হৃদয়ে মেঘগলি পর্ব ১

0
1928

#হৃদয়ে_মেঘগলি
|০১|
লাবিবা ওয়াহিদ

প্রাক্তন স্বামী এভাবে ছোট বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে, তা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি তাশুতি। যেই মানুষটার সাথে সম্পর্কের ইতি টেনেছে সেই মানুষটার কী এমন জরুরি পরলো বিয়ে করার জন্যে তার বোনকে পছন্দ করার? দুনিয়াতে কী মেয়ের অভাব পরেছে নাকি অন্য কোনো মতলব, তা ঠিক বুঝতে পারছে না তাশুতি। এজন্য-ই তো যেখানে পাত্রীর পাত্রের সাথে আলাদা কথা বলার কথা সেখানে তাশুতি তার প্রাক্তন স্বামীকে আলাদা করে ডেকে নিজের রুমে এনেছে। শেহরিম পকেটে দু’হাত গুঁজে তাশুতির দিকে নির্বিকার চাহনি নিক্ষেপ করে দাঁড়িয়ে আছে। তাশুতি তার সমস্ত ক্রোধ বহিঃপ্রকাশ করে বললো,

–“এখানে কেন এসেছো? কী মতলব তোমার?”

শেহরিম হাসলো। হাসি বজায় রেখে বললো,
–“মতলব যাই হোক, তাতে তোমার কী? তুমি তো বিবাহিত!”

তাশুতি আবার ফুঁসে ওঠে। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
–“আমার বোন থেকে দূরে থাকো!”

–“কেন? আমার পাশে অন্য কাউকে দেখলে তোমার খারাপ লাগবে বুঝি? কাম অন, চিন্তা করো না। তোমার বোনের সাথে আমায় মানাবে দেখেই প্রস্তাব এনেছি!”

–“তুমি কী মনে করো আমি বোকা? তোমার ব* দ পরিকল্পনা বুঝি না? আমি জানি তুমি আমার জন্যেই আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছো!”

–“তোমার জন্যে প্রস্তাব দিয়ে আমার ফায়দা কী তিশুতি?”

তিশুতি শেহরিমের চোখে চোখ রেখে বললো,
–“জানি না। তবে আমার মতো অসুখে ভুগতে দিবো না আমার বোনকে!”

শেহরিম আলতো হেসে বললো,
–“লেট’স সি! শালী হতে যাচ্ছো, চা বানিয়ে খাওয়াতেই পারো। হবু বোন জামাই বলে কথা!”

তিশুতি গলায় কাঠিন্য এনে বললো,
–“বোন জামাই, মাই ফুট!”

শেহরিমকে আরও কিছু বলার পূর্বেই ঘরে আগমন ঘটলো তিশুতির তিন বছর বয়সী মেয়ে নোরার। শেহরিম বাঁকা হেসে নোরার দিকে চেয়ে বলে,
–“প্রিটি গার্ল। মেয়ে এত বড়ো হয়ে গেলো, জানাওনি?”

তিশুতি দ্রুত মেয়েকে কোলে নিয়ে বললো,
–“জানানোর কোনো প্রয়োজন ছিলো?”

শেহরিম আবারও হেসে বলে,
–“তোমার মেয়েকে বড়ো হলে জানিও, তোমার মেয়ের প্রাক্তন সৎ বাবাও ছিলো!”

বলেই হাসতে হাসতে শেহরিম রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। শেহরিমের এরূপ কথাবার্তা এবং হাসিটা তিশুতির আগুl নে ঘি ঢেলে দিলো। বহু কষ্টে তিশুতি রাগ সামলে মেয়েকে নিয়ে অন্যরুমে চলে গেলো। এই মুহূর্তে লিভিংরুমে শেহরিমের মুখোমুখি হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলো না।

নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে আনোশীকে শাড়ি পরিয়ে একপ্রকার প্যাকেট বানিয়ে পাত্রপক্ষের মুখোমুখি বসালো আনোশীর মামী। আনোশী বিমূর্ত হয়ে বসে আছে। কোনো রকম নড়াচড়া নেই তাঁর। আনোশীর মামী হাসি-মুখে ভাব বিনিময় করছে মেহমানদের সাথে। এর মাঝে শেহরিম চলে আসলো৷ শেহরিমের সাথে আসা একজন মহিলা জিজ্ঞেস করলো,

–“কোথায় গিয়েছিলে বাবা?”

–“ইম্পর্টেন্ট কল এসেছিলো ফুপি। নাও আ’ম ডান!”

