উপসংহারে ভালোবাসা পর্ব ৪

0
727

#উপসংহারে_ভালোবাসা
#পর্ব_৪
#তিয়াশা_জেরিন

প্রিয়া আর ইপ্সিতা এবং তাদের আরো এক বান্ধবী রাইমা ঠিকানামতো পৌঁছে গেল।তবে ইপ্সিতা আর রাইমা খেয়াল করেছে আজ প্রিয়াকে কেমন অন্যমনস্ক লাগছে।তাদের কথা বলার সময়ও প্রিয়াকে অমনোযোগী লাগছিল।তাকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন সে কোনো গভীর চিন্তায় আছে।ইপ্সিতা অবশ্যত অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিল প্রিয়াকে কিন্তু প্রিয়া তাকে তেমন কিছু বলেনি।প্রিয়া ইপ্সিতা আর রাইমার সাথে থাকলেও তার মাথায় ঘুরছিল সকালের সেই চিন্তা।আজ তার কাছে তার মেহেরাব ভাইয়াকে একদম অচেনা লেগেছে।প্রিয়া মনে মনে ভাবছে,আর সে মেহেরাবের সামনে পড়বে না।নইলে খুব শীঘ্রই সে পাগল হয়ে যাবে আজ তার এক একটা কাজকর্মে কথায় মাথায় ঘুরে যাচ্ছিল আর একটু হলে তো মনে হয় মাথা ঘুরে পরেই যেতো।

প্রিয়া,ইপ্সিতা ভাড়া মিটিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলের দিকে যেতেই সামনের দালানের উপরের সাইনবোর্ডে চেনা নাম দেখতেই প্রিয়ার চক্ষু চোড়কগাছ।”রায়হান”এটা তো মেহেরাব ভাইয়ার ভালো নাম।পরে জায়গাটা ভালো করে দেখতেই তার গলা শুকিয়ে আসলো।যার কাছ থেকে পালাতে চাইছে সোজা তার অফিসে এসেই পড়লো।প্রিয়া অন্যমনস্ক থাকায় আসার সময় আর ভালো করে খেয়াল করতে পারেনি।এখন তার নিজের মাথায় নিজেরই বারি মারতে ইচ্ছে করছে।এখানে আর এক মূহুর্তও না ওই খাটাশটা যদি দেখে ভার্সিটি বাদ দিয়ে বান্ধবীদের সাথে ঘুরে বেরাচ্ছে তাহলে নির্ঘাত বাবাকে বলে দিবে শুধু কি বলবে,বানিয়ে বানিয়ে যে আরো কত কথা বলবে তার ঠিক নেই আর বাবাও নাচতে নাচতে তার কথা বিশ্বাস করে নিবে।মনে হয় যেন বাবার কাছে পৃথিবীর একমাত্র ভালো ছেলে সে।আগেও দুইবার বলেছে।তারপর আর কি,বাবা তো লেখাপড়াই বন্ধ করে দিচ্ছিল পরে অবশ্যত সেই বাবাকে শান্ত করেছিল।মানে প্রিয়া বোঝে না,প্রথমে যেচে ঝামেলা বাঁধাবে পরে আবার নিজেই ঝামেলা মিটাবে।প্রিয়া তার এই আচরণে মেহেরাবের একটা নামও দিয়েছিল ঝামেলার ভাই।প্রিয়া এরপর আর কিছু না ভেবে উল্টো হাঁটা ধরলো।ইপ্সিতা আর রাইমা কথা বলতে বলতে সামনে এগিয়ে যেতে যেতে দেখে তাদের পাশে প্রিয়া নেই।তারা প্রিয়াকে খুঁজতে থাকলে দেখে প্রিয়া নিজের মতো চলে যাচ্ছে।ইপ্সিতা আর রাইমা অবাক হয়ে যায় তার এমন আচরণে এই প্রিয়ার হয়ছেটা কি আজ।ইপ্সিতা দ্রুত যেয়ে প্রিয়ার হাত ধরে আটকায় আর বলে,

-“এই কি হয়ছে?কাউকে কিছু না বলে এভাবে চলে যাচ্ছিস কেন?”

