উপসংহারে ভালোবাসা পর্ব ৭

0
603

#উপসংহারে_ভালোবাসা
#পর্ব_৭
#তিয়াশা_জেরিন

সবাই কত আনন্দ করছে কিন্তু আমার চোখদুটো সে কখন থেকে একটা মানুষকেই খুঁজে চলছে।আর সে মেহেরাব ভাইয়া।সেদিনের রাতের পরের দিনই প্রিয়া তাদের বাসায় চলে গিয়েছিল তবে যাওয়ার আগে ভেবেছিল একবার মেহেরাবকে সরি বলবে কিন্তু মেহেরাব অনেক সকাল সকালই বাসা থেকে বেরিয়ে যায় পরে প্রিয়া প্রায় বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও যখন দেখলো না মেহেরাব আসছে না তখন প্রিয়া বেরিয়ে গিয়েছিল।এমনিতেও সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিল।প্রিয়া ভেবেছিল বাসায় যেয়ে মেহেরাবকে কল করেই সরি বলে নিবে।প্রিয়া তাই-ই করে কিন্তু মেহেরাব ফোন রিসিভ করছিল না প্রিয়া মনে মনে ভাবলো,হয়তো রাগ করে আছে বলে এখন ফোন রিসিভ করছে না থাক কয়দিন পরেই ফোন করবো।এখন ছোট্ট করে একটা ম্যাসেজ দিয়ে রাখি।

-“সরি মেহেরাব ভাইয়া।আমি ওভাবে কথাগুলো বলতে চায় নি আমার কেমন একটা ভয় করছিল ভয়ে আর আর রাগের মাথায় ওভাবে বলে ফেলেছি তুমি প্লিজ রাগ করো না।”

এরপর বেশকিছুদিন যাওয়ার পরও মেহেরাবের কাছ থেকে ম্যাসেজের কোনো রিপ্লাই আসে নি এমনকি সে ম্যাসেজটি সিন অবধি করে নি।আবার এতদিন এসেছে কোনো কলও করে নি তাকে।অথচ অন্যবার প্রিয়া যখন খালামণির বাসায় কয়দিন থেকে চলে আসতো তখন মেহেরাবের ফোনকল,ম্যাসেজের যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যেত যতদিন পর্যন্ত আবার না ঘুরতে যাবে ততদিন পর্যন্ত প্রিয়ার এমন খোঁজ নেয়া চলতেই থাকবে।ফজরে কল করে উঠানো,সকালে,দুপুরে ঠিকমতো খেয়েছি কিনা তার খোঁজ নেওয়া,আজ কতঘন্টা পড়লাম,কাল কি কি করবো,কতটুকু পড়া হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।মাঝে মাঝে প্রিয়ার মনে হতো মেহেরাবের কাছ থেকে ফোন নিয়ে সে চেক করবে আদৌও তার ফ্রেন্ডলিস্টে সে ছাড়া অন্য কেউ আছে নাকি।এমনকি প্রিয়া বিরক্ত হয়েও তাকে বলেছে,

-“এতবার ফোন করো কেন,মেহেরাব ভাইয়া”

মেহেরাবের ভাবলেশহীন উত্তর ছিল,

-“আমার ইচ্ছা হয় তাই করি।”

তার এমন উত্তর শুনে প্রিয়ার আর কিছুই বলার থাকতো না।সেই মেহেরাব আজ এতদিন হয়ে গেল একবারও ফোন করলো না।প্রিয়ার খারাপ লাগছিল কেন তার মেহেরাব ভাইয়া তাকে ফোন করছে না।তার কথা বলতে ইচ্ছে করছে না বুঝি তার যে ভীষণ কথা বলতে ইচ্ছে করছে মানুষটার সাথে।না হয় রাগের মাথায় দু একটা কথা তাকে বলেই ফেলেছে তাই বলে এত রাগ করতে হবে।

বর্তমান

প্রিয়া এদিক ওদিক তাকিয়ে মেহেরাবকে খুঁজার সময় হঠাৎ তিশপি আপু এসে প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলে,

-“কি রে প্রিয়া,কেমন আছিস তুই?আমার বিয়ে আর এত দেরিতে এলি তুই আরো আগে আসতে পারলি না।”

এভাবে হঠাৎ কেউ জড়িয়ে ধরাতে প্রিয়া খানিক চমকে যায় তারপর নিজেকে ধাতস্থ করে বলে,

-“এইতো তিশপি আপু আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুমি কেমন আছো?আর আগেই আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভার্সিটি,প্রাইভেটে পড়া থাকার কারণে আসা হয়ে উঠেনি।মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসও ছিল তাই আর বাদ দিলাম না।”

