❤#মেঘ_বৃষ্টি_রোদ
#দশম_পর্ব❤
তৃণা বাড়ির ফেরার জন্য আলাদা বাসে উঠে যাওয়ার পর পর্ণা এই নিয়ে প্রায় দশ মিনিট হলো দাঁড়িয়ে আছে বাসস্টপে। বাস যে আসছেনা তা নয়, কিন্তু প্রতিটা বাসেই এমন প্রচন্ড ভিড় যে পর্ণা আর ওঠার সাহস করে উঠতে পারছেনা। এতগুলো দিনের পর, আজকের দিনটা একটু স্বস্তির। পরীক্ষা শেষ, আপাতত কয়েকদিনের জন্য ছুটি সবকিছু থেকে। তবে মাথার মধ্যে একটা ব্যাপার সারাক্ষণ ঘুরপাক খেয়েই চলেছে। সেটা হল, তৃণাকে যেন আজকাল সামান্য অন্যরকম লাগছে। মানে, পড়াশোনা নিয়ে ওকে এতটা সিরিয়াস হতে আজ অবধি কেউ দেখেনি। আর আগের মতো কথায় কথায় রেগে যাওয়া, জেদ দেখানো এই ব্যাপারটাও যেন কমে গেছে অনেকখানি।
যদিও যা ঘটছে, ভালোই হচ্ছে, কিন্তু মনের মধ্যে একটা কৌতূহল রয়েই যাচ্ছে, যে কী এমন হল, যার জন্য এত পরিবর্তিত হয়ে গেল তৃণা? প্রেমে- ট্রেমে পড়েছে নাকি? কারণ এরকম আচমকা পরিবর্তন কেবলমাত্র মানুষ প্রেমে পড়লেই হয়ে সম্ভব! কিন্তু কে সেই মানুষটা? তৃণা খোলসা করে কিছু না বললেও একটা সম্ভাবনার কথা ইতিমধ্যেই মাথায় এসেছে পর্ণার। স্যার মানে, সৌমিকের দাদা সৌমাভ নয়তো? ওদের দুজনকে সামনাসামনি দেখলেও, মাঝে মাঝে এই কথাই মনে হচ্ছে ওর। কিন্তু কোনটা যে আসল সত্যি, সেটাও তো বোঝা যাচ্ছেনা। তৃণাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হবে, আসল কথাটা ওর মুখ থেকে বের করতেই হবে,যেভাবেই হোক।
এসব নানারকম কথা ভাবতে ভাবতে, হঠাৎ করেই পর্ণা দেখল বাইক নিয়ে কেউ একজন ওর ঠিক সামনে দাঁড়ালো। মাথায় হেলমেট থাকায় মুখটা বুঝতে পারেনা সে। ভ্রু কুঁচকে আবার ভালো করে সামনের আগন্তুকের দিকে তাকায়। তবে বেশি অপেক্ষা করতে হয়না, ছেলেটা মাথা থেকে হেলমেটটা খুলতেই পর্ণা দেখল, সৌমিক একগাল মিষ্টি করে হেসে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। বাইক থেকে নেমেই তাড়াতাড়ি করে ও বলল,
-” কী ব্যাপার? একা একা দাঁড়িয়ে যে? আরেকজন কোথায়?”
-” কে তৃণা? তৃণা তো বাড়ি চলে গেছে, আমি এই দাঁড়িয়ে আছি, বাসের জন্য। এত ভিড় উঠতেও পারছিনা।”
-” ওহহ আই সি। আমি একটু এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম, দূর থেকে তোমাকে দেখে চিনতে পারলাম, ঐ জন্য এলাম। তো চলো আমি না হয় তোমাকে এগিয়ে দিচ্ছি। তোমার আপত্তি না থাকলে আসতে পারো”
-” না না, আপত্তির কিছু নেই, কিন্তু তুমি তো কোথাও যাচ্ছিলে সেটার দেরী হয়ে যাবে। তাই আর কি”
-” আরে আমি নির্দিষ্ট কোথাও যাচ্ছিনা। এমনিই বেরিয়েছি। তুমি আসলে কোনো অসুবিধা হবেনা, আর তোমার সাথে আমার কয়েকটা দরকারি কথাও ছিল,সেটাও বলা হয়ে যেত। ”
সৌমিকের শেষ কয়েকটা কথার রেশ শুনেই পর্ণা বুঝে গেল ও কী নিয়ে কথা বলতে চাইছে, নিশ্চয় তৃণার ঐ ব্যাপারটা নিয়ে আবার কথা বলবে। মনটা সামান্য খারাপই হয়ে গেল পর্ণার। এখনো এত প্রত্যাখানের পরও সৌমিক ভুলতে পারছেনা তৃণাকে,সেখানে সৌমিকের মনে ওর জায়গা যে কখনোই হবে না, তা স্পষ্ট বুঝতে পারল পর্ণা। তবু মনের ভাব গোপন করে, ও হাসিমুখে উত্তর দিল,
-” হ্যাঁ বুঝতে পারছি, তুমি কী বলবে। আবার আমার বন্ধুর খোঁজখবর, এটাই তো?”
