#গুছিয়ে_রাখা_আবেগ
#পর্ব_৮
#আজরিনা_জ্যামি
“ভাইয়া আরেকটু নুন দাও নুন মনে হয় কম হয়েছে। আর মাংসে আরেকটু ঝাল দাও। আজ তোমার কি হয়েছে বলো তো। প্রতি সময় সব পারফেক্ট হয় আজ একটায় নুন কম তো আরেকটায় ঝাল কম।”
“আসলে আজকে প্রথম মা আমার হাতের রান্না খাবে তাই নার্ভাস আর কি?”
“এহ আইছে এইটা কোন কথা। এতো নার্ভাস না হয়ে মন দিয়ে রান্না করো দেখবে সব পারফেক্ট হবে।”
“আমি তো মন দিয়েই রান্না করছিলাম কিন্তু তুই এসে সবকিছুতে পানি ফেলে দিলি। তুই বলে বলে দিচ্ছিস এটা আরেকটু দাও ওটা আরেকটু দাও। এই জন্যই তো গরমেল হচ্ছে। তুই চুপ থাক আমি আমার মতো রান্না করবো। তুই তোর টা করনা।”
“ভাইয়া তুমি কিন্তু আমার মতো অসুস্থ মানুষের সাথে কেমন করে কথা বলছো। এভাবে কেউ বলে।”
“তোর ঢং দেখার সময় নেই।”
“আমি ঢং করি?”
“করিসই তো আমার আগের বোন আরুহি তোর মতো ঢং করতো না বলতেই সব বুঝে ফেলতো।”
“আসলে কি বলো তো সে তো আগে বাস্তববাদী ছিল এখন সে আবেগী বুঝতে পারছো।”
“ফাও কথা রাখ। এখন তুই যা গোসল করে নে তোর ডান হাতে তো ব্যাথা আস্তে আস্তে গোসল করে নে।” নাহলে খালাকে নিয়ে তা তোকে সাহায্য করবে। ওহ হো তুই না কি বানাবি বলেছিলি সেটা কর! দুপুর তো হয়েই এলো আবরার বলেছিল দুপুরেই আসবে।”
“কাল আমাকে উনি বলেছিল মা নাকি আমাদের জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে আসবে। তাহলে তুমি কেন রান্না করলে?”
“আরে বাবা ওরা তো আমাদের জন্য খাবার আনবে ওদের জন্য তো নাও আনতে পারে তাই। ওদের আনা খাবার আমরা খাবো আর আমাদের রান্না করা খাবার ওরা খাবে।”
“আমি কিন্তু কেক বানাবো মায়ের জন্য হোম মেড কেক। ওটাই বানাতে চেয়েছিলাম। মায়ের খুব পছন্দের ছিল বাবা বানিয়ে মাকে খাওয়াতো। তাই নিয়ে বাবার বোন কতো কি বলেছে।”
‘বাবা থাকলে আজ কতো খুশি হতো বলতো !”
“হুম তা তো হতোই। যা হয়েছে, হয়েছে অতীত ভেবে লাভ নেই। আপাতত আমরা বর্তমান নিয়ে ভাবি ভবিষ্যতে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবা যাবে।”
“এটা কিরকম কথা বললি।”
“তোমার ওতো বুঝতে হবে না। তুমি এখন কেক বানাতে আমাকে সাহায্য করো। আমার ডান হাতে ব্যাথা তাই তোমাকেই করতে হবে নাহলে আমিই করতাম।”
“হুম হুম বুঝতে পেরেছি আর বলতে হবে না। বারবার বলে মনে করাতে হবে না আমার বোন অসুস্থ।”
_________________
“ভালো মা আর কিছু করতে হবে?”
“না আফরিন আর কিছু করতে হবে না। তুই এখন যা গোসল করে রেডি হয়ে নে। আর যাওয়ার সময় আবরার কে বলে যাস রেডি হতে।’
“তুমি হবে না রেডি ভাইয়া তো বললো তোমাকেও যেতে।”
“আমি যাবো নারে !”
