#না_চাওয়া_পূর্ণতা ?
লেখক : সানজিতা আক্তার মীম
পর্ব :১৪
তনু অন্তুকে পাশের পর্বফ্ল্যাট এর আন্টির কাছে রেখে হসপিটালের জন্য বের হলো। তখন কল করেছিল তাহা। নুহাশ হসপিটালে icu তে এবং সায়নকে তাহার লোকেরা বন্দী করে রেখেছে। তনু গাড়িতে করে হসপিটাল যাচ্ছিলো। তখনই তাহা ওকে ভিডিও কল করলো।
তাহা : আরেহ! তুমি হসপিটাল যাচ্ছো যে, হাসবেন্ডকে বাঁচাবে না? ( বলে সায়নকে দেখালো বেক ক্যামেরা অন করে। সায়ন এর হাত পা বাধা একটা চেয়ারে)
তনু : তাহা প্লিজ সায়নকে কিছু করো না। তোমার কাছে হাত জোর করছি। প্লিজ। ( কান্না করে করে)
সায়ন : তনু তুমি ওর কাছে হাত জোর করছো কেন। তুমি ভাইয়ের কাছে যাও ও আমাকে কিছু করবে না। যাও। ওর কথা শুনো না তুমি।
সায়ন এর কথা শুনে তাহা বন্দুক দিয়ে সায়ন এর হাতে গুলি করে দিল। তা দেখে তনু জোরে চিৎকার করে বললো,,,
তনু : তাহা প্লিজ সায়নকে ছেড়ে দাও। তুমি যা বলবে আমি তাই করবো। তাও তুমি সায়নকে ছেড়ে দাও। ( কান্না করতে করতে)
তাহা : আমার বলা লোকেশন এ চলে আসো। আর খবরদার কাওকে সাথে নিয়ে আসলে আজই সায়ন এর শেষ দিন হবে।
তনু : নাহ!!! আমি এখুনি আসছি৷ প্লিজ সায়নকে কিছু করো না। আ,,,( আর কিছু বলার আগেই কল কেটে দিল তাহা)
তনু তাহার বলা লোকেশনের দিকে যেতে বললো ড্রাইভারকে৷ গাড়ি এসে থাকে একটা সুনসান নদীর পাড়ে যেখানে কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা আছে। তনু আস্তে আস্তে সামনে যেতে লাগলো। একটু সামনে যেতেই দুজন লোক দাঁড়িয়ে আছে দেখলো। তনু সামনে যেতেই লোক গুলো তনুর দুপাশে বন্দুক নিয়ে সামনে এগোতে বললো।
তনু সামনে যেতেই দেখে তাহা বসে আছে একটা চেয়ারে আর পাশেই সায়নকে বেধে রাখা। সায়ন এর হাত থেকে এখনো রক্ত পরছে। তনু দৌড়ে সায়ন এর কাছে হাটু গেড়ে বসে গালে হাত দিয়ে সায়নকে ডাকলো। সায়ন এর জ্ঞান যায় যায় অবস্থা।
তাহা : হয়েছে অনেক নাটক করেছিস। এবার কাজের কথায় আসি।
তনু : প্লিজ তাহা, ছেড়ে দাও সায়নকে। কি করেছে ও যে এভাবে আটকে রেখেছো। যেতে দাও ওকে নিয়ে। ওর হাত থেকে এখনো রক্ত পরছে। প্লিজ তাহা।
তাহা : ও কি করেছে বলছিস!!! ও কিছু করে নি। যা করার তুই করেছিস। আমার সায়নকে কেরে নিয়েছিস আমার কাছে থেকে। আমি সায়নকে ছোটো বেলা থেকে ভালোবাসি। তুই এসে ওকে কেড়ে নিয়েছিস। আজ হয় ও মরবে না হয় তুই। ( বলে বন্দুক হাতে নিলো)
তনু : সায়নকে ছেড়ে দাও। আমাকে মেরে ফেলো।
সায়ন আধো আধো চোখে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা কতোটা ভালোবাসে ওকে। ৫ টা বছর এতো কষ্ট সহ্য করেও ওর জন্য মরতে রাজি। আসলে মেয়েরা এমনি হয়। যাকে মনের সবটা দিয়ে ভালোবাসে তার জন্য মরতেও পারে। তনুও ঠিক এমটাই।
সায়ন : তনু তুমি চলে,,,,যা,,ও। অন্তুর তোমাকে প্রয়োজন। যাও তুমি। এটাই আমার শাস্তি ৫ বছর তোমাকে কষ্ট দেওয়ার। যাজ তুমি।
তনু : প্লিজ এভাবে বলো না। আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি আগেই। দেখো যখন আমি তোমাকে চাই নি তখন তুমি জোর করে আমার সাথে ছিলে আর আজ আমি চেয়ের তোমার সাথে বাঁচতে পারবো না। অন্তুর খেয়াল রেখো। ভা,,,( তনু আর কিছু বলার আগেই তাহা গুলি চালিয়ে দিলো। গুমি সোজা তনুর বুকে এসে লাগলো)
সায়ন : তনুউউ,,,,,,,,,( বলে জোরে চিৎকার দিল)
তাহা : তোমাদের ভালোবাসা কোনোদিনও আর পূর্ণতা পাবে না। হা হা হা ( জোরে জোরে হাসছে)
তনু ফ্লোরে পরে আছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সায়ন স্তব্ধ হয়ে চেয়ে আছে তনুর দিকে৷
হঠাৎ চারপাশ থেকে পুলিশ এসে ঘেরাও করে ধরলো। তাহা পালানোর আগেই পুলিশ তাহাকে ধরে ফেলে। সায়ন এর বাঁধন খুলে দিতেই সায়ন ছুটে তনুর কাছে এসে তনুর মাথা কোলে নিয়ে তনুকে ডাকতে লাগলো।
সায়ন : তনু প্লিজ চোখ খুলো। আমাকে একা ছেড়ে তুমি যেতে পারও না। আমাদের অন্তুর কথাতো ভাবো৷ জান প্লিজ চোখ খুলো। ( কান্না করে দিয়ে)
সায়ন পাগল প্রায় অবস্থা। তনু একটু একটু করে চোখ খুলে তা দেখে সায়ন খুশি হয়ে তনুকে জড়িয়ে ধরে।
সায়ন : আমি জানতাম, আমার জান আমাকে ছেড়ে যাবে না।
তনু : সায়,,ন অন্ত,,,র খ,,খেয়াল রেখো৷ ভালো,,বাস,,ি। ( বলে তনু চোখ বন্ধ করে ফেললো৷)
সায়ন : তনু,,,,,,
#চলবে