-” হুমম। ওটাই, আসলে এই ব্যাপার নিয়ে আমি তৃণাকে আর কিছু বলতে পারিনা, যদি রেগে যায় এই ভয়ে। তুমি ওর ভালো বন্ধু, তুমি যদি একটু বোঝাতে পারো ওকে, সেই জন্যই তোমাকে বলি বারবার”
-” এই ব্যাপারটা না থাকলে নিশ্চয় আজ এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে না আমার সাথে তাই তো? আর ড্রপ করার কথাও বলতে না?”
-” এ বাবা ! না না, তুমি ভুল বুঝছ…সেরকম কিছু নয়”
পর্ণার কথা শুনে সামান্য লজ্জা পেয়ে গেল সৌমিক। পরিস্থিতি সহজ করার জন্য, হেলমেটটা পরে বাইকে উঠে, সে আবার বলল,
-” উঠে এসো, সামনে একটা কফিশপ আছে, ওখানে বসে বাকি কথা না হয় বলব। তোমার যদি খারাপ লাগে, এরপর থেকে আর না হয় তৃণার ব্যাপারে কোনো কথা বলব না”
এবার সৌমিকের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে নিঃশব্দে বাইকে উঠে বসল পর্ণা। সৌমিকের এত কাছাকাছি বসার সাথে সাথেই ওর শার্টের কলারের থেকে একটা সুন্দর পারফিউমের গন্ধ নাকে এল। পর্ণার মনের মধ্যে কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি শুরু হয়ে গেল। আর তার সাথে প্রচন্ড একধরনের ভয়ও ওর মনের মধ্যে চেপে বসল। ক্রমশ না চাইতেও ও জড়িয়ে ফেলছে নিজেকে এই ভালোলাগার মধ্যে, এর পরিণতি কী হবে সেটা ভাবলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে মনকে, কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
****************
সৌমিক মেনুকার্ডটা পর্ণার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
-” দেখো কোনটা অর্ডার করবে, এখানের সব আইটেমই সুন্দর। আমি প্রায়ই আসি বন্ধুদের সাথে”
-” তুমিই অর্ডার করে দাও না, আমার কোনো অসুবিধা নেই এ ব্যাপারে।”
-” ওকে ওকে, ওয়েট”
মিষ্টি করে একটু হেসে কথাটা বলে, সৌমিক কাউন্টারের দিকে চলে গেল অর্ডার দিতে। চেয়ারে বসে বসে, ওর হেঁটে চলে যাওয়ার দিকে একভাবে চেয়ে রইল পর্ণা। কালো রঙের একটা শার্ট আর নীল জিন্সে যেন অসাধারণ লাগছে সৌমিককে। আর এসবের সবথেকে পর্ণার পছন্দের বিষয় হল, সৌমিকের মুখের মিষ্টি হাসিটা। যে কোনো পরিস্থিতিতে, যে কোনো সময়ে ও যেভাবে হাসিখুশি থাকে, সেই ব্যাপারটাই আরো বেশি আকৃষ্ট করে, পর্ণাকে।
-” হুমম এবার কথা বলা যাক?”
বিভিন্ন কথা ভাবতে ভাবতে পর্ণা বুঝতেই পারেনি কখন, সৌমিক এসে গেছে কাউন্টার থেকে। কথাটা শুনে ও হাসল একটু। তারপর ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়ে বলল,
-” হুমমম বলো, তোমার কী বলার আছে?”
-” তৃণার ব্যাপারে কথা বললে তোমার কি ভালো লাগে না? মানে এটা মনে হয় যে, আমি ওর জন্যই নিজের সুবিধার্থে তোমাকে ব্যবহার করছি, এরকম কিছু?”
-” না না,আমি জাস্ট একটু মজা করেই কথাটা বলেছিলাম তখন, এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছুই নেই। বলো তৃণার কথা আর কী বলতে চাও তুমি?”
