ভালোবাসি_প্রিয়_সিজন_টু পর্ব_২৫

0
1066

ভালোবাসি_প্রিয়_সিজন_টু
পর্ব_২৫
#সুলতানা_সিমা

ঘড়ির কাঁটায় সকাল নয়টা বাজে। দিহান বাসা থেকে বের হবে দশটার ভেতর৷ কিন্তু সে এখনো তো রুম থেকেই বের হচ্ছেনা। হানিফ চৌধুরী ছেলের উপর প্রচন্ড বিরক্ত হচ্ছেন সাথে উনার বড় ভাইও। উনাদের অফিসে যেতে হবে কিন্তু শান্তি চৌধুরী দিহানকে বিদায় না দিয়ে উনাদের বের হতেই দিচ্ছেন। আর দিহান যে রুমে গিয়েছে আসতেই চাইছে না। শাওনের বুকে চিনচিন ব্যথা হচ্ছে। অরিন নিশ্চয়ই এখন তাঁর স্বামীকে আঁকড়ে ধরে বলছে প্লিজ যাবেন না আপনি। কথাগুলা যতবার ভাবছে ততবারই বুক ছিঁড়ে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছে। আর ততবারই শান্তি চৌধুরী কাতর চোখে শাওনের দিকে তাকাচ্ছেন। দিহানের জন্য অপেক্ষা করতে করতে এক সময় দিলারা বেগম কিঞ্চিৎ ঝাঁঝ গলায় বললেন,”সুমনা দিহানকে ডেকে আয়। ও না গেলে তো না করবে। শুধু শুধু সবাইকে বসিয়ে রাখছে কেন?” সুমনা চৌধুরী কিছু না বলে উপরে গেলেন। দিহানের দরজায় কড়া নেড়ে ডাক দিলেন। দিহান আসছি বলল,সুমনা চৌধুরী তাড়াতাড়ি আয় বলে নিচে চলে আসলেন। উনি আসার পরে সবাই উনার দিকে জিজ্ঞাসুক চোখে তাকালো উনি ক্ষীণ স্বরে বললেন,”আসছে।”

দিহান অরিনের চোখের পানিটা মুছে কপালে চুমু খেলো। হাতের উল্টো পিঠে নিজের চোখটা মুছে বলল,”বউপাখি কেঁদো না প্লিজ। নয়তো আমি যেতে পারবো না।” অরিন কান্নার জন্য কিছু বলতে পারছে না। বার বার শরীর ঝাঁকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠছে। দিহান অরিনের কপালে কপাল ঠেকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,”প্লিজ বউপাখি কান্না থামাও।” অরিন চট করে দিহানকে জড়িয়ে ধরে। আবারও সে কান্না জুড়ে বসে। বাইরে থেকে মিহানের গলা শুনা যাচ্ছে। দিহান অরিনকে বলল, “সবাই ডাকছে সোনা। প্লিজ কান্না থামাও। তুমি কান্না না থামালে আমি যেতে পারবো না।” অরিন দিহানকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তাঁর কান্না থামছে না। দিহান অরিনের ওষ্ঠযুগল ছুঁয়ে দিলো। তারপর অরিনের কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে বলল,”ভালোবাসি বউপাখি।”
_নিজের খেয়াল রাখবেন।
_হুম তুমিও।” বলতে বলতে চোখ জোড়া আবার ভিজে এলো। হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছে লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে গেলো দিহান। অরিন ধপ করে মেঝেতে বসে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। আজ সে কার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে? প্রতিরাতে কে তাঁর ঘুম পারিয়ে দিবে? কে তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে বউপাখি ঘুমিয়ে যাও। অরিনের ইচ্ছে করছে কলিজাটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে। এইমাত্র বের হলো দিহান আর এখনই রুমটা শূন্য মনে হচ্ছে। এতো বড় একটা রুমে তাঁর কলিজাটা ছেড়ে সে থাকবে কেমনে?

দিহানের পা এগুচ্ছে না। মনটা বার বার বলছে প্লিজ যাবিনা দিহান। তুই থাকতে পারবি না অরিনকে ছাড়া
একটা একটা করে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামছে মনে হচ্ছে তাঁর একেকটা পাজর ভেঙে যাচ্ছে। গলায় কান্না জমে আছে। শুকনো ঢোক গিলে বার বার নিজেকে শক্ত করছে। যতই চাইছে নিজেকে শক্ত করতে ততই তাঁর বুকটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে। বার বার ভাবছে,থাকবে কি করে তাঁর এই অবুঝপাখিটাকে ছেড়ে? নিচে এসে কারো সাথে কোনো কথা না বলে সোজা গিয়ে গাড়িতে উঠলো দিহান। ড্রয়িংরুমে বসা উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকায়। এতক্ষণ ধরে তাঁরা দিহানের অপেক্ষা করছে আর দিহান এসেই কিনা এমনভাবে বের হলো যেন কাউকে সে দেখেই নি।

