হৃদয়ে মেঘগলি পর্ব ২

0
1248

#হৃদয়ে_মেঘগলি
|০২|
লাবিবা ওয়াহিদ

আনোশীর এরকম বক্তব্য শুনে শেহরিমের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়। অতীতের কিছু তিক্ত দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠলে নিজেকে সামলে নিলো। বার কয়েক লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে আবার স্বাভাবিক হলো। হেসে বললো,

–“কবিতার মর্ম বুঝতে হলে পুরোটা পড়তে হয়। দুই, চার লাইন পড়লে তুমি কখনোই সেই কবিতার মর্ম বুঝবে না। মানুষের জীবনটাও সেরকম। একজন মানুষ সম্পর্কে দুই লাইন শুনে কখনোই মানুষ চেনা যায় না!”

আনোশী শেহরিমের কথাকে সেরকম গুরুত্ব না দিয়ে পুণরায় তাচ্ছিল্যের সাথে বলে,
–“ও আচ্ছা। এর মানে মিছে-মিছি ডিভোর্স হয়েছে আপনাদের? এসব অযৌক্তিক লজিক আমায় দিতে আসবেন না। সম্মান দিয়েই জানাচ্ছি, “আপনাকে আমি বিয়ে করবো না!”

–“আমার দোষ কী তিশুতির প্রাক্তন স্বামী হওয়া? আমার কী পছন্দ, অপছন্দ নেই?”

–“আমাকে পছন্দ করাটাই আপনার সবচেয়ে বড়ো দোষ। ভালো থাকবেন!”

বলেই আনোশী খট করে কল কেটে দিলো। রিংটা আনোশীর অনামিকা আঙুলে নেই। রিংটি খুলে কোন দিকে ছুঁড়ে ফেলেছে তা আনোশীর সঠিক খেয়ালও নেই।
শেহরিম অধরে হাসি ঝুলিয়ে মোবাইলটা পাশের টেবিলে রাখলো। অতঃপর দুই হাত পকেটে পুরে বদ্ধ কাঁচ ভেদ করে কৃত্রিম আলোয় সজ্জিত ব্যস্ত শহরে চোখ বুলালো। হঠাৎ-ই পেছন থেকে পুরুষালি কন্ঠে কেউ বলে ওঠে,

–“ওই মেয়ের বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া কী ঠিক হলো শেহরিম?”

শেহরিম ঘাড় বাঁকিয়ে পিছে ফিরে চাইলো। শেহরিমের পিছে দাঁড়িয়ে আছে শেহরিমের বড়ো ভাই শাহেদ। শাহেদ ফর্মাল স্যুটে আছে। এর মানে সবেই অফিস থেকে ফিরেছে। শেহরিম শাহেদের প্রশ্ন এড়িয়ে বললো,
–“সবে ফিরলে ভাইয়া?”

–“কিছু জিজ্ঞেস করেছি!”

শেহরিম হাসতে হাসতে বিছানায় বসে পরলো। ভাইকে ইশারায় ডেকে বিছানায় বসতে বললো। শাহেদ ক্লান্ত থাকায় শেহরিমের সাথে সিলিং ফ্যানের নিচে বসলো। শেহরিম হেসে বলে,

–“জীবনে প্রথমবার কাউকে পছন্দ হয়েছে ভাইয়া। কিন্তু আমার শা** কপাল। মেয়েটা তিশুতির বোন। আমি কী করতাম বলো তো? ডিভোর্সের তো ছয় বছর পেরিয়ে গেছে।”

শাহেদ ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
–“ভুল বিষয়গুলোই আমাদের জীবনে জড়িয়ে যায়। যা আমরা চাইলেও সরিয়ে দিতে পারি না। যাইহোক, মা কিন্তু এখনো দরজা খুলেনি!”

শেহরিম হেসে বলে,
–“মাকে একা ছেড়ে দাও। মা তিশুতির বোনের কথা শুনে আমাদের সাথে যায়-ও নি!”

শাহেদ ভাইয়ের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে বললো,
–“এবারও কোনো ভুল সিদ্ধান্ত হচ্ছে না তো?”

–“মানুষ যে সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত-ই নেয় সেটা কিন্তু নয় ভাইয়া। এবার আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মা নয়!”

শাহেদ তপ্তশ্বাস ফেলে বললো,”তোর যা ইচ্ছে!”