বলেই শেহরিম ফুপির পাশে গিয়ে বসলো। শেহরিম এক পলক তাকালো আনোশীর দিকে। আনোশী একবারও তাঁর দিকে তাকায়নি। কিংবা তাকানোর প্রয়োজনবোধ করেনি। শেহরিম এই মেয়েটাকে খুব কম হাসতে দেখেছে। যদিও তাদের সাক্ষাৎ-ও হাতে গোণা কয়েকবার হয়েছিলো। তাও মেয়েটাকে ভীষণ রকম মনে ধরেছে তাঁর। আলতো হাসলো শেহরিম। শেহরিমের ফুপি আনোশী কে কিছুক্ষণ দেখে আনোশীর মামীর উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো,

–“মা-শা-আল্লাহ্। আপনাদের মেয়েকে আমাদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে। এখন আপনারা বলুন, কোনো আপত্তি আছে কী?”

মামী অধর প্রসারিত করে বলে,
–“না, না। আমাদের আবার কিসের আপত্তি? ছেলে ভালো, ডাক্তার। আমাদের মেয়ের জন্যে আর কী প্রয়োজন?”

মামীর কথায় আনোশী এবার কিছুটা নড়েচড়ে উঠলো। তবে মামী সন্তর্পণে আনোশীর কাঁধে হাত দিয়ে তাকে দমিয়ে রাখলো। এটা অবশ্য শেহরিম ভালো ভাবেই লক্ষ্য করেছে। তবে কিছু না বলে নীরব রইলো। ফুপির পাশে বসা শেহরিমের ভাবী এবার কিছুটা উঁচু স্বরে বললো,
–“আলহামদুলিল্লাহ।”

পর্দার আড়ালে থেকে তিশুতি সবটাই নীরবে শুনে গেলো। চেয়েও টু-শব্দ করতে পারলো না। কারণ, এখন তিশুতির বর্তমান স্বামী রিয়াদ লিভিংরুমে উপস্থিত। মেয়েকে মামাতো ছোট ভাই-বোনের কাছে রেখে এদিকে-ই এসেছিলো বিয়ে ভাঙতে। কিন্তু ভাগ্যের কী লীলাখেলা, তাঁর স্বামীও সেই সমাগমে রয়েছে। তিশুতি তাকে দেখে সামনে আগানোর সাহস পেলো না। কারণ, রিয়াদ এখনো জানে না তিশুতির প্রাক্তন স্বামী শেহরিম-ই। জানলে বিরাট কলহ তৈরি হবে তো হবেই সাথে তাঁর সংসারও টানা-হেঁচড়ায় পরবে। এজন্যে তিশুতি এই মুহূর্তে নীরব থাকাকেই শ্রেয় মনে করলো।

যখন আনোশীকে শেহরিম রিং পরাবে তখন আনোশী নানান ভাবে চেষ্টা করেছে শেহরিমের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়ানোর। কিন্তু পেছনে মামী সবটা সামলে মুচকি হেসে বললো,
–“লজ্জা পাচ্ছে মেয়েটা। কখনো কোনো পুরুষ তার হাত ছোঁয়নি তো। তাই বোধহয়!”

সঙ্গে সঙ্গে চাপা পরে গেলো আনোশীর সিদ্ধান্ত। আনোশী বুঝতে পারলো, শেহরিমের নামের রিং তাকে পরতেই হবে। তাই মোঁচড়া-মুঁচড়ি বন্ধ করে আনোশী নীরব হয়ে গেলো। শেহরিমও মুচকি হেসে তাঁর নামের আংটিটা স্ব-যত্নে আনোশীকে পরিয়ে দিলো। এই দৃশ্য দূর থেকে দেখলো তিশুতি। কিন্তু চেয়েও কিছু বলতে পারলো না সে। দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

——————
দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে গেলো অথচ আনোশী একবারও তাঁর ঘরের দরজা খুললো না। মামীসহ সকলেই কম-বেশি ডাকলো আনোশীকে কিন্তু আনোশীর সাড়া নেই। টু-শব্দও কেউ ভেতর থেকে পাচ্ছে না। তিশুতি বোনের জন্যে চিন্তিত থাকলেও মামী বেশ উচ্ছ্বাসে রয়েছে। মামা এবং রিয়াদ মেহমান চলে যাওয়ার পরপর নিজেদের অফিসে চলে যায়। দু’জনেই ছুটি নিয়ে দুই ঘন্টার জন্যে এসেছিলো। বিয়ের ডেট আরেকদিন এসে ফিক্স করে যাবেন তাঁরা। তিশুতির মেয়ে ঘুমোচ্ছে। মামীর ছেলে-মেয়ে ছাদে গিয়েছে সম-বয়সীদের সাথে খেলতে। মামী যখন রান্নায় ব্যস্ত তখন তিশুতি নীরবে রান্নাঘরে প্রবেশ করলো। মামীর পাশে দাঁড়িয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিলো। মামী খুন্তি তরকারিতে নাড়তে নাড়তে ঘাড় বাঁকিয়ে তিশুতির দিকে তাকালো। হেসে বললো,

–“অবশেষে আমাদের আনোশীর জন্যে ভালো সমন্ধ আসলো! কী কপাল আনোশীর!”