শাওন আর মিহান এসে গাড়িতে উঠলো। ওরা তাঁকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। দিহান বেলকনির দিকে তাকালো। অরিন তাকিয়ে আছে। শাওন গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার পড়েও সে দাঁড়িয়ে থাকলো। দিহান জানালার বাইরে মাথা বের করে শেষ বারের মতো আবার অরিনকে দেখলো৷

এয়ারপোর্টে শাওন ও মিহানের থেকে বিদায় নিয়ে যেতে লাগলো দিহান। দু এক পা এগিয়ে আবার ফিরে আসলো। মিহান ও শাওন জিজ্ঞাসুক চোখে তাকায়। দিহান চট করে দিহানের দুটো হাত ধরে বলল, “অরিনকে দেখে রাখিস প্লিজ।” মিহান মৃদু হেসে বলল, “আমি তো কয়েকদিন পরে তোর কাছে চলে যাবো আমাকে বলছিস কেন? শাওনকে বল। [দিহানের পিঠে চাপড় দিয়ে] চিন্তা করিস না। যতদিন দেশে আছি অরিনকে খেয়াল রাখবো।” দিহান দ্বিতীয় বারের মতো বিদায় নিয়ে চলে যায়।

মিহান আর শাওন এসে গাড়িতে উঠলো। শাওন গাড়ি স্টার্ট দেয়। মিহান সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। কিছুদূর এসে শাওন মিহানকে বলল,”আচ্ছা মিহান তুই কাল অরিনকে দেখে এমন করলি কেন?” মিহান সিট থেকে মাথা তুলে শাওনের দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। তারপর বলে,”তার আগে তুই আমাকে এটা বল, দিহান অরিনকে নিয়ে এতো দূর গেলো কেমনে?
_সবাই কি তোর মতো বই নিয়ে পড়ে থাকে নাকি? আর তাছাড়া দিহান অরিনের বিয়েটা কিন্তু কাকতালীয় ভাবেই হয়েছে।
_হতেই পারে।
_হতেই পারে নয় এটাই হয়েছে। এখন বল কাল এমন করলি কেন?
_আজব। কেমন করলাম? আমি তো অরিনকে অবাক হয়ে গেছিলাম। আর আমি জানি অরিন বিধবা। আর তুই বলছিলি শুধু অরিন নয় মিসেস দিহান। এতো বড় ঝাটকা নিতে পারিনি।” শাওন আর কিছু বলল না। সে সকালে মিহানকে বলে দিয়েছে অরিনের বিষয়টা যেন কেউ না জানে। শাওনের ফোনে কল এলে সে ড্রাইভ করে করে পকেট থেকে ফোন বের করে। শায়লা চৌধুরী ফোন দিয়েছেন। মায়ের কল দেখে শাওন তাড়াতাড়ি ফোনটা ধরে।

_হ্যাঁ আম্মু বলো।” ফোনের ওপাশ থেকে শাওনের মা কি যেন বললেন। শাওন উনার কথা শুনে খুব জোরে গাড়ি ব্রেক করলো। সিট বেল্ট না পড়ায় মিহান মাথায় একটা বারি খেলো। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। কপালে হাত বুলাতে বুলাতে শাওনের দিকে তাকালো। শাওন খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে। তাঁকে দেখে অস্বাভাবিক লাগছে। মিহান বলল,” কি হয়েছে রে?” শাওন মিহানকে কাট কাট গলায় বলল,”আ আ আমাদের বা বাড়িতে যে কাজ করতো। মা মামুনুল হক চাচা। উ উনাকে কেউ খুখু খুন করেছে।
_কিইইই? উনাকে কেনো কেউ খুন করবে?
_জানিনা মিহান। আমার মাথায় কিছুই আসতেছে না। আমাকে বাড়ি যেতে হবে। শাওন গাড়ি স্টার্ট দিতে লাগলে মিহান বলে।”তুই এই সিটে আয় আমি ড্রাইভ করছি। শাওন ড্রাইভিং সিট থেকে উঠে আসলো। ড্রাইভ করার অবস্থাতে নেই সে। কি হচ্ছে এসব? কে খুন করে এগুলা। কিছুই মাথায় আসছে না তাঁর।

