#অন্তিম_পর্ব
হনহনিয়ে চলে গেল শুভদ। মূর্তির ন্যায় নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকল পর্ণা। অসংখ্য চোখ ওকেই দেখছে। চোখের জলে ভাসছে পর্ণা। মুহূর্তে যেন ওর সমস্ত খুশি উবে গেল। লজ্জা-অপমানে কলেজ ছাড়ল ও।
নাচে মশগুল ছিল মাম্পিও।আশেপাশে কোথাও পর্ণাকে দেখতে না পেয়ে টনক নড়লো ওর। সাথেসাথেই ফোন করল । সশব্দে বেজে উঠলো পর্ণার ফোন।বাম হাত থেকে ফোনটা সামনে আনল পর্ণা। স্ক্রিনে মাম্পির নাম দেখে তুলতে ইচ্ছে করল না। বেজে বেজে কেটে গেল। তারপরে শুভদের মিসডকল নজরে এল পর্ণার।
ফোন করেছিল শুভদ! গানের আওয়াজ ও কোলাহলে যে ও শুনতেই পাইনি। কেন যে ও ফোনটাকে ভাইব্রেশন মোডে রাখে নি। আক্ষেপ করে পর্ণা।
আবারো মাম্পির নম্বর ফুটে উঠে।রেড বাটনের দ্বারা মাম্পির ফোন কেটে তড়িঘড়ি
শুভদের নাম্বার ডায়াল করে ও। যান্ত্রিক স্বর সুইচ অফ জানায়।
অসংখ্য দৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে গেটের দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল প্রথম বর্ষের সংস্কৃত বিভাগের সুন্দরী কাঙ্খিত ছাত্রী পর্ণশ্রী সেন।
-এই বারের মত ক্ষমা করে দে। প্লিজ আমাই ছেড়ে যাস না।আমি মরে যাব যে..
-কিচ্ছু হবেনা তোর। ঠিক সামলে নিবি।
-প্লিজ শুভদ এমন করিস না। তোকে ছাড়া আমি সত্যিই মরে যাব।
পর্ণার কাতর মিনতিতে মন গলছে না শুভদের।
কাঁদতে কাঁদতে দম আটকে যাচ্ছে পর্ণার ।এই বুঝি মরে যাবে ও।
শুভদ যদি সত্যিই ওর সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে ও বাঁচবে কি করে!
-প্লিজ সোনা ওমনি করিস না। আমি তোকে ভালোবাসি,খুব ভালোবাসি। তুই যা বলবি তাই হবে। তোর পারমিশন ছাড়া কোথাও যাব না রে।এবারের মত মেনে নে সোনা..
ঐ প্রান্ত থেকে কোন উত্তর আসে না।
-এই সোনা প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দে..নাক টেনে টেনে বলল পর্ণা।
-যা মুখে চোখে জল নিয়ে আয়,জল খা..
শান্ত ভাবে বলল শুভদ।
-না, যাব না আগে তুই বল আমাকে ছেড়ে যাবে নাতো?
-যেটা বললাম সেটা আগে কর।
-না আগে বল!
নাছোড়বান্দা পর্ণাও।
-সব ঠিক আছে..অনেক রাত হল। কাল কথা হবে,এবার ঘুমতে যা..