তিশুতি বিব্রত স্বরে বললো,
–“তুমি জানো শেহরিম আমার প্রাক্তন স্বামী। তাও তুমি কেন আনোশীর জন্যে রাজি হলে মামী?”

মামীর হাসি-মুখ এবার থমথমে হয়ে গেলো। গম্ভীর স্বরে বললো,
–“হোক প্রাক্তন। বর্তমান তো নয়! বিয়ে হতেই পারে স্বাভাবিক। তুই সংসার করতে পারিসনি সেটা তোর দোষ! খা*প ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছি না আমরা!”

–“ছাড়াছাড়ি হওয়ার মানেই কী সব আমার দোষ? এটা কেমন বিবেচনা তোমার মামী?”

মামী লম্বা নিঃশ্বাস ফেললেন। বিরক্তির সাথে। নিজেকে সামলে বললো,
–“আমি তোকে কিছু বলিনি। বাদ দে। গিয়ে তোর মেয়েকে দেখ।”

তিশুতি আবার বললো,
–“আনোশীর সাথে অবিচার করিও না মামী। শেহরিম ভালো না!”
বিরক্তিতে ভ্রু কুচকে এলো মামীর। দায় সাড়া ভাব নিয়ে বললো,
–“পরেরটা পরে দেখা যাবে।”

তিশুতি আবার চাইলো মামীকে বোঝাতে। কিন্তু মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে সে আর সফল হলো না। সব ভুলে মেয়ের কাছে ছুটলো তিশুতি। তিশুতির যাওয়ার পানে চেয়ে মামী মুখ বাঁকালো। মিনমিন করে বললো,

–“নিজে সংসার করতে পারেনি, এখন বোনের বেলায় মহারাণী জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। আমি বুঝি তোর হিংসা। আমিও দেখি তুই কী করে আনোশীর বিয়ে ভাঙিস। বিয়ে তো হবে, তোর ওই প্রাক্তন স্বামীর সাথেই!”

রাতে রিয়াদ তিশুতিদের বাড়িতেই এলো। মামা তাকে আলাদা ভাবে অনুরোধ করেছে যেন আজকের রাতটা তাদের বাসায় থেকে যায়। তাই রিয়াদও মামা শ্বশুরের কথা ফেলতে পারেনি। রাত হয়ে গেলো, এখনো আনোশী দরজা খুলেনি। মামাও এসে কিছুক্ষণ ডাকা-ডাকি করেছে। কিন্তু ফলাফল এবারও শূণ্য। যখন রিয়াদ ডাকলো, তখন বেশ কিছু সময় পর আনোশী সাড়া দিলো। বললো,

–“ম* যাইনি আমি। বেঁচে আছি। শুধু একটু একা থাকতে দিন ভাইয়া!”

আনোশীর এরূপ ত্যাড়া বাণীতে মামী মুখ শক্ত করলো। বিড়বিড় করে কিছু বললো, কিন্তু সেসব কারো কান অবধি পৌঁছালো না। রিয়াদ সকলকে বোঝানোর ভঙ্গিতে বললো,
–“আনোশী কে একা থাকতে দেওয়াই ভালো।”

বৈঠকঘরে বড়োদের আলোচনা বসলো। তিশুতি, রিয়াদ, মামা এবং মামীর। মামা চায়ে চুমুক দিয়ে বললো,
–“বিয়েতে মত দিয়ে ঠিক করেছি রিয়াদ?”

বলেই মামা তিশুতির দিকে তাকালো। তিশুতি অসহায় চাহনি নিক্ষেপ করে আছে মামার দিকে। মামা নজর ফিরিয়ে নিলো। রিয়াদ কিছু বলার পূর্বেই মামী বললো,

–“বেঠিকের কী হলো? এরকম ভালো ছেলে লাখে একটা!”

রিয়াদও মামীর সাথে একমত পোষণ করলো। বললো,
–“শেহরিমের সাথে কথা বলে আমারও ভালো লেগেছে। ভীষণ বিচক্ষণ এবং শান্ত-শিষ্ট। আনোশীর জন্যে ভালো বৈ খারাপ হবে না!”