বাসায় পৌঁছে শাওন দৌড়ে উপরে উঠতে লাগে। সিঁড়ির কাছে এসে দিশার সাথে ধাক্কা খেয়ে দুজন দিকে ছিটকে মেঝেতে পড়ে। দিশা তেজ নিয়ে সামনে তাকিয়ে শাওনকে দেখে লজ্জা পায়। কালকের কথাটা চট করে মনে পড়ে যায়। অন্য সময় হলে এখন শাওনকে ধুয়ে দিতো কিন্তু আজ তাঁর চোখ তুলে তাকাতেই লজ্জা করছে। শাওন মেঝে থেকে উঠে চেঁচিয়ে বলল,”ওই মুটকি রাক্ষসী খেতে খেতে কি চোখটাও খেয়ে ফেলেছিস?” দিশা দাঁতে দাঁত কিড়মিড় করে তাকালো। শাওন সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে লাগে। দিশা খপ করে শাওনের হাত ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,”ভেবেছিলাম আজ তোর সাথে কোনো ঝগড়া করবো না। কিন্তু তুই মানুষটাই এমন যে তোর সাথে ঝগড়া না করলে হই ই না।” শাওন নিজের হাত ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে বলল,”
_আরে এটা বল, তুই যে সারাদিন নাক ডুবিয়ে এতো খাবার খাস যদি ঝগড়া না করিস সেগুলা তোর পেটে গিয়ে পঁচেনা।
_আমি নাক ডুবিয়ে খাই তাতে তোর কি?
_আমার কিছু না নুনের বস্তা।” মিহান সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বলল,”ছোট বেলার অভ্যাস তোদের রয়েই গেছে। এখন বড় হয়েছিস ইয়ার বুঝ একটু। আয় তো শাওন ভাই।” মিহান শাওনের হাত ধরে টান দেয়। দিশা চেঁচিয়ে বলে,”নিয়ে যা এই কুত্তাকে। সারাদিন শুধু ঘেউ ঘেউ করে। ফাউল একটা।” শাওন দিশার দিকে তেড়ে আসে। মিহান টানতে টানতে রুমে নিয়ে যায়। শাওন ও চলে গেলো। আজ তাঁর ঝগড়া করার মুড নেই। বার বার মামুনুল হক সাহেবের কথা মনে পড়ছে।

___________________________________

কাল সারাদিন অরিন রুম থেকে বের হয়নি। কিছু খায়নি। দিশা দিয়া লুপা আর সুমনা চৌধুরী অনেকবার অরিনকে ডেকেছে। অরিন দরজা খুলে দেয় নি। দিহান রুম থেকে বের হওয়ার আগে খাটের যেই জায়গাটায় বসেছিলো সেই জায়গাটা আঁকড়ে ধরে কেঁদে যাচ্ছিলো সে। দিহান পৌঁছে ফোন দেওয়ার পরে সে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নয়তো তাঁর দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। দিহানের সাথে কথা বলে একটু ঘুমায় অরিন। দিহান কড়া আদেশ দিয়েছে খাওয়াদাওয়া ঘুমানোতে অনিয়ম করা যাবেনা। করলে সে ফোন দিবেনা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অরিন কিচেনে গেলো। কিচেনে কেউ নাই দেখে বেরিয়ে আসলো। শান্তি চৌধুরী সোফায় বসে আছেন। রুহান আর দিয়া কান ধরে উনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। একটু আগে ওরা দুজন ঝগড়া করতে করতে একটা কাঁচের জগ ও কাঁচের গ্লাস ভেঙেছে। সেটারই শাস্তি দিচ্ছে ওঁদের। পাঁচমিনিট কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে। অরিন শান্তি চৌধুরীর পাশে বসে বলল,”দাদুমনি ওরা কি করেছে?” শান্তি চৌধুরী গম্ভীর গলায় বললেন, “এখন ঘুম ভাঙলো?” অরিনের মুখের হাসিটা ফোঁস করে উধাও হয়ে গেলো। শান্তি চৌধুরীর কণ্ঠে যেন শুধু গম্ভীরতা নয় অন্য কিছুও আছে যার ছাঁচ অরিন অনুমান করতে পেরেছে। শান্তি চৌধুরী অরিনের দিকে ঘুরে তাকালেন। অরিন মাথা নিচু করে অপরাধী গলায় বলল,”সরি দাদুমনি।” শান্তি চৌধুরী মৃদু হেসে অরিনের গাল ছুঁয়ে বললেন,”আমি চাই তুই এমন ভাবে চলবি যেন কখনো কেউ তোর দোষ বের করতে পারেনা। দুদিন পরে জিহান বিয়ে করবে। আশা করি জিহানের বউয়ের থেকে সবার মনে তোর জায়গাটা থাকবে বড়। তবে জায়গাটা তো এমনি এমনি হয়ে যায়না রে। দখল করে নিতে হয়। তুই এভাবে আর কখনো ঘুম থেকে উঠবি না। তোর শ্বশুররা সবাই সকাল আটটায় অফিসে চলে যায়। তুই উঠলি ১০টায়। এটা কি হলো বল? আজ থেকে তুই ৬টায় ঘুম থেকে উঠবি। নাস্তা বানিয়ে শ্বশুরদের খাইয়ে দিবি। দেখবি সবাই কতো খুশি হয়। আর শুন পাগলী। শাশুড়ীদের দিয়ে কখনো কাজ করাবি না। ওদেরও খুশি রাখবি। প্রতি সপ্তাহে একবার শ্বশুরদের কাপড় ধুয়ে দিবি।” শান্তি চৌধুরীর কথায় অরিন অনেক খুশি হয়। উনি কত ভাবেন তাঁর কথা। কত সুন্দর করে সবার মন জয় করার উপায় বলে দিচ্ছে। সে মিষ্টি করে হেসে একপাশে মাথা দুলিয়ে বলল,”আচ্ছা দাদুমনি আমি আর এমন করবো না।” শান্তি চৌধুরী আবারও মৃদু হাদলেন। দিয়া আর রুহানকে চলে যেতে বললে ওরা চলে যায়। শান্তি চৌধুরী অরিনের গলার দিকে তাকালেন। উনার দেওয়া সেই চেইনটা অরিনের গলায় পরা। অরিনের উজ্জল শ্যামবর্ণ গায়ের সাথে স্বর্নের চেইনটা চিকচিক করছে। শান্তি চৌধুরী অরিনের গলার দিকে তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছেন দেখে অরিন বলল,”কি দেখেন দাদুমনি?” শান্তি চৌধুরী বললেন, “দেখ তো চেইনটা কতো খারাপ লাগছে। দে এটা খুলে দে আমি এটা ডিজাইন করে বানিয়ে আনবো।
_না দাদুমনি এটা ঠিক আছে। আমার ভালোই লেগেছে।
_আরে দে। এটা তোর গলায় মানাচ্ছে না। এটা বদলে সুন্দর ডিজাইনে বানাবো।
_না না দাদুমনি শুধু শুধু টাকা খরচ করবেন কেন? এটাই তো সুন্দর আছে।