ইপ্সিতার এমন কথায় প্রিয়া এবার একটু চিন্তায় পরে যায় কি বলবে এখন সে তাদের।মেহেরাব ভাইয়ার কথা ইপ্সিতা জানলেও রাইমা কিছু জানে না।আর সে ভেবেছে আজকের ঘটনা পরে কোনো এক সময় ইপ্সিতাকে বলবে।প্রিয়াকে চুপ থাকতে দেখে ইপ্সিতা প্রিয়াকে তাড়া দিয়ে বলে উঠে,

-“কি রে চল,দেরি হয়ে যাচ্ছে তো আবার নোটস নিতে যাওয়া লাগবে।”

এই বলে ইপ্সিতা প্রিয়াকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলে প্রিয়া তাকে আটকিয়ে দিয়ে বলে,

-“শোন না বলছিলাম তোরা যা,আমার একটা কাজ মনে পরে গেল হঠাৎ তোরা বেরিয়ে ফোন দিস।”

প্রিয়ার কথা শুনে রাইমা বলে উঠলো,

-“তোমার আবার এখন কি কাজ মনে পরলো।আচ্ছা তুমি চলো ইপ্সিতা তো মনে হয় এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াবে না।তারপর বেরিয়ে তোমার কাজটা সেরে আমরা সবাই আবার একসাথে চলে যাবো।”

ইপ্সিতা বললো,

-“হ্যা তাই ভালো হবে।চল আর তোর এখন কি কাজ,তুই না বললি তুই এ সময় ফ্রি থাকবি আর আমার পাস্তা”

প্রিয়ার এবার ইপ্সিতার উপর ভীষণ মেজাজ খারাপ হচ্ছে।তোর পাস্তা কি খেয়ে ফেলবো নাকি।ইপ্সিতা আর কিছু না বলে প্রিয়াকে নিয়ে অফিসের ভিতর ঢুকতে গেলে গার্ড আটকে দিলে পরে প্রিয়াকে দেখে আর কিছু না বলে তাদেরকে ভেতরে যেতে দেয়।প্রিয়া তো মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে মেহেরাব ভাইয়া যেন এ সময় অফিসে না থাকে।ইপ্সিতা হঠাৎ প্রিয়াকে বলে,

-“আচ্ছা গার্ড প্রথমে আমাদের আটকালেও পরে তোকে দেখে তোকে সালাম দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দিল।ব্যাপারটা কি রে,তুই কি এখানে আগেও এসেছিস নাকি তোকে চিনে।”

প্রিয়ার তো এখন বলা ছাড়া কিছু উপায়ও নেই।প্রিয়া কিছু বলতে যেয়ে হঠাৎ দেখে অফিসের গেট দিয়ে মেহেরাবের গাড়ি ঢুকছে।একেই মনে হয় বলে,যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।প্রিয়া অসহায় দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রইলো।মেহেরাবকে দেখে ইপ্সিতা বেশ অবাক হলো আর ভয়ও পেল প্রিয়াকে আবার এ নিয়ে বকা টকা না খেতে হয়।সে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-“প্রিয়া,মেহেরাব ভাইয়া এখানে?”

প্রিয়া এবার ইপ্সিতার দিকে তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে বললো,

-“তো,মেহেরাব ভাইয়ার অফিসে মেহেরাব ভাইয়া থাকবে না তো তুই থাকবি।”

ইপ্সিতা বিস্ময় নিয়ে বলে,

-“মানে,এটা মেহেরাব ভাইয়ার অফিস।”

প্রিয়া আর কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।কেননা এখন আর বলার বা কিছুই করার নেই যা কপালে আছে তাই হবে।মনে মনে আবার বাবার কাছে বকা খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকলো।তাদের কথা বলার মাঝেই মেহেরাব তাদের সামনে এসে দাঁড়ালো।

-“কি ব্যাপার তোমরা এখানে?”