বলেই শাহেদ রুম প্রস্থান করলো। শাহেদ চলে গেলে ধপ করে শুয়ে পরলো শেহরিম। শূণ্য নজরে চেয়ে রয় সিলিংয়ের দিকে। তাঁর জীবনটা বড়ো-ই অদ্ভুত হয়ে গিয়েছে। তিক্ততায় ভর্তি হৃদঙ্গম।

————————
সকাল হতেই আনোশী রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলো। যা কেউ-ই টের পেলো না। তাশুতি ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম বোনের রুমে চলে আসলো। এসে আনোশীর রুম শূণ্য পেয়ে কিছুটা হতাশ হলো। মুখ ভার করে মেয়ের জন্যে দুধ গরম করতে রান্নাঘরে গেলো। রান্নাঘরে যেতেই দেখলো মামী নাস্তা বানাচ্ছে। তাশুতি মামীকে দেখেই প্রশ্ন ছুঁড়লো,
–“আনোশী কখন বেরিয়েছে?”

মামী রুটি বেলতে বেলতে ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
–“ঘন্টাখানেক আগে হয়তো!”

–“এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে কোথায় গেলো? ওর ক্লাস তো দশটার দিকে শুরু হবে!”

মামী পুণরায় ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
–“সেটা আমি কী করে বলবো? তোর বোন আমাকে কিছু বলে যাওয়ার প্রয়োজনবোধ করেছে?”

তিশুতি ফোস করে নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
–“তোমরা ঠিক করছো না আনোশীর সাথে। শেহরিম ভালো না, কেন আনোশীর জীবনটা ছাড়খাড় করতে উঠে পরে লেগেছো?”

মামী রুটি বেলা বন্ধ করে তিশুতির দিকে তাকালো। শীতল কন্ঠে বললো,
–“তুই প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কী কী করেছিস সেটা আমি আর তোর মামা দুজনেই জানি। তোর কথা আনোশী বিশ্বাস করলেও আমরা করিনি। তোর শ্বাশুড়ী আমাদের আগেই সব বলে দিয়েছিলো। তাই এসব গল্প ছেড়ে নিজের বর্তমান সংসারে ধ্যান দে। না জানি এবারও আগের মতো আমাদের মুখ ভোঁতা করবি কী না!”

বলেই আবার রুটি বেলায় ব্যস্ত হয়ে পরে মামী। তাশুতির ঠান্ডা মেজাজ হঠাৎ-ই গরম হয়ে গেলো! তাশুতি রাগে গিজগিজ করতে করতে বললো,
–“মানুষ যা বলবে তাই বিশ্বাস করবে? মেয়ের কথায় ভরসা নেই? আনোশীকে তো সহ্য-ই করতে পারো না। এজন্য-ই তো এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছো! কবে ঘাড় থেকে বোঝা নামাবে সেই চিন্তা করছো। তুমি কী মনে করো, আমি কিছুই বুঝি না?”

মামী পুণরায় রুটি বেলা বন্ধ করলো। ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলছে সে। অনেক কষ্টে ভেতরের রাগ ভেতরেই দমিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু তাশুতির কথা দ্বারা সেই রাগ ভেতরে সীমাবদ্ধ রইলো না। উপচে বাহিরে বেরিয়ে আসলো। মামী তড়িৎ বসা থেকে উঠে বসলো। চোখ রাঙিয়ে কর্কশ কন্ঠে বলতে লাগলো,

–“খবরদার আমার নামে আজেবাজে কথা বলবি তো! বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে একবারও খবর নিছিস, বোন কী করে, কেমন আছে? বোন ম*ছে নাকি জীবিত আছে? খবর নেসনি তাহলে হঠাৎ এত দরদ উতলাচ্ছে কেন তোর? আনোশীকে কতটা প্রায়োরিটি দিছিস তুই?”

–“আনোশী আমার বোন মামী! ওর প্রায়োরিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি!”

মামী তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে, “নামের বোন!”

রান্নাঘর থেকে এত তর্কাতর্কি-র শব্দ শুনে মামা রুম থেকে বেরিয়ে এলো। রান্নাঘরে এসে দেখলো মামী, ভাগনি তর্ক করতে ব্যস্ত। মামা কঠিন গলায় দু’জনকে থামালো। চাপা কন্ঠে শাসালো,
–“পাগল হয়ে গেছ তোমরা? বোধ-বুদ্ধি কী লোপ পেয়েছে? বাসায় জামাই আছে। সে এসব শুনলে কী ভাববে?”

মামী ভ্রু কুচকে রেগে চাপা স্বরে বললো,
–“সেটা আপনার এই আদরের ভাগনিকে বোঝান। এনার সমস্যাটা কোথায় সেটাই তো বুঝতে পারছি না!”

