#লাভনীতি
বিথি হাসান-১০
——“লোকটা আমার হাসবেন্ড। সবাই জেনে রাখুন।উনি আর সিঙ্গেল নেই।শুনতে পারছেন সবাই আমি উনার স্ত্রী আর উনি আমার স্বামী।যদিও পার্সোনাল কারনে এতোদিন বিয়ের খবরটা গোপন রাখা হয়েছিলো।তবে আমার মনে হলো আজই এই বিষয় টা প্রকাশ করার সঠিক সময়।তাই আর কিছু না ভেবে খবরটা আপনাদের সামনে পেশ করেছি।আই হোপ আজকের পর থেকে বর্তমানের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু বাংলাদেশের মোস্ট হ্যান্ডসাম ব্যাচেলর রাজনীতিবিদ এর তালিকা থেকে বাতিল হবে।ধন্যবাদ
বেশ।আর কিছু না বলে পিছনের মানুষ ঠেলে ঠুলে কলেজের বাহিরে চলে আসে নম্রতা। তার মনটা অনেক ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে।এবার দেখবো কে আমার জিনিস নিয়ে টানাটানি করে।ওও বাবুটা অনেক কিউট, সুইট,লাড্ডু।বাল সাল বলা বন্ধ করে দিলাম আজকে।কথা গুলে ভাবতে ভাবতে একটা রিক্সা ডেকে তাতে ওঠে বসে নম্রতা। সে ভুলেই গেছে যাকে নিয়ে এতোক্ষণ কথা বলেছে তাকেই ফেলে চলে এসেছে সে।মনে পরতেই একবার পিছন ফিরে তাকায়।যা ভাবতে ও পারে নি তাই দেখেছে।
আসাদ পেন্টের পকেটে হাত রেখে তার দিকেই তাকিয়ে আছে।মুখে তার অন্য রকম আভা।সেটা রাগ নাকি খুশি বুঝতে পারছে না নম্রতা। লোকটা কি তাহলে আমার উপর রেগে গেলো?রাগলে রাগবে।যা সত্যি তাই বলেছি। উনি আমার ব্যাপারে নাক গলাতে পারলে আমি কেন পারবো না।একটা ঙেংচি কেটে আবার ঠিক হয়ে বসে সে।একটু পরেই হুট করে হেসে দেয়।
আসাদ নম্রতার প্রতিটি কথা মন দিয়ে শুনেছে।এবং সে বুঝতে পেরেছে।নম্রতার মনে হয়ত তার জন্য একটু একটু ফিলিংস আছে।তাই তো বারবার করে বলতেছিলো,আমার স্বামী।আমিই উনার স্ত্রী। উনি আর সিঙ্গেল নেই”।মেয়েটা এতো অদ্ভুত কেন?নিজেই বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছে যাতে তার ফ্রিলি ভাবে কলেজে আসায় সমস্যা না হয়।এখন আবার নিজেই পুরো কলেজের সামনে তা স্বীকার ও করছে।আজকেই সে নম্রতার কাছে যাবে।এবং জিজ্ঞেস করবে এসবের মানে কি????
——————————–
২৯.
খাবার টেবিলে বসে আছে নম্রতা আফসানা আর আফসানার মা মিসেস অনামিকা বেগম। আর আফসানার বাবা শাহপরান ও অর্ক বসে আসে সোফায় টিভির সামনে।টিভিতে এমন কিছু দেখাচ্ছে যা খুবই আশ্চর্যপূর্ন।অর্ক আর শাহপরান সাহেব খুব মনোযোগ সহকারেই খবরটা দেখছে।একসময় শাহপরান সাহেবের ডাকে ডাইনিং টেবিল ছেড়ে দৌড়ে আসে সবাই।
মিসেস অনামিকা বেগম ভয়ার্ত মুখে শাহপরান সাহেবের দিকে তাকিয়ে আছে।আফসানা বাবাকে জিজ্ঞেস করে ফেলে,
—-“কি হলো বাবা?অর্ক ভাই কি কিছু করেছে?