এরপর প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,

-“তোমাদের আজ ভার্সিটি ছিল না ইপ্সিতা”

মেহেরাবের কথায় ইপ্সিতা একটা হাসি দিয়ে বলে,

-“জ্বি ভাইয়া ছি…ছিল।আসলে একটা দরকারে এসেছিলাম ভাইয়া।”

ইপ্সিতার কথায় মেহেরাব তাকে জিজ্ঞেস করে,

-“কি দরকার জানতে পারি?”

-“জ্বি ভাইয়া অবশ্যই।আমি রিশাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম ও এই অফিসেই চাকরি করে।”

ইপ্সিতার কথায় মেহেরাব একটু অবাক হয়ে তাকে বলে,

-‘রিশাদ,রিশাদ হোসেন।’

ইপ্সিতা তার কথার প্রতিত্তোরে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো,

-জ্বি

ইপ্সিতার উত্তর শুনে মেহেরাবের মুখটা কেমন থমথমে হয়ে গেল।সে বললো,

-“ওহ আচ্ছা।তার সাথে দেখা করতে আসছো।’

-“হুম।যাবো?”

ইপ্সিতার কথায় মেহেরাব হাসি দিয়ে বললো,

-“হ্যা,সিউর।”

এই বলে ইপ্সিতা আর রাইমা অফিসের ভেতর চলে গেল।প্রিয়া যেতে গেলে মেহেরাব সামনে এসে দাঁড়ায় আর বলে,

-“এই যে ম্যাডাম,আপনি কোথায় যাচ্ছেন?”

প্রিয়া মেহেরাবের কথার কোনো উত্তর না দিয়ে তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে মেহেরাব প্রিয়ার হাত ধরে আটকে দেয়।প্রিয়ার এবার ভীষণ রাগ উঠে যায় এমনিতেই সকাল থেকে তার ওই ব্যবহারে সে চরম বিরক্ত তার মধ্যে মেহেরাব আবার এসব শুরু করেছে।প্রিয়া কিছু বলার আগেই মেহেরাব প্রিয়ার হাত ছেড়ে তাকে বলে উঠে,

-“আগে যেমন আসতি তেমনি ভদ্র মেয়ের মতো আমার চেম্বারে চলে আয়।যদি না আসিস আমি বাধ্য হবো অভদ্রের মতো আচরণ করতে।এতে যে যা ভাবার ভাবুক I don’t care but আমার মনে হয় তুই কেয়ার করিস।”

মেহেরাব এটুকু বলেই সেখান থেকে চলে যায়।প্রিয়ার কোনো কথা শোনার প্রয়োজনই মনে করলো না।প্রিয়া ভাবনাই পরে গেল এখন তার কি করা উচিৎ যাওয়া উচিৎ না এখান থেকে চলে যাওয়া উচিৎ।কিছুক্ষণ ভেবে প্রিয়া ঠিক করলো এখনই অফিস থেকে বেরিয়ে যাবে।সে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালেই একজন পিয়ন এসে বললো,

-“ম্যাডাম স্যার আপনাকে ডেকেছেন।দ্রুত যেতে বলেছেন।”

ব্যস হয়ে গেল দ্বিতীয়বার ডেকে পাঠিয়েছে এবার না গেলে প্রিয়ার কপালে দু:খ আছে।প্রিয়া যেয়ে নক করে,

-“আসবো?”

-‘সবসময়”

মেহেরাবের উত্তর শুনে প্রিয়া অবাক হয়ে বলে,

-কি?

-“না কিছু না,আয়।”

প্রিয়া রুমে ঢুকতেই মেহেরাব বলে,

-“এত দেরি কেন হলো আসতে?”

