একটা সাধারণ গল্প,পর্ব:৮

0
427

#একটা_সাধারণ_গল্প
#পর্ব_আট
#পর্ব_সাত
অপেক্ষার প্রহর এত দীর্ঘস্থায়ী কেন হয় কি জানি!
বিগত পাঁচ দিন পাঁচ বছরের মতনই কেটেছে শুভদের। আজ এসেছে সেই নির্ধারিত দিন।
কাল রাত থেকে তিনসেট ড্রেস বার করে রেখেছিল।
রেড শার্ট-ব্ল‍্যাক জিন্স, কচিকলাপাতা রঙের টি শার্ট সাথে খয়েরি চিনোস প‍্যান্ট। অন‍্যটা হল ঘন নীল পাঞ্জাবী ও সাদা চুড়ি পাজামা।
সকালে পছন্দের তিনটে ড্রেস আয়নায় সামনে ট্রায়াল দিল শুভদ। এই তিনটের মধ‍্যে একটাকে বেছে নেওয়া খুব দুষ্কর।
দরজায় টোকা পড়লো..
-কি রে সাত সকালে দরজা বন্ধ করে রেখেছিস কেন?
বাইরে দাদার আওয়াজ পেল ও।
আজ আর কোনো ভুল করেনি শুভদ, আগেভাগেই দরজায় ছিটকানি দিয়ে ড্রেস ট্রায়াল করছিল।
– কি বলছিস?
দরজা খুলে বলল শুভদ।
-ভাই এবারের পুজোয় তুই যে লাল শার্টটা কিনেছিলিস ওটা আজ পরতে দিবি?
গদগদ স্বর প্রভদের।
-ওমা এই তো এখানেই আছে। এমন করে বিছানায় পেতে রেখেছিস কেন, আজকের জন‍্য ট্রায়াল করছিলি?
তিনটে জামা বিছানায় বিছানো দেখে অনুমান করল প্রভদ।
-হুম! কোনটা পরবি ভাবছি।
-ভাই তুই আজ পাঞ্জাবীটা পর হেব্বি মানাবে। পুজো থেকে তো পাট ভাঙিস নি।
-বলছিস?
-হ‍্যাঁ রে, আমি বরঞ্চ লাল শার্টটা পরি।
-নিয়ে যা..
লাল জামাটা বগলদাবা করে চলে যাচ্ছিল প্রভদ।এত দ্রুত কার্যসিদ্ধি হবে ভাবেনি ও।
-ভাই!
-উম..
-মেয়েটা কে রে?
-শালা হারামি বেরো এখান থেকে।
ছুটে গেল শুভদ। ততক্ষণে প্রভদও পগারপার।মহিমের আসার অপেক্ষা না করে স্নান সেরে দশটার আগে চলে গেল শুভদ।

-শালা বোকাচো* এত মেয়ে দেখার তাড়া। আমার জন‍্য ওয়েট করতে পারলি না।
-মেয়ে না পর্ণা। আজকের দিনটা আমার জন‍্য খুব শুভ তাই আজ অন্তত গালমন্দ করিস না।
মুখ ফুলিয়ে রাখল মহিম।
-আমি মুভি দেখতে যাব না শুভ।শেষে তোরা আমে দুধে মিলে যাবি। আমি আঁটি হয়ে গড়গড়াবো।
-আরে ভাই তুই না গেলে হয়।তোকে যে যেতেই হবে। কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা। দশটা বাজতে চললো পর্ণা এখনো এল না যে! সেই সকালে হ‍্যাপি সরস্বতী পুজো উইশ করেছিল।সেই থেকে আর কোনো কথা হয়নি। আসবে তো?