শুভদের গলার স্বর তখনো গম্ভীর। ফোনের লাইন কেটে দিল ও।
বিছানায় উঠে বসল ও।
“শুভদ আমি তোকে এতটা ভালোবাসি বলেই তুই কষ্ট দিতে পারিস। যে আমি থাকব না সেদিন ভালোবাসার মূল্য বুঝতে পারবি”
চোখের জল শুকিয়ে ততক্ষণে সাদা বর্ণ ধারণ করেছে।
এরপরেও কেটেছে বেশ কিছু মাস। শত ঝামেলা মধ্যেও বিচ্ছেদ হয়নি পর্ণা -শুভদের মধ্যে। তারপরে এল শুভদের জীবনে এক বিশেষ দিন। বছরে একবার আসা এই দিনটাকে নিয়ে উৎসাহী থাকে ও। আজ যে ওর পর্ণার জন্মদিন। এবারের সারপ্রাইজটা ছিল পর্ণার আছে কল্পনারঅতীত। রাত বারোটায় পৌঁছে গিয়েছিল পর্ণার বাড়ির জানলায়। রাতে মানে ঐ সন্ধ্যার দিকে খেতে যাওয়ার প্রোগ্রাম আছে ওদের।
দাদার গাড়ির করে নিজ স্বপ্ন সুন্দরীকে চাপিয়ে এনেছে শুভদ। মনে মনে পণ করেছে যত শীঘ্র সম্ভব নিজের বাইক কিনবে।
কালোর শাড়ির দ্বারা নিজেকে আবৃত করেছে পর্ণা। আজকেও ওকে সেই একই লাগছে..পর্নার মা মোটামুটি ওদের সম্পর্ক আঁচ করতে পেরেছে, তাই বাড়ি থেকে সন্ধ্যেবেলা আসতে বিশেষ কোনো সমস্যা হয়নি। শুধুমাত্র তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার নির্দেশ পেয়েছে পর্ণা।
রেস্তোরাঁয় এসেও কেমন একটা উশখুশ করছে শুভদ।
-এনি প্রবলেম শুভদ!?
নিজেদের সেলফি নিচ্ছিল পর্ণা। শুভদের মুখাবয়বের অস্থিরতায় ও অবাক হল।
-না কিছু নয়..
-কম দিন তো তোমাকে চিনি না! কিছু একটা ব্যপার আছে। শুভদ ঘোষ পেটের মধ্যে আটকে রেখো না। বলে ফেল..
হাসতে হাসতে বলল পর্ণা। প্রকট হল ওর দুই গজদন্ত।অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল শুভদ।
-কি রে বল?
-আজ তোর ফেসবুকে অনেকে উইশ করেছে। নিলয়ও করেছে দেখলাম।
-হ্যাঁ রে আমিও দেখলাম।বলতে পারিস কিছুটা অবাক হলাম..
-তুই তো থ্যাংক ইউ বলেছিস। তারপরে কেমন আছো ও জিজ্ঞাসা করেছে,তুইও রিপ্লাই দিয়েছিস।
-হ্যাঁ অনেকদিন পর কথা হল তো তাই..
-তোর রিপ্লাই দেওয়ার কি প্রয়োজন!
বিস্ফোরিত নয়নে শুভদের অভিমুখে তাকাল পর্ণশ্রী সেন।
-বলতে কি চাইছিস?
-ও কি আবার তোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাইছে?
-কেন সুমি তো আছে ওর লাইফে..
-সেতো লোকদেখানো, তলে তলে মানে মনে মনে অন্য কিছু থাকতেই পারে। তোর নম্বর ওর কাছে আছে না?ফোন করেনি কখনো?
শুভদের কন্ঠে অবিশ্বাস স্পষ্ট।
-তুই কি মিন করতে চাইছিস আমার সাথে ওর যোগাযোগ আছে?তোকে আমি ঠকাচ্ছি??
-না সেটা না..
আমতা আমতা করল শুভদ।
-তুই এটাই বলতে চাইছিস।
টেবিল চাপড়ে গলা উঁচিয়ে বলল পর্ণা।
-পর্ণা!
