#না_চাওয়া_পূর্ণতা ?
লেখক : সানজিতা আক্তার মীম
পর্ব :১৭
তনু এবং অন্তু ঘুমাচ্ছে। সায়ন তনুর হাত বুলাচ্ছে। হঠাৎ কলিং বেল বাজতে লাগলো। সায়ন জানে এটা কে হতে পারে। সায়ন রুম থেকে বের হয়ে নিচে নামলো। নিচে এসে দেখে নুহাশ এসেছে।
নুহাশ : সায়ন,,, তনু! তনু, ঠিক আছে? ( হাঁপাতে হাঁপাতে বললো । কারণ সায়ন কল কাটার পর ভয়ে তাড়াতাড়ি করে আসতে হয়েছে। কি সমস্যা তা তো সায়ন বলে নি তাই)
সায়ন : রুমে যেয়ে দেখে নিন (বলে একটা মুচকি হাসি দিলো)
নুহাশ : ( সায়নের হাসি দেখে নুহাশ বুঝতে পারলো কোন রেসপন্স করেছে।) সায়ন! মানে তনু! তনু, ঠিক হয়ে গেছে! ( অবাক হয়ে)
সায়ন : আহা!এত কথা না বলে উপরে গিয়ে দেখলেই তো পারেন ( বলে উপরে সিঁড়ির দিকে যেতে লাগলো)
নুহাশ সায়নের সাথে উপরে উঠে রুমের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল। তা দেখে সায়ন ইশারায় নুহাশ কে ভেতরে যেতে বললো। ভিতরে যেতেই দেখল তনু এবং অন্তু একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
তনুকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে দেখে নুহাশ খুশিতে সায়নকে জড়িয়ে ধরলো।
নুহাশ : Thanks, sayon. তোমার প্রচেষ্টার কারণে আজ তনু সুস্থ। তুমি তনুর খেয়াল না রাখলে এতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারতো না। এই একটা বছর তুমি সব ছেড়ে তনুর খেয়াল রেখেছো। তোমার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
সায়ন : ভাইয়া এসব বলে কিন্তু আপনি আমাকে পর করে দিচ্ছেন। তনু যেমনটা আপনার বোন আমারও বউ। তাই ওর খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব। এক বছর কেন, আমি সারাজীবন ওর খেয়াল রাখবো।
নুহাশ : হুম। আমি গর্বিত আমার বোন এর পছন্দের ওপর।
নুহাশ যেয়ে তনুর পাশে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। তনু কারও ছোঁয়া পেয়ে চোখ খুলে তাকালো। তাকিয়ে দেখে নুহাশ। তনু নুহাশকে দেখে উঠে নুহাশকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিল। নুহাশও নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। বোনের কান্না দেখে নিজেও চোখে জল চলে এলো।
নুহাশ : অনেক মিস করেছি তোকে। মনে হচ্ছিলো যেন কেউ কলিজা আলাদা করে রেখেছে। তুই কেন ওই মেয়ের শর্তে রাজি হয়েছিলি। সময় মতো পুলিশ না গেলে সায়ন আর অন্তুর কি হতো একটা বার ভেবেছিলি। একটা বছর কিভাবে পার করেছে সায়ন তা আমি দেখেছি। অন্তুকে একা সামলেছে৷ সারাদিন তোর পাশে থেকেছে৷ অফিস এর কাজও বাসায় থেকে করেছে। অন্তুর যাবতীয় সব করেছে।
তনু : ( অশ্রু সিক্ত নয়নে সায়ন এর দিকে তাকিয়ে আছে।কতোটা কষ্ট পেতে হয়েছে সায়নকে৷ অন্য সব ছেলে হলে বউ এর এমন অবস্থা হলে ছেড়ে চলে যেতো কিন্তু সায়ন তনুর খেয়াল রেখেছে৷ মেয়ের খেয়াল রেখেছে। কতোটা ভালোবাসলে একটা মানুষ বউ এর জন্য এতোটা কেয়ার করতে পারে তা সায়নকে না দেখলে তনু হয়তো বুঝতে পারতো না।)
ওদের কথার মাঝে নিচে থেকে সায়ন এর বাবা-মা এর ডাকাডাকি শুনা গেলো।
সায়ন : ভাইয়া আপনি তনুকে নিয়ে আসেন আমি নিচে যাই।
নুহাশ : আচ্ছা।
সায়ন নিচে এসে দেখে বাবা-মা চলে এসেছে। সায়ন কল করে তনুর জ্ঞান ফেরার কথা জানানোর পর তারা বিয়ে রেখে চলে এসেছে।
সায়নের মা : তনু মামনি কোথায়! আমরা কি বেশি দেড়ি করে এসেছি? ( অস্থির হয়ে)
সায়নের বাবা : তুমি বসো তো। আগে পানি খাও তারপর কথা বলো।
সায়ন কিছু বলার আগেই নুহাশ তনুকে নিয়ে চলে এলো নিচে।
তনু : মা আমি এখানে। ( মিষ্টি করে হাসি দিয়ে)
সায়নের মা এসে তনুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল।
সায়নের মা : মা তুই ঠিক হয়ে গিয়েছিস। এখন কেমন লাগছে? কিছু খাবি? কি খাবি বল আমি রান্না করে দি।
তনু : মা তুমি এতো হাইপার হচ্ছো কেন। আমি একদম ঠিক আছি। দেখো।
#চলবে