অর্ক এই কথায় আফসানার দিকে তাকায়।এতোক্ষণ সে টিভির দিকে তাকিয়ে ছিলো।অর্ক রাগি চোখে আফসানার দিকে তাকিয়ে আছে।এর মধ্যেই শাহপরান সাহেব বলে ওঠলেন,
—-“নম্রু তুই কি জিনিস রে মা!!!!এই তুই এতো সাহস কোথায় পেলি?বলতে হবে রাজনীতিবিদের বউ হয়ে তোর সাহস বেড়ে গেছে। হাহাহাহা
মামার কথায় নম্রতা একটু লজ্জা পায়।এর মধ্যে তার মামি ও সোফায় বসে পরে এবং জিজ্ঞেস করে নম্রতা করেছেটা কি?আফসানাও কৌতূহল হয়ে একবার বাবার দিকে আর একবার নম্রতার দিকে তাকায়।
শাহপরান সাহেব উচ্চস্বরে হেসে বললেন,
—-“দেখো দেখো আমাদের নম্রু।রাজনীতুবিদের বউ।সাহসীকতা মনে হয় এখন রক্তে বইসে।কি রে তাইতো?হাহাহ
—-“মামা ভাল্লাগে না!!! এবার কিন্তু বেশি হচ্ছে।
—“হাহাহা।আচ্ছা নম্রু তুই এই কাজটা করলি কিভাবে রে বোন?তুই যা ভিতু!!
অর্কের কথায় শাহপরান সাহেব হাসলেও রেগে যায় আফসানা।সে চিল্লিয়ে বলে,
—–“ও করেছে টা কি বলবে কেউ?
—-“ঐ দেখ।মিডিয়ায় নিজের বিয়ের খবর প্রকাশ করেছে কিভাবে দেখ।আচ্ছা সব বাদ দিয়ে তুই শিরোনাম টাই দেখ।
“বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুর বিয়ে নিয়ে তোলপাড় ”
—–“ওরেব্বাস!!!কবে কবে হলো এই ঘটনা?
আফসানা খবরটা দেখে ধাপ করে সোফায় বসে নম্রতার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে।নম্রতা আফসানার দিকে তাকিয়ে মেকি রাগ দেখায়।তারপর আবার টিভির দিকে তাকায়।টিভিতে দুপুর ২টার খবর হচ্ছে। সংবাদ পাঠিকা ও যেন এই নতুন সংবাদে নিজের উত্তেজনায় কাপছে।সে টানটান উত্তেজনায় সংবাদ পাঠ করছে।
—-“বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুর বিয়ে নিয়ে হলো তোলপাড়।ঢাকায় ড.মাহবুবুর রহমান কলেজে ভীর জনতা এবং সাংবাদিকদের সামনে খবরটি পেশ করে আসাদুজ্জামান বাবুর বর্তমান স্ত্রী নম্রতা শরীফ।সে বলেছে,তাদের বিয়ের খবরটি আগে জানাতে পারেনি পার্সোনাল প্রবলেম এর জন্য। তবে এখনই তার মনে হয়েছে প্রকাশ করার আসল সময়। তাই উনি নিজেই মিডিয়ায় এটি প্রকাশ করলেন।আরো জানা গেছে,ঢাকায় ঐ কলেজেরই ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী উনি।তবে জানা যায়নি কি কারনে বিয়ের খবর গোপন রেখে এই দম্পতি।এই বিষয় নিয়ে কোন রকমের কথা বলেননি আসাদুজ্জামান বাবু।তবে ঘটনা প্রাকাশের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন।তবে মুখে কিছু না বললেও চুপ করে থেকে নিজের স্ত্রীর কথায় হয়তো মত প্রকাশ করেছে এই রাজনীতিবিদ।এই নিয়ে আরও জানতে সাথেই থাকুন।এবার যাচ্ছি কৃষি সংবাদে,,,,,,,”
[সংবাদ পাঠিকা হবার শখ থাকলেও পূরন হবার নয় এই শখ তাই দুধের স্বাদ নিচ্ছি ঘোলে-লেখিকা]
চোখ বড় বড় করে সবাই তাকিয়ে আছে নম্রতার দিকে।এতে নম্রতা অসস্তিতে পরে যায়।সে কি ভুল কিছু করেছে নাকি?সবাই এভাবে কেন তাকাচ্ছে?