কথাটা হেসে বললেও, সৌমিক লক্ষ্য করল, যে পর্ণার মুখে একটা হালকা দুঃখের কোনো ছাপ যেন রয়েই গেছে। এই প্রথম ভালো করে পর্ণার মুখের দিকে চেয়ে দেখল সৌমিক। তৃণার মুখটা দেখে যতটাই ছটফটে, দুরন্ত মনে হয়, ওর এই প্রিয়বন্ধু, মানে পর্ণার মুখশ্রীটা ততটাই শান্তশিষ্ট, ধীরস্থির দেখতে লাগে। এই কয়েকদিন কথা বলতে বলতে ওদের মধ্যেকার পরিচিতি টা অনেকটাই বেড়ে গেছে।আর যতটুকু কথাবার্তা হয়েছে, তাতে সৌমিক এতটুকু বুঝতে পেরেছে যে, পর্ণা মেয়েটা ভীষণই চাপা স্বভাবের, নিজের মনের ঝড়ঝাপ্টা, যাবতীয় ঝামেলাগুলো হাসিমুখে ঢেকে রাখে সযত্নে। বাইরের কারোর দেখে বোঝার সাধ্যই নেই সেই মনখারাপ। সৌমিক অনেক ভেবেচিন্তে, টেবিলের উপর হাতটা রেখে বলে উঠল,
-” আমি এটাই জানতে চাই যে তৃণার সাথে তো তুমি আজ কথা বললে, তো ওর জীবনে কি কেউ আছে? এ ব্যাপারে তুমি কিছু জানো?”
-” না আমি সত্যিই জানিনা। ওর জীবনে আপাতত, এতদিন কেউ ছিলনা। তবে আজকাল কেউ এসেছে কিনা সে ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। এই নিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করব আমি। কেমন??”
-” হুমম করে প্লিজ আমাকে জানিও, আসলে ও এমন রেগে যায় কথায় কথায়, যে ভয় লাগে বলতে”
-” ভয়ের কী আছে, ও কি খেয়ে ফেলবে? আর দেখো, ওর জীবনে কেউ থাকুক বা না থাকুক, ও তোমাকে সত্যিই একজন বন্ধু হিসেবেই দেখে। তাই আমার মনে হয়, ওর সাথে এই বন্ধুত্বের সম্পর্কটুকু তোমার নষ্ট করা উচিত নয়, মানে এটা আমার একান্তই নিজস্ব মতামত”
-” এটাই তো মানতে পারছিনা আমি। বুঝতে পারছি, কিন্তু মেনে নিতে পারছিনা। সেই জন্যই তোমাকে অনেক বিরক্ত করেছি এতদিন ধরে, সরি ফর….”
-” তুমি কি ওকে ভালোবাসো? মানে পছন্দ আর ভালোবাসার মধ্যে একটা পার্থক্য কিন্তু রয়েছে, সেটা আশাকরি তুমিও জানো”
সৌমিকের কথা বলার মাঝপথেই ওকে থামিয়ে কথাটা বলল পর্ণা। আচমকা কথাটা শুনে একটু থতমত খেয়ে গেল সৌমিক। এইভাবে ব্যাপারটা গভীরভাবে ভাবেনি সে, আসলে ভালোবেসে সম্পর্ক শুরু হয়, নাকি সম্পর্ক শুরুর পরে ভালোবাসা জন্মায়, এটা নিয়েই মাঝে মাঝে দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। তৃণাকে প্রথম দেখেই একটা ভালোলাগা জন্মে গিয়েছিল , পছন্দ হয়ে গিয়েছিল এটুকুই। ওর সাথে কথা বলতে ভালোলাগে, তৃণা দেখতেও সুন্দর…. মোট কথা সবদিক থেকেই সম্পূর্ণ ঠিকঠাক একটা ব্যাপার। সেখানে ভালোবাসার জন্য আলাদা অনুভূতির কী প্রয়োজন আর গুরুত্ব এই পার্থক্যটাই কিছুতেই বোধগম্য হয় না সৌমিকের। তাই পর্ণার কথাটার কোনো উত্তর না দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়েই রইল সে। পর্ণা বোধহয় কিছুটা আন্দাজ করতে পারল সৌমিকের মনের দোলাচলটা। সে এবার একটু হালকা মেজাজেই বলল,
-” থাক, এত না ভাবলেও চলবে। প্রশ্নের উত্তরটাই যখন নেই তোমার কাছে, তাহলে এই বিষয়ে তোমার আরো ভাবা উচিত আমার মনে হয়। কারণ সম্পর্কটা খুব একটা সহজ বিষয় নয়, যতটা তুমি ভাবছ।
তুমি সেদিন বললে, তৃণা রাজি না হলে, কিছু করার নেই, একদিন তখন আবার অন্য কাউকে পছন্দ করতে হবে কষ্ট করে। কিন্তু এটা তারমানে একটা অপশন, যেদিন তোমার কাছে অনেক অপশনের বদলে একজনই কেউ থাকবে, যাকে ছাড়া একদম চলবেনা, যাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পছন্দ করার কথা মাথাতেও আনবেনা ,সেদিন বুঝবে ভালোলাগা আর ভালোবাসার পার্থক্য। তাই বললাম কথাটা, কারণ তৃণা আমার বন্ধু, খুবই প্রিয় বন্ধু, তাই আমি চাই, ও এমন কারোর সাথে থাকুক, যে ওকে ভালোবাসবে, সবসময়, ভালো রাখবে।”
-” হুমম বুঝলাম। কিন্তু পর্ণা, একটা কথা না বলে থাকতে পারলাম না, কিছু মনে করো না। তুমি এমনভাবে কথাগুলো বলছ যেন এ ব্যাপারে তোমার অনেক অভিজ্ঞতা? মানে তুমি কাউকে ভালোবেসেছো কখনো?”