“যাবে না মানে যেতেই হবে। তোমাকে মিস আরুহি যেতে বলেছে এখন তুমি কি অসুস্থ মানুষটার কথা রাখবে না। সে বলেছে তুমি গেলে সে খুব খুশি হবে। তুমি কি অসুস্থ মানুষটাকে একটু খুশি দিতে চাওনা।”
আফরিন আর ভালো মা কথা বলছিল তার মাঝেই আবরার এগুলো বলতে বলতে কিচেনে ঢুকে। আবরারের কথা শুনে ভালো মা বলল,,
“ড্রামাবাজ কোথাকার!”
“সত্যি বলছি ভালো মা কাল রাতে মিস আরুহি আমাকে বলেছে আপনার ভালো মা যদি সাথে আসে তাহলে খুশি হতাম।আমিও বলেছি নিয়ে আসবো। তাই তোমাকে নিয়ে যেতেই হবে নাহলে কথার বরখেলাপ হয়ে যাবে।”
“আমি কোথাও যাই নাকি!”
তখন নাসরিন খান বললেন,,
“যাও না রুনা মেয়েটা যখন বলেছে এমনিতেও তো কোথাও যাও না তুমি ঘুরে এসো ভালো লাগবে।”
‘ভাবি তুমি ও!”
“হ্যা আমিও! এখন ওপরে গিয়ে রেডি হও। খাবার গুলো আমি প্যাক করে দিচ্ছি। এমনিতেও তো সব হয়ে গেছে যে কটা বাকি আছে সেগুলো আমি করে দিচ্ছি। দুপুর তো হয়েই গেছে।”
তখন আফরিন বলল,
“ইয়ে ভালো মা যাবে!”
“হইছে এতো লাফাতে হবে না চল ওপরে চল এখন।”
ওরা যেতেই আবরার নাসরিন খান কে বলল,
“থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ মা।”
“এখানে থ্যাঙ্ক ইউ এর কি আছে। রুনা তো কোথাও যায় না। তাই যেতে বললাম।”
“আচ্ছা মা আরুহিকে তোমার কেমন লাগে?”
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
“আরে বলো না।”
“মেয়েটা ভালোই আমার তো দারুন লাগে। আমার আরেকটা ছেলে থাকলে ওকে আমার ছেলের বউ বানাতাম।”
“আরেকটা ছেলে থাকলে মানে তোমার তো ছেলে আছেই?”
“তারমানে !!!!!”
এ কথা শুনে আবরার বুঝতে পারল ও বেফাঁস কিছু বলে ফেলেছে । আসলে নাসরিন খানেরও আরুহি আগে থেকেই পছন্দ। লন্ডনে যাওয়ার পরও আরুহি ওনার সাথে কথা বলেছে কয়েকবার। যেহেতু আবরার আরুহির কথা বলছে তারমানে এর মাঝে কিছু আছে। তাই উনি সিওর হওয়ার জন্য বললেন। আবরার কিছু বলছে না দেখে নাসরিন খান বললেন,,
“এটা কোন রকমের কথা আবরার ছেলে আছে তো মানে কি?”
“আরে ওটা এমনি মুখ ফস্কে বের হয়ে গেছে। কিন্তু তুমি আরেকটা ছেলের কথা কেন বললে?”