প্রিয়ার কথায় তিশপি মুচকি হেসে বলে,

-আচ্ছা।

প্রিয়া আবার তিশপিকে বলে,

-“আচ্ছা আপু মেহেরাব ভাইয়া কোথায় গো?দেখতে পাচ্ছি না।”

প্রিয়ার কথায় তিশপি এবার খুব মনোযোগ দিয়ে তাকে বলে,

-“ও,হ্যাঁ ভালো কথা।সেদিন রাতে তোর আর ভাইয়ার মধ্যে কি কোনো ঝামেলা হয়েছিল?সেদিন রাতের পর ভাইয়াও যেন কেমন একটা হয়ে গিয়েছি জানিস বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে থাকে না আর বাড়িতে যতটুকু সময়ই থাকে হয় দরজা বন্ধ করে থাকে নয়তো দেখি ল্যাপটপে কাজ করছে আমাদের কারো সাথেও খুব একটা কথা বলে না।আমি কথা বলতে গেলে বলতো,তিশপি আমি এখন কাজ করছি তোর কিছু বলার থাকলে পরে বলিস।খুব অভিমান হতো জানিস তাই আর কিছু বলতাম না।মা ও চিন্তায় আছে।হঠাৎ করে যে ভাইয়ার কি হলো কিছু বুঝতে পারছি না।আর কয়দিন পরেই তো চলে যাবো দেখ তবুও ভাইয়ার সাথে ভালোভাবে কথা বলতে পারছি না,তাকে জ্বালাতে পারছি না।আচ্ছা যাওয়ার আগেও কি ভাইয়া আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলবে না।”

সবটা শুনে প্রিয়ার মনের মধ্যে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে।সে তো জানে মেহেরাব কেন এমন করছে।মেহেরাব ভাইয়া সত্যি ভীষণ কষ্ট পেয়েছে কি দরকার ছিল অতীতের কথা টেনে আনার।সে তো জানে মেহেরাব কেমন প্রিয়ার এখন নিজের উপরই নিজের খুব রাগ হচ্ছে।

প্রিয়ার এসব ভাবনার মাঝেই তিশপি আবার বলে উঠে,

-“আর সেদিন রাদিফ ভাইয়া এসেছিল এসে ভাইয়ার কাছে ক্ষমা চাচ্ছিলো।”

প্রিয়া অবাক হয়ে বলে,

-“ক্ষমা চাচ্ছিলো কেন?”

তিশপি বলে,

-“তুই এবার যখন আমাদের বাসায় এসেছিলে ভাইয়া তোর সাথে একদিন খারাপ ব্যবহার করেছিল না,কিন্তু কেন জানিস?”

তিশপির কথায় প্রিয়া মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় কাজ করছে।কিন্তু এই ভয়টা কিসের সে বুঝতে পারছে না।শুধু মনে হচ্ছে হয়তো সে মেহেরাবকে ভুল বুঝেছে।তার মেহেরাব ভাইয়া যে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারে না।

তিশপি বলে উঠে,

-“রাদিফ ভাইয়া নাকি তোকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল আর যেটা ভাইয়ার সহ্য হয়নি তাই সে সেদিন রাদিফ ভাইয়াকে অনেক মেরেছিল।রাদিফ ভাইয়া অবশ্যত পরে তার ভুল বুঝতে পেরে ভাইয়ার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছে তার সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে চেয়েছে কিন্তু ভাইয়ার নাকি এককথা যে প্রিয়াকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করেছে তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে।সেদিন রাতে এজন্যই ভাইয়া এতটা রেগে ছিল তোকে নিয়ে কিছু বলায় আবার তার বেস্টফ্রেন্ডেকে এভাবে মারায় তার কষ্টও লাগছিল সবমিলিয়ে হয়তো ভাইয়া ভীষণ ডিস্টার্ব ছিল তাই সেদিন তোর সাথে এমন ব্যবহার করে ফেলেছে।তুই প্লিজ সেদিনকার ব্যবহারের জন্য ভাইয়ার জন্য মনে কোনো কষ্ট পুষে রাখিস না।”

সবকথা শুনে প্রিয়া কি বলবে বুঝতে পারছিলো না।সে নিষ্পলক তিশপির দিকে তাকিয়ে রইলো।তার চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো।তার মন বলছিল কিছু একটা তো হয়েছিল নইলে মেহেরাব যে কখনোই তার সাথে এমন ব্যবহার করতে পারে না।কিন্তু সে যে তার সাথে খুব বাজে ব্যবহার করে ফেলেছে।সেদিন রাতে হয়তো মেহেরাবের প্রতি একটা চাপা রাগ থেকেও আরো এমন নিষ্ঠুর ব্যবহার করে ফেলেছে সে।কি করবে এখন প্রিয়া,কি করে মেহেরাব ভাইয়ার রাগ সে ভাঙাবে।মেহেরাব যে ভীষণ কষ্ট পেয়েছে তার কথায় খুব অভিমান হয়েছে তার প্রিয়ার উপর।কিন্তু যেভাবেই হোক প্রিয়াকে যে তার অভিমান ভাঙাতেই হবে।প্রিয়া জানে সে সামনে থাকলে মেহেরাব বেশিক্ষণ তার উপর রাগ করে থাকতে পারবে না।

