই রাগ উধাও হয়ে গেল। ]]]

আফরানঃঃ- থ্যাংকস ওয়ান্স এগেইন আংকেল।

পুষ্প আর বাকিরা ভার্সিটির মাঠে দাঁড়িয়ে ভাবনায় পড়ে ছিল। নূর আচমকা এসে পুষ্পকে ধরে লাফাতে লাগলো। সবাই আশ্চর্য হয়ে তার কান্ড দেখছে। কি হলো কিছুই বুঝতে পারছে না।

নূরঃঃ- অবশেষে রাগ ভাঙিয়ে দিলি। যাও ভৎস ক্ষমা করলাম তোমায়। আর এত্তগুলা থ্যাংক ইউ এসবের জন্য। (কার্ড ফুল গুলো দেখিয়ে)

পুষ্পঃঃ- এসব? আমি….. (নূরকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আফরান পিছন থেকে চুপ থাকার ইশারা করল। ইশারা দিয়ে বারণ করল যাতে কিছু না বলে। সেও চুপ হয়ে গেল। আর নূরের আনন্দ দেখছে। আর আড়চোখে আফরানকেও দেখছে। মনে হচ্ছে যেন নূরের আনন্দ দেখে নূরের চেয়েও সে বেশি আনন্দিত।)

আফরানঃঃ- (কারণ যাই হোক অন্তত তোমার মুখে হাসি রেখা তো ফুটেছে। এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। হায়….. কি যে এই মেয়েটার।)

আফরান নূরের কাছে গেল। আফরানকে দেখে নূর অন্যপাশে মুখ ফিরিয়ে নিল।

আফরানঃঃ- নূর। (খুবই করুণ সুরে বলল। তার এই করুণ সুরে নূর কিছুটা নরম হলো। কিন্তু এই নাছোড়বান্দা এত সহজে মানার পাত্রী নয়।)

পুষ্পঃঃ- নূর দেখ ভাইয়া নিজে তোর কাছে এলো। সে তো আর ইচ্ছে করে করেনি। না জানার কারণেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

নূরঃঃ- হুহ্ ইটস ওকে। আমার মুড ভালো তাই আর কিছু বললাম না। (কার্ড ফুল চকোলেট নিয়ে গোল হয়ে ঘুরলো) হায়…… আই লাভ ইউ এত্তগুলা। (হাত ছড়িয়ে বলল)

সিমাঃঃ- কাকে?

নূরঃঃ- যে আমাকে এগুলো দিয়েছে। আমার মুড ভালো করেছে। আমার খুশির কারণ তাকে।

অবাক হয়ে পুষ্প আফরান নূরের দিকে তাকাল। তারপর একে অপরের দিকে তাকাল। পুষ্প ফিক করে হেসে দিল। আফরান নিচু হয়ে মাথা চুলকাতে লাগলো।

নূরঃঃ- এখানে হাসার কি হলো? (তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে)

পুষ্পঃঃ- কিছু না। এমনি। (আবারও হাসতে লাগলো)

ওয়াসিমঃঃ- কি নিয়ে এতো হাসাহাসি হচ্ছে? আমাদেরও বল আমরাও একটু হাসি।

পুষ্পঃঃ- খুরাফাতি কুইনের খুরাফাতি কাহিনি নিয়ে হাসছি।

ওয়াসিমঃঃ- ওহ। বাই দ্যা ওয়ে আফরান। আজ তুই এতো সকাল সকাল ভার্সিটিতে কেন এসেছিলি?

আফরানঃঃ- ও….. আসলে আমার কিছু কাজ ছিল তাই।

তারা সবাই কথা বলছিল এমন কেউ একজন রিহানের মাথায় টোকা দিল।

রিহানঃঃ- আব্বে কে রে? (পিছন ফিরে দেখে সাদিক আর ফাহাদ)

সাদিকঃঃ- তোর নানা। (রিহানকে জড়িয়ে ধরল) শালা ভুলে গেছিস আমাদের তাই না?

ফাহাদঃঃ- ভুলবেই তো। মনের রাখার মতো আমরা কে?

রিহানঃঃ- কি যে বলিস ইয়ার। তোদের কিভাবে ভুলব। তা তোরা এখানে কিভাবে?

সাদিকঃঃ- বিজনেসের কাজে চট্টগ্রাম এসেছি ভাবলাম তোদের সাথে দেখা করি। তোর বাসায় গিয়েছিলাম। আন্টির থেকে তোদের ভার্সিটির এড্রেস নিয়ে এলাম। তা কেমন আছিস সবাই?

সবাই কুশল বিনিময় করে টুকটাক কথা বলল। হঠাৎ ফাহাদের নজর পড়ল পুষ্পর দিকে। কিছু একটা ভাবতে লাগলো। আচমকা বলে উঠল।

ফাহাদঃঃ- হেই তুমি পুষ্প না?

পুষ্পঃঃ- (নো… মনে মনে এই ভয়ই পাচ্ছিলাম। চিনে ফেলল আমাকে। এখন কি হবে। ভয়ে হাত পা কাঁপছে।)

আলিফাঃঃ- আপনি পুষ্পকে চিনেন।

ফাহাদঃঃ- আরে চিনব না কেন? যাক অবশেষে তুমি আর রিহান এক হয়ে গেলে। আমি তো কত আফসোস করছিলাম ওদের নিয়ে। আমাদের জন্য তাদের রিলেশনে প্রব্লেম হলো। বাট নাও আই এম হ্যাপি। তোদের একসাথে দেখে ভীষণ খুশি আমি।

সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে ফাহাদের দিকে। কি বলছে এসব। পুষ্প আর রিহান, রিলেশন? রীতিমতো পুষ্পর হাত পা কাঁপছে। রিহানও মাথা নিচু করে আছে। সবার মনে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কারো মুখে শব্দ নেই। সবার এমন অবস্থা দেখে ফাহাদ বলে উঠল।

ফাহাদঃঃ- আমি কি ভুল কিছু বলেছি?

.
.
.

চলবে

বিঃদ্রঃ লে সারপ্রাইজ ? আজ একসাথে দুইটা পর্ব দিলাম। কেউ কি সারপ্রাইজের অপেক্ষায় ছিলে ?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here