“কারন আমার এই ছেলের মনে তো সুভাসিনী আছে তাই।”
এ কথা শুনে আবরার চুপ মেরে গেলো। আর বলল,,
“এ নিয়ে আমি আর কথা বলবো না। এবার আমি ওপরে গেলাম রেডি হতে হবে।”
“সব ঢং সব বুঝি আমি আর জানিও।”
‘তো জানো যখন তাহলে আমাকে এভাবে বলছো কেন? সাথে কনফিউজড ও করে দিচ্ছো।”
“আচ্ছা যা ওপরে গিয়ে রেডি হ যা হবে পরে দেখা যাবে।”
“হুম যা হবে দেখা যাবে।”
____________________
আবরার আফরিন আর ভালো মা নাসরিন খানের থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই
ওরা আরুহিদের বাড়িতে পৌছে গেল। হাতে গোনা কয়েকজনই শুধু ওদের বাড়ির ঠিকানা জানে। তাও যারা জানে তাদের বলে দেওয়া হয়েছে যাতে আর কাউকে না জানায়। আরুহি আর আরহাম ড্রয়িংরুমে বসে ছিল। কলিং বেল বাজতেই আরহাম এগিয়ে গেল। দরজা খুলতেই ওদের দেখে সালাম দিল।
“আসসালামু আলাইকুম আন্টি! কেমন আছেন আপনারা?
তখন ভালো মা মুচকি হেসে বলল,,
ওয়ালাইকুমুস সালাম। আমরা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমরা কেমন আছো?
“আমরাও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।রাস্তায় আসতে কোন সমস্যা হয় নি তো মিস্টার আবরার?”
“কোন সমস্যা হয় নি মিস্টার আরহাম।”
“আসুন ভেতরে আসুন!”
আরুহি একটু পেছনে ছিল বলে হয়তো কেউ বোধহয় আরুহিকে খেয়াল করে নি। হুট করে ভালো মায়ের নজর পরতেই উনি আরুহির কাছে গিয়ে হাত ধরে বলল,,
“তুমি অসুস্থ শরীর নিয়ে এখানে এসছো কেন? আমরা তো আসছিই এত অধৈর্য হলে চলে।”
“আরে আন্টি সমস্যা নেই আমি এখন অনেকটাই সুস্থ তাই সমস্যা হচ্ছে না। আমি ফিট এন্ড ফাইন।”
“হুম তা তো দেখতেই পাচ্ছি।”
“আরে আপনারা বসুন না। কিরে নিশি ভুত আসার পর থেকে দেখছি দরজায়-ই দাঁড়িয়ে আছিস। তোর বান্ধবী যে অসুস্থ একটু খোঁজ ও নিচ্ছিস না।”
এ কথা শুনে আফরিন আরুহির কাছে এগিয়ে এসে বলল,,
“আরে ভাই তুই-ই না বললি তুই ফিট এন্ড ফাইন।”
“ওটা ভদ্রতার খাতিরে বলতে হয়।”
ওরা সকলে বসলো। তখন আরুহিদের কাজের মহিলা শরবত ফল নিয়ে এলেন। আবরারের ভালো মা ওনার আনা খাবার গুলো নিয়ে গিয়ে সাজাতে বললেন। ওরা কিছুক্ষণ পর ড্রাইনিং টেবিলে গিয়ে বসলো।এতক্ষন ওরা একেকজন একেকজন কে শুধু দেখেই গেছে। টেবিলে গিয়ে আবরার রা তো অবাক। আরহাম অনেক কিছু রান্না করেছে। তা দেখে ভালো মা বলল,,
“এগুলো কি করেছো আমরা তো তোমাদের জন্য রান্না নিয়ে এসেছি।
তখন আরহাম বলল,,
“আপনারা প্রথমবার আমাদের বাড়িতে এসেছেন আপনাদের কি আপনাদের রান্না করা খাবার খাওয়াবো নাকি। তাই আমরাও আপনাদের জন্য রান্না করেছি। আপনাদের টা আমরা খাবো আর আমাদের টা আপনারা।”
“ওহ আচ্ছা তবে আমি সবাইকে সার্ফ করে দিচ্ছি। এটা কিন্তু মানা করতে পারবে না।
“আচ্ছা ঠিক আছে। সবাইকে দিয়ে আপনিও আমাদের সাথে খেতে বসবেন!