প্রিয়ার কেমন একটা অস্থির অস্থির লাগছে।যতক্ষণ পর্যন্ত না মেহেরাবের সাথে দেখা হবে,কথা হবে সে কিছুতেই শান্ত হতে পারবে না।রিম্পা,স্মৃতি সব কাজিনরা তারা প্রায় অনেক কালারের শাড়ি নিয়ে এসে প্রিয়ার কাছ থেকে মতামত জানতে চাইছে যে কোন কালারের শাড়ি সিলেক্ট করলে বেশি ভালো হবে।তারা সবাই মিলে ঠিক করেছে যে,সবাই একই রঙের শাড়ি পরবে।স্মৃতি প্রিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,

-“প্রিয়া দেখ তো কোন কালারের শাড়ি সিলেক্ট করলে ভালো হবে।”

প্রিয়ার এসবের প্রতি কোনো মনোযোগ ছিল না সে তো মেহেরাবের আসার অপেক্ষা করছে।তাদের সবার সাথে তিশপিও ছিল।প্রিয়া শাড়িগুলো সরিয়ে দিয়ে তিশপির কাছে যেয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-আপু মেহেরাব ভাইয়া কখন আসবে?

প্রিয়ার কথা শুনে তিশপি বুঝলো প্রিয়া তার ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।তিশপি যখন কথাগুলো প্রিয়াকে বলছিল তখন প্রিয়ার অস্থিরতা,চোখের সেই কাতরতা দেখেই বুঝেছিল তার ভাইয়ার হঠাৎ এমন আচরণের কারণ কি।তাইতো বলি,ভাইয়া তো কখনো এমন আচরণ করে না।তার ভাইয়ার আর প্রিয়ার যে এখন মান অভিমানের পালা চলছে।যা তাদের সম্পর্ককে আরো মিষ্টি করে তুলবে।তিশপি তারপর চোখের ইশারায় তাকে শান্ত হতে বলে বলে,

-“এইতো প্রিয়া ভাইয়া এখনই এসে পরবে।লাইটিং,বাবুর্চি তারপর বাজার এসব নিয়ে একটু ব্যস্ত আছে।এসে পরবে।”

এসে পরবে কিন্তু কখন।প্রিয়ার যে আর তর সইছে না।তার মেহেরাব ভাইয়ার সাথে কতদিন কথা হয় না তার।প্রিয়া এরপর মন খারাপ করে তাদের সাথে শাড়ি বাছাই করতে লাগলো।কিন্তু তার মনে পরে আছে মেহেরাবে।

আজ সকাল থেকে রিয়ানা আর ইপ্সিতা বেশ জমিয়ে গল্প করছে,আড্ডা দিচ্ছে।এক কথায় বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছে তারা ননদ,ভাবি মিলে।মিসেস ইভানাও আর এ নিয়ে তেমন কিছু বলে নি।রিয়ানা রান্না করছিল আর ইপ্সিতা তার হাতে হাতে কাজ করে দিচ্ছিল এমন সময় রিয়ানা বললো,

-“তোর আজ প্রাইভেট পড়া নেই ইপ্সিতা?”

রিয়ানার কথায় ইপ্সিতা বললো,

-“না ভাবি,আজকে পড়া নেই।স্যার কি কাজে ঢাকা গিয়েছে তাই কিছুদিনের ছুটি।”

এরপর রিয়ানা বললো,

-“ও,তা তোর তার কি খবর?”

রিয়ানার এমন প্রশ্নে হঠাৎ ইপ্সিতা কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে গেল।রিয়ানা ইপ্সিতাকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বললো,

-“কি রে কি হলো,কোথায় হারালি?”