তিশুতি রেগে কিছু বলতে নিবে তাঁর আগেই মামা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
–“ব্যাস। অনেক হয়েছে! যে যা কাজ করছো তাতে ধ্যান দাও। খবরদার যদি আর কোনো চেঁচামেচি শুনেছি তো!”

———————–
গন্তব্যহীন আনোশী অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছে। ব্যস্ত শহরের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ তাদের কর্মস্থলের দিকে ছুটছে, কেউ কেউ স্কুল কলেজের উদ্দেশ্যে। আনোশী রিকশায় না উঠে হাঁটতে লাগলো। গতকাল দুপুর থেকে পেটে কিছু পরেনি তাঁর। মাথা কেমন ঝিমঝিম করছে। অল্প হেঁটেই কেমন ক্লান্তি অনুভব হচ্ছে। আনোশী টঙ থেকে দুটো বনরুটি এবং এক বোতল পানি নিয়ে কাছে-পিঠের এক খোলামেলা জায়গায় চলে গেলো। সেখানে এক গাছের ছায়াতলের এক বেঞ্চিতে বসে নীরবে খেতে শুরু করলো সে।

সৌভাগ্যবশত সেই খোলামেলা জায়গাটায় শেহরিম হাঁটা-হাঁটি করতে এসেছিলো। আজ ভোরে উঠতে পারেনি যার জন্যে সকাল সকাল জগিং করতে পারেনি সে। একটু দেরী হলেও সে ঠিক-ই এসেছে৷ অল্প সময়ের জন্যে হলেও। কারণ এই সুন্দর এবং খোলামেলা পরিবেশ তাঁর হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে শান্ত এবং সতেজ করে। এর সংস্পর্শে আসলে শেহরিমের খুব ফুরফুরে অনুভব হয়।

হাঁটতে হাঁটতে আনোশীকে নজরে পরতেই কিছুটা চমকে গেলো সে। শেহরিম যতদূর জানে আনোশী এক বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তাঁর তো এখন স্কুলে থাকার কথা, সে কেন এখন এই জায়গায়? যদিও শেহরিম স্কুলের নির্ধারিত সময় জানে না। শেহরিম ভাবনা বাদ দিয়ে এগিয়ে গেলো আনোশীর দিকে।

আনোশী একটি বনরুটি খাওয়া শেষ করে অপরটা মুখে তোলার পূর্বেই শেহরিমকে নজরে পরলো। চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো তাঁর। আনোশী অন্যদিকে ফিরে বসলো। শেহরিম সর্বপ্রথম আনোশীর হাতের দিকে তাকালো। কিন্তু সেখানে কোনো রিং পেলো না। শেহরিম ব্যথিত গলায় শুধায়,

–“তোমার রিং টা কোথায়?”
–“জানি না।” কাঠকাঠ গলায় বললো আনোশী। অতঃপর খাওয়ায় মনোযোগ দিলো।

শেহরিম ফিচেল হাসি দিয়ে বলে,
–“তোমাকে কখনোই আমি বোঝাতে যাবো না। তোমার অনুমতি ছাড়াও আমি বিয়ের ডেট ফিক্স করতে ফুপি এবং ভাবীকে পাঠাবো না। নিশ্চিন্তে থাকো!”

আনোশী কী মনে করে হাতের অবশিষ্ট রুটিটা নিয়ে উঠে দাঁড়ালো। শেহরিমের দিকে না তাকিয়েই রুটিটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে পানির বোতলটা হাতে নিলো। অতঃপর শেহরিমের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শেহরিমের চোখে চোখ রেখে শক্ত গলায় বললো,

–“আমি কখনোই খাবার অপচয় করিনি, কিন্তু আজ অপচয় করতে বাধ্য হয়েছি। তো বুঝে নিন, আপনি আমার কাছে ঠিক কতটা বিষাদ এবং তিক্ত লাগেন। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বলে আমার ভেতরকার ক্রোধ বহিঃপ্রকাশ করার চেষ্টা করবেন না।”

বলেই হনহন করে চলে গেলো আনোশী। শেহরিম আনোশীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে আলতো হেসে বললো,
–“তুমি আমার অবাস্তব ভালোবাসা আনোশী। জীবনে প্রথম কোনো মেয়ে আমার হৃদয় জুড়ে বিচরণ করছে। তাকে কী করে হারিয়ে ফেলি? আমি তো কোনো ভুল করিনি, ভুল না করেও এত বড়ো শা!স্তি আমার প্রাপ্য নয়। তুমি থাকবে, আমার অনুভূতি তোমায় কাড়বে।”

——————-
শেহরিম বাসায় ফিরতেই দেখলো তাঁর মা রুম থেকে বেরিয়েছে। মাকে দেখে মুচকি হেসে মায়ের দিকে এগিয়ে গেলো। শেহরিমের মা মুখ গোমড়া করে খাবার টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে। শেহরিমের ভাবী রান্নাঘরে আছে। শেহরিম মায়ের এক হাত ধরে টেনে আলতো স্বরে বললো,

–“আজ তোমার হবু বউমার সাথে দেখা হয়েছে মা!”