—-“কি চিস তুই মাইরি।তবে একদম ভালো করেছিস সবাইকে জানিয়ে।নাহলে পরে যদি ভাইয়া অস্বীকার করতো?আমার তোকে নিয়ে যা ভয় ছিলো সব দূর করে দিলি।আজকে একটু কলেজে যাইনি আজকেই ঘটনার ঘটিয়ে এসেছে এই মেয়ে।
—-“তাহলে তো তোকে এখন রাস্তায় কেউ দেখলেই পিছে পরবে রে নম্রতা।ফেমাস হয়ে গেলি।সেলেব্রিটির বউ বলে কথা।আমাদের ও পরিচয় করিয়ে দিস মিডিয়ার সাথে। তোর তো আবার মিডিয়ার সাথে ভালো সখ্যতা হয়ে গেছে এখন ।(মুখ টিপে হাসল মিসেস অনামিকা বেগম)
—-“মামী!!!!!তোমরা এমন শুরু করলা কেন?আমি আফসানা যেটা বলেছে তা ভেবেই খবরটা জানিয়েছি সবাইকে বুঝতে পেরেছো?
—-“পারছি বুঝতে।এবার থেকে নম্রু তোকে মানুষ রাস্তায় দেখলেই কি করে? তা দেখে খুব মজা হবে।তুই এক কাজ করিস মুখে ওরনা পেচিয়ে বের হোস।হাহাহাহা। তবে বলতেই হয়,একটা কাজের কাজ করেছিস।এই নিয়ে আর কেন ঝামেলা হলে আমরা তো আছিই।(আফসানা)
আফসানার কথায় সবাই সম্মতি জানায়।যে নম্রতা একটা ভালো কাজ করেছে।সবাই এখন জানবে নম্রতা আসাদের বউ।আসাদ যদি নম্রতা কে নিয়ে চিট করবে ভেবে থাকে তাহলে তা আর কিছুটা হলেও দূর করতে পেরেছে।তবে শুধু নম্রতা জানে কেন সে এই কাজটা করেছে?উদ্দেশ্য যেন গোপনীয় কোন বিষয়। সব কাজের উদ্দেশ্য কাউকে বলা যায় না।
—————————–
৩০.
নম্রতা পড়ার টেবিল থেকে ওঠে বুকশেলফ থেকে বই নিবে এমন সময় বাসার কলিংবেল বেজে ওঠে। সে দাড়িয়ে আছে যেহেতু তাই ভাবলো সেই খুলে দিবে।দ্রুত দটজার কাছে এসে লুকিং গ্লাসে চোখ রাখার আগেই আবারও কলিংবেল বেজে ওঠে। তাই না দেখেই খুলে দেয় সে।
দরজা খুলেই একপাশ হয়ে সামনে তাকায়।আসাদ দাড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে।নম্রতা একটা শুকনো ঢোক গিলল।নম্রতা চুপচাপ আসাদের দিকে তাকিয়েই রইল।আসাদ ও কথা বলছে না সেও তাকিয়েই আছে।এর মধ্যে নম্রতার মামী মিসেস অনামিকা বেগম দরজার কাছে এসে আসাদ দাড়িয়ে থাকতে দেখে দরফরিয়ে যায়।নম্রতাকে একপাশে ধাক্কা দিয়ে আসাদ কে ভিতরে আসতে বলে।
আসাদ নম্রতার দিকে এক পলক তাকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে।আসাদ হয়ত জানে না।তার এই একপলকই যথেষ্ট নম্রতা কে দূর্বল করতে।নম্রতা বর্তমানে নিজেকে খুব দূর্বল অনুভব করছে।তার হাত পা কাজ করার জন্য বাধা দিচ্ছে।তার মনে হলো মুহূর্তে বসার রুম থেকে প্রস্থান না করলে তার জ্ঞান হারাতে দুবার ভাবতে হবে না।
নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে চুপচাপ পড়ার টেবিলে বসে থাকে সে।এবং ভাবতে থাকে,সকালে যখন এতো গুলো মানুষের সামনে এতো বড় বড় কথা বলেছে কই তখন তো ভয় করেনি?তবে এখন কি হলো?এতো ভয় পাওয়ার কি হয়েছে?না না তাকে ভয় পেলে চলবে না।কিন্তু এই লোক আবার কেন এসেছে?তাহলে জনসম্মুখে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করায় রাগ করেছে?সেই রাগ ঝারতে এসেছে?তাহলে তাই হবে।যত খুশি ঝাড়ুক সব সয়ে নিবো।এতো বড় ধরনের মানুষ বিয়ে করবে আর কেউ জানবে না?হাহ!!!!!