ইপ্সিতার কথায় রিয়ানা কেমন যেন মন খারাপ করে বললো,

-“তিনদিন হলো আজ রিশাদের সাথে তেমন একটা কথা হয় না।নিজে তো ফোন দেয়ই না আবার আমি ফোন দিলে বলে যে,ব্যস্ত আছি পরে কথা বলছি।আচ্ছা ভাবি মানুষ কি চব্বিশ ঘন্টায় ব্যস্ত থাকে সারাদিনে কি একটুও কথা বলা যায়।আমার মাঝে মাঝে কি মনে হয়,জানো তো ভাবি রিশাদ মনে হয় এখন আর আগের মতো আমাকে ভালোবাসে না।মনটা এতদিন খুব খারাপ ছিল আজ তোমার সাথে একটু গল্প করে,সময় কাটিয়ে ভালো লাগছে।”

এতদিনে কোনো এক কারণে ইপ্সিতার মনটা বেশ খারাপ হয়ে আছে।রিয়ানা সেটা লক্ষ্য করেছিল।তাই আজ সে ইপ্সিতাকে বেশি করে সময় দিচ্ছিল,তার সাথে গল্প করছিল।মন ভালো করার চেষ্টা করছিল।রিয়ানা কি বলবে বুঝতে পারছিলো না,রিশাদকে সে দু একবার দেখেছে তবে ছেলেটাকে তার তেমন একটা পছন্দ হয় নি কিন্তু ইপ্সিতার মুখ থেকে তার অনেক প্রশংসা শুনেছে।রিয়ানা ভেবেছিলো ইপ্সিতাকে একবার বলবে তার কথাটা কিন্তু পরক্ষণে মেয়েটার মুখের হাসি দেখে আর ইচ্ছে করেনি সে ভেবেছিল,ইপ্সিতা তো ভালো আছে রিশাদের সাথে তার পছন্দে অপছন্দে কি হবে।সবার পছন্দ তো আর এক হয় না।কিন্তু এখন রিয়ানার মনে হচ্ছে তার মনের কথা একবার ইপ্সিতাকে বলা উচিৎ পরে যদি বেশি দেরি হয়ে যায়।ইফসানের ডাকে রিয়ানা ভাবনা থেকে বের হয়।ইফসান বাবুকে কোলে নিয়ে এসে রিয়ানাকে বলে,

-“বাবুর ক্ষুধা লাগছে কান্না করছে,ওকে খাইয়ে দাও।”

রিয়ানা ইফসানের থেকে বাবুকে কোলে নিয়ে খাওয়াতে চলে যায়।ইপ্সিতা চলে যেতে নিলে ইফসান তাকে আটকিয়ে দিয়ে বলে,

-“দাঁড়া ইপ্সিতা,তোর সাথে কথা আছে।”

ইপ্সিতা ইফসানের দিকে তাকিয়ে বলে,

-বলো ভাইয়া,

-রিশাদ কে?

ভাইয়ার মুখে রিশাদের কথা শুনে ইপ্সিতা ভয়ে ঘামতে শুরু করলো।ভাইয়া রিশাদের কথা কিভাবে জানলো।

প্রিয়ারা সবাই মিলে ঠিক করে তারা গায়ে হলুদের দিন সবাই মিলে বেগুনি কালারের শাড়ি পরবে।সব কাজিনরা একসাথে বেগুনি কালারের শাড়ি আর ছেলেরা পাঞ্জাবি ব্যাপারটা বেশ জমবে।এরপর প্রিয়া ওখান থেকে চলে আসে।কাজিনরা সবাই মিলে নিজেদের মতো আড্ডা দিচ্ছিলো কিন্তু প্রিয়ার ইচ্ছা করছিলো না।তাই প্রিয়া ওখান থেকে চলে আসে অবশ্যত সবাই আটকালেও তিশপি আপু সবাইকে বলে ওকে যেতে দিতে।প্রিয়ার ভালো লাগছিলো না বলে প্রিয়া বাইরে বাগানের দিকে হাটতে যায়।বাড়িতে লাইটিং এর কাজ চলছিল।প্রিয়া বাইরে যেতেই দেখে মেহেরাব সেই লোকেদের সাথে কথা বলছে।প্রিয়ার খুশি দেখে কে,এতক্ষণে প্রিয়ার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।এইতো মেহেরাব,যাকে সে এতক্ষণ ধরে খুঁজছিল সে তো বাড়িতেই ছিল বাইরে আসলেই দেখা পেয়ে যেত।প্রিয়া আর কিছু না ভেবে হাসিমুখে দ্রুত মেহেরাবের কাছে যেতে যেয়ে পায়ে বেঁধে পড়ে যায় আর চিৎকার করে উঠে।হঠাৎ চিৎকার শুনে মেহেরাব ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে যা দেখে এতে তার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো।মুখ দিয়ে অস্ফুটস্বরে বললো,

-প্রাণপ্রিয়া

চলবে..

[ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আর গল্পটিতে আশানুরূপ রেসপন্স পাচ্ছি না তবুও যে প্রিয় পাঠক /পাঠিকারা গল্পটি পড়ছেন তাদের ভালোবাসা থেকেই গল্পটিকে দ্রুত শেষ করতে পারছি না।আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আজকের পর্বটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না আপনাদের একটি গঠনমূলক মন্তব্য লেখার উৎসাহ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।আর মেহেরাব,প্রিয়ার জুটিটা কেমন লাগছে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here