_দিয়ে দাও বউমা।” হঠাৎ সিঁড়ির থেকে সুমনা চৌধুরীর গলার স্বর আসতেই শান্তি চৌধুরী ও অরিন সেদিকে তাকালো। উনার মুখটা গম্ভীর। উনি আবার অরিনকে বললেন, “দিয়ে দাও।” অরিন চেইনটা খুলে শান্তি চৌধুরীর হাতে তুলে দিলো। সুমনা চৌধুরী গম্ভীরমুখে কিচেনে চলে গেলেন। অরিনকে শান্তি চৌধুরী বললেন, “দেখলি রে শাওন কাল দিহানকে দিয়ে এসে চলে গেলো। আমাকে বলেই গেলো না। রাস্তায় গিয়ে ফোন করে বলে নানুমনি আমি চলে যাচ্ছি তুমি ঘুমে ছিলে তাই জাগাই নি।” অরিন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। শাওন চলে গেছে এখন শুনলো সে। শান্তি চৌধুরী বললেন,” আচ্ছা বাদ দে যা আমাকে তোর মিষ্টি হাতের চা দে।” অরিন দিচ্ছি বলে চলে গেলো কিচেনে। সুমনা চৌধুরী কি যেন করছেন। অরিন চায়ের পানি বসালো। সুমনা চৌধুরী কাজ করতে করতে গম্ভীর গলায় বললেন,”কিছু ভালো লাগলে অথবা কিছু কিনতে চাইলে স্বামী বা শ্বশুর শাশুড়ীকে বলবা। স্বামীর সাথে সংসার করবা স্বামী কি বলে না বলে সেটা শুনবা। অন্য কারো কথা শুনার দরকার নেই। লেখাপড়ায় মন দাও। লেখাপড়া করে নিজে মাথা তুলে দাঁড়াও। এতে নিজের ও নিজের বাচ্চাদের ভালো হবে। যেদিন স্বামী আদেশ করবে সংসারী হও সেদিন সংসারী হবা। এই সংসারটা তোমার একার নয় যে তুমি একা খাটবে। এটা সবার সংসার। খেটে খেলে সবাই খেটে খাক তুমি কেন একা খাটবে? আগে নিজের কথা ভেবো তারপর সবাইকে নিয়ে ভাব্বে।” সুমনা চৌধুরী চলে গেলেন। অরিন ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। কার কথা শুনবে কার কথা ফেলবে সেটাই বুঝেনা সে। যে যেটাই বলছে সেটাই তাঁর কাছে ভালো মনে হচ্ছে। শুধু বুঝতে পারছে না আসলেই কার কথা শুনা উচিত।

চলবে,,,,,।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here