ওদের কথোপকথনের মধ‍্যেই একটা সাদা চারচাকা থামল। সেখান থেকে নামল সেই রাজকন‍্যা..
মিলেছে মিলেছে! পর্ণা তো লাল শাড়িই পরেছে। ওর ভাবনার সাথে সাজ একেবারে মিলে গেছে।তবে মাথায় একটা বড় খোপা। তাতে সাদা ফুল গোঁজা। জুুঁই হবে অনুমান করল শুভদ। শরীরের পারফিউমের গন্ধটাকে ছাপিয়ে ফুলের সুগন্ধটা নাকে ঝাপটা মারছে। পর্ণার দিকে সরাসরি তাকালো শুভদ। চোখ-ঠোঁটকে সম্পূর্ণ সাজিয়েছে পর্ণা।
মাঝে সিঁথি করে টেনে খোপা বেঁধেছে ও। ঐ সিঁথিতে লাল রঙ দিলেই সাজ সর্বাঙ্গ সুন্দর হবে ।
-আরে বা! শুভদ তোকে যে আজ বেশ হ‍্যান্ডসম লাগছে।
শুভদ খেয়াল করল এতক্ষণ ও পর্ণাকে গিলছিল,মানে দেখছিল।
-থ‍্যাঙ্কু! তোকেও মারকাটারি লাগছে।
-মাম্পি এসেছে রে?
-হ‍্যাঁ ভিতরে আছে যা।
স্মিত হেসে প্রতিমার কাছে গেল পর্ণা।
-ব‍্যাস মিঞা বিবি রাজি তো এই কাজি কি করবে। ভাই আমি মুভি দেখতে যাব না।
-বাকি সবাইও তো যাবে।
-যাক! আমি যাব না। তার থেকে স্কুলে গেলে অনেক জ্যান্ত সরস্বতী দেখতে পাবো। কি জানি রমা আসবে কিনা!
-আসবে মহিম আসবে,তবে হাতটা আবদ্ধ থাকবে প্রেমিকের হাতেই।তার থেকে তুই আমাদের সাথে চল অনেক মজা হবে। আর আমরা কি গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড যে আমাদের সঙ্গে যাওয়া যাবে না?
-তুমি আর বোলো না শুভ। এদিকে তো ডুবে ডুবে জল খাচ্ছ। আজ তো বাঙালির ভ‍্যালেনটাইন, প্রোপোজটা আজ হয়ে যাক।
-আস্তে বল পর্ণা শুনতে পাবে..
-যত্ত ঢং তোদের..

অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ খেয়ে সাতজনের দল যখন রথীন স‍্যারের কোচিং থেকে বেরলো তখন প‍্রায় সাড়ে এগারোটা।
ওদের মধ‍্যে তিনজন ছেলে ও চারটে মেয়ে। তারমধ‍্যে একটা সিলমোহর প্রাপ্ত প্রেমিক-প্রেমিকা আছে।
মনে মনে হিসেব করল শুভদ।
পকেটে বারশো টাকা আছে। সাতশো টাকা নিজের জমানো আর বাকি পাঁচশ টাকা মায়ের কাছ থেকে আদায় করেছে শুভদ। পর্ণার কাছে কম পড়লে হবে কেন..
সাতজন সিনেমা দেখলে 1200 টাকা ওখানেই শেষ।মোদ্দা কথা পর্ণার সামনে কারুর কাছে টাকা চাইতেও পারবে না।
চোখ টিপে পাশে ডাকল মহিমকে।
নিজ পরিকল্পনাটা ভালো করে বুঝিয়ে বলল,
-ভাই দেখ আমার মানসন্মানের ব‍্যপার। তোকে আমি একদিন বিরিয়ানি খাওয়াবো। ম‍্যানেজ কর তুই..
-আচ্ছা! গম্ভীর মুখে বললো মহিম।

-জানিস তো সিনেমাটা খুব একটা হিট হয়নি শুনলাম। আমি ভাবছি আমরা যদি পার্কে সময় কাটায় কেমন হয়। তারপরে বেরিয়ে নাহয় খাব। এখন তো সবারই পেট ভর্তি।

বিশেষ উৎসাহ দেখালো ওদের দলের ক‍্যাপেলটা।
-হ‍্যাঁ হ‍্যাঁ তাই কর..
-পর্ণা তোর কি মত?
ঠিক পর্ণার পাশে এসে প্রশ্ন করল শুভদ।
দেখল চোখ-মুখ কেমন লাল দেখাচ্ছে।
-কি হয়েছে পর্ণা?
-শাড়ি পরে হাটছি তাই..
-বুঝেছি রে।
সরি কথাটা আগে মাথায় আসেনি।
পার্কে যেতে তোর কোনো সমস্যা নেই তো?
না জানায় পর্ণা।
-মহিম চল টোটো করি..

পার্কের পা দিয়েই ওরা দেখল প্রচন্ড ভীড়। শতকরা নব্বই ভাগ জোড়ায় এসেছে।
-বা* আমি কি মরতে এলাম এখানে!
-রাগ করেনা সোনা। আমরা বন্ধুরা খুব মজা করবো।
মহিমের পিঠে এক চাপড় দিল শুভদ।
মাম্পি দাঁড়িয়েছিল দোলনা গুলোর সামনে। আসন ফাঁকা হতেই ছুট্টে গেল ও। ওকে অনুসরণ করল পর্ণা।
দোলনায় দুলছে পর্ণা। এক দৃষ্টিতে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে শুভদ। ঠিক ওর স্বপ্ন সুন্দরী!