-হ্যাঁ বল না কি বলবি। নতুন করে কি বলার আছে তোর। এবার বুঝলাম তোর মুড অফ এর কারণ। এত সন্দেহ!? এইভাবে বাঁচা যায় না শুভদ। এই দুই বছরে তোর কাছে ভালোবাসার চেয়ে কষ্ট বেশি পেয়েছি।রোজ কষ্ট দিয়ে কাঁদিয়েছিস তুই।এই করিস না ওই করিস না, এখানে যাবি না ওখানে যাবি না,এটা পরবি না ওটা পরবি না…তোর হুকুম মানতে মানতে পাগল হয়ে গেছি।পান থেকে চুন খসলেই সম্পর্ক শেষ করার ভয় দেখাস। তুই আজকেও অশান্তি করতিস,আমি নিশ্চিত তুই আজকেও অশান্তি করতিস। নেহাত আমার বার্থডে বলে শান্ত ভাবে বললি।না, হলে এতক্ষণ তোর হাত চলত।আমাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিতিস আর আমাকে তোর পায়ে পড়তে হতো..যেমন প্রতিবার হয়। দম বন্ধ হয়ে এসেছে আমার, আমি মুক্তি চাই শুভদ..
-পর্ণা কি ভুলভাল বকছিস তুই?
-হ্যাঁ আমি যা বলছি খুব ভেবেচিন্তে ঠান্ডা মাথায় বলছি। আর আমার সহ্য হচ্ছে না। আমি বাঁচতে চাই শুভদ।তোর ভালোবাসা এখন আমার কাছে অত্যাচারের সমান। আর বেশি দিন এই সম্পর্ক থাকলে আমি আমাকে সুসাইড করতে হবে। প্রতিবারই তুই সম্পর্ক শেষ করার ভয় দেখাস।আজ আমি বলছি আজকে থেকে আমাদের আর কোন সম্পর্ক রইল না।তুই ভাবিস না দুদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।হবেনা শুভদ কারণ আমি আর তোকে চাই না।আমি ভালোবাসি, তোকেই ভালোবাসি।তাই প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও পরে ঠিক মানিয়ে নেব।তোর ক্ষেত্রেও তাই হবে। এই বিচ্ছেদটা পরে অভ্যাসে পরিণত হবে।ভালো থাকিস শুভদ..আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করব।তুই যে ভালোবাসার নামে আমার গলা চেপে ধরেছিস,শ্বাস নেব কি করে?
-পর্ণা কি সব বলছিস।তোকে ছাড়া আমি কি করে থাকব?
আর্তনাদ করে উঠলো শুভদ।
-কেন প্রতিদিনই তো তুই সম্পর্ক ভাঙার হুমকি দিস। বাদ দে ঐ সব কথা। আমি চল্লাম..
-পর্ণা!
ওর হাত চেপে ধরল শুভদ..
-ছাড় আমাকে নাহলে চিৎকার করব।
গায়ের জোরে শুভদের মুষ্ঠি থেকে নিজের হাত ছাড়ালো পর্ণা। নিজের সেলফোন থেকে সিম কার্ড খুলে পায়ের দ্ধারা চেপে দিল ও..
-ব্যাস তোর আমার যোগাযোগের মাধ্যম শেষ হল। প্লিজ যদি আমাকে সামান্য ভালোবেসে থাকিস তো আমাকে মুক্তি দিবি।
অনেকক্ষণ আটকে রাখা চোখের জলে বাঁধ বাধল পর্ণা।
ছুট্টে বাইরে চলে গেল ও।
হোটেল বয়ের হাতে শোভা পাচ্ছে ওদের অর্ডার করা প্লেটগুলো। ভ্যবাচ্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ও।
পর্ণার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকল শুভদ। কখন যে চোখের জল ওর গাল ভাসিয়েছে বুঝতে পারেনি ঘোষভবনের ছোট তরফের কনিষ্ঠ পুত্র শুভদ ঘোষ। চোখের সম্মুখে সম্পূর্ণ অন্ধকার,সেই ঘন তমশাছন্ন পরিবেশে তলিয়ে গেল ও।
পারল,ওর পর্ণা ওকে ছেড়ে যেতে পারল!!