“আচ্ছা ঠিক আছে।”
তখন হুট করে আরুহি বলল,
“সব ঠিক আছে ভাইয়া কিন্তু আমার তো ডান হাত ব্যাথা আমাকে কে খায়িয়ে দেবে?”
আরহাম কিছু বলবে তার আগেই ভালো মা বললেন,,
“যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমি তোমাকে খায়িয়ে দেব। সমস্যা নেই তো?”
এ কথা শুনে আরুহির চোখটা ছলছল করে উঠলো কতদিন পর মায়ের হাতে খাবে সে। ও বলল,,
“সমস্যার কি আছে আন্টি!”
তখন আবরার বলল,,
“জানেন মিস আরুহি ভালো মা আমাদের কেও মাঝে মাঝে খায়িয়ে দিতেন।”
‘তাই নাকি তা আজ আমাকে খাওয়ালে আপনাদের সমস্যা নেই তো।”
“কোনো সমস্যা নেই।”
সবাই খাওয়া শুরু করলো আরুহি খাচ্ছে আর আরহামের দিকে তাকিয়ে আছে। তার ভাইয়ারো তো খেতে ইচ্ছে করছে ও বুঝতে পারছে। আরহাম ও আরুহির দিকে তাকিয়ে আছে। দুই ভাইবোন চোখে চোখে কি আলাপ করছে তারাই ভালো জানে। আরুহির চাহনি আর কেউ লক্ষ না করলেও ভালো মা ঠিকই লক্ষ করছে। তাই তিনি বলল,,
‘আরহাম আমি কিছু দেব তোমায়?”
তা শুনে আরহাম হেঁসে বলল,,
“আপনি দিলে তো কম দেবেন আমিই বেশি করে নিয়ে নিব সময় বুঝে।”
এ কথা শুনে আরুহি হাসলো আর আফরিন আর আবরার বোঝার চেষ্টা করলো আসলে ও এই কথা দ্বারা কি বোঝাতে চেয়েছে। তখন আরুহি হেসে বলল,,
“ভাইয়া কেউ যদি কিছু দেয় তাহলে বেশি করেই দেয় কম দেবে কেন? আর আন্টি তো কম দেবেই না।”
“থাক ভাই আমি আমার টা নিয়ে নেব। তবে আন্টি আপনার রান্নার হাত কিন্তু মাশাআল্লাহ অনেক মজা হয়েছে। আরুহিকে খায়িয়ে আপনি কিন্তু খেতে বসবেন আমি নিজ দায়িত্বে আপনাকে বসিয়ে খাওয়াবো।”
“আমিও দেব ভাইয়া তবে আমি বেশি করেই দেব যাতে আন্টি তোমার মতো বলতে না পারে কম দিয়েছি।”
তখন ভালো মা মুখ ফস্কে আস্তে করে বলল,,
“তোরা দুজনে আর শুদরালি না ঠিক ছোট বেলার মতোই রয়ে গেলি।”
আরুহি আর আরহাম কাছেই ছিল তাই আর কেউ না শুনলেও আরুহি আর আরহামের এ কথা খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। তা দেখে ভালো মা বুঝতে পারল সে কি বলেছে তাই তিনি কথা ঘুরানোর জন্য বলল,,
“আরুহি তোমাকে আর কিছু দিব।”
আরুহির হুস আসতেই বলল,,
“না আন্টি আর কিছু লাগবে না।”
সবার খাওয়া শেষ হলে ভালো মা খেতে বসলো। আরহাম আর আরুহি খুব যত্ন করে ওনাকে খাওয়াতে লাগলো। আবরার আর আফরিন সোফায় বসে ছিল। হুট করে আফরিন বলল,,
“ভাইয়া তুমি কি কিছু বুঝতে পারছো?”