পোজ দিয়ে ফটো তোলা শুরু হল সকলের। পর্ণার অনেক মুহূর্ত শুভদ নিজস্ব মুঠোফোনে বন্দী রাখলো।
মহিম শুভদের ইশারায় ওদের দুজনের কিছু ফটো তুলে দিল।
একসময় শুভদ নিজেকে আবিষ্কার করল একাকি পর্ণার সাথে।
ওদের দলটা তিনভাগে বিভক্ত হয়েছে। ওরা একদিকে,মহিম মাম্পিরা একদিকে, লাভ বার্ডদের ত্রিসীমানায় দেখা যাচ্ছে না।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করল শুভদ।
-চল পর্ণা আমরা লেকের ঐদিকে দিয়ে ঘুরে আসি।
-ওদেরকে ডাকবো না?
-আমাদের পিছন পিছন ওরা আসবে।
সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকল ওরা।
-দেখ শুভদ আজ পার্কের একটা বেঞ্চ ফাঁকা নেই।
-আজ যে বাঙালির ভ‍্যালেনটাইন ম‍্যাডাম। কপোত-কোপতিরা তো আসবেই। একদিন আপনিও আসবেন আপনার প্রেমিকের সাথে।
পদ যুগল থমকে গেল পর্ণার।
-আমি আর প্রেম! হাসালি শুভদ..
ব‍্যাঙ্গাত্বক পর্ণার কন্ঠে।
-কেন মানুষের জীবনে কি দ্বিতীয় প্রেম কি হয় না! সবাই কি নিলয় হয়?
নাছোড়বান্দা কন্ঠে বলল শুভদ।
-আমার পক্ষে আর কাউকে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়..
-যখন দেখবি কেউ নিজের থেকেও তোকে বেশি ভালোবাসছে, ভবিষ্যতের স্বপ্ন সাজাচ্ছে তোকে নিয়ে,যার পৃথিবী তোকে ঘিরেই… তখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হবি।
পর্ণা কি বুঝল কি জানি। অপলক দৃষ্টিতে তাকালো শুভদের চোখে।
চোখ ছলছল করছে শুভদের। সেই চোখে নিজ প্রতিবিম্ব দেখল পর্ণা।
দেখামাত্র চোখ সরিয়ে নিল ও।
আবার এগতে থাকলে ওরা। হঠাৎ হোঁচট খেল পর্ণা। শাড়ির নিচে একটা ছোট কাঁটা আটকে গেল। ঝুঁকে কাঁটাটা ছাড়াতে উদ‍্যত হল পর্ণা। বেশ জবরদস্ত ভাবে আটকেছে শাড়িতে।
প্রথমে ইতস্তত করলেও শুভদ নিচু হয়ে কুলের কাঁটাটা ছাড়ালো।
কয়েকটা ছেলে পেরিয়ে যাচ্ছিল ঐ পথ দিয়ে।বয়েসে শুভদের থেকে অনেকটাই বড়।
-কি ভাই এখন থেকে কাজে লেগে পড়েছো?
-তোর দ্বারা হবে না।বলটাকে আমাদের কোর্টে পাস করতে পারিস..
পাঁচজনের মধ‍্যে দুজন টোন কাটলো।
বাকিরা বিশ্রীভাবে হেসে উঠলো।

কান গরম হল শুভদের।
উঠে দাঁড়ালো ও।
-বয়েসে ছোট হলেও আমি ধানিলঙ্কা। নিজের মাল নিজে সামলাতে জানি। বুঝতেই পারছি আজকে ঘোরার মতন কেউ জোটেনি। চিন্তা কোরো না, তোমাদের পঞ্চপান্ডবের জন‍্য একটি দ্রপদী খুঁজে দিতে পারি।
শুভদের কাছ থেকে এমন উত্তর আশা করেনি করে। রাগে রক্তবর্ণ ধারণ করল ওদের মুখ।
অপমানে রক্তিম আভা ছড়িয়ে ছিল পর্ণার মুখাবয়বেও।
ঝামেলা যাতে বৃদ্ধি না পাই সেইকারনে শুভদের হাত টানতে টানতে ইউট্রান নিল ও।
-চল মহিমরা ওদিকে আছে..
রাগে গরগর করছে শুভদ।
-ওরা পাঁচজন ছিল শুভদ।কি দরকার ছিল ওমন বলার?
-যখন শাড়ি সামলাতে পারিস না পরিসকেন? প্রয়োজনে চড়িদার পরতে হত। একদম শাড়ি পরিস না।কখনো পিছনের ফিতে বেরিয়ে যাচ্ছে,কখনো আঁচল খসছে..
-তুই এত রিয়াক্ট করছিস কেন?
অভিমানী স্বর পর্ণার।
-তলিয়ে ভাবলে নিশ্চয় বুঝতে পারবি।
গম্ভীর স্বর শুভদের।

ঐ একটা ঘটনা ছাড়া সারাদিন বেশ হৈ হুল্লোড় করে কাটিয়েছে ওরা দুজন।
সকলের কথা অগ্রাহ্য করে হোটেলের বিল পর্ণাই পেড করেছিল সেদিন।