প্রিয়া কিছু বললো না।মেহেরাব উঠে দাঁড়ালো।এগিয়ে আসলো সামনের দিকে মেহেরাবকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখে প্রিয়ার হার্ট কেমন জোরে জোরে বিট করতে থাকে।মেহেরাব প্রিয়ার সামনে এসে দাঁড়িয়ে প্রিয়াকে পলকহীন দেখতে থাকে।মেহেরাবের এমন তাকানোতে প্রিয়ার কেমন একটা অস্বস্তি ফিল হচ্ছে।মেহেরাব ভাইয়া তো আগেও প্রিয়ার দিকে তাকিয়েছে কই তখন তো এমনটা হয়নি তাহলে আজ কেন হচ্ছে।মেহেরাব হঠাৎ প্রিয়াকে বলে উঠে,

-“প্রিয়া আমি তোর ওই তিলটাতে একটু ছুঁয়ে দিলে কি তুই খুব রাগ করবি?”

মেহেরাবের এমন প্রশ্নে প্রিয়া তাজ্জব বনে গেল।সে আমতা আমতা করে বললো,

– মা..মানে?

মানে এটুকু বলেই মেহেরাব প্রিয়ার কোমড় ধরে তাকে কাছে টেনে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়।প্রিয়া যেন কথা বলার শক্তিই হারিয়ে ফেললো।তার হাত-পা ভীষণভাবে কাঁপতে লাগলো।একটা অজানা ভয় তাকে ঘিরে ধরলো।নি:শ্বাসের গতি বেড়ে যেতে লাগলো।এ কেমন অনুভূতির সাথে মেহেরাব তাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।মেহেরাব প্রিয়ার ওই তিলটাতে ছোট ছোট চুমু এঁকে দিতে থাকে।প্রিয়া কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে উঠে,

-মে..হেরাব ভা..

প্রিয়া আর কিছু বলতে পারছে না তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিবে সেটাও সে পারছে না।আর মেহেরাব সে তো এখন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছে।তার প্রাণপ্রিয়াতে মত্ত হয়ে গিয়েছে আর কোনো কিছুর খেয়াল কি থাকে তার।হঠাৎ প্রিয়ার ফোন বেজে উঠায় মেহেরাব কেমন একটা ছিটকে দূরে সরে গেল।মেহেরাব প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে প্রিয়া কেমন চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।মেহেরাবের এখন নিজের প্রতিই ভীষণ রাগ লাগছে।কেন সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।মেহেরাব টেবিলের উপর হাত দিয়ে জোরে বারি দিয়ে বললো,শীট।প্রিয়া চমকে তাকালো।ইদানীং প্রিয়াকে দেখলে কেমন নিষিদ্ধ চাওয়াগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।কখনো যদি ভুল করে ফেলে তাহলে শুধু প্রিয়ার কাছে কেন নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে যাবে সে।তার প্রিয়াকে সারাজীবনের মতো হারিয়ে ফেলবে সে।না,না খুব শীঘ্রই তার প্রাণপ্রিয়াকে নিজের করে নিবে।কোনো বাঁধা থাকবে না তাদের মধ্যে।প্রিয়াকে নিশ্চুপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেহেরাব বলে উঠে,

-“প্রিয়া তোর ফোন বাজছে।দেখ কে ফোন করেছে আর এখন তুই যেতে পারিস।সোজা আমাদের বাসায় চলে যাবি।”

প্রিয়া একপলক মেহেরাবের দিকে তাকিয়ে নিশ্চুপ বেরিয়ে গেল।প্রিয়ার এই নিরবতা মেহেরাবের ভেতরটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছিল।সে সকালের মতো তাকে বকতো,তাকে মারতো যা খুশি করতো।এমন চুপ কেন ছিল সে।সে জানে না তার নিরবতা আমার সহ্য হয় না।

প্রিয়া বাইরে বেরিয়ে ধপ করে একটা চেয়ারে বসে পড়লো।ফোন খুলে দেখে ইপ্সিতা ফোন করেছে কেন জানি না ফোনটা রিসিভ করতে ইচ্ছে হলো না।সে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকলো।হঠাৎ একজন বলে উঠলো,