-” আমি?? নাহ্, ভালোবাসিনি। পছন্দ করি, ভালোলাগে একজনকে, কিন্তু সে কখনো আমার হবেনা জানি, তাই আর ভালোবাসার চেষ্টা করিনা।”
-” সিরিয়াসলি? ওয়াও! ওয়ান সাইডেড লাভ? তুমি আমার সাথে শেয়ার করতে পারো। কে সেই মানুষটা?”
বেশ উৎসুক হয়ে কথাটা বলল সৌমিক। পর্ণা ওর এরকম ছেলেমানুষি দেকে মুচকি হেসে উত্তর দিল,
-” কে জানে! হবে কেউ, সময় হলে, সুযোগ হলে তুমিও জানতে পারবে হয়তো। যাক গে, বাদ দাও এসব। তুমি তোমার ব্যাপারটা নিয়েই চিন্তা করো”
ওদের কথাবার্তার মাঝখানেই অর্ডার করা খাবার গুলো টেবিলে দিয়ে গেল ওয়েটার। ফলে কথাটাও আর এগোনো গেল না। ক্যাফেটাতে আর সেরকম কোনো লোক নেই, ফাঁকাই বলা যায়। হালকা একটা গান চলছে ভেতরে কোথাও , আর বাইরের রাস্তায় তখন সন্ধ্যা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মাথাটা নীচু করে কফির কাপে অল্প ঠোঁট ছোঁয়ালো পর্ণা। সৌমিক একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে রইল, আজকে পর্ণার কথাগুলো খুব ভাবাচ্ছে তাকে! এতদিন তৃণাকে প্রপোজ করার ব্যাপারে যে কথাগুলো সে সহজেই ভেবে নিত, সেগুলোও বড্ড জটিল লাগছে এই মুহূর্তে। কেউ কি নেই, এমন কেউ কি তার জীবনেও আসবে না? যে পর্ণার কথাগুলো হাত ধরে, পাশে থেকে বাস্তবায়িত করতে পারে! …..
************(কয়েকদিন পর)
বিছানায় শুয়ে শুয়ে দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিল তৃণা। পরীক্ষা শেষ, এখন কয়েকদিন কলেজ যাওয়ার তাড়াও নেই, আর রাতজেগে পড়াশোনা করারও কোনো ঝামেলা নেই আর। সবথেকে বড়ো কথা, যেটা এখনও অবধি বিশ্বাসযোগ্য লাগছে না ওর নিজের সেটা হল পরীক্ষার রেজাল্ট! নিজের রেজাল্ট দেখে নিজেই হতভম্ব সে। কলেজের গত দু’বছরে ওর এরকম ভালো রেজাল্ট হয়নি কখনো। অবশ্যই এর জন্য এতদিন ধরে রাত জেগে, সিরিয়াস হয়ে, মন দিয়ে পড়াশোনা করার অবদান তো আছেই, তবে তার থেকেও আরেকটা যে মানুষের অবদান রয়েছে, তা অস্বীকার করা যায়না। রাত শেষ হলেই, আগামীকাল ওর জন্মদিন। কালকের দিনটার অপেক্ষায় এত দিন ধরে বসে আছে সে, কী হবে আদৌ সেটা বুঝতে পারছেনা। অজানা একটা ভয়, আনন্দের মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে তার। সৌমাভ কী করবে কালকে? ওর মনের কথাটাই বলবে, নাকি বিপরীত কথা বলবে সেটা ভাবলেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে বারংবার।
সময় ক্রমশ এগিয়ে আসছে। বারোটা বাজতে আর কয়েকটা মিনিটই মাত্র বাকি…….
(ক্রমশ)