তিশুতি এবার মুখ খুললো। বললো,
–“মানুষের উপরটা দেখে কী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত রিয়াদ? আমার আনোশীর জন্যে ওকে পছন্দ হয়নি। মামা আপনি তাদের মানা করে দিন। আনোশীও রাজি নয়। দেখছেন না পাত্রপক্ষ যাওয়ার পর থেকে আনোশী কীভাবে নিজেকে ঘরবন্দি করে নিয়েছে?”

মামা নীরব রইলেন। আনোশীর এভাবে ঘরবন্দি হওয়ার কারণ সে ধরতে পারলেও ভাগনির জামাইয়ের সামনে কিছু বলতে পারছেন না। মামা এবং মামীর দুজনেই জানে যে শেহরিমকে রিয়াদ চিনে না। দু’জনের কেউই চাচ্ছে না কোনো ঝামেলা তৈরি করতে। মামী দাঁতে দাঁত চেপে তিশুতিকে মনে মনে কতক্ষণ গাল-মন্দ করলো। গাল-মন্দ শেষে মামী প্রশ্ন ছুঁড়লো,

–“কী কমতি আছে ছেলেটার মধ্যে? আর রইলো আনোশীর কথা। আনোশী কবে রাজি ছিলো বিয়ের জন্যে? যেহেতু বিয়ে ঠিক হয়েছে, আনোশীও ধীরে ধীরে মেনে নিবে। তাই ওকে ওর মতো করে সময় দেওয়াই ভালো।”

–“মামী তুমি বুঝতে পারছো না!”

তিশুতিকে চোখ রাঙালো মামী। এতে তিশুতি সম্মানের খাতিরে দমলো। নয়তো মামীকে সেও কথা শুনিয়ে দিতো। মিনমিন করে বললো,
–“আমাকে চোখ রাঙানোর সাহস দেখাবে না মামী!আমি আনোশী নই যে তোমার চোখ রাঙানি আমার উপর কাজে দিবে!”

মামা এবার মুখে খুলে বললেন,

–“আহ্, থামবে তোমরা? বাচ্চাদের মতো কথা কাটা-কাটি করছো কেন? রিয়াদ বাবা তুমি বরং শেহরিমের হসপিটাল থেকে খোঁজ খবর নিও। যদি তোমার হাতে সময় থাকে?”

রিয়াদ সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে বললো,
–“ঠিক আছে মামা।”

—————-
আননোন নাম্বারের কল দেখে আনোশী প্রথমে রিসিভ করলো না। পরমুহূর্তে মাথায় এলো, কোনো স্টুডেন্টেরও কল হতে পারে। তাই আনোশী ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কল রিসিভ করলো। আনোশী সালাম দিয়ে ‘হ্যালো’ বলতেই ওপাশ থেকে পুরুষালি সুকন্ঠের স্বর শুনতে পেলো সে।

–“ওয়া আলাইকুম আসসালাম আনোশী!”

ভ্রু কুচকে এলো আনোশীর। একবার ফোনের স্ক্রিনের নাম্বারটার দিকে তাকিয়ে সন্দিহান কন্ঠে বললো,
–“কে?”

ওপাশ থেকে হালকা হাসির শব্দ পাওয়া গেলো। আবারও শুনতে পেলো সেই সুকন্ঠের অধিকারী পুরুষটির গলা।
–“চিনতে পারছো না স্বাভাবিক ভাবেই নিলাম। তবে দ্বিতীয়বার ভুলিও না। কারণ, এই কন্ঠস্বর তোমার আগামী দিন থেকে রোজ শুনতে হবে!”

আনোশী কিছুটা আঁচ করতে পারলো। তাও সন্দেহ কাটাতে পুণরায় প্রশ্ন করলো,
–“আপনি অচেনা একজন মানুষ। আপনাকে মনে রাখার অথবা ভুলে যাওয়ার প্রশ্ন তো আসে না। আমরা তাকেই মনে রাখি যারা আমাদের পরিচিত।”

–“আপন না হলে কী মনে রাখবে না?”

–“হেয়ালি না করে পরিচয় দিন।”

–“পরিচয় তো তুমি আগেই জেনে গেছো। এখন অবুঝ হওয়ার ভান করছো কেন? আমার মুখে আমার নামটা শুনতে ইচ্ছে করছে বুঝি?”

আনোশী তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
–“নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম আপনি সেই পুরুষ কী না, যেই পুরুষ প্রথম বোনকে ডিভোর্স দেওয়ার পরপর দ্বিতীয় বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। লজ্জা করলো না আপনার?”

~[ক্রমশ]
———————-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here