-“প্রিয়া ম্যাডাম আপনার কি খারাপ লাগছে।স্যারকে ডাকবো।”

হঠাৎ কারো গলার আওয়াজ পেয়ে প্রিয়া সামনে তাকিয়ে দেখলো শাড়ি পরে খুব সুন্দর পরিপাটি একজন মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তার মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট সেটাও ওর জন্য।প্রিয়া হাসিমুখে তাকে বললো,

-“No,I’m ok.আমাকে একগ্লাস পানি দিবেন।”

মেয়েটি তাকে পানি এনে দিলে প্রিয়া পানিটা খেয়ে নেয়।শুধু পানিই না,নাস্তাও দিয়েছিল।প্রিয়া সৌজন্যতার খাতিরে একটা মিষ্টি খায়।মেয়েটি তাকে আরো কিছু খেতে বললেও প্রিয়া খায় না বেরিয়ে যায়।প্রিয়া সেখান থেকে ইপ্সিতা বা রাইমা কাউকে কিছু না বলে সোজা বাসায় চলে আসে।প্রিয়া কিভাবে পারলো মেহেরাবকে প্রশ্রয় দিতে।প্রিয়ার তো উচিৎ ছিল মেহেরাবকে সরিয়ে দেয়া,তাকে কড়াকিছু কথা শুনিয়ে দেয়া কিন্তু এর একটাও সে করতে পারলো না যেখানে প্রিয়া কোনো ছেলেকে তার পাশে ঘেষতে দেয় না।আর সেই প্রিয়াই আজ মেহেরাবের ছোঁয়ায় কেমন নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল।কিছু একটা ছিল ওই ছোঁয়াতে।প্রিয়া চেয়েও পারছিলো না উপেক্ষা করতে।প্রিয়া বাসায় এসে তার রুমে যেয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।প্রিয়ার খালামণি ইতোমধ্যে প্রিয়াকে অনেকবার ডেকে যায় খেতে যেতে বলে কিন্তু প্রিয়া না করে দেয় বলে যে সে এখন কিছু খাবে না তার খিধে নেই।মিসেস রুহি তাকে জিজ্ঞেস করলে প্রিয়া কিছু বলেনি।এরপর বেশ কিছুক্ষণ পর বিকালের দিকে মিসেস রুহি প্রিয়াকে আবার ডাকতে আসলে প্রিয়া এবারও না করে দেয়।মিসেস রুহির কাছে বিষয়টি ভালো ঠেকলো না প্রিয়া খাচ্ছে না,দরজা খুলছে না কিছু তো একটা হয়েছে।তাই মিসেস রুহি মেহেরাবের কাছে ফোন দিল আর সবটা বললো,

-“তুই তাড়াতাড়ি চলে আয় মেহেরাব,প্রিয়ার নিশ্চয় কোনো সমস্যা হয়েছে।”

মেহেরাব মনে মনে বললো,

-“সেই সমস্যাটা যে আমিই মা”

-“কি হলো কথা বলছিস না কেন?”

মেহেরাব তার মায়ের কথায় বলে,

-“জ্বি মা আমি এখুনি আসছি।”

এই বলে মেহেরাব ফোনটা কেটে দিল।এরপর মেহেরাব অফিস থেকে বেরিয়ে গেল।গাড়িটা রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রিয়ার জন্য তার ফেবারিট কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে নেয় এছাড়াও বাবা-মা আর তার জন্যও নিয়ে নেয় তারও এই বিরিয়ানি পছন্দ আর তিশপির জন্য তার পছন্দের ফ্রাইড রাইস নিয়ে নেয়।মেহেরাব রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোনোর সময় দেখলো…

চলবে…

[যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে তবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।জানি না গল্পটি আপনাদের আদৌ ভালো লাগছে কি না।আপনারা প্লিজ জানাবেন আমায় প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা।ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here