দশ বছর পর:
আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে পর্ণা। ওর একবছরের মেয়ে বাবার গায়ে পা দিয়ে শুয়ে আছে।
বাপ সোহাগী মেয়ে। মুখাবয়বের অধিকাংশ সাদৃশ্য ওর স্বামীর সাথে।
এলার্ম বেজে উঠলো ওর..ঘুম চোখে ওয়াশরুমে গেল ।ওখান থেকে বেরিয়ে দাঁত মাজতে উদ্যত হল ও। বারংবার বারো বছর আগের স্মৃতি ওর চোখের সামনে নাচানাচি করছে,সেইসঙ্গে থমকে থমকে যাচ্ছে ওর হাতের কাজ। হ্যাঁ বারো বছর আগে ডিমকি লেকে গেছে ও,আজ আবার যাচ্ছে..
-কি গো চুপ করে বসে আছো কেন? বাবানের সব জিনিস গুছানো হল?
স্বামীর কথায় বাস্তবে ফেরে ও।
-হ্যাঁ হ্যাঁ সব গোছালাম। মা-বাবার হল নাকি দেখো তো!
-হ্যাঁ যাই..তুমি রেডি হয়ে যাও..
বেলা নয়টায় ডিমকি লেকে পৌঁছালো ওরা। শ্বশুরবাড়ির ফুল ফ্যামিলি পিকনিকে এসেছে ওখানে। মেয়েকে শ্বশুরের কোলে রেখে লেকের ধারে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল পর্ণা। বারো বছরে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেক পরিবর্তন হলেও লেকের সৌন্দর্য একই আছে।
এমনকি লেকের পাশে সেই সিমেন্টের চেয়ারটাও আছে।
ওখানে গিয়ে বসল পর্ণা। সবে শীতকালের সূচনাকাল। লোকের ভীড় সেইভাবে নেই। গা এলিয়ে বসে একদৃষ্টিতে শান্ত জলের দিকে তাকিয়ে আছে ও।
ঠিক পাশটাতে চেনা স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো ও।
-কি ভাবছেন মিসেস শুভদ ঘোষ!
***
বিল মিটিয়ে সেদিন ছুটে গিয়েছিল শুভদ। না ত্রিসীমানায় পর্ণার দেখা পায় নি। ছুটে গিয়েছিল ওদের ঘরেও।পর্ণার নির্দেশে সিকিউরিটি ঢুকতে দেয়নি ওকে। কোন ভাবেই পর্ণা ওর সিদ্ধান্ত বদলায় নি। কলেজ,টিউশন এমনকি সাময়িক কলেজ ছেড়েছিল পর্ণা। ততদিনে শুভদের ভালোবাসো কাছে ঘৃণাই পরিনত হয়েছিল।পর্ণাকে ভুলতে শুভদ ডুবেছিল মদ,গাঁজাতে..
শেষ অব্দি রিহ্যাবে গিয়ে নেশা মুক্তি ঘটে ওর।কানাঘুষোয় শুনতে পায় পর্ণার বিয়ে ঠিক হচ্ছে। এই আঘাতটা সহ্য হয় না। সটান পৌঁছে যায় পর্ণার বাবার কাছে। স্পষ্টত জানায় ও পর্ণা কে ভালোবাসে,আর পর্ণাকে বিয়ে করতে চায়। ওকে প্রতিস্ঠিত হতে মাত্র চারটে বছর সময় দিতে হবে। সেই সময় অকৃতকার্য হলে হার স্বীকার করবে ও। শুভদের আত্মবিশ্বাস প্রভাব ফেলে পর্ণার বাবার অন্তরে।রাজি হয়ে যায়। শর্ত একটাই পর্ণার সাথে যোগাযোগ রাখা যাবে না।
যেই শুভদ পর্ণার সাথে একদিন দেখা না করে থাকতে পারত না,সেই শুভদ চিরজীবনের মতো পর্ণাকে লাভ করার জন্য বছরের পর বছর বিরহ ব্যথা সহ্য করে। কঠিন পরিশ্রমে উত্তীর্ণ হয় ও। সরকারি উঁচু পদের চাকরিতে বহাল হয় । এ তো গেল পারিবারিক অনুমতি।কিন্তু সেই কন্যার হৃদয় আঘাত তখন পাথরে পরিণত হয়েছে। ঊনিশ বছরের শুভদ ও পঁচিশ বছরের শুভদের আকাশ পাতাল পার্থক্য। অক্লান্ত চেষ্টা করে শুভদ। প্রেমের ফুল ফোটে পর্ণার ঊষর মরুভূমিতে। শুভদ আবারো জিতে নেয় সেই কন্যার হৃদয়। পর্নার সম্মতি পেতেই বিয়ের সানাই বাজছে বিশেষ দেরি হয়না ঘোষ ভবনে।
দু’বছরের বৈবাহিক জীবন ওদের,ওদের কন্যার বয়েসও একবছর..