আসাদ কে দেখে মিসেস অনামিকা বেগম কি দিবে না দিবে ভাবছিলো।সে আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো নম্রতা নেই।কোথাও নেই না রান্না ঘরে আর না বসার ঘরে।তিনি দ্রুত নম্রতার রুমে গিয়ে দরজায় কড়া নারে। নম্রতা লাফিয়ে ওঠে এতে।সে ভাবছে আসাদ এসেছে।আরেক বার দরজা ধাক্কা দিয়ে ডেকে ওঠে নম্রতা কে।
—-“এই মেয়ে!!দরজা খুল।কই জামাই এসেছে।তার আশে পাশে থাকবি দরজা বন্ধ করে কি করিস।
নম্রতা দ্রুত আয়নার সামনে গিয়ে ঠোটে কড়া করে একটা লাল লিপস্টিক দিয়ে নেয়।আপাতত এটাই কাছে পেয়েছে।তারপর ওরনাটা মাথা গুজে দরজা খুলে বলে,
—-“মামী!!সাজু গুজু করছিলাম বুঝতে পেরেছো?
—-“আহ!!ডং।জামাই আসছে বলে সেজেছে। সেদিন কত জোর করলাম তখন সাজলি না।যা জামাইকে পাগল কর!!!
নম্রতা কে টেনে আসাদের কাছে রেখে উনি রান্না ঘরে চলে যায়।নম্রতা জিহবা দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে সোফার এক কোনে গিয়ে বসে।আসাদ তার ঐ দূরে বসে ফোন চাপছে।নম্রতার দিকে তাকায়নি।এতে নম্রতা কিছুই মনে করল না।সে একটা ভেংচি কেটে টিভি ছেড়ে দেয়।টিভির শব্দ আসাদ নম্রতার দিকে তাকায়।
সাথে সাথে বিড়বিড় করে বলে ওঠে,
—–“হলুদ সুন্দরী ”
নম্রতা আর চোখে একবার আসাদের দিকে তাকায়।আসাদ কে নিজের দিকে তাকাতে দেখে তার ভাব বেড়ে যায়।সে সোফার উপর দু পা উঠিয়ে বসে কানের কাছে চুল গুলো গুড়াতে থাকে।একটুপর চেয়ে দেখে আসাদ আবার ও ফোন টিপছে।নম্রতা ফুস করে একটা নিশ্বাস ফুঁকে।তারপর আবারও টিভিতে মনোযোগী হয়ে পরে।
নম্রতার গায়ের রঙ একদম সাদা না।একটু হলদেটে। সারা শরীরের রঙ একই।আর আজকে সে পরেছিলো একটা হলুদ কুর্তি। ঠোটের লাল লিপস্টিকে আরো হলদেটে ভাবটা ফুটে ওঠেছে।আসাদ বুঝতে পারছে না বাসায় ডুকে নম্রতার ঠোটে লিপস্টিক ছিলো না তবে এখন কোথা থেকে আসল?তবে কি তার জন্য লাগিয়েছে নাকি?কি জানি?মেয়েটা বড়ই অদ্ভুত। কখন কি করে বুঝে না আসাদ।তার মতো এতো শার্প ব্রেনের ছেলেকে গোল খাওয়াচ্ছে এই মেয়েটা।তাহলে হাবাগোবা হলে কি করতো?আসাদ ভাবছে নম্রতার পড়া শেষ হলেই নম্রতা কেও রাজনীতি তে ডুকিয়ে দেবে।এমনে তে ও ওর মাথায় সারাক্ষণ কুটনীতিতে ভরপুর থাকে। নিজেই নিজের কথা ভেবে হেসে যাচ্ছে।