সূর্য তখন পশ্চিমে হেলেছে,পাখিরাও বাসায় ফিরছে। শরীরে তখন শীত অনুভূত হচ্ছে। সময় হয়েছে সকলের বাড়ি ফেরার।
পর্ণাকেও ড্রাইভার নিতে আসছে।
-সরি!
-কিসের জন‍্য শুভদ?
-তখন ঐ ভাবে রিয়াক্ট করা উচিত হয়নি।
-আচ্ছা! ঐ ভাবে কখনো আমার সাথে কথা বলিস না।খুব কষ্ট হয় আমার।
-বলবো না..
শুভদ জানতে পারল না ঐ সপ্তদশী তরুণী গোপনে ওর ব্যবহারে কতটা সন্তুষ্ট হয়েছে। ওমন ভাবে আগলানো দেখে শুভদের মধ‍্যে আজ ঠিক বাবার ছায়া দেখেছে পর্ণা।

রাতে শুয়ে শুয়ে পর্ণার ফটোগুলো বার দশেক দেখল শুভদ। মোবাইল স্ক্রিনে ঠোঁট ছোঁয়ালো একবার।
“পর্ণশ্রী সেন তোমার চোখেও আমি আমার প্রতি দুর্বলতা দেখেছি। সেটাকে হাতিয়ার করে এগোতে হবে। এখন আমি নিশ্চিত তোমাকে আমি ভালোবাসি। সেইকারনে কোন নারীর উপর আকর্ষিত হচ্ছি না।তোমার শরীর-মন ঘিরেই আর্বতিত আমার এই ভালোবাসা। তোমার সাথেই বার্ধক্যের সূর্যাস্ত দেখতে চাই।তুমি শুধু আমার..শুধু আমার..”
দশ দিন পরেই 14 ফেব্রুয়ারি।মনে মনে পরিকল্পনা করতে শুরু করলো শুভদ।

“শুভদ তুই ভালো ছেলে। আমার কেয়ার করিস মা-বাবার মতনই। হয়ত আমাকে সত‍্যিই ভালোবাসিস। আমার পক্ষে এগোনোটা হবে না রে। যেই আঘাত আমি পেয়েছি তাতে নতুন করে কাউকে ভরসা করা সম্ভব নয়। ভালোবাসা তো নয়ই..
পূর্ব স্মৃতি যে খুব তিক্তকর”
পর্ণার গাল উপচিয়ে নোনাজল থুতনিতে গড়াচ্ছে তখন।

তেরো তারিখের এগারোটা বাইশ অব্দি হোয়াটস অ‍্যাপে শেষ কথা হল ওদের। বিছানায় শুয়েও ঘুম এল না শুভদের।

“কাল যদি পর্ণাকে প্রপোজ করি,আর ও সরাসরি না জানাই। মানসন্মান তো যাবেই সেই সঙ্গে বন্ধুত্বটাও..”
অনেক রাত অব্দি জেগে উপায় বের করল শুভদ।

“পর্ণা আমি তোকে ভালোবাসি। যেদিন রথীনস‍্যারের ব‍্যাচে প্রথম দেখি সেদিন থেকেই। প্রথমে ভাবতাম তোর সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়েছি। পরে বুঝলাম অন্তর থেকে টান অনুভব করি তোর প্রতি। আজ আমি আমার ভালোবাসার কথা তোকে জানালাম। আমি এটাও জানি আমার ভালোবাসা একতরফা, তবুও জানালাম। আজ না বললে হয়তো কখনো বলতেই পারতাম না। ভালো থাকিস তুই। আর জ্বালাবো না তোকে..
আর হ‍্যাঁ আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু অটুট থাকবে ”

রাত দুটোয় মেসেজটা সেন্ড করল শুভ। অপেক্ষা করল পর্ণার দেখার। এতরাতে কখনো যে পর্ণা অনলাইন হবে না সেটা জেনেও বারংবার ফোন চেক করছিল শুভদ। একসময় ঘুমিয়ে পড়ে ও..

ঘুম ভাঙতেই ফোনটাকে কাছে টানে শুভদ। ছয়টা কুড়ি।তখনো অন হয়নি পর্ণা।
মস্তিষ্কে একটা কথা স্মরণ হয় ওর। পর্ণার ফোনের সেটিংস-এ ডিলিট মেসেজ দেখা যায়। মুখে ক্রুর হাসি ফুটে ওঠে শুভদের। আর তর সইলো না।
ডিলিট করেদিল মেসেজটা।
সেই সঙ্গে ফোন অফ করলো ও।
বিশাল কিছু প্রাপ্তির জন্য ছোট ছোট ত‍্যাগ স্বীকার করতে হয়। দরজা খুলে ঘোষ ভিলার উপরে উঠলো শুভ।
-মা শোনো একটা কথা আছে..
চলবে:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here