“কিন্তু ওদের অতীত সম্পর্কে তো আমাদের ধারনা নেই। যেমন আরুহিদের তেমনি ভালো মায়ের। কিভাবে কি বলবো। আজ আরুহি আমাকে কি যেন বলবে আমি যদি ঠিক হই তাহলে ভালো মায়ের সম্পর্কেই কিছু জিজ্ঞেস করবে।”
“যদি আমরা যা ভাবছি সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না।”
“হুম!”
____________________
“ভাইয়া তুমি আফরিন আর আন্টিকে বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাও আমার বিজনেসের কিছু কথা আছে মিস্টার নিশান আবরার এর সাথে।”
“আচ্ছা।”
আরহাম আফরিন আর ভালো মাকে নিয়ে চলে গেল। তখন আরুহি বলল,,
“আপনাকে যা যা জিজ্ঞেস করবো তার সঠিক উত্তর দিবেন!”
“আমি যদি জেনে থাকি তবে অবশ্যই আপনাকে জানাবো।”
আরুহি এক এক করে প্রশ্ন করলো আবরার সব প্রশ্নের উত্তর দিল। কিন্তু সব শুনে আরুহি সন্তুষ্ট হলো কিনা মুখ দেখে বোঝা গেল না। তা দেখে আবরার বলল,,
“কি হলো আমাদের দেওয়া ইনফরমেশন গুলো কি আপনার কাজে আসলো না।”
“বুঝতে পারছি না। সব তাল গোল পাকাচ্ছে। তবে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।”
তখনি আরহামরা এলো আরুহি গিয়ে ওর বানানো কেক নিয়ে এলো। ভালো মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,,
“আপনাদের জন্য কেক বানিয়েছি আমি। খেয়ে অবশ্যই বলবেন কেমন হয়েছে।”
এ কথা শুনে ভালো মায়ের চোখটা ছলছল করে উঠলো। উনি কেক খেয়ে বলল,,
“মাশাআল্লাহ অনেক মজা হয়েছে।”
তখন আফরিন বলল,,
“আমার বান্ধবীর বানানো কেক আমরা পাবো না নাকি?”
“আরে নিশি ভুত সবুর কর তোদের জন্যও তো বানিয়েছি।”
আরুহি আবরার আর আফরিন কে কেক দিল। ওরা আরুহির কেকের প্রশংসা করলো। আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ওরা চলে গেল।ওরা যাওয়ার পর আরহাম আরুহি কে জিজ্ঞেস করলো। সব শুনে আরহামের মাঝেও ভাবান্তর দেখা গেল না।
_________________
সাত দিন পর ,,,
আরুহি এখন পুরোপুরি সুস্থ ভার্সিটিও যাওয়া আসা করছে চারদিন ধরে । ভার্সিটির তিনটি ক্লাস শেষ করে নিচে আসতেই বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পেল আরুহিরা তিন বান্ধবী। আরো ও চমকে গেল মাঠের মাঝখানে আরহামকে বসিয়ে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রয়েছে একজন। তার পাশে রয়েছে কয়েকজন। এগুলো দেখে সবাই খুব ভয় চোখে ওদিকে তাকিয়ে আছে। ভার্সিটির স্যার ম্যাডাম রাও রয়েছে। লোকগুলো বোধহয় আরুহির জন্যই অপেক্ষা করছিল ও আসতেই কেউ একজন আরহাম কে খুব জোরে একটা ঘুসি মারলো। এটা দেখে আফরিন আর রোজা এগুতে চাইলেও আরুহি আটকে দিল। আরহাম আরুহির দিকে তাকিয়ে আছে আরুহিও তাই আরুহি চোখ নামিয়ে । কানে ফোন নিয়ে আরহাম কে যেখানে রাখা হয়েছে তার সাইড দিয়ে চলে গেল আর গাড়িতে চরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল।তা দেখে আবরার আফরিন রোজা তো অবাক কিন্তু আরহামের মুখে রয়েছে অদ্ভুত হাসি।
চলবে,,