বাসার বিদ্যমান মানুষ গুলোর মধ্যে বর্তমানে কেউ নেই নম্রতা আর মিসেস অনামিকা বেগম ছাড়া।আরো একজন অবশ্য আছে।তবে সে নিদ্রায় আছে।আফসানা তার রুমে ঘুমাচ্ছে।অর্ক বাহিরে গেছে শাহপরান সাহেবর সাথে।তন্ময় কোচিংয়ে গেছে।আফসানা ঠিক ঘুমিয়ে নেই।বরং তার চোখে আজকাল ঘুম ধরাই দেয় না।সে অদ্ভুত রোগে আক্রান্ত হয়ে পরেছে।যার নাম প্রেম।বিপরীতমুখী মানুষটির প্রেমের সাগরে সে বার বার মরছে।কিন্তু সে কেন তার সাগরে তাকে কেন মারতে পারছে না? এভাবে দগ্ধ হতে হবে হয়তো।সারাজীবন তো পরেই আছে।
রাতে খাবার টেবিলেই সেউ কি আয়োজন।আসাদ কে দেখলেই এই বাড়িতে ঈদের মত আনন্দ হয়।ঈদের থেকেও হয়তো বেশি।খাবার মেনু তে আছে,
ফ্রাইড রাইস,গরুর গোস্ত,খাসির গোস্ত ও সবজি।ডেজার্টে আছে,জর্দা।যা নম্রতা নিজের হাতে বানিয়েছে।অবশ্য নিজের ইচ্ছেই নয়।তার মামী তাকে বানাতে বলেছে।আসাদ পছন্দ করে বৈ।
খাবার খেয়ে আসাদ আগের বারের মতই প্রশংসা করলো।আসাদরা সবসময় সার্ভেন্টের হাতের খাবার খায় তাই সে আফসানাদের বাসায় আসলে খাবার খেয়ে প্রশংসা করবেই।এতে মিসেস অনামিকা বেগম খুশি হয়ে আসাদের জন্য আরো ভালো ভালো ডিশ তৈরী করে।আজকে খাবার খেয়ে শাহপরান থেকে শুরু করে অর্কও প্রশংসা করেছে।ডেজার্ট খেয়ে আসাদ প্রশংসা করতেই মিসেস অনামিকা বেগম বলে ওঠলেন,
—-“ওটা কিন্তু আমাদের নম্রু বানিয়েছে বাবা!!মেয়েটা খুব ভালো রান্না করতে পারে।এই যে খাবার গুলো দেখো বা তুমি আসলে যে নতুন খাবারের ডিশ দেখো সেগুলো বানাতে নম্রুই আমাকে হেল্প করে।আমি জানি, ও একদিন তোমার ঘরের পাক্কা রাধুনী হবে দেখো।
আসাদ নম্রতার দিকে তাকিয়ে দেখে তার এর মধ্যে বিষম ওঠে গেছে।মিসেস অনামিকা বেগম দ্রুত পানি দেয় তাকিয়ে এবং হাইপার হয়ে পিঠ ঢলে দিতে দিতে বলে,
—-“এভাবে কেউ বিষম যায়?কি করেছি বলতো?তোর প্রশংসাই তো???
আসাদ ছাড়া সবাই হেসে দেয় তার কথায়।নম্রতা কোন রকম খেয়ে ওঠে যায়।আসাদ ছাড়া সবাই ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবেই নেয় শুধু নিতে পারে না আসাদ।কারো প্রশংসা করলেও যে বিষম ওঠে এই মেয়েটা তা দেখিয়ে দিলো।আচ্ছা এই কেমন মেয়ে?????
চলবে,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।ধন্যবাদ)