আচমকা শেহরিমের মা হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠলেন। শেহরিম প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেলেও পরমুহূর্তে মাকে নিজের সাথে আগলে বললো,
–“এ কী মা! কাঁদছো কেন? এদিকে তাকাও, কী হয়েছে!”

শেহরিমের মা চোখে অশ্রু নিয়েই ভাঙা গলায় বললো,
–“একবার তোর জীবন আমি নষ্ট করেছি, এখন আবার কেন তুই সেই বাড়ীতেই গেলি শেহরিম? কতো অশান্তির পর আমার সংসারে শান্তি ফিরে পেয়েছি, এখন আবার..?”

শেহরিম বললো,
–“নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করো মা। যা হওয়ার ছিলো হয়েছে, এখন বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করো।”

–“সেগুলো চিন্তা করছি বলেই তো আপত্তি জানাচ্ছি। আমি চাই না আবার তালাক হোক, তালাক খুব খা*প জিনিস বাবা।”

–“চিন্তা করো না। এবার কিচ্ছু হবে না। মনোবল শক্ত রাখো। আমার লক্ষী আম্মু, কাঁদে না!”

দুই মা-ছেলের কথোপকথনের মাঝে শেহরিমের ভাবী রাইমা চলে আসে। রাইমাকে দেখে শেহরিমের মা সন্তপর্ণে আঁচল দিয়ে চোখের জলটুকু মুছে নেয়। শেহরিম রাইমাকে বললো,
–“আজ তাহানকে আমি স্কুল দিয়ে আসবো ভাবী। ও কী রেডি?”

–“হ্যাঁ। একটু আগেই ডেকে এসেছি। তুমি বরং ফ্রেশ হয়ে আসো।”

শেহরিম মাথা নাড়িয়ে উপরে চলে গেলো। খাওয়া-দাওয়া সেরে তাহানকে নিয়ে শেহরিম বেরিয়ে পরলো। তাহান হচ্ছে শাহেদের ছেলে। নার্সারিতে পড়ছে। এ বছর-ই ভর্তি হলো। পাঁচ বছর বয়সেই ডিরেক্ট নার্সারিতে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে শাহেদ। তাহানের মেধা ভালো। কিছু শুনলে খুব কম সময়েই মুখস্থ করতে পারে। এজন্যে শাহেদ দেরী করেনি।

শেহরিম বাইক চালাচ্ছে আর তাঁর সামনে বসেছে তাহান। তাহান রাস্তার দিকে চেয়ে আধো আধো বুলিতে বললো,
–“চাচ্চু। জানো আমার ক্লাসের ইশুকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে৷ কিন্তু আমার সাথে কথাই বলে না!”

শেহরিম হাসলো। হেসে মিনমিন করে বললো,
–“চাচ্চুর মতোই কপাল হয়েছে তোর।”

–“কিছু বলেছো চাচ্চু?”

–“না চাচ্চু। মেয়েটা ভালো না, তাই ভালো ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে না।”

–“কিন্তু আমার তো ইশুকে ভালো লাগে।”
–“ভালো করে পড়াশোনা করলে তোমার সাথে কথা বলবে চাচ্চু!”
–“সত্যি?”
–“হ্যাঁ।”
–“তাহলে আমি আরও পড়াশোনা করবো।”
–“না, শুধু পড়াশোনা নয়। ভালোভাবে খেলাধুলাও করতে হবে!”
–“ঠিকাছে চাচ্চু।”

দুজন নানান কথা বলতে বলতে স্কুলে পৌঁছে গেলো। শেহরিম তাহানকে বাইক থেকে নামিয়ে দিয়ে ভেতরে চলে গেলো। এক টিচারের হাতে তুলে দেওয়ার আগেই আড়চোখে আনোশীকে খুঁজলো। আনোশী এই স্কুলেই শিক্ষকতা করছে। শেহরিমের অবশ্য বেশি খোঁজা লাগলো না। ওইতো দূরে স্টুডেন্টদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। শেহরিম মুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলো। আনোশীর হাস্যোজ্জ্বল মুখটা নজর বন্দি করে তাহানকে বিদায় জানিয়ে শেহরিম বাইক নিয়ে হসপিটালে চলে গেলো।

~[ক্রমশ]

———————

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here