***
-পুরনো কথা। কেন তোর মনে পড়ছে না..
-সুযোগ পেলেই তুই তোকারি শুরু। এবার মেয়ে বড় হচ্ছে যে..
-যেটা জিজ্ঞাসা করলাম বল..
-কি হবে পর্ণা আগের খারাপ সময় গুলো মনে রেখে,এখন আমরা অনেক ভালো আছি।
-আজ প্রথম থেকে সবকিছু মনে পড়েছে শুভদ।এ বেঞ্চে বসে আমার নিলয়ের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল,আর তারপরেই তোর সঙ্গে বন্ধুত্ব..
-পর্ণা তুই কি আমাকে কম কষ্ট দিয়েছিলিস?কতবার ভেবেছিলাম জীবনটা শেষ করে দিই।পারিনি,মনে ক্ষীণ আশা ছিল তুই একদিন আসবি পারিনি এই কারণেই..
-এত কষ্ট পেয়ে তুই তো আজ খাঁটি সোনা।সন্দেহ,অতিরিক্ত অধিকার বোধ সম্পর্ককে শেষ করে রে..
-আজ বুঝি যাকে ভালোবাসি তাকে খোলা আকাশে উড়তে দিতে হয়।ভালোবাসা খাঁটি হলে সে তো ওর নীড়ে ফিরে আসবে। অতিরিক্ত কোন জিনিস ভালো না। সে ভালোবাসা বা অন্য কিছু..
-এটা বুঝতে অনেকটা সময় নিয়ে নিলি হাঁদারাম..
-আমি আজ মন থেকে উপলব্ধি করতে পারি।কত সম্পর্ক পরিণতি পায় না এই কারণে..
-জানিস তো শুভদ,আমাদের দুজনের ভালোবাসা বল বা টান বল সমান ছিল তাইতো কয়েক বছরের বিচ্ছেদেও আমাদের জীবনে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারিনি। এই ভালোবাসা কারণে আমাদের সম্পর্ক স্বীকৃতি পেয়েছে।
পিছন থেকে একটা গোলাপের করে পর্ণার সামনে ধরে শুভদ।
-মিসেস শুভদ ঘোষ ডু ইউ লাভ মি?
পর্ণা তো হেসেই গড়াগড়ি খাচ্ছে।
-শালা বাচ্চার জন্মের পর প্রোপজ কে করে?
-লোকে দেখছে,তাড়াতাড়ি উত্তর দে..
-ইয়েস ইয়েস..
শ্বশুরের কোল থেকে নেমে টলমল পায়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসছে শুর্ণা।
মুখে আদোআদো স্বরে বাআআ বাআআ উচ্চারণ করছে।
-এই যে বাপসোহাগী মহারানী আসছেন..
গোলাপটা পর্ণার হাতে ধরিয়ে ছুট্টে আত্মজা কোলে নিল শুভদ ঘোষ।
-শুর্ণা বাপ কা বেটি হবে। তাই না বেটা?
খুদেটা কি বুঝল কি জানি। হাঁ করে গাল ছুঁল শুভদের। নাল-ঝোলে সিক্ত হল এক আনন্দিত বাবার মুখাবয়ব।ততক্ষণে পর্ণা এসে দুহাতের দ্ধারা দুজনকে বন্দী করেছে।
সমাপ্ত: